এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • পায়ের তলায় সর্ষে - ৭

    Binary
    বইপত্তর | ২২ জুন ২০০৭ | ২০৭০৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • b | 203.199.255.110 | ১৭ জুলাই ২০০৯ ১৩:৪২388926
  • বাস ত' আপন নিয়মে এগিয়ে চলল। নিয়ম মাফিক ৪১+১ জন বসার কথা, বেনিয়মে কত জন যে নানারকম সম্ভাব্য ও অসম্ভাব্য জায়গায় খাপে খাপে গুঁজে গেলো, তা না দেখলে বিশ্বাস্য নয়। ভেবেছিলাম দেবপ্রয়াগ হয়ে, ভাগীরথীর পাড় ধরে ধরে টিহরি পৌঁছব। অন্য রাস্তা ধরতে একটু হতাশ (দেবপ্রয়াগ বড় ভালো লাগে যে!)। চম্বায় নাস্তা হল্ট। শুনলাম কাছেই সুর্কন্ডা দেবীর অপূর্ব মন্দির, একান্ন পীঠের একটি। মনে নোট করে রাখলাম, কবে যেতে পারবো জানি না।
    রোদ বেশ চড়া। গত রাতের ক্লান্তি চোখে্‌হ চেপে বসছে এইবার। মাঝে মাঝেই ঢুলে পড়ছি পাশের উত্তর ভারতীয় ভদ্রলোকের কাঁধে। তিনি দু-একবার "ক্যা হো রহা হ্যায় ইয়ার' বলেন। লজ্জা পেয়ে সরি ইত্যাদি বলি। কিছুক্ষণ পরে বোধ হয় মহাজ্ঞানী মহাজন ইত্যাদি স্মরণ করে আমার কাঁধেই মৃদুমন্দ তালে মাথার ঠোকা দিতে লাগলেন। তারপরে দুকান কাটা অবস্থায় দুজনেরি স্বপ্নপ্রয়াণ।(মুজতবা আলি যেন কি বলেছিলেন?)
    হঠাৎ নিচে ডানদিকে সবুজ রং এর বিস্তীর্ণ জলরাশি ঝলসে উঠলো, ওটাই টিহরী ড্যাম। তত্তর করে বাস নেবে এলো একেবারে নদীর ধারে। এবার আর তাকে ছাড়ান নেই।
    উত্তরকাশীতে গঙ্গা উত্তর বাহিনী। এমনকি কাশি বিশ্বনাথের একটি মন্দির-ও আছে। ধূলোমাখা, গরম জায়গা। শেষে কলাগাছ দেখে যেটুকু ভক্তি শ্রদ্ধা ছিলো তাও উড়ে গেল কপ্পুরের মত। তবে একটা পারমিট যোগাড় করতে হয়। সেটা পাওয়া গেল। নেহেরু ইন্সটিট্যুটের মিউজিয়ামে একবার ঢুঁ মারার ইচ্ছে ছিলো। এ যাত্রা হল না।

  • b | 203.199.255.110 | ১৭ জুলাই ২০০৯ ১৩:৫৬388927
  • পরের দিন খুশি মনে আলু-পরাঠা আর দহি দিয়ে চমৎকার পাহাড়ি ব্রেক্‌ফাস্ট সেরে বেরিয়ে পড়া গেল। বাস আপিসের ভদ্রলোক নির্বিকার ভাবে বললেন, গঙ্গোত্রীকি বাস কল সুবে মিলেগা। একটা বড় শিক্ষা হল। এতদঞ্চলে লোকাল বাস শুধু লোকালদের জন্যে। টুরিস্টদের জন্যে ঘন্টায় ঘন্টায় বাস নেই।এখন হয় হরিদ্বারের বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হবে, কিম্বা..
    শেয়ার গাড়ি। টাটা সুমোর পেছনে সেই ঘাড় গুঁজে বসা ( মোটা হওয়া যে কি অভিশাপ!)। মোটামুটি চার ঘন্টায় পৌঁছে দিল গঙ্গোত্রী। হরশিল বলে একটি অপূর্ব জায়গা ( সামনে চওড়া ভাগীরথী, বাঁদিকে স্বর্গারোহিনী রেঞ্জ) পেরিয়ে, লোহাঘাট আর গঙ্গোত্রীর মাঝখানে এক ঝলকের মতো দেখতে পেলাম গভীর গর্জ। নিজে গাড়ী ভাড়া করে এলে একটু এক্সপ্লোর করা যেত (যখন আমার অনে-এ-এ-ক পয়সা হবে...)। এখানে নদী পশ্চিমবাহিনী।
  • b | 203.199.255.110 | ১৭ জুলাই ২০০৯ ১৪:১৪388928
  • চার ঘন্টায় প্রায় ন হাজার ফিট উঠে এলাম। উত্তরকাশী এগারোশো ফিট, গঙ্গোত্রী দশ হাজারের একটু বেশি।
    আমার দৌড় তো এর আগে দার্জিলিঙ অবধি, তাই নিজেকে বেশ ইয়ে ইয়ে মনে হচ্চিল।ছোট্ট বসতি। মন্দির ঘিরেই এর যা কিছু। দু দিকে মস্ত বড় পাহাড়ের মধ্যে hemmed in ( এর বাংলা কি হবে?) হয়ে আছে ধবধবে শাদা মন্দিরটি, খান পনের সিঁড়ি নেমে অতিখরস্রোতা ভাগিরথী, কাছেই সুরযকুন্ডের ওপর নদীর এক ও একমাত্র জলপ্রপাত। পূর্ব দিকে তাকালে গঙ্গোত্রী গ্রুপ-এর রেঞ্জ।
    চা শিঙ্গাড়া পেঁদিয়ে আরতি দেখার জন্যে বসা গেলো। হরিদ্বারে তো আরতির সময়ে টি-সিরিজের অনুরাধা পড়োয়াল মার্কা ক্যাসেট চালিয়ে দেয়, এখানে অন্তত সেটাঅ হয় না। তবে গানটা বড়ই একঘেয়ে, সেই ওম জয় জগদীশ হরের জায়গায় ওম গঙ্গা মাইয়া। আর সব কথা সুর হুবহু এক। কার কপিরাইট কে যে ঝেড়েছেন, তা বোঝার উপায় নেই। (পরে ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখলাম, এ আর এমন কি? গঙ্গা তো দ্রবীভূত বিষ্ণু!)
  • b | 203.199.255.110 | ১৭ জুলাই ২০০৯ ১৪:২৫388929
  • তবে কিনা saving grace হল আরতির পরে টানা সুরে বলা যজুর্বেদিয় স্বস্তিবচন (উদাস পুরবীর সুরে যাহা হরিহর রায় টানিয়া টানিয়া বলিতেন), আর ঐ মালয়ালী বামুনের লেখা স্তোত্র। স্তোত্রের মাত্রাবৃত্ত আর নদীর কলরব মিশে যাচ্ছিল, এক হার্মনিতে। এ কি শুধু স্থান মাহাত্ম্য? আমাদের কলকাতার নদী দেখে কিছুতেই ও বস্তু হাত থেকে বেরোবে না। বড় জোর এক ঠোঙা খাবার নিয়ে যায় মতিলাল জাতীয় কিছু একটা করা যেতে পারেও বা।
    ( এই বামুনটি নাকি আবার শুকনো জ্ঞানবাদী ছিলেন। হু:)
  • r | 198.96.180.245 | ১৭ জুলাই ২০০৯ ২০:৩১388930
  • হরশিলে রাজা উইলসনের বাংলো দেখলেন?
  • b | 203.199.255.110 | ২১ জুলাই ২০০৯ ১২:৪২388931
  • র-কে...না: শেয়ার গাড়িতে গিয়ে কি আর দেখা যায়? তবে উইলসনের পোঁতা আপেল গাছের নাতিপুতিদের চোখে পড়ল।
    *****

  • dipu | 207.179.11.216 | ২১ জুলাই ২০০৯ ১২:৫১388932
  • kc, চলবে বলে আর তো চালালেন্না?!
  • b | 203.199.255.110 | ২১ জুলাই ২০০৯ ১৩:১২388933
  • পরদিন সকাল সকাল চা পকোড়া সেবন করেই রওয়ানা দেওয়া গেল (তখনো তো র‌্যাটাসদার সুতো পড়িনি, তাই গুছের কাজু, বিস্কুট এসব নিয়ে গেছিলাম)। কিলোমিটার দুয়েক যেতেই গঙ্গোত্রী ন্যাশানাল পার্কের কোর এরিয়া শুরু। চেকপোস্টে পারমিশন দেখিয়ে টাকা জমা দিতে হল। তারপরে আবার যাত্রা। এটা শুরু করার আগে বহু বিজ্ঞজন মাথা নেড়ে বলেছিলেন, এভাবে অজানা পথে একা একা যাওয়া মোটেও ঠিক নয়। কি করে বোঝাই? ডানদিকে বহু নিচে ভাগীরথী, বাঁ দিকে পাহাড়, পাইনের জংগল, বড় বড় পাথরে নদীর আওয়াজ প্রতিধ্বনিত হয়ে উঠছে শঙ্খের মত,নীল ফ্রেমে বাঁধা পাহাড়ের চুড়াগুলো এতো কাছে যে হাত বাড়ালেই মনে হবে ধরে ফেলি একেবারে... একা থাকার জো আছে নাকি?
    http://picasaweb.google.co.in/bodhi.sen/TheCowSMouth#5348141115474473170

    সঙ্গী অবশ্য জুটে যায়। মুক্তিপিপাসু সাধু, পুণ্যপ্রয়াসী তীর্থযাত্রী, অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় টগবগে ছেলেমেয়ের দল, কিম্বা সেরেফ আমার মত কিছু উদো পাবলিক। শেষোক্ত দলে অবিশ্যি বাঙ্গালী-ই বেশি মনে হল। প্রচুর শ্বেতদ্বীপীয় এবং গুচ্ছের হঁড়িয়ানাভি। (পানিপথের এক ব্যবসায়ী এই পারমিট-এর ব্যাপার স্যাপার সম্পর্কে স্বভাবসিদ্ধ উদারতায় এমন সব মতামত ব্যক্ত করতে লাগলো যে মনে হল ওখানে গোরমিন্ট থাকলে নিশ্চিত একটা রাষ্ট্রদ্রোহিতার কেস হয়ে যেত।) একটু বিশ্রাম, পরিচয় আদান প্রদান, হাসিঠাট্টা, লাজুক মুখে জল চেয়ে খাওয়া বা দেওয়া, তারপরে আবার এগিয়ে চলা। রাস্তার দাঁত নখ বেরোতে থাকে অল্প অল্প করে। গরম , আবার একটু বসলেই শীত শীত ভাব। দু একটা ছোটো ছোটো পাহাড়ী নদী পেরই, নীল জলের। বোতল ভর্তি করে নিই তাতে, একটু জলের ঝাপটা চোখে মুখে। হঠাৎ একটা বাঁক ঘুরতেই ভাগীরথী গ্রুপের চুড়াগুলি। এবার ওদের সঙ্গী করেই পথ চলা। একা কে থাকে?
  • ds | 121.245.25.1 | ২১ জুলাই ২০০৯ ১৪:৫১388934
  • বি, আপনার গ্যালারী দেখতে দিল না। বলল ঐটে আপনার ব্যক্তিগত জায়গা। আরও বলল আপনার অনুমতি নিতে।
  • d | 121.245.25.1 | ২১ জুলাই ২০০৯ ১৪:৫২388936
  • উফ্‌ আগের পোস্টটা আমার।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২১ জুলাই ২০০৯ ১৪:৫৫388937
  • গঙ্গোত্রী বাজারে ঘি চপচপে হালুয়া আর পুরি দিয়ে ব্রেকফাস্ট।

    উত্তরকাশীতে প্রথম রায়তা আর ক্যাপসিকামের তরকারি (ওখানে বলতো সিমলা মির্চ) খেয়েছিলুম - ১৯৮৮ সালে। তখন কলকাতায় সিলেক্টেড কিছু বাজার (যেমন হগ সায়েবের বাজার) ছাড়া আর কোথাও ক্যাপসিকাম পাওয়া যেত না।

    ভূজবাসায় এখনও রামবাবা আছেন কি?
  • Samik | 219.64.11.35 | ২১ জুলাই ২০০৯ ১৫:০৯388938
  • ক্যাপসিকামকে সিমলা মির্চ বা শর্টে সিমলা বলে পুরো উত্তর ভারতেই। :-)
  • b | 203.199.255.110 | ২১ জুলাই ২০০৯ ১৫:১২388939
  • d, ঠিক করে দিয়েছি।
    অরিজিৎ, রামবাবা ক্রমে আসিতেছেন।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২১ জুলাই ২০০৯ ১৫:২৬388940
  • সুরজকূণ্ড কি গঙ্গার ওপর একমাত্র প্রপাত? দেবপ্রয়াগের কাছে দু একটা দেখেছিলাম মনে হচ্ছে যে?
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২১ জুলাই ২০০৯ ১৫:২৮388941
  • গোমুখের শেপটা অনেক বদলে গেছে। আর ওই ১৬ নং ছবিটার পুরো রেপ্লিকা আছে আমার কাছে - আমরা যখন গেছিলুম তখনকার:-)

    আমার মা আবার ওই ঝুরা/গিলা পাহাড়ের ওখানে পা স্লিপ করে নীচে গড়াতে গড়াতে বেঁচে গেছিলেন।
  • b | 203.199.255.110 | ২১ জুলাই ২০০৯ ১৫:৪২388942
  • অল্পসল্প হাঁপাতে হাঁপাতেই এসে পৌঁছই চীড়বাসায়। এখানে চীড় (বা পাইন) গাছ শেষ। আগে এখানে কিছু ঢাবা গোছের ছিলো, এখন সব তুলে দিয়েছে। শুধু ফরেস্ট আপিসে একটা ছোঁড়া এই মওকায় চা বিক্রি করে বিল গেট্‌স হওয়ার তাল করছে। একটু চা খাই, বিস্কুট-ও। প্যাকেট অবিশ্যি ফেলা চলবে না একটাও। কঙ্গু গেটে প্রতিটি প্লাস্টিকের প্যাকেট গুণে গেঁথে নিয়েছে, তার ওপরে ডিপোজিট-ও জমা আছে।ফেরৎ পেতে হবে ত'।
    প্রায় দশ কিমি পেরিয়ে এলাম। রাস্তা মনে হছে আরেকটু খাড়াই হল। তার ওপরে "ঝুরো পাহাড়"। ওপর থেকে মাঝে মধ্যেই ঝরে পড়ছে ছোটো বড় পাথর। সাবধানে দেখে পার হতে হবে কিলোমিটার খানেক রাস্তা। ওপরে একদল পাহাড়ী হরিণের ছোটাছুটিতে এক জায়গায় সমানে পাথর পড়ছিলো, সেটা সৌভাগ্য না দুর্ভাগ্য অবশ্য জানি না। দিল্লি থেকে পুণ্যপ্রয়াসী দুই কচি বিস্কুট, জল কিস্যু না নিয়ে রওনা দিয়েছিলো গঙ্গোত্রী থেকে। রাস্তায় মাঝে মধ্যেই তাদের হা হুতাশ শুনতে হয়েছে। এখানে বোধ হয় সহ্যের শেষ সীমা পেরিয়ে গেল। অসন্তুষ্ট আর অভিমানী স্বরে আমার দিকে তাকিয়ে বলল ""দিস ইস টু মাচ ইয়ার!" তা কি আর করা যাবে।
    যখন মনে হচ্ছে আর পারা যাবে না, তখন রাস্তার ওপরে কিছু বোল্ডার পেরিয়ে হঠাৎ-ই নিচে দেখলাম কয়েকটা বাড়ি। ভোজবাসা এসে গেলাম তবে। এর ওপরে আর ভুজ (ভুর্জপত্র: বার্চ) গাছ নেই। প্রথমেই সোজা লালবাবার আশ্রম। ধর্মশালা গোছের। পৌঁছবার সাথে সাথেই ভোজন করে ফেলা গেল, ডাল আর ভাত দিয়ে (লালবিহারী দাস, বাঙ্গালী কিন্তু। অরিজিৎ যে রামবাবার কথা বলছিলেন, তিনি এনার-ই শিষ্য, তবে বর্তমানে বিক্ষুব্ধ। তেনার আশ্রমেও থাকা যায়, তবে কি না গায়ের চামড়াটা শাদা হতে হয়।)। ভিতরের ঘরে বালিশ আর গদি পাতা। কোণে স্তুপ করে রাখা লেপ।
    ভোজবাসা একটি বিরাট অ্যাম্পিথিয়েটারের মত। এককোণ দিয়ে গঙ্গা। সামনে ভাগীরথী গ্রুপের বিশালতা। এদিকে ওদিকে ভৃগু পর্বত, সতোপন্থ, আরো কত নাম না জানা চূড়া। বাইরে বেরোলে নাম না জানা মিষ্টি গন্ধ, পাহাড়ী ঝোপ আর ফুলের। । বেলা তিনটের মন খারাপ করা রোদে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকি কোবল্ট ব্লু রঙের গম্বুজের নিচে।

  • Arijit | 61.95.144.123 | ২১ জুলাই ২০০৯ ১৫:৫০388943
  • সেকি ওখেনেও বিক্ষুব্ধ কেস? রামবাবা আদতে ইউরোপীয়, দিব্যি হাসিখুশিই লেগেছিলো - রাতের বেলা খাবার সময় বলে বেড়াতেন - "যট্টা রুট্টি তট্টা কম্বল' :-)

    ভূজবাসায় লালবাবার আশ্রমের চা বিখ্যাত - অল্প সিদ্ধি পাতা মেশানো থাকে সম্ভবত: - ক্লান্তি গায়েব হয়ে যায় এক গ্লাস খেলেই।

    রাতের বেলা কক্ষণো বাইরে বেরোতে নেই - ছোট বাইরের জন্যে একবার বেরিয়েছিলুম, উরিশ্লা কি ঠাণ্ডা রে ভাই - ভূগোলে ছিলো না - রাতে উপত্যকার নীচের দিকে ঠাণ্ডা বেশি হয় - সেই কেস।

    তবে সকালে বিশাল কড়ায় জল গরম হতে থাকে, প্রচুর টিনের কৌটো পড়ে রয়েছে - একখানায় জল ভরে পাথরের আড়ালে চলে যাও - উন্মুক্ত প্রান্তরে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার আলাদা চার্ম - শুধু খেয়াল করে যে পাথরটা এক্সক্লুসিভলি তোমারই;-)

    না: আর ডিস্টাপ করুম না। বি - চালিয়ে যান।
  • b | 203.199.255.110 | ২১ জুলাই ২০০৯ ১৫:৫৩388944
  • ভরে উঠলো লালবাবাজীর আশ্রম, সে রাতের মত। মিনি ভারত বর্ষ। রাতের 'ভোজন' হল সেই ভাত, সেই ডাল, রুটি আর সোয়াবিন/হিং দিয়ে চমৎকার একটা তরকারী। 'পান' এর জন্যে গরম জল-ও পাওয়া গেল। রাত্তিরটা ছিল পুর্ণিমা। ভাগীরথী আর মেঘের আড়াল থেকে চাঁদ উঠতে দেরি হল।দূরে, অতিদূরে পাহাড়ের চূড়োগুলি ভিজে গেল ঠান্ডা, নীল আলোয়। আর তারা? পূর্ণিমার রাত্রে যে সপ্তর্ষির প্রতিটি নক্ষত্রকে আলাদা ভাবে বোঝা যায়, তা আগে জানতাম না। ক্যামেরায় ধরতে পারিনি। তবে গুরুর গুরু আলিসাহেবের কথামত যে ক্যামেরাদুটো নিয়ে বেড়াচ্ছি জন্ম থেকে, যাতে ছবি তুলে ইচ্ছে মত এন্‌লার্জ, এনহ্যান্স, মার্জ, এডিট করা যাবে মৃত্যু অবদি, সেদুটোকে কাজে লাগিয়ে দিলাম, ফুল টাইম। কিন্তু শীত বড় বালাই। ঘন্টা খানেক পরে লেপের তলায় ঢুকতে হল।
  • b | 203.199.255.110 | ২১ জুলাই ২০০৯ ১৬:১৪388945
  • পরের দিন ভোরবেলা উঠে, চা খেয়েই বেরিয়ে পড়া গেল। অরিজিৎ কবে গেছিলেন? ৮৮ সালে না? এই কুড়ি বছরে চেঞ্জ হয়েছে অনেকটাই। মাঠে যেতে হয় না আর, অন্তত: লালবাবার আশ্রমে।
    ভোজবাসা থেকে গোমুখ প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তা। এখানে আর অত খাড়াই নেই।অনেকটাই , গ্লেসিয়ার যে মোরেন বয়ে এনেছিল, তার ওপর দিয়ে, পাথর টপকে টপকে। জায়গায় জায়্‌গায় জমা জলের ওপর পাৎলা বরফের সর, ভাগীরথীর মধ্যে সেজো আকারের বরফের চাঁই। সকালের আলোয় আরো পষ্ট হয়ে উঠছে ভাগীরথী গ্রুপ, পাশে শিবলিঙ্গ পর্বত। একটু ঘুরে আরেকটা পাথরের টিলার ওপরে উঠতেই সেই গুহা দেখতে পেলাম। কোনো কবিকল্পনাতেই তাকে গরুর মুখ বলে ভুল করবার জো নেই। গ্লেসিয়ার পিছিয়ে যাচ্ছে প্রতি বছরে, জায়্‌গায় জায়্‌গায় মার্ক করা আছে সেগুলি। আমার সাথে এক কৃষ্ণভক্ত সাহেব বাবাজী ছিলেন, কুড়ি বছর হল সুইজারল্যাণ্ড ছেড়ে বৃন্দাবন নিবাসী, আমার চেয়ে অনেক ভালো হিন্দি বলেন, তিনি অবশ্য গ্লেসিয়ারতঙ্কÄ উড়িয়ে দিলেন। বললেন গঙ্গাজী স্বয়ম্ভু হ্যায়। তর্ক করতে মন চাইল না।
    বসে রইলাম অনেকক্ষণ। মা আর পিসির হুকুম মতো বোতলে জল ভরতে হল, আধবোতল ভরতে না ভরতেই হাত নীল এক্কেবারে। এক বাবাজী দেখি মহা উৎসাহে স্নানের জোগাড় করছেন। শীতটা বেড়ে গেল যেন।

  • b | 203.199.255.110 | ২১ জুলাই ২০০৯ ১৭:০৮388947
  • এবার ফেরার পালা। এবারে ফেরার পালা। অপেক্ষা করে আছে ইন্টারনেট, সেলফোন, খবরের কাগজ। রুটিনে বাঁধা চলাফেরা, মেপে হাসা, মেপে কথাবার্তা বলা ।

    পেছনে চাইলাম শেষবারের মত। সামনে রাজকীয় ভাগীরথী গ্রুপ, ডানদিকে শাদা তরোয়ালের মত ঝলসে ওঠা শিবলিঙ্গ পর্বত, আর তার নিচ দিয়ে খরস্রোতে বেরিয়ে আসছে হিমবিধুমুক্তাধবলতরঙ্গে। মম হৃদয়ে রহ।

  • P | 163.244.62.136 | ২১ জুলাই ২০০৯ ১৮:২৩388948
  • বা:।
    অনেক ধন্যবাদ বি।

    আমার শ্বশুরমশাই ওনার আর্লি ষাটের দশকের গোমুখ ভ্রমণ ডিটেলে লিখে রেখেছেন। তারপর এটা পড়লাম , কত আলাদা অথচ কত মিল।
  • Abhyu | 128.214.20.122 | ০৯ জুন ২০১০ ১৬:৪৮388949
  • শান্ত পল্লীগ্রাম খেজুরি বেড়াতে গিয়েছিলাম গত বছর। আপাতত কটা ছবি দিলাম অর্কুটে। ভালো করে ভ্রমণকাহিনী লিখবো অল্প কদিনের মধ্যেই :)

    "মা নীল কুমারী পরীজান ও সাউণ্ড সার্ভিস ভাড়ায় পাওয়া যায়"
  • SS | 128.248.169.192 | ০৯ জুন ২০১০ ১৯:২৩388950
  • আর ল্যাপল্যান্ডের গল্পটার কী হল? সবাই শুনবে বলে বসে আছে যে!
  • Abhyu | 128.214.20.122 | ০৯ জুন ২০১০ ১৯:৩০388951
  • হবে তো, যাই-ই নি এখনো !
  • SS | 128.248.169.192 | ০৯ জুন ২০১০ ১৯:৩৫388952
  • ও বুঝেছি, ল্যাপল্যান্ডে বেড়িয়ে এসে 'মা নীল কুমারী পরীজান' থেকে মাইক ভাড়া করে সবইকে গল্প শোনানো হবে :))
  • Abhyu | 128.214.20.122 | ০৯ জুন ২০১০ ১৯:৪৩388953
  • SS তুমি কি ভাবে ইনটার্প্রেট করবে তার উপর ডিপেন্ড করছে। মা নীল কুমারী পরীজান ও সাউণ্ড সার্ভিস (ও টা বাদ দিলে চলবে না)
  • SS | 128.248.169.192 | ০৯ জুন ২০১০ ১৯:৫৮388954
  • ও হো, তাইতো! 'ও' টা বাদ পড়ে গেছে ;)

    কাটি আজ.....
  • Abhyu | 80.221.18.28 | ১০ জুন ২০১০ ০১:০২388955
  • হ্যাঁ এটা নন্দীগ্রাম-খেজুরিরই খেজুরি। ওখানে অনেক খেজুর গাছ আছে আর খুব ভালো খেজুর গুড় পাওয়া যায়। "মা নীল..." প্ল্যাকার্ডটা একটা বটগাছে লাগানো ছিল যে বটগাছটা নাকি খবরে এসেছিল।
  • Abhyu | 80.221.18.28 | ২০ জুন ২০১০ ০০:৩৭388956
  • ল্যাপল্যাণ্ড যাত্রা
    ---------------------

    ১২ তারিখ সন্ধ্যে সাড়ে সাতটায় ট্রেন ধরার কথা ছিল হেলসিঙ্কি স্টেশন থেকে, তো শুরুতেই গন্ডোগোল। সে ট্রেন লেট, আর পুউরো প্লেনের কায়দায় ঠিক পনেরো মিনিট পর পর পনেরো মিনিট করে ডিলেড হয়। ওদিকে ট্রেন রোভানিয়েমি পোঁছানোর কথা পরের দিন সকাল সাড়ে আটটায়, আর তারপর আমাদের বাস জার্নি এগারোটা থেকে। মুশকিল হল বাস মিস হলে সাড়ে চারশো ইউরো জলে যাবে। সুতরাং আমি ক্রমশ: ক্ষিপ্ত হচ্ছি, সহযাত্রিণীকে গাল দিচ্ছি আর ভাবছি মানুষ কেন ঘরে বসে ল্যাদ না খেয়ে বেড়াতে যায়? এই জটিল প্রশ্নের সমাধান হওয়ার আগেই এক ভদ্রলোকের সঙ্গে পরিচয় হল। তিনি ইরান থেকে এসেছেন ল্যাপল্যাণ্ডে একটা কনফারেন্সে যোগ দিতে। তাঁর আবার ভারত নিয়ে খুব কৌতুহল। ভারতের গ্রেট ঘোস্ট গান্ধী আর প্রাইম মিনিস্টার গান্ধীর মধ্যে যে কোনো দাম্পত্য সম্পর্ক ছিল না সে বিষয়ে অবহিত হওয়ার পর তিনি জিজ্ঞাসা করলেন গান্ধী মারা যাওয়ার পর তাঁকে ফায়ার করা হয়েছিল কি না। আমরা সবিনয়ে জানালাম হিন্দুদের ওটাই প্রথা। তারপর তিনি বললেন যে তিনি উড সায়েন্স বিশেষজ্ঞ এবং ভারতীয় চন্দন কাঠের উপর তাঁর গভীর শ্রদ্ধা। আমারও তাঁর উপর শ্রদ্ধা একলাফে অনেকটা বেড়ে গেল যখন জানলাম আমেরিকায় চারটি মাত্র ভালো স্কুল - হার্ভার্ড, এম আই টি, প্রিনস্টন এবং ... মিশিগান। সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দিলাম যে আমি মিশিগানের ডিগ্রিধারী এবং তিনিও প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আমার বউকে জিজ্ঞাসা করলেন যে সে কেন বেশি পড়াশুনো করে নি?

    সময় ভালোই কাটছিল এবং সেই সঙ্গে কালকের বাস মিস করার আশাও বাড়ছিল। স্টেশনের কাউন্টারের লোক বললেন ভেবো না, তোমরা যদি বাস মিস করো তাহলে কিছু কম্পেন্সেশন পেতে পারো।
    "কতো টাকা?"
    "সে আমি কি জানি? ট্রেনে উঠে কন্ডাকটরকে জিজ্ঞাসা করবে।"
    "ট্রেন যদি নাই আসে?"
    "পরের ট্রেনে যাবে।"
    "পরের ট্রেন তো কালকে?"
    "তা তো বটেই। তবে ভেবো না, আমাদের কাছে খবর আছে যে ট্রেন আজকেই যাবে। শুধু কটায় যাবে জানি না।"

    এই করে করে আড়াই ঘন্টা বাদের ট্রেন এল। আর যদি লেট না করে তাহলে আমাদের হাতে আধ ঘন্টা সময় থাকবে বাস ধরার জন্যে। তবে সাড়ে সাতশো কিলোমিটারের রাস্তা। কি হয় এ জানে? কিন্তু ট্রেনে উঠে মন ভালো হয়ে গেল। দুজনের একটা কেবিন। কেবিনেই ছোট্টো একটা বেসিন। যথেষ্ট আরামদায়ক দুটি বিছানা। জানলা দিয়ে বাইরেটা চমৎকার লাগছে। ট্রেন কখন চলতে আরম্ভ করেছে বুঝিনি। এতো স্মুদ কল্পনা করা যায় না।
  • Abhyu | 80.221.18.28 | ২০ জুন ২০১০ ০১:৪৫388958
  • আমরা যাচ্ছি হেলসিঙ্কির উত্তরে কিল্পিস-ইয়ার্ভি বলে একটা গ্রামে। সেখানে ইউনিভার্সিটির একটা ছোট্টো রিসার্চ সেন্টারের গেস্ট হাউসে থাকব। নিশীথ সূর্যের দেশ। এখানেই এখন রাত এগারোটা সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত আলো থাকে। ঘুম আসতে চায় না। ট্রেনেই অ্যালার্ম ক্লক আছে। তাতে সকাল ৮টায় ওঠার ব্যবস্থা করা গেল। আমাদের স্টেশন রোভানিয়েমি। এই ট্রেনটা কিন্তু রোভানিয়েমি ছাড়িয়ে চলে যাবে। ওভার ক্যারেড হয়ে গেলে মুশকিল। ওদিকে আরো আনন্দের কথা হল স্টেশনের নাম শুধু ফিনিশ আর সুইডিশে লেখা। ইংরেজি কেউ বিশেষ বলেও না। টিটিকে ব্যাপারটা বলা হল, উনি বললেন সকালে স্টেশন আসার কিছুক্ষণ আগে একজন কেউ এসে আমাদের বলে যাবে। বেশ কথা। নিশ্চিন্তে ঘুমোনো যাবে। মনে হচ্ছে ট্রেন আর লেট করবে না। আমরাও বাস ধরতে পারব।

    সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠতে না উঠতে দরজায় ধাক্কা। আর আধ ঘন্টা পরে নামতে হবে। সে কী? এতো তাড়াতাড়ি? আজ্ঞে হ্যাঁ। মোটে কুড়ি মিনিট লেটে রান করছে ট্রেন। কম্পেনসেশন পাওয়ার আশা নেই। কি আনন্দ।

    অত্যুত্তম স্টেশন। খুবই মনোরম দৃশ্য। প্ল্যাটফর্মেই মোটর গাড়ি চলছে। ট্রেনে করে চাইলে (এবং থাকলে) নিজের গাড়িও আনা যেত। ইউরোপে অনেকেই তাই করে। আমদের অন্য ব্যবস্থা। বাসে ছ ঘন্টা। যেমন ট্রেন জার্নি, তেমনি বাস জার্নি। চারপাশের সুন্দর দৃশ্য দেখতে দেখতে চলা। বাসে চড়ার দশ মিনিটের মধ্যে আমরা আর্কটিক সার্কেল ক্রস করে গেলাম। নাটকীয় কিছুই ঘটল না। গাছপালা মাঠঘাট যেমন ছিল তেমনি রইল।

    কিল্পিস-ইয়ার্ভি গ্রামে পৌঁছে দেখি অল্প অল্প বৃষ্টি পড়ছে। কোনো ম্যাপ নেই। গুগুল কোনো কাজ দেয় না। বাসস্টপে একটা মাত্র হোটেল ও রেস্টুরেন্ট। সেখানের রিশেপশনিস্ট অবশ্য ইংরেজী বলে। তিনি বললেন যে একটু হেঁটে দ্যাখো। গেস্ট হাউস পেয়ে যাবে। বনের পাশে। লেকের ধারে। সহজে চোখে পড়ে না। তবে ওদের একটা সাদা গাড়ি আছে, সেটা চোখে পড়তে পারে।

    শেষ পর্যন্ত পাওয়া গেল। কিন্তু আজ রবিবার। সুতরাং কেউ নেই অফিসে। ডোর কোড মেল করে দিয়েছে। সেটা দিয়ে ঢুকে একটা জায়গায় একটা খাম থাকবে। সেই খামে একটা চাবি থাকবে, তার গায়ে আমাদের নাম লেখা। এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। খামও পাওয়া গেল, কিন্তু হায়, আমাদের নামে কোনো চাবি নেই। কী করা? এক বেচারী ছেলেমানুষ রিসার্চার ডাইনিং রুমে খাবার খাচ্ছিল, তাকেই বলা হল ব্যাপারটা। সে বলল ও কিছু না, কাছেই ডিরেক্টর থাকেন, তাঁকে ডাকলেই চলবে।

    শেষ পর্যন্ত রুম যখন পাওয়া গেল তখন রাত আটটা। জানালা দিয়ে সানা পাহাড় দেখা যাচ্ছে। পাহাড়টার একটা গল্প আছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন