এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • পায়ের তলায় সর্ষে - ৭

    Binary
    বইপত্তর | ২২ জুন ২০০৭ | ২০৯২৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Binary | 198.169.6.69 | ২২ জুন ২০০৭ ০৩:১৪388868
  • বর্নহোম। বল্টিক সাগরের একটি দ্বীপ। অবস্থানের দিকথেকে খুবই স্ট্র্যাটিজিক। উত্তরে সুইডেন আর দক্ষিণে পোল্যান্ড আর পশ্চিমে ..... বেশখানিকটা জলপথ পেরিয়ে ডেনমার্ক। তবুও, বর্নহোম ডেনমার্কের, ডেনিস সরকার, ডেনিস কম্যিঊন (State)। ডেনিস-দের গ্রীষ্মকালিন হাওয়া বদলের জায়গা, অতীব মনোরম।

    কোপেনহাগেন থেকে বর্নহোমে ছুটি কাটানোর অভিজ্ঞতা হয়েছিল ২০০৪ সালের গ্রীষ্মে।

    এমনিতেই ইউরোপের যেকোনো শহরে গ্রীষ্মকালটা খুবই উপভোগ্য। কোপেনহাগেনে তো কথাই নেই। চারিদিকে
    হ্যাম্বার্গার-ক্যান্ডি-হটডগ-বীয়ার-অ্যাকর্ডিয়ান কাঁধে গাইয়ে-ডিগবাজি খেয়ে কসরত দেখানো ইউনিভার্সিটি-র ছাত্র। রোদের তাপ ২০-২২ ডিগ্রির বেশী হয় না। কোপেনহাগেন স্টেডিয়ামে ফুটবল --- কোবেনহাভেন (কোপেনহাগেন-এর ডেনিস উচ্চারণ) এফসি আর ব্রুনবি (আমাদের ইষ্টবেঙ্গল / মোহনবাগানের মতো)। এইসময় ইস্কুল-কলেজ দুই মাস বন্ধ ........ যাদের রেস্ত আছে তারা পরিবার নিয়ে স্পেন-গ্রীস আর পকেট হাল্কা হলে বর্নহোম।

    বর্নহোমের রাস্তাটা দুইখেপে ...... কোপেনহাগেন থেকে বাসে (ডেনিস-এ বাস-কে বলে বুস, ডেনিস কথায় প্রচুর প্রবলেম, Y-উ আর R-অ, একটা শব্দে আধা লেটার উচ্চারণ হয় না। Fiskerovet বলে একটা মস্তো বড়ো সপিং মল আছে, সেখানে যাব বলে ট্যাক্সি ড্রইভারকে কোনোদিন বোঝাতে পারিনি, অনেক পরে জেনেছিলাম ওটার উচ্চারণ হবে 'ফিস্কোবে'), সুইডেনের এস্টেড (Ysted) , আর সেখান থেকে হোভারক্র্যাফ্‌ট।
  • Binary | 198.169.6.69 | ২২ জুন ২০০৭ ০৩:৫৯388979
  • কিছু অপ্রাসঙ্গিক কথা .....
    ডেনমার্কের দুইজন ন্যাশনাল হিরো আছে ...... পদার্থবিদ নীল্‌স বোর আর রুপকথার হ্যানস ক্রুশ্চিয়ান অ্যান্ডার্সন। সেই ছোটো বেলায় পড়া 'আগলি ডাকলিন' আর 'লিটিল মারমেড' ...... এখানে সব যায়গায় ছড়িয়ে আছে। ২০০৫ হ্যানস ক্রুশ্চিআন অ্যান্ডরসন -এর ২০০ তম জন্মশত বার্ষিকি ছিলো ...... ২০০৪ এর থেকে-ই তার প্রস্তুতি সুরু হয়ে গেছিলো। কোপেনহাগেন-এর সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক দ্রষ্টব্য হল 'লিটিল মার্মেড' স্ট্যাচু .... এটা কিন্ত বড়ই ফাঁকি .......'কনগেন্স নিউটর্ভ' (শহরের কেন্দ্র) থেকে অনেক অনেক হেঁটে, সমুদ্রের ধারে গিয়ে একটা দশ-বারো ফুটিয়া ছোট্ট মুর্তি আছে।

    যাক গে .....
    বর্নহোম। আমদের সঙ্গে ছিলো আরেক বঙ্গভাষী পরিবার, সুসান্ত (ও রিসো ইউনিভারসিটি-তে রিসার্চ স্কলার
    ছিলো)।

    বর্নহোম-এ সস্তায় সবচেয়ে ভালো থাকার জায়গা সামার হাউস, বর্নহোম-এর প্রধান জেটি হল রণে (Ronne)। রণে-এর কাছাকাছি অনেক মোটেল - ইন - হোটেল আছে। সাধারনত, সবাই এক বা দুই সপ্তাহ ছুটি নিয়ে যায়, কিন্তু আমদের হাতে মাত্র তিনদিন ।

  • shyamal | 24.119.209.168 | ২২ জুন ২০০৭ ০৪:৪০389090
  • binary
    আপনি ওখানে গিয়ে ডেনিশ খেয়েছেন ? ওটা নিশ্চয় ওখানেরই খাবার।
  • bozo | 69.138.12.24 | ২২ জুন ২০০৭ ০৪:৫১389201
  • রিসো তে আমার কাজ করার বহুত ইচ্ছা আছে।
  • Binary | 70.64.50.83 | ২২ জুন ২০০৭ ০৫:১০389252
  • শ্যামল,
    আপানার প্রশ্নের কোনো অন্য গুঢ় অর্থ আছে কিনা জানিনা, তবে সাধারণ কথায় বলতে হয়, ডেনমার্কের জাতীয় ফসল আলু আর জাতীয় মাংস শুওর।তো ওখানে সব খাবারে আলু আর আলু ..... ম্যাস্‌ড পোট্যাটো .... বয়েল্ড পোট্যাটো ...... আর অফুরন্ত স্যালাড। ডেনমার্ক , প্‌থিবীতে সবচেয়ে বেশী শুওর চাষ করে। পর্কস্টেক একটা ডেলিকেসি। পর্কস্টেক-এর সঙ্গে একটা স্যস থাকে, সেটা পর্কফ্যাট আর চীজ দিয়ে তৈরী ..... আমার খুবই ভালো লাগতো। আরো আছে, সলমন মাছের ডিমের কেক ..... অতি সুস্বাদু। ডেনিশরা বহু রকম পাঁউরুটি বেক করে, একরকম কালো পাঁউরুটি আছে, নাম 'ঊবো'। যব, গমের আটা দিয়ে বেক করা ..... অতি উৎকট গন্ধ।

    ডেনিশ-রা অতিমাত্রায় বীয়ার পান করে। 'টুবর্গ' আর 'ক্যালসবার্গ' দুটো খুব বড় ব্রুয়ারী (পশ্চিমী দেশে এদুটো খুব চলে ... )
  • RATssss | 12.28.138.146 | ২২ জুন ২০০৭ ০৫:১৬389263
  • উই আর রেড, উই আর হোয়াইট
    উই আর ডেনিস ডিনামাইট

    -- এইডা তো বেড়াইনের গপ্পো হইতাসে না... হুদ্দা বেড়াইনের গপ্পো কও... জানো না, মামু হুদ্দা এই হুতাখান পইড়্যা ব্যাড়াইনের মজা পায় :-)
  • dri | 129.46.154.111 | ২২ জুন ২০০৭ ০৫:১৯389274
  • তা কেন। সব চলবে। বেড়ানো থেকে চন্ডীপাঠ পজ্জন্ত।
  • Binary | 70.64.50.83 | ২২ জুন ২০০৭ ০৫:২৩389285
  • বোজো
    পলিমার সায়েন্সে রিসো আল্টিমেট বলেই জানি। আমার সেই বন্ধু রাজাবাজারের ক্যেমিকাল ইঞ্জিয়ারিং এমটেক ...... রিসোতে রিসার্চ করছিলো
  • Binary | 70.64.50.83 | ২২ জুন ২০০৭ ০৬:২৯389296
  • জুলাই মাসের এক শনিবার সকাল ছটায় কোপেনহগেন থেকে এস্টেড যাওয়ার বাস ছাড়ল। গ্রীষ্মকালে কোপেনহাগেনের সকাল ছটা মানে সুর্য প্রায় মধ্যগগনে...... সুর্য ওঠে পৌনে চারটে। নরওয়ের বোডো (Bodo) তে মিডনাইট সান দেখতে যাওয়া যায় খুব সহজেই।

    কোপেনহাগেন থেকে প্রথমেই সুইডেনের মালমো। যেকোনো ডেনিশে্‌ক জিজ্ঞাসা করলে মালমো ব্রিজ সম্বন্ধে অফুরন্তো বলে যাবে ..... আশ্চর্য্য কারিগরি-র কথা। ওরসুন্ড ব্রিজ ...কোপেনহাগেন থেকে মালমো ..... ১৭ কিলোমিটার ... আধাপথ জলের তলায় সুরঙ্গে ..... মাঝে একটা ক্‌ত্রিম আইল্যান্ড ..... বাকিটা ব্রিজ ওপর দিয়ে (দেখতে অনেকটা আমাদের হুগলী ব্রিজের মতো)।

    মালমো ছাড়ালে মাইলের পর মাইল হাইওয়ে .....
  • shyamal | 24.117.80.201 | ২২ জুন ২০০৭ ০৬:৩৩388869
  • আমার কোন গুঢ় প্রশ্ন নয়। আমেরিকাতে একটা স্ন্যাক পাওয়া যায় অনেকটা ডোনাটের মত। লোকে সকালে খায়।সেটাকে বলে ডেনিশ। তাই ভাবলাম ওটা হয়তো ডেনমার্কের আমদানী।
  • Binary | 70.64.50.83 | ২২ জুন ২০০৭ ০৬:৪৫388880
  • শ্যামল,

    হ্যাঁ, আপনি ঠিকই বলেছেন। ডেনিশ প্যাস্ট্রি বিশ্ববিখ্যাত। খুবই স্বাদু, আপনি যেটা বললেন, সেটা ডেনিশ প্যাস্ট্রি।
  • Binary | 198.169.6.69 | ২২ জুন ২০০৭ ০৮:১২388891
  • হাইওয়ে-র কাথায় বলি ...... ডেনমার্ক/সুইডেন/জার্মানির মতো হাইওয়ে আমি প্‌থিবীর কোথও দেখিনি। মাইলের পর মাইল কংক্রিটের রাস্তা .... জার্মানিতে হাইওয়েকে বলে অটোবান। কোনো স্পিড লিমিট নেই। ১৪০ এ চালালেও মনে হয় গরুর গাড়ি চালাচ্ছি। সুইডেন/ডেনমার্কে আবার হাইওয়ে বিলকুল ফাঁকা, সারাদিনে কটা গাড়ি যায়, হাতগুনে হিসাব রাখা যায়। ডেনমার্কে একটা মজার কথা চালু আছে ...... "স্ট্রে গোরু কোথায় সবচেয়ে নিশ্চিন্তে জাবর কাটে --- হাইওয়েতে'।
  • Binary | 198.169.6.69 | ২২ জুন ২০০৭ ০৯:১৫388902
  • আবার কিছু অপ্রাসঙ্গিক কথা .......

    ডেনিশদের বীয়ার পানের কথা, আগেই লিখেছি। ডেনিশদের সধারণ লোকের মদ্যপানের মাত্রা আন্তর্জাতিক গড়ের থেকে অনেক বেশী। এমনিতেই ওরা লম্বা চওড়া হুমদো মতো হয় তাই মদ্যপান-ও মাত্রাছাড়া।

    আমরা যেমন ড্রিংসের আগে 'চিয়ার্স' বলি সেরকম ডেনিশরা বলে 'স্কল'। এর একটা ব্যাকগ্রাউন্ড আছে। ভাইকিং দের সময় ডেনিশ রাজ্য প্রায় পুরো সুইডেন-নরওয়ে-ডেনমার্ক জুড়ে ছিলো। সেইসময় ভাইকিং দস্যুরা কোনো জাহাজ দখল করলে --- প্রতিটা লোককে কচুকাটা করত ---- একজন লোক-ও বাদ যেতো না। তা সেইসব লাসের মুন্ডু গুলো সুকিয়ে খুলি দিয়ে ভাইকিংরা পানপাত্র বানাত। আর সেই পাত্রে পান করার আগে --- 'স্কল' --- মানে --- 'Skull'। সেই প্রবচন এখনো চলে আসছে।
  • dear | 203.145.188.130 | ২২ জুন ২০০৭ ১৫:৫৪388913
  • উরিব্বাবা!
    ""স্কল'' এর গল্পটা শুনেছি। দারুণ, চলুক।
    এই সুতোটা স্কল এ করে চেটেপুটে পান কচ্চি।
  • Binary | 198.169.6.69 | ২২ জুন ২০০৭ ২১:১৩388924
  • আরো কিছু অপ্রাসঙ্গিক কথা বর্নহোম যাওয়ার আগে .....

    ডেনিশদের সঙ্গে মিশে দেখেছি, ওরা খুব সোজা-সাপটা লোক। সাদা-কালো ভালো-খারাপ -এর মধ্যে স্থূল বিভাজন করে আর সেটা সোজাসুজি বলতে কোনো পরোয়া করে না।

    আমদের মতো -- 'দিন দুপুরে পুলিশ ঘূষ খায়' -- ওদেশে গত জন্মের সপ্নেও ভাবা যায় না। ওদের সরকারি কর্মচারিকে ঘুষ দিতে গেলে সরসরি শ্রীঘর যাওয়ার চান্স আছে। অবশ্য শ্রীঘর, ওখানকার বেশ আরামের জায়গা। দুবেলা দুমুঠো ভাল-মন্দ খাবার জোটে, সিনেমা-থ্যাটার দেখা যায় ... আবার মজার ব্যাপার হলো, অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ না করলে, সপ্তাহ অন্তে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করার জন্য শ্রীঘর থেকে ছুটি পাওয়া যায়।
  • Binary | 198.169.6.69 | ২৩ জুন ২০০৭ ০১:৪১388935
  • পারিবারিক সম্পর্কটা ডেনিশদের মধ্যে ভীষন গোলমেলে। কে যে কার বউ --- কে কার বয়ফ্রেন্ড -- বুঝে ওঠা মুশকিল। ডেনিশদের কোনো পারিবারিক পার্টিতে গেলে মুশকিল। "এ আমার এক্স-বয়ফ্রেন্ড --- ইনি এক্স গার্লফ্রেন্ডের এক্স বয়ফ্রেন্ড -- এ হাজব্যান্ডের এক্স গার্লফ্রেন্ডের বয়ফ্রেন্ড -------' এরকম হামেসাই শুনতে পাওয়া যাবে। এটা নিয়েও ওদের কোনো পরোয়া নেই। ওদের ফিলোজফিতে --- কোনো যুগলের (বিবাহিত/অবিবাহিত) ঝগড়া, একটা ক্যান্সারের মতো --- যখনই সুরু হবে তখনই সেই সম্পর্কটা অপরেশন করে বাদ দেওয়াই ভাল। আমদের মতো আপোষ করে চলতে ওরা নারাজ। একসঙ্গে থাকার চল যতই কমছে, ততই বাড়ছে বাড়ীর চাহিদা --- প্রতিটা প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে বা মেয়ের নিজস্ব থাকার যায়গা চাই।

    ওখানে অনেক অনেক সম্পুর্ন একা জীবনযাপন করা অতি ব্‌দ্ধ মানুষ আছে। তারা অবশ্য প্রচুর সরকারি সুযোগসুবিধা পায় -- নিখরচায় প্রতি সপ্তাহে বাড়ীথেকে অ্যাম্বুলেন্স রুটিন চেকাপ পর্যন্ত।কিন্ত তবুও এইসব বুড়োবুড়ীদের দেখলে কষ্ট হতো।

    ডেনিশ থিয়েটার খুব-ই জনপ্রিয়। আমরা কোপেনহাগেন থিয়েটার সার্কেলে, হেনরিক ইবসেনের 'ডল হাউস'এর ডেনিশ ভার্সান দেখেছিলাম। ভাষা ভাল না বুঝলেও অভিনয় অতি উচ্চমানের লেগেছিল।
  • dri | 129.46.154.111 | ২৩ জুন ২০০৭ ০২:৪৪388946
  • ভাল্লাগছে, ভাল্লাগছে।
  • Binary | 198.169.6.69 | ২৩ জুন ২০০৭ ০৪:২৩388957
  • উলঙ্গ রাজার গল্পটা বোধহয় অনেকেই জানেন। এটা কিন্ত একটা ডেনিশ উপকথা। গল্পটা একটু ঝালিয়ে নিলে মন্দ হয়না।

    একদেশে এক রাজা ছিলো, তিনি খুব আলসে, বুদ্ধু আর অপদার্থ। তো তেনার খুব পোষাকের শখ ---- নানারকম দেশবিদেশের রংবেরঙের পোষাক। নতুন নতুন পোষাক পরে কার্নিভালে বেরোনো তাঁর প্যাশন।

    তো, দুই ধূর্ত ঠকবাজ একদিন এলো রাজার কাছে। তাদের দাবি তারা এমন পোষাক বানাতে পারে যে রাজা কোনোদিন সপ্নেও ভাবেননি। সে এক জমকালো আর কেতাদার পোষাক, রাজা দেখলে অতীব উৎফুল্ল হবেন। তবে সে বানাতে বহু খরচ আর সময়, ....... রাজা যদি রাজি থাকেন তবে ........। রাজাতো একেই বুদ্ধু, তার উপরে অপদার্থ, তো প্রজাদের অন্নর ব্যবস্থা না থাকলেও, তিনি সেই পোষাক বানাতে নেচে উঠলেন।

    রাজকোষ থেকে সহস্র স্বর্ণমুদ্রা, আর অতি উত্তম মসলিন দুই ঠগবাজের জন্য বরাদ্দ করলেন, সেইসঙ্গে তাদের রাজকীয় থাকার বন্দবস্ত।

    সেই ঠ্‌গবাজদের কিন্তু এক আশ্চর্য সর্ত ছিল, সেটা বলে নিই। তাহল, একমাত্র চালাক লোকেরা এই পোষাক, চাক্ষুষ করতে পারবে, যারা বোকা-বুদ্ধু তারা এই পোষাক দেখতেই পাবেনা ....................

    দিনযায় ...... দুই ঠগবাজ তোফা আছে .... খায়দায় আরাম করে .... মাঝে মাঝে আরো টাকা চায় ...... একদিন রাজা ভাবলো, দেখিতো কতদুর পোষাক হলো ? তো তিনি মন্ত্রিকে পাঠালেন। মন্ত্রি গিয়ে দেখেন .....তাঁত যন্ত্রের উপর কিছুই নাই, কিন্তুক দুই ঠগবাজ শুন্যেই পোষাক সেলাই করছে, আর মাঝে মাঝে বলছে "আহা কি সুন্দর ....'। মন্ত্রী ভাবলো (বেজায় মনের দুক্কে), যে আমি একটা গর্ধব-বুদ্ধুন নইলে কেনো পোষাকটা দেখছি না .....
    মন্ত্রি আর কি করে ..... বলতে তো পারেনা নিজে বুদ্ধু, রাজাকে গিয়ে বললেন ..... "অতি উত্তম পোষাক রাজামশাই , এমন পোষাক জম্মে দেকিনি .....'

    তো এইভাবে .... কোটাল,সেনাপতি সবাই পোষাক দেখে এসে ধন্যধন্য করলো, কেই বা নিজেকে বুদ্ধু বলতে চায় !!!!

    তো রাজা ঠিক করলেন এই পোষাক পরে শোভাযাত্রা করবেন। তার নির্দেশ মতো দুই ঠগবাজ, অতি যত্ন করে, অতি সময় নিয়ে রাজাকে সেই পোষাক পড়ালো। পোষাক পড়ায় আর বলে "আহা রাজামশাই .... আপনাকে কি চমৎকার মানিয়েছে .....'

    তো রাজা বেরোলেন শোভাযাত্রায় ..... উলঙ্গ রাজা .... দেশের লোক ধন্যধন্য করলো চারিদিকে .... কেউকি আর বুদ্ধু প্রমান হতে চায় ?

    একটা ছোট্ট ছেলে কেবল চিল্লিয়ে বলেছিলো ... 'এমা রাজাতো ন্যাংটো ......', তবে বাচ্চাদের কথা আর কেই বা শোনে .......
  • Binary | 70.64.50.83 | ২৩ জুন ২০০৭ ০৯:০০388968
  • ডেনিশদের মধ্যে দেবদ্বিজে ভক্তিছেদ্দা খুবই কম। এমনিতেই ডেনিশদের অধিকাংশ প্রোটেস্টান ক্রিশ্চান ...... কোপেনহাগেনের ইতিউতি অবশ্য অনেক চার্চ আছে, সেগুলো বেশিরভাগই বে-থা বা কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে ব্যবহার হয়। ওরা বলে আমরা জীবনে দুইবার প্রেয়ারে যাই। ১) বিয়েতে (যেটা ওদের কমই হয়) ২) কফিনে চড়ে কবরে যাওয়ার সময়।

    যাক গে ....... বর্নহোম

    সকাল ৭টায় বাস ছেড়ে এস্টেড পৌঁছালাম ৯:১৫ সকাল। এখানথেকে বর্নহোম দেড়ঘন্টা ..... হোভারক্র্যাফটে।হোভারক্র্যাফে্‌টর কথা পরে বলছি। এস্টেডে সসেজ আর ফুটলং দিয়ে প্রাত:রাশ সারা হল। সসেজ খাওয়া নিয়ে অবশ্য আমার একটা বঙ্গদেশীয় রেইপি আছে।
  • Binary | 70.64.50.83 | ২৩ জুন ২০০৭ ০৯:০২388980
  • * রেসিপি
  • Tim | 71.67.115.14 | ২৮ জুন ২০০৭ ১০:০২388991
  • তারপর?? থেমে গেল কেন?
  • Binary | 198.169.6.69 | ২৮ জুন ২০০৭ ২০:৪৮389002
  • ডেনমার্কে থাকাকালীন, পানযোগের সঙ্গে অনুপান যা পাওয়াযেত তা আর কহতব্য নয়। বেশীরভাগ বিভীন্ন স্বাদের পট্যাটো চিপস ......... অতি অখাদ্য। তাই আমদের দেশোয়ালী কাবাবের স্বাদ পাওয়ার জন্য সসেজের একটা স্পেশাল প্রিপারেশন বানাতাম। সসেজ সিদ্ধ করে, পিস পিস করে কেটে (খুব মোটাও না আবার খুব সরুও না), নুন-তেল-লঙ্কা-হলুদ-পেঁয়াজ দিয়ে লাল-লাল করে ভেজে-লেবু দিয়ে পরিবেশন। পানযোগের সঙ্গে অতীব উপাদেয়।

    দেবদ্বিজে ভক্তি না থাকলেও, ডেনিশদের মধ্যে পরব-উৎসবের কমতি নেই। ইস্টারে আধা সপ্তাহ আর ক্রিশমাসে পুরো সপ্তাহ ঝাঁপি বন্ধ, ঝাঁপি বন্ধ মানে পুউউউরো বন্ধ, ইস্টার বা ক্রিশমাসে দুদিন --- দোকান-মল-পার্ক-ব্যাংক ---- এমনকি বাস-ট্যাস্কি ও বন্ধ থাকে।

    ইস্টার বা ক্রিশমাসে ছাড়াও আরো কিছু পরব আছে , যেমন 'ফাস্টালেভন'। এটা অনেকটা আমাদের দেশের (মানে বঙ্গদেশের নয়, উত্তর পশ্চিম ভারতের) গোকুল অস্টমী বা দহিহুন্ডী-র মতো। একটা কাঠের পিপেতে অনেক ক্যান্ডি পুরে দরি দিয়ে ঝুলিয়ে দেবে, আর উপস্থিত সব বাচ্চারা একটা কাঠের ডান্ডা দিয়ে পিপেটাকে পেটাবে (সবাই একসাথে নয়, ওয়ান-বাই-ওয়ান), যে পিপেটাকে ফাটাতে পারবে সে কিংব বা কুইন। প্রতিটা স্কুলেই 'ফাস্টালেভন'-এ একই রেওয়াজ। আরো আছে, তারপর বাচ্চারা কিম্ভুত সেজে, প্রতিবেশীদের দোরে দোরে গিয়ে গান করবে আর ক্যান্ডি চাইবে। আমার চার বছরের (সেই সময়) কন্যা অতি উত্তেজিত হয়ে হাত-পা নেড়ে এসবের গল্প শোনাত --- আর আমি ভাবতাম -- হায় --- কোথায় গড়িয়াহাট মোড়ে দুর্গাপূজোর অষ্টমীর রাত !!!!!
  • Binary | 198.169.6.69 | ২৮ জুন ২০০৭ ২১:২১389013
  • ডেনিশদের ইংরেজী জ্ঞান নিয়ে আমার কিছু মজার অভিজ্ঞতা আছে। এমনিতে সারা ডেনমার্কের লোকসংখা ৮০ লক্ষ মতো হবে। বোঝাই যাচ্ছে, ৮০ লক্ষ ডেনিশ ভাষাভাষি লোক পুরো ইউরোপের তুলনায় অকিঞ্চিৎকর। তাই ওদের প্রায় বাধ্য হয়ে, দ্বীভাষিক (বাইলিংগুয়াল) হতে হয়। দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে ওরা শেখে, ইংরাজি/জার্মান/ফ্রেঞ্চ। অপেক্ষাক্‌ত তরুনরা সবাই ইংরেজী-ই শেখে --- রাস্তাঘাটে -- দোকান বাজারে প্রায় সবাই কমবেশী, খারাপভাল ইংরেজী বলতে পারে।

    তবে সমস্যা হতো অফিসে-কাজে-কর্মে অপেক্ষাক্‌ত বয়স্ক সহকর্মীদের সঙ্গে। ধরাযাক কোনো মিটিংএ আমি উপস্থিত -- তো -- সৌজন্যতা এবং কাজের খাতিরে সেই মিটিং -- সুধুই আমাকে অবগত করার জন্য -- ইংরাজীতে চলছে। সেখানে যারা কিছু বয়স্ক আছেন তাদের জল-টল খেয়ে/বারবার সিগারেট খেয়ে করুণ অবস্থা। এঁদের মধ্যে কেউ, আমার কোনো কাজের অনুরোধের উত্তরে Mail লিখেছিলেন --- "I will urgently do it, Yesterday" --- বোঝো কান্ড !!!!!
  • Binary | 198.169.6.69 | ২৮ জুন ২০০৭ ২৩:২০389024
  • ডেনমার্কে থাকার সময় দিত্বীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে একটু অতিমত্রায় উৎসাহিত হয়ে পড়েছিলাম। কলকাতা থেকে আনিয়ে -- পড়ছিলাম -- বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায়ের --- বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস। এই সময় আমর এক ডেনিশ বন্ধু দিলো এলবার্ট স্পীরের অটোবায়গ্রফি। সুধুমাত্র কারিগরি দক্ষতার --- নাজি জার্মান এক্সেলেন্সি-র ঐতিহাসিক দলিল। ভালই লগেছিলো।

    আরো কিনেছিলাম ন্যাশনাল জিওগ্রাফি-র ১২ খন্ডের ডিভিডি। এটা অবশ্য ডি-ডে আর মন্টেগমরীর বীরগথা --- পুর্বইউরোপের কথা ছিটেফোঁটা .........
  • Binary | 198.169.6.69 | ২৯ জুন ২০০৭ ০১:৩২389035
  • বর্নহোম -----

    এস্টেড থেকে বর্নহোম প্রক্‌তপক্ষে ক্যাটামেরন সার্ভিস। যেরকম কলকত - হলদিয়া , বা একসময় বোম্বে - গোয়া ছিল আরকি।

    তো, বর্নহোম ক্যাটামেরন বিলাশের পরাকাষ্ঠা। চারটে ডেক, বিভিন্ন ডেকে , ট্র্যাভেলার সপ, লিকার সপ, বার, রেস্টুরেন্ট, গ্রীল, স্ন্যাক বার, চিলড্রেন্স ল্যান্ড (পিলো ল্যান্ড/টয় ল্যান্ড) আর নেট কাফে -- গেমস কাফে তো আছেই। নিচের ডেকটা অবশ্য শুধু গাড়ি রাখার জন্য। এস্টেড থেকে বর্নহোম -- সময় লাগে ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট, এর মধ্যে যা যা মজা লোটার আছে লুটে নাও।

    ক্যাটামেরন ফেরি অতীব গতিবান। অত্যন্ত সুদ্‌ঢ় শব্দনিরোধক দেওয়াল ভেদ করেও গুমগুম শব্দে কানে তালা ধরে যায়। সেই সঙ্গে প্রবল দুলুনি।

    আমি আর সুসান্ত (গ্‌হিনী মহল আলাপচারীতায় আর বাচ্চারা খেলাধুলায় ব্যস্ত), অতি উৎসাহে পিছনেরদিকে খোলা ডেকে যাবার চেষ্টা দিলাম। যেই না দরজা খুলেছি --- সোঁও-ও-ও ফট -- তারপর ভ্যানিশ --- আমার চশমা হাওয়ার তোড়ে অতল সাগরে। সুসান্ত-র টাও উড়ছিলো, তবে এক সহযাত্রি হারকিউলিয়ান কায়দায়, সেটাকে বাঁচালেন ......
  • shyamal | 24.117.80.201 | ২৯ জুন ২০০৭ ০৩:৪৫389046
  • আমেরিকায় ঐ ফাস্টালেভনকে বলে পিনিয়াটা। একটা দড়ি দিয়ে পুরু কাগজ দিয়ে বানানো ঘোড়া ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। তার পেটের মধ্যে থাকে ক্যান্ডি। লাঠি জাতীয় কিছু দিয়ে বাচ্চারা এক এক করে মারে। যখন ওটা ফেটে যায় তখন হরির লুটের মত বাচ্চারা কুড়ায়। সাধারনত: জন্মদিনের পার্টিতে এসব হয়। এখন নিউ মার্কেটেও পাওয়া যায়।

    আর কিম্ভুত সেজে ক্যান্ডি চায় ৩১ অক্টোবর হ্যালুয়িন উৎসবে। বাচ্চাদের কাছে বিরাট দিন। একমাস আগে থেকে প্ল্যান শুরু হয় কে কোন ড্রেস পরবে।
  • Binary | 70.64.50.83 | ২৯ জুন ২০০৭ ১২:১৫389057
  • একটু গুরুগম্ভীর কথা .......

    সাধারন ডেনিশদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, ওরা ওতি মাত্রায় ডান পন্থী। ৬০-৭০ সতাংশ লোক কম্যুনিস্টদের স্রেফ ঘেন্না করে। ওদের চোখে আবার বেশীলাল আর কম লাল কোনো তফাৎ নেই -- আগেই বলেছি.... কোনো কিছুর সুক্ষ বিভাজন ওদের ধাতে নেই। আমার অনেক ডেনিশ পরিচিতর এই রকম একটা সম্যক বিশ্বাস (এটা আমার একেবারে সঠিক উপলব্ধি)..... হিটলার আর স্টালিনে কোনো-ই পার্থক্য নেই .... একজন হেরোপার্টি -- তাই তাদের ন্যাক্কারজনক কাজ সর্বজনবিদিত --- আরেকজন জেতা পার্টি -- তাই তাদের জঘন্য কাজগুলো লোকচক্ষুর আড়ালে।

    ইতিহাসের দিকথেকেও ডেনমার্ক সবসময় এইরকম-ই বটে। ১৯৪০ ওরা প্রথমে নিরপেক্ষ ছিল, পরে অতি সধারন ভাবে জার্মানির বশ্যতা স্বীকার করে। ইরাক যুদ্ধে এখেনো, আমেরিকার সক্রিয় তাঁবেদার (যদিও ৩০০ র বেশী সৈন্য পাঠাবার ক্ষেমতা ওদের নেই)।

    এহেন আমেরিকা তোষনকারি পুঁজিবাদি দেশে যেটা সবথেকে আশ্চর্য, সেটা ওদের সোসাল সিকইউরিটি সিস্টেম। শিক্ষা, সাস্থ্য অতীব উচ্চমানের, সবটাই সরকারী দায়। মেয়েদের ৬ মাস সবেতন মাত্‌ত্বের ছুটি, আরো ছয় মাস আধা বেতনে। শ্রমজীবি মানুষদের রোজগার, সাস্থ্য, শিক্ষার প্রচুর প্রোটেকশন। কেরানীদের যখন তখন চাগরী যাওয়ার ভয় আছে বটে তবে প্রচুর সরকারী বেসরকারী বীমায় অথৈ জলে পরবার ভয় নেই ......
  • Binary | 70.64.50.83 | ২৯ জুন ২০০৭ ১২:১৮389068
  • বর্নহোম ......
  • Binary | 198.169.6.69 | ২৯ জুন ২০০৭ ২২:৫১389079
  • ডেনমার্কে আমাদের বঙ্গভাষী মহলে অতি জনপ্রিয় ছিলেন ফারুক। আদতে বাংলাদেশের, এই অমায়িক মিস্টভাষী ভদ্রলোকের কোপেনহাগেনে মাছের দোকান ছিলো। সারা প্‌থিবীর প্রবাসী বাঙ্গালীদের মতো আমরাও ফারুকসাহেবের দোকান থেকে বরফ জমানো রুই-কাতল-ইলিশ-পাবতা-মৌরলা-কাচকি-ভেটকি-র খরিদ্দার ছিলাম।

    বুশ বাহিনী ইরাক আক্রমন করলে, সবচেয়ে বেকায়দায় পড়েছিল ফারুক সাহেবের ৬ বছরের পুত্র। ফারুকসাহেব প্রতিবাদের আর কোনো উপায় খুঁজে না পেয়ে ছেলেকে কান ধরে দুই থাপ্পর মেরে, ফের 'ম্যাকডোনাল্ডের' হ্যাপিমিলের বায়না করলে কান ছিড়েঁ নেবেন বলে হুমকি দিয়েছিলেন।
  • siki | 202.140.54.29 | ১৮ আগস্ট ২০০৮ ১৬:৫৩389091
  • ভাগ্যে সর্ষে দিয়ে সার্চ মারলাম। ল্যাদ কাটিয়ে নিজে থেকে লিখতে পারছিলাম না।

    লোকে ডেনমার্ক বললেই কোপেনহেগেনের কথা বলে। ন্যাচারালি, সেটাই ডেনমার্কের রাজধানী, সবচেয়ে বড় শহর। তো, আমি কোপেনহেগেনের ধারেকাছেও যাই নি, ছিলাম একটা ছোট্ট জায়গায়, তার নাম সিল্কেবর্গ। Silkeborg

    ডেনমার্কের ম্যাপের দিকে যদি তাকাও, দেখবে মোটামুটি তিনটে ছোটোবড়ো টুকরো পাশাপাশি নিয়ে ডেনমার্ক। একদম ডানদিকে একটা মাঝারি মাপের দ্বীপ, মাঝে একটা ছোট্ট অংশ আর বাঁদিকে একটা বড় চাঙ্ক। বাঁ দিকের এই বড় চাঙ্কটিকে বলে জটল্যান্ড। আমি গেছিলাম জটল্যান্ডে। জটল্যান্ডের একদম ডানদিক ঘেঁষে সমুদ্রের ধারে একটা শহর, তার নাম অরহুস। ডেনিশ বানানে লেখে århus। এটা হল ডেনমার্কের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। আমি ছিলাম এই অরহুসের থেকে মাত্র চল্লিশ কিলোমিটার দূরত্বে একটা ছোট্ট টাউনে, যার নাম আগেই বললাম, সিল্কেবর্গ।

    (চইলবেক)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন