এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • পায়ের তলায় সর্ষে - ৭

    Binary
    বইপত্তর | ২২ জুন ২০০৭ | ২০৯২৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Blank | 65.218.154.195 | ২০ আগস্ট ২০০৮ ১১:৪৮389266
  • সিকি কেমন ডেনমার্কে গিয়ে উচ্ছন্নে গেলো :-D.
  • siki | 202.140.54.29 | ২০ আগস্ট ২০০৮ ১১:৪৮389265
  • আমরা সাধারণত যারা আইটির জনতা, একাধিক বিদেশী দেশের সাথে গা ঘষাঘষি করার অভিজ্ঞতা আছে অল্পবিস্তর, আমরা প্রধানত আমেরিকান কালচার দ্বারা চালিত হই। কর্মক্ষেত্রে পারিবারিক কথাবার্তা আনিই না পারতপক্ষে। সেটা এনকারেজ করা হয় না একেবারেই।

    ডেনিশরা একেবারে উল্টো। ওয়ার্কিং লাইফ আর ফ্যামিলি লাইফকে এরা সমান গুরুত্ব দেয়। কেউ নতুন এলে তার ই®¾ট্রাডাকশনে সে জানিয়ে দেয় সে কীসে কীসে কাজ করেছে, বয়ফ্রেন্ড/গার্লফ্রেন্ডের সাথে থাকে কিংবা বর/বউয়ের সাথে থাকে, কটা বাচ্চা, তারা কতো বড়ো, কোন ক্লাসে পড়ে ... সব! যেচে ফ্যামিলি অ্যালবাম দেখতে চায় পিকাসা খুলে। নিজেদের অ্যালবামও দেখায় দেখতে-না-চাইতেই।
  • Blank | 65.218.154.195 | ২০ আগস্ট ২০০৮ ১১:৪৯389267
  • ডেনিশ ক্যাট খুকিরা কেমনি?
  • Arpan | 202.91.136.4 | ২০ আগস্ট ২০০৮ ১১:৫৮389268
  • এইরে, আমি যে আমেরিকানদের সাথে কাজ করেছি তারা অনেকেই যেচে নিজেদের ফ্যামিলি লাইফের কথা হাট করে খুলে দিত। একইরকম কৌতূহল থাকত আমাদের নিয়ে। মাঝে মাঝে বেশ অবাকই লাগত।

    বরং ব্রিটিশদের বেশ টাইট লিপ্‌ড লেগেছে। তবে সেটা আপিসে। পাবে মাল খেতে গেলে অন্যমূর্তি।
  • lcm | 71.132.138.180 | ২০ আগস্ট ২০০৮ ১২:০২389269
  • সব দেশেই এক। বাড়ির গল্প, বেড়ানোর গল্প, শ্বশুর বাড়ির গল্প - এসব তো এখানে মিটিংএও হয়।
  • siki | 202.140.54.29 | ২০ আগস্ট ২০০৮ ১২:০৯389270
  • আমি কখনও আমেরিকা যাই নি, এমনি আমেরিকানদের সাথে ভিডিও চ্যাট বা কনফ কলে কথা বলার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। যাক্‌ গে!

    ক্যাট খুকিরা উত্তাল। বিবেকানন্দের প্রায়-অনুসারী। কটিমাত্র বস্ত্রাবৃত হইয়া শপিং করে টরে। আপন আপন বয়ফ্রেন্ডদের যে কোনও জায়গায় জড়িয়ে ধরে উত্তাল চুমু খায় -- আরও কী সব করে টরে। দেখেও সুখ।
  • Binary | 198.169.6.69 | ২০ আগস্ট ২০০৮ ২১:৩৫389271
  • সিকি নিয়ানুবর্তিতা নিয়ে যা বলল, সেটা একদম ১০০% ঠিক। প্রথম প্রথম বেশ ধাঁধা লাগত। মানে কোনো মিটিং আছে ১১:০০ টায়, কেউ ঢুকলো (মানে আমদের ভারতীয়দের কেউ) ১১:০২ -এ, সিওর এরকম কোনো কমেন্ট আসবে -- "বউ কল করেছিলো ? সুপার মার্কেট থেকে কি আনতে হবে, আজ বিকেলে ?' আর সকলে-র সেই পিলে চমকানো হাসি। তবে সত্যি কথা, ওদের সঙ্গে যে ক্লোজ বন্ধুত্ব হয়েছে, সেটা আমেরিকা বা কানাডায়, গোরাদের মধ্যে পাইনি।

    সামারে খুল্লাম খুল্লা পোষক তো আছেই, সেটা মেয়েরা, এমনকি আপিসে-ও পরে আসে (সকলে অবশ্য নয়)। তবে যেটা লক্ষ্য করার মতো, ওদের অধিকাংশের স্বাস্থ্য সচেতনতা। আমেরিকান বা কানাডিয়ানদের মধ্যে প্রচুর স্থুলকায়, অতি স্থুলকায় মহিলা পুরুষ দেখা যায় আকছার। ওখানে খুব কম। ময়ে পুরুষ সক্কলের চোখে ধরার মতো ফিগার। আর অল্প পোষাকে সেটা ভালই লাগে, অন্য ইচ্ছা বাদ দিলেও।

    কোপেনহগেন থেকে ৩০ কিলোমিটারে একটা জায়গা আছে, তার নাম ক্ল্যাপমেনবার্গ। এখানে, কোপেনহগেন-এর সবচেয়ে জনপ্রিয় বীচ বেলেউ। আর আছে ছোটোদের অ্যামিজমেন্ট পার্ক বাক্কেন। প্রথমবার বেলেউ বীচে যাওয়ার অভিজ্ঞতা। তখন সামার। আমরা আর সুসান্তরা (সুসান্ত-র কথা আগে লিখেছি) সপরিবার, স্যান্ডুইচ, শশা, আপেল, কলা, কেক-বিস্কুট, মাদুর-হাওয়া বালিশ, জলের বোতোল, ফুটবল ইত্যাদি বাক্স প্যাঁটরায় ভরে, শনিবারের দুপুর বীচে কটাতে গেছি। তো, বীচে গে দেখি ভীড়ে ভীরক্কার। সব মেয়েরা বিকিনি পরা, সব ছেলেরা ক্ষুদ্রাতি-ক্ষুদ্র সুইমিং ভেস্ট। কিছুক্ষন পরে আমদের-ই অসোয়াস্তি হতে লাগলো, আমারই একমাত্র পুর্ন পোষকে। বেলেউ-এর একপ্রান্তে আবার ন্যুডবীচ, সেদিকে যাওয়ার সাহস হয়নি সেবার, পরিবারের কল্যানে। যাওগ্গা, এদিক ওদিক খুঁজেপেতে ভীড় কম যায়গায় মাদুর পেতে বসলাম। সবে বসেছি, ৬/৭ জনের একটা ডেনিশ গ্রুপ পাশে এসে , বীচ চেয়ার, টাওয়েল, বিছনো সুরু করল। সক্কলে হাস্য মুখে আমাদের বলল 'হেল্লো - গুড্ডে'। আমরাও প্রত্তুতরে দন্ত বিকসিত করলাম। এ পর্য্যন্ত ঠিক ঠাক। গ্রুপটা মনে হল মিশ্র বয়সের, একটি মেয়ে, বয়স ২৫/২৬ তার বয়ফ্রেন্ড (মনে হয়, একই বয়সী), ছেলেটার আর মেয়েটার দুজনের বাবা মা, এই ৫০-এর কোঠায় হবে, দু টো ৫/৬ বছরের বাচ্চা। এরপর যেটা হল, সেটা-ই বলার। সক্কলে, বাপ-বেটা, মেয়ে-ভাবি শ্বশুর শ্বাশুরি, বচ্চাদুটো, সক্কলে উদোম হয়ে গেলো। মানে চঞ্জিং টু সুইম সুইট। কিন্ত আড়ালের কোনো বালাই নেই। আমরা আর কি করি, বসে রইলাম, বসেই রইলাম। এরমাঝে ওদের মধ্যে এঅকজন বয়স্ক মহিলা, অমাদের, কফি অফার করলো, আমাদের বউরা লজ্জায় লাল হতে হতে, কফি নিতে নিতে বলল --- 'তুজেন তাক' ( মানে মেনি মেনি থ্যাংস)।
  • Binary | 198.169.6.69 | ২০ আগস্ট ২০০৮ ২২:৩৫389272
  • * ক্ল্যাম্পেনবর্গ
  • Hukomukho2 | 198.184.5.252 | ২১ আগস্ট ২০০৮ ০০:৩০389273
  • আর বউদের বরেরা ???? তারা কি বললো ? :))))))) ;)
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২১ আগস্ট ২০০৮ ০৯:৫৬389275
  • ডেনমার্ক শুধু নয়, ফিনল্যাণ্ডও অমনি। মনে হয় সব স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোই অমনি। চোদ্দ পনেরো বছর বয়স থেকে বীয়ার খেয়ে চুর হয়ে পড়ে থাকে। বিশেষ করে গরমকালে। ২১শে জুন চব্বিশ ঘন্টা দিনের আলো - সেদিন পুরো মোচ্ছব। সুয়োমিলেনা বলে একখান দ্বীপে গেছি ঘুরতে, ফেরার পথে ট্রামের জন্যে দাঁড়িয়ে আছে - ফুটপাথে অল্পবয়সী কয়েকটা মেয়ে - ওই বছর পনেরো বয়স। হাতে বীয়ারের ক্যান, আর হুঁশ নেই বল্লেই চলে। একজন পা ছড়িয়ে বসে আছে, পা ট্রাম লাইনের ওপর। ট্রাম এসে দাঁড়িয়েই আছে, ঘন্টি বাজাচ্ছে - মেয়েটার হুঁশ নেই। লোকজন এসে পা সরিয়ে দিলো, তাপ্পর ট্রাম গেলো।

    আরেকদিন এস্পুতে গেছি - নোকিয়ার ফিটনেস সেন্টারে (নোকিয়া সব এমপ্লয়ী এবং ভাড়াটে সৈন্যদের ফিটনেস সেন্টারের ফ্রী অ্যাকসেস দিত - আর সে কি জায়গা - ওই ফাইভ স্টার হোটেলই হবে - সুইমিং পুল, সাওনা, জিম - কি নেই) - ফেরার পথে স্টেশনে দেখি তিনটে মেয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামছে, মানে নামার চেষ্টা করছে আর কি:-)) একজন ধড়াস করে পড়লো - একদম গড়িয়ে নীচে। আমরা দৌড়ে গেলুম - ওদিকে তার বন্ধু দুটো এসে তাকে বকুনি - সে মেয়েটা উঠতেও পারছে না, আর তোলার চেষ্টাও নেই। হাবেভাবে বোঝা গেলো ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে, আর ও পড়ে গেসলো বলে ট্রেন মিস হয়েছে, তাই বকুনি।

    সাওনাতে জনতা বিনদাস জন্মদিনের পোশাকে বসে থাকতো। শাওয়ারে তো বটেই। নোকিয়ার একটা পিকনিক হয়েছিলো আমি চলে আসার কিছুদিন পর - যার ছিলো তাদের কাছে শোনা সেখানে ইউনিসেক্স সাওনা ছিলো, এবং সেখানে নোকিয়ার ম্যানেজার লেভেলের দুইজন মহিলাও ছিলেন বাকিদের সাথে, একই টাইপের পোশাকে।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২১ আগস্ট ২০০৮ ০৯:৫৯389276
  • অপ্পন ককনি অঞ্চলে থাকতো - ওখেনে সাদা চামড়ার ব্রিটরা টাইট লিপড। আমি যেখানে থাকতুম, বা আরো ওপরে স্কটল্যাণ্ডেও - এই রকম খোশ গল্প করতে দেখেছি লোককে।
  • siki | 203.122.26.2 | ২১ আগস্ট ২০০৮ ১৫:৫০389277
  • প্রথমে তো ব্যাঙ্কের লোকেরাই আমাদের অরহুস ঘুরতে নিয়ে গেল। সঙ্গে একটি শিশু ছিল, হায়দ্রাবাদী, সে ইংরেজি বলতে পারে না, হিন্দি বলতে পারে না, জাভায় ভালো ফান্ডা নেই, সে নাকি আইবিএমে চাকরি করত। তাকে পুরকি খাইয়ে রেখেছিলাম, অরহুসে না, ন্যুড বিচ আছে। এইবার ট্রেনে করে যাবার সময়ে সে শিশুই একবার ডেভিডকে খুঁচিয়েছে, বিচে নিয়ে যেও। ডেভিড আমাদের অনেক ভোলাল, অরহুসে টাউন হল আছে, বাজার ভেস্ট আছে, সিটি ভেস্ট আছে, ওখানে ভালো ভালো কলিং কার্ড কিনতে পাওয়া যায়, ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট আছে, ওখানে ভালো খাবার পাওয়া যায়, ইত্যাদি। পরে অরহুসের বাসে উঠে শিশু আরেকবার বায়না করতেই ট্রোল্‌স বেশ কাষ্ঠহাসি হেসে বলল, অ্যাকচুয়েলি, তোমাদের ওখানে যেতে হয় তো ভালো লাগবে না, ওটা ন্যুড বিচ। শিশুও কাষ্ঠহাসি হেসে সেখানেই ক্ষান্ত দিল।

    পরের শনিবার আমি শিশুকে নিয়ে গেছিলাম অরহুসের ডেল পারমানেন্টে বিচে। ছোট্ট বিচ, কিন্তু দৃশ্যাবলীতে পরিপূর্ণ।
  • Abhyu | 97.81.78.213 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৯ ০৯:৫৪389278
  • নভেম্বরে থ্যাংক্সগিভিং-এর ছুটিতে হেলসিঙ্কি গিয়েছিলাম। ফিনল্যাণ্ডের রাজধানী। ছোট্টো দেশ, অল্প কটি মানুষ। প্রায় কেউ ইংরেজি বোঝে না। ফিনিশ ভাষাটা যত কঠিন, ওখানের মানুষজন ততটাই ভালো।
    (চলবে)

  • Abhyu | 97.81.78.213 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৯ ০৯:৫৫389279
  • কিন্তু বড্ড ঠাণ্ডা। পয়লা ডিসেম্বর ফিরে এলাম। (শেষ)
  • arjo | 24.214.28.245 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৯ ১০:০০389280
  • কেয়া বাত, কেয়া বাত। অভ্যু আর একটা হোক।
  • Abhyu | 97.81.78.213 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৯ ১০:০৩389281
  • পুন: - দু চাট্টি ফটোও তুলেছিলাম। ক্যামেরা থেকে কম্পিউটার পর্যন্ত এসেছে। শীঘ্রই অর্কুটে তুলে দেব। সবাই দেখতে পাবেন ক্যামন মার্সিডিজ আর বি এম ডব্লু ট্যাক্সি চলে চাদ্দিকে।
  • I | 59.94.2.178 | ১৪ মার্চ ২০০৯ ১২:৪৪389282
  • এবার অরণ্যে
    --------------

    ব্যাপারটা আর কিছুই না, কাজিরঙ্গায় গেছিলাম। সেখানে গিয়ে যে লজে ছিলাম তার নাম "অরণ্য'; তাই নিয়েই এই থার্ড ক্লাশ রদ্দি পান। অসমীয়ারা খুব পান খায় কিনা !
  • a | 203.201.231.35 | ১৬ মার্চ ২০০৯ ১২:৪১389283
  • আরেকটু হোক? তুলে দিলুম
  • I | 59.93.220.177 | ১৭ মার্চ ২০০৯ ২২:৪৭389284
  • দাঁড়ান, এ তো সবে ইঁট পেতে রাখলাম। উইকএন্ড আসুক, তবে না লিখব !
  • I | 59.93.245.17 | ১৮ মার্চ ২০০৯ ১২:৩৪389286
  • এটা যেহেতু ছোট্ট বন্ধুদের জন্য ছবিতে-গল্প, তাই আগেভাগেই ছবির লিংক দিয়ে রাখা হলো, যাঁরা দেখেন নি তাঁদের জন্য : http://www.orkut.co.in/Main#AlbumList.aspx?uid=11558427525705583832
    আর যাঁরা দেখেছেন, তাদের জন্যেও , কেননা আরো কয়েকটা ছবি আপলোড করেছি।

    লেখা পরে আসছে। ছবির সঙ্গে মিলিয়ে পড়বেন কিন্তু; নইলে বুঝতে পারবেন না, খুব কঠিন!!! :০
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১৮ মার্চ ২০০৯ ১২:৩৬389288
  • ছবিগুলো পিকাসাতে রাখিস না কেন? সুন্দর স্লাইড শো করে দেখা যায়, আর ছবি সংক্রান্ত ইনফো পাওয়া যায়।
  • I | 59.93.245.17 | ১৮ মার্চ ২০০৯ ১২:৩৬389287
  • শিলং আর কাজিরঙ্গা-দুটো ই দেখবেন।
  • Du | 74.7.148.7 | ২০ মার্চ ২০০৯ ০২:৩৫389289
  • ছবিগুলো মন ভরানো, চোখ জুড়োনো ।
  • Binary | 70.64.8.206 | ২০ মার্চ ২০০৯ ০৪:৪৬389290
  • ছবি দেখে সত্যি মন ভরে গেলো।
  • I | 59.93.192.48 | ২৩ মার্চ ২০০৯ ২২:২৪389291
  • এ হপ্তায় আর হল না। বাড়ি খুঁজতেই, হরি হে, দিন গেল;সন্ধ্যে হল। বাড়ি কোথায়, বাড়ি কোথায়!!
    সামনের হপ্তায় আবার..., যদি কপালে থাকে! :(
  • Du | 74.7.148.7 | ২৪ মার্চ ২০০৯ ০২:৩৩389292
  • একে বলে বেড়ানো - বাড়িই খুঁজে পাচ্ছে না ফিরে ;-)
  • I | 59.93.203.119 | ২৬ মার্চ ২০০৯ ২২:১৮389293
  • ছোট্ট বন্ধুরা,
    তোমাদের জন্য গল্প নিয়ে এসে হাজির হলাম। দ্যাখো, যদি বুঝতে পারো। না পারলে পাচন মনে করে খেয়ে নিয়ো। গায়ে বল পাবে। বড় হয়ে ব্যাকরণে পোক্ত (ঘটি-বন্ধুরা "পোস্ত' পড়বে) হবে। গলায় সাট্টিফিকেট ঝোলাবে। কি সাট্টিফিকেট? ন্যাড়াকে জিগ্গেস কোরো। পামিতাদিকে নয়।
  • I | 59.93.203.119 | ২৬ মার্চ ২০০৯ ২২:৪৩389294
  • ছোট্ট বন্ধুরা,
    গল্পদাদুর বাড়িতেও তোমাদের বয়সী একটা ছোট বাচ্চা আছে। তার নাম উজান। ডাকনাম টুংকাই। সে একটা ছবি এঁকেছে, তার বাবার একটুখানি সাহায্য নিয়ে । এই দ্যাখো, সেই ছবি :
    http://www.orkut.co.in/Main#Album.aspx?uid=11558427525705583832&aid=1223373203
    মুশকিল হল গল্পদাদু বুড়োমানুষ, সে কম্পিউটার ভালো শেখে নি। tinyurl বানাতে জানে না।
    আচ্ছা, এবার গল্পে ফিরে আসি। টুংকাই তাহলে শেষমেশ কাজিরঙ্গা গেল; আর শিলং পাহাড়। টুংকাই-র হাত ধরে ওর পাপালু, মাম্মাম, দিদান, দাদাভাই, দিদিভাই আর নিন্নিন-ও গিয়েছিল। যাওয়ার কথা ছিল পুলুর-ও; কিন্তু শেষবেলায় কাজ পড়ে গেলে বলে সে আটকে গেল। আহা, বেচারী! ভালো ছবি তোলে। তাছাড়া, কতদিন বেড়াতে যায় নি। কিন্তু কাজ তো কাজই, বলো! তোমরাও বড় হয়ে কাজকে দাম দিতে শিখবে।
    যাওয়া নিয়ে কি কম হ্যাংনাম ! পাপালু প্রথমে ভাবলো, এই গরমে পাহাড় ছাড়া তো চলবেই না। এদিকে বিমল গুরুং বলে একজন রাগীমত লোক দার্জিলিং আর সিকিমের রাস্তাফাস্তা আটকে বসে আছে। তখন পাপালু মাথা খাটিয়ে বের করলো কৌশানি-বিনসর-সিমলা। কিন্তু গুরুচণ্ডালীর বন্ধুরা বললো , সে বড্ড হুড়মুড় করে যাওয়া হবে। হিসেব করেও দেখা গেলো, ৮ দিনের জার্নিতে সাড়ে চার দিন দিন ট্রেনেই কেটে যাবে। ক্যান্সেল ক্যান্সেল। তখন ভাবা হল আরাকু-ভাইজ্যাগ। কে যেন বলল, বেজায় গরম। পাপালু তখন বললো, গরম লাগে তো দাড়িংবাড়ি গেলেই পারো! ওড়িশার কাশ্মীর বলে লোকে। সঙ্গে চিলিকা আর তপ্তপানিও ঘুরে আসবে। তপ্তপানি বেজায় সুন্দর, লোকে বলেছে। কিন্তু সেখানেও মশা। মাম্মাম বললো, অসম্ভব !! ম্যালেরিয়ার জায়গায় ছেলে নিয়ে আমি যাবো না, যাবো না, যাবো-ই না।
    ভ্যাস্তা !
    তখন পাপালু আর কি করে, এদিক -ওদিক ভাবতে ভাবতে শিলংপাহাড় খুঁজে বের করলো। আগে ভাবতো, শিলং যেতে অনেক সময় লাগে; কিন্তু দেখে কি, সরাইঘাট এক্সপ্রেস বলে একটা ট্রেন আছে, তাতে চড়ে ১৭ ঘন্টায় গুয়াহাটি পৌঁছে যাওয়া যায়। সেখান থেকে শিলং কেবল ঘন্টা তিনেক।
    প্রথমে ঠিক হয়েছিল, শুধু শিলং-চেরাপুঞ্জি। পুলু আর মাম্মাম যখন বলল : কাজিরঙ্গা যাবে? পাপালু উড়িয়েই দিয়েছিল। কিন্তু তারপর যত পড়ে আর নেট ঘাঁটে, কাজিরঙ্গা যাওয়ার উৎসাহ তত বাড়ে। তখন বলে, আরে চলো চলো। আবার কবে সেদিকে যাওয়া হয় ! শুভ্রদীপ এখন গুয়াহাটি আইআইটি-তে মাস্টার মশাই আছে, কবে আবার অন্য জায়গায় চলে যায় !
    পুলু আর মাম্মাম তখন খুব একচোট ঝগড়া করে নিল। নাকি গরীবের কথা বাসি হলে হ্যানা ত্যানা। খুব ইয়ে !
    তারপেরো আছে। ইপ্পিমাসি বাগড়া দিতে এসেছিলো। বলে, আসাম যাচ্ছো ! সেখেনে যে বন্দুক হাতে বোমা হাতে..। পাপালু তখন রেগেমেগে বললো, আমি না বরিশাইল্যা !
  • babbau | 72.64.99.24 | ২৬ মার্চ ২০০৯ ২২:৫৬389295
  • গল্পদাদু, তোমার দরজায় পাহারাদার বসে আছে, মাম্মাকে ঢুকতে দিল না।
  • I | 59.93.245.8 | ২৬ মার্চ ২০০৯ ২৩:১৯389297
  • এই নাও, পাহারাদারকে দিয়েছি তাড়িয়ে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন