এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • পায়ের তলায় সর্ষে - ৭

    Binary
    বইপত্তর | ২২ জুন ২০০৭ | ২০৬৯১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • de | 59.163.30.4 | ২৯ জুন ২০১০ ১৬:৫২388993
  • কোন মানে হয়? এতো অল্প লেখার? হ্যালো একটু ফেড হয়েছে?
  • Nina | 64.56.33.254 | ৩০ জুন ২০১০ ০০:০২388994
  • এই বুনুয়া, হাত চালা ভাই----
  • Lama | 203.99.212.53 | ৩০ জুন ২০১০ ১০:০৩388995
  • হ্যালো! হ্যালো!!!

    কই গ্যালো?

    হ্যালো?
  • Tim | 71.62.121.158 | ৩০ জুন ২০১০ ১০:১৪388996
  • গোড়ালির ব্যথাটা বেড়েছে নাকি?
  • Blank | 59.93.192.139 | ০১ জুলাই ২০১০ ০০:০০388997
  • নাহ, এরা দেখছি কিস্যুই জানে না। সামান্য একটা প্রশ্ন !! এদের কি হবে অ্যাঁ !! আরে God হলো generator, operator, destructor । ভগবানে মোটেই ভক্তি নেই বাবা তোমাদের। খালি ঐ দুগ্গাপুজো ই করো মনে সুখে। মুর্তিপুজোয় কি আর পুন্য হয় !! আর কোনো ঠাকুর দেবতা নিয়ে প্রশ্নই করবো না। অন্য প্রশ্নে যাই দেখি ....
    দুই বন্ধু রাস্তা দিয়ে হাঁটছে। একজনের কাছে আছে ৫ টা রুটি, আর একজনের কাছে আছে ৩ টে রুটি। তো যেই ক্ষিদে পেলো, দুজনে ঠিক করলো ভাগ করে খেয়ে নেবে। এমন সময় আর একজন লোক এলো সেখানে, আর সেও বললো তার ক্ষিদে পেয়েছে। তখন ৩ জনে মিলে সেই ৮ টা রুটি ভাগ করে খেলো। তারপর সেই নতুন আসা ভদ্রলোক যাওয়ার সময় সাত টাকা দিয়ে বললেন ভাগ যোগ করে নিয়ে নিতে। তো কে কত টাকা পেলো ??
    আরে আমি সত্যি বলছি, মাক্কালির দিব্যি, এই অঙ্কটা সেই বিহারি সাধুকে করতে দিলেন ঐ মুখিয়ারা। সাধুর তো ল্যাজে গোবরে দশা। কোত্থেকে তিন নং লোকটা এলো, সে কেন খাবে, এই সব প্রশ্ন করে অঙ্কটা কাটানোর বহু চেষ্টা করলেন বেচারী। এদিকে এই অঙ্কটা নাকি কার যেনো একটা নাতি নিমেষে করে ফেলেছে। কি চাপ, কি চাপ !!
  • byaang | 122.172.50.226 | ০১ জুলাই ২০১০ ০০:১০388998
  • জমে গেছে। চলুক, চলুক।
  • Blank | 59.93.192.139 | ০১ জুলাই ২০১০ ০০:১৭388999
  • তো এই ভাবেই চলছিলো ট্রেন জার্নি। সন্ধে নাগাদ আমি আর চাঁদু খুব হতাশ হয়ে পরলাম যে জানলা দিয়ে তখনো পাহাড়ের ক অব্দি দেখা যাচ্ছে না। নিশ্চয় শমীক ব্যটা আমাদের ঠকিয়েছে। কাল থেকে নাকি পাহাড়ে চড়ার কথা, এদিকে দু চোখে খালি তেপান্তরের মাঠ আর শুকনো নদী খাতই দেখে চলেছি। ফোন করে শমীককে একচোট গালাগাল দেওয়া হলো। যদিও সে ব্যটা তখনো আশ্বাস দিচ্ছে যে পাহাড় আমরা ঠিক পাবো।
    বাইরে যখন অন্ধকার, পেটে যখন ভয়ানক খিদে আর ট্রেনে বসে বসে গায়ে হাত পায়ে শেকড় গজাতে শুরু করেছে, তখন আমরা দুজনেও যোগ দিলম তেনাদের আলোচনায়। দেখলাম মমতা ব্যানার্জী যে মাওবাদী দের নেত্রী সে বিষয়ে ওনাদের সম্যক জ্ঞান আছে। পরের বিশ্ব যুদ্ধ যে জল নিয়ে হবে সে ব্যপারে ওনারা নিশ্চিত। আর বাঙালীদের যত জ্ঞান গম্যি তার প্রধান কারন হলো যে বাঙালীরা মচ্ছলি খোর। জল শেষ হয়ে সব মাছ মরে যাবে, তখন বেচারা বাঙালীরা।
    শুনে টুনে, সত্যি বলছি চোখে জল এসে গেসলো। এত দরদী চিন্তা ভাবনা। আহা
  • Tim | 71.62.121.158 | ০১ জুলাই ২০১০ ০০:৪৪389000
  • এইটা আর শিকাগো একত্র করে আদর্শ চটি হতে পারে। শুধু বানামগুলো এট্টু ইয়ে করে নিতে হবে। পরাটরাগুলো।
    গোড়ালির দিব্যি, আরেট্টু বেশি করে লেখ।
  • Blank | 59.93.192.139 | ০১ জুলাই ২০১০ ০১:০০389001
  • শেষ অব্দি প্রায় ১১ টা নাগাদ, রাত্তির ১১ টা নাগাদ ট্রেন পৌছালো হরিদ্বার স্টেশনে। পুরো ৬ ঘন্টা লেট ট্রেন। স্টেশন থেকে বাইরে এসে হোটেল খোঁজা শুরু হলো। আর বেশী এন্থু ছিলোনা আমাদের, সামনেই মোটামুটি ভদ্র সভ্য দেখতে একটা হোটেলে উঠলাম। জানতে পারলাম যে রাত ৩ টে সারে ৩ টে থেকে বাস ছারা শুরু হয় উখি মঠের জন্য। আমরা ঠিক করেছি একদম ভোরের বাস ধরবো। তাড়াতাড়ি উখি মঠ ঢুকতে পারলে ল্যাদ খাবো ওখানেই।
    ঘরে মাল পত্তর রেখে রাস্তায় এলাম খাওয়ার জন্য। হরিদ্বার কিন্তু ঐ মাঝ রাতেও বেশ জমজমাট। দোকান পাট খোলা, রাস্তায় লোক জন, রিক্‌শা, অটো সব চলছে। খান ৫/৬ রুটি আর পনির (শুরু হলো দু:খের দিন) খেয়ে মনে বল এলো। 'অদ্ভুত খেতে মশাই, শরীরে আশ্চর্য বল পাচ্ছি'।
    তো সেই বল টল পেয়ে আমরা ঠিক করলাম যে, যাই হরিদ্বারের গঙ্গা দেখে আসি। গঙ্গা দর্শনেও পুন্য। দুটি পুন্যি যোগাড় করা দরকার। এরপর কত দুর্গম পথ, কত বাধা বিপত্তি আসবে জেবনে।
    তখনো গঙ্গার ঘাটে অনেক মানুষ, শেকল ধরে স্নান করছে বহু লোক। আর যেটা চোখ টানে, সেটা হলো গঙ্গার স্রোত। কি ভয়ানক গতিতে বয়ে চলেছে গঙ্গা। এমনি আগে কখনো দেখিনি। তখনো গঙ্গা সদ্যজাত। এই নদীটাই কত রাস্তা পেরিয়ে, সেই কোন দুরের কোলকাতা ভাসিয়ে বয়ে গেছে। কত যুগ ধরে, কত কত যুগ ধরে এক ভাবে বয়ে চলেছে। আমাদের সভ্যতার ধারক যে নদীটা।
    যাকগে, অনেক ইমোশনাল অত্যাচার হলো। গঙ্গা দেখে ফিরে এলাম হোটেলে। তখন সারে ১২ টা বেজে গেছে। ৩ টের সময় জেগে উঠে বাস খুঁজতে বেড়োবো আমরা। আপাতত ঘন্টা আড়াই ঘুম।
  • M | 59.93.241.128 | ০১ জুলাই ২০১০ ০৮:৪৩389003
  • ওঠ এবার! আট ঘন্টা হয়ে গেলো তো..............
  • Samik | 122.162.75.99 | ০১ জুলাই ২০১০ ১০:৪৫389004
  • জ্জিও: বেটা।

    এই ফাঁকে ফান্ডা দিয়ে নিই, জায়গাটা আসলে হরদ্বার। শিবের এলাকা। হরির এলাকা নয়। লোকের মুখে মুখে অপভ্রংশ হয়ে হরিদ্বার হয়ে গেছে।

    আম্মো গেল মাসে হরিদ্বারে গেছিলাম। শেকল ধরে চান করা অনেক বৌ-মাইয়া দেখে পোচুর পুন্যি করে এসেছি। একটা মছলিবাবাও দেখেছিলাম। আমার পিকাসায় গিয়ে দেখে এসো গে'।
  • Lama | 203.99.212.53 | ০১ জুলাই ২০১০ ১০:৫৮389005
  • লিংটা কি যেন?
  • Manish | 117.241.229.244 | ০১ জুলাই ২০১০ ১১:৩৮389007
  • Blank নিশ্চয় বাস মিস করেছে এবং ভোর বারোটার বাস ধরতে হয়েছে।

    একটা কথা, হরিদ্বারের ধারাটি আসল ধারা নয়। লছমনঝোলা হয়ে জেটা বয়ে গেছে সেটাই আসল নদী।
  • Manish | 117.241.229.244 | ০১ জুলাই ২০১০ ১১:৫২389008
  • Samik ছোট জলপ্রপাত টি কি কেম্পটি?
  • Manish | 117.241.229.244 | ০১ জুলাই ২০১০ ১২:০০389009
  • ঊড়ানখাটোলার ছবি কই।
  • Lama | 203.99.212.53 | ০১ জুলাই ২০১০ ১২:১১389010
  • মছলিবাবাটা জম্পেশ
  • Samik | 121.242.177.19 | ০১ জুলাই ২০১০ ১৩:৫৩389011
  • হুঁ, কেম্পটি। ফলে্‌সর সামনে তিন চার কিলোমিটার লম্বা আসলি জ্যাম দেখে আর এগোনর সাহস পাই নি, দূরের পাহাড় থেকে কেম্পটি দর্শন করে এম্পটি স্টমাকে ফিরে এসেছি।
  • Samik | 121.242.177.19 | ০১ জুলাই ২০১০ ১৫:১৬389012
  • আচ্ছা, মনীশ, কত নং ছবিটা দেখে জলপ্রপাত বলছিলেন বলুন তো? কেম্পটিকে দেখে কিন্তু ফটো থেকে চেনা সম্ভব নয়।
  • d | 115.118.74.165 | ০৫ জুলাই ২০১০ ২২:৫৭389014
  • ব্ল্যাংকিইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইই
  • Nina | 68.45.144.238 | ০৬ জুলাই ২০১০ ০৭:১১389015
  • বুনুর ঘুম এখনও ভাঙলোনা :-০
  • Bratin | 125.18.17.16 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১১:৪০389016
  • শমীক ,ফোটো দেখলাম। খুব এনজয় করলাম।
  • Samik | 121.242.177.19 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১১:৪২389017
  • কমেন্ট পড়লাম :-)
  • Blank | 203.99.212.224 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৩:২৩389018
  • হঠাৎ করে বিচ্ছিরি কিসব স্বপ্নের ফাঁকে পরে ঘুমটা গেলো ভেঙে। ভেঙে যাওয়া মাত্রই তের পেলাম যে ঘাড়ের কাছে অসম্ভব জ্বালা করছে। মশা হবে নিশ্চয়, এসব ভেবে চাপড় টাপড় মেরে ফের ঘুমোনোর চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু যখন বাং হাতের আঙুল গুলো ও জ্বালা করতে শুরু করলো, তখন পাতি হাল ছেরে উঠে বসলাম। দেখি পৌনে তিনটে বাজে তখন। আলো জ্বালা মাত্তর টের পেলাম যে হোটেলের অ্যালার্ম সিস্টেম টা অসাধারন। পুরো বেতন নিবারক বিছানা।
    তখন খান চারেক ছারপোকা হঠাৎ আলো দেখে খুব বিরক্ত হয়ে বিছানার চাদরে বসে আছে। গাম্বাট চাঁদুর পাশেই একটা মোটকা ছারপোকা ঘুরছে, এদিকে সে ব্যটার কোনো হুঁশ নেই। আর, কি !! ধাক্কা মেরে, চারটি ভালো ভালো কথা বলে গাম্বাট টাকে ঘুম থেকে তুললাম। পুরো বিছানা জুড়ে চিরিয়াখানা।
    এর পরে আর বিশেষ কিছু নেই। তাড়াহুড়ো করে মুখ ধুয়ে ব্যাগ নিয়ে বেড়িয়ে এলাম। রিসেপশানে ১০ টাকা টিপস দিয়ে গেলাম আমাদের জাগিয়ে দেওয়ার জন্য।
  • Samik | 121.242.177.19 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৩:৩৩389019
  • আরো বেশি করে লেখ না!

    বেতন নিবারকটা বুইলাম না।
  • Lama | 203.99.212.54 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৩:৩৬389020
  • "বেতন নিবারক'- সেই যে শিব্রামের গল্প
  • Blank | 203.99.212.224 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৩:৪৩389022
  • বেতন নিবারক বিছানার গপ্প তুলে দেবো নেটে :)
  • Blank | 203.99.212.224 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৩:৪৩389021
  • 11 june, 2010
    বাইরে বেড়িয়ে দেখি রাস্তা ঘাটে লোকজন আছে রীতিমতন। রিক্সা ওলা কে উখিমঠ যাওয়ার বাস স্ট্যান্ডের কথা জিজ্ঞাসা করলেই প্রশ্ন আসে, 'যোশিমঠ !!' কি অদ্ভুত রে বাবা। বলছি উখিমঠ, তবু ব্যটারা আমাদের যোশীমঠ দেখাতে চায়। অনেক এদিক সেদিক করে একটা রিক্সাওলা পাওয়া গেলো, যে ভুগোল টা পড়েছে ঠিক ঠাক। সে বললো উখীমঠ যাওয়ার বাস ছারে ঋষিকুল থেকে। রিক্সাতে ঋষিকুল যেতে ১৫ টাকা লাগবে পার হেড।
    ঋষিকুলের বাস স্ট্যান্ডে পৌছলাম যখন তখন সাড়ে তিনটে প্রায়। ঐ অন্ধকারেও চারদিকে রীতিমতন হই চই ব্যপার। গুচ্ছ গুচ্ছ বাস ছারছে চারদিক থেকে। দিল্লী থেকে চেন্নাই সবই নাকি বাসে যাওয়া যায়। এদিকে উখীমঠ যাওয়ার কোনো বাস নেই। উখীমঠের বাস নাকি সাড়ে ১০ টার আগে ছারবে না !!!
    আমি তখন সুন্দর করে চাঁদু কে বোঝালুম যে দেখ সাত ঘন্টা অপেক্ষার কোনো মানে নেই। আমরা বরং এখান থেকে হাঁটা শুরু করি। সাত ঘন্টায় উখীমঠ নিশ্চয় পৌঁছে যাবো। বেশ একটা হিউয়েন সাং টাইপ ভাব তখন এসেই গেছে মনের মধ্যে। কিন্তু চাঁদু আমার কথাটা পুরো টা বুঝতেই চাইলো না। তার দাবী যে এখন বাস ধরে রুদ্রপ্রয়াগ যাই। সেখান থেকে উখী মঠের গাড়ি পেয়ে যাবো। একটা বাসের কন্ডাকটারও দেখি চাঁদুর দলে এসে গেছে। কি আর করবো বাধ্য হয়ে ব্যাগ ট্যাগ তুলে দিয়ে উঠলাম গিয়ে বাসে।
    ভীড়ে ঠাসা বাস। আমার জায়গা হলো ড্রাইভারের পাশে, গরম ইঞ্জিনের ওপরে। চাঁদু পেলো একদম সামনের সীটে জায়গা, এক দেহাতি বুড়ি ঠাকুমার পাশে। তিনি বেশ অঙ্গ ভঙ্গী করে চাঁদু কে বোঝালেন যে তিনি অসুস্থ। এই বলে চাঁদুর কোলেই শুয়ে পরলেন। চাঁদু বেচারা নতুন গার্ল ফেরেন্ড পেয়েও খুশী নয় মোটেই। মুখ টা ভেটকেই রইঅলো পুরো। অন্ধকারের মধ্যে ছারলো বাস, হরিদ্বারের গঙ্গা পার করে অন্ধকারে পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে এগিয়ে চলা।
  • Blank | 203.99.212.224 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৩:৫৩389023
  • বাস চলা মাত্রই আমার মনে ফুর ফুরে মতন ভাব। বেশ পাহাড় টাহাড় দেখা যাচ্ছে এতক্ষনে। অন্ধকারে হেডলাইটের আলো, পাশে নদীর আওয়াজ। আবছা পাহাড় বোঝা যায় চারদিকে। মন ভালো হলে, এমনকি ইঞ্জিনের গরম ছ্যাঁকাও পেছনে লাগে না।
    কিন্তু বিধি যখন ডান, তখন আর কি হবে !! বাস ড্রাইভার টি তো শ্যুমাখার পুরো। চোখের সামনে একটার পর একটা লরিকে ওভার টেক করছে খাদের ধার দিয়ে। ঐ অন্ধকারে, পাহাড়ি রাস্তায় স্পীডোমিটার ৬০ ছুঁয়ে। কোলকাতার পেলেন রাস্তায় এসব অভ্যেসে আছে। তাই বলে পাহাড়ে !!
    প্রান হাতে নিয়ে বসে পুরো, চোখের সামনে দেখছি খাদের পাশ দিয়ে ভয়ানক স্পীডে বাঁক নিচ্ছে বাস টা। পুরো পাগলের মতন স্পীডে ছুটছে। ঘন্টা খানিক পর যখন একটু আলো ফুটলো তখন বুঝলাম যে অন্ধকার থাকাটাই ভালো ছিলো। আলোতে দেখতে পেলাম যে রাস্তাটা যা ভাবছিলাম, তার থেকেও অনেক সরু !!!!
    মধ্যে ছোট ছোট স্টপেজ গুলোর কথা বাদ দিলাম। লোকজন উঠছে নামছে। ভোরের মুখে, ফাঁকা রাতায় হঠাৎ হরিণ। তিড়িং বিড়িং করে ছুটেও বাসের সাথে পাল্লা দিতে পারলো না। চাপা পরেনি যে এই ঢের। ইতিমধ্যে একটা লরির সাথে গা ঘষাঘষি করে ফেলেছে বাস। এক সাধুবাবার লম্বা লাঠিতে মেরেছে ধাক্কা বাঁক নেওয়ার মুখে।
    যাকগে, এসব আর ভেবে লাভ নেই, কারন ভেতরে তখন আরো ইন্টারেস্টিং নাটক চলছে।
  • Blank | 203.99.212.224 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৫:১৮389025
  • চাঁদুর সেই গার্ল ফ্রেন্ড, বাস ছারার একটু পর থেকেই নিজেই ছরাতে শুরু করেছে। একটু করে বাইরে বমি করে, ফের চাঁদুর কোলে এসে শুয়ে পরে। এই অব্দিও চাঁদু বেচারা সহ্য করে ছিলো। কিন্তু যখন দিনের আলোয় চাঁধু দেখলো যে বমি করে নাক মুছে সেই কাপড় টাই চাঁদুর কোলে পেতে ঘুমোচ্ছেন তিনি, তখন আর, মোটেই আর সহ্য হয় নি বেচারার। সীট ছেরে উঠে দাঁড়িয়ে পরেছে। কিছুক্ষন আমার পেছন দিকে দাঁড়িয়েই রইঅলো, কিন্তু ঠাসা ভীড়ে ইঞ্জিনে বসার এϾট্র পেলোনা বেচারা।
    তার পরে দেখলাম একদম লাস্ট সীটে গিয়ে বসলো গোঁতাগুঁতি করে। একটু বাদে দেখি ফের আমার পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে। লাস্ট সীটেও কে একজন বমি করে ছরিয়ে দিয়েছে বাসের ভেতরেই।
    এরপর আর কি, সামনের দিক একটু খালি হতে সে এসে বসলো আমার পাশে। কিন্তু ঐ, এবারেও বিধি সেই ডান। সামনের দিকে একজন নেমে গেলো ব্যাট হাতে। চতুর্দিকে শুধু বমিতঙ্ক ...
    অবশেষে সাড়ে আটটা নাগাদ এসে ঢুকলাম রুদ্রপ্রয়াগ। চারদিকে হাত পা খুঁজে খুঁজে দেখলাম কোথায় কোথায় বিভিন্ন লোকের চেবানো খাবারের টুকরো লেগে আছে। সেসব পরিষ্কার করে, চারটি আলুর পরোটা খেয়ে এবারে নতুন গাড়ির খোঁজ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন