এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • পায়ের তলায় সর্ষে - ৭

    Binary
    বইপত্তর | ২২ জুন ২০০৭ | ২০৬৯৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pipi | 78.52.234.111 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৫:৩৫389026
  • ম্যাগো! ইয়াক!!
  • Arijit | 61.95.144.122 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৫:৪৪389027
  • ওইদিকে এটা বহুত কমন। কেদার-বদ্রী-গোমুখ ট্রিপে কিছু না হলেও বার চারেক এই অবস্থায় পড়েছিলুম।
  • SB | 219.64.153.79 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৫:৫১389028
  • হ্যাঁ এটা খুবই কমন, তাও কেউ গায়ে বমি করে দেয়নি এই যথেষ্ঠ ;-)
  • Lama | 203.99.212.54 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৫:৫৮389029
  • বোঝা গেল। বমন ওখানে কমন
  • Blank | 170.153.65.102 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৬:০২389030
  • তীর্থ যাত্রায় এসব একটু সহ্য করতেই হবে, পুন্যি করতে যাচ্ছো বলে কথা
  • pipi | 78.52.234.111 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৬:১২389032
  • তো বাসে না গিয়ে গাড়ি ভাড়া কল্লেই তো হয়। একটুস শান্তিতে যাওয়া যায়। অবশ্য ঐদিকের রাস্তাগুলোতে আর যাই থাক শান্তি নাই। আমরা হরিদ্বার থেকে গাড়ী ভাড়া করে হৃষীকেশ-কেদার-বদ্রী এইসব করেছিলাম কারণ বাসে উঠলে গা গুলোয়। সে অবশ্য ছোট থেকেই। বাসে উঠলেই ডিজেল-ঘাম-বদ্ধ পরিবেশ সব গন্ধ মিলিয়ে নিট রেসাল্ট হত ঐ ওয়াক। লেবুপাতা-তামার পয়সা-অ্যাভোমিন কিছুতেই কিছু হত না। অবশ্য আমি ভদ্রসভ্য ছিলাম। বাসে যেতে হবে শুনলেই মা একগোছা প্লাস্টিকের প্যাকেট হাতে ধরিয়ে দিত। সারা রাস্তা বিভিন্ন প্যাকেটে ঢালতে ঢালতে আর জল খেতে খেতে পেটের চাপ বাড়িয়ে শেষমেষ যখন গন্তব্যে পোঁছতাম তখন খাটে শুইয়ে নিয়ে যাবার অবস্থা হত। বাসাতঙ্কের চোটে যেসব আত্মীয়ের বাড়ী বাসে চড়ে যেতে হত সেসব বদ জায়গায় যাওয়াই বন্ধ করে দিয়েছিলাম। ভাইফোঁটার দিনটা আতঙ্ক ছিল কারণ বছরে ঐ একটি দিন পিসির বাড়ী যেতে হত সেও বাসে করে। উফ্‌!
    হ্যাঁ যা বলছিলাম। উত্তরের ঐ রাস্তাগুলো। যেদিকে তাকাও হয় রাস্তা ভেঙ্গে চওড়া করছে নয় পাহাড় ফাটিয়ে ড্যাম বানাচ্ছে আর সে কি ধূলো!! হয় ধূলো নয় সামনের বাসের কালো ধোঁয়া। সব মিলিয়ে গাড়ীর কাচ তুলে রাখতেই হয় আর কাঁচ তুললেই ফের গা গুলোয়। গা গুলুনির চোটে হৃষীকেশ থেকে উপরে যাবার সময়ে এক জনশূণ্য প্রান্তরে গাড়ে থামিয়ে সঙ্গের সমস্ত জলের বোতলের জল মাথায় ঢেলে মাথা ধুয়ে ঘন্টাখানেক সময় নষ্ট করে তবে ফের গাড়ীতে উঠতে পেরেছিলাম। বাকী সবার এসপেশ্যালি ড্রাইভারের কি রাগ। আমি আর কি করি, ভেজা ইঁদুরের মত সিঁটিয়ে ছিলাম। হুঁ, পেরাইভেট কারেও কাচ তুলে দিলে গা গুলোয়। তবে ভরসার কথা এই যে আমি ছড়াই না। খালি চোখ উল্টে পড়ে থাকি। তবে আশেপাশে কেউ ছড়াচ্ছে দেখলে আর রক্ষে নেই। সেইখান থেকে তক্ষুণি বেরিয়ে যেতেই হবে নইলে মনে হয় প্রাণটাই বুঝি বেরিয়ে গেল:-(
    যা বুঝেছি রেলগাড়ী আর পাগাড়ী ছাড়া আমার অন্য কোন ভরসা নেই।
  • Blank | 170.153.65.102 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৬:১২389031
  • খেয়ে দেয়ে গাড়ির খোজ টোজ করে শেষ অব্দি একটা গাড়ি পাওয়া গেলো খোঁজে। মন্দাকিনীর পাশ দিয়ে গাড়ি চললো উখীমঠের দিকে। কি ভয়ানক আওয়াজ মন্দাকিনীর। একটু চলার পরেই মেঘের আড়াল থেকে উঁকি মারে বরফ চুড়া গুলো। গাড়ি টা খুব ভালো, কোনো ছারপোকা নেই, কেউ বমি করে না। কোনো মতে অধ ঘুমে ঢুলতে ঢুলতে পৌছলাম উখীমঠ।
    বাজারের কাছ খান তিন হোটেল আছে থাকার মতন। তার একটায় উঠলাম আমরা, সেদিন পুরো ঘুম। এক দলা ভাত, ডালের ঝোল আর শাক সেদ্ধ পাওয়া গেলো হোটেলে। তাই খেয়ে আর একটা আস্ত বোতল শেষ করে দুজনেই চিৎপাত।
    ঘুম যখন ভাঙলো তখন প্রায় ৮ টায়। সন্ধে হওয়ার মুখে, বারান্দা থেকে দেখা যায় বিশাল কেদার পিক। যেনো হাতেই সামনে একটা বিশাল হিমালয়ের টুকরো। কেদার পিকের পাশ থেকে উঁকি মারে আরো অনেক গুলো বরফ ঢাকা পাহাড় চুড়ো। চৌখাম্বা টা দেখা যায় না এদিক থেকে।
    উখিমঠে বেশীরভাগ বাঙালী থাকে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘে। কিন্তু ভারত সেবাশ্রমে থাকলে পাহাড়ের এই ভিউ পাবেন না। ওটা বাজার থেকে বেশ খানিকটা নীচে।
  • Blank | 170.153.65.102 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৬:১৫389033
  • উখীমঠে খাবার দাবারের ও সমস্যা নেই, খালি হোটেলের খাওয়া খাবেন না। বাইরে ছোট দোকান গুলোতে চিকেন পাওয়া যায়। নতুন ম্যাগপাই নামে একটা রেস্টুরেন্ট ও হয়েছে। তাদের সব আইটেম চিলি চিকেনের মতন খেতে, তবে ঠান্ডার মধ্যে রুটি দিয়ে খারাপ লাগে না। বড় LCD টিভিতে বিশ্বকাপও দেখা যায় মজা করে। ট্যুরিষ্ট খুব কম, তাই টিভির রিমোট আমরাই নিয়ে বসে ছিলাম। রাতে ঠান্ডা হাওয়ার মধ্যে হেঁটে বেড়ালাম একটু উখীমঠ। তারপর সোজা ঘুম, আগামীকাল হাঁটা শুরু তুঙ্গনাথের জন্য।
  • pipi | 78.52.234.111 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৬:১৭389034
  • হ্যাঁরে ব্ল্যাঙ্কি, ওদিকে চিকেন কোথায় পেলি?? আমি তো কোথাও মুরগী চরতে অবধিও দেখিনি!
  • Sags | 114.143.7.146 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৬:৩৫389036
  • চলুক, চলুক বেশ ভালো হচ্ছে।
  • Arijit | 61.95.144.122 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৭:০৫389038
  • চিকেন না অন্য কিছু জানা নেই। চিকেন হলেও কবেকার মরা তাও জানা নেই। হরিদ্বার পেরোলেই নিরামিষ বন্ধ। আমরা উনিশ দিন আলুমটর, আলু-পালং, পালকপনীর আর সিমলা মির্চ চালিয়ে আল্টি দেরাদুনে পৌঁছে কব্জি ডুবিয়ে সাঁটিয়েছিলুম।
  • Abhyu | 80.221.25.236 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৭:০৫389037
  • ভালো কথা, আজ্জো না কেউ কোথায় যেন এট্টুস বেশি দাম দিয়ে মুর্গি খেয়েছিল?
  • Blank | 170.153.65.102 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৭:০৯389039
  • মুর্গীর হেব্বি দাম। হাফ প্লেট চিলি চিকেন ৮০ টাকা (মাত্তর চার পিস)। আর হরিদ্বার পেরিয়ে রাজাজি ন্যাশনাল পার্কের পাশে যে রাস্তাটা দিয়ে হৃষিকেস যাওয়া যায়, সেখানেই মেলে চিকেন মাটন মাছ। আর উখিমঠের দিকে সব পাওয়া যায়। আবার তুমি গুপ্তকাশী হয়ে কেদারের দিকে যেতে চাইলে কিস্যু পাবে না ঐ দিকে।
  • SB | 219.64.153.79 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৭:১৪389040
  • ইসে .... ব্ল্যাংকি কিছু মনে কোর না, আমার বন্ধুদের কাছে শুনেছি ও পথে চিলি চিকেনের নামে চিলি ডগ বিক্কিরি হয়, সে যদিও আমাদের পাড়ার মোড়ের দোকানেও তাই ;-)
  • Blank | 170.153.65.102 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৭:২৮389041
  • সাম্যবাদী দের চোখে সব সমান ...
  • Samik | 121.242.177.19 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৭:৩২389042
  • আমরা এইবার হরিদ্বার ঢোকার আগে মূলচন্দে লাঞ্চ সারলাম। চিকেন নুডলসটা পুউরো চীন থেকে বানিয়ে এনেছিল। দুটো মরা আরশোলা পাওয়া গেছিল তাতে। দেখাতে অত্যন্ত লজ্জিত হয়ে পয়সা নিল না।

    আর চিকেন যা খেলাম, বুঝে গেলাম হরিদ্বার খুব কাছেই। ওচ্চেয়ে নিরামিষ খেলে কাজ দিত।
  • Blank | 170.153.65.102 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৭:৪৭389043
  • 12 June 2010
    ঘুম থেকে ওঠার কথা ছিলো ৬ টায়, সাড়ে সাতটা নাগাদ একটা বাস ছারে ভারত সেবাশ্রমের সামনে দিয়ে। সেটা যায় চোপ্তা। চোপ্তা অব্দি আমাদের বাসে যেতে হবে। কিন্তু একে ভোর সাড়ে ৬ টা, তায় ফের বাস !! এসব চিন্তা ভাবনা করে যখন যেগে উঠলাম তখন প্রায় ৮ টা। এবং পরিষ্কার টের পেলাম যে, Wherever you go, our ছারপোকা follows। ঐ ঠান্ডাতেও হাত ফুলিয়ে দিয়েছে কামড়ে। পুন্যি করতে যাওয়ার কত চাপ।
    আগের প্ল্যান মতন সব জিনিস পত্তর রেখে দিলাম আমরা রুমে। আমি আমার ক্যামেরার ব্যাগে ভরে নিলাম একদম দরকারি জিনিস পত্তর, যেমন রেন কোট, হাগু করার সাবান, গ্লাভস, টুপি এসব। চাঁদু নিজের ব্যাগের বাকি জিনিস রেখে সামান্য কটা জামা কাপড় রেখে দিলো ব্যাগে। আজ তুঙ্গনাথে থেকে কাল আমাদের উখীমঠ ফেরার প্ল্যান।
    বাইরে এসে প্রথম রোদে চোখ ঝলসানো কেদার পিক। ছারপোকার কামড় আর মনে থাকে না। ঐ পাহাড়ে সত্যি সত্যি ঠাকুর দেবতারা থাকে। অমনি পাহাড় নইলে আছে কি করতে !! কি বিশাল, বরফ সাদা, প্রতি খাঁজে খাঁজে পেশী ফোলানো দম্ভ।
    বাইরে থেকে এসে একটা গাড়ি জোগার করলাম আমরা। আমি আর চাঁদু সামনের সীটে। পেছন দিকে কিছু লোকা মানুষজন।
    ভারত সেবাশ্রমের সামনে যখন গাড়ি এলো তখনো দেখলাম বাস আসেনি। গাড়ি দেখে, এই রোকো, আরে থামো, এই সাব ডায়লগ দিতে দিতে ব্যাগ পত্তর নিয়ে চলে এলেন চার বাঙালী কাকু। একেবারে বই থেকে উঠে আসা সরকারী কর্মচারী চেহারা। মাথায় টাক। সাত সকালেই হাতে গ্লাভস, গলায় মাফলার। এরপর চোপ্তার পথে যাওয়া ....
    (সঙ্গে থাকুন ..)
  • santanu | 82.112.6.2 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৮:০৩389044
  • হাগু করতে সাবান লাগে!!!
  • Blank | 170.153.65.102 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৮:৪৯389045
  • হাগু কর'এ হাত ধু'তে। মধ্যের অংশটা উহ্য। কবিরা এমনি অনেক কিছুই উহ্য রাখে
  • aka | 168.26.215.13 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৮:৫৯389047
  • ব্ল্যংকোকে নিয়ে ট্রেকিংয়ে যাওয়া যাবে না। ট্রেকিংয়ের ব্যাগ ওসব বাজে জিনিষ নিয়ে ভারি করার কোন মানেই নেই। দেশীয় হাতে মাটি পদ্ধতি অথবা বিদেশি অ্যাবস্টেইন থাকতে সাবাং, হ্যানা ত্যানা নিয়ে যায়। এবারে খুঁজলে ব্যাগ থেকে সোনো পাউডারও বেরবে। :)
  • Blank | 170.153.65.102 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৯:২১389048
  • পেছনের চার বাঙালী কাকুর মধ্যে দুটো গ্রুপ। গ্রুপ ক এর এক কাকু বাসে উঠলে বমি করেন, তাই ওনার মতে গাড়িতে যাওয়া সবচেয়ে আরামের। গ্রুপ খ এ এনার কাউন্টার পার্ট যিনি, তার কাছে বাসে যাওয়া সস্তায় ও আরামের। গাড়িতে ঠেসাঠেসি, পা ছরিয়ে বসা যায় না। আর বাসে যদি এতই শরীর খারাপ বাপু, তো বাসে উঠে যাওয়া কেনো। এই টপিকস নিয়ে দুই দলে বেশ মন কষাকষি তখনো চলছে। গ্রুপ ক এর মতে গ্রুপ খ এর সবাই অকারন হুল ফুটিয়ে কথা বলে। গাড়িতে গেলে এমন কিছু টাকার সমস্যা হয় না। আর গ্রুপ খ এর দাবী যে এত ফ্যাচাং নিয়ে পাহাড়ে আসার মানেই হয় না।
    এমনি কথা বার্তা শুনতে শুনতে আমরা এগোচ্ছি তখান। উখীমঠের লোকালয় ছরিয়ে ছোট ছোট গ্রাম। পাশে ছবির মতন ঘন সবুজ বুগিয়াল গুলো নেমে গেছে পাইন গাছের ফাঁকে ফাঁকে। শীত কালে এগুলো নাকি বরফে সাদা হয়ে থাকে। কেদার থেকে শুরু করে চৌখাম্বা অব্দি মুখ বাড়াচ্ছে মেঘের ফাঁকে ফাঁকে। এই সবুজের রঙ পুরো আলাদা, আর কেমন মসৃন ভেলভেটের মতন ঘাস জমি পাহাড়ের গা বেয়ে।
    ইতিমধ্যে কানে এলো এক নতুন গল্প। গ্রুপ ক এর একজন দাবী করছেন (যিনি বাসে উঠতে চান না), আগের বার চোপ্তায় এসে এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হয়েছিলো ওনার। সে এক গা ছমছমে রোমাঞ্চকর গল্প। একসাথে ভক্তি ও ভয় জেগে ওঠে।
    সন্ধের মুখে হাঁটতে হাঁটতে উনি জঙ্গলে ঢুকেছেন হিসু করবেন বলে। তো হিসু করতে করতে একটু দুরে দেখেন একটা মানুষ দাঁড়িয়ে। এই জঙ্গলে কে ঐ মানুষ !! এই ভেবে উনি এগিয়ে গেলেন দেখতে।
    কাছে যেই গেছেন, অমনি সেই মানুষটি দুটো ডানা মেলে উঋহে চলে গেলো, হঠাৎ করে!!! সাক্ষাৎ গড়ুর পক্ষী। চোপ্তার জঙ্গলে।
    শুনে তো শ্রদ্ধায় ভক্তিতে, সামনের সীটে আমাদের মাথা নুয়ে গেলো, দু চোখে জল অব্দি এসে গেলো।
    ভাগ্যিস ড্রাইভার বাংলা বোঝী না !!!
  • Nina | 64.56.33.254 | ০৭ জুলাই ২০১০ ০০:৩২389049
  • :-)) কবিরা বাহ্য ব্যাপারটাই উহ্য রাখলে পারে!
    বুনু প্লিজ হাত চালিয়ে লেখ--একটু বেশি করে।
  • Abhyu | 80.221.18.28 | ০৭ জুলাই ২০১০ ০২:০৯389050
  • আবার সাবান! এখন হেইচ-পিতে চাকরি করে এমন এক ব্যক্তি ডিসেম্বরের এক সকালে হিড়িম্বা দেবীর মন্দির দর্শনে গিয়েছিল। এমন সময় প্রকৃতি এত ডাকাডাকি করতে থাকে যে সে সাবান কেন জলের ব্যবস্থাও করে উঠতে পারে নি। শেষে মুঠো মুঠো বরফ দিয়েই ইতিকর্তব্য সমাধা করে সে আমাদের মধ্যে ফিরে আসে। (রিমিদি কি সেই ট্রিপটাতে আমাদের সঙ্গে ছিল?)
  • sana | 114.78.33.110 | ০৭ জুলাই ২০১০ ০৬:১৪389051
  • দুটো খুব ভালো টই চলছে পাশাপশি। খুব ভালো লাগছে,কিন্তু,ঐ সবার মতই অনুরোধ,blank,একটু হাত চালিয়ে,প্লীজ!
  • byaang | 122.172.55.21 | ০৭ জুলাই ২০১০ ০৮:২৬389052
  • ব্ল্যাংকি, খুব জমেছে লেখাটা। তাই একটু তাড়া দিয়ে গেলুম।
  • Manish | 59.90.135.107 | ০৭ জুলাই ২০১০ ১০:৩০389053
  • সানার সাথে একমত:

    তিনটে টই খুব ভালো লাগছে এই মূহে্‌য়্‌র্‌ত।
    এই টই,জম্বু দ্বীপ, আর বিশ্বকাপ ফুটবল।
  • de | 59.163.30.6 | ০৭ জুলাই ২০১০ ১১:২৭389054
  • আজ এসে অনেকটা পল্লাম একসাথে -- খুব ভালো হচ্ছে ব্ল্যাংকি, জলদি আরো হোক!
  • Samik | 121.242.177.19 | ০৭ জুলাই ২০১০ ১১:৩৬389055
  • ওরে শুরু কর্‌র্‌র্‌র্‌র্‌র্‌র্‌র্‌র্‌র্‌র্‌র্‌র্‌র্‌।
  • Sags | 114.143.7.146 | ০৭ জুলাই ২০১০ ১২:৩৫389056
  • কিহোলো কোথায় গেলো সব। আর-ও চাই। ইয়ে দিল মাঙ্গে মোর।
  • Blank | 170.153.65.102 | ০৭ জুলাই ২০১০ ১৩:২৭389058
  • এরপর আরো এগোচ্ছে গাড়ি। সবুজ পাহাড়ে একটা অদ্ভুত লাল ছোট্ট মন্দির, পাশ দিয়ে নেমে এসেছে ছোট্ট একটা ঝরনা। অনেক পেছনে সাদা বরফ পাহাড়। ক্যামেরা বার করার ইচ্ছে হয়, কিন্তু সব পাহাড় ভেদ করে তখন তুমুল তর্কাতর্কি চলছে, চন্দ্রমুখী আলু vs জ্যোতি আলু নিয়ে। আরো কত রকমের আলুর দাম, কোনো এক এস আলুর কথা, সে দেখলেই নাকি ডায়াবেটিস হয়। এক একটা আলু নাকি তিন/চার কেজি। পাশাপাশি চলছে আরো অনেক ঘ্যানোর ঘ্যানোর।
    কিছুক্ষন বাদে একটা ছোট্ট চায়ের দোকানের সামনে থেকে গাড়ি তে উঠলো একটি মেয়ে, কিশোরী বলা যায়। ব্যাস, কাকুদের মধ্যে ফিসফাস। কিছুক্ষন আওয়াজ চললো মেয়েটিকে নিয়ে। তারপরেই ব্যপারটা চলে গেলো কিন্নর কিন্নরী তে। লাস্ট টাইম কিন্নর বেড়াতে গিয়ে বাসে কোন মেয়েটা উঠেছিলো, কার পাশে দাঁড়িয়েছিলো, কে উঁকি ঝুঁকি দিয়েছিলো এইসব। বাকি কিছু কথাবার্তা আপাতত সেন্সর করে দিলুম ...
    তখন প্রায় চোপ্তা এসে গেছে, মাস্ক ডিয়ার স্যাংকচুয়ারির পাশ দিয়ে যাচ্ছি আমরা, তখন হঠাৎ গ্রুপ খ এর কাকু রা চাটাচাটি শুরু করলো গ্রুপ ক নিয়ে। গ্রুপ ক এর কাকু দুজন নাকি কবে সুন্দরবনে গেছিলো। সেখানে যেই সিগ্রেট ধরিয়েছে অমনি দেখে সামনে একটা বাঘ। সেই দেখে ভয়ে সিগ্রেট নিভিয়েছে গাছের গুঁড়িতে, আর অমনি গাছের গুঁড়ি জ্যান্ত হয়ে অজগর হয়ে গেছে (টিনটিনের গপ্প মনে পরে কি !!)। সেই শুনেই গ্রুপ ক এর দাবী যে এতো সত্যজিৎ রায়ের গপ্প হয়ে গেলো। নিজেরা গপ্পও বানাতে পারে না, কি অশিক্ষিত গ্রুপ খ এর দুজন।
    ইতিমধ্যে গ্রুপ ক এর এক মেম্বারের জিজ্ঞাসা যে ফেলুদার গল্প !! সোনার কেল্লা !! কোথায় আছে সুন্দর বন? তাতে অন্য জনের বক্তব্য যে ফেলুদা নয়, ফেলুদা নয়। আরে আর একজন আছে তো, যাকে নিয়ে অনেক গল্প, আরে সত্যজিৎ তাকে নিয়ে অনেক বই লিখেছে।
    আমি আর চাঁদু ভাবলাম যে এবারে একটা ফুট কেটে প্রফেসর শঙ্কু ধরি, যদি শঙ্কু স্যারকে কোনো ভাবে সুন্দরবনে নিয়ে ফেলতে পারেন এনারা। এইসব চিন্তা ভাবনার মাঝেই, ইউরেকা!!! কাকুর মনে পরেছে গপ্পের নাম। সত্যজিৎ রায়ের লেখা টেনিদার গপ্প !!!!!!!!!
    আমরা পুরো স্ট্যাচু !!
    এসে গেলো চোপ্তা ...
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন