এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • বইমেলা বন্ধ,,কি আনন্দ !

    rg
    বইপত্তর | ২৯ জানুয়ারি ২০০৮ | ১১২৪৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • RATssss | 63.192.82.30 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ০৬:৪৬394810
  • যে ব্যাটা মামলা করেছিল তার নাম এবারে কোথাও দেখলাম না, সুভাষ দত্তের মত একজন লোক নয় বোধহয় - তাই আঙ্গুল তুলে দেখানো গেল না তাকে।
    তবে সেই অদেখা লোকটার অঙ্কের মাথার সাধুবাদ দিতে হয় - কি ব্যাপক ক্যালকুলেশন করে মামলা ঠুকেছিলেন তিনি - হিসেব করে রায় বের হল বইমেলার আগের দিন। আগের বছর সুভাষ দত্তও তাই করেছিলেন - ঠিক আগের দিন কোর্ট অর্ডার নিয়ে এসেছিলেন। এর মানে কি কোর্ট হিসেব করে ঠিক আগের দিন রায় জানায় - যাতে এসপার নয় ওসপার - মেলা হলে আদালতের অবমাননা, আর না হলে বাদী পক্ষের জিত। উপর আদালতে যেতে গেলে আরো কিছু সময় নষ্ট। মেলা এমনি পিছিয়ে গেল।

    একটা নিরীহ প্রশ্ন ছিল।
    মামলা চলাকালীন মেলার প্রস্তুতি পুরোদমে চলছিল কি করে? বাঁশ পুতে মাঠ খারাপ তো অলরেডি হয়ে গেল। এটার জন্য কোন রকম ইনজাকসন লাগে না? প্রতীকি মেলায় শোনা যায় কারো অনুমতির ধার ধারা হয় নি - না সেনা না দমকল না সরকার - কারো কাছে অনুমতি চাওয়াই হয় নি। এরকম কোন রকম অনুমতি ছাড়া আলো জ্বলল কি করে? মঞ্চ হল কি করে? মাইক বাজল কি করে? নাকি এটা অনেকটা জমায়েতের মত বলে "ব্রিগেডে মিটিং মানে সব নিয়মের বাইরে' - পর্যায় ভুক্ত।
  • Ishan | 12.240.14.60 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ০৯:৩৮394811
  • ঐ দ্যাখেন, দ্রি আবার শুধু বইমেলা বইমেলা করেন। বইমেলা না। অ্যাজেন্ডাটা ছিল ময়দান থেকে "মেলা' সরানো। "বইমেলা' না।

    দুই নম্বর। শহরতলীতে সরিয়ে নিয়ে যাবার প্ল্যান যদি আবাপরই হয়, তাতে বিশেষ দোষ দেখিনা। শহরের মধ্যে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, গানমেলা থেকে শুরু করে ঝালমুড়ি উৎসব পর্যন্ত সবকিছুই গুঁজে দেবার কোনো মানে নেই। একটু বাইরের দিকে তাকানোর সময় এসেছে। ফুটবল সল্টলেকে গেছে। কলকাতা মানেই বৃহৎ বঙ্গ নয়, এইটা এবার বোঝার সময় হয়েছে। নাড়া দিয়ে বোঝানোর কাজটা যেই করে থাকুক, সুশীল সমাজ, বা আবাপ, বা সিআইএ, ভালই করেছে।
    এর সঙ্গে দূষণের বিশেষ যোগ নেই অবশ্য।

    ঠিক কথা যে ঝট করে কলকাতার বাইরে মেলা পাঠানোতে সমস্যা আছে। সর্ববৃহৎ সমস্যা যাতায়াতের। সে তো থাকবেই। সেক্টর ফাইভ যখন প্রথম তৈরি হল, সেখানে ছিল একটা আখাম্বা বাড়ি। রাজারহাট যখন তৈরি হল (এখনও), যাতায়াতের জন্য কিসুই ছিলনা। তাবলে তো সফটওয়্যার পার্ক ময়দানে তুলে এনে বসানো হয়নি। যে, লে পচা, এইতো খানিকটা ফাঁকা জায়গা আছে, এখানেই শিল্প করি। বরং উল্টোটাই হয়েছে। আগে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্রগুলো তৈরি হয়েছে, সঙ্গে এসেছে যাতায়াত।

    তো, বইমেলা বাইরে নিয়ে গেলেও ঝামেলা থাকবে। অসুবিধে থাকবে। কিন্তু অসুবিধে হলেই জিনিসটাকে শহরে তুলে আনো, এইভাবে চিন্তা করাটা বন্ধ করতে হবে। বরং উল্টো দিকে ভাবা শুরু করুন। বইমেলা নিয়ে যান, দরকার হলে, এয়ারপোর্টের কাছে। যাতায়াতের সমস্যা? তাহলে সঙ্গে তুলে নিয়ে যান বিধানসভা আর মহাকরণকেও। :)

    স্মাইলি দিলেও ইহা ইয়ার্কি নয়। বঙ্গের যাবতীয় ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু থেকে কলকাতাকে সরানোর সময় এসে গেছে।
  • Ishan | 12.240.14.60 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ০৯:৫৭394812
  • আরেকটা কথা। গিল্ডের বইমেলা থেকে ছোটো এবং মাঝারি প্রকাশকরা প্রভূত লাভ করেন, এটা গল্পকথা বিশেষ। আদতে লিটল ম্যাগাজিন এবং ছোটো প্রকাশনা মাছি তাড়ায়। চাহিদা তো আর আকাশ থেকে পড়েনা। সারা বছর ধরে জনতা যাদের নাম শোনে তাদের বইই কেনে। হুজুগে পড়ে লোকে বই কিনতে যায় ঠিকই, কিন্তু তাতে সুনীলবাবুর বিক্রি বাড়ে, অমিয়ভূষণের নয়। ছোটোরা বইমেলার স্টল/টেবিলের জন্য লাইন দেয় স্রেফ ভেসে থাকার জন্য। নইলে সংস্কৃতির মূল স্রোত থেকে হাওয়া হয়ে যেতে হবে। কনট্যাক্ট বাড়বেনা। ইত্যাদি ইত্যাদি।

    আমার ব্যক্তিগত হিসাবে, কলকাতা বইমেলায় সবচেয়ে বেশি অঙ্কের বিক্রি হয় ইংরিজি পাঠ্য বইয়ের স্টলে। ম্যাকগ্রু হিল ইত্যাদি। এর পরে আনন্দ দেজ ইত্যাদি। তারপরে কিছু অখাদ্য বইয়ের দোকান। যারা "হারেমে বন্দিনী রাজকন্যা' ইত্যাদি বার করে। এদের কাছাকাছি না এলেও নিশ মার্কেটে অনুষ্টুপ প্রমা ইত্যাদিরা ভালই বিক্রিবাটা করে। এছাড়া ভুতের বই আর কমিকস বেচে লাভ করেন কিছু দোকানদার। কিন্তু "লিটল ম্যাগাজিন' বা "ছোটো প্রকাশনা' বলে একটা "সিম্পল লিভিং হাই থিংকিং' জাতীয় এলিট স্ট্যাম্প যাদের উপর মারা হয়, তারা মেলায় ঘন্টা লাভ করে।গিল্ড এদের জন্য স্টলের ভাড়া কমায়না। এক পয়সা ভরতুকি দেয়না। মেলায় টিকিটের দাম করেছে পাঁচ টাকা। সেসব কোথায় যায় কে জানে। গিল্ডকে ছোটো প্রকাশনা দরদী বললে বিড়লাকেও শ্রমিকদরদী বলা উচিত।

    বরং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জেলামেলাগুলো ছোটো প্রকাশনাকে অনেক বেশি সুবিধে দেয়। সে অন্য গল্প। কিন্তু গিল্ড দেয়না। আজকে ফাঁপরে পড়ে ছোটো প্রকাশনাদরদী সাজলে হবে?
  • r | 59.162.191.115 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ১০:২৯394813
  • দ্যাকো কান্ড! ঈশেনের সাথে একমত হয়ে গেছি! ;-))

    যাই হোক, লেটেস্ট খবর হল- একটা বইমেলা মনে হচ্ছে হবে, সুভাষবাবুর কৃপায়।

    বাঙালীকে সুভাষই ধরে রেখেছে। পরিবেশ বাঁচাতে সুভাষ, বইমেলা করতে সুভাষ, আর বাকি সব কিছুর জন্য আছেন ঘরে-ফেরে-নাই-সুভাষ। ;-))
  • § | 61.95.167.91 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ১২:১১394814
  • মামুকে ডিট্টো। কলকাতা আর দিল্লিতে এইটাই তফাৎ। কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এলাকার বাইরে আর হাওড়া স্টেশনে গিয়ে ট্রেন ধরে যেতে হয় এমন কোনও জায়গাই মেজর সংখ্যক কলকাত্তাইয়াদের কাছে পৃথিবীর বাইরে।

    সমস্ত শহরই এইভাবে ছড়ায়। ছড়াচ্ছে দিল্লিও। আজ থেকে চার বছর আগেও গাজিয়াবাদে লোক যেত না। খুন জখম চুরি রেপ এসবের জন্য পরিচিত ছিল। লোকজন তা সত্বেও এল, এসে থাকতে শুরু করল, এখন ইনফ্রাস্ট্রাকচারে ছয়লাপ চারদিক। মল্‌ বলো তো মল্‌, শপিং এরিয়া বলো তো শপিং এরিয়া, বড় বড় পার্ক, দিল্লি হাটের অনুকরণে স্বর্ণজয়ন্তী পার্ক। দিল্লির দ্বিতীয় এয়ারপোর্ট হচ্ছে গ্রেটার নয়ডায়। সে দিল্লি থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূর।

    আর দূষণ? প্ল্যান্‌ড মেলা গ্রাউন্‌ঢলে সেটা জাস্ট কোনও সমস্যাই নয়। যারা যারা প্রগতি ময়দান দেখেন নি, এসে দেখে যান। প্রতিটা হল থেকে প্রতিটা হলে যাবার জন্য কংক্রিটের রাস্তা, বাকি জায়গায় সবুজ আর সবুজ। কারুর সেখানে পা দেবার দরকার হয় না। গুচ্ছ রেস্টোর‌্যান্ট, স্থায়ী, খাবার দরকার হলেই খেয়ে নাও। বড় বড় মেলার সময়ে প্রগতি ময়দানের ভেতরে; এবং বাইরে থেকে প্রগতি ময়দান পর্যন্ত ব্যাটারি বাস চলে। লোকে ইন্ডিয়া গেটে বা ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে গাড়ি পার্ক করে রেখে ব্যাটারি বাসে করে মেলায় আসে। আশেপাশের পার্কিংয়ে পার্কিং ফি গুছিয়ে হাই করে রাখা হয়। যেমন ধরো গাড়ির এমনি পার্কিং ফি যদি দশ টাকা হয়, তো ট্রেড ফেয়ারের সময়ে সেটা হয় একশো টাকা সারাদিনের জন্যে। বাইক পঞ্চাশ টাকা। ফলে লোকে চেষ্টা করে কারপুল করে আসতে বা বাসে আসতে।

    দূষণ এভাবেও কমানো যায়। কেবল সদিচ্ছাটা থাকতে হয়। বাই দ্য ওয়ে, প্রগতি ময়দান দিল্লির একেবারে কেন্দ্রে অবস্থিত। বড় মেলার সময়ে অত্যন্ত হেভি ট্রাফিক থাকলেও কখনও তা যানজটের সৃষ্টি করে না। বাড়তি পুলিশ নামিয়ে জিরো টলারেন্স জোন বানিয়ে সুন্দরভাবে ট্রাফিক ক®¾ট্রাল করা হয় ঐ সময়ে।

    বুদ্ধ সুনীল ত্রিদিব মালগুলো কারণে অকারণে অজস্রবার তো দিল্লি আসে টাসে, ভালো জিনিসগুলো শিখতে পারে না?
  • - | 125.18.17.16 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ১২:২৮394815
  • র, তুমি কি হাড় বজ্জাত মাইরী। :-))))))))))))))

    তবে কেস হল দুইটা ক্লারিফিকেশন আছে।

    আমার মতে নন্দ ঘোষ ব্যক্তি বা সংস্থা ছাড়াও একটা জেনেরাল মানসিকতা। সেটা হল 'বই অত ইম্পর্ট্যান্ট কিসু না' এরকম একটা মানসিকতা। এবং সেটাকে মাঝে মাঝে জনস্বার্থ বলে একটা ঢপস্য চপসমগ্রর সঙ্গে চালানো। এই যে যখন তখন জনস্বার্থ জেগে উঠছে তার থেকেই বোঝা যায় জুডিশিয়াল ও অন্যান্য দায়িঙ্কÄ জ্ঞানহীন অ্যাকটিভিজম বেসিকালি বাজে হেজেমনিক ধ্যান ধারণার আইনি রক্ষার টুল হয়ে উঠছে।

    আর রবি দাদু ও গান্ধী সম্পর্কে আমার একটি ছোটো বক্তব্য আছে। রবীন্দ্রনাথ যন্ত্র সভ্যতা তথা ইউরোপীয় সভ্যতার মহা মহা ক্রিটিক নামিয়েছিলেন ঠিক ই কিন্তু কলোনিয়াল এডুকেশন কে একটি নিজের মত চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন আশ্রম ও পরে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করে। শ্রীনিকেতন করে ছিলেন যদিও কৃষি একদিক থেকে পরিবেশের ভার্জিনিটির বিরোধী। রথী ঠাকুরকে আমেরিকায় পাঠিয়েছিলেন কৃষিবিজ্ঞান পড়ার জন্য। কিন্তু শুধুই প্রকৃতির কোল বা বল্লভপুর অভয়ারণ্য প্রতিষ্ঠা করেন নি। বাংলায় এটা বোঝা দরকার। এখন বিভিন্ন অভয়ারণ্য আর বিশ্বভারতীর মধ্যেকার সীমানা যে ক্রমশ বিলীন হয়ে যাচ্ছে সেটা দাদুর দাদুর দোষ নয়।

    গান্ধী র খাদি গ্রামোদ্যোগ ইত্যাদি ও পশ্চিমি ধনতন্ত্রের মডেলের একটা ছোট মত ক্রিটিক। এই ক্রিটিক গুলো পরাধীন দেশের বুদ্ধিজীবি আর আইডিয়োলোগ দের দায়।

    কিন্তু এগুলোর সঙ্গে এখনকার পরিবেশবাদের ফর্ম ও কন্টেন্টে বিস্তর পার্থক্য আছে। এগুলো আলাদা কেস।

    কিন্তু সেসব কথা অর্পনকে উত্তর দিতে গিয়ে লিখেছিলাম। এর সগে বর্তমান কেসের সম্পক্ক কম।আমার মোদ্দা বক্তব্য বইমেলা চাই। মন্ডপ কর্মীদের ভিয়েনের ধোঁওয়া কে এই যে প্রায় নিউক্লিয়ার ওয়েস্টের মত করে দেখানো হচ্ছে এটা ফালতু উদ্দেশ্য প্রণোদিত ঢপ।
  • - | 125.18.17.16 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ১২:৫৫394816
  • দিল্লী শহ অন্যত্র যে স্বর্গ আরোপিত হয়েছে এট তোমার লেখা পড়ে বুঝলাম। এশিয়াডের সময় থেকে মোটা মুটি বিভিন্ন পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকে জমি ঝেড়ে ঝেড়ে দিল্লী বেড়েছে। এই হারে আর কেউ বাড়ে নাই। ইনভেস্টেমেন্টে বাড়ে নাই। বাড়লেও শুধুই জনসংখ্যায় বেড়েছে। কেস হল ইনফ্রাস্ট্রাকচারের সমস্যা, পরিবেশবাদ ও মার্ক্সবাদের তাঙ্কিÄক রিজোলিউশন ইত্যাদি না হওয়া অব্দি বইমেলা হবে না এটা কোন কথা হল?
  • shrabani | 124.30.233.102 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ১৩:১৬394817
  • প্রগতি ময়দানে ট্রেড ফেয়ার টাই একমাত্র grand scale এ হয়, এবং আয়োজন ও খুব ভালো থাকে। তবে ঐ সময় প্রায় প্রতিদিনই ট্র্যাফিক জ্যাম ও প্রচুর হয়। এমনিতেও দিল্লী থেকে আসতে বা দিল্লী যেতে প্রতি অফিসের দিনই অফিসযাত্রীদের বেহাল অবস্থা হয় কারন প্রচুর গাড়ী বেরোয় রাস্তায় আর দিল্লীর পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা অতি বাজে। আর ট্রেড ফেয়ার আজ এমন হয়ে উঠেছে, আমাদের ছোটোবেলায় এত বন্দোবস্ত দেখিনি তখন ট্রেড ফেয়ার নিয়ে সাধারন লোকের কোনো উৎসাহ ছিলনা ।

    তবে কলকাতায়ও এরকম একটা স্থায়ী মেলা গ্রাউন্ড হলেই ভালো হয়, কিন্তু বাইপাসের ধারে, সোনার কলকাতার পিছনে যে জায়গা তার জন্যে ধার্য (গতবছর বিদ্যাসাগর মেলায় গেছি) সেখানে প্রগতি ময়দান জাতীয় কিছু তৈরী করা অসম্ভব, অত জায়গাই নেই।
    আর দিল্লীর বুক ফেয়ার অত্যন্ত বাজে লাগে, কেন কেউ জিজ্ঞেস করোনা। কলকাতায় মনে হয় রোজ গেলেও বোর হইনা আর দিল্লীরটাতে নিয়মরক্ষা একদিন!
  • Blank | 203.99.212.224 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ১৩:৪৪394818
  • এইবারে আবাপ নিজেরাই মেলা করতে চেয়েছে আরো কিছু পাবলিশার্স মিলে। এইটাই চাইছিলো বহুদিন ধরে ওরা। বাংলা সাহিত্যের জগত ওদের হাতে থাকবে না, তাই কখনো হয় নাকি?
  • § | 61.95.167.91 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ১৪:২৪394820
  • ১: বোধিকে। দিল্লি স্বর্গ সেকথা আমি বলছি না। দিল্লিতেও ঘ্যামা ঘ্যামা ট্র্যাফিক জ্যাম হওয়া জায়গা আছে, সে সব ঠেলে আমি রোজ অফিস করি। খারাপ খারাপ রাস্তাঘাটও অনেক আছে টাছে। সেটা কথা না। কথা হল, পাশের রাজ্য থেকে জমি ঝেঁপেই হোক বা যে করেই হোক (জমি ঝাঁপেনি বলেই আমি জানি, দিল্লি নামক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সীমানা খুব স্পষ্টভাবে নির্দিষ্ট), সময়ের সাথে তাল রেখে সে যখন বাড়তে পেরেছে, কলকাতা কেন পারবে না? কেন কলিকাতা কেবল কলিকাতাতেই থাকবে? সাতলক্ষ-ওলা পিনকোড ফ্রিতে দিতে হলে কেবল দেওয়া হবে সল্টলেক রাজারহাট ঐদিকেই? ইনভেস্টমেন্ট ঐদিকেই? গঙ্গার অন্য পাড়টা কি ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা? হুগলি, হাওড়া, মেদিনীপুর? কেবল কলকাতা টেলিফোনের জিরো থ্রি থ্রি কোডটা ছাড়া আর কী পাই আমরা? ভালো রাস্তা, ভালো পরিবহন ব্যবস্থা? ভালো ইনভেস্টমেন্ট? কয়েক বছর আগে পর্যন্ত আমার এলাকায় একটাও এটিএম ছিল না। রিসেন্টলি হয়েছে। কেন? গঙ্গার এপাড়ে বাড়তে কি কলকাতার খুব অসুবিধে? জমি কম পড়েছে?

    এই রকমের হুড়কো আরো চাই, যত বেশি হুড়কো হবে, মিলনমেলার কাজ তত তাড়াতাড়ি শেষ হবে। হুড়কো না খেলে ও মেলাপ্রাঙ্গণ আগামী কুড়ি বছরেও শেষ হবে না। আফটার অল পশ্চিমবঙ্গ কিনা!
  • rg | 203.196.253.193 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ১৪:২৬394821
  • ওটিকে বইমেলা না বলে স্বজনমেলা বলাই শ্রেয়
  • § | 61.95.167.91 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ১৪:৩০394823
  • ২: শ্রাবণীকে।

    গত বছর পর্যন্ত ট্রেড ফেয়ারটাই কলকাতা বইমেলার সমতুল্য বিশাল মেলা ছিল। এ বছর থেকে তার সাথে জুড়লো অটো এক্সপো। আগের বার পর্যন্ত অটো এক্সপো এত বিশালভাবে হয় নি যেভাবে এবার হয়েছে। প্রসঙ্গত, অটো এক্সপো হয় দুবছরে একবার। এর পর আবার হবে ২০১০তে।

    যেহেতু অটো এক্সপো এর আগে এত বিশাল ভাবে কখনও হয় নি, ফলে দিল্লি ট্রাফিক পুলিশ কোনও বন্দোবস্তই করতে পারে নি, ঐ এক সপ্তাহের জন্য প্রগতি ময়দান এলাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছিল। আশা করি সামনের বার থেকে শুধরে যাবে।

    ট্রেড ফেয়ার দেখছি এই চার বছর হল। আর প্রগতি ময়দানের সামনের রাস্তা দিয়ে অমি রোজ অফিস যাই। একটা কথা বলতে পারি, ঐ ভৈরোঁ রোড মথুরা রোডে বছরের সমস্ত সময়ে অফিস টাইমে ভয়ঙ্কর জ্যাম থাকে, কিন্তু ট্রেড ফেয়ারের পনেরো দিন জ্যাম থাকে না। স্মুথ চলে সব গাড়ি। কেউ দাঁড়ালেই তার গাড়ি টো করে নিয়ে চলে যাওয়া হয়। নো টলারেন্স।

    দিল্লির পাবলিক ট্রান্সপোর্ট অতি বাজে, নো ডাউট। সেইজন্যেই লোকে নিজেদের গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরোয়, কিন্তু ট্রেড ফেয়ার উপলক্ষ্যে যে ব্যবস্থাগুলো করা হয়, সেগুলো তো অস্বীকার করা যায় না। একটা বড় মেলা শহরের কেন্দ্রে হলে পরে ট্র্যাফিক কমানোর জন্য ব্যাটারি বাস, দূরে কোথাও পার্কিং ... এ সব কি কলকাতায় ইমপ্লিমেন্ট করা যায় না?

    দিল্লিতে বইয়ের কোনও স্টেটাস নেই, বইমেলা এখানে ব্রাত্য হবেই। রিয়েল এস্টেট, গাড়ি আর ট্রেড ফেয়ারের মত মেলা এখানে ভালো চলে। এখানে বই পড়ে কজন?
  • Arpan | 202.91.136.4 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ১৪:৩০394822
  • দ্রিকে বলার ছিল: পরিবেশ রক্ষার ব্যপারটা এখনো পুরো ইউরোপকেন্দ্রিক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বলা হচ্ছে পরিবেশ বাঁচাবার জন্য যত পারুন পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করুন। এই সচেতনতাটা আমেরিকাতে স্রেফ নেই। যে মানসিকতার নজির দেখা গেছে কিয়োটো বা সদ্যসমাপ্ত বালি সম্মেলনে।

    ব আর র কে ধন্যবাদ জানায়ে বলি মার্ক্স বা এঙ্গেলসের পরিবেশ ভাবনা নিয়ে ঠিক প্রশ্নটা তুলিনি। :-) তাঙ্কিÄক বা ব্যবহারিক দিক থেকে পরিবেশরক্ষার ভাবনাটা প্রায়োরিটি পাবার জন্য কেন উত্তর ইওরোপের লিবেরাল চিন্তকদের কাছে হাত পাততে হয়? ১৯৬০ থেকে আজ অবধি অরল সাগরের (aral sea) প্রায় ৬০% জাস্ট মুছে গিয়েছে আমুদরিয়া নদীর খাত অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেবার জন্য। যার অন্যতম কারণ ছিল তুলোচাষে সোভিয়েত ইউনিয়নের সাবলম্বী হবার প্রচেষ্টা। খুব রিসেন্ট খবরের মধ্যে আছে চীনে ইয়াংসিকিয়াং নদীতে রিভার ডলফিনের বিলুপ্তি (দূষণের কারণে)। অথবা এভারেস্টের বেস অবধি রাস্তা বানাবার প্ল্যান।
  • Arpan | 202.91.136.4 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ১৪:৫৩394824
  • লেটেস্ট আপডেট:

    প্রতীকী বইমেলা ময়দানে কেন তাদের আগাম অনুমতি নিয়ে করা হয়নি তার কৈফিয়ত চেয়ে পুলিশ আর গিল্ডকে চিঠি দিয়েছে সেনা কর্তৃপক্ষ। ;-))
  • kallol | 220.226.209.2 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ১৫:০০394825
  • গঙ্গার ওপাড়ে কলকাতা বাড়বে ! মানে হাওড়াতে/মেদিনীপুরে কলকাতা বাড়বে ? আমার যতদূর মনে পড়ছে বজবজ ছাড়িয়েও গঙ্গার ওপাড়ে এক ইঞ্চি জমিও কোথাও নেই। এটা গেল দক্ষিণের দিকটা। আর উত্তরের দিকে ? নৈহাটি পর্যন্ত গঙ্গার ওপাড়ে আধ ইঞ্চি জমি দেখালে নতুন দেশ আবিস্কারে নোবেল সেধে দিয়ে যাবে।
    কলকাতার বাড়ার জায়গা পূবে ছাড়া কোথাও নেই। পূবেও নেই - কারন জলাজমি।
    জনসংখ্যা ঘনত্বের ম্যাপ দেখে নিন কলকাতা আর তার আশেপাশে - তাহলেই পরিস্কার হয়ে যাবে।
  • Blank | 203.99.212.224 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ১৫:০৪394826
  • আরে 'মিলন মেলা' নিয়ে এত চেঁচামেচির কি আছে? ও তো একটা ছোট্ট পুচকে জায়গা। 'মিলন মেলায়' বইমেলা করা আর আমাদের ইস্কুলের মাঠে বই মেলা করা, এক ই ব্যপার।
  • Arijit | 128.240.229.3 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ১৫:০৭394827
  • বারাসাত অবধি তো কলকাতা হয়ে গেছে (পোস্টকোড অনুযায়ী) - সেটাও এক প্রকার "বাড়া'-ই বটে;-) বাইপাসের পূবে জলাজমি বোজানোও চলবে - তার খারাপ দিকও আছে, এই মুহুর্তে সবজির দাম বাড়াটা মনে পড়ছে। উদিকে বারুইপুরের দিকে আর দক্ষিণে রেনিয়া-র দিকে বাড়বে। মেগাসিটি প্রকল্পে সেরকমই ছিলো বলে মনে হচ্ছে। আমাদের বাড়ি থেকে আরো দক্ষিণে হুহু করে জমির দাম বেড়েছে।
  • Arpan | 202.91.136.4 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ১৫:১৪394829
  • জলাভূমি বোজানোর খারাপ দিক হল সব্জির দাম বাড়া! সাধে কয়েছি, কমিউনিস্টদের পরিবেশ সচেতনতা নাই। :-)))
  • Blank | 203.99.212.224 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ১৫:১৪394828
  • বারুইপুর অব্দি তো কোলকাতার পিনকোড।
  • Arijit | 128.240.229.3 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ১৫:১৫394831
  • উ: পরিবেশের ডাইরেক্ট ইমপ্যাক্ট ছাড়া ইনডাইরেক্ট ইমপ্যাক্ট। অত কিলিয়ার করে লিখতে গেলে তো বই লিখতে হবে।
  • - | 125.18.17.16 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ১৫:২৩394833
  • অর্পনের এই শেষ পোস্ট টি অতীব বিচিত্র। পৃথিবীর সর্বত্র, শুধু সোভিয়েত ইউনিয়ন আর চীনে নয়, জেনেরালি পরিবেশ বস্তুটির বারোটা বাজিয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন হয়েছে এবং আরো ভালো ভাবে বলতে গেলে এখনো গুছিয়ে হচ্ছে।

    একটা জিনিস বুঝতে হবে, চীন এবং সোভিয়ে ইউনিয়ন যে সময়ে বেশি বেশি করে ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজ করেছে সে আমলে দুটি জিনিস ছিল না। এক হচ্ছে , পরিবিবেশ ভাবনা। কোন আইডিয়োলোজির মধ্যেই ছিল না। দ্বিতীয়ত রাষ্ট্রশক্তি র বৃদ্ধি বলতে আরো নান ধপের মধ্যে মূলত ইনডাস্ট্রিয়াল তাকৎ বৃদ্ধি বোঝায়। সেটা ওয়ার ইকোনোমিতেও বোঝায়, এখনো বোঝায়, বিশ্বায়িত শান্তির সময়ে।

    প্রথমে সোভিয়েত পরে চীন এই মডেলেই গেছে। এখন সোভিয়ে দেশ কেস টা উঠে গ্যাছে। কিন্তু চীন এই ভাবনার থেকে কিছু আলাদা করে নি। আর ইউরোপ তথা উন্নত ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনোমিতেও বিরাট কোন পরিবর্তন হয় নি। নকড়া বাজি ছাড়া। যেমন ধর নতুন করে নিউক্লিয়ার ফুয়েলে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছে ব্রিটেন। সেসব নিয়ে কথা হয়েছে। ওশিয়ান ওয়েভ থেকে শক্তি উৎপাদন এখনো গবেষণা ও ঢক্কা নিনাদ পর্যায়ে। আর আরেকটা অতীব গুরুঙ্কÄপূর্ণ বিষয় রয়েছে। আইন কানুনের বাধা টাধা যতটুকু তৈরী হয়েছে তাই দিয়ে বড় কারখানা স্থাপন কোনদিন ই আটকানো যায় না এবং সবচেয়ে বড় কথা এইসব আইনের কেস নেই বলেই পশ্চিমের পুঁজির পূর্ব আগমন। লেবারের মুভমেন্টে আর পরিবেশ রক্ষায় কারো আইনি বাধা তৃতীয় বিশ্বে নেই।
    তেমনি মনে রাখতে হবে ইনফ্রাস্ট্রাকচারাল ডেভেলপমেন্ট বলতে যা বোঝায় সেটা মোটামুটি বহুদিন আগে শেষ হয়ে গেছে। একটা ডেটা দেওয়া যায়, ব্রিটেনের হাইওয়ে নেটওয়ার্কের এখন যা চেহারা শেটা পঞ্চাশের দশকেই এসে গিয়েছিলম। তার পরে প্রথম বড় রাস্তা /পথ হয়েছে দুটো। বার্মিংহামের একটা রাস্তা।টোল রোড। আর ইউরোস্টারের লন্ডন অব্দি বিস্তৃতি।

    চেহারাটা তৃতীয় বিশ্বে বা উন্নয়নশীল দেশে একদম অন্যরকম। চীন ধর স্টীল কনজাম্পশনে তীব্র গতি এনেছে। তার মূল কারণ এই সব কাজ এখনো অনেক বাকি। (বা উল্টো করে বলা যেতে পারে, এখনো খাদি গ্রামোদ্যোগ মডেলে বড় আকারে কিসু হয় না।)টেকনোলোজিতে এমন কিসু এখনো হয় নি যে সিমেন্টের কারখানা আর স্টীলের কারখান আর ড্যাম বা ব্যারেজ পরিবেশের বারোটা বাজাবে না। চাড় ও নেই খুব কারো। লন্ডনের বিজনেসে লিডারদের মধ্যে গ্লোবাল ওয়ার্মিং তথা পরিবেশের ইস্যু নিয়ে সার্ভে হয়েছে। জিগেস করা হয়েছিল , এই সব ইস্যু কে কতটা গুরুঙ্কÄ দেন। তারা বলেছেন এটা আদৌ ভাবি না। ইন্ডিপেন্ডেন্ট কাগজ এই সার্ভে করেছিল। ইগনোরান্সের দোষটা অত্যন্ত ব্যাপক। আরেকটা কথা বলা প্রয়োজন, পরিবেশ নিয়ে এত উচ্ছাসের একটা রাজনৈতিক দিক নেই ভাবতে কষ্ট হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ভাবেও আছে। স্থানীয় জাতীয় ভাবেও আছে।

    নাইজেরিয়াতে তেলের খনিতে পরিবেশ ও মানুষের বারোটা বাজাছে ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম। ইন্দোনেশিয়াতে একই কাজ করছে অস্ট্রেলিয়ান আর কানাডিয়ান মিনেরেল কোং। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ওজোন ফুটো করার মত গ্যাস ছাড়ে একটি দেশ, তার নাম ইউ এস এ। আমাজনের ফ্রেস্ট আর মালয় ফরেস্টে লগিং যারা করে তারা প্রকাশকদের স্থানীয় সংস্থা নয়। এই সব কথা তো সর্বজন বিদিত হওয়ার কথা। উদাহরণের সম্পূর্ণ তালিকা বানানো সম্ভব নয়।

    পরিবেশ ভাবনা খুব ভালো ব্যাপার। কিন্তু ময়দানের মেলাগুলো পরিবেশ দুষণকারী হল সব ছেড়ে এটা সম্পূর্ণ বোগাস। ভিয়েনের ধোঁওয়া কতটা ক্ষতি করতে পারে? বাজে পোলিটিকাল কেস। গিল্ড ভেঙ্গে গিয়ে পাল্টা মেলা হলে বাতাসের দূষণ কমে যাবে?
  • r | 125.18.17.16 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ১৫:২৩394832
  • শমীক যেটা বলতে চেয়েছে সেটা একশ পার্সেন্ট খাঁটি- পশ্চিমবঙ্গের যাবতীয় রক্ত মুখে এসে জমেছে, যাবতীয় উন্নয়ন ও পরিবর্তন কলকাতামুখী, কলকাতা বাদে দ্বিতীয় একটি শহর তৈরি করা যায় নি, শিলিগুড়ি, আসানসোল, দুর্গাপুর- কোনোটাই ভদ্রস্থ বড় শহরের পর্যায়ে উঠতে পারে নি, মহীশূর, পুনে, নাগপুর এমনকি বরোদা বা ম্যাঙ্গালোরের মত। এটা কোনো এক সরকারের ব্যর্থতা নয়, দীর্ঘসময় ধরে এটাই আমাদের প্রশাসনিক প্র্যাক্টিস। আর কলকাতা নিয়ে একধরনের ন্যাকামি ও আদেখলাপনা এই প্র্যাক্টিসকে আরও উসকে দেয়।
  • § | 61.95.167.91 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ১৫:২৫394834
  • গঙ্গার এপাড়ে নতুন শহরের পত্তন করার কথা বলছি না, গঙ্গার এপাড়ের জনবসতির ইতিহাস কলকাতার থেকেও পুরনো, কিন্তু অন্তত এক্সিস্টিং জনপদগুলোকে কলকাতার মত ইনফ্রাস্ট্রাকচার দেবার কথা ভাবা যেতে পারে। হুগলি হাওড়া নদীয়া চব্বিশ পরগণার জনসংখ্যা যোগ করে দেখিয়ে বৃহত্তর কলকাতা এ-ওয়ান সিটির মর্যাদা পায়, অথচ ক্ষীরগুলো পায় কেবল আদি কলকাতা। ভালো ভালো রাস্তাঘাট, সুষ্ঠুতর পয়:প্রণালী, ভালো পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, গুরুত্বপূর্ণ অফিস, সব, সব কেবল আদি কলকাতার জন্য। গত কয়েক বছরে সল্টলেকে কয়েকটা সরকারি ভবন হয়েছে অবশ্য, কিন্তু সল্টলেকের ইনফ্রাস্ট্রাকচারও প্রপার কলকাতার তুলনায় অনেক নিচুস্তরের। গিল্ডের আপত্তিও একেবারে ফেলে দেবার মত নয়।

    গঙ্গার এপাড়ে দিল্লি রোড ধরে আসতে গেলে অনেক এমন জমি পড়ে, যেখানে এমন ময়দানতুল্য মেলাপ্রাঙ্গণ হতে পারে। কিন্তু ট্রান্সপোর্ট! ঐ পর্যন্ত আসতেই তো অর্ধেক দিন বেরিয়ে যাবে। লোকে মেলা দেখবে কখন?

    ময়দানে মেলা করার গোঁ ধরে রাখাটাও যেমন বাতুলতা, তেমনি প্রপার যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার আগেই বইমেলার মত একটা মেলাকে শহরের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়াটাও বাতুলতা। সবই তো রাতারাতি হয় না। সময় লাগে। ময়দানের সমস্যা তো হালফিলের। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার কিন্তু যথেষ্ট সুযোগ ছিল গত তিরিশ বছরে। হয় নি।
  • r | 125.18.17.16 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ১৫:৩২394835
  • আচ্ছা, বোধি বারবার "সব ছেড়ে" বলছে কেন? কেউ তো বলে নি "সব ছেড়ে"? কমার্শিয়াল ভেহিকল এবং এল পি জি/সি এন জির উপর জনস্বার্থের মামলা তো বেশ পুরোনো, এবং হাইকোর্টের রায়ও অনেকদিন হল বেরিয়েছে। প্রশাসন "করছি করছি" বলে কিছুই করে নি, কারণ ট্রান্সপোর্ট মালিকদের একটা বড় লবি আছে যারা কিছু করতে গেলেই অনির্দিষ্ট ধর্মঘটের হুমকি দেয়।
  • - | 125.18.17.16 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ১৫:৩৮394836
  • ও তাইলে আবাপ আর পরিবেশ বাদী দেরো বেসিকালি হুড়কোয় কাজ হয়?
  • - | 125.18.17.16 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ১৫:৪১394837
  • বিজ্ঞাপন কমে যাওয়া যেমন একটি বড় হুড়কো।
  • r | 125.18.17.16 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ১৫:৪৬394838
  • আমারও এই দাও ফিরে সে অরণ্য টাইপের ন্যাকা পরিবেশবাদে ঘোরতর আপত্তি আছে। কিন্তু তাই বলে শিল্প হচ্ছে, বই হচ্ছে, তাই ধোঁয়া খা- এজাতীয় উনিশ শতকীয় ভাবনাকেও সমর্থন করি না। এইধরনের ভাবনার প্রবল সমর্থক হল আমেরিকার ডানপন্থী নিওকন থিঙ্কট্যাঙ্কগুলো যারা বলে যে পরিবেশের থেকে শিল্প ও ব্যবসা বেশি জরুরী এবং গ্লোবাল ওয়ার্মিং একটি সংখ্যাতাঙ্কিÄক ভাঁওতাবাজি। কলকাতার বায়ুদূষণ প্রতিদিনের জীবনে আমাকে এমনভাবে ব্যতিব্যস্ত করে যে তার একটি উৎস, মাইনর হলেও, যদি দূর হয়, আমি তাকে সাধুবাদ জানাব।
  • kallol | 220.226.209.2 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ১৫:৪৯394839
  • ওহো! বুঝতে পারিনি। আমি ভেবেছিলাম কলকাতা বাড়ানোর কথা হচ্ছে। তবে একটা কথা খুব সত্যি বাংলার অন্য শহরগুলো (কিছুটা শিলিগুড়ি ছাড়া) এখোনো ""মফ:স্বল"" হয়েই রইলো।
    আর বইমেলা তো গড়িয়া স্টেশনের ওদিকেই করা যেত। এখন তো পাতাল রেল যাচ্ছে। গড়িয়া স্টেশনের পূবে প্রচুর ফাঁকা জায়গা আছে।
  • - | 125.18.17.16 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ১৬:০১394840
  • র এর কাছে নিও কন গাল খেয়ে প্রফুল্ল বোধ করছি। আমার বক্তব্য-ও সহজ। র যখন নিজের পছন্দ বলছে। আমি ও বলি। শিল্পস্থাপনের পরিবেশের মাপকাঠি আর মেলা র পারমিশনের মাপকাঠি এক হওয়ার সমস্যা হল তাতে মেলা গুলো বন্ধ করা যায় কিন্তু প্রবল ক্যাপিটালের ঠেলা সামলানো যায় না। এই খানেই 'সব ছাড়া' টা আমার কাছে গুরুঙ্কÄপূর্ণ।
  • - | 125.18.17.16 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ১৬:০৩394842
  • এবং আর দুটো পয়েন হল:

    ক। অন্য জায়গায় হলে দূষণ কমে যাবে এটা ওভার অল বাজে যুক্তি।

    খ। অ্যাক্টিভিজমের প্রায়োরিটি না থাকা নিয়ে র এর যদি সমস্যা না থাকে আমার ব্যাপক আছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন