এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গোপালকৃষ্‌ণ গান্ধী মুখোশধারী রাজনীতিক নাকি ন

    sarathi
    অন্যান্য | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৮ | ২২৫২৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • bitoshok | 128.101.220.108 | ০৮ অক্টোবর ২০০৮ ০২:৩২401941
  • নরেন বাবু তো দেখলাম ফোকোটে জমি দেননি। জমিটাও সরকারি। ইয়েচুরি মশাই-এর কথাতেও দেখলাম কেমন যেন অভিযোগের সুর। (এখানে হলদিয়া পেট্রোকেমে টাটার ভুমিকা টাও একটু স্মরণ করা যেতে পারে।)

    এবার পব সরকার আর টাটার চুক্তিটা বাইরে প্রকাশ করা হোক। নরেন বাবুর সাথে এট্টু তুলনা করে দেখি।

    এক 'চাষার ব্যাটা' দু বছর আগেই বারণ করেছিলো কিলিয়ে কাঁঠাল পাকানোর চেষ্টা না করতে।
  • shyamal | 64.47.121.98 | ০৮ অক্টোবর ২০০৮ ০২:৫৫401942
  • দেখলাম নরেন্দ্র মোদী পঞ্চাশ লাখ টাকা প্রতি একরে দিচ্ছেন জমির মালিকদের। বুদ্ধদেব বোধ হয় অনেক কম দিয়েছিলেন।
  • Du | 67.111.229.98 | ০৮ অক্টোবর ২০০৮ ০৩:০৬401943
  • সরকারি জমির মালিকদের ? !
  • bozo | 128.111.119.175 | ০৮ অক্টোবর ২০০৮ ০৪:১৭401944
  • না জমি সরকারের। টাটা কিনে নেবে। লিজে নয়।
    এটা আমি বুঝলাম না। সিঙ্গুরে জমি টাটা কেনে নি। লিজে নিয়েছে। কেন?
    নাম্বার অফ হেডস বেশী বলে টাটা নিজে ডিল করে নি। কিন্তু সরকারের জমি অধিগ্রহনের পরে টাটা কেনে নি কেন? সেখানে তো এক জন কাস্টমার থেকেই কিনতে হত।
  • aja | 207.47.98.129 | ০৮ অক্টোবর ২০০৮ ০৪:২৪401945
  • হয়তো টাটা এত টাকা একসাথে দেওয়া অ্যাভয়েড করতে চাইছিল। হয়তো প:ব: সরকার জমি একেবারে ছেড়ে দিতে চায় নি। অনেক কিছুই হতে পারে।
  • shyamal | 72.24.189.126 | ০৮ অক্টোবর ২০০৮ ০৫:৫৬401946
  • সরকার লোকের কাছ থেকেও জমি কিনেছে।
    http://tinyurl.com/3qbwdg

  • shyamal | 72.24.189.126 | ০৮ অক্টোবর ২০০৮ ০৬:০৩401947
  • এই লেখাটা পড়লে বুঝবেন কেন প:বঙ্গ অনুন্নত আর গুজরাত উন্নত। http://www.anandabazar.com/8desh2.htm
    গুজরাতে উন্নয়নের ব্যাপারে দ্বিমত নেই রাজ্যবাসীর।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১০ অক্টোবর ২০০৮ ১০:০৫401948
  • সানন্দের জমিটা এগ্রিকালচারাল ইউনির বলে তো শুনলাম।
  • ranjan roy | 122.168.25.136 | ১২ অক্টোবর ২০০৮ ১৪:০৪401949
  • bbকে,
    ভাই, আপনাকে অবিশ্বাস করবো কেন? আমিও কোন দলের ক্যাডার নই। আমি সিপিএম এবং আর এস এস, এই দুই ক্যাডার বেসড্‌ পার্টিকে খুব কাছ থেকে দেখেছি।
    প্রথম দলে আমার কাকা-কাকিমা, ভাই-বোন সবাই আছে।
    দ্বিতীয় দলে বিলাসপুরে আমার কিছু কলিগ আছে। আমার ক্যাডার-বেসড- দলের আবহাওয়ায় একটু দমবন্ধ লাগে।
    আর এ'ব্যপারে দুই দলে মিল খুব।
    এংগেলস্‌ ডায়লেক্টিকস্‌ বোঝাতে গিয়ে বলেছেন না'' Two extremes meet'' এটা দ্বন্দ্ববাদের সুপ্রাচীন উদাহরণ:)))।
    আর ক্যাডারদের জার্গন অন্যরকম হয়।
    আমার চোখে আপনি মধ্যবিত্ত হোয়াইট্‌কলার জব করনেওলা সুসংস্কৃত ভদ্রলোক।
    আমার কাজই হচ্ছে সবাইকে ফেস্‌ ভ্যালুতে স্বীকার করা। যে যা বলছেন নিজের বিশ্বাস অনুযায়ী সত্যি কথা বলছেন-- এইটা মেনে নেওয়া। বাকিটা বোঝার বা জানার ভুল। এটা একটা কন্টিনিউয়াস প্রসেস।
    আসলে আপনি-আমি সবাই অন্ধের হস্তীদর্শন করছি। আমি হয়তো ন্যাজ ধরেছি, আপনি ধরেছেন শুঁড়। সবাই মিলে জোড়াদিয়ে ক¾ট্রাডিক্‌শন গুলোর সমাধান করে একটা পূর্ণাঙ্গ( যদিও সেটাও হবে approximate) ছবি বানানোর চেষ্টা করা।
    না, কোন হেট্‌ ক্যাম্পেন নয়, কিন্তু টাটার deification ও তো উচিৎ নয়। টাটা যা , টাটা তাই,---ভারতবর্ষের বৃহত্তম শিল্পপতি- পুঁজিপতিদের অগ্রগণ্য একজন।
    আর ''আমেরিকার চেয়ে খারাপ(?)'' কেন বলছেন? বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ, বিজ্ঞান ও টেকনোলজিতে সবচেয়ে ডেভেলপড্‌ দেশ খারাপ কেন হবে? তাহলে আর আপনার-আমার ছানাপোনারা ওখানে যাবার জন্যে হুড়োহুড়ি করতো কেন?
    কোন স্পেসিফিক পয়েন্টে আমেরিকান সরকারের সমালোচনা করা যেতে পারে।
    আর টাটা? ফোর্ড-রকফেলাররা যা করে
    তাই ছোট স্কেলে করার চেষ্টা করছে, করবে। কারণ ওর মোটিভেশন প্রফিট ও পুঁজিসঞ্চয়। এটা ওর স্বভাব। তাই নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে( বেঙ্গালুরু বা উত্তরাঞ্চলও তো যেতে পারতো, মোদি কেন?) হাত মেলাতে ওর কোন ভ্যালু প্রবলেম নেই।
    আর সিপিএম টাটার প্রশংসা করলে গা জ্বলে? তা একটু হয় বৈকি!
    কারণ? ১৯৬৮-৭০ এ ইলেকশন ক্যাম্পেনে সিপিএম এর দুটো গানের কথা বলছি।
    একটা রঘুপতি-রাঘব'র প্যারডি।
    -'' টাটা-বিড়লা তেরে নাম, সবকো সন্মতি দে ভগবান''।
    আর সলিল চৌধুরির রাজকাপুরের ''জাগতে রহো'' ফিল্মে সলিল চৌধুরির ভাংড়া সুরের নকলে ---
    '' সত্যি বলছি ভাই সত্যি!
    লটকে দিও মোরে ল্যাম্পপোস্টে ভাই মিথ্যে পেলে এক রত্তি।
    এ আজব গণতন্ত্র----।
    স্বাধীন দেশে খেতে চাইলে ভাই হবে তোমার জেল,
    আর টাটা-বিড়লা মানুষ মেরে পায় পদ্মভূষণ টাইটেল''।
    এর আজ চল্লিশ বছর পরে টাটাকে ভগবান বানালে বুড়োদের খারাপ লাগবে না?
    পাই য়ের দেয়া সংহতির লিংকে লেখা আপনার বাজে লেগেছে। লাগতেই পারে। সংহতির লেখায় নিও-লেফট্‌ পার্টিজান সুর স্পষ্ট।
    কিন্তু বোজোর দেয়া আমেরিকান ইউনিভার্সিটির পলিটিক্যাল সায়েন্স ডিপার্টমেন্টে সুব্বিয়ার বিশাল ডকুমেন্টটি দেখুন। তাতে ১৯৫৭-৫৮ র দুটো স্ট্রাইক, তার প্রেক্ষাপট, টাটাদের বক্তব্য,সেইসময়ের সব পত্রিকার রিপোর্ট , সবই আছে। এটা নিয়ে সংক্ষেপে একটু পরে লিখছি।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৯:০৪401951
  • আরে ধুর - টাটা এনলাইটেনড না নয় তাতে কি এল গেল? একটা বড় কারখানা হতে হতে হল না, কাঁকড়া মেন্টালিটি বড় হয়ে উঠলো, এর ফলে সাড়ে সর্বনাশ না হলেও ইমেজে বড় ধাক্কা লাগলো, নতুন প্রোজেক্ট পেতে পেন্টুল হলদে হবে - আসল ইস্যুগুলো এখানে।
  • Du | 71.244.2.156 | ১৪ অক্টোবর ২০০৮ ০১:৪৫401952
  • এই ষষ্ঠীর দিনই দক্ষিণ কলকাতার এক বয়োজ্যেষ্ঠা মহিলা কালো কাপড় দেখান মমতাকে। এর পর তৃণমূল নেতারা ওনাকে 'বিকৃতমস্তিষ্ক' আখ্যা দেন। প্রসঙ্গত: ভদ্রমহিলা এক চিকিৎসকের মা এবং দোষের মধ্যে তিনি বহু নিরুপায় সাধারন লোকের কিছুটা ক্ষোভ একাই প্রকাশ করার চেষ্টা করেছিলেন । নাটক, গান , সিনেমা করে উঠতে পারেননি অবশ্য। সামান্য একফালি কালো বস্ত্রখন্ড।

    যে পার্টির নেতারা তাঁকে পাগল বললেন অনায়াসে, তারা দীর্ঘকাল ক্ষমতায় নেই, এবং সবে কিছু আসন্ন ক্ষমতার গন্ধ পেয়েছেন।

    ব্রাত্য কি বলেন? চলবে?
  • ranjan roy | 122.168.25.220 | ১৪ অক্টোবর ২০০৮ ০১:৫৫401953
  • কে বলেছে টাটা এনলাইটেনড্‌ নয়? আপনার-আমার চোখে নাহোক, তখনকার "জেন্টল্‌ কলোসাস্‌" নেহরুজীর চোখে এবং বিশ্ব ব্যাংকের চোখে তো বটেই। ফলে টাটার গোল্ডেন জুবিলি উৎসবে জুবিলি পার্কের উদ্বোধনে নেহরুজী এসেছিলেন । এহ বাহ্য, ৫০ এর দশকে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক্টটাকে এক্স্‌প্যান্‌সনের জন্যে বিরাট লোন দেয়। তৃতীয় বিশ্বে কোন একক কোম্পানিকে এই প্রথম। আর তাতে গ্যারান্টর ছিলেন নেহরু সরকার স্বয়ং। যদিও তখন ল্যাস্কি-মহলানবিশ প্রভাবিত শিল্পনীতিতে ইস্পাত আদি ভারী শিল্প মূলত: পাব্লিক সেকটরে গড়ার কথা।
    কিন্তু, তখন কমিউনিস্ট পার্টি "এনলাইটেন্ড্‌" ছিল না। আজ হয়েছে। কমিউনিস্ট ট্রেড্‌ ইউনিয়ন নেতা কেদার দাস জামসেদপুরের এম এল এ হলেন। ভাবুন তো? তখনকার দিনে? উনিই ১৯৫৮ মে থেকে জুলাই অবদি স্ট্রাইক- ধর্ণা- জামসেদপুর বন্ধ সবেতে নেতৃত্ব দিলেন।
    মাইকেল জনের নেতৃত্বাধীন আই এন টি উসি সমর্থিত ইউনিয়নের সঙ্গে যে এগ্রিমেন্ট হয়েছিল তাকে বাতিল করে গোপন ব্যালটে প্রতিনিধি ইউনিয়ন ঠিক করতে বললেন। প্রাইস্‌ ইন্‌ডেক্স এর ভিত্তিতে ডি এ বাড়ানোর দাবী করলো। ১৯৫৭ নাগাদ গোটাদেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হচ্ছিল। টাটা ১৯৫১র পর আর সাত বছর ডি এ বাড়ায় নি, যদিও টাটার তৎকালীন পে- প্যাকেজে বেসিক পে ছিল মাত্র ৪২%। ডি এ ও অন্যান্য অ্যালাউন্স মুখ্য ছিল। মজদুরদের কোয়ার্টার পর্যাপ্ত মাত্রায় ছিল না। কলের জল সব কোয়ার্টারে ছিল না। বোনাস ডায়রেক্ট প্রোডাক্‌শানে যুক্ত লোক ছাড়া পেত না। মাইকেল জনের সঙ্গে এগ্রিমেন্টে ছিল একস্‌প্যানসনের জন্যে কাজের লিস্ট বা ডিউটি বাড়ানোর অধিকার টাটার থাকবে, কিন্তু তার সঙ্গে মাইনে বাড়ানোর অথবা লোক বাড়ানোর কোন বাধ্যবাধকতা থাকবে না।
    আর গ্রিভান্স দুর করার কোন স্ট্রাকচারড্‌ চ্যানেল ছিল না।
    দশ বছর ধরে লোককে টেম্পোরারি করে কাগজে কলমে দেখানো হত।
    টাটা একটাও দাবি মানলো না। বললো- গোটা দেশে যাহোক, আমার টাটানগরে দ্রব্যমূল্য এই সাত বছরে বাড়েনি।
    ফলে প্রাইস ইনডেকস্‌ লিংকড্‌ মহার্ঘ ভাতার দাবি মনছি না, মানবো না।
    bb যে স্ট্রাইকের কথা বলছেন তা ১৯৫৭ সালে মে মাসে সিভিক ওয়ার্কারদের স্বতন্ত্র ইউনিয়নের কয়েক হাজার লোকের ছিল, এবং তিনদিনের মধ্যে খতম হয়ে গেল। কমিউনিস্ট ইউনিয়ন এর পরে ময়দানে নেমে লাগাতার প্রচার করে এক বছর বাদে একদিনের প্রতীক ধর্মঘট দিয়ে শুরু হল। ৫০ জন কে সাসপেন্ড করা হল। আগুনে ঘি পড়ল। এরপর আন্দোলন উগ্র চেহারা নিল।মেজরিটি সাড়া দিল। কমিউনিস্ট দের ডাকে জামশেদপুর বন্ধ হল। আগুন, লুঠ, ভাঙ্‌চোর গুলি সবই হল। কার্ফ্যু। মিলিটারি নামল। চারজন মারা গেল। ১১৪জন অহত।
    ২০মে টিসকো শাট্‌ ডাউন হল। নর্মাল অবস্থা ফিরতে ফিরতে জুলাইয়ের শেষ।
    ৪০০জনকে টাটা ম্যনেজমেন্ট ডিসচার্জ্‌ করলো। ৪৫০০০ টন ইস্পাত উৎপাদন মার খেলো। ৩৩৫০০০ মানবদিন নষ্ট হল।
    আলোচনা করতে এস এ ডাঙ্গে এলেন। টাটা ওকে ওদের রেস্ট হাউসে উঠতে দিল না। জে আর ডি টাটা আলোচনা দুর কি বাত, দেখা করতেও রাজি হলেন না।= উল্টে ইংরেজিতে একটি প্যাম্ফলেট বিতরণ করলেন, যার মর্মার্থ হল এই হিংসক আন্দোলন আসলে কমিউনিস্টদের ক্ষমতা দখলের রিহর্সাল!
    এসবই আছে শিকাগো ইউনিভার্সিটির "The Journal of PoliTical Economy"", pp-489-507, vol.67, No.5( Oct. 1959) সংখ্যায়।courtesy: Bozo
    আর এই প্রবন্ধটি লেখা হয়েছিলো স্ট্রাইকের এক বছর পরে। টাটাকে প্রশংসা করে সুবিয়া কনাপ্পন এনলাইটেনড্‌ হওয়া সঙ্কেÄও কেন এত বড় উগ্র স্ট্রাইক হল, কি করলে ঠেকানো যেত, তৃতীয় বিশ্বের ম্যানেজমেন্টের এর থেকে কি শেখার আছে ---- এই সব অনুসন্ধান করতে এই পেপারটা লিখেছিলেন।
    আপনারা যঁরা টাটার , টিসিএসের বা বিড়লাদের সঙ্গে কজের সুযোগসুবিধা মিয়ে আলোচনা করেছেন তাঁরা সবাই ( এমনকি সম্পাদক ঈশান শুদ্ধু) হোয়াইট কলার জব করেছেন। ফলে যেসব সুবিধে নিয়ে আপনারা কথা বলেছেন তা হল ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র স্টাফের সমস্যা, আম ওয়ার্কারদের কথা নয়।
    আর আপনারা চাকরি করেছেন সম্ভবত: আশির শেষে, নব্বইয়ের শুরুতে। তখন সারা দেশে , এমনকি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কটা স্ট্রাইক হয়েছে? বিড়লা- ডালমিয়া কোথাও হয় নি।
    আর অ্যাদ্দিনে কমিউনিস্ট পার্টি সাবালক হয়েছে, এনলাইটেন্ড হয়েছে। কাজেই একদিকে দেয়ালে লিখেচে "মার্কস্‌বাদ অমর, কারণ ইহা সত্য''। আর একদিকে বামরাজত্বে ব্ল্যাংকিদের জিকে পড়াবে---টাটাতে একশ' বছরে স্ট্রাইক হয় নি।
    সেটা আরেক বুদ্ধ আজকালে রিপিট করবেন। আর ইহা যথার্থ নহে, বল্লে সারথিবাবু রাগ করে কথা বন্ধ করে দেবেন। বিবি বিরক্ত হয়ে বলবেন--- লোকে কত কম জেনে কত কথা বলে! হরি হে, তুমিই সত্য!!
  • Abhyu | 97.81.104.16 | ১৪ অক্টোবর ২০০৮ ০৭:৩৫401954
  • আমি সত্যি সত্যি কম জানি বলে এই সব ফিল্ডে নামি না, কিন্তু রঞ্জনদার পোস্টটা পড়ে ভালো লাগলো :)
  • bozo | 68.227.84.133 | ১৪ অক্টোবর ২০০৮ ০৯:০০401955
  • আসলে কোনো নেতা/নেত্রী, রাজনৈতিক দল-ই বিরোধীতা পছন্দ করেন না।
    মমতা কে কালো কাপড় দেখালেই বিকৃতমস্তিষ্ক হন।
    পার্টি থেকে বহিষ্কারের পরের দিন সোমনাথ বাবু বুর্জোয়া হয়ে যান।
    নন্দীগ্রাম নিয়ে বিবৃতি দিলে বা প্রতীকি লোডশেডিং পালন করলে রাজ্যপাল মুখোশধারী রাজনীতিক হয়ে যান।

    সেদিন আজকালে দেখলাম আজিজুল হক রাজ্যপালের রবীন্দ্রনাথ ও বাংলা প্রীতি নিয়ে তির্যক মন্তব্য ভরে একটা লেখা লিখেছেন। মনে আছে নন্দীগ্রাম পরবর্তী অধ্যায়ে উনি লিখেছিলেন বুদ্ধদেব ভটাচার্য্য সম্পর্কে (প্যারাফ্রেজ) যে মানুষ গীতবিতানের যে কোনো পাতা থেকে গানের কথা বলে দিতে পারেন তিনি কখন-ই গুলি চালাতে বলতে পারেন না। কি যুক্তি।

    আজ মমতা এগিয়ে এসে স্বরূপ কে দুষ্টু সমাজসেবী বলেন। সমাজবিরোধী সমাজসেবী হয়ে যায় পার্টি করলে। রাম চ্যাটার্জীও মন্ত্রী হয়েছিলেন। তাপসী মালিক হত্যার পরে সুহৃদ দত্ত কেও বলা হয়েছিল অবিবাহিত সমাজ সেবায় উৎসর্গ প্রান।

    ঘেন্না ধরে গেল। শালা ডিলান-ও যদি ভ্যাটিকানে গান গেয়ে পোপের আশীর্বাদ কুড়ায় মমতা-বুদ্ধ-আজিজুল তো কোন আল বাল ছাল।

    খালি সেসপুলে নোংরা ঘাটতে এসে ভালোমানুষ সাজার ইমেজ দেখলে খুব হাসি পায়। বি জে পি নিজের মতন করে ইতিহাস বদলে দেয়। আমরাও শিখি টাটার কারখানায় কখনো স্ট্রাইক হয় নি।
    অনেক কিছু আরো শিখতে হবে।
  • aja | 71.106.244.161 | ১৪ অক্টোবর ২০০৮ ০৯:৫৫401956
  • হরে ঘটি চুরি করেছে। আর নাড়ু চারটে মানুষ খুন করেছে। দুটোই সমাজবিরোধী। দুটোকেই ধরে গাছে লটকে দে।

    মাইরি ছাগল কত্তোরকমের হয়!!!
  • bikRitamastiska | 121.241.164.22 | ১৪ অক্টোবর ২০০৮ ১৪:৫৭401957
  • সংহতি যে এত বড় বড় কথা লিখেছে ওটা জনতার জন্যে কিছু করেছে কোনদিন? টাটা তো তাও জামসেদপুর শহর টাকে তৈরি করেছে,IISc ,TIFR গুলো তৈরি করেছে। আর এই তথাকথিত ননপ্রফিট NGO গুলো কি বাল করেছে? কিছু NRI এর ডলারে ফুর্তি করছে
  • umesh | 62.254.196.200 | ১৪ অক্টোবর ২০০৮ ১৫:৪৫401958
  • শিল্পপতি রা শোষণ করে, তবুও ওরা জব তৈরী করে।
    ভাবুন, ধীরুভাই যদি রিলায়েন্স না বানিয়ে বাড়িতে বসে থাকতো তাহলে কি হতো।
    লোকটা শোষক, অসৎ, রাজনীতিক দের পয়সা খাইয়েছে, কোন সমাজসেবা করে নি, কিন্তু আজ লক্ষ লক্ষ চাকরি তৈরী করেছে।
    সেটা সরকার বা রাজনীতিক দ্বারা সম্ভব নই।
  • r | 125.18.104.1 | ১৪ অক্টোবর ২০০৮ ১৬:১৬401959
  • ফ্যাশন বদলালে রঞ্জনদা রাগেন কেন? এই ধরেন আপনাদের যুগে টাটা-বিড়লার দালাল বলে গাল দেওয়া একটা ফ্যাশন ছিল। সেই ফ্যাশন যে মধ্যবিত্ত শ্রেণী চালু করেছিল, তাঁদের অন্নবস্ত্র জুটত মূলত: সরকার আর পাবলিক সেক্টর থেকে। তাঁরা আমাদের শ্রদ্ধেয় বাপকাকারা- অধ্যাপনা, ইস্কুল মাস্টারি, রাজ্য সরকার কি কেন্দ্রীয় সরকার কি পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কের চাকরি ইত্যাদি। টাটাবিড়লাকে গাল দিলেও পেটে লাথ পড়ত না, এবং পড়েও নি। কালে কালে তাঁদের ছেলেপুলেরাই বামপন্থী হল, বংশের নারায়ণের নিত্যপুজো বহাল রাখার তাগিদে। কিন্তু তাঁদের ছানাপোনাদের কালে দেখা গেল প্রাইভেট পুঁজি মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে শুধু অন্ন জোগায় তাই নয়, বেশ ভালোভাবে খাইয়ে পরিয়েই রাখে। এদিকে বাপদাদারা টাটাবিড়লাকে গাল পেড়ে টাটাবিড়লার কানাকড়ি নড়াতে পারেন নি, অথচ নিজেদের এমন অবস্থা যে বুড়ো বাপ-মাকে একলা রেখে হিল্লি-দিল্লি গিয়ে চাকরি খুঁজতে হয়। অতএব এখন তাঁরা যার নুন খান তাঁরই গুণ গান। এখন একে চাকরবৃত্তি বলবেন, নাকি কৃতজ্ঞতাবোধ বলবেন, তা আপনার বংশধারা, ইতিহাস, পারিবারিক ও সামাজিক চাপ এবং সাম্প্রতিক দৈহিক ও মানসিক অবস্থার উপর নির্ভর করবে।
  • siki | 203.122.26.2 | ১৪ অক্টোবর ২০০৮ ১৬:৪৬401960
  • খুব খুব নিয্যস সত্যি কথা। তিরিশ বছর আগের ঐ সব ফ্যাশন, বড় নস্টালজিয়া জাগায় :-) তখন কারুরই পেটে লাথি পড়ে নি। আইজকের ফ্যাশনে টোটাল কেঅস। কে যে কার পেটে লাথি মারছে, আদৌ মারছে কিনা, মারলে কতটা জোরে মারছে, কিসুই বোঝা যাচ্ছে না।

    আরও বছর কুড়ি যাক।
  • d | 203.143.184.10 | ১৪ অক্টোবর ২০০৮ ১৯:০৫401962
  • বা: বা: চমৎকার গালিগালাজ চলছে তো! চলুক চলুক।

    আরও আনন্দ হল দেখে যে "ছাগল' জাতীয় অবাধ গালি দেখেও কারো "রুচিবোধ' জাগ্রত হয় নি। অবশ্য "আলাদা রকমের রুচিবোধ' কিনা।

  • Sayantan | 160.83.72.211 | ১৪ অক্টোবর ২০০৮ ১৯:১৬401963
  • আমিও একটু অবাক হয়েছিলাম।

    অজ কি কাউকে "ছাগল' বললেন? দ্যাটস বিলো দ্য বেল্ট।
  • Ishan | 59.161.127.0 | ১৪ অক্টোবর ২০০৮ ১৯:৪৫401964
  • অজদা নিজে এই সুতোতেই দু-চারশো লোকের মৃত্যু আর দু-চার মিলিয়ন লোকের মৃত্যুর মধ্যে কোনো তফাত দেখতে পাননি। হিটলার আর নকশাল দুটো ই সমাজবিরোধী। দে দুটোকেই ধরে গাছে লটকে, -- এইরকমই লিখেছিলেন মনে হচ্ছে। :))
  • aja | 207.47.98.129 | ১৪ অক্টোবর ২০০৮ ২০:১৭401965
  • ঈশান, প্রুফ বাই কনট্রাডিকশন বলে একটা কথা আছে। আমি বলেছিলাম, টাটা আর অন্য ভারতীয় শিল্পপতির মধ্যে একটা তফাৎ আছে, সে যদি কেউ দেখতে না পায়, তবে দু'চারশো আর দু'চার মিলিয়নের মধ্যের তফাৎ-ও না দেখতে পারে।

    হ্যাঁ, আমি ছাগল বললাম। বিলো দ্য বেল্ট? নো ওয়ে। ছাগল বেল্ট পরে না।
  • Ishan | 59.161.64.40 | ১৪ অক্টোবর ২০০৮ ২০:৫৩401966
  • টাটা আর অন্য শিল্পপতিদের মধ্যে তফাত তো আছেই। টাটা দু অক্ষর। বিড়লা তিন অক্ষর। আর রিলায়েন্স চার অক্ষর।

    আর ছাগল টাগল বলাটাও মনে হয় প্রুফ অফ কনট্রাডিকশনের অংশ। টাটাকে ভালো প্রমাণ করতে না পেরে অন্যদের গালাগাল দেওয়া। তা দিন। আমরা প্রমাণের নতুন নতুন কায়দা শিখি। :)
  • aja | 207.47.98.129 | ১৪ অক্টোবর ২০০৮ ২১:০০401967
  • রাইটো। নক্সাল আর হিটলারের মধ্যেও দুস্তর তফাৎ। একটা আ-কার আর ল বাদ দিলে সব কটা অক্ষরই আলাদা। তারপর নক্সালে একটা যুক্তাক্ষর আছে। হিটলার দেখলুম গুরুতে যুক্তাক্ষর দিয়ে লেখাই গেল না, হিট্‌লার হয়ে গেল। এই সব তফাৎ।

    ছাগল বলাটা প্রুফের অঙ্গ নয়, ছাগল দেখে বর্ণনা দেবার অঙ্গ।
  • Sayantan | 160.83.72.211 | ১৪ অক্টোবর ২০০৮ ২১:০৪401968
  • ছাগলের অঙ্গে অ্যাতো রূপ দেখিনি তো আগে ....
  • aja | 207.47.98.129 | ১৪ অক্টোবর ২০০৮ ২১:০৬401969
  • আম্মো দেখিনি :)।
  • Du | 67.111.229.98 | ১৪ অক্টোবর ২০০৮ ২১:০৭401971
  • না বোজো, বিরোধিতা করলে বর্জন তো আছেই, সে তো পুরোনো গল্প, তাছাড়াও সমর্থন করলে, কাজে লাগলে পুরস্কার, দরদ এইগূলোও আছে নেতানেত্রীদের কাছে।
    কোলে ঝোল টেনে কথা বললে সিপিএমও মহামান্য বিচারপতি, রাজ্যপাল , এনাদের অভিভাবকই বলত। ( সরি কোন উদাহরণ পেলাম না এই সিচুয়েশনের)
    তা এই দরদগুলোকে যদি আন্তরিকতা বলে ভাবা এবং ভাবানোর চেষ্টা হয় তবে দুবার একটু থমকানোর দরকারো আছে বৈকি।
  • Ishan | 121.245.72.225 | ১৪ অক্টোবর ২০০৮ ২১:০৭401970
  • বুয়েছি অজদা। টাটা যে ভালো, এটা মূলত: বানান দিয়ে বোঝা যায়। প্রমাণ করা যায়। এটাকে ইংরিজিতে প্রুফ অফ কি বলে একটু কাইন্ডলি জানিয়ে দেবেন।

  • aja | 207.47.98.129 | ১৪ অক্টোবর ২০০৮ ২১:০৯401973
  • ঈশেনকে।

    একদম একমত। এই যেমন নক্সাল আর হিটলার যে এক নয়, সেটা শুধু বানান দিয়েই বোঝা যায়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন