এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গোপালকৃষ্‌ণ গান্ধী মুখোশধারী রাজনীতিক নাকি ন

    sarathi
    অন্যান্য | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৮ | ২২৫৩৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r | 125.18.104.1 | ১৬ অক্টোবর ২০০৮ ১৩:৪৩402007
  • আরে রঞ্জনদা, মার্ক্সের লেখাপত্র তো আমিও মানি। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্যাপিটালিজ্‌মের একদম ফান্ডামেন্টাল জায়গাটা মার্ক্স না পড়লে বোঝা যায় নাকি? আর যাই হোক, মার্ক্স তো মার্ক্সবাদী ছিলেন না, আর বাঙালী তো একেবারেই ছিলেন না। ;-)

    কিন্তু নিও-ক্লাসিকাল অর্থনীতি আর নিও-লিবারেল মতবাদকে একগোত্রে ফেললে দু একটা কথা বলার আছে। অ-মার্ক্সীয় যে অর্থনীতি আমাদের পাঠ্যপুস্তকে থাকে, তার সাথে কিন্তু বাজারপন্থী মৌলবাদকে এক করে ফেললে হবে না। এখানে একটা বর্গীকরণের সমস্যা আছে- কেইন্সীয় অর্থনীতিকে আপনি নিওক্লাসিকাল অর্থনীতির বর্গে ফেলবেন কি ফেলবেন না। নিও-ক্লাসিকাল অর্থনীতির বাঘা বাঘা প্রবক্তারা- হিক্‌স, স্যামুয়েলসন থেকে শুরু করে স্টিগলিজ, ক্রুগম্যান-সকলেই কিন্তু কেইন্সীয়ান। এমন কি, অমিত ভাদুড়ির লেখা যে বইটি নিয়ে ইদানীং লাফালাফি হচ্ছে, তার প্রতিটি শব্দ অক্ষরে অক্ষরে কেইন্সীয়ান, এবং মন দিয়ে অর্থনীতির পাঠ্যপুস্তক পড়লে তার প্রতিটি শব্দ খুঁজে পাওয়া যায়। সমস্যা হচ্ছে, বাজারপন্থী মৌলবাদ এতটাই পরিব্যাপ্ত, যে তার থেকে একটু আলাদা কিছু বললেই এখন বৈপ্লবিক মনে হয়। এই শিফ্‌টটা এই দশকের ফসল। আজ থেকে কুড়ি পঁচিশ বছর আগেও অমিত ভাদুড়ির লেখার মধ্যে এত বিপ্লব খুঁজে পাওয়া যেত না। এই নিয়ে পরে না হয় বিশদে কিছু বলা যাবে। :-)

    তবে বায়াস বলতে আমার একটিই- নিজের পছন্দের জায়গায় চাকরি করে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী অর্থ উপার্জনের বায়াস। ;-))
  • umesh | 62.254.196.200 | ১৬ অক্টোবর ২০০৮ ১৩:৫৫402008
  • টাটা কে ভালো বললে Ishan এর গাত্রদাহ হয় কেন বুঝি না।
    আমি সিপিএম বা তৃণমুল এর ধারে কাছে নেয়।
    আমি বুঝি শিল্পপতি টাকা ব্যাংকে রেখে মুনাফা বানায় না। তাদের কিছু শিল্প বানাতে হয়, আর তাতে কিছু মানুষ কে নিতে হয়। তাই শিল্পপতি যখন-ই কিছু মুনাফা বানাই তাতে কিছু মানুষ বেঁচে থাকার রসদ পায়।
  • Ishan | 121.245.121.50 | ১৬ অক্টোবর ২০০৮ ২১:১৩402010
  • টাটা মন্দ কি। আমার শুধু গাত্রদাহ হয় "অন্যদের চেয়ে টাটা ভালো' বা "টাটা ভারতীয় এনলাইটেনমেন্টের অগ্রদূত' এইসব বললে। নইলে ব্যবসা করে খাচ্ছে, কতো লোকও টাটায় চাকরি করে খাচ্ছে, টাটা আর অধিক খারাপ কি?
  • ranjan roy | 122.168.12.78 | ১৬ অক্টোবর ২০০৮ ২১:১৩402009
  • অজবাবুকে, ব্ল্যাংকিকে এবং যাঁরা আমার বাংলা মাত্রাবোধ নিয়ে ভাবিত:)))), তাদের সবাইকে:
    ----------------------------------------
    অজবাবু কি অভিধান দেখেছেন জানিনে, আমি খুলছি আবাপ নয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনুমোদিত "" অ্যাকাডেমি বিদ্যার্থী পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অভিধান'', দ্বিতীয় সংশোধিত সংস্করণ, আগস্ট,২০০০। এর প্রধান উপদেষ্টা অন্নদাশংকর রায়।
    আর অন্য সদস্যদের বিশাল তালিকায় আছেন শংখ ঘোষ, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
    এর পৃষ্ঠা সংখ্যা ১৪ খুললাম।

    অজ (সং): ১) যার জন্ম হয়নি, হয়না, হবে না। রঘুর পুত্র দশরথের পিতা; ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শিব; কন্দর্প।
    ২) আদি, আদ্য,নীরেট,নিতান্ত, খাঁটি।

    ৩)(সং): ছাগল, ছাগ, মেষ, হাতি।
    এবার অজা মানে,
    অজা: ছাগী, ভেড়া, সঙ্কÄ-রজ:-তম আদি ত্রিগুণাত্মিকা প্রকৃতি। ইহার পুংলিঙ্গ অজ।
    এবার তো দময়ন্তী মানবে অজবাবু কাউকেই গালি দেন নি।
    আমি এবং দীপ্তেন একই বাংলা মিডিয়াম স্কুলে পড়েছি।:))))

  • d | 117.195.40.93 | ১৬ অক্টোবর ২০০৮ ২১:৩৯402011
  • অজ সম্পর্কে যে ২-১ কথা আমি জানি:
    সমোস্কিত উপক্কোমোনিকায় শব্দরূপ আছে
    অজ: অজৌ অজা:
    অজম্‌ অজৌ অজান্‌
    অজেন অজাভ্যাম্‌ অজৈ:
    অজায় অজাভ্যাম অজেভ্য:
    অজাৎ অজাভ্যাম অজেভ্য:
    অজস্য অজয়ো: অজানাম্‌
    অজে অজয়ো: অজেষু
    অজ: অজৌ অজা:
    মানে হল গিয়ে অজ=== একটি ছাগল(কিম্বা ছাগলী)
    অজা: === অনেকগুলি ছাগল(ছাগলী)

    অতএব রঞ্জনদা এবারে আমারে ছাড়ান দ্যান।

  • ranjan roy | 122.168.12.78 | ১৬ অক্টোবর ২০০৮ ২১:৪০402012
  • রঙ্গনকে,
    ভাই তোমার পোস্ট পড়ে আমার মনটা খুব ভাল হয়ে গেছে। আমি তোমাকে ,ভার্চুয়ালি, খুব ভাল করে জানি। আমি জানি তুমি আমার চেয়ে খুব ভাল করে শুধু অ্যাকাডেমিক অর্থনীতি নয় মার্ক্সীয় অর্থনীতিও পড়েছ।
    আগে কল্লোলের সঙ্গে আলোচনায় সেটা স্পষ্ট। অমিত ভাদুড়ীর বইয়ের সন্ধান তো তুমিই আমাদের দিলে। তারপর আমি উৎসাহ পেয়ে লাগাতার বই জোগাড় করছি। মরিস ডবের পুরোনো বই থেকে শুরু করে সোশ্যালিস্ট রেজিস্টার ও মন্থলি রিভিউ বা কিছু বৃটিশ, ক্যানাডিয়ান অর্থনীতির অধ্যাপকদের বই। তাতে চায়নার লেটেস্ট ইকনমিক পজিশন থেকে শুরু করে গ্লোবাল ইকনমি---সবই আছে।
    আমি মানি মার্কসের অ্যানালিটিক্যাল টুলস্‌ গুলো আজকের আবশ্যকতার তুলনায় ক্রুড, অপর্যাপ্ত। কিন্তু যেমন লিয়নটিয়েভ বলেছিলেন সেই ১৯৭০ এ,--ক্যাপিটালিস্ট ইকনমির ডায়নামিকস্‌ এর চমৎকার ব্যাখ্যা।
    কিন্তু তোমার সেকন্ড পার্ট পড়ে আমি একটু কনফিউজড্‌।
    কোন সন্দেহ নেই অমিত ভাদুড়ীর লেখাটি আদি-অন্ত কেইনেসিয়ান। ওনার দাওয়াইয়ের কম্পোনেন্টগুলো যেকোন কেইনেসিয়ান ইকনোমিকস্‌এর টেকস্ট্‌ বুকে পাওয়া যাবে।
    আমার মতে, ওনার কৃতিত্ব রোগের লক্ষণনির্ণয়ে এবং কেইনেসিয়ন দাওয়াইয়ের ভারতের মত ডেভেলপিং ইকনমির ক্ষেত্রে ক্রেডিবল্‌ অ্যাপ্লিকেশনে। এবং সমস্ত কেম্ব্রিজ স্কুল কেইনেসিয়ান, রবিন্সন,কালেকি, স্রাফা, অমর্ত্য সেন বামঘেঁষা কেইনেসিয়ান।
    কিন্তু স্যামুয়েলসন, স্টিগলিজ্‌ হিকস্‌, অ্যারো- এঁদের কেইনেসিয়ান বলবে, নাকি নিও-ক্লাসিক্যাল বলবে?
    জানিনা, এই পাতা এজাতীয় আলোচনার ঠিক জায়গা কি না।
    তবে খেয়ে এসে এই দুই স্কুলের সামান্য লক্ষণ নিয়ে মাত্র এক প্যারাগ্রাফ লিখবো। তারপর তোমার কথা শুনে ব্যাপারাটা এখানেই শেষ করবো। আমি আসলে ৪০ বছর ধরে আউট অফ- টাচ্‌। বহুদিন বাদে এসব নিয়ে কথা বলতে পেরে বুক হালকা হচ্ছে, হয়তো একটু বোর হচ্চ, ক্ষমা-ঘেন্না করে দাও। কিছু বই সাজেস্ট করতে পার আমার পড়ার জন্যে।
  • Sayantan | 160.83.72.212 | ১৬ অক্টোবর ২০০৮ ২১:৫৩402013
  • দময়ন্তীদি, অজ: আর নর: তাহলে একই শব্দরূপ?
  • aja | 207.47.98.129 | ১৬ অক্টোবর ২০০৮ ২২:৩২402014
  • আমি তো বঙ্গীয় শব্দকোষ দেখেছিলুম। হতেই পারে ভুল দেখেছিলুম। আর একবার দেখে ক্ষমাপ্রার্থনা করে নেব :)।
  • ranjan roy | 122.168.31.5 | ১৬ অক্টোবর ২০০৮ ২২:৪৫402015
  • রঙ্গনকে,
    ৭০ এর দশকে আমরা জেনেছিলাম-- নিও ক্লাসিক্যালরা আস্থা রাখে মুক্তবাজারে, অ্যানালিটিক্যাল টুলস্‌ হিসেবে মার্জিনালিস্ট অ্যাপ্রোচ্‌, পার্শিয়াল ডিফারেনি্‌শয়াল ক্যালকুলাসের ইউলার্স থিওরেম দিয়ে মার্জিনাল প্রোডাক্টিভিটি থিওরেম অফ ডিস্ট্রিবিউশনকে জাস্টিফাই করে, ম্যাক্রো অ্যানালিসিস থেকে মাইক্রো-অ্যানালিসিসে বেশি উৎসাহী। আর ম্যাক্রোর প্রবলেম অর্থাৎ, ইনফ্লেশন, ট্রেড সাইকল্‌ম ইত্যাদির সমস্যা ঊঠলেই
    মনিটারিস্ট, বিশেষ করে মিলটন ফ্রিড্‌ম্যানের কোয়ান্টিটি থিওরির আশ্রয় নেয়। ( শ্যামল কোন একটা সূতোয় লিখেছিলেন না-- ফ্রিডম্যান ঠিক, কেইনস্‌ ভুল?)।
    এর বিপরীতে কেইনসিয়ানরা মার্কেটের পেছনে কোন অদৃশ্য হাতের মেলাবেন-তিনি-মেলাবেন এ বিশ্বাস করে না। ফলে স্টেটের খবরদারি এবং বিনিয়োগে বিশ্বাস করে। জোর দেয় এফেক্টিভ ডিমান্ড এবং মাল্টিপ্লায়ার এফেক্টে। আয়বৃদ্ধিকে খুব জোর দেয়, নইলে এফেক্টিভ্‌ ডিমান্ড কমে গিয়ে উৎপাদন এবং রোজগর কমবে। ব্যপারের চাকা ধীরগতি হয়ে থেমে যাবে,। অমর্ত্য সেনের ফেমিন নিয়ে এন্ডাউমেন্ট ও ক্যাপাবিলিটি অবধারণায় স্পষ্ট কেইনসের প্রভাব। এবং ইউরোপের ওয়েলফেয়র স্টেট কনসেপ্ট মূলত: কেইন্সীয় অর্থনীতির্ন অবদান। এঁরা ট্যাকসো বাড়ানোয় বিশ্বাস রাখেন। উদাহরণ, আজকের ডেনমার্ক ইত্যাদি স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশ গুলো এবং নেহরুকে দেয়া নিকোলাস ক্যালডর এর পরামর্শ।
    আমাদের চোখে এই দুই স্কুলের অবস্থান বিপরীত মেরুতে। এর মধ্যে অনেক কিছু বদলে গেছে। অনেক গ্রে এরিয়া আছে, অনেক কিছু ওভারল্যাপিং আছে, যা আমি জানিনা। একটু বুঝিয়ে দাও। বিশেষ করে স্যামুয়েলসনকে কি করে কেইন্সিয়ান বলবে?
  • ranjan roy | 122.168.31.5 | ১৬ অক্টোবর ২০০৮ ২২:৫৮402017
  • অ্যাই অজ! একদম ক্ষমাপ্রার্থনা-টার্থনা করবেন না। আরে ভাই, গুরুর আড্ডায় আমরা সবাই সমান, একটু আপস মেঁ
    লেগপুলিং হবে না? বেশি মেপে মেপে ভদ্রভাবে পলিটিক্যালি করেক্ট হবার চেষ্টা করে কথা বল্লে -আড্ডার মজা নষ্ট হবে না? তারচেয়ে যেমন চলছে -চলুক, ছাগল পর্য্যন্ত। আমি কোন গুরুঠাকুর নই, অমেক ভুলভাল- ভাট বকি। চন্ডাল হওয়া পছন্দ, গুরু হওয়া নয়। আড্ডায় আবার ক্ষমাপ্রার্থনা কিসের ?
  • Du | 67.111.229.98 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ০৩:২০402018
  • মার্ক্সও বাংলায় গভর্নর হয়ে এলে বাঙালী হয়ে যেতেন হয়তো । অর্জনের চিন্তা ছাড়া কিসের বন্টন ?
  • r | 125.18.104.1 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ১৫:৩৪402019
  • রঞ্জনদা, এখানে মনে হয় আলোচনা চালিয়ে যাওয়া উচিত নয় মনে হয়। তাও ছোটো করে বলি- কেইন্সিয় ও নিওক্লাসিকাল ম্যাক্রোইকোনমিক্সের দুটো আলাদা স্কুল ছিল ঠিকই। কিন্তু নিওক্লাসিকাল ম্যাক্রোইকোনমিক্স স্কুলের প্রবক্তা ছিলেন রবার্ট লুকাসদের দল, যাঁদের সাথে নিওক্লাসিকাল ইকোনমিক্সকে এক করে ফেলা উচিত হবে না। স্যামুয়েলসন-সোলোরা মাইক্রোইকোনমিক ফাউন্ডেশন অফ ম্যাক্রোইকোনমিক্সের কথা বলতেন, কিন্তু ফ্রিডম্যান স্কুলের বিরোধী ছিলেন। অন্যদিকে ফ্রিডম্যানের নিজের লেখায় ব্যক্তিকেন্দ্রিক নিওক্লাসিকাল ইকোনমিক্সের কোনো প্রভাব নেই। এই দুই স্কুলকে মেলাচ্ছিলেন রবার্ট লুকাসেরা। কিন্তু এগুলো সবই অর্থনৈতিক তঙ্কেÄর দিকে। সেখানে আরও অনেক স্কুল, অনেক বিভাজন রয়েছে। আশির দশকে অনেক মেথডোলজিকাল বিভাজন লুপ্তপ্রায়। মোটামুটি অধিকাংশই মেনে নিয়েছেন ম্যাক্রোইকোনমিক তঙ্কেÄর একটা মাইক্রোইকোনমিক ভিত্তি দরকার। ম্যানকিউ বা রোমারের মত নব্য-কেইন্সিয়রা সেটা মেনেই কাজকর্ম করেন।

    আজকের দিনে অনেক বড় বিভাজন অর্থনৈতিক নীতি ও তার প্রায়োগিক দিক নিয়ে। যদি বুশের অর্থনৈতিক নীতিকে নিও-লিবারেল অর্থনীতির উদাহরণ ধরা যায়, সেখানে মোটামুটি দুই মেরু ধরে নিলে, একদিকে থাকবেন স্যামুয়েলসন, সোলো, এবং স্টিগলিজ বা ক্রুগম্যানের মত তাঁদের শিষ্য প্রশিষ্যরা, আর অন্যদিকে নিও-লিবারেল (এইরকম কোনো তকমা যদিও অর্থনীতিতে ব্যবহৃত হয় না, তকমাটা মূলত: রাজনৈতিক) যাঁদের তাঙ্কিÄক ভিত্তি হল অংশত: ফ্রিডম্যানের মনিটারিস্ট স্কুল এবং অংশত: অস্ট্রিয়ান স্কুল। বুশ ২০০৩ সালে যে ট্যাক্স কাট প্রবর্তন করেন, তার বিপক্ষে প্রায় সাড়ে চারশ অর্থনীতিবিদ সই করে স্টেটমেন্ট দিয়েছিলেন। সেই তালিকা দেখলেই বিভাজনের চেহারাটা স্পষ্ট হয়ে যাবে।

    হ্যাঁ, এরা কেউই ধনতন্ত্রের বিলোপের পক্ষে নন। কেইন্স নিজেও ধনতন্ত্রের বিলোপের পক্ষে ছিলেন না। কেইন্সিয় অর্থনীতি মূলত: ধনতান্ত্রিক সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার অর্থনীতি। সেখানেই মার্ক্সীয় অর্থনীতির সাথে কেইন্সীয় অর্থনীতির বড় তফাৎ।
  • r | 198.96.180.245 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ১৮:১৩402020
  • নিউ ইয়র্ক টাইম্‌সে ক্রুগম্যানের সাম্প্রতিকতম কলামটা যদি পড়েন, দেখবেন কতগুলো বেসিক প্রিন্সিপলের ব্যাপারে একদম অমিত ভাদুড়ি- বিশেষত: পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট আর ডেফিসিট ফাইনান্সের ব্যাপারে। ক্রুগম্যান কিন্তু মেইনস্ট্রিম (যে নিওক্লাসিকাল নিয়ে তর্ক করছি, মনে হল সেটাকে মেইনস্ট্রিম বললে হয়তো আরও ভালো বোঝানো যাবে) অর্থনীতিবিদ।
  • ranjan roy | 122.168.31.5 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ২০:১০402021
  • ধন্যবদ রঙ্গন!
    অনেকটা ধোঁয়াশা কাটল। আর অমিত ভাদুড়ীর বক্তব্যও তো এই সিস্টেমের মধ্যেই উন্নয়ন ( পূর্ণ রোজগার, অবশ্যই মর্যাদার সঙ্গে) সম্ভব। রোডম্যাপটা আলাদা, এইমাত্র।
  • aja | 207.47.98.129 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ২১:৫৩402022
  • বঙ্গীয় শব্দকোষে নয় নম্বরে অজ মানে মেষ বলেছে। ভাল করে চেক না করে কথা বলার জন্য দু:খিত।
  • shyamal | 24.119.209.40 | ১৮ অক্টোবর ২০০৮ ০৪:৩৩402023
  • ক্রুগম্যানের লেখাটা পড়লাম। ডেফিসিট ফাইন্যান্সিং কি চমৎকার! আমার আয় যদি হাজার টাকা হয় তো খরচ করব ১৪০০ টাকা। ঐ এক্সট্রা চারশো টাকা দেবে ভিসা বা মাস্টারকার্ড।
    আমেরিকা সেটাই চালিয়ে আসছে। মুশকিল হল যে ধারে চালানো অভ্যাস হয়ে গেলে তখন মনে হয় , যাই ইরাকে একটু যুদ্ধ করে আসি, লাগে টাকা দিবে গৌরী সেন।
    আমেরিকা ধার করে কি করে? টাকা ছাপিয়ে। এই যে প্রায় ট্রিলিয়ন ডলার বেইল আউট আসছে তাও হবে টাকা ছাপিয়ে। আর এটা যোগ হবে ন্যাশনাল ডেটের সাথে। যাহা দশ তাহা এগারো ট্রিলিয়ন, কি যায় আসে।
    আমরা জানি, বাড়িতে আয়ের চেয়ে বেশি ব্যয় করলে কি হয়। দেশের পক্ষেও একই। তখন তাদের বাজেটের বিরাট অংশ যায় ধার শোধ দিতে। যেহেতু ধার করা দেশ, তাই তার কারেন্সীর দাম পড়তে থাকে। তখন বিদেশিরা বলে , এত পড়ছে কারেন্সী, আমরা অন্য কোথাও টাকা খাটাব। তখন সরকারকে লোভ দেখানোর জন্য সুদ বাড়াতে হয়। আর সুদ বাড়ালে দেশের আভ্যন্তরীন ব্যবসার কি হয়, সবার জানা।

    তবে আমেরিকায় ডলার পড়ছে না কেন? তার কারণ আমেরিকার একটি বিশাল সুবিধা আছে যা অন্য দেশের নেই। সেটা হল আন্তর্জাতিক বাজারে ডি ফ্যাকটো কারেন্সী হল ডলার। আর আমেরিকা যা আমদানী করে তা অনেক দেশে অনেক চাকরি (অ্যাপারেন্টলি) বাঁচিয়ে রেখেছে। তাই চিন, ভারত কেউ ডলারের বিনিময়ে নিজের কারেন্সীকে সঠিক মানে যেতে দেয়না। তবে এটা বেশিদিন চলবে না।
    যখন ডলার বাবল ফাটবে, তখন আমাদের মত আমেরিকাবাসীদের কপালে অনেক দু:খ আছে। আজ ডলারের সঠিক মান হল ১৫ থেকে ১৮ টাকা। যদি সে পর্যায়ে যায়, তাহলে কি হবে ভগবান বা গ্রীনস্প্যান জানেন।
  • ranjan roy | 122.168.31.5 | ১৯ অক্টোবর ২০০৮ ০০:১৯402024
  • শ্যামল,
    ডেফিসিট ফাইন্যান্সিং কে একেবারে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি-- অতএব -- বলে একেবারে নেগেটিভ্‌ সীল দেগে দিলেন?
    আমার মতে মূল প্রশ্ন হচ্ছে ঐ ডেফিসিট ফাইন্যান্সিং কি কাজে ব্যয় হবে? যদি এক নিশ্চিত সময়ের পরে ঐ ধার-করা- পহা থেকে যে ইনভেস্ট্‌মেন্ট হল তা বেশি রিটার্ন দ্যায়, যাতে সুদে-আসলে ধারের পয়সা শোধ করেও হাতে কিছু উদ্বৃত্ত থাকে তাহলে কোন এক সময়বিন্দুতে ধার করে আয়ের থেকে বেশি ব্যয় করা খারাপ কি?
    পারিবারিক বাজেটের যদি উদাহরণ দেন তো আমরা অনেকেই বাড়ি বানাতে , বা ছেলে -মেয়েকে উচ্চশিক্ষা দিতে ধারকরে আয়ের থেকে বেশি ব্যয় করেছি-- যা সুদে আসলে উসুল হয়ে গেছে।
    তখন ঐ খরচা না করাটাই বোকামি হত। হ্যাঁ, যদি মদ খেতে, বা শাড়ি গয়না কিনতে ধার করে আয়ের থেকে বেশি ব্যয় করি তবে ----। তেমনি সরকারও যদি উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগের জন্যে ডেফিসিট ফাইন্যান্সের সাহায্য নেয়, তাতে যদি নীট রাষ্ট্রীয় আয়ে বৃদ্ধি হয় তো মন্দ কি!
    অনেক বড় পুঁজিপতি-শিল্পপতি রাও এই কাজ করে থাকে।
    কেইনস্‌ এর থিওরি কপ্‌চালে ---- যতক্ষণ এক্সপেক্টেড রিটার্ন বা মার্জিনাল এফিসিয়েন্সি অফ ক্যাপিটাল বাজারে সুদের হারের থেকে বেশি হবে, ততক্ষণ ধারকরা লাভজনক।
    সেইখানেই প্রশ্ন ওঠে বামসরকার যে টাটাকে জমির জন্যেও অতি সস্তা দরে টাটাকে দীর্ঘমেয়াদি ধার দিল,(যা মোদি দেয়নি বলেই জানি), তাতে যা রিটার্ন আসতো তিরিশ বছর পরে তার ডিস্‌কাউন্টেড ভ্যালু কত?
    শুদ্ধ ইকনমিকস্‌ এর মাপকাঠিতে এটা কদ্দূর জাস্টিফায়েড?
  • shyamal | 24.119.209.40 | ১৯ অক্টোবর ২০০৮ ০৬:২৩402025
  • রঞ্জনদা,
    আমি কিন্তু ধার করার বিপক্ষে নই। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি করার বিপক্ষে। আর সেটাই ডেফিসিট ফাইন্যান্সিংএর মূল কথা। আমরা ক্রেডিট কার্ডে জিনিষ কিনি, গাড়ি, বাড়ি ধারে কিনি, ছেলে মেয়েকে অনেক ক্ষেত্রে ধার করে পড়াই। কিন্তু এর যে ডেট সার্ভিসিং অর্থাৎ মাসে মাসে শোধ করার পরিমাণ, সেটা কিন্তু আয়ের মধ্যেই থাকে। আপনি যেটা বললেন, অনেক ক্ষেত্রে আপ ফ্রন্ট পুরো টাকা না দিয়ে ধার করলে আখেরে লাভ বেশি।
    কিন্তু সমস্যা হয় যখন মোট খরচ + ডেট সার্ভিসিং , এটা আয়ের চেয়ে বেশী হয়। সেটা পরিবারের ক্ষেত্রে যেমন সত্যি তেমনি দেশের ক্ষেত্রেও সত্যি। আজ পাকিস্তানের অবস্থা দেখুন। আমেরিকা, চীন সব বন্ধুরা ফিরিয়ে দিয়েছে। জরদারি এদের দোরে দোরে ভিক্ষা করছিলেন। পাকিস্তানের রুপি এখন ডলারে ৮৫ টা পাওয়া যায় যেখানে বাংলাদেশি টাকাও বোধ হয় ৬৫ টা পাওয়া যাচ্ছে।
    দেশের ক্ষেত্রে পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ভাল। যেমন পরিকাঠামো তৈরীতে। যদি রাস্তাঘাট, ব্রীজ, স্কুল, চিকিৎসা কেন্দ্র, জলের পাইপ বসানোতে সরকার ধার করে খরচ করে, খুব ভাল। কিন্তু মনে রাখতে হবে এই টাকা আসছে ধার থেকে। তাই এই টাকায় কেক,প্যাস্ট্রি ( গরিবের উপকার করা যা কিনা মধ্যবিত্ত কেরানি আর আমলার পেটে যায়) খাওয়া চলবেনা। যদি কোন জিনিষ বা পরিষেবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দিতে পারে , সরকারের সেটা দেওয়া উচিৎ নয়। যেমন বিদ্যুৎ, রান্নার গ্যাস, পেট্রোল ইত্যাদি।
  • ranjan roy | 122.168.7.216 | ১৯ অক্টোবর ২০০৮ ১২:৩৮402026
  • শ্যামল,
    আপনার ও আমার বক্তব্যের মূল সুরে কোন তফাৎ নেই।
  • aja | 71.106.244.161 | ২০ অক্টোবর ২০০৮ ০৮:১৭402028
  • রঞ্জনবাবু,

    এক্সপেক্টেড রিটার্ন রেট অফ ইন্টারেস্টের চেয়ে বেশী হলে ধার করা ভাল, এ তো অলমোস্ট টটলজি। কাজেই এ নিয়ে তর্কের অবকাশ নেই। কিন্তু যেহেতু একটা ডিসিশন মেকিং ভ্যারিয়েবল হল এক্সপেক্টেড রিটার্ন (অর্থাৎ যার সঠিক মান আপাতত: জানা নেই) সেহেতু এই ধার করার সিদ্ধান্ত নেবার জন্য কিছু অনুমান (অ্যাজাম্পশন) দরকার করবে। বিভিন্ন অর্থনীতিবিদ এই এক্সপেক্টেড রিটার্ন ম্যাক্সিমাইজ করার জন্য বিভিন্ন অনুমান করবেন, এবং বাস্তব নীতি-নির্ধারণ সুতরাং বিভিন্ন হবে।

    সাপ্লাই সাইডাররা (বা ট্রিকল ডাউনারেরা) যেমন বলবেন বড়লোককে ট্যাক্স ছাড় দিলে বিনিয়োগ বাড়বে। সুতরাং হায়ার ব্র্যাকেটে ট্যাক্স ছাড় দেওয়া হোক, এবং প্রয়োজন হলে ঘাটতি বাজেট করা হোক।

    অন্য দিকে কেইন্সীয়ানরা হয়তো বলবেন ট্যাক্স ছাড় দিলে সেই টাকা বিনিয়োগ হবেই তার কোন মানে নেই। বরং অনেক টাকা হাতে পেলে সেই টাকায় ফাটকা খেলার প্রবনতা দেখা যেতে পারে। আবার বিনিয়োগ বাড়লেও এফেক্টিভ ডিম্যান্ড না বাড়লে কোন লাভ হবে না। সুতরাং গরিবের হাতে যাতে টাকা আসে, তেমন কিছু করা হোক। তাতে ডিম্যান্ড বাড়বে, মাল্টিপ্লায়ার এফেক্ট কিক ইন করবে, মোটের ওপর এক্সপেক্টেড রিটার্ন বেশী হবে। কাজেই একই নীতি থেকে বিভিন্ন ইকনমিস্ট ভিন্ন সিদ্ধান্তে পৌঁচাতেই পারেন।

    এখন প্রশ্ন হল এই। ধরা যাক দুটি ইনকাম ব্র্যাকেট আছে, ক ও খ। ডেফিসিট ফাইন্যান্সিং করে মোট গ টাকা পাওয়া গেল। এবারে এই টাকা দুটি ইনকাম ব্র্যাকেটে ভাগ করে দেওয়া হবে। যদি ধরে নেই মার্জিনাল এক্সপেক্টেড রিটার্ন অফ ফাইন্যান্সিং সব ইনকাম ব্র্যাকেটেই ডিমিনিশিং, তাহলে সাপ্লাই সাইড আর ডিম্যান্ড সাইডারদের মাঝে একটি মধ্যপন্থা খুঁজে পাওয়া যেতে পারে, যেখানে ঐ গ পরিমান টাকা দুই ইনকাম ব্র্যাকেটে ভাগ করে দিলে এক্সপেক্টেড রেট অফ রিটার্ন ম্যাক্সিমাইজড হবে। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে ডিজেনারেট ম্যাক্সিমা এক্সিস্ট করবে (অর্থাৎ পিওর সাপ্লাই সাইড/ডিম্যান্ড সাইড পলিসি প্রেসক্রিপশন অপটিমাল হবে) তারও একটা ধারনা পাওয়া যেতে পারে। এই লাইনে কোন কাজ আছে কি?

    বোকার মত প্রশ্ন হলে মাপ করে দেবেন।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২০ অক্টোবর ২০০৮ ১০:৫৫402029
  • এইগুলো কেউ একটু বাংলায় বুঝায়ে দেবে?
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২০ অক্টোবর ২০০৮ ১০:৫৭402030
  • যেটুকু বুঝলুম তার সারাংশ হল -

    "আমদানি আঠান্নি, খরচা রুপাইয়া
    না পুছো না পুছো হাল
    নতিজা ঠন্‌ঠন্‌ গোপাল'

    (পৃথ্বীরাজ কাপুরের লিপে, তিন বহুরাণীয়াঁ সিনেমার গান - কার গাওয়া মনে নাই)
  • r | 198.96.180.245 | ২০ অক্টোবর ২০০৮ ১৬:২৭402032
  • অজদা, বেশির ভাগ দেশে বাস্তব অর্থনৈতিক নীতি ঐভাবেই প্রণয়ণ করা হয়- ট্যাক্স অ্যামনেস্টি স্কিম ও রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি স্কিম পাশাপাশি। কিন্তু থিওরিটিকালি এই কাজ করতে গেলে প্রথমেই আপনি এক্সপেক্টেড রেট অফ রিটার্নের প্রশ্নে আটকে যাবেন। এক একটা নির্দিষ্ট প্রোজেক্টের সোশ্যাল অ্যাকাউন্টিং করা সম্ভব, কিন্তু পুরো অর্থনীতির ম্যাক্রোইকোনমিক পলিসির ক্ষেত্রে সেটা করতে গেলে প্রচুর আপেল ও কমলালেবু যোগ করতে হবে। তবে কিছু নির্দিষ্ট ভেরিয়েবলের উপর এদের কম্প্যারেটিভ স্ট্যাটিক এফেক্ট দেখা যেতে পারে।
  • aja | 207.47.98.129 | ২০ অক্টোবর ২০০৮ ২১:৫৭402033
  • র,

    বুঝিয়ে বলার জন্য ধন্যবাদ।

    এখন ব্যাপারটা কি এই রকম যে সরকার (বা দেশের এলিটেরা) নিজেদের এজেন্ডায় যেমন স্যুট করে তেমনি একটা অ্যাজাম্পশন (এক্সপেক্টেড রেট অফ রিটার্ন নিয়ে) করে নেয়, আর সেই অনুযায়ী পলিসি ঠিক করে? না কি ব্যাপারটা আরো ক্রুডলি হয়। অর্থাৎ কোন রকম অ্যানালিসিসের ভান না রেখে যাস্ট 'সাপ্লাই সাইড (ডিম্যান্ড সাইড) সত্য কেন না উহা বিজ্ঞান', তাই যা করছি তাই ভাল, এই রকম একটা ব্যাপার হয়?
  • r | 125.18.104.1 | ২১ অক্টোবর ২০০৮ ১৪:৩৭402034
  • ডিপেন্ড করে। আলেন্দের মৃত্যুর পরে পিনোশের সময় চিলেতে "উহা সত্য, কারণ উহাই বিজ্ঞান" গোছের নীতি চালু ছিল। পরে আইসল্যান্ড ছিল সাপ্লাই সাইড ইকোনমিক্স কার্যকরী করার ল্যাবোরেটরি, যার ফলে পুরো দেশটাই আপাতত: ভোগে গেছে। বিশেষত: ক্রাইসিস হলে আই এম এফ যখনই ঝাঁপিয়ে পড়ে, তখনই এইরকম নীতি চালু হয়। স্টিগলিৎজের বইতে এইরকম আরও উদাহরণ আছে।

    এইরকম কিছু দেশ ছাড়া সবাই মোটামুটি শ্যাম ও কুল দুই বজায় রেখেই পলিসি ঠিক করে। এমন কি যাকে নিও-লিবারেল অ্যাজেন্ডার মূর্তিমান বিগ্রহ বলে মানা হয়, সেই বুশের দেশেও। বুশের ডেফিসিট ফাইনান্সিঙের নীতি ও মন্দা কাটানোর জন্য যুদ্ধের ইন্ডাস্ট্রিকে তোল্লা দেবার নীতি কেইনিসিয়ান, যদিও খুব পারভার্ট ভাবে। অন্যদিকে ট্যাক্স কাট, এবং ওয়াল স্ট্রিটকে কোনোভাবে না ঘাঁটানোর নীতি নিও-লিবারেল। ভারতে এন আর ই জি এ পুরোদস্তুর কেইনিসিয়, এবং এস ই জেড ভীষণভাবে নিও-লিবারেল।

    ডানপন্থী ও বামপন্থী র‌্যাডিকাল ছাড়া কেউই খাদের ধারে দাঁড়িয়ে পলিসি ঠিক করে না। ;-)
  • ranjan roy | 122.168.7.216 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ০১:৪৩402035
  • রঙ্গন,
    তাহলে ব্যপারটা এরকম দাঁড়ালো কি যে আল্টিমেটলি পলিসি ডিসিশনগুলো কখনই পিওর ইকনমিক ডিসিশন হয় না, আসলে হয় রাজনৈতিক ডিসিশন। শাসক এলিটদের রাজনৈতিক প্রায়রিটি হিসেবে। তারা অবশ্যই তাদের পছন্দসই সিলেকটেড ইকনমিস্ট( হতে পারে বিভিন্ন ইকনমিকস্‌ স্কুল অফ থট থেকে) পরামর্শ নেয়। যেমন আমেরিকার প্রেসিডেন্টের থিংক-ট্যাংকেও হকস্‌ এবং ডাভস্‌ দুই পক্ষই থাকে।
    ফলে কোন নির্দিষ্ট সময়ে কোন্‌ চিন্তা (সাপ্লাই সাইড না ডিমান্ড সাইড, না কি জগাখিচুড়ি) পলিসি লেভেলে ডমিনেট করবে তা ঠিক হবে --এক, নির্দিষ্ট রাজনৈতিক পরিস্থিতির মজবুরি, এবং দুই, এলিট গ্রুপটির মতাদর্শ, মুখ্যত: এই দুই ফ্যাক্টর দিয়ে।
    মোটামুটি তোমার কথা বুঝতে পেরেছি কি?
    অন্য একটি মায়াপত্রিকায় অরিজিৎ পারমাণবিক সমঝোতা প্রসঙ্গে সঠিক ভাবে বলেছিলো যে এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। শুধু টেকনিক্যাল যুক্তি দিয়ে বোঝা যাবে না।
  • aja | 207.47.98.129 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৩:৫৮402036
  • অর্থাৎ, ইন প্র্যাকটিস, নিও-ক্লাসিকাল ইকনমি ইজ ট্রাম্পড বাই পলিটিকাল ইকনমি।
  • aja | 207.47.98.129 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৩:৫৯402037
  • সরি, পার্শিয়ালি ট্রাম্পড।
  • r | 125.18.104.1 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ১৪:২২402039
  • একদম ঠিক। মেইনস্ট্রিম অর্থনীতিতে স্বীকারই করে নেওয়া হয়েছে যে অর্থনৈতিক নীতি, রাজনৈতিক মতাদর্শ ও রাজনৈতিক লাভক্ষতির হিসেব একে অন্যের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে আছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন