এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গোপালকৃষ্‌ণ গান্ধী মুখোশধারী রাজনীতিক নাকি ন

    sarathi
    অন্যান্য | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৮ | ২২৫২৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • shyamal | 72.24.189.126 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৩:৪৪401841
  • টি আই এফ আর আর কলকাতায় সাহা ইনস্টিটিউট দুইই পুরো কেন্দ্রীয় সরকারের টাকায় চলে। কিন্তু অটোনমাস বডি অর্থাৎ ডিরেক্ট কোন মন্ত্রকের অধীনে নয়। টাটার নাম আছে তার কারণ টাটারা বিল্ডিং সহ ক্যাম্পাস বানিয়েছিল। টাটাদের কোন ভুমিকা নেই। আই আই এস সি ও তাই।
  • aja | 65.57.245.11 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৩:৪৮401842
  • টিআইএফআরের দৈনন্দিন কাজে টাটা হস্তক্ষেপ করে না (ইনিশিয়াল ফান্ডিং দিয়েছে এই অজুহাতে), সেটা তো এনলাইটেন্ড ব্যবহারই বটে। আর গবেষণার উৎকর্ষের সাথে এই স্বাধীনতার একটা কোরিলেশন থাকতেও পারে।

    বিটসে বিড়লা যথেষ্টই হস্তক্ষেপ করে বলে শুনেছি।
  • aja | 65.57.245.11 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৩:৫২401843
  • একটা শিল্পগোষ্ঠীর এনলাইটেনমেন্টের পরিমাপ (খানিকটা) বোঝা যায় তার প্রায়োরিটি দেখে। মানে মন্দির তৈরী করছে না হাসপাতাল তৈরী করছে, বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজেদের খবরদারি চালাতে চাইছে, না যোগ্য ব্যক্তিকে ফান্ডিং যুগিয়ে কাজের স্বাধীনতা দিচ্ছে, এই সব দেখে।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৩:৫৩401844
  • দু-চারশো আর দুই-চার মিলিয়নের মধ্যে তফাতটা ভালই অজদা। উনিশ আর কুড়ির মধ্যের তফাতের চেয়ে সামান্য বেশি।

    আর মমতার চেয়ে টাটার হাত ধরে এনলাইটেনমেন্ট আসার সম্ভাবনা বেশি? এটা পুরো বেসলেস কথা। মমতা তো এই সেদিনের মহিলা। নকশালরাও ষাটের দশকের শেষের প্রোডাক্ট। কিন্তু টাটা-বিড়লারা গন্ধী-নেহেরুর স্নেহচ্ছায়ায় গত একশ বছর না কত একটা দিন ধরে দেশে এনলাইটেনমেন্ট এনে যাচ্ছেন। ফলাফল তো দেখাই যাচ্ছে।

    হ্যাঁ, রবিগুরু অবশ্য বলে গেছেন মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ। আমরা টাটা-বিড়লার উপর বিশ্বাসই বা হারাব কেন? বিশ্বাস নিয়ে কোনো তক্কো চলেনা। :)
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৩:৫৯401845
  • একটা শিল্পগোষ্ঠীর এনলাইটেনমেন্টের পরিমাপ বোঝা যায় তার প্রায়োরিটি দেখে? ফোর্ড ফাউন্ডেশন তৃতীয় বিশ্বের "ভালো-ভালো' (সত্যিই ভালো, আমার ধারণা)কাজে প্রচুর টাকা ঢালে। কিন্তু ফ্লিন্ট এর কারখানা বন্ধ করে হাজার-হাজার মানুষকে পথে বসায়।

    তবুও ফোর্ড এনলাইটেন্ড। এনলাইটেনেমেন্টের লিনিয়ার পরিমাপ অনুসারে। :)
  • aja | 65.57.245.11 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৪:০৬401846
  • দু'চারশো আর দু'চার মিলিয়নের মধ্যে অনেক তফাৎ - সে তো আপনি ঠিক করে দিয়েছেন, ঐ যেমন আমি ঠিক করেছিলুম হাসপাতাল বানানো মন্দির বানানোর চেয়ে অনেক এনলাইটেন্ড ব্যবহার।

    কে কবেকার প্রোডাক্ট ধরে যদি ঠিক করতে হয় সে কত এনলাইটেন্ড তাহলে কিছু ব্যাথা হয়। যেমন বুশ রবিঠাকুরের অনেক পরের লোক। কিন্তু বিশ্বাসের সাথে তর্ক করে লাভ কি বলুন?

    মানে যে গোষ্ঠী শুধু কারখানা বন্ধ রেখে লোককে পথে বসায়, কিন্তু ভাল কাজে টাকা ঢালে না, তার থেকে ফোর্ড এনলাইটেন্ড।
  • pi | 128.231.88.7 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৪:০৯401847
  • বুয়েচি, টাটা আমাদের কানা মামু :)
  • aja | 65.57.245.11 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৪:১০401848
  • ঠিক।
  • pi | 128.231.88.4 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৪:১৮401849
  • আর টাটারা মন্দির বানাতে টাকা ঢালে কিনা জানিনা, তবে জগতজোড়া মন্দির দর্শন করানোর 'corporate social responsibility' পালন করে থাকে ।

    http://tinyurl.com/4s8q4j

    :-)
  • aja | 65.57.245.11 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৪:২০401851
  • আচ্ছা, টাটার এক নম্বর কাটা গেল :)))।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৪:২১401852
  • কে কবেকার প্রোডাক্ট দিয়ে এনলাইটেনমেন্টের বিচার করা যাবেনা । ভালো কথা । দুশো মিলিয়ান আর দুশোর মধ্যে অনেক তফাত সেও বলা যাবেনা। সে আরও ভালো কথা। কিন্তু একজন শিল্পপতির সঙ্গে রাজনৈতিক মতাদর্শের তুলনা করা যাবে। হাতির দঙ্গে হাতিয়াড়ার তুলনা করে বলা যাবে, হাতি অনেক এনলাইটেন্ড। অনবদ্য বিচার পদ্ধতি সন্দেহ নেই। :)

    দুই নং কথা হল এই, যে, যে গোষ্ঠী কারখানা বন্ধ করে লোককে পথে বসায়, এবং বলে বেশ করেছি, সে বরং সৎ। আর যে সেটা ঢাকা দেবার জন্য পাঁচ সিকে দান করে "আমি মহৎ' সাজার চেষ্টা করে, সে ভন্ড। এনলাইটেন্ড নয়।

    এই সেদিন পর্যন্ত টিসিএস কোনো "কোম্পানি' ছিলনা। একটা "সামাজিক সংগঠন' ছিল। কত কোটি টাকা যে ট্যাক্স মেরেছে তার ইয়ঙ্কÄ¡ নেই। এখন "আমরা কতো মহৎ' বলে ঢাক পেটালেই মেনে নিতে হবে নাকি?
  • pi | 128.231.88.6 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৪:২৫401854
  • অর্থাৎ মামুর বিচারে টাটা কানা মামু নয়, দুষ্টু গরু। :)
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৪:২৫401853
  • শুধু তাই না। অনসাইট পাঠাতো এমপ্লয়িদের। বাধ্য করত বছরের শেষের ট্যাক্স রিটার্নটা কোম্পানিকে খয়রাত করতে। ভারতের আর কোনো কোম্পানি এই জিনিস করেছে বলে জানিনা।

    এই ছ্যাঁচড়াদের নাকি এনলাইটেন্ড বলতে হবে।
  • aja | 65.57.245.11 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৪:৩৬401856
  • বিচারপদ্ধতি তো সাবজেকটিভ, মানে আপনিই পথ দেখিয়েছেন :)।

    আপনি ভন্ডামি পছন্দ করেন না। বেশ তো। রামবাবু মদ খেয়ে বুকে দু'চাট্টী চড় দেন, আবার পরদিন সেটা ঢাকতে গয়না কিনে দেন। শ্যামবাবু মদ খেয়ে বউকে চড় দেন, আবার পরদিন বলেন মেয়েমানুষের তো মার খেতেই জন্ম - মেরেছি বেশ করেছি। রাম ভন্ড, শ্যাম ভাল, বেশ কথা।

    আর ভারতের অন্য কোম্পানি এমপ্লয়িদের অনসাইটে পাঠায় না নাকি?
  • pi | 128.231.88.4 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৪:৩৬401855
  • আর এটার জন্য টাটার কত নম্বর কাটবেন অজদা ?

    http://tinyurl.com/3hkzwv
  • aja | 65.57.245.11 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৪:৩৮401857
  • ভোপালের জন্য অনেক নম্বর কাটা যাবে। তবে আমরা রিলেটিভ এনলাইটেনমেণ্টের কথা বলছি তো। তাতে রিলেটিভ পজিশন টাটার খুব বদলাবে বলে মনে হয় না।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৫:১২401858
  • রামবাবু বৌকে গয়না দিলে প্রবলেম নেই। কিন্তু পুলিশকে পয়সা খাইয়ে বৌ পেটানোটা লুকিয়ে মহান সাজলে প্রবলেম আছে।

    আর অন্য কোম্পানিরাও অনসাইটে এমপ্লয়ি পাঠায়। কিন্তু ট্যাক্স রিটার্নটা ঝেঁপে দেয়না।টাটাই একমাত্র উজ্বল ব্যতিক্রম। কানা মামা। :)

    মানে ট্যাক্স দিলেন আপনি, কিন্তু যেটা বাড়তি দিয়েছেন, সেটা আর ফিরবেনা। যাবে কোম্পানির ঘরে। কি মহান। একজন মামলা করেছিল বছর খানেক আগে, এখন কি হয়েছে জানিনা। তবে তার আগে পর্যন্ত টাটা এই জালিগিরি চালিয়ে গেছে। হাবি-জাবি, অসভ্য, "নন এনলাইটেন্ড' কোনো ভারতীয় কোম্পানি যা করে দেখাতে পারেনি।

    টাটাকে ভালো প্রমাণ করতে গিয়ে আপনি এটার পক্ষেও কোনো যুক্তি দেবেন নির্ঘাত। তা দিন। কিন্তু ধুলেই কি আর কয়লার রং যায়? :)
  • c | 131.95.165.90 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৫:১৮401860
  • বাড়তি পয়সা টাটাকে দেন ক্যানো? টাটা তোর কপালে লাত্থি বলে ছেড়ে দিয়ে তারা চলে গেলেই পারেন!
    ঐ কোম্পানিতেই ভেকুভেকু করে পড়ে থাকেন ক্যানো তারা?
  • aja | 65.57.245.11 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৫:১৮401859
  • আমার নামে চেক কোম্পানি ভাঙাবে কি করে?

    মানে কিছু একটা গলতা আছে। অন্য কোম্পানিরা কি সেই গলতার সুযোগ নিত না?

    আপনার মতে শ্যামবাবু রামবাবুর চেয়ে ভাল (পুলিশের কথা তো ছিল না)। যে কথা বলে লজ্জা পান (আর পরে পুলিশ, ঘুষ বলে লজ্জা ঢাকতে হয়) তেমন কথা বলেন কেন?
  • shyamal | 72.24.189.126 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৫:২৯401862
  • c কে বলি, আমার টাটাদের সম্পর্কে বেশ ভাল ধারণা আছে। শুনেছি বিড়লারা কর্মিদের খারাপ ট্রিট করে টাটাদের চেয়ে।
    কিন্তু আবার ৯০এর দশকে টিসিএস অনেক প্রাক্তন কর্মিকে হ্যারাস করেছে তারা টিসিএস ছেড়ে আমেরিকান কোম্পনিতে ঢুকেছে বলে। আমি দুএকজন এরকম ভুক্তভোগীকে জানি। টিসিএস বন্ড লিখিয়ে নিত যে তারা কাউকে আমেরিকায় পাঠালে তার দেশে ফিরে কয়েক বছর টিসিএসে কাজ করতে হবে। বন্ড ভাঙলে তখনকার দিনে ৩০০০০ ডলার দিতে হত। এই আইন আমেরিকায় বেআইনী। তবু টিসিএস এদেশের কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে এদের নাম প্রচার করেছে ডিফল্টার হিসেবে।
  • aja | 65.57.245.11 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৫:৩৫401863
  • আমি টীসিএসের ভক্ত নই। কিন্তু আমি খুব সিওর নই এই ৩০০০০ ডলার ক্ষতিপূরণের চুক্তি আম্রিকান আইনে বেআইনী। সাধারণত: আম্রিকান আইনে চুক্তি খারিজ হয়ে যায় ডুরেস প্রমান করতে পারলে, বা একতরফা চুক্তি প্রমান করতে পারলে। এর কোনটা কি করে এখানে করা যাবে?
  • shyamal | 72.24.189.126 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৬:০৫401864
  • অজ,
    এ ব্যাপারে ওয়েবে একটু খুঁজলাম। তাতে যা বলছে, টিসিএস বছর তিনেক আগেও যারা বন্ড ভেঙেছে তাদের উকিলের চিঠি পাঠিয়েছে। কিন্তু আমেরিকার আইনে তো বটেই, ভারতীয় আইনেও বন্ডেড লেবার বা বন্ড দিয়ে কারো কেরিয়ার আটকানো বেআইনি। কয়েকজন কোর্ট অবধি গেছে আর টিসিএস হেরে গেছে।
    টিসিএস জানে তারা হারবে। কিন্তু ছাপোষা আই টির ছেলেমেয়ে আইন জানেনা। তারা উকিলের চিঠি পেয়ে ভয় পেয়ে যায়। আমার মনে হয় টিসিএসের উদ্দেশ্য বন্ডের টাকা পাওয়া নয়। এই ভয়টা তৈরী করে রাখা যাতে কর্মিরা ছাড়ার কথাই না ভাবে।

    এখন নাকি টিসিএস এই পদ্ধতি বন্ধ করেছে।
  • arjo | 24.214.28.245 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৬:৩৬401865
  • বোঝো। গোপাল বাবু থেকে টাটা তারপর টিসিএস হয়ে এখন ""সেই"" বন্ড নিয়ে কথা হচ্ছে। শ্যামল বাবু ঐ বন্ড লোকে বলে বলে ভাঙত, ভাঙে - ছাপোষা ঠিক নয়, আইটিতে ভালো ভালো লোকজনও আছে, তারা এসব ঠিকই জানে। সবাই জানত ওয়ান ওয়ে বন্ড কিস্যু হবে না। তো, এবারে সব থেকে ভালো যে গল্পটা ছিল, তা হচ্ছে ছেলে তো আমেরিকা এসে টিসিএস ছেড়েছে। টিসিএস তার কলকাতার বাড়িতে উকিলের চিঠি পাঠিয়েছে। এদিকে ছেলের বাবা টিসিএসকে উকিলের চিঠি পাঠিয়েছে - ছেলে টিসিএসের হয়ে কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ। সত্যি, মিথ্যে জানি না। এবারে টিসিএসও চেপে গেল, বাবাও। তবে টিসিএস এম্পলয়ার হিসেবে ভালো নয়।

    রামবাবু আর শ্যামবাবুর মধ্যে তুলনা করলে আমার মতে দুজনেই শয়তান - শ্যামবাবু মিটমিটে আর রামবাবু গর্দভ টাইপ। টাটা ভালো কি খারাপ জানা নেই। তবে যেকোনো কর্পোরেট হাউসের একটাই লক্ষ্য - শেয়ার প্রাইস বাড়ানো। টাটাও তাই করে তা না হলে আর এত ভালো ব্যবসা চালায় কি করে। বাকি দান খয়রাত তো অ্যাড - হ্যাঁ টাটার পাব্লিক রিলেশন ডিপার্টমেন্টটা বেশ ভালো। লোকের মনে বেশ একটা ভালো ধারণা আছে। আমার মনেও আছে।
  • Ishan | 12.217.30.133 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৭:৫৩401866
  • কোনো গলতা নেই। লিখিয়ে পড়িয়ে সইসাবুদ করিয়ে নেওয়া হত। এর মধ্যে আইনের ফাঁক কি আছে আমি জানিনা। সেই মামলাটারও কি ফয়সালা হল আর খোঁজ রাখিনি। ডিটেলটা যেকোনো টিসিএস এমপ্লয়িকে জিজ্ঞাসা করুন না।

    এই সব ছ্যাঁচড়ামো দেখলে আমার গা পিত্তি জ্বলে। আরও জ্বলে, এই কারণে, যে, এসবের পরেও টাটার মহত্ব নিয়ে প্রচার চলে। এবং লোকজন সেটা খায়।

    এখন, এই বাজারে এমন একটা হাওয়া চলছে, যেন, ব্যবসা-ট্যবসা নয়, টাটা আসলে দেশোদ্ধার করে টরে আমাদের উদ্ধার করতে এসেছেন। লাভ নয় সমাজসেবা, ব্যবসা নয় দান-ধ্যান, এইসবই টাটার ব্রত। টাটারা ঝানু ব্যবসায়ী। তাঁদের ব্যবসায়ী/শিল্পপতি হিসেবে ডিল করুন। যোগ্য সম্মান টম্মান দিন। কিন্তু তাদের মাথার পিছনে একটা জ্যোতি না দেখলেও চলবে।
  • Ishan | 12.217.30.133 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৮:০০401867
  • এবং সিপিএম। এদের সবেতেই বাড়াবাড়ি। যখন কম্পিউটার খারাপ ছিল তখন ভীষণ খারাপ ছিল। শিল্পপতিরা খুব খারাপ ছিল। কালো হাত ভেঙে দেওয়া টেওয়া ছাড়া আর কিছু হতনা।

    এখন শিল্পপতিরা ভালো হয়েছে তো এতো ভালো হয়েছে, যে, মাথা থেকে লাল-নীল আলো ছিটকে বেরোচ্ছে। চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে। রতন টাটার চেয়ে ভালো লোক আর দুনিয়ায় নেই।

    কথাটা সোজা। তুমি ভাই রাজ্য সরকার চালাচ্ছ। তোমার কাজ ভালো প্রশাসন দেওয়া। কেউ শিল্প করতে চাইলে সে যেন দরজায়-দরজায় না ঘোরে এটা দেখা তোমার কাজ। শিল্পপতিদের খেদিয়ে দেওয়াটাও তোমার কাজ না, আবার শিল্প করছে বলে কাছা খুলে আসুন স্যার বসুন স্যার এই নিন পাঁচশো কোটি টাকা স্যার, এইটাও তোমার কাজ না। এই ব্যালেন্সটাই এদের নাই। কি আর হবে।
  • aja | 67.152.86.163 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৯:০০401868
  • টাটাকে মহৎ ইত্যাদি কে বলেছে ভাই? জাস্ট একটু বেশী এনলাইটেন্ড বলা হয়েছে।

    তা টিসিএসের এমপ্লয়ীরা চাকরী বদলাত না কেন? মানে যদি শর্ত থাকে ট্যাক্সের টাকা টিসিএসকে দিতে হবে, তাহলে মাইনে থেকে ঐ টাকাটা বাদ দিয়ে স্যালারি প্যাকেজ হিসেব করলেই হয়। তারপর পড়তা না পোষালে চাকরি বদল।

    আর বন্ডের কথাটা তো হয়েই গেল। কেউ কখনো ঐ বন্ডে আটকায়নি। তবে ওরকম একটা বন্ডের ব্যাপার বোধহয় আইআইটি, ভারত সরকার, এদেরও ছিল। পুরোনো সোশ্যালিস্ট মানসিকতা আর কি, জোর করে ধরে রাখ।

    আর টাটা এনলাইটেন্ড নয়, মমতা উপযুক্ত বিরোধী এ সব কথা শুনলে ঝাঁট জ্বলে যায় মাইরি। এটা সেই চারুবাবুদের সশস্ত্র বিপ্লবের ডাকের চেয়েও বোর ব্যাপার।
  • siki | 122.162.82.250 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৯:১৫401869
  • বিড়লাদের মন্দির বানানো নিয়ে এক পয়সা দিতে পারি। শোনা গল্প। সত্যমিথ্যা জানি না।

    কোনও এক ভগবান কোনও এক বিড়লাকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে বলেছিলেন, তুই চিরকাল আমার মন্দির বানিয়ে যাবি। তোর সাম্রাজ্যও ফুলেফেঁপে উঠবে। যেদিন তুই আমার মন্দির বানানো বন্ধ করে দিবি, সেইদিন তুই সপরিবারে পথে বসবি।

    বিড়লারা এটা আজও ভক্তিভরে মেনে চলে, এবং দেশের (দেশের বাইরে কি বিড়লা মন্দির আছে? জানি না) সর্বত্র আজও কোনও না কোনও মন্দিরে দিনে অন্তত একখানা ইঁট গাঁথা হয়। একটা দিনের জন্যও মন্দির "বানানো' বন্ধ থাকে না।
  • Ishan | 12.217.30.133 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৯:৩২401870
  • টিসিএসের এমপ্লয়িরা অনেকেই চাকরি বদল করে। কেউ কেউ করেনা। কি পোষাবে কি পোষাবেনা, সে তাদের নিজের ব্যাপার। অজদার মূল্যবান উপদেশ না পেলেও তারা তাইই করবে। :)

    কথা হচ্ছে টাটা নিয়ে। টাটা ট্যাক্স রিটার্নটা এমপ্লয়ির থেকে ঝেড়ে দেয়। সেটা ছ্যাঁচড়ামো। L1 ভিসায় এমপ্লয়ি এনে (যাতে চাকরি না ছাড়তে পারে), বন্ডের ভয় দেখিয়ে, মিষ্টি কথা বলে, বা যে করেই হোক, টাটা সেই ছ্যাঁচড়ামোটা দিনের পর দিন চালিয়ে গেছে।

    অন্য কোম্পানিদের সঙ্গে টাটার তফাত হল, বাকিরা এই ছ্যাঁচড়ামোটা করেনি। কিন্তু টাটা করেছে। এতদ্বারা প্রমাণিত হল টাটা অন্যদের চেয়ে বেশি এনলাইটেন্ড। :)

    এর চেয়ে মমতার যুক্তিটুক্তিও অনেক বেশি বোধগম্য। সন্দেহ নেই। :)
  • Arijit | 61.95.144.123 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৯:৪০401871
  • টিসিএসের অনেক এমপ্লয়ী বা এক্স এমপ্লয়ী বলবে টিসিএস বড় বাল - যেমন আমি বলি বা বেথে বলে। আবার প্রচুর এমপ্লয়ী বলবে টিসিএস ভালো - নইলে ওই সব সার্ভেতে টিসিএস ওপরদিকে আসে কি করে?

    শুধু বণ্ড নয়, টিসিএস একসময় অরিজিনাল সার্টিফিকেট জমা নেওয়ার দাবি রেখেছিলো - ওই প্রথম তিন বছরের জন্যে। টিসিএসের ইতিহাসে মনে হয় ওই প্রথম এবং শেষ "মিছিল' হয় - গুরগাঁওয়ের ট্রেনিং সেন্টারে ট্রেনিরা করেছিলো - যাদবপুরে আমার পরিচিত কিছু ছেলে লীড নিয়েছিলো (অপ্পন চিনবে - দীপান এণ্ড কোং)। আমি TOI-তে চিঠিও লিখেছিলুম। এবং তারপরেই অসন্তোষের লেভেলটা বুঝেই সম্ভবত: এটা উইথড্র করা হয়।

    এবার বণ্ড কেন লোকে মানে? পরিস্কার কথা হ্যারাসমেন্টের ভয়ে। আমিও তিন বছর থেকেছিলাম - ওই ওভারসীজ আর দেশীয় বণ্ডের সময়টা কাটানোর জন্যে। এক তো হ্যারাসমেন্ট থেকে রেহাই পাওয়া - ছাপোষা বাঙালী বাবা, উকিলের চিঠিকে ভয় পাই। আর আমার পিতৃদেব আরো ভয় পান এসব উটকো ঝামেলাকে। আর দুই - যতই বাজে এমপ্লয়ার হোক, ব্র্যাণ্ড নেম আছে, এবং তার ফলে নিজের কেরিয়ারের জাম্পিং প্ল্যাটফর্ম তৈরীর জন্যে টিসিএস খারাপ নয়। এই সব ভেবেই অনেকে থেকে যায়। তবে বছরের পর বছর যারা থাকে তারা সবাই সন্ন্যাসী। আমি সিওর।

    এই বণ্ডের রকমফের এখন অনেক কোম্পানিই করেছে। উইপ্রো ক্যাশ বণ্ড জমা রাখছে। টিসিএস ধরণটা বদলালেও কনসেপ্টটা এখনও রেখেছে।

    তবে ওই যে বল্লাম - টিসিএসের লোকে টিসিএসকে খিস্তি মারে, টিসিএসের ভিতরেও চালু আছে - "বানিয়া কোম্পানি'। কিন্তু টেলকো/টিস্কোর লোককে কখনো খিস্তি মারতে শুনিনি। তাহলে দুটো কি এতটাই আলাদা? (ডি: পেপারগুলো না পড়েই লিখলাম আপাতত:)। ব্যক্তিগতভাবে টাটা মহান কিছু এটা মিথই মনে হয় - এই যেমন বিল্লুদাকেও লোকে বলে বিরাট ফিলানথ্রপিস্ট - শালা চাড্ডি ঝাঁটের সফটওয়্যার দিয়ে মনোপলির রাজত্ব চালিয়ে অন্য কোথাও খয়রাত করলেই কি মহান হয়?

    এবং একই ভাবে "মমতা উপযুক্ত বিরোধী' - এটাও একটা বালের মিথ। মমতা প্রধান বিরোধী এটা দুর্ভাগ্য। আরো দুর্ভাগ্য যে শিক্ষিত লোকে শত্রুর শত্রু কনসেপ্টে বা অন্য কারণে (হয়তো কল্কে পেতে) মমতার মঞ্চে ওঠে। ছো:।
  • Ishan | 12.217.30.133 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৯:৪৪401873
  • আরও একটা কারণ আছে। অজ্জিত লেখে নাই। বন্ড জাম্প করলে রিলিজ লেটার, ওয়ার্ক এক্সপিরিয়েন্স, এগুলো পাওয়া যায়না। জাম্প করে প্রথমবার যে চাকরিতে জয়েন করলে, সে না হয় বলল ওসব লাগবেনা। কিন্তু নেক্সট জবেও এমপ্লয়ার সেই একই কথা বলবে, তার কোনো গ্যারান্টি নেই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন