এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • তৃ-প-বু-ভূ ৩

    rokeyaa
    অন্যান্য | ২৬ নভেম্বর ২০০৯ | ৩২২৯৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • SB | 114.31.249.105 | ৩১ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৯:২১428029
  • তখন পরিবর্তনকামীদের পরিবর্তিত শিল্পায়ন হবে :-)
  • ayska | 86.158.237.65 | ৩১ ডিসেম্বর ২০০৯ ২০:০৯428031
  • আজ যে শিল্পায়ন নিয়ে এত হই-চই, হতেই পারে কাল সেই ইস্যুতে সরকার পড়ে গেল। তাতে শিল্পায়নাটকাবে কি?

    অপারেশন বর্গার সময়েও কম সিপিএম কর্মী খুন হন নি। তাতে ইতিহাস কে আটকানো যায় নি।

    আজ তৃণমূল ক্ষমতায় এসেও কি বিকল্প শিল্পায়নের কোনো সুত্র দিতে পারবে?
  • Bratin | 117.194.98.219 | ৩১ ডিসেম্বর ২০০৯ ২১:৩৯428032
  • তাহলে কি করতে বলেন? আরো ও ও ও ৫ বছর সি.পি.এম. কে সুযোগ দেওয়া?
  • Mmu | 78.236.153.102 | ০১ জানুয়ারি ২০১০ ০০:৪৫428033
  • সকলকে জানাই শুভ নববর্ষের প্রীতি ও শুভেচ্ছা
  • ranjan roy | 115.184.61.189 | ০১ জানুয়ারি ২০১০ ২৩:২৬428034
  • ayska,
    হৈচৈটা আদৌ শিল্পায়ন নিয়ে নয়, শিল্পায়নের নামে সিউডো- অ্যাটিচুড নিয়ে।
    এই গুরু তেই কয়েকমাস আগে বাম সরকারের শ্রমদপ্তরের পত্রিকা থেকে ডেটা দিয়ে দেখানো হয়েছে যে গত পাঁচবছরে কত কারখানা বন্ধ হয়েচে আর কত নতুন খুলেছে। ফলস্বরূপ প্রতি বছর চাকরিযাওয়া আর নতুন হওয়ার নীট ফল কত খানি বেকার বাড়া বা কমা।
  • SB | 59.93.244.179 | ০২ জানুয়ারি ২০১০ ০১:২২428035
  • রঞ্জনদা, এই নিয়ে কচলাতে আর ভালো লাগে না ঠিকই, তাও আপনি মনে হল সিরিয়াস ডিসকোর্স চান। কোনদিন করা যাবে, তবে তৃনমূলীদের রাজনীতি যেটুকু চিনি, তাতে কয়েকটা ব্যপার নির্দিধায় বলা যায় পরিবর্তনের পরে যা হবে:

    ১। যেসব কারখানা বন্ধ হয়েছে, সেগুলো নিয়ে বলা হবে সিআইটিইঊ-এর জঙ্গী আন্দোলনের জন্যেই হয়েছে। তাই নতুন করে শ্রমীক শ্রেনীর অধিকারের ওপরে আক্রমণ নামিয়ে আনা হবে। এখন অনেকেই আপনাদের সাথে গলা মিলিয়ে পরিবর্তনের পক্ষে কথা বলছেন,তাদের অনেকেই বাম নয়, তারা এই ঘটনার, এই পদক্ষেপের সবথেকে বড় সমর্থক হিসেবে দেখা দেবে।

    ২। শিল্পায়ন যা হবে পরে, সেটাও এই একইধরনের করপরেট শিল্পায়ন, কারন তৃণমূল কংগ্রেসের রেল মন্ত্রকই দেখিয়ে দিয়েছে, কর্ম এবং কর্মী সংকচনের ব্যপারে তাদের কোন দ্বিধা দ্বন্দ্ব নেই। সরকারের কল্যানকামী ভূমিকা দিন দিন কমবে, এবং শিল্পের মত ক্ষেত্রগুলো থেকে সম্পূর্ণ ভাবে হাত গুটিয়ে নেবে। তাতে এখনকার থেকে অবস্থা কিছু ভাল হবার চান্স নেই।

    ৩। গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রশ্নে, সরকারের নমনিয়তার প্রশ্নে বুদ্ধদেব সরকার কে তখন দেবতা মনে হবে, এটা জোর গলাতেই বলা যায়। কারন দ্রুত শিল্পায়ন করার জন্যে, অলরেডি যার জন্যে জমি প্রস্তুত, what is to be done, is to be done. তখন হয়ত ক্ষেত্র বিশেষে পুলিশের কাজ অন্য কেউ করে দেবে, মানে এখন যারা সিপিএম মারছে, তখন তাদের লক্ষ্য শুধুই সিপিএম থাকবে না। আরো রক্তত্ত বাংলা দেখার জন্যে প্রস্তুত হোন।

    আর কারোর যদি প্রশ্ন থাকে, তাহলে সিপিএম কে আবার ভোট দিতেয় বলছি? না তা বলছি না, বেটার অলটর্নেটিভ যদি কিছু থাকে তাকে দিন। আমার ব্যক্তিগত ভাবে তৃনমূল কে সিপিএম এর থেকে ভালো মনে হয়নি। কোন বামমনস্ক মানুষের হয়ে থাকলে হাত তুলবেন :)
  • SB | 59.93.200.65 | ০২ জানুয়ারি ২০১০ ১১:৩৬428036
  • শুনলাম উত্তম কুমারের পুত্রবধুর রেলে চাকরী হল। এসব কিন্তু শুধুই মুক্তিসুর্যের কালচারাল রিভোলিউশন, অগ্নিকন্যার স্বজনপোষন নয় :)

    পরিবর্তনকামীরা নিশ্চই এই প্রগতিশীলতা দেখে খুশী :)
  • Ardhendu Banerjee | 117.200.84.193 | ০২ জানুয়ারি ২০১০ ১৫:৩৪428037
  • পরিবর্তনকামীরা সুধু এক্টাই পরিবর্তন চান।সরকারে সিপিএম না থেকে দিদির দল থাকুক।তাতে স্বজনে্‌পাষোন হল কি দিদির সাপোর্টারদের পকেট ভারি হল তাতে ওনাদের কোনো interest নেই।ওনাদের নৈতিক আপত্তি এক্টাই।সিপিএম সরকার থেকে বিদেয় হোক।
  • Samik | 12.191.136.3 | ০২ জানুয়ারি ২০১০ ১৮:২১428038
  • sb, হাত তুললাম। বেটার মনে হয় বলে নয়, লেসার ইভিল মনে হয় বলে। কিংবা কে জানে, কতটা ইভিল, এখনো জানি না বলে।

    ডি: আমি কিন্তু তিনোমূলী নই, সিপিয়েমও নই।
  • ranjan roy | 115.184.3.13 | ০২ জানুয়ারি ২০১০ ১৮:৪২428040
  • SB,
    একদম হক কথা বলেছেন। এটা স্পষ্ট আমি দিদিদের কাছ থেকে কোন দীর্ঘস্থায়ী কল্যাণকামী পরিবর্তন আশা করি না। কারণ ওনার রাজনৈতিক জীবনে আমি বঙ্গের ইকনমি বা সামাজিক কাঠামোয় পরিবর্তনের ব্যাপারে কোন প্রোগ্রাম বা সুসংহত চিন্তার পরিচয় কোথাও পাইনি।
    ম্মু আশা করেন। বেশ, সেটি ওনার আন্ডারস্ট্যান্ডিং।
    আমি এই কলমে অনুরোধ করবো উনি যদি ওনার ""আশার'' ভিত্তিটা কি একটু বুঝিয়ে বলেন।
    bb র সঙ্গে আমি একমত। কেউ তৃণমূলের সমর্থক( বা সিপি এম, বিজেপি, কংগ্রেসের সমর্থক ) হলেই তার বক্তব্য শোনা হবে না কেন?
    শুনে তারপর পাল্টা বক্তব্য তথ্য দিয়ে, তঙ্কÄ দিয়ে রাখলেই হয়।
    এভাবেই এখানে আগে খোলা বাজার অর্থনীতির খোলাখুলি সমর্থক শ্যামলবাবুর সঙ্গে আমাদের তীব্র বিতর্ক হয়েছে। দুপক্ষই সমানে ডেটা, পাল্টা ডেটা, যুক্তি-পাল্টা যুক্তি দিয়েছি।
    ফলে সমৃদ্ধ হয়েছে এই পাতা, সমৃদ্ধ হয়েছি আমরা। কারণ শেষকথা কেউ বলতে পারে না যে।
    আবার সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম নিয়ে বিতর্কের ঝড় বয়ে গেছে।
    কখনও কখনো আমি এবং কেউ কেউ ধৈর্য্য হারিয়েছি----টাটার একশ' বছরের ইতিহাসে কখনো স্ট্রাইক হয়নি গোছের ডাহা মিথ্যেকথা বুদ্ধদেব গুহ আজকাল এ লেখায় চটে গিয়ে সম্ভবত: bb কেই ভুলকথা বলে লজ্জিত হয়েছি আর ভেবেছি আর একটু ভেবে চিন্তে বল্লে হত!

    কিন্তু সব নিলিয়ে বিতর্কটিইনফরমেটিভ হয়েছিল। অনেক অজানা তথ্য জেনেছিলাম।
    মেজরিটি-মাইনরিটির প্রশ্নে, ফ্যাশিস্ত পরিবেশে এথনিক মাইনরিটি কি ভাবে বেঁচে থাকবে বা কাজ করবে--এটা নিয়ে অনেকগুলো সম্ভাব্য রণনীতি নিয়ে কথা হয়েছিল।
    SB এবং PT,
    আসুন আমরা উনয়নের মডেল নিয়ে আলোচনা করি।অর্থনীতির প্রো বৈ চ, যিনি এপাতায় রঙ্গন, তাঁর পরামর্শে আমরা অনেকে অধ্যাপক অমিত ভাদুড়ির সুলভ Develpoment with Dignity: A case for full employment''বইটি জোগাড় করে পড়লাম।

    আমার অনুরোধ আগ্রহীরা কলেজ স্ট্রীট পাড়ার ""চর্চাপদ'' প্রকাশিত " উন্নয়ন বিতর্ক''( সম্পাদক: রাঘব বন্দ্যোপাধ্যায়) বইটি পড়ুন। বইটি মুলত: বামপন্থী দৃষ্টিকোণের ডেভলপমেন্ট ইস্যুর বিবিন্ন দিক নিয়ে লেখা। তাতে শ্রমনীতি, আর্থিক নীতি, কৃষি নীতি, এমপ্লয়মেন্ট সবই নিয়েই বিভিন্ন ফিল্ডের লেখকদের বক্তব্য আছে।
    অমিত ভাদুড়ি তো বটেই।

    মজার ব্যাপার হচ্ছে যে হার্ডকোর কেতাবী বামপন্থী দৃষ্টিকোণ থেকে
    বলা যেতে পারে-- এই বুর্জোয়া ব্যবস্থায় কিস্যুসম্ভব নয়। বিপ্লব হলে তবেই--।

    কিন্তু অমিত ভাদুড়িরা বলছেন কি করে এইব্যবস্থার মধ্যেও গরীবের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখে বিকাশ সম্ভব।
    আসুন, সবার বক্তব্যের সাথে সহমত হতে হবে এমন মাথার দিব্যি কেউ দেয় নি।
    কিন্তু গুছিয়ে চিন্তা করার একটা বেসিস তো পাওয়া যাবে। আসুন, শুরু করি, এই লেখাগুলোকে সমালোচনা করেই নাহয়।
    শুরু তো করি।
  • Mmu | 78.236.153.102 | ০২ জানুয়ারি ২০১০ ১৯:৩১428041
  • ranjan দা অতো টা বোঝাতে পারবো না। তবে এইটুকু বলতে পারি মমতার উন্নয়ের চেস্টা অস্বাভিক up to dated ` এবং বাস্তব সম্মত। সেটা শুধু এখন নয় , আগেও মমতা রেল মন্ত্রী থাকাকালীন আমরা দেখেছি। মমতা একজন সফল রেল মন্ত্রী। অন্তত আমার মনে হয়।
    আর তা ছারা সবাই যা ভেবে বাম ফ্রন্ট কে সরকারে এনেছিল তা বাস্তবে রুপ পেয়েছে? মানে মানুষের আশা আকাঙ্খা সবই বাস্তবায়িত হয়েছে?
    প্রথমে কেন্দ্রের দোহাই তারপর প্রকল্প রুপায়িত না হওয়ার জন্য টাকা ফেরত যাওয়া। এতো আমরা সবাই জানি।
    মমতা যদি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উন্ন্যয়নের ধারা বজায় রাখতে পারে তাতে তো সবার ভালো।
    ***(আসলে আমি ভালো লিখতে পারিনা বা অতো সূত্র দিয়ে আপনাদের মত লিখতে পারিনা তাই অনেকে আমার লেখা পরে না, কিন্তু আমি একজন মানুষ,আমারো লেখার বা বলার অধিকার আছে এবং কোন দলকে সাপোর্ট করারও অধিকার আছে।
    আমার বক্তব্য বোঝাতে পারলাম কিনা জানি না,) ধন্যবাদ।
  • SB | 59.93.217.230 | ০২ জানুয়ারি ২০১০ ২০:৩৫428042
  • শমীক, কী কারনে লেসার এভিল তা শুনতে চাই :)

    ম্মু, বামফ্রন্টকে মানুষ দুহাত তুলে যে কারনে ভোট দিয়েছিল, ঠিক ভাবে বলা মুশকিল কেন, তবে মনে হয় ৭০ দশকের নৈরজ্যের থেকে মুক্তি পেতেই প্রধানত দিয়েছিল। কিন্তু এটা ঠিকই যে বামফ্রন্ট সরকার কেন কোন সরকারই যে এই ব্যবস্থার মধ্যে মূলগত পরিবর্তন আনতে পারে না সেটাই বামফ্রন্ট সরকার বা বাম দল গুলো বলা ছেড়ে দিয়েছে, যেটা মস্ত ভূল। দিদি আসলে কী কী করবেন বলে মনে হয় আপনি পারলে একটা লিস্ট করে দিন (সিপিএম মারা ছারা), কয়েকবছরের মধ্যেই সেটা না হয় মিলিয়ে দেখব সবাই মিলে।
  • SB | 59.93.217.230 | ০২ জানুয়ারি ২০১০ ২০:৫৮428043
  • রঞ্জনদা, বিতর্কটা শুধুই বিপ্লব হলে সব ঠিক হয়ে যাবে পর্যায়ে নয় বোধয়।

    অমিত ভাদুড়ি পড়েছি, উন্নয়ন-বিতর্ক'র সম্পর্কে শুনেছি, ওই কমপাইলেশনের কিছু লেখা এদিক ওদিক পড়েওছি।

    বামপন্থার দুটো ধারা এই মুহুর্তে প্রধান, এক তো হল মাওবাদীদের আরেকটা হলো সিপিআইএমের। মাওবাদীরা কেন ভুল তা লিখেছি আগেই, আরো অনেক কিছুই লেখা যায়।

    তবে বাকি যেটা, এই যে রিলিফ দেওয়ায় প্রোগ্রাম, সেটা কী এই ব্যবস্থার মধ্যে করা সম্ভব? ধরুন এই যে ইনফ্লেশন, এই মুহুর্তে একটা জ্বলন্ত সমস্যা, তার থেকে রিলিফ দেওয়া কী সম্ভব? কোন উপায় আছে? থাকলে জানাবেন, আমি খুঁজে পাইনি।

    তাই আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয় উদারনীতি (১৯৯১)র পরে একটা রাজ্য সরকারের ক্ষেত্রে রিলিফ দেওয়াটা বেশ অসম্ভব, বিকল্প পথ দেওয়া তো আকাশকুসুম কল্পনা মাত্র। যে কোন বাম দল সংসদীয় গণতন্ত্রের মাধ্যমে রাজ্য সরকারে আসলে এই অসুবিধার (hobson's choice) সামনে পরবে। কেন সেটা অনেকেই লিখেছেন, আবার লিখতে গেলে একটা গোটা প্রবন্ধ লিখে ফেলতে হয়।

    এই সময়ে দাঁড়িয়ে শুধু সংসদীয় পথে এগোলে চাপ আছে, মাওবাদী-সিপিআইএমের জোট, মানে দুটো পথ একসাথেই নিতে হবে। দিনকে দিন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথ বন্ধ হবে, যে মিডিয়া আজ আপনাদের সাথে গলা মিলিয়ে কথা বলছে তারাই বলবে জঙ্গি শ্রমিক অন্দোলনের বিরুদ্ধে। আপনাদের সাথি অনেক পরিবর্তনকামীও বলবে একই কথা। ডেমোক্রেটিক স্পেস বলতে আমরা যা বুঝি তা দিন দিন কমে আসার সম্ভাবনা। তাই ওই দুটো পথের একজোট হওয়ার কথা বললাম।

    বৃহত্তর বাম ঐক্য ছারা বেশ ভাল চাপ আছে। তবে, নকুরা চিরকালই মাকুদের ব্যাপারে এলার্জেটিক :-( তাই বিশেষ আশা দেখি না!
  • kallol | 115.184.45.6 | ০২ জানুয়ারি ২০১০ ২১:২৫428044
  • ভদ্রস্থ একটা কথা শুরু হয়েছে দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না।
    ৭৭ থেকে বামফ্রন্ট কেন এতো ভোট পেলো, সেটার নানান ব্যাখ্যা হতে পারে। কিন্তু একটা কথা মনে রাখলে ভালো হয়, বিরোধীরা কিন্তু অনেকদিন পর্যন্ত ৪০%এর কাছাকাছি ভোট পেয়ে গেছে। শেষ কয়েকটা ভোটে বিরোধীদের জনসমর্থন কমেছিলো লক্ষ্যনীয় ভাবে। ঘটনা হলো, নন্দীগ্রামের আগে পর্যন্ত হাওয়া বামেদের পালেই ছিলো, রেশন নিয়ে ঝামেলার পরও।
    ৭৭-এ জরুরী অবস্থার ফাঁস থেকে মুক্তি পেতে মানুষ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। সেদিন যদি প্রফুল্য সেনরা একটু রাজনৈতিক বুদ্ধি ধরতেন তবে আজ ছবি অন্যরকম হতো। জনতা-বাম জোট হবার কথা ছিলো। তাতে জনতা দল প্রায় সিপিএমএর সমান আসনে প্রতিদ্বন্দীতা করবে সেটাই কথা হয়েছিলো। তখন জনতা দল কেন্দ্রে ক্ষমতায় এবং কংগ্রেস, বা বলা ভালো ইন্দিরা বিরোধীতায় তাদের গ্রহণযোগ্যতা সিপিএমএর চেয়ে বেশীই ছিলো। কিন্তু প্রফুল্যবাবুরা আরও আসন চাইলেন, তাই জোট ভেঙ্গে গেলো। জোট হলে বামফ্রন্ট নয়, আবার যুক্তফ্রন্ট হতো। তাতে সিপিএমএর ওপর রাজ্য চালানোর অনিচ্ছুক দায়িত্ব এসে পড়তো না।
    সিপিএমএর ধারনা ছিলো বামফ্রন্টকে বেশীদিন ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া হবে না (অন্য দুবার যা হয়েছিলো)। সে তো হলই না। এমনকি ৮০তে যাখন ইন্দিরা ক্ষমতায় ফিরলেন, তখনও তেমন কিছুই হলো না।
    এইবার শুরু হলো ঝামেলা। সুশাসন না বিপ্লব। শেষ পর্যন্ত সুশাসনই জেতে। তখনই অপারেশন বর্গা, উদ্বাস্তুদের জমির পাট্টা দেওয়া, পঞ্চায়েত নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু হয়। ক্ষমতায় ১০ বছর থাকার পর, পার্টিকে গণপার্টি ঘোষনা করার পর, বেনোজল ঢুকতে শুরু করে এবং তা উচ্চতম নেতৃত্বকেও গ্রাস করে। শুরু হয় ঔদ্ধত্যের জামানা। শুরু হয় বাহানা দেওয়া - ""প:ব: বিহারের চেয়ে ভালো"", ""আবার ৭২-৭৭ ফিরে আসবে"", ইত্যাদি।
    বাম নেতারা বোঝেন নি ক্ষমতায় ক্ষেতমজুরকে নিয়ে এলেই জনগনের শাসন হয় না। বরং সে ক্ষেতমজুর থেকে সুবিধাভোগী হয়ে পড়ে।
    পরে লিখছি, খিদে পেয়েছি।
  • ranjan roy | 115.184.74.182 | ০২ জানুয়ারি ২০১০ ২১:৫৭428045
  • SB, আপনার মূল বক্তব্যের সঙ্গে একমত।কিন্তু কি করে হবে জানিনে, একদম জানিনে। হাতড়ে বেড়াচ্ছি। তবে ভায়োলেন্সের ওপর বিশ্বাস দিনদিন কমে আসছে।
    আসুন না ডিডিদার ওখানে একদিন রিয়েল ভাটে। খাওয়াদাওয়া ধমালের সঙ্গে এস্ব আলোচনাও হোক।
  • SB | 59.93.197.161 | ০২ জানুয়ারি ২০১০ ২৩:৩১428046
  • আপনি এরকম 'আপনি আপনি' করলে কোথাও যাওয়াটা চাপের হয়ে যাবে :-(

    তবে রঞ্জনদা হিংসা এমনকি বাঘ, সিংহ, এমনকি সাপও এমনি এমনি দেখায় না, অনেকসময় বাধ্য হয়।

    মাওবাদীরা হিংসাটাকে ব্যবহার করছে ভীতি তৈরী করার জন্যে, ভীতির মাধ্যমে ক্ষমতা, এলাকা দখল। যেটা অনেক ক্ষেত্রে আমার পার্টি করেছে ভীতির পরিবেশ তৈরী করে, এখন যেটা তৃণমূল কপি পেস্ট করে চালাচ্ছে। এই দুটোই ভুল বলে মার খেয়েও গান্ধিগীরি করতে হবে এটা এখনোও মনে হয়নি। নক্সালদের হঠকারি হিংসা ভুল ছিল তা'বলে জোতদারের জুলুমের বিরুদ্ধে গাল পেতে দিয়ে মার খেয়ে তো লাভ হয়নি, গান্ধির পথে তো ভারতবর্ষে শোষনমুক্তি হয়নি, বরং তাই আজও সাঁইবাড়িকে সমর্থন করতে দ্বিধা করিনা।
  • Mmu | 78.236.153.102 | ০৩ জানুয়ারি ২০১০ ০৪:২৬428047
  • SB দাদা, এখন দয়া করে মমতার উন্নয়নের লিস্ট তা দেখুন তাহলেই বুঝতে পারবেন মমতা কি পারবে। কং শাষনে অতিষ্ঠ হয়ে মানুষ বাম কে এনেছিল। কে জানত এরা ৩২ বছর কি করবে। সেই রকম মমতাকেও এনে দেখুনই না, কি করতে পারে?
    বলা বাহুল্য Mamataa is Mamataa, one man party.
    তাতে লজ্জার কিছু নেই। এত দিন শুনতাম- কংগ্রেস? ওরা তো কেউ কাউকে মানে না। এখন কিন্তু তা নয়। মমতার কথা শুনতেই হবে। তা সে মু,জ্যো,পা,সু, ই হোন না কেন।
    আর সত্যি বলতে কি তার জন্য সব তৃনমুল কর্মী/সমর্থক গর্বিত।
  • Mmu | 78.236.153.102 | ০৩ জানুয়ারি ২০১০ ০৪:৩০428048
  • SB দা আপনার 02jan2010--08:35 এর জন্য লিখলাম
  • kallol | 115.184.63.209 | ০৩ জানুয়ারি ২০১০ ০৭:৩৭428049
  • মমতা ক্ষমতায় আসবেই এতোটা নিশ্চিত নই আমি। অনেক কিছু ঘটতে পারে ভোটের আগে। সিপিএম আসছে না এটা হয়তো ধরে নেওয়া যায়।
    তবে যারাই আসুক, নতুন কিছু করে দেখানোর বুদ্ধি বা হিম্মত কারুরই নেই। বিকল্প উন্নয়ন কি হতে পারে তা নিয়ে কারুর কোন ভাবনা নেই, যদিও সিদ্ধার্থবাবুর আমল থেকে প্রচুর ভালো প্রস্তাব পড়ে রয়েছে - কেউ দেখবারও প্রয়োজন বোধ করে না।
    যেমন ছিলো, যেমন চলছিলো তমনই চলবে। সেটা পার্থর সিঙ্গুরে অনিচ্ছুক কৃষকদের প্রশ্নে থতমত খাওয়া দেখেই বোঝা গেছে।
    বরং মাওবাদীরা বাড়তে পারে, যদি তারা রজনৈতিকভাবে আর একটু নমনীয় হয়। যদি তারা অকারণ হিংসা থেকে সরে দাঁড়ায়।
    তবে শিল্পের উন্নতি মানেই উন্নয়ন - এই ধারনা যতদিন না যাচ্ছে ততদিন এরকমই চলবে।
  • kallol | 115.184.63.209 | ০৩ জানুয়ারি ২০১০ ০৭:৪১428051
  • ম্মু'র শেষ পোস্টটা বেশ কোতুহলদ্দীপক। গণতন্ত্রহীনতা যে গর্বের বিষয় হতে পারে - এটা মজার। সেই, ভালো ডিক্টেটর/খারাপ ডিক্টেটরের গল্প।
  • SB | 59.93.207.102 | ০৩ জানুয়ারি ২০১০ ১১:৫৯428052
  • ম্মুর কাছে লিস্টি চেয়েছিলাম, পেলাম না। বোধয় নেই।

    কল্লোলদার মতো আমিও এতটা নিশ্চিত নই যে মমতাই ক্ষমতাতে আসবে, এই নিয়ে একটা থীওরিও আছে..... এখন থাক বরং ....

    মাওবাদীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিজন দারুওয়ালা হতে চাইনা, তবে তাদের ভূল পথের দিশা পাল্টানোর কোন কারন দেখিনি, তাই আশাবাদী নই। পথ পাল্টানোর জন্যে ভীতরে যেইধরনের বিতর্ক হওয়া প্রয়োজন, সেই পরিবেশ ওই দলে নেই এখনো, হয়তো এটা সেই বাড়ার সমস্যা।

    যে কথাটা মনে হয়, সারা ভারতে যেভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জায়গা কমে আসছে, যেমন একটা উদাহরণ নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের ব্যর্থতা, তাতে ভবিষ্যতে এই স্পেসটা আরোও কমবে বলেই ধারনা। তাই পার্লামেন্টারি লেফ্‌টদের সংসদীয় পথের বাইরে গিয়ে রাজনীতি করার কথা ভাবতে হবে শীগ্গিরি। থিংকিং আলাউড।

    কল্লোলদা, খাওয়ার পরে লিখবেন বল্লেন .... অপেক্ষায় থাকবো!
  • ranjan roy | 115.184.115.34 | ০৩ জানুয়ারি ২০১০ ১২:৩২428053
  • SB,
    তোমার মূল বক্তব্যের সঙ্গে আমার কোন আপত্তি নেই। এগুলো তো মার্কসীয় দর্শনের গোড়ার কথা।
    কিন্তু প্র্যাকটিক্যাল ফিল্ডে দেখছি হিংসার একটি নিজস্ব ডায়নামিক্স আছে।নিয়ন্ত্রিত না হলে তা ক্ষমতা দখলে রাখার অন্তিম আধার হয়ে ঐ কল্লোল যা বলেছে-- অকারণ হিংসা বা তুমি যা বলেছ-- ভীতিপ্রদর্শনের হিংসা হয়ে দাঁড়ায়।
    ফলে দেখি আজ যে মুক্তিদাতা কাল সে শোষক হয়ে দাঁড়ায়।
    কম্বোডিয়ার খমের রুজ( যাতে লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিকস্‌ এর স্নাতক খিউ সাম্পান ছিলেন) কি করে ক্ষমতায় এসে যুদ্ধবিধ্বস্ত কাম্বোডিয়াকে ""কিলিং ফিল্ডস্‌'' এ পরিবর্তিত করলো তা আমার কাছে আজও ধাঁধা।
    কিরকম হওয়া উচিৎ সেই ইনবিল্ট্‌ চেক সিস্টেম যাতে অধিকাংশ নিপীড়িত জনগণের পক্ষে দাঁড়িয়ে মুষ্টিমেয় শোষকের ওপর সন্ত্রাস চালানোর মেশিন ধীরে ধীরে মুষ্টিমেয় কয়েকজন বা গোষ্ঠীর পক্ষে অধিকাংশ লোকের ওপর সন্ত্রাস চালানোর মেশিনে বদলে না যায়? আমি জানিনা।
  • SB | 59.93.203.214 | ০৩ জানুয়ারি ২০১০ ১৭:৪৫428054
  • রঞ্জনদা, এটা একদমই অন্য বিতর্ক, একটা কম্যুনিস্ট পার্টির মধ্যে ডেমক্রেসির প্রশ্ন, খুবই দরকারী অলোচনা, তবে ভারতের বাম অন্দোলন কোনদিকে তার সাথে আপাতভাবে মিল নেই এই বিতর্কের।

    বোধয় রোজা'র তোলা প্রশ্নগুলো আরেকবার তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে এই পরিপ্রেক্ষিতে: http://www.marxists.org/archive/luxemburg/1904/questions-rsd/index.htm বা এইটা: http://www.marxists.org/archive/luxemburg/1918/russian-revolution/index.htm
  • Mmu | 78.236.153.102 | ০৪ জানুয়ারি ২০১০ ০১:৩৪428055
  • Kallol দা আমার বক্তব্য সোজা সাপটা। আমি যেটা লিখেছি সেটা ডিক্টেটর শিপের কথা কি না বলতে পারব না কিন্তু আমার মনে হয় কাউকে মানার অবশ্যই দরকার আছে। না হলে তো দল চালানো কঠিন ব্যাপার। সংগঠন বলতে তো কিছুই থাকবে না। আর বামফ্রন্ট ৩২০০ বছর রাজত্ব্য করে যাবে। বামফ্রন্টকে এতোদিন সরানো যায় নি তো এই কারনেই। বাÇফ্রন্টের চেয়ে কংগ্রেস কম কিসে ছিল। এডুকেটেড লোক, এডমিনিস্ট্রেটর সবই ছিল। তা সত্যেও পারেনি বামকে সরাতে। কারন ঐ একটাই- সংগঠন.............। আরও একটা কথা, বামেরা এমন কি করেছে জে কং পারত না?
    SB আজকে পর্যন্ত মমতার উন্নয়নের লিস্টি খবরের কাগজ ঘেটে যোগার করুন। আজ থেকে আমি নিজের কাছে লিস্টি রাখবো (Rail সক্রান্ত) । পরে রাজ্যে খমতায় এলে বাকিটা নিয়ে কথা হবে।
    ****** kallolদা, SB-- মমতা খমতায় আসবেই। এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
  • kallol | 115.184.127.199 | ০৪ জানুয়ারি ২০১০ ০১:৪৯428056
  • রোজা খুব সঙ্গত প্রশ্ন তুলেছিলেন একনায়কতন্ত্র ও গণতন্ত্র নিয়ে। কিন্তু সাফল্যর চেয়ে সফল কেউ নয়। তাই তখনকার মত সফল লেনিনের সাফল্যের ঝড়ে উড়ে-পুড়ে গেলো অসাফল্যের মতো অসফল রোজার প্রশ্নাবলী। আর তার আড়াল থেকেই উঠে আসেন স্তালিন-ক্রুশ্চভ।
    সমাজতন্ত্র আসলে কোন সমাধান নয়, অন্তত মার্কস-লেনিন যে সমাজতন্ত্রের কথা বলেছেন। কোথাও একটা নতুন উৎপাদন ব্যবস্থা একটা নতুন বন্টন ব্যবস্থার কথা ভাবতে হবে। হয়তো সেই ব্যবস্থা বিরাজও করে। আমরা তাকে ব্যবস্থা বলে বুঝতে শিখিনি। এই সময় এই ব্যবস্থা যাদের মানুষ বলে স্বীকৃতি দিতে চায় না সেই অ-ক্রেতার দল বাঁচে কি ভাবে? সেখানে কোথাও জবাব আছে হয়তো।
  • Arijit | 61.95.144.122 | ০৪ জানুয়ারি ২০১০ ১০:০০428057
  • এই বাজারে দুটো লেখা পড়ে ভালো লাগলো - কে জানে নিজে যা যা বলছি তার সাথে মিল পেলাম বলেই কিনা -

    (১) ৩১ তারিখে আবাপ-তে কাকা-র লেখা
    (২) শনিবারের টেলিগ্রাফে (২রা জানুয়ারী) অমর্ত্য সেনের ডিটেইলড ইন্টারভিউ

    অবভিয়াসলি লেখাদুটোর বিশেষ বিশেষ অংশ এক এক জন কোট করবেন। কিন্তু অন দ্য হোল, অনেক প্রশ্ন আছে যেগুলোর উত্তর পিটিরও যেমন দেওয়া উচিত, তেমনি কল্লোলদা/শমীকেরও।
  • kallol | 124.124.93.202 | ০৪ জানুয়ারি ২০১০ ১০:২১428058
  • অরিজিত - তোমার প্রশ্নের আশায়।
  • Arijit | 61.95.144.122 | ০৪ জানুয়ারি ২০১০ ১০:২৫428059
  • আমার কোশ্চেন না - ওই লেখাদুটোর মধ্যেই আছে:-)
  • kallol | 124.124.93.202 | ০৪ জানুয়ারি ২০১০ ১১:২৮428060
  • অসীম চট্টোর লেখাটা নিয়ে অনেক্ষেত্রে একমত। যেখানে দ্বিমত সেই জয়গাটা নিয়ে আমার ভাবনাগুলো রাখার চেষ্টা করি।
    ""মনে হতে পারে বেনোজল ছেড়ে গেলেই দলের সংগ্রামী ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। আন্দোলনের ক্ষেত্রে এইচিন্তা সঙ্গত হলেও.......।""
    আমি মনে করি না যে বেনোজল চলে গেলেও সিপিএমএর আন্দোলন ক্ষমতা বাড়বে। এই দলটা আন্দোলন বিমুখ হয়ে গেছে ১৯৭০-৭২ থেকেই। তখনও বেনোজল ছিলো না, আন্দোলনও ছিলো না। ঐ একদিনের ভূখ মিছিল,একদিনের বন্ধ, একদিনের ব্রিগেড - এই হলো ৭২ পরবর্তী সিপিএমএর আন্দোলনের চেহারা।
    তবে, লেখাটায় আমি জবাব দেবার মতো প্রশ্ন পেলাম না।
    মাওবাদী প্রসঙ্গে আমি কিছু আগের পোস্টেও লিখেছি - ওদের অনেক বেশী রাজনৈতিক ভাবে নমনীয় হতে হবে। অকারণ হিংসা ছাড়তে হবে। তা না হলে সময়িকভাবে প্রচন্ড দরিদ্র এলাকাগুলোয় ওদের প্রভাব হতো বাড়বে। তেমনি একদিকে রাষ্ট্রের দমন, অন্যদিকে মাওবাদীদের অকারণ হিংসা জনিত ত্রাসের কারনে মানুষ ক্রমাগত মুখ ফেরাবে মাওবাদীদের থেকে (যেমন আসামে আলফার হয়েছে)। রাষ্ট্রের থেকে মুখ ফেরানো না ফেরানো সাধারন মানুষের হাতে নেই।
    তৃণমূল সম্পর্কে আমি বরাবর বলেছি সিপিএমএর ঔদ্ধ্বত্যের জবাবে যেই আসুক স্বাগত। তার মানে এই নয় যে তারা এলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। সিঙ্গুরে পার্থর হেনস্তা দেখলেই পরিস্কার হয়ে যায় সেটা।
    যেটা অসীম লেখেননি, বা বোঝেন নি, প:ব:তে অন্য একটা সম্ভবনাও হতে পারে। তৃণমূল ও সিপিএম বাদ দিয়ে কিছু। তারা সরকার গড়ার মত অবস্থানে পৌঁছতে না পারলেও রাজ্য রাজনীতিকে প্রভাবিত করার জায়গায় থাকবে। তখন মমতার রেল মন্ত্রীত্ব নিয়েও টানাটানি পড়তে পারে।
    অমর্ত্যবাবুর লেখাটা পড়া হয় নি। পড়ে দেখি।

  • Arijit | 61.95.144.122 | ০৪ জানুয়ারি ২০১০ ১১:৩৬428063
  • এই যে "যেই আসুক স্বাগত' বল্লেন - অমর্ত্যবাবু এটাকেই বকা দিয়েছেন - "নট ভেরি আর্টিকুলেট' বলে। পরিবর্তন চাওয়া অধিকারের মধ্যে পড়ে, কিন্তু পরিবর্তনটা কি সেটাকে ডিফাইন করার প্রয়োজন আছে। "পরিবর্তন চাই' বলে ছেড়ে দেওয়াটা কোনো কাজের কথা নয়। দোতলা বাড়ি থেকে সাউথ সিটির পেন্টহাউজে যাওয়াও পরিবর্তন, আবার মহাবীরতলার পিছনে বস্তিতে যাওয়াও পরিবর্তন। আমরা কোন পশ্চিমবঙ্গ চাই - এটাই অমর্ত্যবাবুর প্রশ্ন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন