এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • বসন্তের গান

    ranjan roy
    গান | ১৫ জানুয়ারি ২০১০ | ২৯৪৫৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sosen | 212.142.95.88 | ১৭ জুন ২০১৫ ১৭:২১437000
  • মন সুন্দর হয়ে যায়।
  • kahiptaashaa | 215.174.22.27 | ০৭ জুলাই ২০১৫ ০২:৪২437001
  • মনেও পড়ে না তার কথা এত লঘু চালে দিন চলে যায়
    কড়া রোদ খায় ভেঙে পড়া ফসলের গোলা পশ্চিমা ধাঁচে
    বাঁধা কাঠের দালানকোঠা হোটেল মোটেল চারকোনা ঘর
    এখানে গ্রীষ্ম তবু কিছু কিছু বিষন্ন লোক, কিছু ফঙ্গবেনে
    হাউইয়ের মত লজঝড়ে মোটরের কেরামতি বিপদ আপদ
    ভিজে হাওয়া টের পাইনা তবু ঘাসজমি যেন কিছু অন্যরকম
    দুইপাশে সরে যায় এত গ্রীষ্ম তবু যেন মানুষের মুখে তত
    মজা নেই, দিন সরে সরে যায় পুরনো দোকানপাট, গাছপালা
    ডেঁয়ো পিঁপড়ে। লঘু চালে দিন চলে দিন চলে যায়, মনেও পড়েনা আর।
    মাঠে ময়দানে রোদ চড়া, কফিখানা ভরে আছে চমৎকার ঘ্রাণে
    স্কুলের উঁচু ক্লাশ মেয়েরা পড়াশুনোর কথা বলে বোধয়, হাসাহাসি
    অকারন, ভবঘুরে পয়সা চায় হাইওয়ের ধারে অবসর
    কড়া রোদ খায় লতাগুল্ম এইসব রুক্ষ জমি ততবেশী সাজগোজ নেই
    গ্রীষ্মপ্রধান গাছপালা দেখা যায় কিছু, হাওয়ার ঝাপটা দেয়
    রোদ ঝলমল তবু কিছু লোক বিফলেই বসে আছে যেন কফি কাপ হাতে
    চমৎকার হাওয়া দেয়, রোদ পড়ে লঘু চালে, মনেও পড়েনা যেন
    রাধিকার শহরে কোন ঋতু।
  • Nina | 83.193.157.237 | ০৭ জুলাই ২০১৫ ০৪:৫১437002
  • বড় ভাল লিখিস রে হুতো বড় ভাল----
  • kahiptaashaa | 149.72.158.28 | ১১ জুলাই ২০১৫ ০২:২১437003
  • মাথা দিচ্ছে কাঁধে, বুক ঠেকে যাচ্ছে ঘেমো পাঁজরায়
    ধরে নিচ্ছে হাত চোখের জল মুছে যাচ্ছে রুমালের ঋনে
    উপড়ে নিচ্ছে হৃৎপিণ্ড ফের তাকে পুরে দিচ্ছে রক্তারক্তি খোপে
    জড়িয়ে ধরছে আধো অন্ধকারে বুক ঠেকে যাচ্চে ঘেমো পাঁজরায়

    হাত ধরছে ফাঁকা ট্যাক্সিতে আর বোঝাচ্ছে মেয়েরা কে কেমন
    বলে দিচ্ছে কে শুধুই ঝারি আর কে আসলে বুঝি সিরিয়াস
    উপহারে অন্তরঙ্গ হৃৎপিণ্ড পিষে দিচ্ছে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে ফের ঠিক
    বলে যাচ্ছে গত রাতে টেলিফোনে কি ঝগড়া। বুক ঠেকে যাচ্ছে ঘেমো পাঁজরায়

    হাতা হচ্ছে পড়াশুনো ব্যাঙের আধুলি রুজিরুটি, মদ্যপান গোস্তের ভুনা
    দুরে যাচ্ছে বন্ধুগন চাপা হাসি ব্যাঙ্গে আঘাতে
    তুমিই গান্ডু সালা কি কথা তাহার সাথে এত
    শুধু তার বুক ঠেকে যাচ্ছে ভিখিরীর ঘেমো পাঁজরায়।

    উপড়ে নিচ্ছে হৃৎপিণ্ড রেখে দিচ্ছে ফের যথাযথ
    টেলিফোনে কেমন ঝগড়া হল কাল রাতে দুরাগত প্রেমিকের সাথে,
    বলে দিচ্ছে অনুপুঙ্খ আধো অন্ধকারে। কি গোপন রক্তারক্তি, কোনক্রমে দাঁতে দাঁত চেপে।
    আপাতত তার বুক ছুঁয়ে দিচ্ছে ভিখিরী পাঁজর
  • aranya | 154.160.226.93 | ১১ জুলাই ২০১৫ ০২:৩৫437004
  • মারহাব্বা
  • pi | 132.177.57.237 | ১১ জুলাই ২০১৫ ০৩:১৮437005
  • আহ !
  • dd | 116.51.136.179 | ১১ জুলাই ২০১৫ ০৮:৫০437006
  • উফ
  • san | 113.240.238.58 | ১১ জুলাই ২০১৫ ০৯:২০437007
  • অসা !
  • ঋভু | 140.203.154.17 | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ০১:৩৩437008
  • এইটা কি আর হবেনা? :( অপেক্ষায় আছি। কবি যেমন লিখেছেন, "দুমাস ছিল তোষক চাপা গোপন সচকিত।"
  • Div0 | 132.179.71.97 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ০০:৩৫437010
  • রাধিকাশরীর জুড়ে কৃষ্ণদাগ এত
    পড়ে আছো স্থির বুঝি অহল্যাপাথর
    ভাবছ কখন তিনি কৌশল্যানন্দন
    ছূঁয়েই দেবেন আজ বিষন্ন জীবন

    রসিক পথিক দেখ বনপথে একা
    অন্য মনে ঘুরি ফিরি আবোল তাবোল
    আমি কি ভুলেছি সব সকল মরণ
    পরিত্রাণ প্রিয় ভেবে এই পলায়ন

    তুমি তো দিয়েছ এত সমূহ পূজায়
    আমি কি তেমন পাত্র নিতে পারি সব
    সহজ পুরুষ তাই দূর পরবাসে
    খুব একা পড়ে থাকি এই দিনশেষে

    ব্যস্ত থাকি আগুনে নিরক্ষর অথবা প্রয়োজনহীন
    কোনও ফুরসত নেই, শুধু ডানা ঝাপটানোর খেলা
  • Atoz | 161.141.84.176 | ২০ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৫:৫৯437011
  • তুল্লাম।
  • ranjan roy | 24.96.178.54 | ২০ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৪:২২437012
  • কে একটা পাগল রোজ রাত্তিরে আমার গলিতে
    হেঁটে যায় মাপা পায়ে?
    এবং সে কোন দিকে তাকাবে না ,
    ধনুর্ভঙ্গ পণ!
    তার ছিন্নকন্থা ছিন্নবাস; নগ্নপদ তাই
    শব্দহীন পদচাপ।
    তবু আমি ঠিক বুঝে যাই -- আসে আসে।
    দ্রুতপায়ে বারান্দায় এসে দেখি চলে যাচ্ছে
    নির্বাক, কিন্তু তার দুই হাত আশ্চর্য মুদ্রায়
    ধরে আছে যেন এক ভিক্ষাপাত্র।

    কী চায় সে? কার কাছে?
    আমাকে চায় নি কেউ বহুদিন,
    বিগত সে বসন্তের দিন।
    বহুদিন ঝরে গেছে পলাশ শিমূল।
    কৃষ্ণ কবে চলে গেছে মথুরায়
    যেমন সমস্ত কৃষ্ণ যায়;
    রাজনীতি বড়ই জটিল।

    আমি তো নিয়েছি মেনে,
    আমি নই খন্ডিতা বা বিপ্রলব্ধা,
    প্রোষিতভর্তৃকা?
    আমার সমস্ত দিন একরঙা যমুনার জল।

    কিন্তু ওই নিঃশব্দ পদচাপ,
    ওই নগ্নপদ!
    কেন যে তুলছে ঢেউ নিজেও বুঝি না।
    ভাবি ওই ভিখারির ঝুলি ভরে দেব,
    সে যদি একবার চোখে চোখ রেখে
    চাইতে পারে।

    কেটে যায় দিনগুলো, সপ্তাহ ও মাস।
    আজ এই বসন্তের রাতে
    অলিন্দের থেকে নেমে দাঁড়িয়েছি ফুটপাথে
    আমি তো রাধিকা।
    আজ আমি চোখে চোখ, বলে দেব
    --ঝুলি পাতো, ভিক্ষা চাও ভিখারির মত।

    শোনা যাচ্ছে পদচাপ, শব্দহীন
    মাপা ছন্দে আসে সে পাগল।

    হৃৎকমলে ধূম লাগে
    আমি তার পথ আটকে দাঁড়িয়েছি উন্মাদ আশায়।
    চোখে চোখ, তারপর কী জানি কী হয়!
    কিন্তু একী! কোথায় রেখেছ তুমি একজোড়া অক্ষিগোলক?
    তুমি শঠ, প্রবঞ্চক! হা ঈশ্বর! একী অপরূপ?

    আমাকে ব্যঙ্গ করে অন্ধকার একজোড়া শূন্য কোটর।
  • kahiptaashaa | 215.174.22.20 | ১৭ মার্চ ২০১৬ ০০:২৮437013
  • চাহিদায় বেয়াকূল বালিকার বিরল বিকাল
    কি চায় সে, দুঃখ চায়? নৈঃশব্দ, একাকীর শ্বাস?
    সন্ধ্যের মুখ চেয়ে বিষন্ন আবছায়া
    যখন জ্বলেনি আলো নিজের বা পড়শির গৃহে
    ক্যালেন্ডারের ছবি, ঠাকুরের পরিপাটি মুখে
    ছায়া এক ছিটে হাওয়া দিয়ে দূর থেকে ছেঁড়া কুচি গান
    এরকম সন্ধ্যা চায়, ভোর চায় যখন পৃথিবী ঘুমে
    রেডিওতে খোলেনি আসর শুধু জেগে আছে ছাপোষা বেড়াল
    আর শিশিরের জল ঘাসে, বালিকাটি চায় বুঝি
    শহরের চুঁইয়ে আসা আলো, তার বিষ, তার একা একা
    মোহময় গতি?
    কি চায় বালিকা তার স্মৃতিধন্ধে কি জাগে কে জানে
    তার পাশের মানুষজন পড়শি নদীটি আর
    ঘুঘু ও ডাহুক পাখি, পিচঢালা পথ চায়,
    মানুষের চলাচল, চাহিদা কি চলে যায়
    মোহময় বিষন্ন শহরে আলোর স্রোতের দিকে,
    দুঃখ চায়, চায় নীরবতা, যত একাকীর নীল?
    ক্রোধ চায়, ক্ষোভ চায়, যেমন আগুন জ্বলে শহরের দিকে

    অষ্টপ্রহর যেন বলে দেয় সকল চাহিদা তার
    ওবেলার সব অবিচার?
    কি চায় বালিকা তার বিরল বিকালে শুধু,
    রাগ ক্ষোভ দুঃখ নীরবতা, শহরের গতি
    আর ধূসরিত কত কত মাইল?
  • hu | 108.228.61.183 | ১৭ মার্চ ২০১৬ ০২:০৯437014
  • এইসব কবিতা থেকে যাবে। ঠিক থেকে যাবে।
  • sosen | 177.96.103.126 | ১৭ মার্চ ২০১৬ ০৪:১৯437015
  • -
  • dd | 116.51.29.116 | ১৭ মার্চ ২০১৬ ০৮:০৮437016
  • প্রচন্ডো।
  • aranya | 83.197.98.233 | ১৭ মার্চ ২০১৬ ০৮:৫০437017
  • বাঃ
  • ranjan roy | 131.245.76.213 | ১৭ মার্চ ২০১৬ ২০:৪৭437018
  • জাদুপাথর
    =======
    পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে
    ডাইনোসর চালে কিছু গাড়ি;
    হেঁটে যাচ্ছে ছুটে যাচ্ছে
    ঘরে ফেরা হা-ক্লান্ত মানুষ।
    "জল দাও, পানি দাও, মেঘরাজা"
    --এই শোর তুলে
    ভাতঘুম থেকে উঠে
    আড়মোড়া ভাঙছে কোলকাতা।

    পিচরাস্তা থেকে দেখ শব্দ উঠছে
    -- পা চালা রে, পা চালিয়ে চল্‌!
    কার্জন পার্কের গা্ছে হিসি করছে
    আমার ঈশ্বর।

    শুধু এক পাগলি মেয়ে
    ফুটপাথে মাথা ঠুকে দুলে দুলে বলে,
    --' ও পাথর, দয়া কর!
    দয়া কর হে জাদুপাথর।'

    কেউ কাউকে চিনতে চায় না
    পথ চলতে এখানে-ওখানে,
    কেউ কাউকে ছেড়ে দেয়?
    কেন ছাড়বে, এক ইঞ্চি জমি।

    ক্ষান্তপিসি ডালে কাঠি ,
    পান্তভূত আহ্লাদে ফোঁপায়,
    রোববারে শিকাকাইয়ে
    মাথা ঘসে রামি আর বামী।

    শুকনো ডালে পলাশ এসেছে।

    কেমন নির্লজ্জ যেন,
    বিনা কোন রাখঢাক
    ভেঙে দেবে আমাদের ঘর।

    তবু এক পাগলি মেয়ে
    ফুটপাথে মাথা ঠোকে
    গাঢ় হয়ে বলে,
    --' ও পাথর, দয়া কর!
    দয়া কর হে জাদুপাথর।'
  • kahiptaashaa | 161.191.175.195 | ০৫ আগস্ট ২০১৬ ২২:১৯437019
  • এমন শুধু বাসন্তী নয় পাত্র বুঝে দৌড়ে চলে হাওয়া
    শব্দছকে মায়ার হরফ ছান্দসিকের ঘুমভাঙা পায়চারী
    ঈষৎ বদল প্রাকৃতিকের বয়েস যেমন পাল্টে ফেলে স্বর
    যেমন করে বদলে যাবে দশক জুড়ে জড়ানো অক্ষর

    রৌদ্রে জ্বালা হাওয়ার গায়ে জন্ম নিচ্ছে অনাকাঙ্খার শীত
    অজান্তে তার মিশতে থাকে অভিজ্ঞ আর নির্জন বনপথ
    মিশতে থাকে না শোনা গান সুরের ওপর সুর চাপিয়ে দিন
    রাত্রি গুলি বিখ্যাত আর বিরাম খুঁজে সাজিয়ে রাখে ফাঁদ

    ফিরতে থাকে নতুন পাড়ায় যাত্রা করে ধ্বস্ত প্রাচীন পদ
    মিস্ত্রীরা তার সাজায় বাড়ি রং লেপে দেয় চটলা ওঠা ঘর
    গণ্ডগ্রামের মুগ্ধ বালক সকাল বেলায় বই সাজিয়ে বসে
    আর রাধিকা হেলায় ফেলে পাল্টে যাওয়া যত্নকৃত স্বর

    কথার ওপর কেবল কথা শব্দ জুড়ে শব্দ জেগে যায়
    অনেক মুখে অনেক হাতে জমতে থাকে সালতামামি স্রোত
    ছায়ায় ঘেরা গলির মধ্যে শহর ঘেঁষা বানানো আবডাল
    শব্দেরা ঠিক বুঝতে পারে কেমন করে দিনাতিপাত
    কেমন করে দশক জুড়ে ভুলতে থাকা আত্মীয়তার স্বর
  • dc | 120.227.224.157 | ০৬ আগস্ট ২০১৬ ১০:১২437021
  • বসন্তের গান

  • AP | 24.139.222.45 | ১১ নভেম্বর ২০১৬ ১৭:৪৩437022
  • # চোখে চোখ পড়তেই চেনা চেনা লাগে
    সহপাঠী ছিল বুঝি
    কোন ক্লাস, আট-দশ-একাদশ, কবে—

    উড়ে গেছে পরিযায়ী নিভাঁজ কৈশোর
    রাধিকাও কত কত বছরের পর
    কার্তিকের হিম মাখে এই সন্ধেবেলা
    রাস্তায় মোড়ে মোড়ে দেখা দেয় কত
    পরিযায়ী বালিকারা আলোজ্বলা চোখে
    চোখ পড়তেই সব মনে পড়ে যায়
    ‘তুমি সেই...’ ‘কি খবর !’ ‘এটা ছেলে নাকি।।।’
    রাধিকার সংবাদ আরো কত বাকি

    পরিযায়ী বালিকারা হাসে, কোথা থেকে
    এসে এই ম্লান সন্ধেবেলা
    এত হাসি কথা সংবাদ দেওয়া-নেওয়া
    ছাতিমের ঘ্রাণ বয়ে হেমন্তের হাওয়া
    ছুঁয়ে আসে সেই কবে ইস্কুল দিন
    এখন ফসিল বটে তবু এই সব হাসি
    দেখা দেয় একদিন এক সন্ধেকালে
    চন্দনের বিন্দু গুলি ভাইয়ের কপালে।।
  • Tim | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১২:০৯437023
  • .
  • | 52.107.72.231 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৩:২৪437024
  • ...........
  • kahiptaashaa | 342323.186.900.201 | ১৬ জুলাই ২০১৮ ১৮:০৪437025
  • টাইম মেশিনের টিকিটবাবু ধকধকে রেলগাড়ি
    জানলা দিয়ে যেদিক দেখো নীল নীল গাছপালা
    কাঁচের গায়ে জল জমেছে পশলা দুয়েক জুড়ে
    পাহাড় কেটে কয়েক পাকে এধার ওধার ঘষা
    কাঁচের গুঁড়ো এই কুয়াশায় এক আঙুলে ছোঁয়া
    ঝকঝকে তার ওভারব্রীজে নেচার ফটোগ্রাফি
    প্ল্যাটফর্মের বয়াম ভরা ছটফটে বিস্কিট
    এই পথে কি ট্রেন চলে না এই পথে কি ভিড়
    এই পথে কি আঁচড় কাটা বাঘবন্দীর ছক
    টিকিটঘরের দরজা খোলা ঘুলঘুলিতে আলো
    এক ঠাহরে রঙীনমত কিংবা সাদাকালো
    এদিক ওদিক জল জমেছে সূর্যডোবার ছায়া
    রাই জাগো রাই ভোঁ বাজিয়ে নামাচ্ছে রেলগেট
    টাইমমেশিনের টিকিটবাবু, সিগন্যলম্যান সব।
  • | 342323.191.3423.234 | ১৭ জুলাই ২০১৮ ২২:৩১437026
  • Kahiptaashaa | 342323.186.6723.101 | ১৯ জুলাই ২০১৮ ১৪:৪১437027
  • হাওয়ায় উড়িয়ে দিও কথা
    ধুলোয় উড়িয়ে দিতে পারো
    লিখে রেখো ড্রাফট ফোল্ডারে
    লিখে দিও ফর্দর নীচে

    বলে রেখো ঘুমনোর আগে
    বলে রেখো ব্যালকনি ঘেঁষে
    সাদা ডানা ব্যস্ত প্যাঁচাকে
    ছুটছে যে শিকারে খোঁজে

    একহারা শালেদের বনে
    ফেলে রেখো কথাগুলি নীচে
    যেরকম তামাকের ধোঁয়া
    পাতারা নীরবে শুষে নেয়

    ফেলে দিও ন'তলার খোলা
    ধুধু করা জানালার খাঁজে
    পেরিয়ে উড়ালপুলগুলি
    শহরের ওপারে শহর

    হেলমেট ফুঁড়ে দিয়ে আলো
    আবছায়া ঘোলাটে বাতাস
    শনশনে গোল পাক ধুলো
    সেইখানে পথে রেখে দিতে পারো

    একদিন ট্রেন থেকে নেমে
    একদিন বাসের পা-দানি
    একদিন শীতল বিমানে
    ভুলে যেতে পারো বেমালুম

    ভুলে যেতে পারো হেলাফেলা
    মনে রেখে দিতে পারো যেন
    ঘাই মারে অবরে সবরে
    কি যেন না বলা ছিল ভালো

    না লিখিলে ভালো হতো কোন
    পদে কোন বেমানান রেটরিক
    কোন সিঁড়ি কোন গলি পথ
    কোন জোছনাতে ভুল স্টপ

    এসব উড়িয়ে দিতে পারো
    রেখে দিতে পারো খসড়াতে
    রাধিকার যে শহরে বাস
    তার কথা তুমি তো জানো না।
  • Kahiptaashaa | 015612.129.5667.65 | ০১ নভেম্বর ২০১৮ ২২:২৯437028
  • নিয়েছে নির্বাসন তবু বেঁচেবর্তে রয়েছে এখনো
    প্রবাসে নেটিভের বেশে ভ্রমে তবু পেয়ালাতে আধা
    কে জাগে এ সনঝেতে কে জাগে এ শারদ বিলাসে
    ভোরে জেগেছিলো রাই দিবা শেষে নাম হবে রাধা।

    ব্যাকরণে পুরুষটি দ্বিতীয় তৃতীয় হোক যা তা
    আসলে মুকুরসই অবকাশে ছ্যাঁকা খাওয়া নিজ
    পুঁথিতে লিখেছে জ্ঞান, বিতরিছে কত আনজনে
    ধুলিতে লেপেছে দেহ কেহ তাকে বলে মনসিজ।

    মুলুক তো তাহারই যে জোরেজারে গড়েছে দেহলী
    যথা এসে জল খায় পারঙ্গম চাহিদা পিয়াসী
    বসে থাকে ছায়া দেখে প্রবাসের ধূ ধূ অচেনাতে
    প্রবাসে গোছালো করে চিকন বাঁশের আড়বাঁশি।

    নিয়েছে নির্বাসন তবে টুকিটাকি রাধার অছিলা
    সনঝের ঝিলিমিলি বিলাসী হাওয়াতে দ্বারবর্তিনী।
  • Tim | 2378.36.341212.104 | ০২ নভেম্বর ২০১৮ ০০:৪২437029
  • অপূর্ব হয়েছে।
  • Kahiptaashaa | 162.158.118.227 | ০৫ মার্চ ২০২০ ১৮:১২729839
  • আপদ বালাইগুলি জলে স্থলে খই হয়ে গেছে
    কথা ছিল থেকে যাবে, এরকম কত কথা থাকে
    এরকম কত দিন থাকে যার সাক্ষী সাবুদ নেই
    কাগজের ঠিক নেই শুধু ভাপ ওঠে
    আনকোরা শরীরে শরীরে
    আনকোরা নবতর স্মৃতি গুঁজে দিয়ে।

    কথা ছিল থেকে যাবে ঠিক যেন তিন সত্যি,
    নৈমিষারণ্যে যেন পায়েসের বাটি থেকে বোধ,
    যেন পঞ্জিকা দেখে খোঁজা ঘেঁটুপূজা, বশীকরনের
    দিন, অব্যর্থ বাণে ভরা তূণীরের খোঁজ
    হাঠাৎ থামতে পারা পথে।

    এরকম ছোটখাটো দিনকাল কাটাকুটি হয়ে থাকে
    সে কোন বৃহৎ কথা নয়, তবে রাধিকার বিষয় আশয়
    তামাদি হয়েছে কিনা তাই ভেবে অস্থির ঝরে পড়ে
    পুরনো দেওয়াল থেকে পলেস্তারা, দুপুরকালীন।

    দিনেদের তাড়াহুড়া,
    কোনমতে প্রেম গুঁজে দিয়ে দৌড় বেয়াড়া বিপথগামী ঋতু
    কি কথা ছিল যে তার সেরকম কেউই শোনেনি
    কে জানে কী বিষয় আশয় ছিল যে বিকেলে রোদ গিয়াছিল
    শহরের ডানা থেকে সরে, রাধিকা তা দেখেছিল,
    তেমনও স্থিরতা কিছু নেই।

    তবে ঋতুচক্র ফিরে ফিরে আসে আর ভাপ ওঠে মাটি থেকে
    দ্বিধা হয়, থেকে গেল নাকি কিছু, আনাচে কানাচে।
  • kahiptaashaa | 162.158.22.249 | ০৯ এপ্রিল ২০২০ ০৩:০৮730496
  • প্রিয়তম শষ্যবীজ পাখির পালক রঙীন সুচারু শুকনো হাড় ঘষা মাজা, জলজ খোলস
    দরজায় আগুনের ঢিপি জ্বেলে বসে বসে দেখা যায়
    শ্বাপদের থাবারা নরম, শিশুখেলা
    চৌকো চোয়ালগুলি গোলালো কোমল হয়ে আসে,
    পূর্ণিমা রাতে সমবেত কুকুরের হাউ।

    কে আর সেসব দেখে, অথবা সকলে
    সহসা পাল্টে গেলে চাকাদের গতি আর মাছের চলন
    বাতাসের ঘূর্নি ঘোরে অন্যদিকে আগুনের চিটপিট
    খসে পড়া নক্ষত্র আনতাবড়ি মহাশূণ্যে ছ্যাঁদা।

    এতকিছু গৌরচন্দ্রিকার পর অন্ধকার
    বাতাসে ভেসেই যায় তাহাদের স্বর
    জ্বরের গভীরে রাধিকার
    অছিলাটি ছিল শুধু প্রস্তরযুগ থেকে
    তুলে আনা ছবির আয়ুধ

    নরম পশুর থাবা, নখগুলি খেলার ছলনা
    প্রিয়তম শষ্য ফল অন্ধকার গুহামুখে নিভে আসা জ্বর।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন