মহামান্য কলকাতা হাই কোর্টের সেই রিট অফ ম্যানডামাস বা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতি নির্দেশ যাতে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪ ও অনুচ্ছেদ ১৬ লঙ্ঘনের অভিযোগে পুরো প্যানেল বাতিল হয়েছে। অনুচ্ছেদ ১৪ আইনের চোখে সমান অধিকারের কথা বলে আর অনুচ্ছেদ ১৬ সরকারি চাকরীতে বৈষম্যের বিরোধী। দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ ১৬ কে সংরক্ষণের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো যায় তাই সেটা ২০১৯ এ সংশোধন ... ...
১. মেক ইন ইন্ডিয়া ২. স্কিল ইন্ডিয়া৩. স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া৪. স্মার্ট সিটি ৪. দু কোটি করে বছরে চাকরি ৫. বিকাশ ৬. সুদিন ৭. আচ্ছে দিন ৮. গুজরাট মডেল ৯. উত্তমপ্রদেশ ১০. জিনিসপত্রের দাম কমানো ২৫%১১. ডলারের দাম কমিয়ে ৪০ টাকা ১২. নোটবন্দি ১৩. প্রতি ঘরে বিদ্যুৎ ১৪. জিএসটি ১৫. লক ডাউনের সুফল ১৬. থালা বাজানো
ওএমআর শিটের গণ্ডগোলে সবাই ভুগলো কেন তার যুক্তি হিসেবে বিকাশ কোম্পানি 'জালিয়াতিতে কোন রেয়াত নেই' এই যুক্তিতে পুরো প্যানেলটা বাতিল করিয়েছে। এমনকি পার্থসারথী সেনগুপ্তের মতো উকিলকেও বলতে শুনলাম তিনি যুগপৎ আনন্দিত ও দুঃখিত । আনন্দের কারণ হল বিচার ব্যবস্থা কড়া হাতে' জালিয়াতিতে কোন রেয়াত নেই' এই অবস্থানে দৃঢ় থেকেছে। ওনার দুঃখের কারণ হল এতগুলো চাকরি যাওয়ায়। বিশেষত যখন এরা কেউ লাটসাহেবের বাড়ির ছেলেপিলে নয়। বিকাশ কোম্পানির কিন্তু কোন দুঃখ নেই। তাদের যুক্তি তৃণমূলকে ভোট দেবার সময় মনে ছিল না। পুরো বিজেপির ন্যারেটিভ খেয়ে বসে আছে জমিদারি হারানো ভদ্দরলোক সিপিএময়ের এই অংশটা। শুধু খেয়েছে নয় আগ্রাসী হয়ে লোক তাতাচ্ছে। এদের সংগঠন ... ...
সমাজ মাধ্যমে একটি ভিডিও। সামাজিক মাধ্যমে ঠাঁই পাওয়া হালফিলের একটি পোস্ট। প্রেরক চিত্র পরিচালক মোহন জি। তাঁর পাঠানো ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি ছোট বাচ্চা তার বাবার সঙ্গে রোবট মেলায় এসেছে জানতে, শিখতে,আনন্দ করতে। মেলা প্রাঙ্গণে জমজমাট ভিড়, বসেছে নানান লোভনীয় মুখে জল আনা সব খাবারের দোকান।সেখান থেকেই কিনেছে একটি ‘স্মোকি বিস্কুট’। পরমানন্দে তার মজায় মজেছে শিশুটি। ও মা! এ কি? বাচ্চাটি অমন কুঁকড়ে যাচ্ছে কেন? পেটে হাত দিয়ে মাটিতে শুয়ে কেন অমন ছটফটই বা করছে? ঐ বিস্কুট খেয়েই কি ওর এমনটা হলো? তাহলে ঐ বিস্কুটে কি এমন ছিল, যার ফলে শিশুটি এমন করছে? জানি, এইটুকু পড়েই আপনারা অনেকেই হয়তো প্রবলভাবে উদ্বিগ্ন ... ...
একটি কাল্পনিক কাহিনী সৌমিত্র বৈশ্য ধরা যাক, সত্যজিৎ রায় জীবিত আছেন। হ্যাঁ, বাইপাস সার্জারী হয়েছিল। তবে, সেটা রোবোটিক্স সার্জারী। ডাক্তার শেঠীর নেতৃত্বে হয়েছে। তিনি এবার একটা হালকা মেজাজের ছবি করতে চান। এক রোববারে রবি ঘোষ এলেন, লেফ্রয় রোডের বাড়িতে। তিনি তখন সন্দেশ-এর প্রছদ আঁকছেন। রবি ঘোষকে দেখে, তাঁর
নরেণ পাল এল বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ । দিন পনের পরে এল ।বলল, ' কি মাণিকবাবু ... ঘড়ির খবর কি ? আর কিছু ভুতুড়েপনা করেনি তো ? '------ ' এখন পর্যন্ত তো আর কিছু করেনি ... জানিনা , কখন কি করে ... ডাক্তার গোবিন্দ সেনের কথাই মনে হয় ঠিক ... ' মাণিকলাল বললেন ।----- ' কি ? '----- ' ওই যে ... চেতন অবচেতন ... কি সব বলছিল ... ... ...
লঙ্কায় তখন প্রচণ্ড যুদ্ধ। রামচন্দ্র হেবি বেকায়দায়। মোটাভাই বেআইনীভাবে ইন্দ্রজিৎকে মেরেছে বলে রাক্ষসরা হেগে আন্তর্জাতিক আদালতে যাবে বলছে। সমস্যা সেটা নয়, হেগে তো ওরা বড়া ভাজবে। গোটা প্যানেলটাই আর্যদের, ওখানে রাক্ষসরা কখনও জিতবেনা। সমস্যা হল, পাবলিক এই সব খুচরো জিনিস নিয়ে বহুত ঝামেলা পাকায়। সেবার বালি-সুগ্রীবের বাওয়ালে বালিকে পাইয়ে দিয়েছিলেন বলে, এক ফচকে ছোঁড়া ছড়া কেটেছিল, "তুমিও বানর, আমিও বানর, তফাত শুধু ল্যাজনাড়ায়", সেটাই ... ...
মাননীয় শব্দ নিয়ে বিতর্ক বেধেছে। মাননীয় তো নয় Honourable ! ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি গঠিত হয়। এর আগে ঔপনিবেশিক সরকারে কাজ করা বাবুরা নিজেদের জেন্টলম্যান বলে আখ্যায়িত করে নিজেদের হর্ষ বর্ধন করেন। বাকি দেশিয়রা ছোটলোক- নেটিভ। তাঁরা কেবল জেন্টলম্যান। ভদ্রলোক। ১৮৬১ তে বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলিতে
না, মা দুগগার পূজো বা শ্রীরামচন্দ্র নিয়ে এ লেখা নয়। "অকালবোধন" একটি বই, যার লেখিকা, শ্রীমতী সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় ( সো ব)। বইটা এই বছর কলকাতা বই মেলায়, সৃষ্টিসুখ থেকে বেরিয়েছে। সেই স্টলে, ভদ্রমহিলা (সো ব) এসেছিলেন, তার বই এবং আরোও বই দেখতে। আমার কোন বই সৃষ্টিসুখ থেকে আর না বেরলেও, প্রতি বছর, আমার তুচ্ছ লেখক(?) জন্মের আঁতুড় ঘরে, একবার ... ...
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়!!! এতো কলেজ নির্বাচনে হতো! বা পঞ্চায়েত নির্বাচনে।ত্রিপুরায় ৯৬% আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।উত্তরপ্রদেশে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিন লাখ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। এবার লোকসভাতেও। এবার মনোনয়নপত্কর সবার বাতিল করানোর পালা। গুজরাটে। সুরাট কেন্দ্রে। অরুণাচল প্রদেশে ১০ জন এমএলএ
আজ শেক্সপিয়ার সহ আরো অন্যান্য বিখ্যাত লেখকদের জন্ম নাহয় মৃত্যুদিবস। ক্লাসিক উপন্যাস 'লা মানচার দন কিহোতে'র স্রষ্টা লেখক মিগেল দে সারভেন্তেসের মৃত্যু দিবসকে স্মরণীয় রাখার উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগত উদ্যোগে সূচনা হয় বইদিবসের। পরবর্তীতে ইউনেস্কোর উদ্যোগে বইপড়া, বইছাপানো, কপিরাইট সংরক্ষণ -- এইসব ক্ষেত্রে জনসচেতনতা বাড়াতে পালিত হয় বইদিবস। এখন দিবসের উপলক্ষ্য যদি যাপনের উৎসব ... ...
অনুরোধ করব কেন সার্ভিস ম্যাটারে বা চাকরি বাকরির ব্যাপারে পিএমএলএ ঢোকানোর বিরোধিতা করছি একজন ট্রেড ইউনিয়ন এক্টিভিস্ট হিসেবে সেটা শুনতে। আপনারা জানেন ওই ভয়াবহ আইনের ১২০বি ধারায় যে কোন কিছুকে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র হিসেবে ধরা যায়, এমনকি সুপ্রিম কোর্টও এর প্রয়োগের ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছে। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে, তৃণমূল সরকার শুধু নয়, ২৬০০০ শিক্ষক শিক্ষিকাকেই ... ...
জাপানের সঙ্গে তখন আমেরিকার যুদ্ধ। জাপান আমেরিকাকে ঘোল খাইয়েই চলেছে। থামছেই না। কিছুতেই কিছু করতে না পেরে, আমেরিকায় এক বিলিতি সামরিক বিশেষজ্ঞর ডাক পড়ল। তিনি এসেই একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন, যেটা আগে কেউ বুঝতেই পারেনি। পরিষ্কার বলে দিলেন, জাপানের সামরিক বাহিনীই এর জন্য দায়ী। চারদিকে ধন্য ধন্য পড়ে গেল। হাততালি থামার পর তিনি সেন্ট্রাল ইনটেলিজেন্সের পেয়াদা ডেকে বললেন, এখনই খুঁজে ... ...
বৈশাখ মাসে তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রিতে ওঠার পর আওলাদ তার স্ত্রী আদিনাকে ডেকে বলে, আমি যাইতেছি! দোয়া রাইখো! তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ আদিনা স্বামীর তাংফাং কথায় বলে ওঠে, আচ্ছা! তার কিছুক্ষণের মধ্যে দেখা যায় আওলাদ লুঙ্গিতে কাছা দিয়ে পুকুরের দিকে নেমে যায়! ঘন্টাখানেক পর আদিনা যখন পুকুর পাড়ে এসে জিজ্ঞাস করে আপ্নে পানির থ্যে উঠেন না ক্যান? আওলাদ বলে, আল্লাহ উপ্রে গোস্বা কইরা পানিতে ... ...
জল দাও আমায় জল দাও———————সুপ্রিয়া চৌধুরী———————যতদিন প্রাণ এ পৃথিবী আমারআমার পৃথিবী - প্রিয় পরিবারকেবলই নিয়েছি জন্মাবধি, - দিয়েছি কি প্রতিদান ?গ্রীষ্মের এই প্রবল দাবদাহে ক্লান্ত পথিক কাতর কণ্ঠে বলে, - "জল দাও, আমায় জল দাও"। পৃথিবী বলে ওঠে - "সবই তো নিয়েছো, দিয়েছো দূষণবলো আর কত কি চাও" ?হাসছে আকাশ গরম বাতাস কোটি প্রাণ শুধু করে হাহুতাশবলে, শুধু — "জল দাও"।দূষিত হলেও— তবু সে যে মা, -সকলের প্রিয় ধরিত্রী মা কাতর কণ্ঠে দেবে, সাড়া দেবে -একজোট হয়ে কাঁদবে আকাশ, কাঁদবে বাতাস ঝরাবে বৃষ্টি ধারা। ——————— ... ...
শিক্ষক নিয়োগের মামলায়, আইনী পরিভাষায় যাকে পার্টিনেন্ট কোয়েশচেন বা বিচার্য বিষয় বলে, সেটা সম্ভবত ছিল নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ওএমআর শিটের - প্রাপ্ত ফলাফলের ও মেরিট লিস্টের পুনর্বিবেচনা। সাধারণত যদি প্রমাণ হয় অভিযোগকারী বঞ্চিত তবে তার নাম প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী মেরিট লিস্টে, চাকরি পাওয়ার পর যাকে গ্রেডেশন লিস্ট বলে তাতে ঢুকবে। তার পরের সবাই এক ধাপ করে পেছবে ... ...
এখনকার সময়ে স্কুলের ছেলেমেয়েদের প্রায় প্রত্যেকটা বিষয়েই একটা অবধারিত টাস্ক করতে হয়। তাকে বলে ‘প্রোজেক্ট’। বেশ ভারী ভারী বিষয় নিয়ে হয় এই প্রোজেক্ট। খাতা বানাতে হয়। হাজারো রকমের বিষয়োদ্দিষ্ট তথ্য জুড়ে জুড়ে উক্ত বিষয়টাকে প্রতিষ্ঠা করার নামই হল ‘প্রোজেক্ট’। প্রোজেক্ট করার সময়টা, ছেলেমেয়েরা নাওয়া খাওয়া ভুলে যায়। তবে, অনেক ছেলে-মেয়েকে, আমাদের এখানে, আমি দেখেছি, সাইবার ক্যাফেতে লাইন দিতে। ক্যাফের ... ...
আকবরের আমলে কি হানাফি সরিয়তি বিচারবিধি(জুরিসপ্রুডেন্স) মানা হত না ? শেষ বিচারে বাদশাহ নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করতেন এটা প্রমাণিত কিন্তু সেটা তো অমুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যাধিক্য থাকার জন্য ব্যতিক্রমী বাধ্যতা যা সরিয়তি আইনকে অস্বীকার করে নয়। এটা ঠিক আকবর সুল ই কুলকে মোঘল রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। কিন্তু সেটা তো অনেকটাই হিন্দুস্থানের আর্থ-সামাজিক বাধ্যতা। ঔরঙ্গজেব আলমগীরের সঙ্গে তাঁর মূলগত পার্থক্য কোথায় ... ...
ভাসুকি ইণ্ডিকাস্ “পৌরাণিক কাহিনি কি তবে সত্যি হলো?”এভাবেই শুরু হয়েছে এক সাম্প্রতিক সংবাদ প্রতিবেদন। ভাবছেন তো, ঠিক কোন প্রতিবেদনের কথা বলছি? একটু অপেক্ষা করুন। এমন প্রাণান্তকর গরমে এতো তাড়াহুড়ো করলে চলবে? বাইরের গরমের সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে গরমাগরম ভাষণ আর বিবৃতির উত্তাপ। তাকে এড়িয়ে একটু অন্য ভাবনার খবর খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে তার দেখা পেলাম। দেশের তাবড় তাবড় সংবাদপত্রের ... ...
ভোট-ময়দানে মীনাক্ষী, দীপ্সিতা, রাহুলদের নতুন শব্দ, নয়া ভাষ্য, মানুষ শুনবে কিঅমল সরকার‘একশো টাকার নীচে কি সায়া পাওয়া যায়? যায় না। একটা সায়ায় ক’দিন চলে। ভাল করে টেনে টুনে পড়লে একমাস-দেড়মাস-দু’মাস। আচ্ছা ছ’মাস। যদি সারা বছর একদিনে দু’টো করে সায়া লাগে তাহলে বারো মাসে আপনার ছ’খানা সায়া লাগবে। শুধুমাত্র ছ’খানা সায়ার দাম বারশো টাকা; যেগুলো সারা বছর চলবে। আমরা চাইছি এমন একটা ব্যবস্থা ... ...