He who controls the past, controls the present -- George Orwell কয়েক বছর আগে এক ভারতীয় চ্যানেলে "দাদাগিরি" নামে এক অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলী প্রতিযোগীদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন ভারতের কোন রাজ্যের নিজস্ব মুদ্রা ছিল -- হায়দ্রাবাদ না বরোদা?
সদ্য স্কুল পরীক্ষা দেওয়া এক ছেলে একবার তার বান্ধবীর উদ্দেশ্যে হঠাৎ একদিন লিখে ফেলল একটি কবিতা। কবিতার নাম 'একটি চিঠি'। কিছু একটা ভেবে ডাক যোগে বিখ্যাত 'দেশ' পত্রিকার অফিসে পাঠিয়ে দিল সেই কবিতা। ১৯৫১ সালের ৩১শে মার্চ দেশ পত্রিকার মার্চ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল কবিতাটি। দেশ পত্রিকার অফিস থেকে সেই ছেলের নামে আসল ভারী একটা খাম। এত ভারী খামের উপরে নিজের নাম লিখা দেখে ঘাবড়ে গেল ছেলেটি। সেই ছেলেটির নাম ছিল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। ... ...
যেন অতীতচারী মন কেবল / যে কিনা কোনো এক স্থানে আর / স্থির না হয়ে অনির্দিষ্টে ঠাঁই নেয়।
স্বপন বাজার মোড়ের কেইজ বার্ড / আর শুয়ে বসে দিন কাটানোর / বিলাসিতা অন্য কারুর জন্য তোলা থাক
ভাব অলঙ্কার থেকে দূরে সীমাহীনটাকে অতিক্রম করে লভ্য – অলভ্য পরম জাগতিক যাবতীয় প্রলুব্ধকর অবতারণা আর প্রতারণাপূর্ণ চাহনি কথা
আগের যুগে জমিদার বা লর্ডরা শিকারে বের হত এক পাল পোষা কুত্তা নিয়ে। বাবুদের শিকারকর্মে এই পোষা কুত্তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। শিকার চিহ্নিত করার সাথে সাথে প্রথমেই পোষা কুত্তাগুলিকে লেলিয়ে দেওয়া হত। ট্রেনিংপ্রাপ্ত কুত্তাগুলি শিকারকে ধাওয়া করতে করতে ক্লান্তির শেষ সীমায় নিয়ে যেত।
ইন্দ্রাণীদি ফেসবুকে নেই। অর্থাৎ, এই নশ্বর পৃথিবীতেই নেই। যেখানে মানুষে-মানুষে যোগাযোগের পোশাকি নাম নেট-ওয়ার্কিং। যেখানে আলোয় ভেসে থাকার জন্য সর্বদা আকুলি-বিকুলির নাম আলোকপ্রাপ্তি। ইন্দ্রাণীদি এসবের বাইরে। তাঁর সাধনা নৈঃশব্দের। বাক্য নিক্তি মেপে। আখ্যান ছেনি হাতুড়ি দিয়ে কোঁদা। সেও এক ম্যাজিক, তবে অন্ধকারের। যেখানে পৃথিবীর কিমাকার ডায়নামোর পরে মহীনের ঘোড়ারা ঘাস খেতে আসে, এ সেসব এলাকার কাহিনী। হুড়োহুড়ি, গুঁতোগুঁতিতে ইন্দ্রাণীদি নেই। তার বাইরের যে অন্ধকার ইন্দ্রাণীদির ম্যাজিক সেই অঞ্চলের। ইন্দ্রাণীদির প্রথম গল্পের বইয়ের নাম ছিল 'পাড়াতুতো চাঁদ'। যা দেখিয়ে দিয়েছে, নিঃস্তব্ধতারও কিছু অনুসারী আছেন। হয়তো সংখ্যায় বেশিই আছেন, দেখা যায়না, কারণ তাঁরাও নিঃস্তব্ধ। "আমি নিজেকে পড়ুয়া বলে মনে করি, কিন্তু ইন্দ্রাণীর খোঁজ ... ...
'অতি ব্যবহারে ক্লিষ্ট'- এ কথাটা বোধ করি / ভাষার বেলাতেও ঘটে।
সাময়িকতা, যুগ প্রভা, সামাজিকতা / রুপ বিচিত্র, শিল্প ভাবনা অনুষঙ্গ
ব্যথাগুলো ফেরত চাই... পিটিয়ে পিঠের ছাল তুলে নিলেও ঘরের লোকগুলো যারা বলতেন বেশ করেছেন, আরো দু চার ঘা দেবেন, বড্ড বাঁদর হচ্ছে দিন দিন, আর আমরা ব্যথার চোটে বড় হবার অপেক্ষা করতাম, সেই ব্যথা গুলো ফেরত চাই..
বাংলা এবার নদীকে চায় অখিল রঞ্জন দে এক-শত বিশ মাইল জুড়েদিচ্ছি সেবা দু-পার জুড়ে ।লক্ষ জেলে মাছ ধরে খায়লক্ষ চারেক চাষ করে খায়আরো আছে লক্ষ খানেক জলজ প্রাজাতি ভাই।চিনতে পারো ?আমি যে তোমার জলঙ্গী নদী ভাই।বর্তমানে স্বজন-হারা,ছিন্ন-নাড়িগতি-হারা মৃতপ্রায় ভাই । রক্তে মোর দূষণ ঘটেফি-বছর আষাঢ় মাসে।মড়ক লাগে ঘরের ভেতরআছে যতো জলজ জীবনবাসর কালে হারায় জীবনরুই-কাতলা সিঙি-মাগুর ,মিলন কালে মরন পায় 'কই'!কেমন করে সয়বো আমিবলতে পারো সই ? অনেক তো হলো তোমার বিচার সভাপেলাম কী মোরা কোন ভরসা ?তাইতো মোরা গড়বো এবারনদী সমাজ ভাই ।মোদের সামাজে স্থান পেয়েছেমানুষ বাদে সকল প্রাণী ভাই ।সদস্য পদে নাম লিখিয়েছেএই জলঙ্গী-নদী ও ভাই । যুগ যুগ ধরে নিচ্ছো কেবলদিচ্ছো মোদের বিষের ... ...
লৌকিক দেবদেবী নিয়ে গবেষণায় তিনিই পথিকৃৎ। ১৯৬৯ সালে "বাংলার লৌকিক দেবতা" বইয়ের লেখক গোপেন্দ্রকৃষ্ণ বসু রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছিলেন এই বইয়ের জন্য।তাঁর লোকদেবতা, আঞ্চলিক ইতিহাস বিষয়ক লেখাপত্র এককালে বসুমতী, যুগান্তর, পুষ্পপত্র, অমৃত, অমৃতবাজার, আনন্দবাজার ইত্যাদি পত্রিকায় প্রকাশিত হত। এছাড়াও বহু আঞ্চলিক পত্রিকা, সংবাদপত্র কিংবা বিশেষ স্মরণিকা-সুভেনিয়রে নিয়মিত লিখেছেন। সেসব ছড়ানো ছেটানো লেখা একত্র করে আর তার সাথে গোপেনবাবুকে নিয়ে সমসাময়িক ও বর্তমানের বিশিষ্ট লোকসংস্কৃতিবিদদের কলমে মূল্যবান লেখা যুক্ত করে "গোপেন্দ্রকৃষ্ণ বসু বিশেষ সংখ্যা" প্রকাশ করা হচ্ছে প্যারালাল পত্রিকার তরফে। ... ...
আকাশের দিকে তাকালে মিটমিটে তারারা কি বলে? কথা বলে? গল্প করে? কি নাম তাদের? মা বলে ওই যে তোমার দাদামণি, তোমার পিসেমশাই,দাদু। সেই ছোটোবেলার মত। আমি কিন্তু জানি ওই ওই তারাদের ভীড়ে আছে আমার মেয়েবেলার আর কিশোরীবেলার দুই বন্ধু। বড় আদরের। হঠাৎ করে না বলে কয়ে হারিয়ে ওই অত্তদূরে চলে গেল। ... ...
কলিয়ারির কালো ইয়ারি ওয়ার্ধা নদীর ধারে ওয়ার্ধা ভ্যালি কোলফিল্ড প্রধানত ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের বিদর্ভ অঞ্চলের চন্দ্রপুর জেলায় অবস্থিত। এখানে অনেকগুলি ওপেন কাষ্ট কোল মাইনস (খুলি খাদান) গড়ে উঠেছে। এমন একটি খুলি খাদানে পরিচয় হয়েছিল কালু কাওয়ালের সঙ্গে এক রৌদ্রোজ্জ্বল সকালে। ও মাইনসে তখন লোডিং মেসিন ওপারেটরের কাজ করত।প্রায় ছয় ফুট উচ্চতার এবং কৃষ্ণবর্ণ। হেভি ওয়েট। শৌখিন। পোষাক জিনসের প্যান্ট, লাল টি সার্ট। মাথায় ঝাঁকড়া চুল। পিছনে চুল বাঁধা। হেলমেটের তলা দিয়ে চুল চার পাশে বেরিয়ে এসেছিল। হাতে স্টিলের বালা। চোখে সান গ্লাস। ... ...