না, বাঘ ভাল্লুক স্ত্রীর এক্কেবারে পছন্দ না। সাফারি বাদ। ওরা শহর দেখতে আরম্ভ করলো। নিউইয়র্ক স্ট্যাচু অফ লিবার্টি, সেন্ট্রাল পার্ক, নাইট ক্লাব, সিঙ্গাপুর, লা ভেগাস, লন্ডন প্যারিস সিডনি মেলবোর্ন আরো কত কি।
নেড়াদা এমনিতে বেশ চালাক চতুর লোক। পাড়ায় সবাই বেশ সমীহ করে। পল্টু জগার কথা তো বলার নেই। নেড়াদা বললে ওরা চাঁদও নিয়ে এনে হাজির করবে এমন। অফিসেও নেড়াদা লিডার গোছের। কেবল বাড়িতেই এখনো সেভাবে নেড়াদার প্রভাব গড়ে ওঠে নি। সে কথা থাক। তবে নেড়াদা বরাবর এমন চালাক চতুর ছিল না। ... ...
গত বছর লিখেছিলাম চাষাদের নিয়ে। অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের চাষা রা নয়। পশ্চিমবঙ্গে কৃষকরা হয় খুব রাজনীতি বোঝে, না হয় রাজনীতি চাষাদের খুব বোঝায়।বিশ্বাস করুন কৃষকদের নিয়ে লেখার ইচ্ছে একদম নেই। এই শ্রেণীর মানুষরা খুব স্বার্থপর বুঝলেন। শুধু নিজের কথা ভাবে। শুনুন ..এরা নেশা করে না। মদ খেয়ে বাওয়াল করে আন্দোলন করে না। চক্রবর্তীদের মেয়ে বা রাজপুতদের ছেলে নিয়ে এদের মাথাব্যথা নেই। এরা তৈমুর এর হাগুর গন্ধ জানতে চায় না কিম্বা কাশ্মীরের RDX নিয়ে মাথা ঘামায় না। দুধ থেকে সোনা বেরোনো নিয়ে এদের মাথাব্যথা নেই। হাইড্রক্সি ক্লোরোমুনন্ন আর জামাতি নিয়ে এরা নিস্পৃহ। এমনকি মন্দির মসজিদ কোথায় হবে সেটা নিয়েও রক্ত গরম করে ... ...
অরণ্য ভয় পেতেও পারে, বাঘেরা নির্ভয়তবুও সেই কান্তার মাঝে ললিতের আশ্রয়!কাল রাত্রে এসেছিলো বাঘ, নিমন্ত্রণে নয়গুহার মুখে নিশ্চিত তার প্রামান্য হৃদয়!বিদ্যুৎ চমকে যেন জ্যোৎস্না; চুপিসারে -দেখা দিলো হলুদ আগুন, গুহার অন্দরে!ঈশ্বরের বসত বাড়ি যেন সে পারিজাতবিন্দু বিন্দু করে আগুন ঝরেছে সারারাত!দখিন রায় গুহার মাঝে রাস্তা তৈরি করেসন্তর্পনে আস্থার সাথে গহীন অন্ধকারে -অলীক স্বপ্ন সঙ্গে যায়; নিস্তেজ হয়ে ফেরা -যেই না চাক ভেঙ্গে পড়ে, উষ্ণ মধুর ধারা!মিথস্ক্রিয়ার বহ্নি প্লাবনে কন্দর ভেসে যায়হনন নাকি আত্মহনন অন্তিম সে চূড়ায়!এখানে সৃষ্টি নিত্য করে সুতীব্র চিৎকার,এই দিব্য আশ্রয়েতেই লীলা বারংবার!! ... ...
এবার নাকি রুনু গুহনিয়োগির 'সাদা আমি কালো আমি' অবলম্বনে হিন্দিতে রাজনৈতিক ওয়েবসিরিজ। চারু মজুমদার চরিত্রে নওয়াজ সিদ্দিকি। জ্যোতি বসু চরিত্রে, পরেশ রাওয়াল কিংবা বোমান ইরানি। একটা বাংলা ভারসানও নাকি হবে। নির্ঘাত ডাব-টাব। সত্যি-মিথ্যে জানিনা, ডিজিটাল আনন্দবাজারে পড়লাম। প্রথম রিঅ্যাকশনে আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে হয়েছিল। কিন্তু হিন্দি সিনেমার উপর রাগ করে আত্মহত্যা করতে হলে অনেক আগেই করা উচিত ছিল। তা যখন করিনি, এবারও ক্ষান্ত দিলাম। পরের চিন্তাই মাথায় এল, এবার একখানা ফিলিম বানিয়ে ফেলি। কত আর খারাপ হবে। খারাপ হলেই বা কী। যত খিস্তি, তত ভিউ। একদম ইংরিজিতে বানাব। ভারতের ইংলিস মিডিয়াম বিপ্লবী থেকে আমেরিকান আঁতেল, সব্বাই দেখবে। ... ...
"সূচনায় সাবর্ণ পরিবার" বাংলায় ইংরেজ পদার্পণের সাথেই শুরু হয় বর্তমান কলকাতার নগরায়ন, ভেসে আসে সাবর্ণ রায়চৌধুরীর নাম যার থেকে কলিকাতা সুতানুটি ও গোবিন্দপুর তিনটি গ্রাম ইজারা নিয়ে কলিকাতা নগরের পত্তন করেন জোব চার্ণক । যদিও কোলকাতায় জোব চার্ণক এর পদার্পণের অনেক আগেই কলকাতার দুর্গাপুজোর সূত্রপাত এই রায়চৌধুীরি পরিবারের হাত ধরে। সময়টা আজ থেকে প্রায় ৪৩০ বছর আগে, বাংলার রাজনীতিতে তখন বারো ভু্ঁইয়ার রাজত্ব। কলিকাতা ও তৎসংলগ্ন অঞ্চল তখন ছিল যশোর অধীনস্ত বারো ভুঁইয়ার অন্যতম রাজা বসন্ত রায়ের অধীনে। ... ...
কি চাওয়া যায় / প্রেমের কাছে / ভালোলাগার ভালবাসার / একলা কোন অবসরে
তোমাকে প্রথম যেদিন আমি দেখেছিলাম, সেদিন তুমি মাক্স পড়ে ছিলে। আর সময়ই বা কতক্ষণ ছিল, খুব হলেও দশ থেকে পনেরো সেকেন্ড। তোমরা আসলে আর চলে গেলে। আমি তোমার নামে কিছু কথা আগেই শুনেছিলাম, তাই একটু হলেও কৌতুহল ছিল তোমাকে দেখার জন্য। যখন তোমরা ঘরে ঢুকলে ব্যাগপত্র রাখার জন্য, তখন আমি একবার শুধু তোমার দিকে তাকিয়েই চোখ নামিয়ে নিই এই ভেবে যে, কেও যেন দেখে না ফেলে। কিন্তু, আজ যতটুকু তোমার সাথে কথা বলে তোমায় জানতে পারলাম, তাতে তোমার প্রতি আমার আগ্রহ বাড়তে থাকে। আমি যখন জেঠিমার সাথে কথা বলতে বলতে তোমার সাথে কথা বলার চেষ্টা করি, দেখি তোমার কোনো ইচ্ছাই ... ...
বন্ধু ১: অম্বল হয়েছে। / বন্ধু ২: Always কচুরি জিলিপি সম্বল হলে যা হয়।
#redvolunteershaltu হালতু শ্রমজীবী ক্যান্টিন গত ৭০ দিনের উপর চলছে। ২০/- টাকা মূল্যে দুপুরের খাবার দেওয়া হয়। মূলতঃ স্বল্প আয়ের মানুষজন আসেন খাবার নিতে। কলকাতা বা কলকাতার কাছে যারা থাকেন, হালতু শ্রমজীবী ক্যান্টিনের সাহায্যার্থে যদি কেউ চাল, ডাল, তেল, সোয়াবিন, মসলা, নুন, তাজা তরকারি, ডিম, চিকেন, মাছ খাদ্য সামগ্রী হিসেবেই সরাসরি দিতে চান, আমাকে দয়া করে জানাবেন। ... ...
যাচ্ছেতাই ...আরবে কেউ নাই আমার। ঘরের লোক বেছে বেছে ইয়া বড় মুসলমান নাম কিকরে রাখলো তা আজ অবধি বুঝিনি। নামের আগে আবার শেখ আছে আমার। আধার, রেশন, ভোটার সব ভুলের বাধা টপকে যখন সরকারি খাতায় ঠিক নাম দেখি তখন একটু জিরান আসে মনে। তাও শান্তি নাই। ইদিকের পঞ্চায়েত মেম্বার হেব্বি খাতির করে বলে কিনা আপনে মুরুব্বি মানুষ। জীবনে কিচ্ছু গোছাতে পারিনি। তাই কয়েক বছর ধরে নিজের ইমেজ গোছাচ্ছি। পলিটিক্যাল ইমেজ। নন পলিটিক্যাল নাকি আ পলিটিক্যাল জানি না। তবে দুটোই গোছাচ্ছি। ... ...
ছোটোবেলায় দূর সম্পর্কের এক দাদুর বাড়ি বেড়াতে যেতাম স্কুলের ছুটিছাটায়। প্রত্যন্ত গ্ৰামে বৈদ্যুতিক বাতি বিহীন ছিল সেই বাড়ি। গ্ৰামের সাথে পরিচয় আমার সেই সময় থেকে। যেখানে রাতের অন্ধকারে জোনাকের আলো আর জোড়ায় জোড়ায় জ্বলন্ত নিশ্চুপ চোখের চাহনি ছিল চাঁদের সাথী। সেইরকম সত্যি কারের রাতের কোলে লন্ঠনের আলোয় দিদিমা পড়ে শোনাতেন ঊপেন্দ্রকিশোরের টুনটুনির বই। ঘুম ঘুম চোখে আমরাহাঁ করে গিলতাম সেসব। সব চরিত্রের মধ্যে আমার আগ্ৰহ হত শেয়াল কে নিয়ে। মনে হত রাতের অন্ধকারে একা একা একটা শেয়াল চোখে চশমা এঁটে হেঁটে চলেছে। সে যেন বড় একা। মন জানতে চাইত শেয়াল যে পন্ডিত এ কথা জানলে কে? ... ...
জরাজীর্ণতাকে আর্ট ডেকোর / সো পিস বানিয়ে তাক আর বাক্সে / জীবনের লিভিং রুমে প্রপ্স হিসেবে / সাজিয়ে আগলে আটকে রাখতে
সময়ের সিন্দুকে বন্দি রেখেছি আমার / দূরন্ত শৈশব কে / আমার যৌবন আমার বার্ধক্য দিয়েছি / দায়িত্ব ও কর্তব্য কে