কেউ কখনও পড়েছেন?
অঙ্ক আর অঙ্কনেতে চিরকালই আমি কাঁচা / তবু, নানা রঙের দিনের সাথে বর্ণান্ধের বাঁচা!
সভ্যতা দিয়েছে স্থান মোরে কৃত্রিম অরন্যে / বট-বৃক্ষ থেকে আজ হয়েছি আমি পটের-বৃক্ষ
"গ" শব্দের ক্রিয়াভিত্তিক অর্থ গমন। স্বর যেখানে গতিশীল তাই গীত। স্বর ও ধ্বনির সমন্বয়ে জন্ম নিল "গীত" - গান। মানুষ ছাড়া আর কোনো প্রাণী যে স্বাদ পেলই না। মানুষের বেঁচে থাকার পথে খানাখন্দগুলো একটু বুজিয়ে দিল, যাত্রাপথের কাঁটা বেছে পথটা একটু মসৃণ করে দিল গান। একঘেয়ে রোজনামচাতে সুরের প্রলেপ জুড়ে দিল এক মখমলি গালিচা। যে গালিচায় হরিপদ কেরানি আর আকবর বাদশার সমান অধিকার। গালিচায় আলাপ করছেন উস্তাদ - রাত্রি প্রথম প্রহর অতিক্রান্ত হয়ে দ্বিতীয় প্রহরে প্রবেশ করছে। ... ...
আরিয়ানা খান ধরা পরেছে ক্রুজ জাহাজের বিলাসবহুল পার্টি থেকে। আপনি নাক সিঁটকাচ্চেন, বড়লোক বাপের বিগরানো ছেলে, এ খবর দেখে আমাদের লাভ কি? লাভ হবে কিনা জানি না, তবে ক্ষতি কিন্তু হবে না একথা ভেবে না। সব জড়তা কাটিয়ে এই শহর কিন্তু যুবক হয়ছে, এখন সেও রাত জেগে পার্টি-টার্টি করে। তোমার তাতে কি। আপনি না জানলেও, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম জানে এসব পার্টিতে, ছেলেমেয়েরা বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারে। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে সব কিছু বিনামূল্যে। আসলে বিপদের কথা এটাই মেয়েদের বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে, একটু বুকের ভাঁজ দেখাতে পারলে পৃথিবীটা তাদের হাতের মুঠোয়। সোশ্যাল মিডিয়া চোখ রাখুন দেখবেন খোলামেলা পোশাক পরে ছবি পোষ্ট করতে ... ...
প্রথম দেখা তা প্রায় বছর আড়াই এর কিছু বেশীই হবে। স্বামীর চাকরিসূত্রে বদলির ফলে নতুন জায়গা, নতুন পরিবেশ, নতুন মানুষজনের মধ্যে এসে পৌঁছলাম। সরকারী কোয়ার্টার। বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকায় ঘরে একটা কেমন উদ্ভট গন্ধ আর আগের জায়গা ও পরিচিত জনেদের ছেড়ে আসার মন খারাপ নিয়ে ঘরের জানলাগুলো একে একে খুলতে শুরু করলাম। বর্ষা তখন মাঝপথে। জানলার বাইরে তখন ঘোলাটে মেঘলা আকাশ, আমার মনের আকাশেও তারই ছায়া। চারপাশে সবুজের সম্ভার। পিছনের অংশে বেশ জঙ্গলই বলা চলে। যতদূর চোখ যায় ততদূর ঘন সবুজ রঙা। দূরে কোনোও একলা অচেনা পাখির ডাক মন খারাপের মাত্রা আরোও বাড়িয়ে দিলেও বাস্তবে ফিরে আসতেই হল। আসবাবপত্র সমেত ট্রাক এসে পৌঁছেছে। চরম ব্যস্ততা। সারাদিন ব্যস্ততায় আর অন্যদিকে মন ... ...
‘গৌণ হয়ে গেছি / নিজের কাছে নিজেই যেন খুব / গৌণ হয়ে রয়ে গেছি’
এক: হাফ্ প্যান্ট পরে ঘর্মসিক্ত মুখে বাজারের ব্যাগ হাতে কন্যাশ্রীর পিতা এলেন দু কিলো চাল, দু কিলো আলু, আড়াইশো চিনি, একটা সাবান নিতে। মেয়ে পড়ে ক্লাস সেভেনে। ফোন নেই। স্মার্ট ফোন। জিজ্ঞেস করলাম পড়াশোনা করে কি করে? জানাল, দিদি, পড়াশোনা করছে না। একবার একটা বন্ধুর থেকে প্রশ্ন নিয়েছিল তারপর করেছিল। বললাম আজকে যাবার সময় প্রশ্ন নিয়ে যাবেন, ওখানে দিদিমণির কাছ থেকে চাইবেন। ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানাল। কিন্তু যাওয়ার সময় দেখলাম সোজা চলে গেল।দুই: অভিভাবকদের সই করে মিড ডে মিলের সামগ্ৰী নিতে হচ্ছে। কিন্তু পাশে ইঙ্ক প্যাড রাখা, যদি কারোর প্রয়োজন হয়। যাই হোক। দুরকম ব্যবস্হাতেই বিলি বন্টন চলছে। একজন অভিভাবক ... ...
বিংশ শতাব্দীর এক অমর সুরকার ছিলেন শচীন দেব বর্মণ। কাল তাঁর জন্মদিন ছিল। সহজ সরল সুরে ও পাহাড়িয়া গানের মূর্ছনায় তিনি বলিউড মাতিয়ে রেখেছিলেন। গানের গলাও ছিল খুব ভালো। পুত্র রাহুল দেব বর্মণ। শচীন কত্তার জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য জ্ঞাপন করছি। ' বর্ণে গন্ধে ছন্দে গীতিতে হৃদয়ে দিয়েছো দোলা'।।
স্বার্থসর্বস্ব রাজনীতির যুগে একটা ইয়াং ছেলে যাকে সবাই দলছুট ভাবে, এমনকি ঘোর অ-সিপিআইকেও দেখেছি তার নাম উচ্চারণের সময় স্বর পাল্টে যায়, সে হঠাৎ করে একটা হাক্কা চাউমিন মার্কা দলে ঢুকে গেলো, তা মেনে নেওয়া উনিশশো ষাট থেকে আশি যাদের জন্ম, তাদের পক্ষে মনে হয় একটু কঠিনই।কিন্তু এটাও ঠিক যে আমাদের ছোটবেলা থেকে ভারতীয় রাজনীতিতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটা প্যাটার্নের মতো দেখতে পাচ্ছি। হিমন্ত বিশ্বশর্মা বা লালুপ্রসাদ যাদব, বা আমাদের ঘরের ছেলে ঋতব্রত, এরা ঐ প্যাটার্নের খুব ভালো উদাহরণ। ছাত্র রাজনীতি দিয়ে শুরু। তারপরে ছাত্র রাজনীতি থেকে একটু মাঝবয়সের দিকে কিছুদিন ট্রেড ইউনিয়নটাও দুটো বা তিনটে টার্ম করে এলে আরো ভালো। রাজ্য সরকারের অফিসারদের যেমন ... ...
তুই জাগালে নিঃশব্দ শিসে / মাতাল হবো ওষ্ঠ-বিষে
এক সময় ঢাকার গৃহিণীরা একটি ম্যাচের কাঠি ও সামান্য পরিশ্রম বাঁচানোর জন্য সারারাত গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে রাখত। এখন আমাদের প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করতে হচ্ছে।
কলঙ্ক আজ বিক্রি হচ্ছে একরে পঁচিশ ডলার, / এই পৃথিবী বেচা শেষ, চাঁদের হাটে কারবার।
আমার ক্যাবলা কাটিং হাসি পুরোনো গান। এর আগে লাইভ একটা ভার্সান ছিল। ভালো রেকর্ডিং ছিলনা। এবার নতুন করে করা হল। অ্যারেঞ্জ ট্যারেঞ্জ করে। মন্তব্যে কেউ কেউ বলেছেন, আগেরটাই ভালো ছিল। সে আর কী করা যাবে। পাপের ফল, হয়েছে যখন, থাক।
১৯৪৫ সাল।.অস্ট্রেলিয়ান সৈন্যরা জাপানের কনসেনট্রেশন ক্যাম্প থেকে মুক্তি পেয়ে চা খাচ্ছে। .এরা ভাগ্যবান জানে বেঁচে গিয়েছে। এদের সাথীদের অনেকেই বাঁচেনি।.কেন বাঁচেনি তা এদের পাঁজরের হাড় দেখেই অনুমান করা যায়।
সারপ্রাইজ মৌসুমী ঘোষ দাস তাতুনকে চকাস করে একটা চুমু খেয়ে ভ্যানে তুলে দিল কুহেলী। তাতুন গিয়ে নিজের সিটে বসে মায়ের দিকে তাকিয়ে রইলো। তবে এখন আর আগের মতো কান্নাকাটি করে না এই যা শান্তি। ভেতরে তখন আট-নয়-দশ বয়সীদের কলকাকলি। ভ্যানের দরজা বন্ধ করে ভ্যান রওনা দিতেই তাতুন হাত তুলল, কুহেলীও হাত নেড়ে বাই জানালো। ... ...
জল ই জীবনওতেই বাঁচনআবার মরণকতই না কথন!
সূর্যের প্রথম আলো সর্বাঙ্গে মেখেতোমাকে কেমন দেখায়আজও তা বলা হয় নি! বলা হয় নি কখনওঅস্তরাগের আবীর মেখে তোমার লাজুক মৃদু হাসি কেমন লাগে! দেখেছি নববরষার কালো মেঘের সঞ্চারে তোমার কৃষ্ণকলি রূপ ,ছাইরঙা মেঘের বুকে সাদা বকের দলকে।আরোও দেখেছি নীল আকাশের বুকে সাদা মেঘের ভেলায়, নদীর পাড়ের কাশফুলের মেলায় --- বলা হয় নি কখনও আমার মনের কথা। দুটি সতৃষ্ণ নয়ন খুঁজেছে তোমাকেই ,কোজাগরীর রেশমী জ্যোৎস্নায়,কুয়াশার চাদর জড়ান শীতের শেষবেলায় বা ভোরেরবেলায়---হেমন্তের বাদামী রঙ ঝরাপাতারা জেনেছিল সেকথা।ফাগুনের উত্তাল দখিনা বাতাসেপলাশ, কৃষ্ণচূড়ার লালরঙের নেশায় মত্ত তোমার আগুনঝরা রূপও --- শুধু চেয়ে দেখেছি। তবু বলা হয় নি কখনও সে কথা---তুমি সুন্দর, তুমি অনুপম--- ওগো সুন্দর! ভালোবাসি তোমায়। ... ...