যাহা বলিব সত্য বলিব, সত্য বৈ মিথ্যা বলিব না সদ্য জয়েন করেছি স্কুলে। দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিন। স্কুল থেকে তিন কিলোমিটার আগে এক ব্যাটা বেবুনপাজিহতচ্ছাড়া মুরগি আমার চলন্ত বাইকের সামনের চাকা আর পেছনের চাকার মাঝের ফাঁকটাতে ঝাঁপ দিলো। একদম ডেলিবারেটলি। উইদাউট এনি প্রোভোকেশন। ডিপ্রেশন এ্যান্ড ওয়ার্কপ্লেস স্ট্রেস ছিলো মনে হয়। দীর্ঘদিন ধরে কেউ ওকে রান্নার চেষ্টা করেনি। তাই হয়তো ঝাঁপ।পেটের ওপর দিয়ে চাকা গেলে কি আর মুরগি বাঁচে ? মুহূর্তে হৈ হৈ। দেড় মিনিটে ভিড়। সাড়ে চার মিনিটের মধ্যে আমি ঘেরাও।ড্রোন দিয়ে ভিডিও তুললে সে যে কি অসাধারণ হতো, লং শটে অজস্র কালো কালো মাথার ভিড় দিয়ে শুরু করে মুরগির শবদেহের ... ...
কখনও স্বামী বা স্ত্রীকে পরিত্যাগ বা দুর করিয়া দিবে না।
সাবাশ হিন্দি হিন্দু হিনদোসথান। এই না হলে "সব কা সাথ সব কা বিকাশ সব কা প্রয়াস"!!! প্রশ্ন উঠতে পারে হিংসে হচ্ছে??না, রাগ হচ্ছে !!! ভারতবর্ষে র মতো দেশ... যেখানে জল এখনো সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাবার সহজ উপায় নেই... যখন বেশিরভাগ মানুষ আর্সেনিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শুধু অপরিশোধিত জল খেয়ে.. যখন "মিশন ওয়াটার" প্রকল্পের নামে রাজ্যে রাজ্যে ভাওতাবাজি করে নিজেদের পকেট ভারী করেছে নেতা মন্ত্রী বেনিয়া'র দল, সেই দেশের এক নম্বর বড়লোক তার জলের খরচ এটা হলে আপত্তি আছে। কোন নৈতিক অধিকার নেই ঐ ভদ্রমহিলা'র এই কাজ করার। রাগ আর ঘৃণা হচ্ছে... অসাম্য আর স্বেচ্ছাচারিতা'র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ এই সমাজের। এটা সামাজিক নৃশংসতা'র পর্যায়ে পড়ে। উনি জনতার শত্রু !!! ... ...
জানিনা তোদের বিশেষ কিছুই, ভেবেছি কেবল তোকে, / আমায় ভালোবাসিস কিনা, খুঁজবো তোরই চোখে।
চোখে চোখে বলবো কথা, লজ্জা পাবো একটু খানি, / কলম-দোয়াতে লিখবো চিঠি, পার্কার পেন অনেক দামি।
আলি: এতো উশখুশ কেনো করছিস? / নীলা: কেনো করব না? সময় যে বয়ে যাচ্ছে! / আলি: কেনো ঐ যে মোমবাতি মিছিল বেরিয়েছে! কত মানুষ পথে নেমেছে! / নীলা: সেতো এতো বছর ধরে হয়ে চলেছে, কিন্তু সময় যে পেরিয়ে যাচ্ছে, ভয় করছেতো!
আজ মহালয়া। দূর্গার শুটিং এ এখনো প্যাক আপ হয়নি। ফাস্টফুড খেয়ে বেঁচে থাকা অসুরগুলোর অম্বল হয়েছে।মা অন্নপূর্ণার, হাতের তেলেভাজা মুড়ি খেয়ে। নন্দীভিঙ্গী খুব খুশি। চপশিল্প হবে না আর কৈলাশ-এ। ও ব্যাটারা কাজ করতেই চায় না। ভোটের সময় রিগিং করবে আর কাটমানি খেয়ে নেশাভান করবে। বেশ মজা শিবের, বৌ ঘরে না থাকলে যা হয় , আরকি। খোলা হাওয়ায় বসে "এক টানেতে যেমন তেমন " বলে শিববাবাজি একটা সুখটান দেবে বলে ঠিক করেছে। এমন সময় কাঁচুমাচু মুখ করে , সাদা চুলো বুড়ো ব্রহ্মা হাজির। শালা কিপটে, চুলে কলপ করতে কি হয়? জামাই বলে পরিচয় দিতে লজ্জা করে। তবু হেসে শিব বললো" বলল হে বোম্ভা ... ...
“ওগো আমার আগমনী আলো” অনেকগুলো বছর জীবনের কেটে গেছে। তবুও ঘুমঘোরে মহালয়ার দিন এই গানটি শোনার সাথে সাথে আজও যেন পুজোর রোমাঞ্চকর শিহরণ অনুভব করি। রোজকার রুটিন থেকে কদিন যেন মুক্তি পাবো এই আনন্দ। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব মা দুর্গার আগমনে।
এসো এসো সখা তর্পণ নিই সেরে;কিছু আত্মা প্রতিবারই যায় ফিরেলালন করেনি সন্তান যারাপাহাড় সরাবে বলে!- কিম্বা ধরো এই গঙ্গারই কোলে-এইতো সেদিন,আমরাই যাই ভুলে!-ভেসেছে পলাশ হাজারে হাজারেহাওয়ার ভেলাতে চড়ে! আরো কত সব আত্মা রয়েছে-জমে জমে আজ পাহাড় হয়েছে-এসো এসো সখা তর্পণ করি-পরমাত্মীয় হয়ে! এই পৃথিবীরও বয়স হয়েছেদুচোখে তার বরফ গলেছে;হয় যদি হোক দেরী -তবুও স্বপ্ন বন্ধ কোরো না ফেরি। ... ...
ভাদর-এর বাদলমেলা গেছে আকাশ পারে, / এসেছে আশ্বিনের শান্ত উৎসবের বেলা। / সোনালি রোদ্দুর-আলোর অলঙ্কার পরে / করছে আকাশ মেঘের সাথে খেলা।
রাজি থাকলে হারিয়ে যেতে পারি / রাজি থাকলে সাত সাগরও পার / রাজি থাকলে সাঁঝেও ভোরের তারা / রাজি থাকলে মুলতুবি থাক হার
স্ক্রিনের বাঁদিক থেকে ডানদিকে ক্লান্তি ঝোলে সুক্ষ সুতোর মত; নিঃশব্দে আত্মগোপন করে। যেভাবে অবিশ্রান্ত বর্ষার পরে ঘরের ভিতরে কাপড় শুকায় তারের উপরে। পাহাড়ি ঝর্ণার প্রস্থ বরাবর টাঙানো থাকে 'ওঁ মণিপদ্মে হুম'।
সেই হল শুরু। দিনের বেলা যখন তখন কারণে অকারণে জানলার ধারে আমি। ঐ জঙ্গলের শাল, ইউক্যালিপটাস, মহুয়া, আসান ছাড়া বাকি সবই অচেনা। ভরা বর্ষায় টানা পাঁচ ছ দিন বৃষ্টি চলছেই। বর্ষাস্নাত প্রকৃতির রূপ, লাবণ্য বর্ণনা করবার ক্ষমতা আমার নেই। সবুজ যে কতরকমের হয়, তা ঐ জানলায় দাঁড়িয়ে অবাক হয়ে দেখি। দেখি, শুধু দেখি। আশ মেটে না আর। কিন্তু তার দেখা পাওয়া ভার।মাঝে দুদিন ধরে বেশ গুমোট গরম। সেদিন সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। একটু জলো বাতাস বইতে শুরু করেছে। বৃষ্টি আসবে বোঝাই গেল। কাজের ফাঁকে গেলাম একবার ছাদে। আশায় ছিলাম তার দেখা পাওয়ার। বাতাসের জোর বাড়ছে। জঙ্গলে সাড়া পড়েছে। সড়সড়, মড়মড়..... যেন নেশায় মজেছে শাল, মহুয়া, আসান, পলাশ! পাখিরাও ব্যস্ত যার যার ... ...
আজ সেমন্তীর সকাল-সকাল ঘুম ভেঙে গেছে। চোখটা যদিও খুলতে ইচ্ছে করছে না। তোমরা আবার ভেবো না যেন, আমাদের সেমন্তী রোজ তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে পড়ে। অন্যদিনতো মা প্রায় জোর করে বিছানা থেকে তুলে, দাঁত মেজে, স্কুলের জামা পরিয়ে, খাইয়ে দেয়। চোখ খুলতে, খুলতে স্কুলের বাসে। তারপর অবশ্য মজাই আলাদা। কতকিছু যে গল্প করার থাকে, সে তোমরা বুঝবে না। কিন্তু আজ তো স্কুল নেই, ছুটি। তাই ঘুমটা তাড়াতাড়ি ভেঙে গেল। আচ্ছা, এবার কি করা যায়! চোখ বুজেই ভাবতে থাকে সেমন্তী। ... ...
কার্টিস রজার্স নামে এক অবসরপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী ও জন ওলসন নামে এক ট্রান্সপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার লেক ওয়ার্থ, ফ্লোরিডায় 2010 সালে জেডম্যাচ (ZedMatch) নামে একটা ডিএনএ প্রোফাইলিং কোম্পানি খোলেন। তাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল নতুন গবেষকদের জেনেটিক গবেষণায় সাহায্য করা এবং এতিম, দত্তক বা পরিত্যক্ত শিশুদের বাবা-মা অথবা আত্মীয়-স্বজনদের খুঁজে বের করতে সাহায্য করা। ... ...
কোথাও ঘুমের ভেতর / হঠাৎ কেঁদে উঠে শিশুটি / মাতৃত্বের নিরাপত্তা ওমে / আবার নিশ্চুপ হয়ে রাতের
কেউ কখনও পড়েছেন?
অঙ্ক আর অঙ্কনেতে চিরকালই আমি কাঁচা / তবু, নানা রঙের দিনের সাথে বর্ণান্ধের বাঁচা!