#কবিতাভো-কাট্টা উল্টে দিলাম ভাঙা হৃদয়,সময় গোলে যায়।কেবল ছোট্ট ডিঙি নেবো,যার আকাশ সমান পাল।
সাতসকালে উঁচকপালে চেঁচান – ‘অংকা, বংকা! / ডাক্তার ডাক, বুকে কেমন বাজছে টরেটংকা। / যত চাড্ডা, নাড্ডা, / খুঁড়ছে আমার গাড্ডা, / শেষকালে কি পান্তাভাতে জুটবে পোড়ালংকা’?
বর্ষা যাই যাই করছে। আকাশ, বাতাস প্রকৃতিতে অদ্ভুত এক আনন্দের ছোঁওয়া জাগে যেন এই সময়। নীল আকাশের বুকে ধবধবে সাদা মেঘ দলে দলে ইতিউতি ভেসে চলেছে, কাজের শেষে ছুটি পাওয়ার আনন্দে। ধূ ধূ সবুজ মাঠ, প্রান্তরের রূপ দেখে চোখ যেন ফেরানো যায় না। রাস্তার ধার ঘেঁষা জঙ্গলে এক এক গাছের এক একরকম সবুজ সাজ। গাছে গাছে রঙবেরঙের পাখি, প্রজাপতি, মৌমাছিদের তো ব্যস্ততার শেষ নেই যেন। ঘরের কাছ দিয়ে বয়ে যাওয়া শীর্ণ নদীটির শরীরেও লেগেছে যৌবনের পরশ। শিশির ভেজা সবুজ ঘাসে সকালের প্রথম লালচে হলদে রোদ্দুরে জড়োয়ার ঝিকিমিকি।প্রকৃতির রাজ্যে পালাবদলের সূচনা হয়েছে। এমন এক সকালে বেরিয়ে পড়লাম নীলপাহাড়ের সঙ্গে আলাপের ইচ্ছা নিয়ে – ঘরের জানলা দিয়ে এতদিন যাকে মুগ্ধ নয়নে চেয়ে দেখেছি।মনের ... ...
"জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে"। ছোট থেকেই এই কথাগুলো টেক্সটবুকে পড়ে আসছি বা লোকের মুখে শুনে আসছি কিন্তু কখনো কি আমরা কথাগুলো নিয়ে আলাদাভাবে কিছু ভেবেছি? একটা প্রশ্ন আসতেই পারে, যে কথা অমোঘ সত্যি, যে ঘটনাটা একদিন ঘটবেই, সেটা নিয়ে আলাদা করে ভাবার কি প্রয়োজন আছে? আমিও এটাই ভাবতাম যদি না অবনী স্যার এর সাথে শেষ দেখাটা হতো।অবনী স্যার আমাদের টাউনশিপেই থাকতেন। ছোট থেকেই আমি ওনাকে মাস্টারমশাই বলতাম যদিও উনি কোনও স্কুলের শিক্ষক ছিলেন না। আমি ওনার কাছে প্রাইভেট টিউশন পড়তাম। উনি ছিলেন পোস্টমাস্টার তাই অনেকেই ওনাকে মাস্টারমশাই বলতেন। যখন পোস্টঅফিসে যেতেন ধুতি-পাঞ্জাবি পরতেন, কাঁধে থাকতো একটা ঝোলানো ... ...
CD কি? যা DC নয়। তাহলে DC কি? যা AC নয়। তাহলে AC কি CD না CD নয়? এইটা নিয়ে সমস্যা আছে। উপপাদ্য, সম্পাদ্য ইত্যাদি হলে প্রতিপাদ্য বিষয় অন্য হত। কিন্তু কমপ্যাক্ট ডিস্ক সিডি হলে আজ থেকে আনুমানিক পঁচিশ বছর আগে কী ছিল আমার মনে, তা-ই স্বপনপুরের দূরগত অতীতের মতো ভেসে ওঠে। AC, DC কারেন্ট তখন শোনাই যেত, সেই নিয়ে তামাশাও ছিল নানা রকম। AB বললেই মনে পড়ে অনেক স্যার অ্যাটেনডেন্সের খাতায় অনুপস্থিত লিখতেন ওটা দিয়ে। অনেকে ডট দিতেন। আমি এখন ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্সে ভরসা করি। BA বললে যা যা মনে হয় তার বয়স তখনও আসেনি। BA করতে পরে যাদবপুরে আসব। ... ...
হঠাৎ করেই চাকরি বা ব্যবসার প্রয়োজনে পাশের বা দূরের শহরে গিয়ে দুই একটি রাত কাটানোর প্রয়োজন পড়ে অনেকেরই। আমার অনেকেই হুটহাট বেড়ানোর জন্য আশেপাশের শহরে দু-এক দিনের জন্য চলে যান। উভয় ক্ষেত্রেই রাত কাটানোর জন্য মাথার উপরে একটি ছাঁদ প্রয়োজন হয়।.চট করে একটি হোটেল বা বোর্ডিং রুম ভাড়া নিয়ে এই প্রয়োজন মিটিয়ে ফেলা সম্ভব। কিন্তু যখন টোকিও বা অন্য কোন মেট্রোপলিটন শহরে এই প্রয়োজন মেটানোর প্রয়োজন হয় তখন অবশ্যই মানিব্যাগের স্বাস্থ্যের দিকে তাকানোর প্রয়োজন পড়ে।.এসব শহরে একটি হোটেল রুমের এক রাতের যে খরচা তা মেটানো অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয়না। এই সমস্যা মেটাতে এসেছে নতুন ধারণা -- ক্যাপসুলে হোটেল বা পড ... ...
তোমাকেই ডাকি-হে প্রাণসখা, এই দুঃসময়ে, / দিন দিন সংখ্যা বাড়ে, যেন মহাজনী খাতায় / অক্ষর লেখা। মানুষ সংখ্যামাত্র।
এ শুধু শরীর নয় ঈশ্বরের বাসা / নক্ষত্র-আলো ধোয়া অলীক কুয়াশা / সাহসী সুধার ধারা ঊরুসন্ধিতে / মৃত্যুর হাতছানি ধ্রুপদী গণিতে।
বিপুল আয়তন আমাদের এই পৃথিবীর। মানুষের লোভের কারণে সম্পদ যেখানে ঘনীভূত হয়েছে সেই বড় বড় শহরগুলিতে জনসংখ্যার প্রাচুর্য থাকলেও বাকি পৃথিবী রয়েছে এখনও যথেষ্ট ফাঁকা। উদাহরণস্বরূপ প্রথমেই মরুভূমি গুলির কথা বলা যায়।.কঠোর পরিবেশের কারণে স্থানীয় কিছু লোক ছাড়া কেউ মরুভূমিতে গিয়ে টিকতে পারেনা। অনেকদিন ধরেই বিজ্ঞানীরা ভেবে আসছেন এই মরুভূমিকে কিভাবে কাজে লাগানো যায়। অবশেষে বিজ্ঞানীরা এর একটা উত্তর খুঁজে পেয়েছেন - সৌরশক্তি।.সারা বিশ্বের মানুষ এক বছরে যে পরিমাণ সৌরশক্তি পায় পৃথিবীর সমস্ত মরুভূমি মাত্র ছয় ঘন্টায় তার থেকে বেশি সৌর শক্তি পায়। এই সৌর শক্তিকে কাজে লাগিয়ে যদি সাহারা মরুভূমির মাত্র ১.২ শতাংশ সোলার প্যানেল বসানো যায় তাহলে পুরো ... ...
বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে মানুষ তার দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিচালনার জন্য দিন দিন অসংখ্য যন্ত্রপাতির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। আধুনিক যুগের মানুষ দৈহিক পরিশ্রম পছন্দ না করায় এবং একাকী থাকার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব যন্ত্রপাতির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।.বর্তমানে আরেকটি প্রবণতা দিন দিন খুবই বৃদ্ধি পাচ্ছে সেটা হচ্ছে মানুষের দৈনন্দিন কাজে সহায়তার জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (A.I.) চালিত যন্ত্রপাতির ব্যবহার। এ নিয়ে বিতর্কও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে যে এ সমস্ত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত যন্ত্রপাতি বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য পুরোপুরি নিরাপদ কিনা? ... ...
মহীনের আশায় আশায় - সৈকত বন্দ্যো ভার্সন। এটা এখানে মায়ের কাছে মাসির গল্প শোনালেও লিখতে হচ্ছে। অনেক শ্রুতিকথা মাথায় এলো। যেখানে সাক্ষী শুধু সুরকালা দুটি কান। বিশেষ করে মনে পড়ছে বাঁকাশ্যাম দাসের গানের কথা, যিনি গ্রাম থেকে শ্রীনিকেতনে আসতেন প্রতি বূধবার, বাবাদের আত্মীয়সম সহকর্মী শ্যামাপ্রসন্ন সেনকর্মকার মশাই গানের ব্যাপারে শেষকথা ছিলেন, শচীনকর্তার ভক্ত ছিলেন, তবু তিনি বাঁকাশ্যামকাকু এলে গানে আপত্তি করতেননা, নিজে বাউল খুব পছন্দ করতেননা, আসলে নিজে বাউন্ডুলে হলেও হিপি ঝোঁক মোটে সইতে পারতেননা। একচিলতে কোয়ার্টারে র বারান্দায় একবার বাঁকা শ্যামের গান রেখর্ড করেছিলেন জাপানি গবেষক ইয়োকো হায়াসি, যিনি নাম জিজ্ঞেস করলে বলতেন, ওনার নাম ইয়োকো মানে সাগরিকা। ... ...
কৃষি অর্থনীতির হাত ধরেই গ্রামীণ বাংলার ঘরে ঘরে কোজাগরী পূর্ণিমায় আবাহন হত মা লক্ষ্মীর গৌতম চক্রবর্তী সেই চাঁদ এখনো ওঠে। সেই পূর্ণিমা এখনো ভাসে। আকাশ বাতাস ভাসিয়ে পূর্ণিমার জোয়ারে দশদিক আজও ম্লান হয়ে যায়। শুধু তেমনভাবে শোনা যায় না সেই শাঁখের ধ্বনি আর মা কাকিমাদের উলু দেওয়া। হারিয়ে গেল সেই সময়কার ঘিয়ের প্রদীপ, তিলের নাড়ু, ফুলুরি, সন্দেশ, চিড়ে নারকেল, আখ। বাংলার ঘরে ঘরে সেই লক্ষ্মীপুজোর রাত ছিল অনেকটা রূপকথায় পড়া রাতের মত। ... ...
মেয়েটির নাম লক্ষ্মী, এসে বসেছে সে পদ্মে, হাতেতে অভয় মুদ্রা, জমি ভরে আছে ধান্যে, মাথায় স্বর্ণউষ্ণীষ, গায়ে সজ্জিত অলংকার, কী অপরূপা তিনি চোখদাহ্য, তাঁকে আবাহনে ঘরে আনবো।
সিপিএম রাজ্যে শূন্য হবার পর থেকেই দেখা যাচ্ছে তার অবস্থান সম্পর্কে মানুষের ঔৎসুক্যের আর কোনো অভাব নেই। বলা বাহুল্য গোটাটাই পার্টি বিরোধী প্রচার ও শ্লেষাত্মক। তাতে অসুবিধা নেই। তবে সিপিএম সমর্থক রা যাতে নিজেদের মেটেরিয়াল ক্যাটালোগিং করতে পারেন তার একটা ব্যবস্থা বাংলার নতুন সামাজিক মাধ্যমে হল।
মেলায় ঘুরছিলাম দুই জনে ওর চোখে পরতেই ও গেলো দোকান দার কাছে।কাঁঠির মাথায় লাগানো সে পুতুলটা কি অপরিসীম দক্ষতায় হাত পা নেড়ে তলোয়ার চালাচ্ছিলো। পুতুলওয়ালাকে কাছে ডাকতেই সে চিৎকার করে বললো, এ আমার তালপাতার সেপাই। ওর নাম নিধিরাম সর্দার!! আমি তো আবারও মুগ্ধ!!! মনে পড়ে গেলো সেই ছড়া, ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার। তার পাতার সেপাই এর ঢাল ছিলোনা বটে তবে তলোয়ার ছিলো দুই হাতে দুইটা। পুতুলওয়ালা একটু নাড়া দিতেই বাতাসের বেগে সাই সাই করে তলোয়ার চালাচ্ছিলো সে। ... ...