ধর্ম যদি মাথায় থাকে, মানুষ হবার ইচ্ছে পালায় পেছন দুয়ার দিয়ে। দুনিয়া আর আখেরাতের টানাপোড়েনের জের ধরে কপাল কালো করার প্রতিযোগিতা না করে চোখ মেলে আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে একে অপরকে ভালোবেসে একজন মানুষ অপর মানুষকে বুকে জড়িয়ে ধরলেই অনুভব করবেন তার হৃদয় স্পন্দন!
দুর্গাপুজো নিয়ে কিছু লিখিনি। ইপ্সিতা যথারীতি অনুরোধ পাঠিয়েছিল, তবুও লিখিনি। সময় পাইনি বা অন্য অজুহাত দেবার কথা ওঠে না - লিখতে স্রেফ ইচ্ছেটাই হয়নি। দুর্গাপুজোর ক'টা দিন নিজেকে নিরন্তর বিচ্ছিন্ন মনে হতে থাকে। লিখিনি, কারণ এখন আর পুজো বিষয়ে আমার কোনো অবস্থান নেই - পক্ষে বা বিপক্ষে। দুর্গাপুজো আমার পুজো নয়, আমার উৎসবও নয়। বাঙালির "শ্রেষ্ঠ" উৎসবও নয়, সে নিয়ে আর তর্কে যাবার অর্থ দেখি না - তবে এটা একটা কার্নিভালের মত। তার বিরোধিতা করাটাও এখন সময় নষ্ট মনে হয় - যখন আমার পিতার লাশের বুকের ওপর উঠে রাষ্ট্র নৃত্য করছে, আমার ভাইয়ের শরীরের ওপর দিয়ে চলে যাচ্ছে ক্ষমতাসীনের কনভয়, ... ...
কুমিল্লার ঘটনায় এবং তার পর বাংলাদেশে পুজোর সময় বহু মন্ডপ আক্রান্ত। সবাই জানেন। যেটা জানা নেই, সেটা হল, হিন্দু 'ভির'রা কী করছেন? নিন্দায় ফেটে পড়েছেন? মিছিল-টিছিল করেছেন? বাংলাদেশ দূতাবাসে ডেপুটেশন দিয়েছেন? নিদেনপক্ষে নিন্দে করে একটা বিবৃতি? ছাপ্পান্ন ইঞ্চি কি একটা চিঠিও লিখেছেন? নাঃ। বালাই ষাট। বরং উল্টোটা। তথাগত রায় বলেছেন, বাংলাদেশে হিন্দুরা ভালো আছেন। সে হয়তো হাসিনার আমলে হিন্দুরা সব মিলিয়ে ভালই আছেন, কিন্তু কুমিল্লার ঘটনার পর, নিন্দা নেই, হুঙ্কার নেই, স্রেফ মিনমিন করে বলা, হিন্দুরা তো ভালই আছেন। ভাবতে পারছেন? এই নাকি হিন্দু 'ভির'? ওদিকে বাংলার মুসলমানের মুক্তিসূর্য আব্বাস কী বলেছেন? হেবি হুঙ্কার ঝেড়েছেন। হনুমানের পায়ের কাছে কোরান? হালুম। যা ... ...
তেরোশো শতকের দিকে স্প্যানিশ নৌবাণিজ্য ফুলে-ফেঁপে ওঠে। ব্রিটিশরা তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারছিল না। স্পেনের সাথে সরাসরি সংঘর্ষে না দিয়ে আড়াল থেকে স্প্যানিশ বাণিজ্য জাহাজগুলি ধ্বংস করার একটা কুবুদ্ধি খুঁজে বের করল।. ব্রিটিশ রানীর গোপনে জলদস্যুদের অস্ত্র, অর্থ এবং লজিস্টিক সাপোর্ট দিতে শুরু করে। তারা মূল্যবান কার্গো লুটে নিয়ে স্প্যানিশ বাণিজ্য জাহাজগুলোকে সমুদ্রে ডুবিয়ে দিত। ... ...
সম্প্রতি সোস্যাল মিডিয়া তে বেশ কিছু মানুষের যে কথাটা ভাবিয়ে তোলে তা হল আমরা কি এই রাজ্যে বসেই বাংলা ভাষার অন্তর্জলি যাত্রা নির্বিকার ভাবে দেখে চলেছি? সম্প্রতি রাজ্য সরকারি বিভিন্ন পরীক্ষায় এবং রাজ্য সরকারি চাকরিতে এক বর্ন বাংলা না জেনেও পরীক্ষায় বসা যাচ্ছে বা চাকরি পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদে, পুলিশের চাকরির পরীক্ষায়। রাজ্য সরকারি দফতর গুলি সাধারণত গ্রামে গঞ্জের অফিস গুলিতে একটুও হিন্দি বা ইংরেজি না জানা, অক্ষরজ্ঞান না জানা, শুধুমাত্র বাংলা বলা মানুষকে পরিষেবা দেয়। পুলিশের ক্ষেত্রে তো এই যোগাযোগ আরো গভীর। ... ...
ঝর্ণা উজাড় করে নদীর হৃদয় ভ'রে / নদী ধায় সাগরের পানে, / স্বর্গীয় সমীরণ লীলা করে চিরতরে / সুমধুর আবেগের সনে!
টেলিফোনটা বসার ঘরে বাজছে। মোবাইল থাকলেও সুপ্রভা ল্যান্ডলাইনটা রেখে দিয়েছে। সুবিমল এনেছিল এই টেলিফোনটা। সুপ্রভা রান্নাঘরে চায়ের জল চাপিয়েছিলেন সবে। মালতি দুদিন হল বাড়ি গেছে। মালতি যেতে চায় নি। সুপ্রভা নিজেই মালতিকে জোর করে ছুটি দিয়েছে। দুটো দিন সুপ্রভা নিজেই চালিয়ে নিতে পারবে। যদিও হাঁটুর সমস্যার জন্য সুপ্রভার হাঁটা চলার কষ্ট হয়। তবু এইটুকু ফ্ল্যাটের মধ্যে কি আর এমন কষ্ট। জোর না করলে মালতি যেতই না। টেলিফোনটা জোর বাজছে। এত সকালে কে ফোন করল? ... ...
বাদ দিন দিকি…বাদ দিন ... চুপচাপ মাথা ঝুঁকিয়ে প্রনাম টা সেরে ফেলুন… #যারা রোজ বাঁকা চোখে দেখে আপনার ভবিষ্যৎ নিয়ে হেব্বি চিন্তায় ছিলেন...আর এখন আপনার ভবিষ্যৎ দেখতে পেয়ে চোখ বাঁকিয়ে নিয়েছেন ... টুক করে মাথা নামিয়ে তাদের প্রনাম টা করে ফেলুন... #আপনার ঠোঁটের কালো ছোপ দেখে যারা শুধু ধোঁয়ার দোষ দেখে গেল, মনের ভূমিকম্প দেখতে পায়নি, যারা আপনার চোদ্দগুষ্টির সব্বাই কে চিনলেও আপনার মতন বখাটে আর কাউকে বাপের জন্মে দেখেননি, টুক করে মাথা নামিয়ে তাদের প্রনাম টা করে ফেলুন... #যারা সারাজীবন ধরে অমুকের ছেলের চাকরির বেতন,আর তমুকের মেয়ের ইঞ্জিনিয়ার বরের খবর কিম্বা দূরসম্পর্কের মাসতুতো বোনের ভাইয়ের IIT এর রাঙ্ক জানলেও আপনার অঙ্কের নাম্বার জানার প্রয়োজন বোধ ... ...
ক্ষুদ্র জীবন টুকরো কথা - ১ তখন আমি নাদান। তখন আমি নাদান। ২০০৪ সাল। সবে হাঁটা শুরু করেছি লেখালেখির জগতে। গোবরডাঙ্গার ছোটগল্পের কাগজ 'সাগ্নিক' তাদের ১৪১১-র বার্ষিক সংখ্যাটি করেছিল 'পশ্চিমবঙ্গের মুসলমান সমাজ ও জীবনের গল্প ' --- এই বিষয়টি নিয়ে। আমরা চারিদিকে যেমন দিশাহীন ও অগোছালোভাবে নানা পত্রিকা প্রকাশ করতে দেখি সেরকমভাবে কিন্তু করা নয় এই সংখ্যাটি। অত্যন্ত যত্ন নিয়ে কাজটি করা হয়েছিল। ... ...
#স্বরোচিত -- ভ্রমন কাহিনী " আমার দেখতে চাওয়া " -- বইয়ের লেখা থেকে একটি গল্পঃ #ছোটগল্পঃ " জীবনের জন্য হাঁটা " © প্রদীপ দে।::::::::::::::::::::::::::::::::::::মাঠে বসে আছি। বেংগালুরুর বিটিএম মহানগর উদ্যান।চারিপাশ রেলিং দিয়ে ঘেরা। তার পাশ দিয়ে টালি বাঁধানো রাস্তা। সবাই হাঁটছে। চারপাক মারছে বারবার। আমি বসে দেখছি এক একজন সামনে দিয়ে কতবার যে যাচ্ছে, সবাইকেই চেনা হয়ে যাচ্ছে।দুইজন মহিলা বন্ধু পরস্পর গল্প করতে করতে বার কয়েক পার হয়ে গেল। খুব হাসি সঙ্গে গল্প।ভাষা বুঝতে না পারলেও ওদের আনন্দ অনুভব করতে অসুবিধা হল না।কিছুক্ষণের পর দুই জনের পিছনে এবার এক যুবককে যেতে আসতে দেখলাম। অনেকেই যাচ্ছে আসছে কিছু ... ...
১. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে৷ আইন্সটাইন তখন আমেরিকায় আত্মগোপনে। মাঝমধ্যে হাওয়া খেতে সন্ধ্যে নামার আগে বের হন। একদিন হাওয়া খাওয়ার পরিমাণ বেশি হওয়ায় বাড়ি ফেরার রাস্তা গুলিয়ে ফেললেন। একে তো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, তার উপর শত্রুদের চোখ রাঙানিতে আমেরিকা এসে আত্মগোপনে আছেন। কে কখন দেখে ফেলবে তার ঠিক নেই। আইনস্টাইন পড়লেন মহাবিপদে৷ ফোন করলেন প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পরিচালক বন্ধুকে। তবে ভালো খবর এই যে, বন্ধুর সহযোগিতায় সেদিনের মত বাড়ি ফিরতে পেরেছিলেন৷ গতবছরের কথা। আইনস্টাইনের হারিয়ে যাওয়ার ঘটনাটা টুকলি করে বিজ্ঞানপ্রিয় পরিবারে ঠুকে দিলাম। ... ...
শুধু ভক্তি থাকলেই হবে না, ইউনিক ড্রেস কম্বিনেশনে পোঁদ দোলাতে দোলাতে র্যাম্প ওয়াক করে রাস্তার ওপর দিয়ে না হাঁটলে দেবীর কৃপা লাভ হয় না।
কিন্তু আমার তো ঢাকই নেই।
ঢাকার বুকে যেসব মুঘল স্থাপনা ইতস্তত বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তার মধ্যে আজো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে পুরনো ঢাকার ঐতিহাসিক লালবাগ কেল্লা। প্রতিদিন দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখর থাকে ঐতিহাসিক এ এলাকা। কিন্তু আমরা কজন জানি এর পেছনের রক্তাক্ত ইতিহাস৷ এই কেল্লার উদ্যানে, গোলপুকুরে স্বাধীনচেতা বাঙালি সৈন্যদের রক্তে আর্দ্র হয়েছে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে৷ আজ সেই ইতিহাসই জানাব৷ তবে তার আগে কেল্লার নির্মাণ ইতিহাসের বর্ণনা দেয়া যাক। ... ...
দুটো ঘটনাকে পাশাপাশি রাখব আমরা। গত বছরের কথা। সুশান্ত সিংহ রাজপুত ‘আত্মঘাতী’ হলেন৷ আমরা যারা সুশান্তের নামটুকুই জানতাম কেবল, এ বার বিস্ময়াবনত হয়ে চেয়ে দেখলাম, পাড়ায় পাড়ায় গজিয়ে গেল সুশান্ত ন্যায়মঞ্চ, সুশান্ত স্মৃতিসংঘ৷ ‘খুনে'র বিচার চেয়ে পদযাত্রা হল, এমন কী কলকাতারও বেশ কিছু মহল্লায়, পল্লিতে। কালীঘাট মন্দিরে চড়ল পুজো৷ প্রতি রাতে অর্ণব গোস্বামী তারসপ্তকে চ্যাঁচামেচি করতে থাকলেন, গোটা একটা জাতি দু’-তিন মাস ধরে তারিয়ে তারিয়ে খেল সে সব। খুব কম শব্দ খরচ করলে, স্রেফ অপ্রমাণিত সন্দেহের ভিত্তিতে সুশান্তকে নিয়ে যে অদৃষ্টপূর্ব তোলপাড় উঠেছিল ভারতীয় জনসমাজে, তা যে কোনও মহাতারকার কাছেই ঈর্ষণীয় বেঞ্চমার্ক। চলে আসি ২০২১-এর সেপ্টেম্বর, অক্টোবরে৷ গাঁজা-চালানের গুরুতর অভিযোগে ... ...
একটি ক্ষুদ্রতম স্নায়ুর সংযুক্তিও / সবুজ রেখা এঁকে দেয় গাছেদের মৃতপ্রায় দেহে।
ইহলোকের অস্তিত্ব সমুদ্রের নুন জলে ফেলে এসেছি / মহাকাশের আলো-অন্ধকারের অনস্তিত্বে ভাসতে ভাসতে
একটানা কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির পরে মেঘমুক্ত নীল আকাশে আজ সূর্যদেব স্বমহিমায় বিরাজ করছেন। রোদ্দুরের দেখা পেয়ে প্রকৃতিতে কেমন একটা ব্যস্ততার ভাব। গাছেদের পরণে ঝকঝকে নতুন পোশাক। বুলবুলি, পাপিয়া, কুব, কোকিল, হলুদ বসন্তবৌড়ী ছাড়াও অচেনা পাখিদের প্রাত্যহিক আনাগোনা আমার ঘরের প্রায় লাগোয়া জঙ্গলে। বেশ কয়েকদিন পরে আজ তাদের কর্মব্যস্ত দিনের শুরু হল। প্রজাপতিরা তাদের রঙবেরঙের ডানায় রোদ্দুর লাগিয়ে এ গাছ থেকে সে গাছে উড়ে বেড়াচ্ছে। ... ...
“অধিবাসের কুলো মাথায় আমাদের পুত্রবধূ নেহা-র প্রবেশ যখন মন্দিরে দেবীর আমন্ত্রণের জন্য পূজারীর দ্বারা, উপলব্ধি করতে পারছিলাম - আমার দাদুভাই, ঠাম্মা, বাবা, মা, কাকুমণির আশীর্বাদ ঝরে পড়ছে ওনাদের বংশের নববধূর উপর অকাতরে।“ - লিখছেন সুপ্রিয় দেবরায়