চাঁদ জানে, মরে যেতে হয় ফজরের আজানে।
বিষণ্ণ বিবিক্ত রাত্রির দীর্ঘশ্বাসের / মত গভীর বেদনার আর্তি / আর ক্লান্তিবোধ আমাকে নতুন করে / নতুন ভোরের প্রত্যাশী করে দেয়।
ঐঐ
বীরসিংহের সিংহপুরুষ জন্মেছিলেন "এঁড়ে বাছুর" পরিচয়ে। জন্মলগ্নে পিতামহ রামজয় তর্কভুষণ কর্তৃক প্রদত্ত এমন বদ-খেতাব যতই হাস্যোচ্ছলের হোক, বিদ্যাসাগর পিতামহের সে আখ্যার বরখেলাপ করেননি কখনও। এঁড়ে বাছুরের জিদ আর একগুঁয়েমি তাঁর মধ্যে ছিল। "বাঙালির বিষ সাপের বিষ না" এবং ওঝার আজ্ঞা যে ম্যাজিস্ট্রেটের আজ্ঞা নয় যে হুকুম মাত্র নেমে যাবে বলে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় যে কটাক্ষ করেছেন তাঁর প্রতিবাদ বুঝি বিদ্যাসাগরের ব্যক্তিত্ব দিয়ে করা যায়। সেজন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, বিশ্বকর্মা চার কোটি বাঙালি তৈরি করতে করতে মাঝে মাঝে দুই একজন মানুষ তৈরি করে ফেলেছেন। বিদ্যাসাগরই তার একজন। কেননা, তিনি বেসিক পার্সোনালিটি নিয়ে জন্মাননি। মনোবিজ্ঞানীদের ধারণা সমাজের মানুষ সমাজের সবকিছু মেনে নিতে শেখে। ... ...
গিরগিটির মতো রং বদল করবো ... / এটা আমার অধিকার... / রং বদল করতে করতে / যখন তোমাদের হাতে
ডেমী মুর (স্ত্রী), উডি হারেলসন (স্বামী) ও রবার্ট রেডফোর্ড (কোটিপতি) অভিনীত একটা বিখ্যাত হলিউডি মুভি "ইনডিসেন্ট প্রপোজাল" (১৯৯৩) । ডেমি ও উডি পরস্পরকে হাই স্কুল থেকে গভীর ভাবে ভালবাসে। পড়াশোনা শেষে তাদের গভীর ভালোবাসাকে সামাজিক বন্ধনে বেঁধে নেয়।.উডি পেশায় আর্কিটেক্ট। আর দশটা শহরের মতো নবদম্পতির জীবন শুরু হয় আর্থিক সংকটের ভেতর দিয়ে। স্বামীকে সাহায্য করার জন্য ডেমি রিয়েল এস্টেট ব্রোকারের কাজ শুরু করে। এই কাজ করতে গিয়ে ডেমি প্যাসিফিক কোষ্টের সান্তা মনিকা বিচে নিজেদের স্বপ্নের বাড়ি তৈরি করার একটা চমৎকার প্লট খুঁজে পায়। .তাদের যৌথ স্বপ্নকে প্রতিষ্ঠিত করতে দুজনেই উদয়াস্ত পরিশ্রম করতে থাকে। ... ...
আজ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণদিন। তাঁর এই বছরের জন্মদিনে একটি লেখা লিখেছিলাম। সেটিই আবার শেয়ার করলাম।
২৬শে সেপ্টেম্বর। দিনটা শিক্ষক দিবস নয়। বিদ্যাসাগরের জন্মদিন। সেই উপলক্ষে এই দিনটা কোন দিবস হিসাবে মর্যাদা পায়নি আজও! সেই সময় শুধুমাত্র ব্রাহ্মণ বৈদ্যরাই সংস্কৃত কলেজে পড়ার সুযোগ পেতেন। সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর বিদ্যাসাগর অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার সাধন করেছিলেন। তিনি সেকেলে রীতিনীতি পাল্টে দিয়ে নতুন রীতিনীতির সূচনা করেছিলেন। সর্বসাধারণের জন্য সংস্কৃত কলেজে অধ্যয়নের সুযোগ তিনিই করে দেন। ইতিহাসের পাতা যতই অদলবদল হোক না কেন আজ পর্যন্ত কোনো সন্ন্যাসী শুধু বাংলার কেন সমগ্র ভারতবর্ষ উপমহাদেশ বা সমগ্র পৃথিবীর কোত্থাও কোনো নবজাগরণের ছিটেফোঁটাও আনতে পারেননি। যে ঈশ্বর এনেছিলেন তাঁর পুজো আমরা করি না। আমরা অলৌকিকের পিছনে দৌড়ে নিজেকে বাস্তববাদী প্রমান করার চালাকি ... ...
মাথার মধ্যে আর বাকি সমস্ত প্রসঙ্গের একটা অপঘাতে যেন মৃত্যু ঘটেছে। একজন গুলি খাওয়া লোককে লাথি মারছেন একজন ফোটোগ্রাফার বা সাংবাদিক। এই ছবিটা আমাদের দেশের কেউ যেন কখনও না ভোলেন। মনে রাখবেন অত্যাচারীরা, অপরাধীরা কিছু ভোলে না, এই সব মুহুর্তই তাদের ট্রোফি, দেশ, সমাজ, সময় দখলের টুর্নামেন্ট জেতা কাপ।
দুই বাংলার লেখকরা হুমায়ুন আহমেদের কলমে
বইমেলার তারিখ ঘোষণা হল দেখলাম। কলকাতা ছাড়া অন্য কোথাও বইমেলা হলে এখন আর যেতে ইচ্ছে হয় না। সামনাসামনি যে সব বইমেলাগুলো হয় তাদের স্টক খুব কম। বাজার চলতি 'হিট' বই ছাড়া অন্য কিছু পাওয়া খুব দুষ্কর হয়। তেমনই কোন এক বইমেলার অভিজ্ঞতা রইলো। গেরামের বইমেলা।
ফুলশয্যার পরের দিন সকালেই শ্বাশুড়িমা গম্ভীর মুখে বলে দিয়েছিলেন, এত বেলা অব্দি দরজা আটকে নির্লজ্জের মতো শুয়ে থেকো না রোজ। আমি আর তোমার শ্বশুরমশাই সাড়ে পাঁচটায় মর্ণিং ওয়াকে বেরোই। কাল থেকে তার আগে উঠে আমাদের রোজ চা বানিয়ে দেওয়া তোমার কাজ, খেয়াল রেখো,আর যেন দ্বিতীয়বার বলতে না হয়, এক কথা বারবার বলা আমার পছন্দ নয়। ... ...
এক শহরের গপ্পো
ক্লান্ত লাগে। ভিডিওটা খুলেছিলাম অনবধানে। আর পাঁচটা যেমন খুলি। খুলে দেখলাম পুলিশ কাদের যেন গুলি করতে করতে তেড়ে যাচ্ছে। একটা লোক হাত তুলে দৌড়ে এল। মারধোর করতে নয়, আত্মসমর্পণের ভঙ্গীতে। পুলিশ তার দিকেও তেড়ে গেল। পুলিশের যা স্বভাব। তারপর লাঠি দিয়ে ধড়াদ্ধম পিটুনি। সঙ্গে কয়েকটা গুলির শব্দ। গুলিটা কোথায় লাগল ঠিক বুঝতে পারিনি। পয়েন্ট ব্ল্যাংকে ওইভাবে কাউকে গুলি করে নাকি? লোকটা পড়ে আছে দেখা গেল। ভাবলাম, এমন করে মারল, যে অজ্ঞান হয়ে গেল? তারপর দেখলাম, ক্যামেরা হাতে একজন, পুলিশের ফটোগ্রাফারই হবে, দৌড়ে গেল পড়ে থাকা শরীরের দিকে। তারপর শরীরের উপরে উঠে জান্তব উল্লাসে নাচ। দেখে আঁতকে উঠে ভাবলাম, মরে যাবে ... ...
কবি নজরুল বাকরুদ্ধ ও জীবন্মৃত হয়ে যাওয়ার প্রায় ৬ বছর পর, তার বন্ধু কবি খান মুহম্মদ মঈনুদ্দিন তার হাতে কলম তুলে দেন একদিন। কবির পক্ষে কিছু লেখা তখন অসম্ভব। তবু তিনি লিখতে পেরেছিলেন চার লাইন অস্পষ্ট অক্ষরে। তিনি লিখেছিলেনঃ “কবি কাজী নজরুল ইসলাম কবে চিরবুলবুলকে গান গান শেখাব - গান শেখাবগান করার কবিতা গান করব - কবি কাজী নজরুল ইসলাম চিরদিন” চার লাইনের বেশি তিনি লিখতে পারেন নি। ... ...
প্রাগৈতিহাসিক জীব দেখা দিল আসামে / মানবিকতা মর্গেতে শুয়ে আছে আরামে!
১৯৫৪ সালের আগে পর্যন্ত আমেরিকার অনেক স্টেটে আইনই ছিলো এমন যে, ওখানে শ্বেতাঙ্গ আর কৃষ্ণাঙ্গরা এক স্কুলে পড়তে পারবে না। সেই আইন বদলে যাওয়ার পর কিছু কিছু শ্বেতাঙ্গদের স্কুল আফ্রিকান আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গদেরকে ভর্তি করানোর চেষ্টা করে।
বাবা: বুঝলি, পৃথিবীটা বোধ হয় গোল না। ছেলে: সেকি? তোমার মাথার গোলযোগ হলো না তো?