বাঙালী প্রসিদ্ধ কাঁকড়ার জাত নামে।পিঁপড়েও যে হতে পারেবুঝিনি কিন্তু আগে,অদম্য অধ্যবসায়ে রোজকার সারি বাঁধা,প্রতিদিন নাছোড় জোটবাঁধা টইটুম্বুর হৃদয়ে।ঝোড়ো বাতাসে ভেঙেচুরে না গিয়েসবেদন প্রতিবাদ জড়ো করামাথায় নিয়ে বাদল কিংবা রোদ নিশি কিংবা রাতে।একে কি গণজাগরণ বলে ?নাকি নবজাগরণ জেগে উঠল ...ছোট বড় উঁচু নীচু বহু লক্ষ মানুষে ভরা,ঘুমন্ত এই দেশে।প্রতিনিয়ত উত্তাল ঢেউ উঠছে অজগর উচ্ছ্বাসেকেঁপে উঠছে স্নায়ুকোষ।নিবেদিতপ্রাণ সৈনিকদলের মতোলক্ষ্যে অবিচলছেদ ভেদ নেই কোন।হয়ত ওরা স্বপ্নে দেখে এক ভিন রীতির দেশ।কেউ কাউকে বোঝাচ্ছে না কিছুনেতাদের ঘোরাল কেতায়,কারণ কিছু বাকি নেই বুঝতে যে আর কারও।চোখের তারায় কাঁপছে চাপা ক্ষোভশরীর বেয়ে গড়িয়ে আসছেঅগ্নিময় লাভা, বাঁধভাঙা এক স্রোত।এ এক অজানা কোন ছবি,এতে নেই কোন বঁড়শিতে চার ... ...
কানের কাছে ফিসফিসালো কে ... মোমবাতির ন্যাকামি ফেলে তলোয়ার ধর এবার নইলে পাবে না কিছু রাষ্ট্র তোমায় বানাচ্ছে বোকা, বোঝাচ্ছে যা তাই বুঝ না ঘাড় করে নীচু। রাজা রানীরা ভোলাচ্ছে তোমায় সাজিয়ে তদন্ত নামের ... ...
দিন পনের পরের কথা। কলতানের এক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের বন্ধুর মাধ্যমে অ্যসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করে শোভাবাজারের ডেথ সার্টিফিকেটের ব্যাপারটা ফয়সালা করা গেছে। হাওড়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এরকম মারাত্মক ভুল কাজ করার জন্য শো কজ করা হয়েছে হাওড়া পুলিশ থেকে। এক মনোময়ের ঠিকানা আর একজনের ডেথ সার্টিফিকেটে গেল কি করে? পুলিশ সুপার বললেন, ' ইটস এ গ্রস নেগলিজেন্স অফ ডিসচার্জিং ডিউটি অন দা পার্ট অফ ... ...
বিশ্বম্ভর বাবা আস্তে আস্তে শুয়ে পড়লেন। তার দুচোখ বুজে আসল। তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন। স্বর্ণালি জিমিকে খাট থেকে নামিয়ে আনল। কলতান বুঝতে পারল মহারাজ যে ইচ্ছে করেই দরজাগুলো বন্ধ করেননি। বিশ্বম্ভর ঘুমোতে লাগলেন। কলতানরা বাইরে বেরিয়ে এল। রাত একটা বাজল। ওরা রাত পোহাবার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল অফিসঘরের চেয়ারে জেগে বসে থেকে। জিমিরও বোধহয় ক্লান্তি আসছিল নানা বিচিত্র সব ব্যাপারের প্রতিঘাতের ... ...
মধ্যরাতে লক্ষ পায়ের স্রোত 'অর্ধ আকাশ' চিনে নিতে এল পথ রক্ত কণায় সাইক্লোন মারে ঝাপটা আবেগে অথির কাঁপছে জনপদ। পৌঁছে যাবই মোহনায় নিশ্চয় জাহাজ যেখানে বেঁধে রাখা ... ...
রাত্রে খিচুড়ি খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল আশ্রমে। কাকলি খাওয়াদাওয়া করে ঘরে ফিরে গেল। কলতান দাঁড়িয়ে রইল। কারণ, স্বর্ণালি খেতে আসবে জিমিকে কাকলির জিম্মায় দিয়ে। জিমিকে খাওয়ানো হয়েছে ঘরেই। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ কাকলিরা ঘুমিয়ে পড়ল দরজা ভেজিয়ে রেখে, বোধহয় প্রকৃতির ডাকে জিমির বাইরে যাবার সুযোগ রাখবার জন্য। ঠিক এগারোটার সময় কলতান নীচে নেমে গেল। গ্রামাঞ্চলে রাত ... ...
গেস্ট হাউসের দোতলায় দুটো ঘর খুলে দেওয়া হল। একটা কাকলি আর স্বর্ণালির জন্য এবং তার পাশেরটা কলতানের জন্য। জিমি থাকবে স্বর্ণালিদের সঙ্গে। ঘর দুটোর আকার বেশ বড়। দুটো ঘরেরই একপাশে গ্রীলে ঘেরা বারান্দা আছে। জিমি বারান্দায় শুতে পারবে। কাকলিদের ঘরে ঢুকে কলতান বলল, ' ব্যাস... রাত কাটানোর ব্যবস্থা হয়ে গেল ... মনে রাখবেন বিশ্বম্ভরজি আছেন ওনার ওই অফিসঘরের লাগোয়া ... ...
মাঠের মধ্যে বটতলায় পৌঁছে বিশ্বম্ভর মহারাজ বললেন, ' ও হরি .... তাই তো ... এ তো দেখছি মনোময়েরই গাড়ি ... গাড়ি ফেলে কোথায় চলে গেল .... ওর স্বভাবটা অবশ্য এইরকমই, বাউন্ডুলে টাইপের ... ' ---- ' এখন তা'লে কোথায় খুঁজে পাব ওকে ? আপনি আমাদের কি করতে বলেন ? ' ---- ' সেটা তো আমার পক্ষে বলা মুশ্কিল.... আপনারা পুলিশের ... ...
গেটের সামনে ফিরে এসে কলতান গাড়িটা দেখতে পাওয়ার কথা জানাল কাকলিদের। মা আর মেয়ে বিস্ময়ে স্পৃষ্ট হয়ে তাকিয়ে রইল কলতানের মুখের দিকে। কলতান বলল, ' ব্যাপারটা সত্যি ... ওটা আপনাদেরই গাড়ি ...' কাকলির মুখ থেকে একটাই শব্দ বেরল ---- ' সত্যি ! ' ---- ' হ্যা ... সত্যি ... জিমি খুঁজে বার করেছে ... পুরোটাই ওর ... ...
গরম থাকলেও কোন কষ্ট হচ্ছে না। চলন্ত গাড়ির জানলা দিয়ে ঝিরঝির করে মেঠো হাওয়া আসছে। মাঝে মাঝে উড়ো বাতাসে কে যেন জলের পরশ বুলিয়ে দিচ্ছে। হাওয়ায় মাঝে মাঝে ভিজে ঝলক। জিমি জানলা দিয়ে মাঠ ঘাট দেখতে দেখতে চলেছে। দুপাশে সবুজ প্রান্তর। গাড়ি বর্ধমান পেরিয়ে বীরভূমে ঢুকে পড়ল। মা তারা কোম্পানির এই মারুতি ভ্যানের ড্রাইভার প্রদীপ দাশ বেশ তুখোড় ছেলে। এদিককার রাস্তাঘাট খুব ... ...