এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • জনৈক প্রবাসীর অনধিকার চর্চার কৈয়ফত

    bip
    অন্যান্য | ০২ জুন ২০১৫ | ২০৪৯২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • bip | 79.138.209.156 | ০২ জুন ২০১৫ ১১:৫৩678969
  • রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক -ফেসবুকে লেখাটাই আজকাল আপদ । মৌমাছির ঝাঁক ধেয়ে আসে হুল নিয়ে। আমি প্রবাসী বাঙালী। তাদের বক্তব্য পশ্চিম বঙ্গ নিয়ে, ভারত নিয়ে এগুলো আমার অনধিকার চর্চা। দেশে না থাকলে দেশের রাজনীতি নিয়ে চর্চা করার অধিকার আমার নেই! ইগনোর করেছি বহুদিন। ইদানিং ব্যপারটা বিরক্তির পর্যায়ে লেবু কচলানো। লেবু কচলালে তিঁতোই হয়, তবুও গালাগাল কাদা ছোঁড়াছুড়ি থেকে একটা লম্বা কৈফয়ত নামানো বেটার মনে হল।

    অভিজিত রায় হত্যাকান্ডে আমি বাংলাদেশীদের রিয়াকশন দেখেছি। অধিকাংশ লোকের বক্তব্য ছিল-কেন অভিজিত রায় বাংলাদেশের উন্নতির জন্য কাজ না করে, আমেরিকা থেকে আস্তিকতা, নাস্তিকতা নিয়ে ক্যাঁচাল করেছে! অধিকাংশ বাংলাদেশীর মত ছিল, আমেরিকা থেকে অভিজিত রায়ের বাংলাদেশ চর্চা আসলেই অনাধিকার চর্চা! কি আর বলবো। যারা ওকে চিনতেন তারা বিলক্ষন জানেন ওর দেহটা ছিল আমেরিকাতে, মনটা সব সময় ছিল বাংলাদেশে। অভিজিতের হৃদয় মনের সবটাতেই ছিল বাংলাদেশ। প্রবাসী ভারতীয়, বাংলাদেশী-সবার দেহটাই শুধু বিদেশে। মন এবং হৃদয় সব সময় বাল্যের নন্দনকাননে!

    যারা প্রবাসী বাঙালীদের বিরুদ্ধে হুল ফোটাচ্ছেন, তাদের অধিকাংশই আর্থ সামাজিক ইস্যু গুলো নিয়ে গভীরে ভাবেন নি। বারবার এককথা লিখে যাতে লেবু কচলাতে না হয় -তাই নিজের দুসেন্ট লিখে ফেললাম ।

    (১) প্রথম গুরুত্বপূর্ন বিষয় দেশের ট্যাক্স পেয়ারের টাকায় পড়ে বিদেশে গিয়ে থেকে, ভারতের কি লাভ হল? এটা কি দেশের সাথে প্রতারণা করা হল না? ট্যাক্সটা ত পাচ্ছে আমেরিকা!

    --অবশ্যই যৌত্বিক প্রশ্ন। কিন্ত উলটো সাইডের আর্গুমেন্টটাও জানা উচিত। ভারতে আজকের শিক্ষিত তরুন তরুনীরা করে খাচ্ছে আই টি শিল্পের জন্য। ভারতে এই বিশাল আই টি শিল্পের ৬৫% ক্লায়েন্ট হচ্ছে আমেরিকা। আউটসোর্সিং শিল্পের ইতিহাস পড়লে দেখা যাবে, আমেরিকা প্রবাসী ভারতীয়রা আই টি শিল্পের উত্থানের মূল কান্ডারী।

    যদি ভারত থেকে ইনারা আমেরিকাতে না যেতেন-সেখানকার ব্যবসা এবং প্রযুক্তির স্কিল গুলি রপ্ত না করতেন- আজকে ভারতের আই টি শিল্প যেখানে, তার ৯০% ও তৈরী হত কিনা সন্দেহ আছে। কারন সেক্ষেত্রে আই টি আউটসোরসিং এর হাব হত ইস্টার্ন ইউরোপ, রাশিয়ান ফেডারেশন।

    এই গ্লোবালাইজেশনের যুগে, যেখানে গ্লোবালাইজেশন কাজে লাগিয়েই ভারতের অধিকাংশ নতুন উন্নত চাকরি তৈরী হচ্ছে সেখানে পৃথিবীর অন্য দেশে কাজ করতে যাওয়াটাই কাম্য। কারন সেটা না হলে সেই দেশের সার্ভিস ব্যবসা, ভারতে আসা মুশকিল আছে।

    (২) দ্বিতীয় প্রশ্ন ভারতের অর্থনীতিতে একজন প্রবাসী কি ভাবে অবদান রাখে?

    আমি যেহেতু ব্যবসায়ী এবং আমার ডেভেলেপমেন্ট সেন্টার এবং কর্মীদের অধিকাংশ ভারতেই ( মুষ্টিমেয় কিছু ইস্টার্ন ইউরোপে )-আমার ক্ষেত্রে উত্তরটা সরাসরি দেওয়া যায়। সেটা সমস্যা না। প্রশ্ন হচ্ছে বাকী প্রবাসীরা যারা ব্যবসা করে না-শুধু চাকরি করে-তারা কি ভারতের অর্থনীতিতে কিছু দিচ্ছে না?

    ভারতের অর্থনীতিতে প্রবাসী ভারতীয়দের অবদান, ভারতে থাকা ভারতীয়দের দ্বিগুনের কিছু বেশী। আমেরিকান ভারতীয়দের ক্ষেত্রে এটি দশগুন। এই তথ্যগুলো যাচাই করে দেখে নিন

    ২০১২-১৩ সালে ২২ মিলিয়ান প্রবাসী ভারতীয় পাঠিয়েছিল ৭২ বিলিয়ান ডলার। যা ভারতে আসা এফ ডি আই (৪৫ বিলিয়ান ঃ২০১২) এর থেকে অনেক বেশী। শুধু তাই না, এই টাকাটা ভারতের জিডিপির ৪%। অর্থাৎ ২% এন আর আই, ভারতের জিডিপির ৪% অবদান রাখে। যা গড়ে দ্বিগুনের বেশী।
    ৭২ বিলিয়ানের ৩০% ছিল উত্তর আমেরিকা থেকে ( ইউ এস, কানাডা)। এখানে থাকে তিন মিলিয়ান ভারতীয়। সুতরাং 0.3% ইন্ডিয়ান আমেরিকান , ভারতের জিডিপিতে শুধু রেমিটান্সের মাধ্যমে 4 % x0.3 =1.2% দিচ্ছে। অর্থাৎ শুধু রেমিটান্সের মাধ্যমেই একজন ইন্ডিয়ান আমেরিকান একজন ভারতবাসীর চেয়ে চার গুন বেশী অবদান রাখছে।
    এবার রেমিটান্স ছাড়াও ব্যবসার মাধ্যমে ভারতে টাকা আসছে প্রবাসীদের জন্য। ইনফ্যাক্ট এফ ডি আই এবং আউটসোর্সিং রেভিনিউএর একটা বড় অংশ প্রবাসী আমেরিকান ভারতীয়দের জন্যই আসে। সেটা ফ্যাক্টর ইন করলে, ভারতের অর্থনীতিতে প্রবাসী ইন্ডিয়ান আমেরিকানরা গড়ে একজন ভারতীয়র চেয়ে দশগুনের বেশী অবদান রাখছে।

    শুধু নাম্বার দিয়ে দেখলে, অবশ্য শর্ট সাইটেড হবে । আমেরিকার কোম্পানীগুলি সব সয় ভারতে নতুন নতুন ডেভেলেপমেন্ট সেন্টার খুলছে-এবং ভারতে খুলবে না ইস্টার্ন ইউরোপে খুলবে-এই সিদ্ধান্তগুলির পেছনে, ওইসব কোম্পানীর ভারতীয় কর্মীরা সব সময় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেন। আমি অবশ্যই চাইব, আমেরিকার অধিকাংশ বিজনেসে ভারতীয় কর্মী থাকুক-যাতে তারা যখন আউটসোর্সিং এর সিদ্ধান্ত নেবে তখন যাতে ভারত প্রাধান্য পায় তাদের জন্য।

    (৩) এর পরেও প্রশ্ন ওঠে। ব্যবসা করা ত নিজের মুনাফার জন্য। এটা কি ভারতের জন্য কিছু করা হল ??

    আমি সবিনয়ে নিবেদন করতে চাই, সৎ ভাবে মুনাফা অর্জনের মধ্যে হীনতা কিছু দেখি না। ছোটবেলা থেকে আমাদের সামনে যেসব চরিত্র মূলোর মতন ঝোলানো হত-নেতাজি, বিবেকানন্দ-এরা নিঃস্বার্থ ত্যাগের মূর্ত প্রতীক । এর থেকে বাঙালীদের মনে বধ্যমূল ধারনা যারা নিঃস্বার্থ ত্যাগী তারা মহান, যারা মুনাফার জন্য ব্যবসা করে-সবাই চোর ডাকাত ধান্দাবাজদের দলে। এর মূল কারন ভারতের ব্যবসায়ী শ্রেনীটী বেসিক্যালি ওই টাইপের। এই জন্য বিবেকানন্দ আমেরিকাতে এসে বলেছিলেন, আমেরিকাতে ব্যবসায়ীরা সন্মানের দিক দিয়ে প্রথম সারিতে-কারন তারা দেশ গড়ার কারিগর। আর ভারতে ব্যবসায়ী বলতে লোকে মূলত চোর ছ্যাঁচড়দের বোঝে।

    যারা নিঃস্বার্থ ত্যাগীদের প্রথম সারিতে রাখবেন--তাদের নিয়ে আমার আপত্তি নেই। শ্রদ্ধাই আছে। তবে আমরা নশ্বর মানুষ। অর্থনীতি নিঃস্বার্থ ত্যাগে চলে না। তা চলে মুনাফার তেলে। মুনাফার ভাল খারাপ দিক সবই আছে। সব থেকে গুরুত্বপূর্ন সত্য এটাই, মার্কেট এবং গ্লোবালাইজেশনকে অস্বীকার করা মানে ব্যক্তি এবং জাতি হিসাবে শ্রেফ আত্মহত্যা। তবে আত্মহত্যা বাজে, বেঁচে থাকা ভাল। এমন তত্ত্বের জনক আমি নই । সুকুমার রায়ের ফকিরের খেতেও কষ্ট হত। সেও তার দৃষ্টিকোন থেকে ঠিক। কারন জীবনের পরম উদ্দেশ্যত আসলেই নেই। সবটাই আপাত। তাই জীবনে কি করা উচিত সেই মেঠো বিতর্কে না গিয়ে আপাতত ধরা যাক নশ্বর সাধারন মানুষ হিসাবে আমার চাহিদা সামান্যই-সেটা হচ্ছে নিজের পোলাপানদের জন্য খাদ্য, শিক্ষা এবং চিকিৎসার নিরাপত্তা। তাই আমি এমন একটা সমাজ এবং রাষ্ট্রের জন্য কাজ করতে চাই, যেখানে শুধু আমার সন্তানের জন্য না-বাকী সবার জন্যও এই নিরাপত্তা থাকবে। ভেবে দেখুন ভারতের অবস্থা-খাদ্যে অসম্ভব ভেজাল, শিক্ষা শেষ করে দিচ্ছে প্রাইভেট টিউশন আর প্রাইভেট স্কুল কলেজ গুলো-আর চিকিৎসা? কোলকাতায় নার্সিং হোমে ভর্তি হওয়া আর কসাই খানায় ছাগল হিসাবে নাম লেখানো একই ব্যপার। এমন নয় যে আমেরিকা স্বর্গ। এখানেও ভেজাল আছে। কিন্ত ভারতের তুলনায় তা অনেক অনেক গুনে ভাল। ভারতে এই সব পরিসেবাতে অসম্ভব দুর্নীতি-- কারন মার্কেটের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রন নেই। চোরেরা চালাচ্ছে এইসব ব্যবসা। এর মূল কারন ব্যবসার ক্ষেত্রে যেসব সংস্কারের দরকার ছিল তা হয় নি। মোদিজি কত বল্লেন তিনি ভারত থেকে এই সব আদ্যিকালের আইন কানুন তুলে দেবেন। তা উনার এক বছরে দেখলাম উনি শুধু বাতেলা মেরেছেন-বরং কাল সার্ভিস ট্যাক্স ১২% থেকে বেড়ে ১৪% হল! আচ্ছে দিন! ব্যবসা করতে যদি এত সার্ভিস ট্যাক্স দিতে হয়-কে আর আইন মেনে ব্যবসা করতে চাইবে? এত সার্ভিস ট্যাক্স দিয়ে একমাত্র তারাই ব্যবসা করতে পারবে যারা চুরি করতে সক্ষম!

    ক্যাপিটালিজমকে পরিস্কার ভাবে স্বীকার না করলে কিভাবে কি করে ক্যাপিটালিজমের গলায় ঘন্টা লাগাবেন? মার্কেট নিয়ন্ত্রন করা কঠিন কাজ-আমেরিকাও করতে হিমসিম খায় । কিন্ত আমেরিকাতে খাদ্য-ড্রাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফ ডি এ এতটুকু অন্তত করেছে যে খাদ্য এবং মেডিসিনে ভেজাল নেই । ওই টুকু বেসিক নিরাপত্তা দিতেও ব্যর্থ ভারতের সিস্টেম।

    ক্যাপিটালিজমের তীর্থ ক্ষেত্রে আমার ছেলেকে প্রাইভেট স্কুলে পাঠাতে হচ্ছে না। আর ভারতে একজন রিক্সাওলাও তার ছেলেকে প্রাইভেট স্কুলে পাঠাচ্ছে!! শিক্ষাক্ষেত্রে কি মারাত্মক অবস্থা!

    মার্কেটকে নিয়ন্ত্রন করার মধ্যেই আমেরিকার এই সাফল্য। আর মার্কেটকে নিয়ন্ত্রন করতে হলে প্রথমেই স্বীকার করতে হবে, মার্কেটই মূল চালিকা শক্তি-তাই সমাজ এবং রাষ্ট্রের সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রন মার্কেটের ওপর থাকার দরকার। মার্কেট বাজে, মুনাফা বাজে-তাই রোম্যান্টিক বামপন্থী সুলভ দিন বদলের কবিতা এবং গানে ডুব দিলে-মার্কেট চোর ডাকাত এবং দৈত্য রূপেই জীবনে উদিত হবে। সেটাই ভবিতব্য হয়েছে পশ্চিম বঙ্গের জনজীবনে।

    আমেরিকাতে আসার আগে আমিও বামপন্থী চিন্তাতেই চালিত ছিলাম। আমেরিকাতে আসার পরে বিবেকানন্দ একশো বছর আগে যা দেখেছি্লেন- আমি ও তাই দেখলাম । এই সমাজ চলে ব্যবসার ওপরে এবং ব্যবসায়ীদের দ্বারা। আমেরিকার প্রতিষ্ঠাতা পিতারা সবাই একেকজন উদ্যোগপতি। বেঞ্জামিন ফ্যাঙ্কলিন আধুনিক ডাক ব্যবস্থা থেকে আরো অনেক নতুন সিস্টেমের জনক সেকালে। একালের আমেরিকা তৈরী হয়েছে থমাস এডিসন, নিকোলা টেসলা, হেনরী ফোর্ডদের হাত ধরে যার বাটন আজ বিল গেটস, স্টিভ জবস -মার্কজুকারবার্গ দের হাতে। আমাদের ছোটবেলার হিরো ছিলেন বিবেকানন্দ, নেতাজি, রবীন্দ্রনাথ। যারা একাধারে কর্মবীর, স্বার্থত্যাগী, নিস্পাপ চরিত্র!! আমেরিকাতে হিরো আবিস্কারক উদ্যোগপতিরা। আমেরিকাতে লেখকদের মধ্যেও যদি আমি দেখি-ধরুন মার্ক টোয়েনের কথা। উনি একাধারে লেখক আবার উদ্যোগপতি। উনার আধুনিক ছাপাখানার পেটেন্ট ছিল।

    সব থেকে বড় কথা আমেরিকাতে এডিসন-টেসলাদের পূজো করা হয় না। এরা নিস্পাপ নিঃস্বার্থ চরিত্র ছিলেন এমন মূলোও ঝোলানো হয় না। বরং থমাস এডিসন এসি কারেন্ট আটকাতে কিভাবে নিকোলা টেসলাকে বাম্বু দিয়েছিলেন, সেই কাহিনী এখানে অনেক বেশী প্রচলিত। এডিসন থেকে বিল গেটস-এদের সবার চরিত্রে যেটা আমার চোখে পড়েছে এরা আবিস্কার করেছেন, কোম্পানী গড়েছেন আবিস্কারের, নতুনের আনন্দে। নতুন কিছু সৃষ্টির আনন্দ আমেরিকান সমাজে প্রবল। আমার আশেপাশের যত সফল উদ্যোগপতি দেখি তাদের একটা বড় অংশই এই নতুনের আনন্দে চালিত। টাকা পয়সা, ক্ষমতা এবং রিকগনিশনের দিকটা অবশ্যই আছে-কিন্ত এসব ছাপিয়ে কাজ করার যে আনন্দ এদের মধ্যে দেখেছি-এটাই আমার মূল কারন আমেরিকান সমাজে থেকে যাওয়া। শুধু টাকা বানাবার জন্য কেও এডিসন বা স্টিভ জবস হয় না। একজন কবি বা পেইন্টার সৃজনশীলতার যে আনন্দ পান, একজন উদ্যোগপতিও ব্যবসা বা প্রযুক্তিতে নতুনের সৃঞ্জন করে একই আনন্দ পান। টাকায় সেই শক্তি নেই যা সৃজনশীলতার আনন্দে আছে।

    মোদ্দা কথা ইতিহাসে আমার যেটুকু সামান্য জ্ঞান, তাতে এটা পরিস্কার--- একটা জাতিকে যত কম ভাববাদি আধ্যাত্মিক মূলো দেখানো হয় ততই ভাল। আধ্যাত্মিক মূলোতে ভাল কবিতা, গান ইত্যাদি হতে পারে-কিন্ত রাজনীতি এবং অর্থনীতি সম্পূর্ন ধ্বসে যাবে।

    (৪) তৃতীয় প্রশ্ন- ব্যবসা যদি করতে হয়-আন্তার প্রেনার কালচার যদি কাম্য হয়-তাহলে ভারতে নয় কেন? কেন আমেরিকাতে?

    প্রথমত, আমি যত আমেরিকান-ভারতীয় উদ্যোগপতিকে জানি, তাদের সবার ব্যবসার কিছু অংশ ভারতে আছে। সুতরাং ব্যবসা সবাই ভারতেও করছে। ভারতে ব্যবসা করাটা ইস্যু না।

    প্রশ্ন ওঠে এবং ওঠা উচিত-আমেরিকার এই আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর সংস্কৃতি আমরা ভারতে, ভারতের উন্নতির জন্য পৌছে দিতে পারছি কি না?

    এখানেই প্রবাসী ভারতীয়দের বিশাল ব্যর্থতা। এই পয়েন্টটা একটু ডিটেলসে লেখা দরকার। আমেরিকাতে প্রায় সব আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর কোম্পানীতে সি ই ও থেকে ঝাড়ুদার পর্যন্ত সবাই কর্মী। আমরা এখানে সবাই আগে প্রথমে একজন কর্মী, তারপরে বন্ধু, তারপরে বস। ভারতে কোম্পানীর ম্যানেজমেন্ট এবং মালিকেরা যেভাবে কর্মীদের সাথে ব্যবহার করে তা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য না। সবাই স্যার স্যার করছে!! আমি অনেক আমেরিকান-ভারতীয় উদ্যোগপতিকেই জানি যারা ভারতে আমেরিকান ওয়ার্ক কালচার আনতে ব্যর্থ হয়েছেন। এর কারন মিডল ম্যানেজমেন্ট। তারা বলে যে যদি ভারতে আমেরিকান সাম্যের বানী আনা হয় ওয়ার্ক প্লেসে, তাহলে কেও নাকি আর ম্যানেজারদের কথা শুনবে না! তাই নাকি ভারতে ওই স্যার, তেল মারা কালচার, ভয় দেখানো কালচার চালু রাখতে হবে!! ভীষন ডিসগাস্টিং হোপলেস সিচুয়েশন এটা। যেহেতু আমাদের আমেরিকাতেই থাকতে হয় এবং আমরা ভারতের ম্যানেজারদের ওপর নির্ভরশীল-এই একটা স্থলে কিছুতেই ভারতে আমেরিকান ওয়ার্ক কালচার এবং ওয়ার্ক প্লেসে সাম্যের যে বানী সেটা আনা সম্ভব হচ্ছে না। " আমরা সবাই কর্মী, আমাদের এই কর্মজগতে" -এই মহান আমেরিকান সংস্কৃতিটি ভারতে আনতে প্রবাসীদের দ্বায়িত্ব বিরাট। কিন্ত তারা ভারতে ফিরে, সেই ব্রাহ্মন্যবাদি কালচারে ফিরে যান। এটা দুর্ভাগ্যজনক।

    এর একটা মূল কারন ভারতে কাস্ট সিস্টেম, ব্রাহ্মন্যবাদ একদম রক্ত মজ্জায় ডুবে গেছে। ফলে একজন কর্মী- ম্যানেজার হওয়া মাত্রই নিজেকে ব্রাহ্মন ভাবতে থাকে। সে আর শুদ্রের কাজ করবে না !! আমেরিকাতে আমরা নিজেরা নিজেদের ল্যাব পরিস্কার করি, পোষ্ট অফিসের সব কাজ নিজেরাই করি-ওয়ার্ক শপেও নিজেরাই যায়। আবার এলগোরিদম ও আমরাই লিখি। ভারতে কোন একজন ইঞ্জিনিয়ারকে যদি বলা হয় মেশিনটা এদিক থেকে ওদিকে সরিয়ে দে-সে অপমানিত বোধ করবে।

    দুহাজার ছয় সালে পুনেতে একটা পার্টনার কোম্পানীতে ট্রেনিং দিতে গেছি। একটা ফাইভ স্টার হোটেলের কনফারেন্স হল বুক করে ট্রেনিং হচ্ছে। আমি গাড়ি থেকে নামলাম। হাতে বিশাল সুটকেস । নিজেই সুটকেসটা টানতে টানতে কনফারেন্স রুমের দিকে এগোচ্ছি। হঠাৎ দেখি এক ভারতীয় ম্যানেজার হাঁপাতে হাঁপাতে আমার দিকে ছুটছে। কাছে এসে বলে স্যার করছেন কি। এটা আমেরিকা না। আপনি যদি নিজেই এই ভারী বাক্স টানতে টানতে সবার সামনে
    কনফারেন্স রুমে ঢোকেন, এই সব ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে আপনার আর ইজ্জত থাকবে না। আপনি হচ্ছেন গিয়ে মূল বক্তা। আপনাকে ভারতে ওয়েট রেখে চলতে হবে। এসব শোনার পরে আমার মাথা বঁই বঁই করে ঘুরছিল-মনে মনে আবৃত্তি করলাম "হে মোর দুর্ভাগা দেশ! "।

    (৫) আমেরিকাতে আমরা আরামের জীবন বেছে নিয়েছি-ভারতের জীবন অনেক কষ্টের বলে-
    এই অভিযোগ ও সত্য না। ফাক্ট হল ভারতে অনেক চাকর বাকর থাকে বলে, আমি ত দেখি টাকা থাকলে ভারতেই সুখ সুবিধা বেশী। আমার ত ভারতে গিয়ে আর ফিরতে ইচ্ছা করে না। সব সময় ভাল ভাল খাদ্য পানীয়-কেও না কেও রান্না করে দিচ্ছে, সব কিছু কাজ করে দিচ্ছে। এখানে সকালে উঠে বাগানে গাছের যত্ন নেওয়া, সার দেওয়া, ঘাস কাটা থেকে ব্রেকফাস্ট নিজেকেই তৈরী করে নিতে হয়। উইকেন্ডে ভাল মন্দ খাওয়া হয় পার্টিতে -কিন্ত বাকী দিনগুলোতে ফ্রীজের বাসি খাবারেই ক্ষুদানিবৃত্তি। এরপরে ছেলে মেয়েদের বিশাল এক্টিভিটি-কখনো ছেলেকে নিয়ে সকারে ত মেয়েকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে। ভীষন বিজি এবং হেক্টিক জীবন। এর থেকে ভারতের জীবন অনেক ভাল।

    কিন্ত ওই সমস্যা-নিরাপত্তা নেই। ব্যবসায়ীদের জীবনে আরো নিরাপত্তা নেই। তাদের পুলিশ, রাজনীতিবিদ, গুন্ডা ম্যানেজ করে বাঁচতে হয়।

    আমার এই লেখার উদ্দেশ্য এটা বলা না যে সব ভারতীয়র আমেরিকাতে আসা উচিত। অথবা আমি যা করছি, বাকী ভারতীয়দের ও তাই করা উচিত। বরং আমি উল্টোটাই বলব। সবাই তার নিজের মতন করে সুখের সন্ধান করুক। সবাই নিজের মতন করে জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজবে। সুকুমার রায়ের ফকির সাহেব ও ঠিক, বিল গেটস ও ঠিক। বেঠিক সেই ব্যক্তি-যে ভাবে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ একটা মনোলিথিক আদর্শের মোল্ডে চলবে । হিন্দুত্ববাদি, ইসলাম এবং কমিনিউস্টদের সাথে আমার বিরোধিতা মূলত এই কারনে। কারন এরা মনে করে মানুষ, সমাজ এবং রাষ্ট্রের তাদের মত করে, তাদের আদর্শে চলা উচিৎ। সব মানুষকে এক ছাঁচে গড়ার চেষ্টাটাই সব থেকে বড় ভুল।
  • amit | 24.202.184.178 | ০২ জুন ২০১৫ ১৪:৩৭679080
  • একদম ঠিক, বাস্তব লেখা। খুব ভালো লাগলো পড়ে।
  • kaktarua | 216.223.181.135 | ০২ জুন ২০১৫ ১৯:১৬679302
  • ভালো লেখা। ক দিয়ে গেলাম।
  • nita | 60.180.250.166 | ০২ জুন ২০১৫ ২১:৪৮679413
  • ভালো লাগলো। ক
  • Rabimba Karanjai | ০৩ জুন ২০১৫ ০৭:২২679440
  • দুক্ষের বিষয় লোকেরা এগুলো বোঝেনা। অথবা অধিকাংশ সময় যেটা মনে হয় তা হচ্ছে ইচ্ছে করে বুঝতে চায়না। কারণ তা নাহয় অন্য কোনদিন এর আলোচনার জন্যে মুলতুবি থাকলো।
  • S | 139.115.2.75 | ০৩ জুন ২০১৫ ০৮:০৮679451
  • দেখুন ফালতু বাম পন্থা, ক্যাপিটালিজম, রবি ঠাকুর, নেতাজী, আউটসোর্সিঙ্গ এই সব কথা না বলে আসল কথাটা হোলো গিয়ে প্রবাসীরা দেশের এই অবস্থা থেকে পালিয়েছে। অন্যান্য দেশে পয়সা বেশি, লাইফ স্টাইল ভালো, অন্য অনেক রকমের সুবিধে, আর শুধুমাত্র বিদেশে থাকার জন্যে দেশে যারা আছে তাদের কাছে অনেক বেশি দাম পাওয়া যায় (মানে স্টেটাস সিম্বল ইত্যাদি) - এইসব কারণে লোকে বিদেশ যায়। তাদের সুযোগ ছিলো, তাই বেটার অপশান বেছে নিয়েছে। নো প্রবলেম। একদম ঠিক কাজ করেছে। কিন্তু সেইটা করে প্রবাসীরা দেশের উদ্ধার করে দিচ্ছে এমন কথা পিলিজ বলবেন না।

    আর লোকে কেউ শখ করে দেশে পয়সা পাঠায় না। দেশের ব্যান্কে এখনো ৮% ইন্টারেস্ট পাওয়া যায়, প্রপার্টি প্রাইস হু হু করে বাড়ছে, রিটার্ণ অনেক বেশি তাই পাঠায়। একদিকে আমি ক্যাপিটালিস্ট বলে চিল্লাবো আর অন্যদিকে এই গ্লোবালাইজেশনের যুগে দেশে পয়সা পাঠানোকে দেশপ্রেম বলে চালাবো তা হয়না।

    আর প্রবাসীরা কেউ দেশপ্রেমের চোটে দেশে কাজ আউটসোর্স করেনা। নিজেদের স্বার্থ আছে। ক্যাপিটালিজমের প্রথম কথা হোলো সক্কলে নিজেদের লঙ্গ টার্ম মনিটারি স্বার্থে ডিসিশান নেয়। অতএব। অবস্যি তাতে দেশের ভালো হয় - এইটা নিঃসন্দেহে ঠিক। কিন্তু প্লিজ তাকে দেশপ্রেম বা দেশের প্রতি আমার অধিকার বেশি বলে চালাবেন না।

    আর ব্যবসায়ীরা দেশে গুন্ডা পলিটিশিয়ান পুলিশ ম্যানেজ করে চলতে হয় আর ডেভেলপড দেশে হয়না, সেইটা একেবারেই ঠিক নয়। আর যেটুকু ঠিক সেইটা অন্য লোকেদেরও পোহাতে হয় - আর সেই জন্যেই দেশ ছাড়ে। বিদেশে যীবন অবশ্যই অনেক আরামের - এই নিয়ে কোনো তক্ক করার জাস্ট কোনো মানে হয়না।

    হ্যাঁ ভারতের যেইটাকে আপনি সুবিধে বলেছেন - মানে চাকর বাকর (বা গৃহ সহায়ক/সহায়িকা) সেইটা হোলো লেবার ওয়েজ খুব কম। সেইটার জন্যেই আপনি নিজের স্যুটকেস নিজে না বয়ে অন্যকে ১০ টাকার টিপস দিয়ে বওয়াতে হবে। ঐটাই আসল ডিজ অ্যাডভান্টেজও বটে। আবার এই লো লেবার ওয়েজের জন্যেই আউট সোর্সিঙ্গ ইত্যাদি।

    আর যারা দেশে রয়েছেন তারা যদি বলেন যে দেশের প্রবলেম তাদের এবং তারা সেইটা সলভ করবেন - সেইটা টেকনিকালি ঠিক নয় কারণ প্রবাসীরা এখনো অনকেই দেশের নাগরিক। কিন্তু মরালি হয়তো ঠিকই বলছেন। এতো যদি দেশের প্রতি প্রেম তাহলে দেশে থেকেই তার সলিউশন করুন না প্লিজ। আউটসোর্সিঙ্গ আর রেমিটান্স কোনো দেশের প্রবলেমের পার্মানেন্ট সলিউশন নয়।

    নিন এইবারে ঈট পাটকেল ছুঁড়তে আরম্ভ করুন। আমি হেলমেট পড়ে বসলাম।
  • S | 109.27.138.238 | ০৩ জুন ২০১৫ ০৮:৩৮679462
  • ও হ্যাঁ আরেকটা কথা। প্রবাসীদের জন্যে আউটসোর্সিঙ্গ হয়েছে ইন্ডিয়াতে? নইলে রাশিয়াতে চলে যেতো? আমার তো মনে হয় সেইভাবে দেখলে ভারতে ৩০০ বছরের ইঙ্গরাজ রাজত্বের অনেক বেশি অবদান আছে।
  • PT | 24.139.128.22 | ০৩ জুন ২০১৫ ১০:৪০679473
  • "ফাক্ট হল ভারতে অনেক চাকর বাকর থাকে বলে, আমি ত দেখি টাকা থাকলে ভারতেই সুখ সুবিধা বেশী। আমার ত ভারতে গিয়ে আর ফিরতে ইচ্ছা করে না। সব সময় ভাল ভাল খাদ্য পানীয়-কেও না কেও রান্না করে দিচ্ছে, সব কিছু কাজ করে দিচ্ছে। "

    এ কোন ভারত? আমি তো জানতাম এটা একটা গরীব দেশ। ঐ "টাকা থাকলেই" ব্যাপারটা কজনের পক্ষে প্রযোজ্য? বছর কয়েক আগেও একজন ইউনি/IIT-র প্রফের একই সঙ্গে একটা ফ্ল্যাট আর একটা মারুতি ৮০০ কেনার মত পয়সাও ছিল না।

    বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা- না থাকা নিয়ে একটা গপ্প মনে পড়ল। খুব বড়লোকের মেয়ে ইস্কুলে গরীব মানুষ নিয়ে রচনা লিখেছেঃ "আমাদের ড্রাইভার খুব গরীব। তার বৌ গরীব, ছেলে গরীব, মেয়ে গরীব। তার চাকর, বাকর আর ড্রাইভারও গরীব। এমনকি তাদের পোষা ডোবারম্যানটাও ভীষণ গরীব"!!!!

    "এরপরে ছেলে মেয়েদের বিশাল এক্টিভিটি-কখনো ছেলেকে নিয়ে সকারে ত মেয়েকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে। ভীষন বিজি এবং হেক্টিক জীবন। এর থেকে ভারতের জীবন অনেক ভাল।"

    সত্যি?
    জুন মাসে একবার ভারতে আসুন আর যে সব ছেলে-পুলেরা HS পাস করেছে তাদের মা-বাবাদের সঙ্গে কথা বলুন। কলেজে ভর্তি করতে নাকের জল আর চোখের জল কোথায় গড়ায় এই ঘোর গরমে সেটি বিদেশে বসে মাপতে পারবেন না।
  • s | 202.189.128.12 | ০৩ জুন ২০১৫ ১০:৫৮678970
  • PT দাকে ক্ক।
    তারপর গরমে ঠাসা ভীড়বাসে যাতায়াত, হাসপাতালে ভর্তি করা নিয়ে ছোটাছুটি, চাকরির জন্য জুতোর সুকতলা ক্ষয়ে যাওয়া, যে কোন জায়গায় প্রবল ভীড় ও ধাক্কাধাক্কি - আরো অনেক কিছু মপা যাবে না।
  • দেব | 133.63.241.40 | ০৩ জুন ২০১৫ ১২:৩০678981
  • "ফাক্ট হল ভারতে অনেক চাকর বাকর থাকে বলে, আমি ত দেখি টাকা থাকলে ভারতেই সুখ সুবিধা বেশী। আমার ত ভারতে গিয়ে আর ফিরতে ইচ্ছা করে না। সব সময় ভাল ভাল খাদ্য পানীয়-কেও না কেও রান্না করে দিচ্ছে, সব কিছু কাজ করে দিচ্ছে। "

    এ কোন ভারত?"

    হিট দা নেইল অন দা হেড। ক'জন এফোর্ড করতে পারে এগুলো।

    সাধে কি আর তাপসবাবু টই খুলেছেন ধনগরিমা নিয়ে।
  • শ্রী সদা | 113.19.212.22 | ০৩ জুন ২০১৫ ১৩:২০678992
  • যাদের কাছে আমেরিকায় বা ভারতে থাকাটা জাস্ট আ ম্যাটার অফ চয়েস তারা প্রায় সকলেই অ্যাফোর্ড করতে পারে মনে হয়। অধিকাংশ ভারতীয় পারেনা, কিন্তু তারা আম্রিগা যাবো না ভারতে থাকবো সেটাও ভাবার জায়গায় নেই। যে থ্রেডের শিরোনামেই পার্টিকুলারলি প্রবাসী জনতার কথা আছে সেখানে ধনগরিমা ইত্যাদি এনে লাভ নেই।
  • amit | 24.202.184.178 | ০৩ জুন ২০১৫ ১৩:৫৯679003
  • আচ্ছা, গুরুর পাতায় যারা রেগুলার লেখালেখি করেন এবং ভারতে আছেন (নিজের দেশকে ভালোবেসে হোক, দায়ে পড়ে হোক বা যাই হোক), তাদের কতজনের বাড়িতে কাজের লোক নেই, সেটা জানা যাবে ? কজন নিজের কাজ নিজে করেন ? বিদেশে যারা থাকেন, সংখ্যাতত্বে না গিয়েও বলতে পারি সেটা ১% এর কম হবে, কারণ খুব সোজা, আফোর্দ করা সম্ভব নয়। আর ভারতের দরিদ্র নিয়ে এত কথা যারা বলেন, সেই সাধারণ চাকুরিজীবি, মধ্যবিত্ত বাঙালি, তারা কাজের লোক কে অ্যাভারেজ কত মাইনে দেন- ? সেটা তাদের রোজগারের কত শতাংশ ? আর বিপ মনে হয় না এত দেশপ্রেমের কথা বলেছেন , ওনার বক্তব্য খুব সোজা, বাইরে থাকলে দেশের ব্যাপারে কথা বলাটা আদৌ অনধিকার নয়।
  • sm | 233.223.154.143 | ০৩ জুন ২০১৫ ১৫:৪১679014
  • কে বলেছে অধিকার নেই; একশ বার আছে। পাতি এন আর আই হলে হক বেশি, বিদেশী সিটিজেন হলে হক একটু কম। অনেক টা গোত্রান্তরের মতন ব্যাপার টা। আমিও দু দশকের উপর বিদেশে বসবাস করেছি।
    তবে বিপ যেমন বলেন নি, এন আর আই দের দেশপ্রেমের কথা; তেমনি রেমিটেন্স নিয়ে উনি ওনাদের কন্ত্রিবুশন স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। অর্থাত ঘুরিয়ে নাক দেখানো। এক্ষেত্রে S , এর বক্তব্য প্রনিধান যোগ্য। এন আর আই দের ভারতের ইকনমি তে হিউজ অবদান থাকলেও; এরা যা করেছেন প্রায় সবটাই নিজেদের স্বার্থে। অর্থাত ফ্রি লাঞ্চ নয়।
    আর প্রেত্যেক দেশের নিজ নিজ সমিস্যে আছে। তবে, আমেরিকা বা পশ্চিম ইউরোপ এর দেশ গুলিতে নাগরিক জীবনের সাচ্ছন্দ্য অনেক বেশি। হেলথের ব্যাপারে পশ্চিম ইউরোপ ইন জেনেরাল আরো ভালো;আমেরিকাতে পয়সা থাকলে লা জবাব।
    দেশের লোকেরা লো লেবার কষ্টের জন্য; ড্রাইভার, পরিচারক/চারিকা এগুলো এফোর্ড করতে পারে সহজে; সেখানে এন আর আই রা কিপ্টেমি করে পয়সা বাঁচায়। সুযোগ থাকলেও, হাউস মেড রাখে না, শফারের কথা চিন্তায় আনে না,যত্র তত্র টাক্সি তে ভ্রমন করে না। কারণ এগুলোর পেমেন্ট ডলার/ পাউন্ডে করতে হয়, যা কিনা দেশীয় টাকায় অনেক।হিসেব টা মনে মনে কনভার্সন রেটে চলে।
    যেহেতু অনেক দিন দেশের বাইরে আছেন, তাই দেশের ভালো মন্দ চিন্তা, রাজনীতিতে মতামত দেওয়া, এগুলো স্মৃতি রোমন্থনের মতই মৌতাতের আমেজ এনে দেয়।এগুলো কে সিরিয়াস ভাবে নেয়াও যায় না আবার ফেলে দেয়াও যায় না। হাজার হোক তাঁরা দেশেরই সন্তান ছিলেন একদা।
  • 0 | ০৩ জুন ২০১৫ ১৬:১০679025
  • দেশ মানে শুধু ভুগোল নয়। নানান জাতি, ভাষাসংস্কৃতি, সম্প্রদায়, মতামত - এসব নিয়ে থাকা মানুষ। তাদের সাথে, তাদের মধ্যে নিজেকে চিনতে পারলেই কেউ দেশবাসী হয়। পাসপোর্ট অনুযায়ী হয় না।
  • pi | 233.176.7.232 | ০৩ জুন ২০১৫ ১৬:২৭679036
  • S এর কথাগুলোর কী কাউণ্টার আসে দেখি ঃ)
  • ranjan roy | 192.69.154.221 | ০৩ জুন ২০১৫ ১৬:৩২679047
  • O কে ক।
    নইলে তো বঙ্গের বাইরে যাঁরা নানা সুবাদে গেছেন তাঁদেরও বঙ্গের হাল-হকিকত নিয়ে কথাবলার রাইট থকে না। যদিও আমরা গুজরাতে মোদীজিরা কী কী করেন এবং কী কী করেন না তা নিয়ে হরদম শেষ কথা বলার অধিকার রাখি।
    আর এইপাতায় যাঁরা লিখছেন তাঁরা অধিকাংশই নিজের বাড়িতে কাজের লোক রাখেন, ব্যতিক্রম হাতে গোনা যাবে।
    হ্যা`ঁ, মানুষের শ্রম এ দেশে শস্তা বৈকি! কিন্তু বেসিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার খারাপ।
    আর ক্যাপিটালিজম তো ফিলানথ্রপি বা পেট্রিয়টিজমের দাবি করে না? বরং বলে যে মার্কেট ড্রিভন ফোর্সের ফল আউট বা ইম্প্যাক্টে লোকের ভালো "হয়ে যায়'। বিপ তাই বলছিলেন।
    তবে সব জিনিসেরই দুটো দিক থাকে। সুন্দর বাড়িতেও লু থাকে।
  • sm | 233.223.154.143 | ০৩ জুন ২০১৫ ১৬:৪২679058
  • amit , এর প্রশ্নের উত্তরে, এফোর্ড করতে পারলেও অনেক এন আর আই কাজের লোক রাখবেন না; কারণ খুব সোজা, পয়সা বাঁচানো।
    আর ওএজ কত দেন? ইন্ডিয়া তে যা রেট্ তাই দেয়। বাধ্য করার ব্যাপার নেই। ওই টাকায় পোষালে করবে, না হলে নয়।
    বিদেশ থেকে এন আর আই রা দেশে সেটেল করলে , লিস্চয় বেশি মাইনে দেন না। সুযোগ বা আইনের ফাঁক ফোকর থাকলে বিদেশেও তারা কম ওএজ দিতেন বা দেন। ভারতীয় রা বিদেশেও ভারতীয় দের দ্বারাই প্রচুর শোষিত হন। এমন উদাহরণ ভুরি ভুরি।
  • pi | 233.176.7.232 | ০৩ জুন ২০১৫ ১৬:৪৩679069
  • আমেরিকাতে সুখ সুবিধে কম, জীবন খুব কষ্টের, বিপদার এই কথাটা যদি মেনে নিতে হয়, তাহলে লোকজন ওখানে সেটল করেন কেন, সেই নিয়ে ওনার কী মত ?
  • bip | 79.138.209.156 | ০৩ জুন ২০১৫ ১৭:৫৬679081
  • পাই
    তুমি ত সীতাকে রামের মাসি করে দিলে! আমি গোটা প্রবন্ধ জুরে সেটাই ব্যখ্যা করেছি-কেন আমেরিকাতে পচা হেজা খেয়েও আমরা সেটল করি!!
    সেটার নাম বেসিক নিরাপত্তা!

    আদারস ঃ

    আমি একবার ও বলিনি রেমিটান্স দেশপ্রেম। বরং লেখা জুরে মার্কেট ফোর্সকেই আসল কারন বলা হয়েছে । নিঃস্বার্থ প্রেমকে ডিনাওন্স করা হয়েছে।

    বিটিও ঃ আমার বাড়ি ছিল করিমপুরে। সেখানে আমার যারা ছোটবেলার বন্ধু ছিল তাদের বাড়িতেও দুটো চাকর-একটা গাড়ি আজকাল।
  • তাপস | 126.203.182.114 | ০৩ জুন ২০১৫ ১৮:৪৯679092
  • আমি কিন্তু ধনগরিমা নিয়ে কোন টই খুলিনি, এটা একটু জানিয়ে দেয়ার। ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে এইটুকু নোট।

    তবে একটা সম্পূর্ণ অন্য টইয়ে এসে, প্রায় অপ্রাসঙ্গিক বলে গেলে খুব খারাপ দেখাবে। ফলে, একটু টিপ্পনী, বিপ আশা করি রাগ করবে না। ৫ ৫৬ য় শেষ দুটো বাক্য, ওটা কি স্যাম্পল? তাহলে সাইজের ব্যাপারটা একটু দেখ। আর যদি এমনি পাসিং উদাহরণ হয়, তাহলে আমার বক্তব্য কাটিয়ে দিও।
  • ? | 219.126.110.113 | ০৩ জুন ২০১৫ ১৮:৫১679103
  • "প্রথমেই স্বীকার করতে হবে, মার্কেটই মূল চালিকা শক্তি-তাই "সমাজ" এবং "রাষ্ট্রের" সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রন মার্কেটের ওপর থাকার দরকার"

    ওহ, রিয়েলি?
  • pi | 233.176.5.177 | ০৩ জুন ২০১৫ ১৯:৩৮679114
  • আপনি লিখেছেন,
    'নিজের পোলাপানদের জন্য খাদ্য, শিক্ষা এবং চিকিৎসার নিরাপত্তা। তাই আমি এমন একটা সমাজ এবং রাষ্ট্রের জন্য কাজ করতে চাই, যেখানে শুধু আমার সন্তানের জন্য না-বাকী সবার জন্যও এই নিরাপত্তা থাকবে। ভেবে দেখুন ভারতের অবস্থা-খাদ্যে অসম্ভব ভেজাল, শিক্ষা শেষ করে দিচ্ছে প্রাইভেট টিউশন আর প্রাইভেট স্কুল কলেজ গুলো-আর চিকিৎসা? কোলকাতায় নার্সিং হোমে ভর্তি হওয়া আর কসাই খানায় ছাগল হিসাবে নাম লেখানো একই ব্যপার।'

    --তো, আপনি কাজ করতে চান এমন এক সমাজ, রাষ্ট্রের জন্য যেখানে সবার জন্য এই বেসিক নিরাপত্তা অলরেডি রয়েছে ? বেসিক নিরাপত্তা না থাকা জায়গায় এমন কোন কাজ করতে চান না যাতে সেখানে এগুলো আসে, তাই তো ? মানে দেশকে অলরেডি গন কেসই ধরে নিয়েছেন। তো, সেক্ষেত্রে দেশ নিয়ে চর্চাটার উদ্দেশ্যটা কী বুঝতে চাইছি, দেশ কত খারাপ সেটা দেখানো নাকি কিছু ঠিক করতে চাওয়া। ঠিক করতে চাওয়াই যদি হবে, তাহলে সেটা বেসিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় কেন ? আর সেক্ষেত্রে দেশে না থাকাই বা কেন ?
    মানে, আপনার ইচ্ছে হলে না ই থাকতে পারেন, তাই নিয়ে বিন্দুমাত্র কিছু বলার নেই, কিন্তু আপনার বক্তব্যে কোথাও একটা ঘেঁটে যাচ্ছি।
  • ... | 193.90.36.44 | ০৩ জুন ২০১৫ ২০:৪৮679125
  • বিদেশে আছেন ভালো আছেন। ভুলেও দেশে ফিরতে ও দেশের উপকার করতে চাইবেন না। তাহলেই দেখবেন ব্যগরাবাবু-বিবিরা কেমন বাঁশ দিতে উঠে পরে লেগেছে। অবশ্য কিছু হাড্ডি যদি ছুঁড়ে দিতে পারেন তাহলে আলাদা কথা।
  • bipbhakto | 146.165.191.8 | ০৩ জুন ২০১৫ ২১:০৫679136
  • 'এখানে সকালে উঠে বাগানে গাছের যত্ন নেওয়া, সার দেওয়া, ঘাস কাটা" উপ্ফ্ফ , পুরো সাহেব হয়ে গেচ তো। ড্রেসিং গাউন ফাউন পরে থাকো নাকি বাড়িতে? আমাদের তো আর চিনতেই পারবে না।
  • পদ্মনাভস্বামী | 24.139.190.82 | ০৩ জুন ২০১৫ ২১:১৭679147
  • আমার কাজের লোক নেই। ভেবে দেখেছি তাকে ন্যায্য মাইনে দিতে হলে দু ঘন্টা কাজের জন্য আমার মাইনের ১/৪দিতে হয়। তাহলে আমার অসুবিধে হবে। আর নিজের কাজ নিজে করতে ভালও লাগে।
  • সে | ০৩ জুন ২০১৫ ২১:২৯679158
  • "ন্যায্য মাইনে দিতে হলে দু ঘন্টা কাজের জন্য আমার মাইনের ১/৪দিতে হয়।" কেন? আপনাদের দুজনেরই কি সেম পে স্কেল?
  • পদ্মনাভস্বামী | 24.139.190.82 | ০৩ জুন ২০১৫ ২১:৩৩679169
  • আমি সবার খাটুনি সমান দামী মনে করি।
  • sm | 233.223.159.253 | ০৩ জুন ২০১৫ ২২:১৬679180
  • @ বিপ,
    খাচ্ছিল তাঁতি তাঁত বুনে,
    কাল হলো তাঁর এঁড়ে গরু কিনে।
  • asmita | 162.79.255.200 | ০৩ জুন ২০১৫ ২২:৫৫679192
  • দেশের ব্যাঙ্কে ৮% ইন্টারেস্ট - কিন্তু রূপিতে টাকা রাখলে ডলারের তুলনায় প্রতিবছর প্রায় ১০% ডি ভ্যালু হয় - কাজেই দেশে টাকা পাঠানো অনেকটাই পারিবারিক (মা-বাবা ইত্যাদি) আবার কিছুটা নস্টালজিক (একটা বাড়ি কিনেই রাখি কলকাতায়) কারণে - ইন্ভেস্টমেন্টের জন্য নয়
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন