এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • চিত্ত যেথা ভয় পূর্ণ নত যেথা শির! 

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৯৯৫ বার পঠিত
  • আমি যাই লিখে না কেন মনে মনে একটা আশা, মনের গহিনে একটা ক্ষীণ আশা থাকেই যে এগুলা কিচ্ছু হবে না, নিশ্চয়ই সামনে দারুণ কিছু হবে। ডক্টর ইউনুস নোবেল জেতা একজন মানুষ, তাও শান্তিতে নোবেলে পাওয়া মানুষ। তিনি দেশের ক্ষতি হবে এমন কিছু নিশ্চয়ই হতে দিবেন না। যদি বঙ্গোপসাগরে মার্কিন নৌ বাহিনীর ঘাটি শেষ পর্যন্ত হয়ই তাহলে আমাদের কতখানি লাভ আর কতখানি ক্ষতি হবে এইটা নিশ্চয়ই তিনি ভাববেন, ভেবেই সিদ্ধান্ত নিবেন। আমরা ছোট রাষ্ট্র, আমেরিকার সাথে পারব কেন? যদি নিজের লাভ বুঝে আমেরিকাকে এই অঞ্চলে জায়গা দেওয়া হয় তাহলে দিবে, সমস্যা নাই তো। বিচার বুদ্ধি, দুনিয়া জুড়ে উদাহরণ গুলো একটাও এই মতের পক্ষে না। যারাই জায়গা দিয়েছে তারাই সকাল বিকাল আকাশ ভরা তারা দেখছে, এইটা সত্য। জানি "মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম—তোমারি কি এমন ভাগ্য, বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম! তবুও তাও আশা করি যে আমাদের সব ভালো হবে, আমরা ঠিক টিকে যাব। কিন্তু হায়! আমি ভাবি এক আর রাষ্ট্র পরিচালনার কারিগরেরা ভাবে আরেক রকম। 

    হুট করেই বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে যা আমাকে ধাক্কা দিয়ে দিবাস্বপ্ন থেকে জেগে তুলেছে। সব ঠিক হবে, সব দেশের জন্য ভালো হবে বলে যে অলৌকিক স্বপ্ন দেখছি আমি তাতে এমন বড় ধাক্কা লেগেছে যে নিজের বিচার বুদ্ধির উপরেই বিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। কেন আমি এমন ভাবতে পারলাম! 

    আমাদের ছাত্র উপদেষ্টা নাহিদ পাকিস্তানের হাই কমিশনারের সাথে বৈঠক করেছেন। তিনি বলেছেন  তারা পাকিস্তানের সঙ্গে ১৯৭১ এর ‘প্রশ্নটির’ সমাধান করতে চান।' খুব ভালো কথা। এবার বিডি নিউজ থেকে কোট করছি, - "নাহিদ ইসলাম বলেন, “ইন্দো-মুসলিম সভ্যতার অংশ হিসেবে উপমহাদেশে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক ও সভ্যতাগত সম্পর্ক রয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক ও ভারসাম্যপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়া গড়তে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার প্রয়োজন৷" “মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবেও পাকিস্তানের জনগণের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের গভীর বন্ধন রয়েছে। যদিও বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি বাংলাদেশকে বিশেষত্ব দিয়েছে।”
    পাকিস্তানের সাথে ভাষা সংস্কৃতি দুইটাই আলাদা আমাদের। তাহলে ইন্দো মুসলিম সভ্যাতার অংশ হিসেবে আর কিসের সম্পর্ক থাকল আমাদের? ধর্ম ছাড়া আর কিছু? না! পরিস্থিতিটা বুঝাতে কি আমি সক্ষম হচ্ছি? 
    জামাতের মূল লক্ষ সব সময়ই ৪৭ সালের স্বাধীনতা! তারা ৪৭ এ ফিরে যেতে চায়। এই যে পরিস্থিতি এইটাকে কী দিয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব? একজনের কোন ধারণাই নাই স্বাধীনতা বিষয়টা কোন মাপের বিষয়, সে ৭১ সালের কী ঘটেছে তার মীমাংসা চায় পাকিস্তানের সাথে! 

    এর যে প্রতিবাদ হবে তা হয় নাই। কেউ করে নাই, মানে এই সরকারের পছন্দের জনগণ, নেতাকর্মী, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী সাহিত্যিক, কেউ না। গণকে আমার কোনদিনই পছন্দ না। গড্ডালিকা অর্থ হচ্ছে ভেড়া। গণ হচ্ছে ভেড়ার পালের মতো। আওয়ামীলীগ সরকারের সময় নানা অন্যায় হয়েছে, দুর্নীতি হয়েছে, চোখ বন্ধ করে সমর্থন দিয়ে গেছে। এখন ঠিক একই কাজ করবে এই মহান গণ! চিন্তা করবে না। এর ফলাফল ভাববে না। এরা যদি পাকিস্তানের সাথে কনফেডারেশন করতে দেখে তবুও বলবে বাহ! এই তো চাই! এই না হলে নতুন দিনের নতুন নেতৃত্ব! সমস্ত পুরাতন ভেদাভেদ ভুলে নতুন এক আগামীর স্বপ্ন দেখা শুরু করবে এই ভেড়ার পাল! আমি এক ফোঁটা বিশ্বাস করি নাই এই গণ মানুষকে। 

    পাকিস্তান খুশিতে আত্মহারা! হাই কমিশনার সুযোগ বুঝে বিচার দিয়েছে যে এত বছর তারা খুব অন্যায়ের শিকার হয়েছে, তাদেরকে ভিসা নিয়ে নানা সময় নানা জটিলতায় পড়তে হয়েছে। তারা সব সময়ই সম্পর্কের উন্নতি চায়। কিন্তু আওয়ামীলীগ খারাপ, তাই সম্পর্ক সব সময় খারাপ হয়েই ছিল! তিনি এই সময় জানান যে বাংলাদেশিদের পাকিস্তান যেতে কোন ভিসার দরকার হবে না, পাসপোর্ট নিবেন আর চলে যাবেন পাকিস্তান! পাক সার জমিন সাদ বাদ! 

    পাকিস্তানের ভিসা মুক্ত ভ্রমণ কেন আমাদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ তা বুঝতে হলে একটু পিছনে যেতে হবে। ব্দুর রহমান, মুফতি হান্নান, মুফতি হারুন ইজহার এই নাম গুলো পরিচিত লাগে? যদি না চিনে থাকেন তাহলে আমিই বলে দিচ্ছি, এরা হচ্ছে দেশের শীর্ষ জঙ্গি। এরা প্রত্যেকে পাকিস্তান হয়ে আফগানিস্তান গিয়েছে। গিয়ে ট্রেনিং নিয়েছে, ওইখানে তালেবানের হয়ে যুদ্ধ করেছে। দেশে ফিরে দেশকে আফগানিস্তান বানানোর মিশন নিয়েছে। এই কাজ গুলো পাকিস্তানের সমর্থন ছাড়া, সাহায্য ছাড়া কোনদিনই সম্ভব হত না। আমরা কেন মাথা চুলকাই পাকিস্তানের প্রেম দেখে, এখন বুঝা গেছে? এই নাম গুলো রীতিমত আতঙ্ক ছিল এক সময় এই দেশে। আবার এমন এক দিনের দিকেই দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। 

    আমি অতি কল্পনা করছি মনে হচ্ছে? আমি শুরুতেই লিখেছি বেশ কয়েকটা ঘটনা ঘটেছে যা আমার ঘুম হারাম করে দিয়েছে। আমি এত আতঙ্কিত সম্ভবত আর কোনদিনই হই নাই। দ্বিতীয় কারবারটা শুনেন এবার। গত রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনার বিষয় হচ্ছে ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। আয়োজক হচ্ছে ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ এরা কে আল্লাই জানে, নাম শুনি নাই  কোনদিন। নাম না শুনলেও কাজ শুনেই চিনে ফেলা যায় এরা কারা। কারণ এই আলোচনা সভায় পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হয়েছে সামান্যই। আলোচনা চলেছে ‘ইসলামি খেলাফত’ প্রতিষ্ঠা নিয়ে! খেলাফত নিয়ে মাতামাতি করে কে? হিজবুত তাহরীর। বুঝেন এবার! 

    হিজবুত তাহরীর বহু আগে থেকেই এই দেশে খেলাফতের জন্য আন্দোলন করে আসছে। ২০১০ সালে তারা একটা খেলাফত রাষ্ট্রের খসড়া সংবিধান তৈরি করে। সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্যক্রমে এই জিনিস পড়ার সুযোগ হয়েছে আমার। যে ভয়ংকর পরিকল্পনা তারা করেছে তাতে আওয়ামীলীগ সরকারকে দুইবার ভাবতে হয়নি তাদের নিষিদ্ধ করতে। কিন্তু এই নিষিদ্ধ সংগঠন এখন মিটিং করছে, খেলাফতের রাস্তা নিয়ে আলোচনা করছে। আর পাকিস্তান ভিসা মুক্ত প্রবেশাধিকার দিচ্ছে!  আমার দুই চোখে অন্ধাকার দেখা জায়েজ আছে? 

    আমরা ছোটবেলায় এই সব কাণ্ড দেখছি। আমাদের ছোট শহর শেরপুরে মিছিল হত, আমরা সব তালেবান দেশ বানাব আফগান! তখন অত বুঝতাম না। আশ্চর্য হতাম, দেশকে আরও কত উন্নত দেশ আছে তা না বানাইতে চায়া আফগানিস্তান কেন বানাইতে চায়! বুঝি নাই গুঢ় রহস্য। এখন বুঝি, জানি যে কেন দেশকে আফগানিস্তান বানাইতে চায় একটা শক্তি! নানা কৌশলে এই অপশক্তিটাকে চেপে রেখেছিল আওয়ামীলীগ সরকার। এখন সবাই স্বাধীন! জেলের কুখ্যাত আসামিও স্বাধীন, জঙ্গিও স্বাধীন, সবাই স্বাধীন! 

    আওয়ামীলীগ সরকার নানা ভুল করেছে। সঠিক যা করেছে তার মধ্যেও ভুল ছিল। এই তরিকার ভুল গুলোর মধ্যে বড় ভুল হচ্ছে দেশে যে জঙ্গি আছে, তারা যে তৎপর এই সত্যটাকে জনগণকে পরিষ্কার করে বুঝাইতে পারে নাই। তারা এমন সব কাজ করেছে সবাই ভাবছে নাটক করছে। এইটাকে একদম পানির মতো পরিষ্কার করে বুঝানো উচিত ছিল। দেশে জঙ্গি তৎপরতা আছে এইটা নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় ছিল। ভাবত এইটা বোধহয় সরকারের চাল একটা বিরোধীদলকে চাপে রাখার। এক শিবির কর্মীর লেখা পড়লাম, তিনি নিজেও দেশে কোন জঙ্গি নাই, সব ভাঁওতাবাজি ধরেই ছিলেন। নিজে জেলে গেলে এক ছেলের সাথে দেখা, রিগ্যান নামের ওই ছেলেকে কল্যাণপুর থেকে ধরেছে পুলিশ। সে দেখে রিগ্যান খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে আসছে। তো সে সান্ত্বনা সুলভ কথাবার্তার জন্য এগিয়ে গেছে, গিয়া বলছে, আহা, তোমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে এইভাবে পঙ্গু করে দিল! ও উত্তরে বলল যে না সে আসলেই দায়েশ করে। এই কথা শুনে ওর চমকে উঠার পালা! দায়েশ অর্থ হচ্ছে দাওলাত আল-ইসলামিয়াহ ফাআল-ইরাক ওয়া আল-শাম যার আরেক নাম হচ্ছে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া’ বা আইএসআইএস বা আইসিস! এই শিবির কর্মী আরও লিখেছে যে এরপরে আরও কয়েকজনের সাথে কথা হয়েছে ওর, তারাও কেউই অস্বীকার করেনি যে তারা জঙ্গি সংগঠনের সাথে জড়িত! শুধু এই ছেলে না, আমার কত পরিচিত মানুষ সব আওয়ামীলীগের বানানো নাটক বলছে। শিবিরকেই তো স্বীকার করে নাই অনেকে। বলছে হু, দেশে শিবির আছে না? নাহ! নাইরে ভাই! সব বানানো নাটক। এখন এরা কই থেকে আসছে? কবর থেকে উঠে আসছে? 
    শিবিরের নানা নেতাকর্মীর পোস্ট এখন সামনে আসছে। তারা কীভাবে, কোন কৌশলে আন্দোলনের সময় সরকারকে ধোঁকা দিয়েছে, কী কোড নেম ব্যবহার করেছে। কোন কবিতার লাইনের কী অর্থ ছিল ইত্যাদি! অথচ ভেড়ার পাল এখনও বিপুল বিক্রমে দেশে শিবির নাই, জঙ্গি নাই বলে যাচ্ছে। 

    ভারত বিদ্বেষ এখনও চরম তুঙ্গে। বলা হচ্ছে যারা ভারত বিরোধিতা না করবে তারা দেশপ্রেমিক না! কোন বিকল্প নাই! বুঝেন এখন! সেতু উপদেষ্টা পদ্মা সেতুর টাকা বাঁচিয়ে কত বড় কাজ করছে এই কৃতিত্ব নেওয়ার পরে গতকাল বলছে পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ জনগণের কোন উপকার হয় নাই! এই বিষয়টাও বুঝতে হবে আপনাদের। পদ্মা সেতুতে রেললাইন হলে কেন জনগণের উপকার হবে না? পশ্চিম, দক্ষিণ বঙ্গের ওই অংশ পুরোটা রেলের আওতায় এসে যাচ্ছে, এইটা ভালো না? না! কেন? কারণ বহুদিন ধরেই একটা গুজব বাতাসে ঘুরছে এই রেল লাইন বানানোই হচ্ছে ভারতের ট্রেন যেন সোজা কলকাতা থেকে ঢাকা আসতে পারে এই জন্য! দেশের উপর দিয়ে রেল করিডর দেওয়ার কথা এই জন্যই এই পদ্মা সেতুতে রেলের ব্যবস্থা, অনেকে আরও একটু এগিয়ে বলে পদ্মা সেতু বানানোর জন্য সরকারের যে এত প্রবল ইচ্ছা ছিল তা এই কারণেই, ভারতকে দেশের ভিতর দিয়ে রেল করিডর দেওয়া! খুলনা, যশোর, বরিশাল জেলার মানুষকে কেউ জিজ্ঞাস করে না কেন এই সেতু কেন বানাইছে? জীবনে দুই একবার যে ওইদিকে গেছি, তাতেই গলা ছেড়ে কান্না আসছে যে কেন সেতু নাই! ফেরির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকে এই অঞ্চলের মানুষ। আমি অবাক হয়ে গেছি এই কারবার দেখে! যাদের সুযোগ থাকে তারা লঞ্চে যাতায়াত করত তখন। কিন্তু সবার তো সেই সুযোগ ছিল না। যশোর, খুলনা, বাগেরহাট এরা কই যাবে কী দিয়া যাবে? না, সেতু বানাইছেই ভারতের জন্য! ওই যে বিলো অ্যাভারেজ আইকিউ! এই কথার পরে এখন উপদেষ্টার বুদ্ধিও মাপতে পারেন আপনারা, কোন সমস্যা নাই! 

    একই সাথে তুঙ্গে আছে হিন্দু বিদ্বেষ। আমাদের শেরপুরেই একটা পুজা মণ্ডপ ভেঙ্গে দিয়েছে কেউ! সদরে না, পাশের উপজেলায়। রাতের আধারে কেউ এই কাজ করে চলে গেছে। সামনে দুর্গা পূজা এইটা যেন মনে করায় দিল এই ভাঙ্গাভাঙ্গি। হিন্দু বিদ্বেষ শুধু এখানেই শেষ না। একটা স্কুলের শিক্ষকদের তালিকা অনলাইনে ঘুরছে খুব। সবাই হিন্দু আর সবাই আত্মীয়! আশ্চর্য হওয়ার মতো না? আমি বুঝতে চাইলাম কাহিনী কী? স্কুলের প্রধান শিক্ষক একটা বিবৃতি দিয়েছে। তিনি বলছেন এইটা সত্য যে এখানের সবাই আত্মীয়। কিন্তু এরাই সব না, মুসলিম শিক্ষকও আছে যাদের নাম দেওয়া হয় নাই ওই তালিকায়। আর এতজন হিন্দু আত্মীয় স্বজন এক স্কুলে কী করছে? তিনি বলছেন এই স্কুলের কোন শিক্ষকই ছিল না। এরা সবাই শিক্ষিত, এরা এতদিন বিনা বেতনে এই স্কুলে পড়িয়েছে। এখন যখন স্কুল এমপিও ভুক্ত হয়েছে তখন সবার মাথা নষ্ট হয়ে গেছে! এঁরা যে এতদিন বেনা বেতনে পড়াল তার কোন স্বীকৃতি নাই বরং তাদেরকে প্রশ্নের সামনে ফেলে দেওয়া হচ্ছে! বুঝেন এখন! ওই শুলের জমিও তাঁদেরই দেওয়া তবুও এখন প্রশ্ন করা হচ্ছে কেন তারা এতগুলো হিন্দু শিক্ষক এক স্কুলে! বলা হচ্ছে দেখেন আওয়ামীলীগের চক্রান্ত! আচ্ছা, এইটা চক্রান্ত হবে কেন? দুর্নীতির কথা বলতে পারত কিন্তু চক্রান্ত? এইটাই হচ্ছে সত্য! চক্রান্ত। দেশকে হিন্দুদের, ভারতকে বিক্রির চক্রান্ত! মুখের কথায় ট্যাক্স নাই, বলে দিলেই হল! যারা সমানে সাত বোন খেয়ে দিবে মুরগির গলা দিয়ে তাদেরকে একজন দেখলাম একটা ভালো জবাব দিয়েছে, ভারত থেকেই কেউ হয়ত। তিনি উল্টা দেখিয়েছেন আমাদের চট্টগ্রামের সাথে যে চিকেন নেক সেই অংশ!ত্রিপুরা থেকে মাত্র পঁচিশ কিলোমিটার নিয়ে নিলেই এদিকের পুরো অংশ ভারতের হয়ে যাবে! এইটা কোন কথা! এইভাবে কেউ বলে! 

    কুমিল্লার দিকে আওয়ামীলীগের এক নেতাকে মেরে ফেলছে সীমান্ত পার হওয়ার সময়। দালালেরাই মেরে ফেলছে বলে ধারণা করছে সবাই। বিএসএফ লাশ ফেরত দিয়েছে। পরিবার থেকে বলা হচ্ছে তার কাছে ছিল দুই কোটি ডলার! ধারনা করছে এই টাকার খোঁজ পাওয়াতেই তাকে মেরে টাকা নিয়ে ভেগেছে দালাল চক্র। এত টাকা! লোভ সামলানো একটু কঠিনই। শেরপুরের এক নেতার গল্প শুনলাম। পালানো শুরু হতেই তাকে তার নেতা বলছে তুমি যদি আমাদের সাথে যেতে চাও তাহলে যেভাবে বলব সেভাবে যেখানে যখন বলব সেখানে চলে আসবা। কীভাবে যেতে হবে? এক কাপড়ে বের হতে হবে, সাথে কম দামি একটা মোবাইল থাকবে, পকেটে স্রেফ দুইশ টাকা থাকবে! রাত আটটায় নালিতাবাড়ির এক স্কুলের সামনে থাকতে বলেছিল। তিনি না পালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় যাওয়া হয় নাই। দশ বারো লাখ টাকা চাঁদা দিয়ে বাড়িঘর, দোকান বাঁচিয়েছেন! সিনেমাময় জীবন না জীবনময় সিনেমা? 

    এত অসহায় লাগে নাই কোনদিন। রোমানিয়া থেকে চলে আসার সময় নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটু আধটু চিন্তা হয়েছে। তারপরেও একবারের জন্যও ভাবি নাই ভুল করছি। সরকার পতনের পরে একটু আতঙ্কে থেকেছি, আছি। কিন্তু তবুও মনে হয় নাই আমি দেশে ফিরে ভুল করেছি কোন। জামাতের জন্য ভয় পাচ্ছি এইটা সত্য। সর্তক আছি এইটাও সত্য। তবুও মনে হয় নাই যে দেশে কেন আসলাম। কিন্তু খোদার কসম, এই দুইদিনের কার্যকলাপ আমাকে বারবার ভাবতে বাধ্য করছে যে পায়ের জন্য চলে আসছি সেই পা কেটে ফেলে দিয়ে হলেও দেশের বাহিরেই থাকা উচিত ছিল আমার। সামনে যেদিকে এগুচ্ছে দেশ সেই দেশে অন্তত আমার কোন স্থান নাই এইটা আমি নিশ্চিত হয়ে গেছি। এমন দম বন্ধ লাগে নাই কোনদিন। আমার কাছে মনে হচ্ছে নিঃশ্বাস নিতে পারছি না। এ কেমন অনুভূতি? কেউ আমার নামে কোন অভিযোগ করে নাই, কারও সাথে আমার কোন তর্ক হয় নাই। শেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আমাদের বন্ধু মানুষ। এক সাথে এক ক্লাবে খেলছি। ওর সাথে আমার স্মরণীয় জুটিও আছে ব্যাটিঙে। ওর সাথে বসে সেদিন অনেকক্ষণ আলাপও করলাম। ও নিঃসন্দেহে ভালো মানুষ। যার কারণে এত বছরে আওয়ামীলীগও ওর কোন ক্ষতি করে নাই। টুকটাক করে ঠিকাদারি করে চলেছে। এরা কোনদিন আমার কোন ক্ষতি করবে না এইটা আমার বিশ্বাস আছে। এমন আরও অনেকেই আছে, কিছু জানতে হলে, কোন বইয়ের খোঁজের জন্য সবার আগে খোঁজ করে আমার। 
     
    তবুও, একাবারের জন্যও কেন আমি স্বস্তি পাচ্ছি না? কেন মনে হচ্ছে গলায় পা দিয়ে চাপ দিচ্ছে কেউ আমাকে? আমি অতিরিক্ত করছি? হিজবুত তাহরীরের খেলাফত সংবিধানের লিংক দিচ্ছি, নিজেরাই একটু পড়ে দেখুন কেন একজন সুস্থ মানুষ ভয় পাবে এই জিনিস পড়ে। কেন হিজবুত তাহরীরের নাম শুনলেই কলিজা কেঁপে উঠে আমাদের। আমি লিখে বুঝাতে পারলাম কি না জানি না। পাকিস্তানের সাথে নাহিদের আলাপসালাপ আমাকে রীতিমত অসুস্থ করে দিয়েছে! আমি জানতাম এমনই হওয়ার কথা ছিল কিন্তু যখন হতে যাচ্ছে তখন কেঁপে উঠতে হচ্ছে শুধু। অলৌকিকে বিশ্বাস নাই, তাই হুট করেই সব ঠিক হয়ে যাবে এমন আশা করার কোন কারণ দেখি না। দীর্ঘশ্বাস ফেলে যে কয়দিন বেঁচে আছি সে কয়দিন বেঁচে থাকতে হবে, এই আর কী! চিত্ত যেথা ভয় পূর্ণ নত যেথা শির, এই হল বেঁচে থাকার সূত্র! সাহস দেখানো যাবে না আর মাথা উঁচু করা যাবে না। এই করতে পারলেই টিকে যাওয়া যাবে হয়ত। 
     
     
     
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৯৯৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • aranya | 2601:84:4600:5410:e8c9:bffb:f233:bc58 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৪:৪৭537234
  • 'তিনি বলেছেন  তারা পাকিস্তানের সঙ্গে ১৯৭১ এর ‘প্রশ্নটির’ সমাধান করতে চান।' 
     
    - কি এই প্রশ্ন ? 
     
    'পাকিস্তানি পরাধীনতা থেকে মুক্ত হতে ১৯৭১ সালে নয় মাস ব্যাপী সশস্ত্র লড়াই করেছিল বাংলাদেশের জনগণ। তখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী নির্যাতনে ৩০ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল বলে ইতিহাসে লেখা রয়েছে।
    সেই গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাওয়া এবং আন্তর্জাতিক মহলের কাছে ওই গণহত্যার স্বীকৃতি দাবি করে আসছে বাংলাদেশ'
     
    -  বিডি নিউজ এর আর্টিকলে ওপরের লাইন গুলো দেখে ভাল লাগল। নাহিদ, আশা করি, এই ইতিহাস জানেন 
  • &/ | 107.77.237.227 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৬:৩১537239
  • এই সাইটে আসা প্রতিটি লোকের এই সিরিজ পড়া উচিত।  কোনো  দেশই  বিপদের বাইরে নয়, সতর্ক থাকতে হবে  সবাইকেই । যে কোনো মৌলবাদকে  চাপে না রাখলে ঘোর বিপজ্জনক দিকে যেতে পারে 
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:৪৮537248
  • চুপ করে বসে থাকতে হয় এই সিরিজটা পড়ে। বাতাস এমনই ঘন হয়ে আসে। 
  • কিংবদন্তি | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:১০537259
  • অরণ্য দা, নাহিদের ইন্টেনশন তা বলে না যে তারা মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে, মাফ চাইতে বলবে। শুধু মাফ তো না, আমরা তো অনেক হিসাব নিকাশও চাইব, সে বিষয়ও আছে। কিন্তু এরা বলছে আমাদের প্রথম স্বাধীনতা ১৯৪৭! আর ইতিহাস জানা যে কোন বাঙালিই জানে যারা প্রস্তুত হওয়ার তারা ৪৭ সাল থেকেই আসল স্বাধীনতার জন্য তৈরি হয়ে গেছিল। কর্নেল তাহের মেজর আনোয়ার হোসেনকে ওই সময়ই বলছিল তৈরি হও, এবার দেশকে স্বাধীন করতে হবে! মেজর আনোয়ার তখন বুঝে নাই, বলছে আমরা তো স্বাধীনই, আবার কিসের স্বাধীনতা? তাহের বলছে এইটা কোন স্বাধীনতা না, স্বাধীন হবে বাংলাদেশ! এমন বহু নজির আছে। যারা জানত এইটা স্বাধীনতা না। আমরা যারা বিশ্বাস করি বাঙালি জাতীয়তাবাদে, তারা ১৪ আগস্টকে বাংলা ভাগ দিবস হিসেবে চিন্তা করি, আমাদের প্রথম স্বাধীনতা দিবস না। কিন্তু এদের সুর ভিন্ন, এরা ইন্দো ভারতীয় সভ্যতার মাঝে পাকিস্তান বাংলাদেশের মাঝে যোগ সূত্র খুঁজছে। যোগ সূত্র একটাই ধর্ম। যারা ধর্মের কথা ভেবে ত্রিশ লক্ষ মানুষকে মারতে দ্বিধা করেনি এবার আমরা সেই ত্রিশ লক্ষকে ভুলে ইসলামের পতাকা তলে জমায়েত হব! 
  • পাপাঙ্গুল | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৩৮537265
  • কালকে পাকিস্তানের ভিসা তুলে দেবার খবরটা দেখেই পুরোপুরি সিঁদুরে মেঘ মনে হয়েছিল
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৪৫537266
  • সচলে যখন 'পাকমনপেয়ারু' শব্দটা প্রথম শুনি, তখন মনে করেছিলাম খিল্লি। কিন্তু এখন তো দেখছি ঘোরতর বাস্তব, এমনকি ক্ষমতায় উঠে এসেছে ওরাই! বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ হবার ব্যাপারটা মনে হয় অনেক পিছিয়ে গেল।
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০০:৩৩537270
  • কয়েক বছর আগে বাংলাদেশের জাতীয়-সঙ্গীত 'আমার সোনার বাংলা' নিয়ে নানা তর্কবিতর্ক আপত্তি ইত্যাদি দেখে মনে করেছিলাম নিতান্তই সামান্য ব্যাপার, এটা হতেই পারে না। এখন সেই গোষ্ঠীই কিনা এসে গেছে গদিতে!
    (তবে বাংলাদেশ ১৯৭১ এর পরেও অনেক উত্থানপতনের মধ্য দিয়ে গেছে, অবিশ্বাস্য হৃদয়বিদারক বঙ্গবন্ধুহত্যা সেখানে হয়েছে, ক্ষমতায় এসেছে উল্টোপাল্টা গোষ্ঠী। আশা করছি এই অন্ধকারও পার হয়ে যাবে। )
  • NRO | 165.124.84.35 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৩২537271
  • Deccan Herald: Leaderless and lost: Awami League faces its darkest hour as it struggles post Hasina’s exit

    Hasina’s decision to flee rather than face the crisis has been criticised by party insiders as a betrayal, leaving many of her closest allies feeling abandoned and disillusioned.

    Party’s second-in-command Obaidul Quader – who too is on the run after the August 5 uprising, just like other senior leaders – has been implicated in orchestrating violent crackdowns on protesters, leaving the party without a clear successor.
    Other potential leaders within the Awami League, such as Assauduzamman Khan Jamal and Hasan Mahmud, were detained while attempting to flee the country. They have either been implicated in the recent turmoil or gone into hiding to escape the backlash, with many facing legal challenges and public ire.
  • Guru | 2409:4060:eb9:e575:b3d3:927c:9f0a:e687 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৬:৫৮537274
  • @কিংবদন্তী ,                                                                           বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের ১৯৭১ নিয়ে post apartheid দক্ষিণ আফ্রিকার মতো একটা truth and reconciliation commission দরকার l হাসিনার আমলেও এরকম একটা প্রস্তাব ছিলো যেটা রাজনীতির কারণেই বাতিল হয় l আমার মনে হয় এরকমই কিছু নাহিদ বলছেন l এতে ভয়ের কারণ কেন ?
  • Guru | 2409:4060:eb9:e575:b3d3:927c:9f0a:e687 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৭:০৯537275
  • @কিংবদন্তি ,                                                                            ৪৭ সালের সঙ্গে কর্নেল তাহিরের বক্তব্যটি ঠিক বুঝলামনা l আমি যতদূর জানি কর্নেল তাহির (ক্রাচের কর্নেল তাহির ) যদি কর্নেল হয়ে থাকেন তো তাকে পাকিস্তানে আর্মি তেই কমিশনড অফিসার করা হয়েছিলো যেটা ১৯৪৭ এর অনেক পরে l তাহলে  ১৯৪৭ সালে উনি কি করে কর্নেল হলেন ? 
  • কিংবদন্তি | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:০৭537286
  • দুঃখিত, হয়ত বুঝাতে বয়া আমার লেখাতে ভুল হয়েছে। কর্নেল তাহের তখন কর্নেল ছিলেন না। উনি আর্মিতে কমিশনড হওন ৬২ সালে। আমি বলতে চাইছি উনি তখনই দেশ স্বাধীনের কথা বলেছেন যা সরাসরি অনেকেই তখন বলে নাই বা চিন্তা করে নাই। হেল কমান্ডো নামে একটা বই আছে, এক কমান্ডো অফিসারের লেখা। তিনি সেই বইয়ে এই কথা লিখেছেন। 
     
  • Guru | 115.187.51.183 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৫৪537287
  • @কিংবদন্তি,
     
                         অনেক ধন্যবাদ অনেক নতুন তথ্য দেবার জন্য | যদিও ১৯৪৭ থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা ভাবছিলো কিছু মুক্তিযুদ্ধ পক্ষের মানুষ , এটি মেনে নিলে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর উপরে ১৯৪৭-৭১ কলোনিয়ালিজমের দোষ চাপানো খুবই কঠিন | যারা জন্মলগ্ন থেকেই ভারতের সাহায্য নিয়ে বিদ্রোহের কথা ভাবে তারা তাহলে পাকিস্তান প্রস্তাব আনতে গেছিলো কেন ? 
     
                         আপনি যে লিংকটা দেছেন সেই অনুযায়ী নাহিদের ১৯৭১ নিয়ে এই বক্তব্য কিন্তু খুব ভুল নয় বলেই মনে করি | নাহিদ ইসলাম বলেন, “আওয়ামী লীগের আদর্শে ১৯৭১ ছিল ‘ইতিহাসের শেষ অধ্যায়’। কিন্তু আমরা মনে করি এটি ইতিহাসের ধারাবাহিকতা।…আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে ৭১ এর প্রশ্নটির সমাধান করতে চাই। একটি গণতান্ত্রিক দক্ষিণ এশিয়ার জন্য পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করা প্রয়োজন বলে মত দিয়ে নাহিদ বলেন, “আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থকে সমুন্নত রেখে যে কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী।" 
     
                      দেখুন ১৯৪৭ আর ১৯৭১ বাংলাদেশের ইতিহাসে দুটো মাইলস্টোন | এই ব্যাপারটা নিয়ে অনেক রক্তপাত বাঙালী দেখেছে আরো হয়তো দেখবে | ১৯৪৭ আর ১৯৭১ পন্থীরা একে অন্যকে সহ্যই করতে পারেননা | বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটি সার্বিক উন্নয়নের জন্য ঠিক নয় | হয়তো এইজন্যই একটা post apartheid দক্ষিণ আফ্রিকার মতো একটা truth and reconciliation commission হয়তো বাংলাদেশের দরকার | নাহলে বাংলাদেশ কিন্তু শুধু মুক্তিযুদ্ধ পন্থী ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী এই দুটো দলে বিভক্ত হয়ে একে অন্যের সাথে লড়ে যাবে , রক্ত ঝরবে এবং আম্রিকা ভারত চীন পাকিস্তান সবাই এর সুযোগ নেবে | কাজেই আমি মনে করি একটা post apartheid দক্ষিণ আফ্রিকার মতো একটা truth and reconciliation commission বাংলাদেশের দরকার |
  • r2h | 208.127.71.8 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৩৮537294
  •  
    • Guru | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৫৪
    • ...পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর উপরে ১৯৪৭-৭১ কলোনিয়ালিজমের দোষ চাপানো খুবই কঠিন | ...
    সত্যিই তো, ব্যাদড়া লোকজনকে শায়েস্তা করার জন্য একটা জেনোসাইড চালালেই দোষ দেওয়া যায় নাকি।

    আর রিকন্সিলিয়েশন - কিসের রিকন্সিলিয়েশন? পাকিস্তান তাদের জেনোসাইডের দায় স্বীকার করেছে বা মার্জনা প্রার্থনা করেছে এমন তো শুনিনি। রিকন্সিলিয়েশনটা কীসের ভিত্তিতে হবে?
    (মনে পড়লো, এইটা অনেক বছর আগে দমদি বলেছিল।)
  • Guru | 2409:4060:eb9:e575:b3d3:927c:9f0a:e687 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:২৩537310
  • @r2h,                                                                            জেনোসাইডের ব্যাপারটির সঠিক নিষ্পত্তির জন্যই দরকার truth and reconciliation commission ঠিক যেমন post apartheid দক্ষিণ আফ্রিকাতে হয়েছিলো l পাকিস্তানের বহু মানুষ ১৯৭১ এ সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে লিখেছেন l হামিদ মীর  একজন খ্যাতনামা পাকিস্তানী সাংবাদিক যিনি এবং যার বাবা দুজনেই ১৯৭১ সালের এই ব্যাপারটাতে পাকিস্তানী সামরিক শাসকের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করে অনেক লিখেছিলেন l উনি হাসিনা সরকারের থেকে এই জন্যে পুরস্কৃতও হয়েছিলেন l এইরকম লোকেরা থাকতেই পারেন এধরণের কমিশনে l তবে ভারতপন্থীরা বর্তমানে বেশ বিতর্কিত বর্তমান গণআন্দোলনে দমনপীড়ন কে সমর্থনের জন্যে , কাজেই এরা যেন এই ব্যাপারটি থেকে দূরে থাকেন l                                জেনোসাইড নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক বেশি জোরদার হতে পারে যদি বাংলাদেশের ভারতপন্থীরা এই নিয়ে নিউট্রাল হয়ে যান l জেনোসাইড ব্যাপারটি পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের l ভারতের এই ব্যাপারে সম্পৃক্ততা বিতর্কের সৃষ্টি করবে l 
  • Guru | 2409:4060:eb9:e575:b3d3:927c:9f0a:e687 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৩৪537311
  • @r2h,                                                                            রিকন্সিলিয়েশন দরকার বাংলাদেশের নিজের স্বার্থেই l ১৯৭১ বাংলাদেশের মধ্যে একটা কঠোর মেরুকরণ করে রেখেছে , দুই পক্ষই এই ব্যাপারে চরম অবস্থান নিয়ে নিয়েছে l এই মেরুকরণকেই কাজে লাগাচ্ছে আম্রিকা ভারত চীন সবাই l সেটা আটকানোর জন্যই ১৯৭১ নিয়ে truth and reconciliation commission দরকার , ঠিক যেমন post apartheid দক্ষিণ আফ্রিকাতে হয়েছিলো l এই ব্যাপারে চরমপন্থী কোনো অবস্থানই বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে , বাংলাদেশের জন্যে ঠিক নয় l 
  • r2h | 208.127.71.80 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৪১537312
  • রিকন্সিলিয়েশন শব্দটা এই ক্ষেত্রে আপত্তিকর - তার আগে গণহত্যাকারীকে গণহত্যার দায় স্বীকার করতে হবে। ভারতের সম্পৃক্ততা বিতর্কের সৃষ্টি করলেও, সম্পৃক্ততা একটি ঐতিহাসিক সত্য। গণহত্যার শিকার হওয়া থেকে বাঁচার জন্য বিপুল সংখ্যক শরণার্থীকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে -সেটা ভারতের মত গরীব দেশের জন্য বড় চাপ ছিল। সেসব ঐতিহাসিক সত্যি। এবং ঐ সম্পৃক্ততা তৎকালীন মহাশক্তিধর পশ্চিমের দেশগুলির রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ভারত করেছিল।

    তাতে বিতর্ক সৃষ্টি হবে কিনা, কেউ সে সবকে লঘু করতে চাইবে কিনা, গণহত্যা উপেক্ষা করে 'নিরাবেগ' রিকন্সিলিয়েশন চাইবে কিনা, সেসব অন্য জিনিস।
  • অয়নেশ | 2402:3a80:4304:5a2a:278:5634:1232:5476 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৪৭537313
  • র২হ  এর সাথে সম্পূর্ণ সহমত। যে শরণার্থীরা ভারতে এসেছেন সেই বিপুল জনগোষ্ঠী প্রত্যক্ষভাবে জেনোসাইডের ক্ষত আজও বহন করে চলেছেন। তাঁদের হক রয়েছে এই নিয়ে প্রশ্ন রাখার। এশুধু বর্তমান বাংলাদেশী মানুষের অধিকারের মধ্যে কোনোভাবেই সীমিত হতে পারে না। 
  • Guru | 2409:4060:eb9:e575:b3d3:927c:9f0a:e687 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৫৪537315
  • @r2h ও কিংবদন্তি ,                                                                             বাংলাদেশ ১৯৭১ জেনোসাইডের ব্যাপারে দাবি অনেকটাই জোরদার হবে যদি ICJ তে ইসরায়েল গাজাতে যে জেনোসাইড করছে সেটা নিয়ে খুব জোরদার অবস্থান নিতো যেমন দক্ষিণ আফ্রিকা বা নামিবিয়া করেছে l এতে বাংলাদেশেরই ১৯৭১ নিয়ে ক্রেডিবিলিটি বাড়তো l হয়তো এটা শুধু সিম্বলিক হতো কিন্তু সিম্বলিক ব্যাপারের দামও কম নয় আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে l পাকিস্তানের মধ্যে বর্তমানে অনেক ভয়েস আছেন যারা ১৯৭১ সালের সামরিক শাসকের ভূমিকার ঘোর সমালোচক l পাকিস্তানের এদের হাত শক্ত করবার জন্যে বাংলাদেশের ইসরায়েলের গাজা জেনোসাইড নিয়ে শক্ত অবস্থানের দরকার ছিলো l কিংবদন্তি কিন্তু কোকা কোলা নিয়ে একটা লেখা পড়ে আমার মনে হয়েছিলো বাংলাদেশের মুক্তমনা বাঙালী জাতীয়তাবাদী সেক্যুলার ভারতপন্থী লোকজন ইসরায়েলের গাজা জেনোসাইডের ব্যাপারটা নিয়ে সেরকম সিরিয়াস নয় যতটা আবেগী ১৯৭১ নিয়ে l 
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৫৬537316
  • ঘাতকদের দিয়ে গণহত্যার দায় স্বীকার করানোতো তো দূরের কথা, এরা এখন নাকি বলছেন ত্রিশ লক্ষ শহীদ ব্যাপারটাই নাকি ঠিক না। ওটা নাকি তিন লক্ষ হবে।
    রিকন্সিলিয়েশন! কীসের রিকন্সিলিয়েশন?
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:০০537317
  • আশ্চর্য ব্যাপার! নিজের দেশের ভয়ানক একটা গণহত্যা নিয়ে জোরালো অবস্থানের প্রিরিকুইজাইট বহু দূর অন্য দেশের ঘটনার জন্য অবস্থান নেওয়া!!! এ কি বক দেখানো নাকি?
  • কিংবদন্তি | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:০১537318
  • শুধু তো তাই না। গণহত্যা তো শুধু দেশের ভিতরে যাদেরকে হত্যা করেছে তা না। এর প্রভাবে দেশ ত্যাগ করে যারা শরণার্থী হয়েছে, হয়ে মারা গেছে তাদেরকেও হিসাবে নিতে হবে না? ত্রিশ লক্ষ মানুষ হিসাবটা কোথা থেকে আসছে? দুই মাসে শেখ হাসিনা সরকার হাজার খানেক মানুষ মেরেছে বলা হচ্ছে, তা দেখেই আঁতকে উঠছি সবাই। একবারের জন্যও মনে হয় না নয় মাসে ত্রিশ লক্ষ মানুষ মারার সময়টা কেমন ছিল? কেন মুক্তিযোদ্ধারা যারা বেঁচে আছে তারা পাকিস্তানের সাথে যে কোন ধরনের সম্পর্ক দেখলেই মানতে পারে না। যারা ওই সময়টা পার করেছেন তারা কেন গণহত্যার বিচার চায়? রিকন্সিলিয়েশন! যারা আজ পর্যন্ত নিজেদের অপরাধ স্বীকার করল না তাদের সাথে রিকন্সিলিয়েশন! আরে সদ্য খবরটা দেখেন না, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ 'বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙাকে পাকিস্তানের বিরোধিতার উচিৎ শিক্ষা' বলে মন্তব্য করেছেন। এর উত্তরে আমরা বলব যে আসেন রিকন্সিলিয়েশন করি! আবদারের একটা লিমিট থাকা উচিত! 
  • r2h | 208.127.71.80 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:০৪537320
  • এ মানে আজব খোরাক। জেনোসাইডের ব্যাপারে দাবি মানে? ক্রেডিবিলিটি বাড়ানোর জন্য চেকবক্সে টিকমার্ক দিতে হবে? বাংলাদেশের মানুষ ১৯৭১ নিয়ে আবেগী হবে সেটাই স্বাভাবিক। গাজার লোক গাজা নিয়ে, হলোকস্ট ভিক্টিমরা নাজি জমানা নিয়ে আবেগী হবে সেটাই স্বাভাবিক। একটা গরীব দেশ, দুদিন পর পর ঝড় ঝঞ্ঝা খাদ্যাভাব ডিক্টেটর মৌলবাদীর উৎপাতে জেরবার একটা দেশের মানুষকে পশ্চিমের সহানুভূতি কেনার জন্য, সেই পশ্চিম, যারা কেউ কেউ তাদের উৎপীড়কদের সরাসরি সহায়তা করেছে - গণহত্যা বিষয়ে তাদের রবার স্ট্যাম্প অর্জন করার জন্য এদিক ওদিক ব্রাউনি পয়েন্ট কালেক্ট করতে হবে।
    তা ভালো।
  • Guru | 2409:4060:2e49:112c:63ae:e0bf:12d0:6d65 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:০৬537321
  • Guru | 2409:4060:2e49:112c:63ae:e0bf:12d0:6d65 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:১৩537322
  • @r2h,                                                                            পাকিস্তানের মধ্যেও অনেক ভয়েস আছে যারা ১৯৭১ সালের সামরিক শাসকের নিন্দা করেন l উপরের ভিডিও টা দেখতে পারেন সেজন্যে l কিন্তু পুরো ব্যাপারটিতে ভারতের ভূমিকা সত্যি বিতর্কিত যেমন কিংবদন্তি দাবি করছেন ১৯৪৭ থেকেই ভারত চেষ্টা করছিলো বাংলাদেশের কিছু মানুষের মাধ্যমে পাকিস্থানকে ভেঙ্গে দেবার , সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের যাঁরা ১৯৭১ সালের সামরিক শাসকের ভূমিকার নিন্দা করেন তাদের কাজ কঠিন হয়ে যায় l জেনোসাইডের স্বীকৃতিটা পেতে হবে পাকিস্তানের মানুষের থেকেই l ভারতের ভূমিকা এক্ষেত্রে অনেক জটিলতার সৃষ্টি কোরবে l
  • Guru | 2409:4060:2e49:112c:63ae:e0bf:12d0:6d65 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:১৫537323
  • @কিংবদন্তি ,   লিংকটি কাজ করছেনা l
  • অয়নেশ | 2402:3a80:4304:5a2a:278:5634:1232:5476 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:২০537324
  • গুরু 
    একটা কথা পরিষ্কার করুন। যে বিপুল জনগোষ্ঠী জেনোসাইডের প্রত্যক্ষ ভুক্তভোগী এবং পরবর্তীতে ভারতে আশ্রয় পেয়েছেন তাঁদের কাছেও তদানীন্তন পাকিস্তান সামরিক সরকার জবাব দিতে দায়বদ্ধ কিনা সে সম্পর্কে আপনার মত কী? 
  • Guru | 2409:4060:2e49:112c:63ae:e0bf:12d0:6d65 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:২৫537325
  • "আপনি যা খুঁজছেন, তা পাওয়া যায়নি। বিষয়টি সম্ভবত প্রথম আলোর নয় কিংবা আপনি ভুলভাবে খুঁজছেন। দয়া করে, বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন।" কিংবদন্তি লিংকটি খুলতে গেলে এরকম মেসেজ পাচ্ছি l কিংবদন্তি সংখ্যা এখানে তিরিশ লক্ষ্য কেন তিরিশ হলেও সেটা নিন্দনীয় l যুদ্ধে নিরীহ মানুষের প্রাণ নেওয়া সবসময়েই নিন্দনীয় l সেটা গাজা কিংবা বাংলাদেশ যেটাই হোক না কেন l কিন্তু আপনি কি ভাবে সেটা আদায় করবেন সেটাই প্রশ্ন l 
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন