এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বি ই কলেজবেলা

    Mridha
    অন্যান্য | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ | ১৯৪৬৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Souva | 122.177.155.99 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ১০:৫৬460597
  • @ til

    কবরখানাটা মেয়েদের হোস্টেল আর ঘড়িঘরের মাঝখানে, রাস্তার ধারেই। উল্ফ থেকে ধরুন আপনি নেতাজী ভবনের দিকে যাচ্ছেন, প্রথম যে চৌমাথা পড়বে, যার ডানদিকে ঘড়িঘর (ও তার পাশের রাস্তা ওভালের পাশ ধরে মডেল ইশকুলের দিকে চলে গ্যাছে), বাঁদিকে তাকালে মেয়েদের হোস্টেল, সেই চৌমাথাতেই হল গে কবরখানা। রাস্তার বাঁদিকে।
  • kd | 59.93.247.223 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ১১:২০460598
  • তিল, সৌভ যেটাকে মেয়েদের হোস্টেল বল্লো, সেটা পান্ডিয়া (তখন PGদের ছিলো)। আচ্ছা, তোমাদের সময়ও কি 'খানকি' ওর সুপার ছিলো?

    আজকের পাব্লিক, বলবে হীটন আর স্লেটার এখন কী হয়েছে?
  • til | 210.193.178.129 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ১১:৩৫460599
  • উনি আমাদের (য়াক) সুপার ছিলেন।
    --
    গতকালকের ভাঅতের আঁখো দেখা হাল কে দেবে?
  • til | 210.193.178.129 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ১১:৩৬460600
  • Macdonald
  • til | 210.193.178.129 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ১১:৪৩460601
  • বিক্কলেজের প্রতিটি স্কোয়ার ফুটে এত ইতিহাস যে এটাকে বন্ধ করে মিউজিয়াম করে দেয়াই শ্রেয়। বেসু ফেসু করে তো নাম ডুবিয়েছে, এত হরতাল, মারপিট!
    বি গার্ডেনের পাশে আরও একট দ্রষ্টব্য হবে!
    ওভার টু জনগণ।
  • Souva | 122.177.253.241 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ১১:৫৩460602
  • স্লেটার হল তো এখন য়্যাডমিশন আপিশ। জয়েন্টের হেড আপিশ ছিলো আমাদের সময়ে।

    আর হীটনটা বুঝতে পারছি না কোনটা।
  • Souva | 122.177.253.241 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ১২:০২460603
  • হুঁ, মেয়েদের হস্টেল বলতে পান্ডিয়াই মীন করেছি বটে।

    বাই দ্য ওয়ে, সকলেরই জানা আছে বোধহয়, এখন আরেকটা বিরাট তে-ঢ্যাঙা নতুন কলেজ বাড়ি হয়েছে, আমাদের ইশকুলের পাশে, ওয়ার্কশপগুলোর উল্টোদিকে, গঙ্গার দিকের বাউন্ডারি ঘেঁষে। সেই পেল্লায় লাল-হলুদ বাড়ি দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে দ্যাখা যায়। কিন্তু তার চারপাশের প্রাচীন স্থাপত্যগুলির মধ্যে বেজায় বেখাপ্পা লাগে আমার।
  • Jhiki | 183.91.64.162 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ১২:০৪460604
  • হীটন টা পান্ডিয়ার পাশে ছিল, ওটাতে হসপিটাল, ব্যাংক ইত্যাদি ছিল (৯৩-৯৭), এখন শুনেছি ওট ভেঙ্গে নতুন হসপিটাল বিল্ডিং হয়েছে, তবে ঠিক জানি না।
  • Souva | 122.177.253.241 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ১২:০৭460605
  • ওহ, ঐটা হীটন। ওটা ভাঙা হয়েছে বলে তো শুনিনি। ঐ বাড়িতেই এখনো ব্যাঙ্ক, হাসপাতাল ইত্যাদি রয়েছে।
  • kd | 59.93.247.223 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ১৩:০৯460607
  • হাসপাতাল? হয়েছে?

    আমাদের সময়েও ছিলো একটা, সেকেন্ড গেট দিয়ে ঢুকে বাঁহাতে (ওটাই কি কেউ একজন ভুতের বাড়ি বলে লিখলো?) - সেখানে একজন ডাক্তারবাবু, একজন বেয়ারাজাতীয় আর একটা (হ্যাঁ, একটাই) সিরিঞ্জ (উইথ ছুঁচ), ব্যাস্‌!

    তা একবার কোনো কারণে এক বন্ধুকে ওখানে নিয়ে গিয়েছিলুম। ঢুকতেই ডাক্তারবাবু বল্লেন, সর্বনাশ! করেছো কী? এক্ষুনি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাও।
    সেই প্রথম আর সেই শেষ।

    এখন গাবেসু ক্ষেপেছে কিছু করার জন্যে। প্রপোজ করেছিলুম একটা হাসপাতালের জন্যে, পাত্তা পাইনি (এখন বুঝলুম, অলরেডি হয়ে গ্যাছে)। তাই এখন 'সুইমিং পুল' হচ্ছে - অ্যালামনাইদের ৫০০০ টাকা করে গচ্ছা। এতে কী -লের উপকার হবে ছাত্রদের কে জানে - এখন তো বেশীরভাগই হোস্টেলে থাকে না। মানে আমরা পয়সা খরচ করে ওই শয়তান কেরানীদের ছেলেপুলেদের জলকেলি করার ব্যবস্থা করছি। ছ্যা!!

    দৃঢ় সন্দেহ, বেশ কিছু বাঁহাতি লেনদেন হয়েছে, কেউ কেউ বেশ কামিয়ে নিচ্ছে। :(
  • siki | 155.136.80.174 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ১৩:১৬460608
  • ক্ষী আশ্চর্য! এইটা এক্স্যাক্টলি আমাদের কলেজেও ঘটেছিল। আমার নিজের কানে শোনা! "করেছো কী! ওকে এখানে কেন এনেছো, ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাও।'
  • kd | 59.93.247.223 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ১৩:১৮460609
  • 'দাদা'দের কাছে শুনেছি, সাহেবি আমলে ডাউনিং হিন্দুদের, স্লেটার মুসলমানদের আর হীটন সাহেবদের হোস্টেল ছিলো।
  • Bratin | 122.248.183.1 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ১৩:৩৪460610
  • এইটা আমার দুই বন্ধুর গল্প। আমরা তিন জনেই উত্তর পাড়া স্কুলের বন্ধু। শুভাশিষ ডাক্তার হয়েছে। ডেন্টিস্ট।উত্তর পাড়া তে সাজানো গোছানো চেম্বার খুলেছে। আরেক বন্ধু বিশ্বজিৎ ইনঞ্জিনিয়ার। তার খুব দাঁতের সমস্যা। শেষ কালে দুগ্গা বলে শুভাশিষের কাছে চলেই গেল। সে বেচারা সবে নতুন প্রফসনে। বললো 'চল তোকে একটা ভালো ডেন্টিস্ট র কাছে নিয়ে যাই'
  • Bratin | 122.248.183.1 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ১৩:৪০460611
  • যাবার ইচ্ছে ছিল কুমু দি। কিন্তু বৌ আজকের দিন টা তাড়াতাড়ি ফিরতে বলছে। কল্লোল দার গান টা মিস করে গেলাম।

    দে ধন্যবাদ, পরিবর্তন আসবেই। তবে কত দিন থাকবে সেটাই চাপের :-))
  • A | 99.183.185.250 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ২২:১৫460612
  • "শয়তান কেরানীদের ছেলেপুলেদের" !!! :(
  • A | 99.183.185.250 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ২২:২১460614
  • @Souva -বাছা তুমি শুভ নাকি সৌভ?

    এই আম জনতার দরবারে আমি বেশী কিছু জানাতে অপারগ। শুধু বলি আমার নাম- অমৃতা। বাকিটা নাহয় অন্য কোথাও অন্য কোনোখানে হবে! আমি মোটামুটি ডাইনোসরাস-দের আমলের!
  • Mridha | 66.109.106.44 | ২০ জানুয়ারি ২০১১ ২২:২১460613
  • This is B E College এর গল্প শেষ হয়েও শেষ হয় না।
  • kd | 59.93.206.162 | ২১ জানুয়ারি ২০১১ ০০:৫১460615
  • অমৃতা, সরি ওইটা লেখার জন্যে। নিজের ইমোশনটা ক®¾ট্রালে রাখা উচিত ছিলো। যাই ভাবি না কেন, ছাপা অক্ষরে তা প্রকাশ করা অভদ্রতা, এটা ক্ষনিকের তরে মিস করে গেছি।
    আসলে টাকা পাঠানোর মেলটা সদ্য পেয়েছি আর কলেজে থাকাকালীন ওই কেরানীকুলের অকথ্য (বাংলায় যাকে বলে আনকুথ) ব্যবহারের স্মৃতি এখনও ভুলতে পারিনি। তাও বলি, এটা লেখা শিষ্টাচারের সীমার বাইরে।
  • Suvajit | 59.177.194.161 | ২১ জানুয়ারি ২০১১ ০১:২৮460616
  • A চিন্তার কিছু নেই, আমিও ডাইনোসরাসের আমলের। এখানে এমন লোকও আছেন যাঁরা বিগ ব্যাংএর সমসাময়িক :-)
  • Lama | 117.194.227.142 | ২১ জানুয়ারি ২০১১ ০৭:২৬460619
  • আমি শুভজিতের পরের বছরের ডাইনো
  • u | 61.12.12.83 | ২১ জানুয়ারি ২০১১ ১০:৩১460620
  • না:, আমি বিবেকানন্দ।
  • electrical | 203.90.78.86 | ২১ জানুয়ারি ২০১১ ১৪:৫৭460621
  • ২০০১ বা ২০০২ পাশ আউট কেউ আছে?
  • A | 99.183.185.250 | ২১ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:৫৭460622
  • কাব্লিদা...:)
  • kd | 59.93.205.37 | ২২ জানুয়ারি ২০১১ ১০:৫৭460623
  • @ইল্লে
    ছরি একটুর জন্যে কোয়ালিফাই কল্লুম না। তার একটু আগেই পাশ করে গেচি - ইলেকট্রিকালও না। :(
  • Souva | 122.177.155.125 | ২২ জানুয়ারি ২০১১ ১১:২৯460624
  • @ a অথবা অমৃতা-দি (দিমা?)

    আমার নাম শৌভ।

    বাকিটা না হয় অন্য কোথাও-ই হবে'খন।
  • Souva | 122.177.155.125 | ২২ জানুয়ারি ২০১১ ১১:৩০460625
  • @u

    একবার মনে হয়েছিল বটে। :-)
  • Souva | 122.177.205.14 | ২২ জানুয়ারি ২০১১ ১২:২১460626
  • আচ্ছা, বি ই কলেজে পুরোনো আমলের র‌্যাগিং নিয়ে কারোর কোনো অভিজ্ঞতা নেই? মানে স্রেফ কৌতুহল আর কি। মনে এক সময়ে কাগজে-টাগজে প্রচুর রোমহর্ষক গপ্পো পড়েছি, তার অনেকটাই আবার বি ই কলেজের নামে প্রচলিত। তাই জিজ্ঞেস করা।

    আমাদের সময়ে তো সবকিছু ঠান্ডা হয়ে গ্যাছে। কেবল দুই যুযুধান রাজনৈতিক সংগঠনের পারস্পরিক খেউড়-তর্জা ছাড়া।

    এ ব্যাপার-এ দুটি অভিজ্ঞতা বলি।

    ১)তখন সবে ফার্স্ট ইয়ারের কেলাশ শুরু হয়েছে। সিনিয়াররা তখনো বিষম আতঙ্কের বিষয়। কেননা তখনো "স্টুডেন্ট ওয়েলকাম' হয়নি। ফলে সিনিয়রদের সামনে হাসা বারণ, জোরে কথা বলা বারণ ইত্যাদি। তো, আমরা তিনজন চিপ স্টোরের সামনে দাঁড়িয়ে আছি, এমন সময়ে তিন-চারজন সিনিয়ার এসে ঘিরে দাঁড়ালো। আমাদের তিনজনের মধ্যে একজনের কি একরকমের তুতো দাদা তখন ফোর্থ ইয়ারে পড়ে, তাও আবার ইলেক্ট্রিক্যালের-ই ছাত্র। ফলে সেই বন্ধুটি আগেই আমাদের অভয় দিয়ে রেখেছিলো-- "তোদের কোনো অসুবিধে নেই, কোনো বিপদে পড়লে আমি সব সামলে দোব।' তো তার ভরসাতেই চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলুম। সিনিয়াররা যথারীতি চাটতে আরম্ভ করলো। এমনিতে তো ডে-স্কলারদের হস্টেলে পায় না, তাই এ রকম ছুটকো মওকাই সই। এর মধ্যে এক সিনিয়ার বুদ্ধি করে জেনে নিতে চাইলো আমাদের কোনো চেনা পরিচিত কেউ আছে কি না, সিনিয়ারদের মধ্যে। তো এই প্রশ্নে য্যানো অকূল পাথারে খড়-কুটো খুঁজে পেলুম। আকুল নয়নে বন্ধুটির দিকে তাকালুম-- 'হরি হে দীনবন্ধু, তুমিই ভরসা।' সে-ও ইশারায় আমাদের অভয় দিয়ে প্রচুর ঘ্যাম নিয়ে বললো, "আমার দাদা পড়ে। ফোর্থ ইয়ার ইলেক্ট্রিক্যাল। নাম অমুক।' শুনে এই সিনিয়ার জনতা কেমন ভেবলে গ্যালো। এক্‌জন জিজ্ঞেস কল্লো, "তোর দাদা হয়? কি রকম দাদা? দেখলে চিনতে পারবি?' বন্ধুটি এমন ভাব ও রোয়াব দ্যাখালে য্যানো সেই দাদাই তার 'প্রাণের আরাম, আত্মার আনন্দ', সারাদিন ভাইকে না দেখলে সেই দাদার রাত্রের ঘুমটাই বুঝি মাটি হয়ে যায়। সব শুনে-টুনে কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে সিনিয়ারদের সে কি হাসি! জানা গ্যালো যে জনতা আমাদের সবচে বেশি চাটছিলো, সেই হলো গিয়ে মক্কেল, মানে আমাদের বন্ধুটির অতি দূর-সম্পর্কের তুতো দাদা, এবং কেউ-ই কাউকে সাক্ষাৎ চেনে না। এর পর সেই বন্ধুটির বাবদে আমার সবার বে-ইজ্জতি, দ্বিগুণ উৎসাহে হুল্লাট চাট। ছুটি হবার পর আমরা তো বন্ধুটিকে এই মারি কি সেই মারি। সে অম্লানবদনে বল্লে, "দেখলি, আমি ছিলুম বলে কত অল্পের ওপর দিয়ে গ্যালো!' এই ঘটনাসূত্রেই অবিশ্যি এই "দাদা"-র সাথে আমার বেশ খাতির হয়ে যায়, ঘটনার দুদিন পরেই সেনগুপ্ত-য় নিয়ে গিয়ে খাবার-দাবারও খাওয়ায়।

    ২) দ্বিতীয় অভিজ্ঞতা পুরোটাই করুণরসের। তখন আমরা সবে সিনিয়ার হয়েছি, মানে সেকেন্ড ইয়ারে উঠেছি। তো, আমাদের কলেজে একটা প্রথা ছিলো, সিনিয়াররা নিজেদের ড্রয়িং বোর্ড নবাগত জুনিয়ারদের মোটামুটি অল্প দামে বিক্রি করে দিতো। এতে তাদেরও কিছু অর্থাগম হতো, আর নতুন ছেলেমেয়েদেরও কিছু সাশ্রয় হতো। নয়তো জানাদা-র চিপ স্টোর আক্ষরিক অর্থেই চিট স্টোর ছিলো, আর ইলেক্ট্রিক্যালের পাব্লিকের ক্ষেত্রে ঐ ফার্স্ট ইয়ারের পরেই ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রয়িঙের পাট চুকে যেতো, ফলে নতুন বোর্ড কেনাটা যাকে বলে ব্যাড ইনভেস্টমেন্ট। তো আমরাও মহা উৎসাহে গিয়েছি জুনিয়ারদের ক্লাসে, কোনো এক অফ-পিরিয়ডে, বোর্ড বিক্রির ধান্দায়। সেই সঙ্গে ছোটখাটো চাটাচাটি যে চলছে না তা নয়, কিন্তু সে নিতান্তই নিরীহ ও নিরামিষ ব্যাপার (মাইরি বলছি)। দোষের মধ্যে, দরজাটা ভেজানো ছিলো। এমন সময়ে দু-জন প্রফেসর (একজনের নাম ছিলো কর্মকার, খুবই করিৎকর্মা, সন্দেহ কি!) তীরবেগে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়েই চ্যাঁচাতে শুরু কল্লেন, "তোমরা এখানে কলেজের মধ্যে র‌্যাগিং করছো, বিশেষত এই যে দরজা বন্ধ করে রেখেছিলে, এতেই তোমাদের দোষের সমুচিত প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ, তোমাদের জেল-জরিমানা-ফাঁসি সবই হতে পারে" ইত্যাদি। তো তারপরে পিকসা, রেজিস্ট্রার সবাই মিলে এসে সে এক বিতিকিচ্ছিরি কান্ড। যতো-ই বলি, "স্যার আপনারা এদেরকেই জিজ্ঞেস করুন, আদৌ কিছু করা হয়েছে কি না', কে কার কথা শোনে। আমরা তো মুখ চুন করে বেরিয়ে এলুম। পরের দিন কলেজে গিয়ে শুনলুম ফতোয়া হয়েছে অমাদের কলেজ থেকে হপ্তাখানেক না দুয়েকের জন্যে সাসপেন্ড করা হবে। তারপর গার্জেনদের কাছে চিঠি যাবে, গার্জেনরা এসে মুচলেকা টাইপের কিছু একটা দিলে আমাদের ক্ষমা করা হবে। প্রথম প্রথম একটু মুষড়ে থাকলেও, কিছুদিন পরেই সিনেমা দেখে, কলেজ স্ট্রিটে চক্কর কেটে, বিকেলবেলা হস্টেলে গিয়ে তুমুল আড্ডা মেরে এই পড়ে-পাওয়া ছুটির পূর্ণ সদ্ব্যবহার শুরু করে দিয়েছিলুম, এ-কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
  • kd | 59.93.205.37 | ২২ জানুয়ারি ২০১১ ১৩:২৬460627
  • শৌভ, আমাদের সময় র‌্যাগিং পুরোমাত্রায় ছিলো। তবে এখন কাগজে যা পড়ি, তার তুলনায় ওটা একবছরের শিশুর হাতের চিম্‌টি।

    তবে আমি মোটামুটি ভালোই র‌্যাগ্‌ড হয়েচি। কারণও ছিলো। পনেরো বছরের সাড়ে চার ফুটিয়া, সদ্য পৈতে হওয়া ন্যাড়ামাথা, চেহারাটাও বলতে নেই, মায়ের আশীর্বাদে বেশ পুস্টু, তখনও ফুলপ্যান্ট দরজির কাছ থেকে না আসায় হাফপ্যান্ট পরা - এমন মালকে তো মেয়েরাও র‌্যাগ করবে। তবে যাদের হাতেই পড়েছি, একই ব্যাপার - খালি গায়ে শুধু ইজের পরে 'কুমড়োপটাশ' নাচা - সবই রাস্তায়। হোস্টেলে (১৩) একেবারেই নয় - কারণ ৪০৬য়ে (সিঁড়ির মুখোমুখি) থাকতো আমাদেরই একজন, মাইনিংএর - ৮০ কিলো হবে, বিশাল হিন্দুস্থানি গোঁফ, বাঁচোখ দিয়ে ওইসাইডটা একটু বেশীই দেখে - কালো বুকে ভর্তি লোম নিয়ে একটা চেক লুঙ্গি পরে মুখে একটা ব্যাঁকানো পাইপ নিয়ে খাটে বসে থাকতো - সিনিয়ারদের সাধ্য কী ওর পাশ দিয়ে এসে আমাদের ঘরে (৪০২)তে আসে!

    মাইরি একটুও বাড়িয়ে বলছি না। তবে ওর মতো মন খুব কম লোকের দেখেছি - দুস্থ(?) বন্ধুদের দু'হাতে সাহায্য করেছে, আমাদের দিয়েও করিয়েছে (কোন শালা ওকে 'না' বলবে)। আর আমাকেও পুউরো পাঁচ বছর পোটেকসান দিয়ে গ্যাছে - আমি খুব নিরীহ শান্তশিষ্ঠ হ'লেও কোনো অদ্ভুত কারণে প্রায়ই নানান ঝামেলায় ফেঁসে যেতুম। :)

    আর হ্যাঁ, র‌্যাগিং হওয়ায় একটা বিরাট উপকার হয়েছিলো। ডাউনিংএ 'দাদা'দের কাছে পুরোনো বই কেনার জায়গায় বেশীর ভাগই ফিরিতে আদায় করেছিলুম - ড্রয়িং বোর্ডও। লজিক, ছোট ভাইএর কাছে কি পয়সা চাওয়া যায়! :)
  • z | 59.93.247.86 | ২২ জানুয়ারি ২০১১ ২১:০৬460628
  • এখ্‌ন ও কী রি ইউনিওন হয়?
  • A | 99.183.185.250 | ২৩ জানুয়ারি ২০১১ ০১:৫২460630
  • শৌভ-- আমি A,
    a নামে অন্য একজন লেখেন- অয়ন।
    আমাকে দিদি, দিদিমা, মেজো মাসিমা বড় ঠাকুমা যা খুশী বলতে পারো:)

    আমিও u কে পগা-ই (প্রজ্ঞানানন্দ) ভেবেছিলাম। কিন্তু কাসুন্দিয়া বেরোলো:)

    কিন্তু BECMS এর বিষয়ে এই থ্রেডে লেখা হয়তো ঠিক হচ্ছেনা। তবে এটা ঠিক যারা BECMS/BEC তে পড়েছে তাদের কাছে ঐ ক্যাম্পাসের নস্টালজিয়া একইরকমের।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন