এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বি ই কলেজবেলা

    Mridha
    অন্যান্য | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ | ১৯৪৬৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • swastik | 203.90.78.86 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৫:৪৪460531
  • আমার ভুতের কোনো অভি"গ্‌তা নেই
  • Lama | 203.99.212.54 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৭:৪৭460532
  • ভূতকে বলে তোমার আমার। ভূত কি কারো কেনা?
  • Lama | 203.99.212.54 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৯:১৩460533
  • আচ্ছা, ভাবা পয়েন্ট তাহলে ভাবাসাহেবের ভাবার জায়গা? ওখানে বসেই উনি ভাবতেন?
  • de | 59.163.30.6 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১০:২২460534
  • এখনো ভাবেন!
  • til | 210.193.178.129 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১১:১৮460535
  • বিনোবা ভাবে
  • A | 99.183.185.250 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২০:২৬460536
  • BEC নিয়ে তো অনেক পড়ছি। কারো'র BEC আর BECMS এই দুইয়ের মধ্যে'র সম্পর্ক নিয়ে কোনো নস্টালজিয়া নেই?? :)
  • Mridha | 208.85.244.2 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২৩:০১460537
  • এবার BEC পরীক্ষায় চোতা শিল্প নিয়ে দু-একটা কথা মনে করার চেষ্টা করব। এখনকার কথা জানি না, আমদের সময়, বি ই তে ঢোকা বেশির ভাগ জনতারই BEC র আগে কোনো পরীক্ষায় নিজে কখোনো চোতাতো করেই নি, উপরন্তু পরীক্ষায় ঐসব এর ঘোরতর বিরোধী ছিলো। কলেজে আসার অল্প দিনেই এই পাঠ সম্পূর্ণ হয়ে যায়, এখানে চোতা না করে উপায় নেই।
    সবথেকে common চোতা ছিলো,প্লাস্টিকের set square এর উপরে পেনসিল দিয়ে লিখে নিয়ে যাওয়া, ওটা ডেস্ক এর উপরে ফেলে রাখলে সহজে চোখে পরবে না, কিন্তু সাদা কাগজের উপরে ফেললেই পড়া যাবে। তারপরে ছোটো ছোটো কাগজে microscopic লেখার ধ্রুপদী চোতা তো ছিলই, সেগুলো নানান পকেটে করে নিয়ে যাওয়া হত। কিন্তু হলে problem হত, কোন পকেটে কি আছে মনে থাকত না। তাই এবার থেকে হাতের পামে লিখে নেওয়া হত,চোতা index
    একটু কম্পু শেখার পরে, একজনকে,চোতার নৈতিক সমর্থনে বলতে শুনেছি, আমাদের মাথাটা হচ্ছে RAM আর hard drive, চোতা হচ্ছে floppy drive সব কিছু তো hard drive এ রাখার মানে হয় না।
    যাই হোক এইভবে কয়েক বছর চলতে চলতে জনতা microscopic চোতা লেখার এ¾থ্রুও হারিয়ে ফেলতো। তারপরে কয়েক জন মিলে লিখে, paper এর টুকরো গুলো একটা সাদা A4 কাগজে স্টিক করে, সেটাকে Xerox করে নিয়ে distribute করা হত। সেগুলো আবার পিস পিস করে পকেটে চালান হত। কিন্তু তার problem টা ছিলো, একে অন্যের microscopic লেখা, তারপরে xerox , আবার অনেক সময় সাইজ reduce করে xerox করা হত floppy drive এর memory size বাড়ানোর জন্য, তাই লেখার সময় ঠিক মত পড়া যেত না। তাই exam এর শেষে hostel মেসে যে চোতা বনিয়েছে তাকে গন বাওয়াল দেওয়া চলতই পরীক্ষার সময়।

  • Nina | 64.56.33.254 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০১:৪১460538
  • নাম তিল হলে কি হবে, তাল তাল গপ্প আছে ঝুলিতে, কিছুতেই বলছেনা :-((
    একটা গণ-বাওয়াল হয়ে যাক তিলকে ;-)

  • M | 59.93.207.163 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৯:৪১460539
  • মৃধার লেখা পড়ে পেটে খিল ধরে গেলো।কি শিল্প বাপ!
  • dukhe | 122.160.114.85 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৪:৫৬460541
  • চোতার গল্প । বিই কলেজ নয়, নাড়ুপুর । তাও এখানেই বলি ।
    চোতা প্রাকৃত শব্দ । নাড়ুপুরে আদর করে বলত স্মরণিকা । ইলেভেনের প্রথম দিনের ক্লাসের শেষে সন্ধ্যেবেলা গজা বসেছেন সরু কাগজে খুদি খুদি লিখতে ।
    ব্যাপার কী রে ?
    না: - রোজকারটা রোজ বানিয়ে রাখব - নইলে শেষে গিয়ে বড় চাপ পড়ে যায় ।
  • Arpan | 216.52.215.232 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৫:১৮460542
  • চোতার গল্প। বি কলেজ নয়, নাড়ুপুর নয়, যদুপুর। তাও এখানেই বলি।

    চোতা প্রাকৃত শব্দ। প্রকৃত প্রস্তাবে চোথা। কর্কশভাষী যাদবেরা ওই চোতাই বলত। ক্লাস টেস্টের আগে সে বানানোর ভার পড়ত এক একজনের উপর। সাবজেক্ট অনুযায়ী দায়িত্ব পড়ত। ইঞ্জিনিয়ারিং মেকানিক্স হল তো অমুক, আর থার্মোডাইনামিক্স হল তো তমুক। সব চোতা রেডি হয়ে গেলে ফেয়ার করার ভার থাকত একজনের উপর। যার হাতের লেখা ভালো, মুক্তো নয়, খুদি খুদি হীরের মতন। হস্টেল থেকে সেসব হয়ে আসত। কে জানে ফার্স্ট ইয়ারের ছেলেদের দিয়ে করানো হত কিনা।

    ক্লাস টেস্টের আগের বিকেলে ল্যাদ-ট্যাদ কাটিয়ে এইট-বির জেরক্স করার দোকানে যাওয়া হত। চোতার ফাইনাল ভার্সনের গণস্কেলে ফটোকপি হত। তারপরে ডিপার্টমেন্টের সামনে মাঠে ছড়িয়ে বসে সেসব বিলি হত।

    কেউ কেউ চাপ কমাতে এককপি এক্সট্রা করে রাখত। সেমে লাগবে বলে।
  • Arpan | 216.52.215.232 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৫:৩৪460543
  • মৃধার গল্প এই পড়লাম। মাক্কালী! :-)

    আর সেটসস্কোয়ার কেন, ক্যালকুটেররের ডালাতেও দিব্যি চোথ নামানো থাকত। সবচেয়ে পপুলার ছিল পাশের সাদা দেয়াল। ক্লাস টেস্টে জায়গা নির্দিষ্ট থাকত না বলে দেয়ালের পাশে সিট নেবার জন্য মারামারি শুরু হত সকাল থেকেই।

    মৌলিক ছিল বাঁহাতি। এমন করে স্টান্স নিতে যে বাঁহাতের কনুইয়ের আড়ালে চাপা দেওয়া চোথা কারোর চোখেই পড়ত না।

    এই অধম একবার রোবোটিক্সের একটা কঠিন সিরিজ দেয়াল থেকে খাতায় নামিয়েছিল পাঁচ মিনিটে। কুড়ি নম্বরের জিনিস পাঁচ মিনিটে নেমে যাওয়ায় চাপমুক্ত, ফুরফুরে জীবন। পুরো বয়কটের মত খুটখাট ব্যাট করে বাকি আশি নম্বর আড়াই ঘন্টায় নামিয়েছিলাম।

    জনশ্রুতি, একবার এম-ওয়ান-ওয়ানের দেয়াল পুরো ভরে যাবার পরে ছাত্ররা হেড ডিপকে প্রস্তাব দিয়েছিল ছাত্রদের পয়সায় চুনকাম করানো হোক।
  • Lama | 203.99.212.53 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৭:১০460544
  • আমি সেই বিরল সংখ্যকদের মধ্যে একজন, যারা বি ই কলেজে কখনো চোথা করে নি। ১০% আদর্শবাদ + ৯০% ধরা পড়ার ভয়ে। তাছাড়া চিরকাল তো বুড়ো হাবড়া ছিলাম না, কমবয়সে বেশ টনটনে স্মৃতিশক্তি ছিল, একবার চোখ বোলালেই বেশ মনে থাকত (অন্তত: পাশ করার জন্য যতটুকু মনে রাখা দরকার)- সত্যি কথা বলতে কি, চোথা করার কখনো দরকার পড়ে নি।
  • Arpan | 204.138.240.254 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৭:১৯460545
  • চোথা করা সাক্সেসফুলি আটকেছিলেন মধুবাবু। মেশিন ডিজাইনের ক্লাস নিতেন। প্রথমদিনই বলে দিয়েছিলেন ক্লাস টেস্টগুলি ওপেন বুক টেস্ট হবে। দাঁতভাঙা তিনটে অঙ্ক দিলেন সে গোদা গোদা সাহেবি বই হাতড়েও সুবিধা করা গেল না।

    প্রথম টেস্টে মোটামুটি ছড়িয়ে সবাই বুঝল এ বড় কঠিন গাঁট। অতএব বাধ্য গরুর মত সুড়সুড় করে ক্লাসে চলে আসা, মন দিয়ে ক্লাস করা, নোট নেওয়া ইত্যাদি শুরু হল। ফলও মিলল হাতেনাতে।
  • de | 59.163.30.4 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৭:৩৪460546
  • যাক! লামারে দেকে ভরসা পেলাম -- আমি তো ভাবছিলাম বুঝি আমিই ব্যাকডেটেড -- ঐ বস্তুর দরকার আমারো হয়নি কখনো!
  • Netai | 121.241.98.225 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৮:৫৬460547
  • চোথার স্কুলবেলাকার নাম ছিল -টুকলি, নকলি। কিছু দুষ্টু দুষ্টু ছেলের দল ছিল যারা এইসব অসদুপায় গ্রহন করতো। কি বলবো, বেশ ঘৃনার চোখেই দেখতাম এইসব জিনিষপত্তোর। তথাকথিত ভালোছেলেরাও যে এর মধ্যে থাকতে পারে তা ছিল কল্পনার বাইরে।
    জলুতে এসে সিনিয়র দের মুখে চোথা টোথার গল্প শুনে আমিতো হাঁ। বেটাচ্ছেলেরা বলেকি? চোথা করাটা নাকি খুব জলভাত। আকছার সব্বাই করছে। প্রফেসাররা নাকি ছেলেদের চোথা করতে দেওয়ার জন্যে সারাক্ষন জানালার দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকে। সবার নাকি এই চোথা করেই সংসার চলছে।
    তা চলছে তো চলছে। তাতে আমার কি? আমি নাই এর মধ্যে। মানে এরকম ই ভেবেছিলাম শুরুতে। ভাবনাটা আর বেশীদিন ধরে রাখা গেল কই। এমন হুড়্‌মুড় করে ক্লাস টেস্টগুলান চলে এলো। তারপর এই sociology & civics সাবজেক্টটা হয়েওছে তেমনি। ক্লাসনোট পড়ে খাবি খাচ্ছি। ইংরাজির নামে এমনিতেই গায়ে জ্বর। আর এখানে তো পাতার পর পাতা ইংরাজি। patriarch matriarch নিয়ে কি একটা ভজঘট প্রশ্ন ছিল। খুবই ইম্পর্ট্যান্ট। পরীক্ষার আগেরদিন সন্ধ্যেবেলায় শেষবারের মতন একটা চেষ্টা করে হাত খাড়া করে দিলাম। কোন উপায় নাই। চোথাই করতে হবে।
    চোথাই যখন করবো তখন আর পড়ব কেন? আর পড়বইনা শালা। বাকি রাতটা টিভি দেখেই কাটালাম। ফাঁকা কমনরুম। পায়ের উপর পা তুলে বসে ইচ্ছেমতন চ্যানেল ঘুরিয়ে যাচ্ছি। বাওয়ালি দেবার কেউ নাই। সবাই ঘসাঘসিতে ব্যাস্ত। উফ, কি আরাম।
    সক্কালে উঠলাম। চানদান করে বেরোবার আগে খাতাটা খুলে patriarch matriarch লেখা পোবন্ধোটা ছিঁড়লাম। পুরো দুখানা পাতা। তৃতীয় পাতা ছিঁড়তে গিয়েও ছিঁড়লামনা। আধখানা লাইন শুধু লেখাছিল। '---are but the handmade of socity'। মুখস্ত করেনিলাম টুক করে। :)
    ------
    প্রশ্নটা এসেছিল। আমি নমিয়েও দিয়েছিলাম। পরীক্ষার সময় দেখি ওরম সুব্যাবস্থা ছিলনা মোটেই। যারাই ঘাড় নাড়াতে গেছিল তাদের ক্যাঁক করে ধরেছিল। একদম শেষ সারিতে বসে আমি কোনোমতে বেঁচেগেছিলাম। পরবর্তীতে আর যে টুকটাক হাতের কাজ কিছু করিনি তা না। তবে ওটাই ছিল আমার প্রথম আর শেষ পুকুরচুরি।
  • kd | 59.93.197.202 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২১:১৭460548
  • শরীর বেজায় খারাপ, তাও এই টইতে না লিখে পাল্লুম না।
    সাপ্লি পাওয়ার গপ্পো।
    এক,
    সেকেন্ড ইয়ারে কোন এক পরীক্ষায় সিট পড়েছিলো ড্রয়িং ক্লাসে - উঁচু টেবিল, উঁচু টুল। এক বন্ধুর across the aisle একটি মেয়ের সিট। তাঁর কোনোকারণে ক্রসলেগ্‌ড হয়ে বসার ইচ্ছে হওয়াতে আমার বন্ধুর পরীক্ষা মাথায় - ব্যাচারা সাপ্লি খেয়ে গ্যালো।
    দুই,
    থার্ড ইয়ার অঙ্কের পরীক্ষা - পেছন থেকে পিঠে সেটস্কোয়ারের খোঁচা, দু'টো দে মাইরি, নাহ'লে সাপ্লি খেয়ে যাবো। তা, ঐ সেটস্কোয়ারেই দিলুম।
    হল থেকে বেরিয়ে তার কি মার ঐ সেটস্কোয়ার দিয়ে! শালা তোর জন্যে সাপ্লি খেলুম, দু'টো চেয়েছিলুম, একটা দিলি কেন? আমি বলি, সেকি, আমি তো দু'টোই দিয়েছিলুম, বুঝতে পারিস নি? খুব করুণ মুখ করে ওর উত্তর, ও! দুটো দিয়েছিলি। আমি বল্লুম ভাবিস না, খাতা দেখার সময় মনে করবে তুই কোশ্চেন নম্বরটা লিখতে ভুলে গেছিস, পাশ করে যাবি।
    ওর উত্তর, নারে! কপি করতে গিয়ে দেখি হঠাৎ মাঝে ভেরিয়েবলগুলো পালটে গেছে, ভাবলুম তুই ভুলে গেছিস, তাই বুদ্ধি করে ওপরের আর নীচের ভেরিয়েবলগুলো ম্যাপ করে দিলুম। মাইরি, পুরো নিজলি..ম - পোঁ..পুরম :(
  • Suvajit | 59.177.196.253 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০০:২৮460549
  • আমাদের ২য় বর্ষে আমজাদ (আসল নামটা কিছুতেই মনে পড়ছে না, প্রতিপ ব্যানার্জী কি?) ড্রয়িং (এটাও সিওর নই) শেখাতেন। আমজাদ নাম হয়েছিলো একদম আমজাদ খানের মত দেখতে বলে।
    তা জনশ্রুতি আছে যে আমজাদ ৭১র বিই কলেজ পাস আউট এবং একমাত্র ব্যক্তি যিনি সে বছর সেকেন্ড ক্লাস পেয়েছিলেন। সেই জন্য তিনি বিই কলেজে চাকরী পান, কেননা সেকেন্ড ক্লাস পাওয়ার মানে, একমাত্র তিনিই না টুকে পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
    ডি: জনশ্রুতি মাত্র। সত্য মিথ্যার জন্য প্রতিবেদক দায়ী নন :-)
  • debu | 72.130.151.116 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৮:০৯460550
  • যদু বংশে র engineer ন চোথ্‌হা মেরে পাস কোরেছে এমন কেও আছে?

  • deu | 72.130.151.116 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৮:২২460552
  • বস গালি দিও না,
    ১৯৯০ র যদু র ব্যচ, সিনিঅর দের পরীক্ষার আগে বাথ রূম সাফা করে চোথা , বই ,নোট সব ঝেরে আনতাম, পরের সেমি তে আমার আর খাট তে হতো না
    আমার সবে্‌চয়ে ফেবারিট প্রসেস ছিলো ফুল হাতা জামার বা হাতা
    পাত্‌লা সেলোটেপ অবোস্যি use কর্তাম
  • Lama | 117.194.227.132 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৪:৪৪460553
  • বহু ভাঁজবিশিষ্ট চোতার নাম ছিল "হার্মোনিয়াম'
  • Mridha | 208.85.244.2 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২২:১৫460554
  • সময়টা 3rd ইয়ার বা 4th ইয়ার মনে পরছেনা ঠিক, সুমন চ্যাটুজ্জে institute হলে এসে গেয়েছিলো , সেরকম বড়ো কিছু ছিলো না, just একটা departmental বা hostel function এ। অনেক গুলো গানের মধ্যে একটা গান বেশ দাগ কেটেছিলো মনে, "বন্ধু কি খবর বল" গানটা তখনো মনে হয় casset হয়ে বাজারে অসেনি বা এলেও খুব একটা প্রচারে আসেনি তখনও। গানটা অনেকের মত আমারও মন ছুয়ে গিয়েছিলো। সেই সব দিন গুলোতে সুমন চ্যাটুজ্জের গানের একটা অন্য রকম আবেদন পেতাম, সেদিন কেন আজও বিদেশে বিভুইএ যখন একা গড়ি চালাতে চালাতে, গরিয়া হাটের মোর শুনি, প্রথম বারের মতই একটা অদ্ভুত ভালোলাগা একটা পাগল করা অনুভুতি নিয়ে আসে, সে তো শুধু কলকাতার nostalgia নয় , গানটা যখন শেষ হয় এখানে খুজছি আমি জীবনের মানে দিয়ে.... মনটা স্থান কাল পাত্র ছেড়ে জীবন দর্শনের একটা অন্য level এ চলে যায়.... যাই হোক এখানে কথা বলবো বি ই কলেজ নিয়েই, সুমন চ্যটুজ্জে কে নিয়ে নয়, প্রসঙ্গে ফিরে অসি, সেই দিন রাতেই বা পরের দিন রাতে আমরা কয়েক জন বন্ধু মিলে শালিমার তিন নম্বর gate এর থেকে হাটতে হাটতে 1st গেট এর দিকে আসছিলম আর কল্পনা করার চেষ্টা করছিলম আজ থেকে ১৫ বছর পরে বন্ধুদের সঙ্গে হঠাৎ দেখা হলে কেমন লাগতে পারে। আজ অবাক হয়ে ভাবি সেদিনের wild imagination কত তাড়াতাড়ি বস্তব এর দর্জায় দাড়িয়ে গেছে। আজকাল মাঝেমাঝে খুব মনে হয়, আমাদের সেই group টার সবাই হঠাৎ দেখা হয়ে গেলে কেমন হয়, যদি আমরা সবাই মিলে বসে চুপ করে গানটা আরেকবার শুনি, আজকাল আমাদের সেই tape recorder যুগ চলে গেছে, যেখানে এক বন্ধুর casset থেকে সবই blank cassetcopy করে নিতম ভালোলগা গান, তাই হয়তো শুনবো কোনো একজনের mobile এর hand set বা করো laptop এর speaker থেকে, তবুও ঐ কয়েক বন্ধু মিলে চুপ করে গান টা শুনবো.... বন্ধু কি খবর বল....
  • nyara | 209.131.62.115 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২২:৩০460555
  • আমার বউ শুনেছি যাদবপুরের চোতা না-করা ইঞ্জিনিয়ার।
  • til | 220.253.188.98 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০১:৩২460556
  • ভাই মৃধা,
    গত নভেম্বরে কয়েক দশক বাদে আমরা ডাউনিঙ ইষ্টের দশ বারো জন এক বন্ধুর বাড়ীতে মিলিত হয়েছিলাম, এই প্রথম কলেজ ছাড়ার পর। দু একজনকে তো চিনতে কষ্ট হয়েছিল, মহাকাল অনেক কিছুই বদলে দিয়েছে যে। কিন্তু সে তো ক্ষণিকের, শুধু একবার নামটা ধরিয়ে দেবার অপেক্ষা।
    সবার পরিবারও ছিল , কিন্তু তারা আলাদা নিজেদের মধ্যে ভাব পাতাতেই ব্যস্ত। আর আমরা? এতগুলো বছর যে কেটে গেছে, "জীবন গিয়েছে চলে , কুড়ি কুড়ি বছরের পার" মনেই হয়নি। এবং বি ই কলেজের ধারা অনুযায়ী হোস্টেল পালটালেও বরাবর আমরা একই হোস্টেলে উঠে গেছি, প্রায় সবাই।
    দু একজনের মৃত্যুও হয়েছে,জীবন কি থেমে থাকে! কত কথা, কত গল্প- সবই পুরোনো। সবচেয়ে মজার কথা যেটা ভাল লাগলো, কে কি, কোন পজিশানে চাকরী করে, একবারও কথার মধ্যে উঠে আসেনি যেটা কিনা এক গ্রুপ ভারতীয় বা বাঙ্গালী একজায়গায় জড়ো হলে অবশ্যম্ভাবী। আমরা স্রেফ বন্ধু।
    একটা কথা, বি ই কলেজের কি আলাদা কোন কেমিষ্ট্রি কাজ করে। অন্যদেরকে হেয় না করেই বলছি; যাদবপুর বা আই আইটির ছেলেদের কিন্তু এতটা nostalgic হতে দেখিনা। দুর্গাপুরের ছেলেদের মধ্যে অল্প কিছুটা লক্ষ্য করেছি। নাকি আমরা বি কলেজকে কলেজ হিসেবেই দেখে এসেছি, কেরিয়ারের সোপান বলে নয়, সেই জন্যে?
    একটু মেটাফর দিই। বিইকেলেজের সঙ্গে গাঁটছড়া আগুন সামনে রেখে প্রতিজ্ঞা, till death do us part; অন্যদের বেলা বোধ হয় লিভ টুগেদার!

    --
    দীপ্ত'র ছবিতে পূর্ণ বড়ঠাকুরের কথা পড়ে মনখারাপ হয়ে গেল, ১১তে আমরাও এককালে ছিলাম।
  • Suvajit | 59.177.200.64 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০১:৫১460557
  • সুমন চাটুজ্জ্যে কে আমরা এনেছিলাম ১৯৯৩ তে 'সেনসেশান'এ (সেন হলের তরফ থেকে)
    প্রসঙ্গত সুমনের 'তোমাকে চাই' বের হয়েছিলো কয়েক মাস আগে।
    'সেনসেশন' ২ দিনের প্রোগ্রাম ছিলো, প্রথম দিন কলেজের কিছু ছেলেমেয়ের নাচগান আর কন্ঠী জুটি মাস্টার সুমন আর মিস ময়ূরী।
    দ্বিতীয় দিন সুমন চাটুজ্জ্যে সোলো। সুমনের সঙ্গে স্ত্রী মারিয়া আর ৫ বছরের কণ্যা এলিজাবেথ ও এসেছিলো। তাকে স্টেজে তুলে সুমন গেয়েছিলেন 'তুই হেঁসে উঠলেই'।
  • debu | 72.130.151.116 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৫:১৮460558
  • ন্যরা,
    যদু তে Architect এ শুনেছিলাম চোতা করার দরকার হয়্‌না, ও কি ওখান্‌কার?
  • nyara | 209.118.182.66 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১০:০০460559
  • না।
  • kc | 194.126.37.76 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১০:০৭460560
  • ন্যাড়াবৌদিদের ক্লাসের স্বপ্নজিৎ দা ও (ত্রিপুরার)কোনও অসৎ উপায় নেয়নি বলে জানি।
  • Lama | 203.99.212.53 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১০:২৫460561
  • ন্যাড়াবৌদি স্বপ্নজিৎদার ক্লাসের বুঝি? স্বপ্নজিৎদা আমাদের স্কুলের সিনিয়ার ছিল।
  • kc | 194.126.37.76 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১০:৩৬460563
  • ইনফ্যাক্ট ত্রিপুরার খুব কম জনতাকেই আমি অসৎ উপায় নিতে দেখেছি। বোধিদা, জয়ন্তদা, জুনিয়রদের মধ্যে সায়ন্তন, সৌম্যব্রত, নবারুণ, এরা বেশ ডাকসাইটে সৎ বলে পরিচিত ছিল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন