এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • প্রবাসে ও বিদেশে বাঙলার মেধা পাচার পালা - দ্বিতীয় অঙ্ক

    pi
    নাটক | ১৩ অক্টোবর ২০১১ | ২৩৪৩৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • generic letter | 82.95.244.23 | ০২ আগস্ট ২০১২ ২১:৫৬495347
  • অধিকাংশ লোক কালচারের দাস।

    আকা, একথা ১০০% ঠিক যে অ্যাকাডেমিয়াতে কৌলিন্যের বিচারে রিসার্চকে পড়ানোর উপরে রাখা হয়। এবং তাই স্কলারের যে দ্বৈত ভূমিকা আছে (অর্থাৎ প্রোডাকশন প্লাস ডিসেমিনেশন) সেকথা স্কলাররা ভুলে যান। ক্ষতি ছাত্রছাত্রীর। কিন্তু দুইখান কথা আসে।

    প্রথম, আমেরিকাতে কিন্তু আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পড়ানোর জায়্গাগুলোর সঙ্গে আমাদের পরিচয় খুব কম। এখানে UG পড়ানোর জায়গা (১) আইভি লিগ - হার্ভার্ড, ব্রাউন, ইয়েল ইত্যাদি এবং (২) লিবারাল আর্ট্স কলেজ, যথা ওবারলিন সোয়ার্থমোর ইত্যাদি। আমরা যারা দেশ থেকে আসি তাদের পরিচয় মোস্টলি নন-আইভি-লিগ রিসার্চ ইউনির সাথে। এগুলো UG পড়ানোর জায়্গাই নয়। কাজেই আমরা অন্ততঃ আমেরিকার ক্ষেত্রে UG পড়ানোর লেভেলটা আন্ডারেস্টিমেট করি। আসলে এদেশে সবই স্পেশালাইজড। প্রফেসরের কন্ট্রাক্টে লেখা থাকে সে মূলত টিচার না রিসার্চার। তারপর অনেকটাই ইন্সেন্টিভের খেলা। ঐ পড়ানোটা-নীচু-কাজ জাতীয় স্টিরিওটাইপিংও আসলে এই ইন্সেন্টিভ সিস্টেমে তৈরি হয়। লিবারাল আর্টস কলেজেই এই স্টিরিওটাইপ পাবে না।

    বিদেশে না হয় বুঝলাম প্রফেরা একটু কম রিসার্চ আর বেশি পড়ানোর দিকে মনযোগ দিলে ভালো হয়। কিন্তু দেশের প্রবলেমটা আরো বেসিক - অধিকাংশ প্রফ কিসুই করেন না। না পড়ানো, না রিসার্চ। কারণ কালচার নেই, এবং ইন্সেন্টিভ নেই। (আমার মনে হয়, কালচারটাও ইন্সেন্টিভ প্রবলেম)। ঐজন্যেই ল্যাক অফ কমিটমেন্ট। মুশকিল হল, আমরা এখনো আশা করে বসে আছি শিক্ষকেরা একটা স্পেশাল জাতির মানুষ, জাস্ট সমাজের উপকার করতেই শিক্ষকবৃত্তি বেছে নিয়েছেন - ওনাদের গাজর বা লাঠি কিছুরই দরকার নেই। ওটা হয়্ত ১% কি ৫% ক্ষেত্রে ঠিক, কিন্তু সবার ক্ষেত্রে তো আর না। কাজেই এই হালত!

    এবার পিনাকীর কথায় আসি। অতিরিক্ত ইন্সেন্টিভ আমেরিকাতে গবেষণার ক্ষতি করছে একথা মাঝে মাঝে আমারও মনে হয়। টুকুশ টাকুশ স্টাডিও আছে। কিন্তু আমি এই পজিশনটার ব্যাপারে খুব স্কেপটিক্যাল। গত তিরিশ চল্লিশ বছর ধরে টেনিওর সিস্টেম একই আছে। ExperimenT-এর জন্যে আগেও গ্র্যান্ট লাগত, আজও লাগে। (তবে আজ যদি রিসার্চে থিয়োরি-এক্ষপেরিমেন্টের প্রপোর্শন বদলে থাকে, তাহলে অন্য কথা)। আমি অন্ততঃ সোশ্যাল সায়েন্স নিয়ে একথা বলতে পারি, যে ইন্সটিটুশনে কোন মেজর পরিবর্ত্তন আসেনি। তাহলে, এই যে লোকজন খালি বলেন যে বেড়ে গেছে বেড়ে গেছে সেটার ভিত্তি তো দেখি না। বাজওয়ার্ড আগেও ছিল, আজও আছে। পেপারকাউন্টিং আগেও ছিল, আজও আছে। যেটা কিছু বেড়েছে সেটা নাম্বার অফ রিসার্চার্স। কিন্তু সে তো জার্নালের সংখ্যাও বেড়েছে। তার জন্যে পুরো রিসার্চ কালচার এভাবে তলিয়ে যাওয়ার কারণ দেখি না।

    হ্যাঁ, একটা কথা বলা যায় যে সিস্টেমটা বরাবরই এরকম অসুস্থভাবে কম্পিটিটিভ। ল্যাং মারামারি, কারচুপি সেদিনও ছিলো, আজও আছে। ভ্যালিড পয়েন্ট। কিন্তু অধিকাংশ ভাল রিসার্চ তো এই সিস্টেম থেকেই বেরিয়েছে। যে যে দেশে কোনরকম হুড়কোর ব্যাপার নেই সেইসব দেশ থেকে গত শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধ থেকে কতগুলি ভাল কাজ বেরিয়েছে, আর হুড়কোসমৃদ্ধ আমেরিকা থেকে কতগুলো বেরিয়েছে? একবার হিসেবটা করলেই দেখতে পাবেন কি বলতে চাইছি। কাজেই হাতে-কলমে তো টেনিয়োর নামক হুড়কোর ভ্যালুটা পজিটিভই মনে হচ্ছে, অন্ততঃ অল্টার্নেটিভের তুলনায়।
  • pi | 82.83.90.116 | ০২ আগস্ট ২০১২ ২২:০০495348
  • আমার প্রশ্ন এই বাধ্যতামূলক দ্বৈত ভূমিকা নিয়ে। দ্বৈত ভূমিকা পালন করতে হবেই কেন ? চয়েজ দেওয়া হোক।
  • maximin | 69.93.206.22 | ০২ আগস্ট ২০১২ ২২:১৮495349
  • দ্বৈত ভূমিকা পালন করতে হবেই কেন? যারা শুধু গবেষনা করতে চাইবেন তাদের জন্যে চয়েস আছে, পিয়োর রিসার্চ ইন্সটি। শিক্ষকদের জন্যেই বরং চয়েস কম। দিল্লিতে সোশাল সায়েন্সের অসংখ্য ইন্সটি হয়েছে। গবেষণার মান সবগুলোতে ভালো নয়।
  • maximin | 69.93.206.22 | ০২ আগস্ট ২০১২ ২২:৪৫495350
  • তাই বলে কি ইউনিভার্সিটি টিচারদেরও দুভাগে ভাগ করতে হবে? শিক্ষকতা / গবেষণা দুটো মিলিয়ে ধরলে আমাদের দেশের পার টিচার প্রোডাকটিভিটি কী রকম বলে মনে হয়? আমার তো মনে হয় ভালো পরিমাণ ডিজগাইজড আনেমপ্লয়মেন্ট আছে।
  • maximin | 69.93.206.22 | ০২ আগস্ট ২০১২ ২২:৪৮495351
  • দেশের প্রবলেমটা আরো বেসিক - অধিকাংশ প্রফ কিসুই করেন না। না পড়ানো, না রিসার্চ। জেনেরিকের সঙ্গে সহমত।
  • Sibu | 84.125.59.177 | ০২ আগস্ট ২০১২ ২৩:২৫495352
  • জিএলের ৯ঃ৫৬ পিএমের লেখা প্রসঙ্গে।

    একটু কোয়ান্টিটেটিভলি দেখলে টেনিওর সিস্টেম কি একই আছে বলা যাবে? গ্র্যান্ট, পেপার কাউন্টিং সব্সময়েই ছিল। কিন্তু এগুলোর ধরন তো অনেক বদলেছে। এখন থিওরীর লোকের পক্ষেও গ্র্যান্ট মাস্ট। পেপার কাউন্টিং-এর প্রেসার এতটা বেড়েছে যে কেউ আর পেপারে কষা অংকটা মিলিয়ে দেখা, বা এক্সপেরিমেন্টটা রিপিট করার ঝামেলায় যায় না (ঐ সময়ে একটা প্রোপোজাল লিখলে কাজে দেবে)।

    একটা কনফারেন্সের অভিজ্ঞতা বলি। এক নামী জার্নালের এডিটর ইন চীফ একটা পেপার প্রেজেন্ট করছেন। আমার একটা রেজাল্টে সন্দেহ হওয়ায় কোশ্নো করি। তাতে তিনি বহুৎ খচে গিয়ে বলেন এসব লো-লেভেল ব্যাপার নিয়ে ভাবার সময় তাঁর নেই। এগুলো ছাত্রদের দেখার কথা। এবং কমেন্টটা ঘরের কারো কাছে অস্বাভাবিক মনে হল না।

    আর একটা ঘটনা। এক ডীন (বঙ্গসন্তান) নতুন ফ্যাকাল্টিদের ইনস্পায়ার করছেন - তোমাদের বয়েসে আমার এত গ্র্যান্ট ছিল যে আমার একজন আলাদা প্রাইভেট সেক্রেটারী ছিল। এক শ্রোতার প্রশ্ন - বাঃ, আপনি নিশ্চয়ই খুব পাথ ব্রেকিং কাজ করেছিলেন। সেগুলো নিয়ে একটু বলুন না। ডীনের অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ ও প্রস্থান। প্রশ্নকর্তাকে পরে ঐ ইউনি ছাড়তে হয়।

    ইন্ড্স্ট্রীতে কিন্তু অ্যাকাডেমিক রেজাল্টকে একটু সন্দেহের চোখে দেখার রেওয়াজ আছে। আমি নিজেই ভাল ইউনি থেকে পাবলিশ হওয়া কাজ রিপীট করতে গিয়ে দেখেছি রেজাল্ট মেলেনি। এরকম অনেক হয়েছে।
  • riddhi | 74.134.148.140 | ০২ আগস্ট ২০১২ ২৩:৩৮495353
  • দেশের প্রফ রা ভাল মানে, খুব খুব ভাল না পড়ালে, আমরা যারা বিদেশে আছি, তাদের অর্ধেকের বেশী লোকের এখানে নিঃশ্বাস ফেলার আউকাত থাকত না। সর্বত্র এরকম না, কিন্তু দেশের ভাল কলেজ ইউনিতে পড়ানোকে অবহেলা একেবারেই করা হয় না।
  • maximin | 69.93.206.22 | ০২ আগস্ট ২০১২ ২৩:৫৪495354
  • রিদ্ধি আমিও ওটাকেই ক্রাইটেরিয়ন ধরছি --ছাত্ররা বিদেশে গিয়ে ভালো করলে বোঝা যায় দেশের প্রফরা ভালো পড়িয়েছেন।
  • maximin | 69.93.206.22 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০০:০৬495355
  • কিন্তু তার মানে বিদেশে কম্পিটিশন অনেক অনেক বেশি।
  • generic letter | 146.142.168.156 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০০:২১495358
  • কি বলি বল তো?
    অনেকগুলো জিনিসই ব্যক্তিগত এক্স্পিরিয়েন্স-নির্ভর।
    শিবুর বক্তব্য প্রসঙ্গেঃ ফিল্ড বাই ফিল্ড গ্র্যান্টের প্রেসার ভ্যারি করে। যেমন আমার ফিল্ডে গ্র্যান্ট হইলেও-হইল। থিয়োরিতে কোন এক্ষপেক্টেশন নেই। আমার মনে হয় এখানে একটা ফ্যাক্টর আছে। কিছু ফিল্ডের গোটা অর্থ্নীতিটাই গ্র্যান্টনির্ভর। সোশ্যাল সায়েন্সে বা অংকে বা ম্যানেজমেন্টে তা না। গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্টের টাকা আসে ইশ্কুল থেকে, ugদের (বা mbaদের) টুইশানের পয়্সা থেকে। ফলে স্টুডেন্টরা প্রথম থেকেই কোন প্রফের কাছে নাড়া বাঁধে না। গাইডের কাজ গাইড করাঃ যেহেতু আমার পয়্সায় তোমায় পুষছি তাই তোমার সমস্ত পেপারে আমার নাম থাকবে এমন অলিখিত নিয়ম নেই। এই ফিল্ড গুলোতে মনে হয় অপেক্ষাকৃত বেটার সিচুয়েশান।

    ঋদ্ধিঃ অনেকের মতে দেশে শিক্ষকতার মান ভাল, অনেকের মতে বাজে। আমার ধারণা কিছু সিলেক্ট ইন্স্টিতে ভাল (কোথাও খুব ভাল) , মেজরিটিতে বেশ বাজে। আমরা যার বিদেশে "নিশ্বাস ফেলছি", তারা প্রায় সবাই ঐসব ইন্স্টিতে পড়েছি। সাজেশনঃ একবার গিয়ে সি ইউ ফিলজফি বা পলিটিকাল সায়েন্সের মাস্টার্সের ক্লাস ঘুরে এসো। অন দি আদার হ্যান্ড, রিসার্চের মান বেশ ইউনিফর্মলি খারাপ - একেবারে একটি দুটি ইন্স্টি বাদে। এই কথাটাই বল্তে চাইছি। অর্থাৎ দেশের প্রফেরা তবু যদি পড়ান, রিসার্চের খাটনিটা দিতে বেসিকালি গায়ে জ্বর আসে।

    পাইঃ দ্বৈত ভূমিকা। যিনি পড়ান, তাঁর রিসার্চ করা উচিৎ, জাস্ট টু স্টে ইন টাচ। নয়্ত নলেজ তামাদি হয়ে যায়। আমরা খুব ভাল কিছু শিক্ষক পেয়েছি, কিন্তু তাঁরা যা পড়িয়েছেন সেই সবই তিরিশ বছরের পুরোনো। একটা উদা দিলে ব্যাপারটা পরিস্কার হবে। আমাদের ফিল্ডে পঞ্চাশ-ষাটের দশকের মেন কাজ ছিল - ফ্রি মার্কেট কত ভাল সেটা দ্যাখানো। তারপর মূলধারার অর্থনীতি অনেকদূর এগিয়ে গেছে, অনেক নুয়ান্স বোঝা গেছে, কোনটা করে কোনটা করে না - কিন্তু ugতে, যাঁরা শুধুই শিক্ষক তাঁরা আজও ঐসব রেজালটই পড়িয়ে চলেন। ফলে জেনারেশন কে জেনারেশন ছাত্রছাত্রী (সবাই তো আর phd করে না) বড় হয় এই ধারণা নিয়ে যে মেনস্ট্রিম ইকনমিক্স ইকুয়াল টু নিওক্লাসিকাল বিলিফ - কথাটা নিশ্চয় তুইও শুনেছিস। এই হচ্ছে স্পেশালাইজেশনের কুফল। নিজে রিসার্চ না করলে, এত দ্রুত রিসার্চের ভাষা বদ্লায়, যে অন্যের রিসার্চ ফালো করা ভীষণ কঠিন হয়, এন্থুও থাকে না।
  • maximin | 69.93.206.22 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০০:৩২495359
  • বেগ টু ডিফার জেনেরিক। ফ্রি মার্কেট কত ভাল সেটা দেখানো চল্লিশের দশকের কাজ ছিল।
  • generic letter | 146.142.168.156 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০০:৩৩495360
  • hyaa kaarekT, dhanyabaad.
  • maximin | 69.93.206.22 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০১:৩৯495361
  • শিবু যে উদাহরণগুলো দিল সেই প্রসঙ্গে

    http://ukpmc.ac.uk/articles/PMC1796759
  • aka | 85.76.118.96 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০৭:২৬495362
  • জিএল, দায়িত্ব নিয়ে বললাম দেশে আমার অভিজ্ঞতা বলে পড়াশুনোর মান খারাপ।

    ধর কেউ র‌্যাণ্ডম ওয়াক পড়াচ্ছে। হেবি নেচে কুঁদে হাফ প্যান্ট লড়িয়ে বলার পর দেখলাম কিছুই বুঝলাম না, আবার বলতে বললাম, ওবাবা দেখি নেচে কুঁদে হাফ প্যাণ্ট লড়িয়ে আবারও একই কথা হুবহু বলল। ক্যাপা লাগে অমন পড়াতে। এবারে ঘরে গিয়ে অনেক লড়ে টড়ে বুঝলাম। ও বাবা পরীক্ষায় দেখি একেবারে অন্য মাল নামিয়ে দিয়েছে। শালা টেনশনেই ইসে শুকিয়ে অর্ধেক পরীক্ষা দেব কি। বোঝাতে পারে না, পরীক্ষায় খালি চমকে দিয়ে কি পরীক্ষা করে মাল তারাই বোঝে। ওদিকে হাবভাব এমন যে অ্যাপ্রোচ করতেই ভয় হয় এই বুঝি বকে দেবে। দুদ্দুর। এর থেকে আমি ভালো পড়াই যেকোন দিন।
  • bb | 127.195.173.238 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০৮:৪০495363
  • আসলে কি জানেন মিনিদি অনেকই মনে করেন দেশে কিছু হয় না। ঐ সিস্টেম থেকে আমি যে বেরিয়েছি, এটা আমার ক্যালিবার, শিক্ষকদের নয়। কিন্তু এটা বোধহয় ঠিক নয়, কারণ যতই ছাত্রভাল হোক, শিক্ষাব্যব্স্থার গুণ না থাকলে এটা হতে পারে না।
    দুদিন আগে আমি নির্ম্যাল কুমারেরে লন্ড্ন টেড-এ দেওয়া বক্তিটার যে লিংক দিয়েছিলাম তাতে তিনি রিসার্চের দ্বারা দেখিয়েছেন যে এই ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় ইনোভেশন হচ্ছে না এটা কত বড় মিথ। উনি "ইনভিসিবল ইনোভেশন" এর কথা বলেছেন আর ডেটা দিয়েছেন।
    উৎসাহী জনতা শুনতে পারেন - এটা আমাদের প্রচলিত জনমতের সঙ্গে মেলে না।
    http://www.ted.com/talks/nirmalya_kumar_india_s_invisible_entrepreneurs.html
  • Ishan | 60.82.180.165 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০৯:৫৪495364
  • এ তো দেখি রিসার্চ ব্যাপারটা নিয়েই দস্তুরমতো রিসার্চের প্রয়োজন। :)
  • Abhyu | 107.81.108.14 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০৯:৫৭495365
  • তাপ্পর ডেটা নিয়ে মেটা অ্যানালিসিস :)
  • generic letter | 82.95.244.23 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০৯:৫৯495366
  • কি সাংঘাতিক!! ফনীশ তো আমারো কো-অথর!!
  • riddhi | 118.218.136.234 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ১০:০৪495367
  • হাফ প্যান্ট লড়ানো মানে? আমি আজ হুল্লাট মাল খেয়েছি, আকাদাও কি তাই? এই আকাদা, র‌্যান্দাম ওয়াক ন্দিআতে ভাল পড়াই এটা এট লিস্ট স্বীকার কর মাইরি, এতে কিচ্ছু এসে যাবে না, মাইরি বলছি । পুজিবাদ থাকবে, ওপেন মার্কেট থাকবে , কল্কাতাই তিনটে বার্গার কিং আর চার্তে ওয়াল্মার্ট খুলবে, আমি কিচ্ছু অপত্তি করব না, মেরির চুরির মত অন্যদিকে চেয়ে রইঅব , কিন্তু সালা ইন্দিয়াতে রয়ান্ডাম ওয়াক ভাল পড়াই এটা অন্তত স্বীকার কর। আমি নিজে একটু ওয়াক করে আসি।
  • generic letter | 82.95.244.23 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ১০:২১495369
  • ওয়াক করতে যাচ্ছো? বিবমিষা?
  • Sibu | 118.23.96.4 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ১০:২২495370
  • মাল খেয়ে ওয়াক বাজে আইডিয়া। করতেই যদি হয় তো ভাল জিনিষটা নষ্ট কোরো না। বোতলে করে কালকের জন্য রেখে দাও।
  • অবাস্তব | 24.139.163.29 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ১০:৫৩495371
  • একখান প্রশ্ন ছিল, নিবেদন করে ফেলি।

    ভালো মাস্টার কারে কয়, যার ক্লাসে বেশির ভাগ ছেলেই কিছু কিছু শেখে নাকি অল্প কিছু ছেলে অনেক অনেক শেখে।

    এই সিরিজে পরে আরো প্রশ্ন দেব খন।
  • বাস্তব | 24.99.30.108 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ১১:০২495372
  • এরকম সেট ধরে দেখলে তো এটাও প্রশ্ন করা যায় যে : মাস্টার ভালো কিনা কারা জাজ কর্বে ?

    যারা শিখলো তারা
    যারা শিখলো না তারা
    যারা মাস্টার কে রিক্রুট করলো তারা
  • riddhi | 118.218.136.234 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ১১:০৭495373
  • যার ক্লাসে বেশীর ভাগ ছেলেই কিছু ্কিছু শেখে। গ্রেটেস্ট গুড ফর দ্য গ্রেটেস্ট পসিবল নাম্বার,।
  • fevi | 188.83.80.148 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ১২:০৬495374
  • ভলো শিক্ষক ব্যপারটা বোঝা বেশ চাপের। UG তে আমরা এক শিক্ষকের ওপর হেব্বি ইম্প্রেসড ছিলাম। জলদগম্ভীর গলায় পড়াতেন আর প্রায় সমস্ত টপিকেই সিদ্ধান্তে আসতেন। এক্দিন জল পড়াতে গিয়ে বল্লেন, আর্সেনিক নিয়ে আর কিছু করার নেই। একবার contaminated হয়ে গেলে, মায়ের ভোগে। অন্য দিকে, কয়েকজনের লেকচার মাথার ওপর দিয়ে যেত। বাড়ীতে এসে গুছিয়ে পড়্তে হত বোঝার জন্য। এদের সেই সময়ে আমরা মোটেই ভালো চোখে দেখ্তাম না।

    মজার কথা, যখন বিদেশে এলাম, এই দুই নম্বররা যা পড়াতেন, সেটাই গবেষণার বিষয় হল। জল নিয়ে কোনোদিন ইন্টারেস্ট পাইনি। প্রয় সাত বছর হয়ে গেল পড়াচ্ছি। পড়ানোর সময়, আমি পরের গ্রুপকে ফলো করি, বলা বাহুল্য।
  • riddhi | 118.218.136.234 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ১২:৩১495376
  • আমাদের একটা বন্ধু ছিল কেমিস্ট্রিতে ঘ্যাম। সবেতেই ঘ্যাম ছিল, অন্ক ফিজিক্স ইঃ , কিন্তু আমরা মাঝে মাঝে খ্যাপাতাম। একটা অন্ক পরিক্ষায় ও একটা পারেনি, তো বললাম ও এইটা যাঃ এ তো জলের মত সোজা। কি ক্ষেপে গেল ! বলে 'জল সোজা?' জল কি জানিস...."?
  • sosen | 24.139.199.1 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ১৩:৪৫495377
  • হেভি ঘেঁটে যাচ্ছে।শিক্ষক মানে কোন ধাপের শিক্ষক নিয়ে কথা চলছে?
    আ গ্র্যা তে রিসার্চের প্রয়োজন নেই। কিন্তু শিক্ষকদের রিসার্চজগতের সঙ্গে যুক্ত থাকা জরুরি। না হলে জম্মের শোধ নিজে আ গ্র্যা তে যা শিখেছিল তাই পড়িয়ে যাবে। সিলেবাস শুধরোনর কমিটিতে ঢুকেও কোন আপগ্রেডেশনের বিরোধিতা করবে। কারণ নিজেকে আপগ্রেড করার দরকারে কিঞ্চিৎ খাটুনি আছে, সেই খাটুনি আখেরে ছাত্রদের কাজে লাগবে। পার্মানেন্ট সরকারী চাকরি করতে ঢুকে লোকে বাধ্যতামূলক সিস্টেম না থাকলে সে খাটুনি খাটবে না।তাই একটু বাধ্যতামূলক রিসার্চ, থাকুক না। একটু চাকরি যাওয়ার ভয় ও থাকুক।
    এবার পো গ্র্যা এবং পরবর্তী ধাপে অবশ্যই অবশ্যই শিক্ষকের ভূমিকা দ্বৈত। অপশন থাকবে, চয়েস থাকবে, থাকুক না। খুব ভাল গবেষক, পড়িয়ে উঠতে পারেন না, তা হলে ও তাঁদের ক্লাসের একটা মূল্য থাকে ছাত্রের কাছে। আগ্রহী ছাত্র এই পর্যায়ে নিজে প্রশ্ন করে, মাস্টারের ঘর ধাওয়া করে ঠিক জেনে নেবে যা জানতে চায়। তার কাছে উচ্চ গবেষণার দরজা খুলে রাখা তো দরকার!
    আর গবেষণার লেভেলে শিক্ষকতা বলেও তো একটা বস্তু আছে। সেখেনেও দারুণ গবেষক এর ছাত্র ততটাই গ্রাউন্ড ব্রেকিং কাজ করে না, কিন্তু আডভাইসর-স্টুডেন্ট এর যে ওয়ান টু ওয়ান রিলেশন, সেটা ছাত্রকে গড়ে ওঠায় সাহায্য তো করেই। বিভিন্নভাবে।

    দ্যাশের সিস্টেমে কিছু হয়না তা নয়, কিন্তু বড় অ্প্রতুল। এক গুরুভাই কলকাতা ইউনিভারসিটির জেনেটিক্স এ চাকরি করছে। কদিন আগে ভরদুপুরবেলা। মস্ত আইসবাকেট হাতে এসে হাজির। কি না, একটু সনিকেট করে ব্যাক্টিরিয়াল সেল ফাটিয়ে দিবি? স্টুডেন্টরা বসে আছে, গিয়ে প্রোটিন জেল চালাব। আমি জিজ্ঞেস করলাম, গোটা বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজে একটা সনিকেটর নেই? বল্ল থাকবে না কেন। আছে। কিন্তু চারজন প্রফেসর কে সই করাতে হবে ব্যবহার করার জন্য, তার দুজন ছুটিতে। ছেলে গাড়ি নিয়ে বালিগঞ্জ থেকে কাঁকুড়গাছি এসেছে, সেল ফাটিয়ে ফিরে যাবে তাই।
    ভার মনে তার কাজটি করে দিলুম। বায়কেমিস্ট মাত্রেই বুঝবেন এর চেয়ে বিড়ম্বনা আর হয় না।
    এবার যদি কেউ বলেন, ছানাদের হাতে কলমে অত্ত শেখাবার দরকার কি পো গ্র্যা তে, তবে আমি নিরুত্তর। শিক্ষা মানে কি অন্বেষণ নয়কো? জি এল কে ক। "নিজে রিসার্চ না করলে, এত দ্রুত রিসার্চের ভাষা বদ্লায়, যে অন্যের রিসার্চ ফালো করা ভীষণ কঠিন হয়, এন্থুও থাকে না।"
  • pi | 138.231.237.5 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ২১:৫০495378
  • ফেভি, উনি কি বাই এনি চান্স প্রফ ঃ আর্সেনিক চক্রবর্তী ?
  • pi | 138.231.237.5 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ২১:৫৮495381
  • সোসেন, আমি পুরানো একটা পোস্টে লিখেছিলাম, যিনি উচ্চ গবেষণা করছেন কিন্তু শিক্ষকতায় তেমন আগ্রহী নন বা ভাল শিক্ষকতা করতে পারেন না, তাঁরও অন্ততঃ কিছু ক্লাস নেওয়া উচিত, বা স্পেসিফিক কোন কোর্স। ওঁর কাজের ফিল্ডের উপর।
    আর আ গ্র্যা তে এই সমস্যার সমাধান করতে গেলে, সিলেবাস বদল আনতেই হবে। সেখানে , নতুন গবেষণার ফ্লেভার দেবার প্রভিশন রাখতে হবে। সিলেবাস সমানে আপডেট করতে হবে। গবেষণার সাথে যাঁরা অ্যাক্টিভলি আছেন ( কিছুজন তো অবশ্যই আছেন), সিলেবাসের কমিটিতে তাঁদের নেওয়াটা অনেক নেশি জরুরি বলে মনে হয়, তাঁদের সবাইকে দিয়ে শিক্ষকতা বাধ্যতামূলক করার চেয়ে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন