এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • স্বামী বিবেকানন্দ ই::নির্মোহ (দুই)

    nk
    অন্যান্য | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ | ৮৩৪৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • nk | 151.141.84.194 | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ ০৩:৫০513999
  • আগের টইটার লিংক দিয়ে দিন কেউ।
    এখানে ভালো করে বিশ্লেষণ করুন আর লিখুন প্লীজ।
    অফ টপিক: এই টইয়ের কল্যাণে আমি হেন অস্থিদাহকারী পর্যন্ত বিবেকানন্দের মূল লেখাগুলো পড়তে আরম্ভ করবো বলে নামিয়েছি। :-)
  • ridhhiman | 192.108.242.54 | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ ০৮:৩২514214
  • কেসিদার একটা কোশ্চেন ছিল। দেখুন, মহাপুরুষদের মেয়েদের থেকে দূরে থাকা, আর সমাজের দুচ্ছাই করার ডিফারেন্স আছে। আপ্নার কোশ্চেন ছিল টু-ইন-ওয়ান। কমল মিত্র ঘরের মেয়েদে বৌকে র দাবড়ে চাপড়ে ভূত ভাগিয়ে দেন, সুখেন দাস ভাবেন আগে চার টে ছোট বোন দের বিয়ে দিয়ে কালী মন্দির টাকে দাড় করাই, এর আগে প্রেম করলে কেল্লোর, তাই সন্ধ্যারাণিকে রিজেক্ট। দুটো আলাদা লোক।
    সমাজ হল কমল মিত্র। বেসিকালি হারামি টাইপ। এখন কমল মিত্র না হয়ে গীতা দে কেন ছড়ি ঘোরাচ্ছে না? কারণ একেবারে প্রথম দিকে ছেলেরা শারীরিক শক্তির সুবিধে পেয়ে প্রোডাকশানের ক®¾ট্রাল নিয়ে নিয়েছিল। যে চাকরি করে , বা কারার ক্যাপা রাখে, তার পাতে মুড়ো এরকম একটা জুক্তি। মার্ক্সের। আমি সেকেন্দ হ্যন্ড শুনেছি। তার সাথে আছে বিয়ের প্রতিষ্ঠান রক্ষা করার ব্যপার। সম্পত্তি যাতে হাতে থাকে। তাই সতী-er, the merrier। এই কুট কাচালিটা এঙ্গেলে্‌সর।এখন যেখানে অর্থনৈতিক মাঠে শরীরকে আর কেউ পাত্তা দিচ্ছে, মেয়েদের ঘ্যাম বাড়ছে, গোদা ভাবে বললে। এ নিয়ে বোলনে ওয়ালা এখানে প্রচুর আছে। দম দিয়ে দিলেই হল । তবে এই দু ভাই লাইব্রেরী যেত। তাই রিলায়েবল।
  • ridhhi | 192.108.242.54 | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ ০৮:৩৩514225
  • এখন চরম আতেল রা এটাও বলবে যে সুখেন দাস সুখেন দাস হতে পেরেছে কমল মিত্রদের জন্য। মানে অনুপম খেরের মত বাপ থাকলে ডিগঋস ও ফ্রিডম বেশী থাকত,-- যে লোকটার মেয়ে দেখায় এলাউদ না, তার এইসব সেন্টু কথা বলা খুব সোজা। ডাবল আতেলরা বলবে, যে সুখেন দাসের এই লজ্জা লজ্জা ভঙ্গিমে আসলে অবচেতনে মেয়েদের প্রতি অবজ্ঞা, কমল মিত্তিরের এক দুসরা কিস্ম। তবে এই নিয়ে বোলনেওয়ালা প্রচুর আছেন এখানে।
  • abastab | 61.95.189.220 | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ ০৮:৪২514236
  • riddhi-র বিষয় কি পরিসংখ্যান তঙ্কÄ। আগের টই-এ দেখলাম প্রিন্সিপাল কম্পোনেন্ট, এখনে দেখছি ডিগ্রীস অফ রীডম। নকি স্ট্যাটিস্টিক্সের বাণী ঘরে ঘরে প্রচারিত হয়েছে।
  • aka | 75.76.118.96 | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ ০৯:০৪514247
  • @ আগের টই &&


    Name: saikat Mail: Country:

    IP Address : 116.203.187.157 Date:23 Jan 2012 -- 10:24 PM


    সৈকত, প্রথমে বলি ঔপনিবেশিকতা বলতে আমি কি ভাবছি।

    ১। ইংরিজি শিক্ষা - সে সময়ে কলকাতায় ৪০ টি ইংরিজি স্কুল ছিল আর মাদ্রাজে ১ টি। রাজধানী হিসেবে কলকাতা ইংরিজি শিক্ষা এবং বিদেশি জ্ঞানভাণ্ডারের অনেক কাছে।

    ২। রামমোহন এবং পরে ডিরোজিও এবং হিন্দু কলেজের ছাত্রদের হাত ধরে যুক্তিবাদের উন্মেষ। অক্ষয়কুমার দত্তের প্রমাণ ঈশ্বর নেই।

    পরিশ্রম = ফসল
    আবার, পরিশ্রম + প্রার্থনা = ফসল
    সুতরাং, প্রার্থনা = ০

    ৩। তুমি যেভাবে বললে চাকুরিরত বাঙালী যাদের মনের মধ্যে ছিল ইংরেজের অধীনে চাকরি করার হতাশা। এবারে এখানে একটা কথা বলি। চাকরির সাথে ইন্ডিভিজুয়ালের সম্পর্ক সবসময়েই কি লাভ-হেট রিলেশনশিপ নয়? এই গুরুতেই সর্বক্ষণ প্রায় সবাই সোসোনের কথা বলে। অথচ সেই চাকরির প্রতি প্রচ্ছন্ন আনুগত্য এবং ইন্টারেস্টও সময়ে সময়ে টের পাওয়া যায়। বক্তব্য হল ইংরেজের অধীন কি টিসিএসের অধীন চাকরি নিয়ে বঙ্কিমবাবুর মতন কথা কি আমরা সবাই অল্পবিস্তর বলি না?

    কিন্তু তা সঙ্কেÄও ইংরেজদের হাতে জাতিগত ভাবে দাসত্বের জ্বালা বেশ ভালই ছিল।

    রামকৃষ্ণর অ্যাপিল অবশ্যই ছিল নইলে কেনই বা সকলে ছুটবে। কিন্তু কেশব সেনের রামকৃষ্ণ ভালোলাগা আর বিবেকানন্দের ভালো লাগা এক ছিল না। কেশব সেন রামকৃষ্ণের সহজিয়া দর্শন ও জীবনবোধে আকৃষ্ট হয়েছিলেন। আর বিবেকানন্দ সেখানে প্রথমদিকে রামকৃষ্ণর কাছে যেতেন ওনার সহজিয়া দর্শনের জন্য কিন্তু আস্তে আস্তে বিবেকানন্দ যে রামকৃষ্ণর ডিভাইন পাওয়ারে বিশ্বাস করেছিলেন সেকি তাঁর ধর্ম নিয়ে যে ব্যক্তিগত কনফিউশন ছিল তারই ফল?

    (ডি: একে বলে পিওর পাকামো, কিন্তু সৈকতের অ্যানালিসিসটা ইন্টারেস্টিং লাগল তাই পাকামোই করি খানিক)

  • aka | 75.76.118.96 | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ ০৯:১১514258
  • এককথায় বললে ঔপনিবেশিকতা বিবেকানন্দকে অক্ষয়দত্তর মতন ভগবান নেই প্রমাণ করার সুযোগ দিয়েছিল কিন্তু বিবেকানন্দ বিজ্ঞান ও টেকনলজির ভূমিকা বুঝলেও শেষ অবধি ধর্ম ও ঈশ্বর চেতনায় সাবস্ক্রাইব করেন, আমার মত হল এটা তাঁর ইটারনাল কনফিউশন যা থেকে উনি সারাজীবনে বেরতে পারেন নি।
  • dukhe | 202.54.74.119 | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ ১০:০১514269
  • কনফিউশন আর রইল কই ? রামকেষ্টজী তো কিলিয়ার করে দিলেন । তাইতে বিবুদা ওনার চেলা হলেন।
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ ১০:৪৫514280
  • রামকৃষ্ণ কি প্রার্থনা ০-র বেশি বলে খুব দাবি করেছেন? এক সন্ন্যাসী এসে রা বলেছিল সে যোগবলে হেঁটে গঙ্গা পার হতে পারে। রামকৃষ্ণ বললেন, ওতো মাঝিকে দুনয়া দিলেই করিয়ে দ্যায়। ফলে এই ছোট ছোট সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, যা পরিশ্রমেই নেমে যায়, তার জন্যে প্রার্থনা করার দরকারই নেই, দরকারটা সেই ০কে অর্জনের জন্যে, যা দুনয়া দিলেই পাওয়া যায় না।

    শূন্যের সংগে মহাসুখে বিলীন হওয়ার কথা তো চর্যাকার থেকে হাসন-লালন সবাই বলে যাচ্ছেন- আমি একদিনও দেখিলাম না যারে, সে তো শূন্যই
  • siki | 123.242.248.130 | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ ১১:০৫514000
  • কনফিউশন। ভিকিদার জীবনী পড়লে আমার এইটাই বারে বারে মনে হয়। স্ববিরোধ। তুলকালাম স্ববিরোধ। যে নরেন দত্ত ছোটবেলায় বন্ধুদের বলছে নিজের চোখে না দেখা পর্যন্ত কোনও কিছুতে বিশ্বাস করবি না, সেই নরেন দত্তই এর কাছে ওর কাছে ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে "আপনি ঈশ্বরকে দেখেছেন?' "আপনি ঈশ্বরকে দেখেছেন?' করে। এইখানটাতেই স্ববিরোধটা চোখে পড়ে। তুমুল স্মৃতিশক্তি, মোটা মোটা বই একরাত্রে শেষ করে দিতে পারেন, এবং তার থেকে লাইন বাই লাইন হুবহু কোট করে দিতে পারেন, এমনিতে দারুণ লজিকাল, কিন্তু চেতন বা অবচেতন মনে মনে খুঁজে বেড়াচ্ছে এমন একটা ফিলোজফি যেখানে তিনি সাবস্ক্রাইব করতে পারেন। কেন? কী পোকা কামড়াচ্ছিল? এত বই পড়া অল্প বয়েসে এমন বিজ্ঞজন, পৃথিবীতে জানার জিনিসের কি অভাব পড়েছিল? কী এমন পোকা কামড়াচ্ছিল যে দেবেন ঠাকুর কেশব সেন ঈশ্বর দেখেছেন কিনা, দেখে থাকলে সেই মেশিনে মগজ ধোলাই না করানো অবধি তাঁর শান্তি হচ্ছিল না?

    আজ একবিংশ শতকে দাঁড়িয়ে বলা মুশকিল। রামকৃষ্ণ তাঁকে যেভাবে হোক ঈশ্বর দেখিয়েছিলেন, অথবা আমার ব্যক্তিগত ধারণা। রামুদা আর ভিকিদার মধ্যে ক্লোজড ডোর ডিলিং হয়েছিল, লরেন বলেছিল দেশের জন্য জীবনটাকে উৎসর্গ করে দিতে চাই, রামুদা বললেন দ্যাখ লরেন, দেশের লোকজনকে তো কমদিন ধরে দেখছি না, যদি ওদের ভিড়ে মিশে ওদের জন্য কাজ করতে চাস, ওদের মুক্তির কথা ভাবতে চাস, তাইলে সন্ন্যাসীর ভেক ধর। ধর্মের ডোজ আমজনতা খুব ভালো খায়। তোর মধ্যে সেই জিনিস আছে, তুই পারবি, তুই লজিক বুঝিস, তাইলে এই লজিকটাও বুঝে যা, সারাজীবন ধরে সন্ন্যাসী সেজে তুই দেশের দশের ভালো করে যা, তোর কাজটা সহজ হবে।

    ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার ছিলেন পাঁড় নাস্তিক, তিনি রামকৃষ্ণকে সময় পেলেই টন্ট টিটকিরি করতেন, ধার্মিকের অভিনয় করতে পারতেন না, এমনকি তিনিও মোহিত ছিলেন রামকৃষ্ণের ব্যক্তিত্বে। কারণ কিছু একটা নিশ্চয়ই ছিল।

    বেশ কঠিন, এই সময়ে দাঁড়িয়ে মহেনবাবু কী ভাবতেন সেই সব বিচার করা। জানি না কতটা ডকুমেন্টেড।

    অন্যদিকে, অল্পবয়েসে প্রখর জ্ঞানতৃষ্ণাসমেত ভিকিদা, প্রথমেই "ঈশ্বর আছেন' এইটা স্বত:সিদ্ধ ধরে নিয়েছিলেন, এই ধারণায় সাবস্ক্রাইব করে নিয়েছিলেন, তারপরে জানতে বেরিয়েছিলেন কেউ ঈশ্বরকে দেখেছিলেন কিনা। পাড়া-ছাই-চলো-যাই সম্বন্ধে হয় তো তাঁর সে রকম কিছু জানা ছিল না সেই সময়ে, প্লাস যে সামাজিক বাতাবরণে তাঁর বেড়ে ওঠা, সব মিলিয়ে এই ধারণায় সাবস্ক্রাইব করাটা এমন কিছু অসম্ভব ব্যাপার নয়।

    অসম্ভব ব্যাপার সেটাই, যে এইসমস্ত ভেগ চিন্তাভাবনা নিয়েই তিনি দেশ আর দশের ভালো করার ব্রত থেকে সারাজীবন বিচ্যুত হন নি, সেখান থেকে মেয়েরা বাদ পড়ে গেছে অনেকাংশেই, সে আলাদা কথা -- তার বাইরেও সেই সময়ে দাঁড়িয়ে যেভাবে তিনি একটা জাতির একটা বিশেষ ধর্মের আত্মপরিচয় ঘোষণা করে এসেছিলেন বিশ্বের দরবারে, সেইটাই সেই যুগের একটা অসম্ভব ব্যাপার ছিল। হয় তো আজকের দিনেও। বিশ্বের দরবারে একটা জাতিকে প্রতিষ্ঠা করবার জন্যে তিনি বেছে নিয়েছিলেন ধর্মের পথ, কারণ, ধর্মের আফিং, চিরকালই, সব দেশের মানুষ, খায় ভালো। খুব কমকিঞ্চিত মানুষ আছে, যারা ও নেশায় বঞ্চিত। ধর্ম নিয়ে তাঁর পড়াশোনাও ছিল প্রচুর, তুখোড় বাগ্মীতা ছিল, ভালো লেখার হাত ছিল, ঘ্যামা স্মৃতিশক্তি ছিল, সব মিলিয়ে যা হবার, তাই হয়েছিল।

    তবে বাঙালিকে জাগাতে গেছিলেন, সেই জাগরণটা আজও হয় নি, বাঙালি তথা ভারতীয়দের যা চিরকালীন রোগ, একটা ধম্মোবাপ না থাকলে ভাত হজম হয় না, তা বিবেকানন্দকে সেই ধম্মোবাপ বানিয়ে বাঙালি সুখে আছে আজ। :) কেউ প্রো-কন নিয়ে আলোচনা করলেই ইটপাটকেল ছোঁড়াছুঁড়ি শুরু হয়ে যায়।

    এই আর কি। অবিশ্বাসীদের প্রতি ইতিহাস কোনওদিনই সহায় হয় নি।
  • dukhe | 202.54.74.119 | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ ১১:৫৭514011
  • স্ববিরোধ আবার কোথায় ? না দেখা অবধি নরেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করেনি তো। "আপনি ঈশ্বরকে দেখেছেন?" - এ তো কিউরিয়সিটি। রামকেষ্ট পষ্ট উত্তর দিয়েছিলেন, কোন ভেগনেস নাই ।
  • dd | 110.234.159.216 | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ ১২:২০514022
  • কোনো তঙ্কÄ নয়, কোনো তঙ্কÄ নয়। শুধু তথ্য ।

    কাল রাতে অনেক পোস্টিং হয়েছে, সব কটি ই প্রফুল্লকর কিন্তু একাধিক জন লিখেছেন রামকৃষ্ণের "দলে দলে শিষ্য" ছিলো। পড়ে মনে হোলো সেটা বোধয় তার জীবদ্দশার সময়েই বলা হয়েছে।

    কিন্তু আমার খটকা লাগছে।

    সেই সময়ে লাটু মহারাজকে ধরে কুল্লে বারোজন শিষ্য ছিলো তাঁর। আর্থিক অনটন ছিলো নিত্য সংগী। সারদা মা নিতান্ত দরিদ্রতার মধ্যে পরেন, উনার ভাইয়েরা ছিলো অতি বদ। সামান্য খরচা যোগান ও অসাধ্য ছিলো শিষ্যদের।

    বিবেকানন্দের বড়ো দু:খ ছিলো ঠাকুরের শ্রাদ্ধাদি কর্ম "ভালো ভাবে" করা হয় নি বলে (হাতের কাছে লিং নেই কিন্তু)। ইত্যাদি। তার সময়কার অন্যান্য ধর্মগুরু ,বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামীর,কেশব সেন - এঁদের মতন বিখ্যাত বা জনপ্রিয় তিনি ছিলেন না।

    দলে দলে শিষ্য/ভক্ত এরা পোস্ট বিবেকানন্দ ফেনোমেনন। তাই তো ?
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ ১২:২৮514033
  • লে, কথামৃতে তো গাদাগাদা ভক্ত, রোজ দ্যাখা করতে আসছে এসব বলা হচ্ছে।
  • dd | 110.234.159.216 | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ ১২:৩৫514044
  • কে জানে , হয়তো তারা দক্ষিণেশ্বরের মন্দির দেখতেই আসতো। এসে ঠাকুরের সাথেও দেখা করে যেতো। নট দা আদার ওয়ে রাউন্ড।

    এক "মারোয়ারি ভক্ত" ঠাকুরকে মিছরির পানা দিয়েছিলো সেটা মনে আছে। তেমন নিয়মিত ভক্ত বোধয় ছিলো না।

    ওনার মৃত্যুর খবরো খুব ছোটো করে অনাদরে বেড়িয়েছিলো (আবারো, লিং নেই) বিবেকানন্দ আদি শিষ্যরাও তো প্রচন্ড অর্থ সংকটের মধ্য দিয়ে গেছেন।

    সে রকম গাদাগাদা নিজস্ব ভক্ত থাকলে এরকম তো হবার কথা না।
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ ১২:৩৯514055
  • আবার দুদিন আগে আবাপতে দেখছিলাম, ঠাকুরের মাইনে বেশ মোটা অংকের ছিল। অসুস্থতার সময়ে সব চলে যায় হয়তো
  • Shibanshu | 117.213.235.44 | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ ১৮:৫২514066
  • আগের টইতে রিমির প্রশ্ন প্রসঙ্গে আমার ধারণা বলি,

    . শ্রীরামকৃষ্ণের যে 'সময়',তখন শুধু 'ধর্ম' নিয়ে আলোড়ন চলছিলো না। আসলে তা ছিলো শংকরাচার্যের প্রায় এক হাজার বছর পরে সনাতনধর্মীয়দের আত্মজিজ্ঞাসার আলোড়ন। এই এক হাজার ধরে ভারতীয় সমাজে যে বিবিধমুখী ওলটপালট ঘটেছিলো সেখানে সনাতনধর্মীয়রা ছিলো receiving endয়ে। ইসলাম শাসন অবসানের পর য়ুরোপীয় ধ্যানধারণার সংস্পর্শে এসে সনাতনধর্মীয়রা দেখলো তারা নিজেদের যতোটা অকর্মণ্য ও শক্তিহীন ভাবতো, আসলে অবস্থা ততোটা খারাপ নয়। কারণ তৎকালীন রাজশক্তির বহু পুরোধা ও প্রতীক, প্রাচ্যের এই মিস্টিক ধর্মদর্শনটিকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে চর্চা করছেন। এর ফলে যা ঘটলো, ধীমান, চিন্তাশীল সনাতনধর্মীয়রা খুঁজতে লাগলেন এককালের বিশ্বখ্যাত একটি অধ্যাত্মদর্শন কেন এভাবে নির্জীব, গতিহীন বদ্ধ জলায় পর্যবসিত হয়েছে। এই চর্চার সূত্রে তাঁরা দেখলেন যখন থেকে একটি সজীব ধর্মদর্শন তার অধ্যাত্মমূল থেকে অপসৃত হয়ে লোকাচারকেই 'ধর্ম' বলে আঁকড়ে ধরে, তখনই পাপের বীজ ব্যপ্ত হয় এবং 'ধর্ম'টির মৃত্যু ঘটে।

    এই নির্ণয় তাঁদের বিভিন্ন নেতিবাচক ও প্রতিক্রিয়াশীল লোকাচারের প্রতিবিধানকল্পে উপযুক্ত অ্যান্টিডোটের সন্ধানে নিযুক্ত করলো। রামমোহন একভাবে খুঁজলেন তাকে, ইয়ং বেঙ্গল আরেকভাবে, বঙ্কিম এবং বিদ্যাসাগরও নিজের মতো করে এই খেলায় তাঁদের ক্রান্তিকারী ছাপ রাখলেন। এই সমস্ত অগ্রগণ্য খেলোয়াড়দের প্রত্যেকেরই নিজস্ব অনুগামীর দল ছিলো। শ্রীরামকৃষ্ণ এই দলেরই একজন প্রধান খেলোয়াড় ও মুখ্য গুরু। যদিও তাঁর জীবৎকালে তাঁর অনুগামীর সংখ্যা বেশ সীমায়িত ছিলো। তাঁর যে 'দল' তা তৈরি করেছিলেন নরেন্দ্র। যে 'আলোড়নে'র কথা রিমি বলছেন, তা হলো একটি গ্রুপ ডাইনামিক্স, কোনও এককের কীর্তি নয়। 'ধর্ম' হিসেবে 'হিন্দু' অর্থাৎ সনাতনধর্মীয় এবং 'ব্রাহ্ম'রা একই দর্শন, শাস্ত্র ও ঐতিহ্যের অনুসরণ করতেন। ভিন্নতা ছিলো শুধু লোকাচারের অনুপালনে। তাই এ ছিলো বস্তুত এক গৃহমুখী আলোড়ন। বহির্পৃথিবীতে সনাতনধর্মীরা ঠিক কোন পরিচয়ে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দেবেন, তা নিয়ে ছিলো এক ব্যাপক গোষ্ঠীগত বিতর্কের ঘনঘটা। পরাধীন, ঔপনিবেশিক অভিশাপমগ্ন একটি জাতি তখনও আত্ম আবিষ্কারের জন্য 'ধর্ম' ব্যতীত অন্য কোনও আশ্রয় খুঁজে পায়নি। তাঁদের জন্য 'ধর্ম' কোনও 'চালিকাশক্তি' ছিলোনা, ছিলো অশক্ত এক যষ্টির আশ্রয়। মেধাবী মানুষেরা 'ধর্ম'চর্চার ঊর্ধে আরও বহু কিছু কাজকর্ম করতেন, ধর্মচর্চা জীবনের 'মূল ক্রিয়াকর্ম' ছিলোনা। হয়তো যেসব কর্মকান্ডকে 'ধর্মচর্চা' বলে মনে হচ্ছে, তা ছিলো আদতে নিহিত স্বার্থগোষ্ঠী প্রণোদিত অন্ধ লোকাচারের পুনরাবৃত্তি। সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিক ও গ্রামীণ মূলস্রোতের খেটে খাওয়া মানুষেরা অর্থোপার্জন ও পরিবার প্রতিপালনের প্রতিই বিশ্বস্ত থাকতেন। সেটাই ছিলো তাঁদের 'ধর্ম'এবং সে ট্র্যাডিশন এখনও চলেছে।

    . পাশ্চাত্যে বিবেকানন্দের 'প্রভাব' একটি তর্কসাপেক্ষ বিষয়। মুখ্যত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ও য়ুরোপের কিছু দেশে নাগরিক, শিক্ষিত, উচ্চবিত্ত, শাদা ত্বকের কিছু মানুষ ব্যক্তি বিবেকানন্দ ও তাঁর অসম্ভব আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের গুণমুগ্‌ধ ছিলেন। তিনি যতোদিন ছিলেন, সেই মুগ্‌ধতা বজায় ছিলো। উত্তর মীমাংসা বা বেদান্তের মতো একটি জটিল প্রাচ্য দর্শনের প্রতি আপামর পশ্চিমী মানুষ কেন আগ্রহী হবেন? পশ্চিমী উদ্বায়ু মানসিকতায় সাময়িকভাবে 'ঘাঁটি' গাড়ার উপযুক্ত সদাগর হলেন মহেশ যোগী বা রজনীশ। আশা করি বিবেকানন্দ তাঁর চূড়ান্ত 'মূঢ়' অবতারেও ( যদি সেরকম কিছু থাকে)এইসব 'ধর্মগুরু'দের সঙ্গে এ ব্যাপারে পাল্লা দিতে পারবেন না। ঠিক যেভাবে আমরা রবিবাবুকে নিজেদের ইচ্ছেতে 'বিশ্বকবি' বানাবো আর জগত শুদ্ধু বিদেশীকে হ্যাটা দেবো, কেন তারা আজ তাঁর সৃষ্টির প্রতি উদাসিন। সেভাবেই নরেন্দ্রের প্রতি পশ্চিমী মুগ্‌ধতা কেন কমে গেলো, তা নিয়ে আমরা প্রশ্নশীল হয়ে পড়ি। যদিও তাতে পশ্চিমী মানুষ বা নরেন্দ্রের কোনও ভূমিকা নেই।

    . বিজ্ঞান ও কৃৎকৌশল এই মূহুর্তে যে গতিতে মানুষের বিস্ময়বোধকে শেষ করে দিচ্ছে, তাতে মনে হয় না বৃহত্তর মানবসমাজের মনোজগতে কোনও নবতর অধ্যাত্মিক অবতার বা পয়গম্বরের স্পেস আর তৈরি হতে পারবে। বড়ো জোর সাঁইবাবা, রামুবাবা টাইপের ধর্মবণিকেরা এসে মাঝে মধ্যে দৌরাত্ম্য করে যেতে পারে। এ ছাড়া তেমন কোনও 'ধর্মসংকট' আশংকা করিনা। তবে বিপুলা চ পৃথ্বী, কাল নিরবধি। ভবিষ্যৎ গণনা বাবাজি মাতাজিদের বৃত্তি, আমাদের মতো পাপিষ্ঠ চন্ডালরা এই কাজ উদ্ধার করতে পারবেনা।
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ ১৯:০৫514077
  • সতীদাহ নিয়ে আগের থ্রেডে অজস্র বাক্যবিলাপ চলেছ দেখলুম। স্বেচ্ছায় পুড়ে মরা নিয়ে একটা ভিডিও আমার খুব প্রিয়। যে ভদ্রলোক ঐভাবে পদ্মাসনে বসে অগুনে জ্বলতে জ্বলতে শূন্যে বিলীন হয়ে যাচ্ছেন, মানবশরীরে তার থেকে বড় এচিভমেন্ট কেউই পাননি বলে মনে হয়:

  • maximin | 59.93.208.229 | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ ২০:০৯514088
  • শিবাংশুর ৬-৫২ -র বিশ্লেষন খুব ভালো লাগল।
  • ridhhi | 192.108.242.54 | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ ২১:৫১514099
  • অবাস্তব, আপাতত মেশিন লার্নিং এ আছি। স্ট্যাট একটু একটু পড়তে হচ্ছে।লার্ন তো হু হা করছি, কিন্তু আজ অবদি মেশিন টাই দেখতে পেলাম না।
  • aka | 168.26.215.13 | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ ২২:০৫514111
  • এইটাও আমার বিশেষ পছন্দের ভিডিও।



    এই সাধুও ঐ একইরকম ভাবে একইরকম অ্যাচিভমেন্ট পেয়েছিলেন। এরকম ছাগলামো পৃথিবীতে অনেক হয় এখনও, তাকে সমাজের এক বড় অংশ স্পিরিচুয়ালিটির হায়েস্ট ফর্ম বলেও মনে করে।
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ ২২:৫৬514122
  • থিক কুয়ং ডাকের আত্মাহুতি থেকে ভিয়েতনাম যুদ্ধের শুরু। কিন্তু আগুনের ঐ প্রচন্ড ত্বকদাহী জ্বালাকে অগ্রাহ্য করে প্রশান্তমুখে মৃত্যু অবধি ধ্যানস্থ থাকাকে জাস্ট স্পিরিচুয়ালিজম বলেই অস্বীকার করবেন কেন?
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ ২২:৫৯514133
  • আর মৃত্যু যন্ত্রণা আমিও পাব, আপনিও পাবেন। জীবনের শেষতম প্রাপ্তি কিন্তু ঐটাই থাকবে। আর যে পথে সেই যন্ত্রণা থেকে উত্তরণের হদিশ আছে, তার থেকে শ্রেষ্ঠ কোন কিছু কি হয়?
  • rimi | 168.26.205.19 | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:১৭514144
  • শিবাংশুদা, অনেক ধন্যবাদ। ভালো লাগল আপনার উত্তর।

    ২ নম্বর প্রসংগে, দুখেদার লিংক আর বিবেকানন্দের বিদেশের কিছু চিঠি পড়ে মনে হল, মানে বিবেকানন্দ স্পষ্টই লিখেছেন, পাশ্চাত্যে ধর্মপ্রচারকে উনি খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। উনি হিন্দু ধর্মের শ্রেষ্ঠত্বে বিশ্বাস করতেন, তাই মনে করতেন যে পাশ্চাত্যের মানুষ যদি হিন্দু ধর্মের মহত্ব অনুধাবন করতে পারে তাহলে তারা ভারতকে ধর্ম বিষয়ে গুরু বলে মানবে। বিনিময়ে ভারতকে তারা দেবে তাদের প্রযুক্তি ও কলকৌশল, যার ফলে ভারতীয় মানুষদের দৈনন্দিন জীবনের মান উন্নত হবে। এই জন্যেই, অন্তত চিঠিগুলোতে যা দেখলাম, অনেক কষ্ট সহ্য করে উনি আমেরিকা ও ইউরোপে ধর্ম প্রচার করার চেষ্টা করেছিলেন।
    কিন্তু তার ফলাফল ঠিক আশানুরূপ হল না কেন?
  • nk | 151.141.84.194 | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:৩১514155
  • কিন্তু বিজ্ঞান আর প্রযুক্তি তো ভারত পেয়ে গেল! মানে ধর্ম ইত্যাদি দিয়ে ট্রেড অফ না করেই!!!! প্রথাগত পশ্চিমী পড়াশুনো করে!(লীডিং রোল পেলো না,কিন্তু সেটা অন্য কথা ) সেদিক দিয়ে আবার সেইসব স্কুলগুলো ও ভারতে খুলেছিলো অনেক পশ্চিমী ধার্মিক লোক মানে ওখান থেকে আসা মিশনারী সন্ন্যাসীরা ও সন্ন্যাসিনীরা! কত কনভেন্ট ধরণের স্কুল, ভারতের মেয়েদের একেবারে প্রথমদিকের শিক্ষা, মানে যেসব প্রগতিশীল পরিবার (যেমন কিছু কিছু ব্রাহ্ম পরিবার)মেয়েদের পড়তে পাঠাতেন, তারাও ঐসব কনভেন্ট স্কুলেই মেয়েদের পাঠাতেন বলে মনে হয় অন্তত লীলা মজুমদার ইত্যাদিদের লেখা পড়লে সেই কথাই ধারণা হয়।

  • rimi | 168.26.205.19 | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:৩৪514166
  • হ্যাঁ, nK, সেটাই প্রশ্ন। ধর্মের ট্রেড অ৩ হল না কেন?

    একেবারে অন্য কথা, তুমি লী মর কথা বলায় মনে পড়ল, : মর লেখা পড়ে পড়ে আমার আবার ঐ কনভেন্ট স্কুলগুলোতে পড়ার খুব ইচ্ছে হত। :-))
  • aka | 168.26.215.13 | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:৪৪514177
  • আম্রিগা যেখানে ১৬৪১ সন থেকে প্যাটেন্ট ল চালু করেছে - ইউরোপের দেশে তারও আগে চালু হয়েছে- সেখানে শুধু মাত্র বেদান্তর স্পিরিচুয়ালিটির জন্য বিজ্ঞান, শিল্প নিয়ে লোকে ভারতে চলে আসবে এই গোটা ধারণাটাই খুব শিশুসুলভ। বিল গেটস ফাউণ্ডেশন দয়া করতে পারে কিন্তু বেওসা নয়। হয়ত উনি চ্যারিটেবল ফান্ডের কথাই ভেবেছিলেন। জানি না।
  • I | 14.96.202.19 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ০০:০০514199
  • এ:, আকা আউট অফ কনটেক্ষট কমেন্ট করেছে। ক্যাজুয়াল। তাতিন ইউটিউবের যে লিংক দিয়েছে, তার সঙ্গে এই মন্তব্য যায় না। লিংকটাতে আছে (যাঁরা দেখেন নি তাঁদের জন্য)-১৯৬৩ সালের সায়গন শহরে থিক কোয়াং ডাক নামের এক ভিয়েতনামী মহাযানী বৌদ্ধ সন্ন্যাসী গায়ে আগুন লাগিয়ে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করছেন। ষাটের দশকের উত্তাল ভিয়েতনাম; প্রেসিডেন্ট দিয়েমের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ভিয়েতনাম। বৌদ্ধ সংঘ ও শ্রমণদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে কোয়াং ডাক জুন মাসের ১১ তারিখে সায়গনের ব্যস্ত রাস্তায় গায়ে আগুন লাগিয়ে পদ্মাসনে বসে পুড়ে যান। এটি একটি প্রতিবাদের ঘটনা, অহিংস প্রতিবাদ; কিন্তু তাও প্রতিবাদ। মোক্ষলাভের আকাঙ্খায় কি কোয়াং ডাক গায়ে আগুন লাগিয়েছিলেন? সম্ভবত: না। মৃত্যুর আগে কোয়াং ডাকের শেষ কথা ছিল : Before closing my eyes and moving towards the vision of the Buddha, I respectfully plead to President Ngô Đình Diệm to take a mind of compassion towards the people of the nation and implement religious equality to maintain the strength of the homeland eternally. I call the venerables, reverends, members of the sangha and the lay Buddhists to organise in solidarity to make sacrifices to protect Buddhism.
    যদিও বৌদ্ধধর্মের রক্ষার জন্য এই প্রতিবাদী আত্মহত্যা, কোয়াং ডাকের গায়ের এই আগুন গোটা ভিয়েতনামের গায়ে ছড়িয়ে গিয়েছিল। বৌদ্ধ -অবৌদ্ধ-ক্যাথলিক-কমিউনিষ্ট বাছবিচার না করে। এর যে কী সাংঘাতিক আফটারমাথ হয়েছিল, সেটা নতুন করে লিখতে ইচ্ছে করছে না।

    তবে হ্যাঁ, এই সেল্ফ ইম্‌মোলেশনের একটা ঘরানা কিন্তু ভিয়েতনামে অনেকদিন ধরেই ছিল বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মধ্যে, গৌতম বুদ্ধকে সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে। ফ্রেঞ্চ কলোনিয়াল রুল একে নিষিদ্ধ ও ইর‌্যাডিকেট করার চেষ্টা করেছে; পারে নি। এখন , একে কুসংস্কার বলুন বা যাই বলুন, কেমন করে এর মধ্য থেকে লাফ দিয়ে উঠে আসে রক্তমাখা ভিয়েতনাম, পদ্মাসনে বসে শান্তভাবে পুড়ে না গিয়ে সে তার গায়ের আগুনে জড়িয়ে নিতে পারে দিয়েম ও তাঁর মার্কিন রাজাদের, সে কেবল ভগাই জানেন। কোথায় যে এইরকম ভাবে ধর্ম ও সংস্কার ভীষণরকমভাবে পলিটিক্যাল হয়ে ওঠে, তা কিন্তু সিরিয়াস চর্চার দাবী রাখে। আমি একে মান্যতা দিতে বলছি না, একটু ভাবতে বলছি। কেন মুক্ত গণতন্ত্রের দেশে বিচ্ছিন্ন মানুষ, অফ অল পার্সন্স মেয়েরা তাঁদের হিজাবকে আইডেন্টিটি হিসাবে আঁকড়ে ধরেন, এইসব আর কী !
  • nk | 151.141.84.194 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ০০:০০514188
  • আরে লী ম শিলং এর যে কনভেন্ট স্কুলের কথা কয়েছেন সেতো একেবারে যারে কয় আইডিয়াল স্বপ্ন স্বপ্ন ব্যাপার, ত্যাগী ফরাসী সন্ন্যাসিনী পরিচালিকারা প্রাণ মন ঢেলে পড়াচ্ছেন, সেলাই থেকে আরম্ভ করে জ্যোতির্বিদ্যা রসায়নবিদ্যা সব একেবারে সিরিয়াস হয়ে ফিল্ড ওয়ার্ক করিয়ে করিয়ে প৭ ওরকম স্কুলে পড়ার স্বপ্ন আর কে না দ্যাখে? :-)
    তবে বাস্তবতা আমাকে কয়ে দিলো অজপাড়াগাঁয়ের আমি কোনোদিনই সেরকম স্কুলে যেতে পারবো না। :-)
    কথাটা হলো এইখানেই, হাতে গোণা কয়েকটা মালকড়িয়ালা লিবারেল পরিবারের মেয়েরা তখন পড়তে পেতো, সেও আমদানিকরা পশ্চিমী প্রথার পড়া, তার বাইরে বিপুল নারীসমাজ যে আস্তে আস্তে পড়তে শুরু করলো, সেটা কীভাবে হলো? নিজের শিকড় নিজের ভূমিতে দাঁড়িয়ে নিজের কালচার থেকে উৎপাটিত না হয়ে পড়াশুনো, সেটা কেমন করে শুরু হলো? তার বীজ কি আগেই ছিলো? (এইখানে আমার রাসমণি আর বিনোদিনীর কথা মনে হয়, এনারা কী ভাবে শিক্ষিত হয়েছিলেন সেই সেকালে? )
    আর খুব জানতে ইচ্ছে করে প্রীতিলতা ও তার আশেপাশের মেয়েরা যারা জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠলো, ওদের পড়াশুনোর দরজাটা খুলেছিলো কার হাত দিয়ে?
  • nk | 151.141.84.194 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ০০:৩৭514210
  • যদিও বিবেকানন্দ বিষয়ে আলোচনা, তবু রামকৃষ্ণ প্রসঙ্গ ঘুরে ঘুরে যখন উত্থাপিত হচ্ছেন্নানা কথায়, তখন তা না না করে একটা কথা বলেই ফেলি।

    ধরা যাক হোলো রামকৃষ্ণ কুসংস্কারাচ্ছন্ন ছিলেন কিনা, নারীদের হেয় করতেন কিনা, কথামৃতে কী বলেছেন ই: আমি কিছুই জানিনা, আমি বহুদূর কাল থেকে মানুষটার কাজের ইতিহাস দেখছি, দেখছি কাজে কর্মে তিনি কী করেছেন, তো সেখানে তিনজন তেজস্বিনী নারীকে দেখতে পেলাম-সারদা, রাসমণি আর বিনোদিনী। প্রথমজন রাকমৃষ্ণের ধর্মপত্নী, সহধর্মিণী, ব্রাহ্মণের মেয়ে, সমাজসম্মানিতা উচ্চকোটির পরিবারের তাই কিছু প্রিভিলেজ তাঁর ছিলো ধরে নেওয়া যায়। কিন্তু প্রথাগত শিক্ষা সেরকম ছিলো বলে খোঁজ পাওয়া যায় না। এই নারীর সম্পর্কে রামকৃষ্ণ খুব ভালো ভালো কথা বলেছেন বলে রেকর্ড পাওয়া যায়, কিন্তু সেসব যদি না ও দেখি, সারদার নিজের কাজকর্মে ও অনেক মুক্তচিন্তার হদিশ পাওয়া যায়, সেই আমজাদ ডাকাতকে কাজ দেওয়া, সেকালে ভিন্নধর্মের এক ভয়ানক চরিত্রের লোককে ওভাবে অ্যাক্সেপ্ট করা খুব সোজা ব্যাপার না। এই সারদাকে উদাহরণ হিসাবে দেখলে রামকৃষ্ণ নারীদের হেয় করতে লজিকালি ই আটকে যাবেন। কারণ এখানে মানসিক শক্তিতে এই নারী একেবারে ইকুয়াল ফুটিং এ দাঁড়াচ্ছেন অন্যন্য মুক্তচিন্তকদের সাথে। কিন্তু ধরা হয় রামকৃষ্ণ ওনাকে নারী কাতারে না ফেলে "দেবী" করে দিয়েছেন তাই তাঁর প্রশংসা বা তার কাজকে অ্যাঅক্‌নলেজ করলেই সার্বিকভাবে সেটা নারীদের প্রতি রা কৃ এর ভাবনা যে খুব ভালো ছিলো সেটা বোঝায় না।
    এরপরে একটু দম দিয়ে রাসমণি আর বিনোদিনীর কথা কইছি। :-)

  • maximin | 59.93.212.58 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ০০:৩৮514216
  • নিশি, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার চিটাগাং খাস্তগীর স্কুলে পড়তেন। সরকারী স্কুল এবং বেশ নামকরা স্কুল ছিল। স্বাধীনতার সময়ে সেই স্কুলের বেশিরভাগ টিচাররা মিলে জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল গড়ে তোলেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন