এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • স্বামী বিবেকানন্দ ই::নির্মোহ (দুই)

    nk
    অন্যান্য | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ | ৮৩৪৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • riddhiman | 99.115.181.239 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ০৯:০৫514249
  • এই রবিশংকর কে বৈদুর্য রহস্যের বসন্ত চৌধুরির মত দেখতে একদম।
  • byaang | 122.172.253.66 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ০৯:১২514250
  • অজয় দেবগন এই রবিশংকরকে বেদম চেটেছিল হাল্লাবোল সিনেমাটায়।
  • byaang | 122.172.253.66 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ০৯:১৬514251
  • তাতিন, রবিশংকরকে বাদ দিলেও আরো বেশ কিছু লোক একার চেষ্টায় এইভাবে আরো অনেক কিছু করে যাচ্ছে রোজ, তবে রবিশংকরের মতন হাইপ তৈরি করে নয়। ফেসবুকে তো রোজই এই ধরণের কিছু লোকের কাজকম্মের রেগুলার আপডেট পাওয়া যায়। আর এই রবিশংকরের সঙ্গে ধম্মের যোগটা কী বুঝলাম না।
  • ridhhiman | 99.115.181.239 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ০৯:২৮514252
  • ধর্ম সবথেকে ক্ষতি করেছে কুন্তীকে লাগিয়ে। জুয়ার সুনাম, কুরুক্ষেত্রের খরচা, ডিডি দার টাইম সব বেঁচে যেত।
  • aka | 75.76.118.96 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ০৯:৩০514253
  • রবিশংকর কে? আমি তো এতক্ষণ সেতার বাদক ভাবছিলাম। এনিওয়ে একি ভিএইচপির কেউ? এনি লিং?
  • aka | 75.76.118.96 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ০৯:৩৪514254
  • রিদ্ধি :)
  • ridhhi | 99.115.181.239 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ০৯:৪৫514255
  • আরে রবিশংকর বিশাল ব্যাপার।
    http://en.wikipedia.org/wiki/Ravi_Shankar_(spiritual_leader)
    আমার চেনাশোনা এক কাপল ঐ চক্করে পড়েছে, ছেলেটা আগে খুব লাফাচ্ছিল এখন বুঝেছে সবরকম আর্টেই ও খুব কাঁচা। মেয়েটা এসবে মেতে আছে। কিছুটা বিরিনচি বাবা কেস।
  • aka | 75.76.118.96 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ০৯:৪৭514256
  • ও আমার এক এক্স কলিগ এর ফাঁদে পড়েছে।
  • byaang | 122.172.253.66 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ০৯:৫২514257
  • রবিশংকর হল সেই আর্ট অফ লিভিং এর গুরু, বড় বড় কর্পোরেট আর সিলিব্রিটি না হলে উনি তাদেরকে শিষ্য করেন না।
    আমার এক এক্স বস বম্বেতে এনার কাছে আর্ট অফ লিভিংএর কোর্স করত, শুনতাম যে বাড়িতে বসে উনি এসব আর্ট শেখাতেন, তার হালঘারে সমুদ্রের জল এসে নাকি ছলাৎ ছলাৎ করত। তো সেই ক্লাস থেকে সোজা আমার বস আপিসে আসতেন। আর আপিসে এসেই নিজের সেক্রেটারি আর সাবর্ডিনেটদের লিটারালি অ্যাবিউজ করতেন, ফাইলটাইল ছুঁড়ে মারতেন নিজে কোনো কাজে ছড়িয়ে।
  • byaang | 122.172.253.66 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ০৯:৫৩514259
  • *হলঘরে
  • aka | 75.76.118.96 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ১০:০৭514260
  • তা শুতে যাবার আগে একটাই প্রশ্ন করে যাই, ধর্মের ডেফিনিশন ঠিক না করে ধর্ম কথাটা নিয়ে আলোচনা চালানো মুশকিল। পুরীর মন্দিরের পাণ্ডা, দন্ডি কাটা ভক্ত, সেল্ফ ইমোলিশনে বিশ্বাসী বৌদ্ধ ভিক্ষুক, রামকৃষ্ণ মিশনের সমাজ সেবী আর চার্চের কাছে ধর্মের ডেফিনিশন এক নয়।
  • siki | 122.177.239.87 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ১০:১৮514261
  • ধর্মের জয় হোক, আসুন আমরা প্রশান্ত বদনে আগুনে পুড়ে মরে দেখাই, কিছু করে দেখাই।
  • saikat | 202.54.74.119 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ১০:৩৯514262
  • ধর্ম কী? আমি বলব? জানি বলে মনে হয়। এই যেমন, বঙ্কিমের সাথে রামকৃষ্ণর দেখা হলে, বঙ্কিমকে জিজ্ঞাসা করেন যে "জীবনের উদ্দেশ্য কী?" বঙ্কিমও তেমন, উত্তর দিলেন - "আহার, নিদ্রা, মৈথুন।" রামকৃষ্ণ তো তেড়ে মেড়ে উঠলেন, বঙ্কিম নিজে যা করে সেটাই উদ্দেশ্য বলে মানে, মূলো খেয়ে ঢেকুর তুললে মূলোর গন্ধ বেরোবে, এইরকম দু-চার কথা শুনিয়ে দিলেন।

    এখন বঙ্কিমের উত্তরটাই ঠিক বলে মনে হয়, যদি ঐ উত্তরের পেছনে এই মতটা লুকিয়ে আছে বলে মনে করি যে জীবনের উদ্দেশ্য আরামে থাকা, সুখে থাকা, অর্থাৎ দু:খে না থাকা। প্রথম মানুষের যাবতীয় কাজ আর চিন্তার উৎস ছিল এটাই যে কষ্ট যেন না পাই। কিন্তু জীবন দু:খময়। কেন? প্রকৃতি আর অন্য মানুষের সাথে সম্পর্কের জন্য। ঐ মানুষটাকে প্রকৃতির সাথে লড়াই করতে হচ্ছে, সেখানে হেরে যাচ্ছে, কষ্ট পাচ্ছে। আবার অন্য মানুষের সাথে কাজকর্মের সূত্রে যুক্ত হতে হচ্ছে, সেখানেও ঝামেলা হচ্ছে, কারণ সবাই চাইছে নিজের ইচ্ছে চরিতার্থ করতে। তা এই অবস্থায় একজন ভাবল, এই বাইরের পৃথিবীতে যা আছে সেটাকে বদল করে দিই না কেন, যাতে নানারকম কষ্ট না পেতে হয়? কিন্তু একা মানুষের পক্ষে যেহেতু সেটা অসম্ভব, এবং একই রকম চিন্তা অন্যরাও করছিল বলে তারা "সবাই" মিলে ঠিক করল, কিছু নিয়ম নীতি চালু হোক, কী করা উচিত না করা উচিত ঠিক হোক আর সেই মত সবাই জীবন কাটাক। তাহলেই সবাই সুখে থাকবে ও দু:খ পাবে না। জীবনের উদ্দেশ্য চরিতার্থ হবে। তো এখান থেকেই ধর্মের উৎপত্তি। আবার, একটা প্রতিষ্ঠিত ধর্মের মধ্যে থেকে যখন অন্য আর একটা ধর্মের উদ্ভব হয়, তার কারণ এটাই যে কিছু লোক ঐ আগের ধর্মে দু:খ-কষ্ট পাচ্ছিল এবং তারা সেটা থেকে মুক্তি পেতে চাইছিল।

    তো এটাই ধর্ম। মানুষ যাতে ভালভাবে থাকতে পারে। এখন এর সাথে তো যুক্ত হয়ে যাবে, এথিকস, কৃচ্ছসাধন, সমাজ সেবা ইত্যাদি যেগুলো দেখে আকার মনে হচ্ছে ধর্মের ডেফিনিশন আলাদা আলাদা। :-)

    আকাকে অক্ষয়দত্ত + বিবেকানন্দ নিয়ে উত্তরটা পেন্ডিং আছে।
  • dd | 110.234.159.216 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ১১:৪৪514263
  • ভেবেছিলাম এই টইটা ক্রমশ:ই খেউড়ের টইতে টার্ন নেবে। কিন্তু সইকত, শিবাংশু,ইন্দোদা এঁয়ারাও নিয়মিত যোগ দেওয়ায় খুব ইন্টেরেস্টিং রিডীং হছে।

    হায় হায় , প্র বৈ চ থাকলে আর কথাটি ছিলো না।
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ১২:০৫514264
  • ক) ঐ হাজার চল্লিশ লোক, আদের মধ্যে একটা সেকশন বলছে: উপকার পেয়েছি, তাই বলছি: তাঁরা সবাই কর্পো ব বিজি নয় বলেই মনে হয়েছে।

    খ) সব কথা ক্লাস টেনের টেক্ষে্‌টর মতন করে বিশ্লেষণ করতে হবে বুঝিনি। ঐতিহাসিক ভাবে মানুষের প্রায় সমস্ত ডেভেলপমেন্টই ধর্মের আশ্রয়ে এ নিয়ে কি সন্দেহ আছে? পিথাগোরাস থেকে নিউটন, আর্যভট্ট থেকে রামমোহন সবাই ধর্মাচরণ করেছিলেন। অধর্ম করছেন না নিশ্চিত হয়েই যা করার করেছিলেন। আলাউদ্দিন বাজানোর আগে উপাসনা করে নিতেন, কেন?
    আর আইন এসেছে ধর্মের অনুষঙ্গ হিসাবেই, চিকিৎসা এসে স্থান পেয়েছে অথর্ববেদে। লিডার অ দি হিলার হিসেব্বে খ্রিষ্টের রোগ-সারানো, কিম্বা পাতঞ্জলির যোগ ব্যাম সবই ধর্মের উপজাত। এমন কি চাষি মাঠে হলাকর্ষণ করতে গ্যাছে, বিদ্যার্থী পাণিণি পড়েছে স্বীয় ধর্মের বশবর্তী হয়েই।

    আমাদের দেশেই আজও অধিকাংশ লোক নিজের কাজটুকু ধর্ম ভেবেই করে।

    এবার সভ্যতা হাজা হাজার বছর ধরে ধর্ম করে এত কিছু করল, আজ সে সব কে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে যদি বলি ধর্ম শুধু হানাহানিই করেছে সে ভারি নেমকহারামি হয়। অন্তত: ধর্ম হানাহানি, হত্যা রোধ করেছে (গান্ধীই শুধু ধরুন না হয়) সেইটা স্বীকার করেন।
  • siki | 122.177.239.87 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ১২:১২514265
  • কী আলবাল খোরাক মাইরি!
  • dukhe | 202.54.74.119 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ১২:১৫514266
  • সৈকতের সঙ্গে এট্টু ডিফার করি। ধর্মের কোরে কিন্তু মৃত্যুকে জয় করার একটা ব্যাপার আছে। এই যে জন্ম হল, জীবন কাটল, মরে ধুলোয় মিশে যাব আর পৃথিবীর সঙ্গে, যা কিছু প্রিয় বলে জেনেছি তাদের সঙ্গে কোন সংস্রব থাকা সম্ভব না - এই নশ্বরতার বোধকে হাজার টেকনোলজি বা বিজ্ঞানের অগ্রগতি দিয়েও কাউন্টার করতে পারছি ন - এই বেসিক জায়গাটায় ধর্ম একটা শেল্টার দিচ্ছে। ঐ মৈত্রেয়ী যা জানতে চান বা বুদ্ধদেব যা খুঁজতে বেরিয়েছিলেন, সব ধর্মই কোনভাবে সেই স্টেট অআটেইন করার কথা বলে - যেখানে মৃত্যু তুচ্ছ হয়ে যায়। সেটাকেই ঈশ্বরলাভ, মুক্তি, নির্বাণ নামটাম দেওয়া।

    ডানদিকে বাংলা আসে না। এট্টু এদিক ওদিক হতে পারে।
  • dukhe | 202.54.74.119 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ১২:২৫514267
  • তো এইটা হল কোর। এবঙ এই জায়গাটা ব্যক্তিমানুষের একার জন্য। এরপর যে রীতিনিতি, রিচুয়াল সেগুলো ধর্ম, সমাজব্যবস্থা আর অর্থনীতির ককটেল।
    এরকম আমার মনে হয়। কোন শেষকথার দাবি করছি না।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ১২:৩৭514268
  • বিবেকানন্দের আশঙ্কা - হিন্দুরা ক্রমে লুপ্ত হয়ে যাবে, আসলে একটা ঔপনিবেশিক প্রকল্পের ফল। ১৮৭২ সালে ভিক্টোরিয়ার শাসনে, ভারতে জনগণনা হয়। ১৮৮১ সালে সম্ভবত: এর রিপোর্ট বের হয়। তাতে মোট জনসংখ্যার ৭৫.০৯% হিন্দু ০ ১৯.৯৭% মুসলমান বলে দেখানো হয়। সেই প্রথম ব্রাহ্মণ, কায়স্থ, বেনে, ছেত্রী, ডোম, চাঁড়াল জানলো যে তারা সকলেই ""হিন্দু"" ও ভারতীয় উপমহাদেশে ""হিন্দু""রা সংখ্যাগুরু। আর সেই থেকে ইংরাজি শিক্ষিত হিন্দুদের একটা অংশের ভীষণ ভয় - কালে কালে মুসলমানেরা হিন্দুদের সংখ্যায় ছাড়িয়ে যাবে। সে ভয় আজও আরেসএসের হিন্দুত্ব প্রচারের মস্তো হাতিয়ার।
    এই তথ্যগুলো পেয়েছি : ১) সেনসাস, কমিউনালিজম অ্যান্ড আইডেনটিটি - চারু গুপ্ত EPW Sept 2004, ২) ফ্যাক্ট অ্যান্ড ফিকশন অফ হিন্দুত্ব ক্লেইমস - আর বি ভগৎ EPW Sept 2004, ৩) সেনসাস অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন অফ কমিউনালিজম ইন ইন্ডিয়া -আর বি ভগৎ EPW Sept 2004, ৪) দ্য কনস্ট্রাকশন অফ কমিউনালিজম ইন কলোনিয়াল ইন্ডিয়া - জ্ঞানেন্দ্র পান্ডে, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস

    ধর্মের প্রভাব নিয়ে কথা হচ্ছিলো। ভারতের মত প্রাচ্যদেশে এর প্রভাব অনস্বীকার্য্য।
    গান্ধী কিভাবে গান্ধীবাবা হলেন, তার বিবরণ অসম্ভব ভালো আছে সতীনাথ ভাদুরীর ঢোঁড়াই চরিত মানসে। আর শহীদ আমিনের গোরক্ষপুরে গান্ধী - নিম্নবর্গের ইতিহাস, সম্পাদক কৌতম ভদ্র ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়, আনন্দ। আর শহিদেরই চৌরিচেরা নিয়ে কাজ - নামটা ভুলে গেছি।
    হাতের কাছে তিনটের কোনটাই এখন নেই, যে প্রাসঙ্গিক অংশগুলো তুলে দেবো।
  • I | 14.96.114.31 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ১২:৩৮514270
  • দুখেকে বড় করে ক।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ১২:৪১514271
  • *গৌতম ভদ্র
  • b | 210.212.8.62 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ১২:৪৬514272
  • একটা ক্লাস-টু-এর কোট দেই তবে

    "Religious suffering is, at one and the same time, the expression of real suffering and a protest against real suffering. Religion is the sigh of the oppressed creature, the heart of a heartless world, and the soul of soulless conditions."

    অনেকেই জানেন, তবে উটপাখির মত পরের সেন্টেন্সটি পড়েই গলা ফাটান। ভদ্রলোকের পক্ষে ও বিপক্ষে।
  • dd | 110.234.159.216 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ১২:৪৮514273
  • দুখেকে ক, বি কে চন্দ্রবিন্দু।
  • ppn | 202.91.136.3 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ১২:৫১514274
  • এ মা, আকা পণ্ডিত আর শ্রীশ্র্রীর তফাৎ জানে না! ;-)
  • lcm | 69.236.175.179 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ১৩:২৭514275
  • বাজারে ইংরেজী কোটেশন চলছে, এই সুযোগে ...
    নোবেলজয়ী লেখক আইস্যাক সিঙ্গার -
    "Doubt is part of all religion. All the religious thinkers were doubters."
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ১৩:২৮514276
  • দুখে +১
  • pinaki | 138.227.189.8 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ১৪:১৩514277
  • অরণ্যদা, আমি 'আত্মত্যাগ' কথাটা মৃত্যুবরণ অর্থে করেছি। অর্থাৎ একেবারে প্রাণ অব্দি দিয়ে দেওয়া। যে অর্থে ঐ বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর উদাহরণ এসেছে। পিওর ধর্মের জন্য জীবন দেওয়ার উদাহরণ ইতিহাসে বেশী পড়ি নি। কিছু স্যাক্রিফাইস অব্দি ঠিক আছে। আর এখনের ঐ বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর গায়ে আগুনটাতো কেবল ধর্মীয় বলে আমার কখনই মনে হয় নি। হাসিমুখে মৃত্যুবরণ তখনই করা যায় যখন সেই মৃত্যুর সার্থকতা সম্বন্ধে একটা কনফিডেন্স থাকে। ধর্ম তার জন্য কোনো নেসেসারি কন্ডিশন নয়।

    আর রামকৃষ্ণ মিশন বা চার্চের যাঁরা মানবসেবা করছেন, তাঁরা অবশ্যই শ্রদ্ধার পাত্র। কিন্তু সেই ক্যাটেগরিতে ঐ প্রতিষ্ঠানগুলোর সবাই পড়বে না। অধিকাংশই একটা বড় প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার বলয়ের মধ্যে থেকেই যা করার করেন। হয়তো কিছুদিনের জন্য কঠিন জায়গায় ট্রান্সফার হলেন - এইরকম। আসলে প্রতিষ্ঠানের ব্যাকাপ থাকা না থাকাটা সিকিওরিটির প্রশ্নে একটা বড় তফাৎ গড়ে দেয়। অনেকটা সিপিএম করা আর চালচুলোহীন একটা তৃতীয় শিবিরের দল করার মধ্যে যে তফাৎ - সেইরকম। আর মিশন বা চার্চের আর একটা সুবিধা হল সাধারণভাবে সমাজে এদের গ্রহণযোগ্যতা। আমার নিজের মনে হয়েছে আমার দর্শন যদি সমাজে একটা সাধারণভাবে একটা অ্যাক্সেপ্টেবল দর্শন হয়, তাহলে আমি এক ধরণের নিরাপত্তা পাই। রেকগনিশন তো বটেই। দার্শনিক জায়গা থেকে এলিয়েনেটেড থেকে কোনো ত্যাগস্বীকার করা অনেক কঠিন। কারণ সেক্ষেত্রে সেই ত্যাগস্বীকারটা নিজের কাছে নিজেকে মহত্ব দিতে পারে, সামাজিকভাবে ততটা মহত্ব নাও দিতে পারে।
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ১৪:৩৮514279
  • হাসিমুখে মৃত্যুবরণ তখনই করা যায় যখন সেই মৃত্যুর সার্থকতা সম্বন্ধে একটা কনফিডেন্স থাকে। ...

    পিনাকিদা, এই কনফিডেন্সটা কিন্তু 'নির্বাণ-বোধি-মোক্ষ' এগুলো দ্যায়, এবং আরও বেশি কিছু একটা দ্যায়- যেখানে মৃত্যুটায় যন্ত্রণা থাকেনা। গান্ধিজি অহিংস আন্দোলন প্রসঙ্গে বার বার ফিয়ার অফ ডেথ-এর বাইরে আসার কথা বলছেন। বাইরে থেকে আমরা সবটা বুঝতে পারি না, অন্তত আমি তো পারিনা, নচিকেতা কেন ব্রহ্মজ্ঞান পেতে মৃত্যুর কাছে যান। কেন মৈত্রেয়ী বলেন যে জ্ঞান অমৃতের সন্ধান দ্যায় না তা নিইয়ে আমি কী করব। কেন লালনীয় উপাচারে পরিয়ে দেওয়া হয় - জিন্দা দেহে মুর্দার বসন, খিলকা-তাজ আর গোর-কোপিনী-- মরণের আগে যে মরে শমনে ছোঁবেনা তারে।
    তবে মৃত্যুকে, স্রেফ মৃত্যুকে জয় করা নিয়েই গোটা তন্ত্রে এত কিছু: মহাবীর থেকে গান্ধী থেকে লালন সর্বত্র।

    এইবার হীনযান আর মহাযান দের পার্থক্যও তো এইখান থেকে- হীনযানরা শুধু নিজেরাই নিব্বান চান আর মহাযানরা মনে করেন বোধিস্বঙ্কেÄর মতন পৃথিবীর বাকি লোককেও মুক্তি দিতে- সে জন্যেই সমাজ-সংস্কার, শিক্ষাবিস্তার এমনকী যুদ্ধে বাকিদের নামার আহ্বান জানিয়ে স্বয়ং আত্মাহুতি দিয়ে দ্যাখানো মৃত্যু কেবল-পুরুষকে যন্ত্রণা দিতে পারে না।
    বিবেকানন্দ নির্বিকল্প সমাধি চাইলে তাই রামকৃষ্ণ বলেন, ষুধি নিজের মুক্তি চাইবি- বাকিদের সেই স্বাদ দিবি না?

    আর, আরও একটা কথা আছে, আলাদা পোস্টে লিখছি
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ১৪:৩৮514278
  • হাসিমুখে মৃত্যুবরণ তখনই করা যায় যখন সেই মৃত্যুর সার্থকতা সম্বন্ধে একটা কনফিডেন্স থাকে। ...

    পিনাকিদা, এই কনফিডেন্সটা কিন্তু 'নির্বাণ-বোধি-মোক্ষ' এগুলো দ্যায়, এবং আরও বেশি কিছু একটা দ্যায়- যেখানে মৃত্যুটায় যন্ত্রণা থাকেনা। গান্ধিজি অহিংস আন্দোলন প্রসঙ্গে বার বার ফিয়ার অফ ডেথ-এর বাইরে আসার কথা বলছেন। বাইরে থেকে আমরা সবটা বুঝতে পারি না, অন্তত আমি তো পারিনা, নচিকেতা কেন ব্রহ্মজ্ঞান পেতে মৃত্যুর কাছে যান। কেন মৈত্রেয়ী বলেন যে জ্ঞান অমৃতের সন্ধান দ্যায় না তা নিইয়ে আমি কী করব। কেন লালনীয় উপাচারে পরিয়ে দেওয়া হয় - জিন্দা দেহে মুর্দার বসন, খিলকা-তাজ আর গোর-কোপিনী-- মরণের আগে যে মরে শমনে ছোঁবেনা তারে।
    তবে মৃত্যুকে, স্রেফ মৃত্যুকে জয় করা নিয়েই গোটা তন্ত্রে এত কিছু: মহাবীর থেকে গান্ধী থেকে লালন সর্বত্র।

    এইবার হীনযান আর মহাযান দের পার্থক্যও তো এইখান থেকে- হীনযানরা শুধু নিজেরাই নিব্বান চান আর মহাযানরা মনে করেন বোধিস্বঙ্কেÄর মতন পৃথিবীর বাকি লোককেও মুক্তি দিতে- সে জন্যেই সমাজ-সংস্কার, শিক্ষাবিস্তার এমনকী যুদ্ধে বাকিদের নামার আহ্বান জানিয়ে স্বয়ং আত্মাহুতি দিয়ে দ্যাখানো মৃত্যু কেবল-পুরুষকে যন্ত্রণা দিতে পারে না।
    বিবেকানন্দ নির্বিকল্প সমাধি চাইলে তাই রামকৃষ্ণ বলেন, ষুধি নিজের মুক্তি চাইবি- বাকিদের সেই স্বাদ দিবি না?

    আর, আরও একটা কথা আছে, আলাদা পোস্টে লিখছি
  • dd | 110.234.159.216 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ১৪:৫২514282
  • দাঁড়াও। দু দিন ধরে চেষ্টা করছি কিন্তু কিছুতেই রেফারেন্সটা মনে আনতে পারছি না। ভেগলি মনে পরছে যেনো এই অহৈতুকী আত্মাহুতি প্রাচীন ভারতে এক সময়ে খুব প্রচলিত ছিলো বিশেষত: বৌদ্ধ ধর্মে। যেমতি জৈন ধর্মে এখনো আছে, স্বেছায় সম্পুর্ন ধর্মের কারনে প্রায়পোবেসনে আত্মহত্যা। ওটা একটা কাল্ট অ্যাকটিভিটি।

    ডেথ কাল্ট তো খুব প্রচলিত ব্যাপার। গুগলালেই প্রচুর এগজাম্পল পাবেন। আরে নির্বিকারে আত্মহত্যা কতো জনে করেছেন ,তার চেয়েও ভয়ংকর নিজের প্রিয়জনকে,স্ত্রী সন্তান সবাইকে শুধু মহানিরবাণ লাভ করবে বলে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন।

    মহৎ টহৎ কিছু নয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন