এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • বাংলা গান ও সুমন

    ন্যাড়া
    গান | ২৫ আগস্ট ২০১২ | ৮৪৮৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • bb | 127.195.183.209 | ৩০ আগস্ট ২০১২ ১৮:১৮569131
  • শিবাংশুদা এলেই এবার একদম জমে যাবে।
  • কল্লোল | 111.63.143.0 | ৩০ আগস্ট ২০১২ ২১:১০569132
  • সুমনের আগে বাংলা গান।
    যেহেতু সুমনের গান নিয়ে কথা তাই আমি সচেতন ভাবে বাংলা ফিল্মের গান এই আলোচনা থেকে বাদ রাখছি।
    ৬০এর দশক থেকে বাংলা কাব্যগীতির মোড় ঘুরছে মূলতঃ সলিল চৌধুরির হাত ধরে। তার আগে প্রচুর ভালো গান হয়েছে, শচীনকত্তা, রাইচাঁদ বড়াল, পঙ্কজ মল্লিক, হিমাংশু দত্ত, কমল দাশগুপ্তের হাত ধরে। কিন্তু এঁদের গান শুধু ভালো গান হয়েই থেকে গেলো। ব্যাতিক্রম শচীনকত্তা, তাঁর লোকসঙ্গীতের যাদু সফলভাবে আরোপ করেছিলেন কাব্যসঙ্গীতের আঙ্গিনায়।
    মোড় ঘোরালেন সলিল। রানার আর গাঁয়ের বধু বাণিজ্যিকভাবে প্রকাশিত বাংলা কাব্যসঙ্গীতের জগতে তার কথা ও সুরের বৈচিত্রে এক অন্য স্বাদ। যেভাবে হিন্দুস্থানী ধ্রুপদী সঙ্গীতের চলনের সাথে অবলীলায় মিলিয়ে দিচ্ছেন পাশ্চাত্য ধ্রুপদী সঙ্গীতের চাল, তা ৬০এর আম বাঙ্গালীর কাছে অবাক করা।
    সুর ছাড়া কথা, যা আবার আবৃত্তিও নয়, তা দিয়ে গান শুরু। প্রথম লাইনে সুরে কোন মারপ্যাঁচ নেই। দ্বিতীয় লাইন থেকে শুরু হলো পাশ্চাত্যের সিম্ফনিক মুভমেন্টের টুকরো - কাজ নিয়েছে সে নতুন খবর আনার - এই কথাকটির সুর বাংলা গানে নতুন সুরের খবর বয়ে আনে। এর পরেই লক্ষ করুন - রানার রানার জানা অজানার বোঝা আজ তার কাঁধে / বোঝাই জাহাজ রানার চলেছে চিঠি আর সংবাদে - সুরের সূক্ষ্ম সিম্ফনিক ওঠানামা এসে মিলে গেলো ভোরের রাগের ছোঁয়ায় - রানার চলেছে বুঝি ভোর হয় হয় - কোথাও কোন ছেদ নেই - আরো জোরে আরো জোরে হে রানার / দুর্বার দুর্জয় - ভোরের রাগই কিন্তু আশ্চর্যভাবে আবার তার সাথে মিশছে সিম্ফনিক মুভমেন্টের ঝোঁক - এর জীবনের স্বপ্নের মতো পিছে সরে যায় বন - হালকা করে যায় বন - হালকা করে ভোরের রাগের কোমল নোট গুলি লাগিয়ে - আরও পথ আরও পথ বুঝি হয় লাল পূর্বকোন - আবার গান ফিরে আসে সিম্ফনিক মুভমেন্টের যাদুতে।
    এরকম অজস্র উদাহরন দিয়ে যাওয়াই যায় বাংলা কাব্যসঙ্গীতে সলিলের সাঙ্গীতিক মোড় ঘোরানোর। (চলবে)
  • কল্লোল | 111.63.143.0 | ৩০ আগস্ট ২০১২ ২১:৪৭569133
  • কিন্তু দুঃখ্জনকভাবে এই মোড় ঘোরানো ধারায় খুব বেশী সঙ্গী পাননি সলিল। একাহাতে প্রকাশিত বাংলা কাব্যসঙ্গীতের জগতে হার্মোনির প্রয়োগ, ভোকাল রিফ্রেনকে আবহ হিসাবে ব্যবহার (সুরের এই ঝর ঝর ঝরো ঝর ঝরণা- সবিতা ১৯৫৮) মেজর পাল্টে পাল্টে গানকে নতুন গতি দেওয়া(শোনো কোন একদিন - হেমন্ত ১৯৬৯) - এসবই করেছেন। যদিও এর শুরু আরও অনেক আগে ওনার হাত ধরেই আইপিটিএর আঙ্গিনায়। ঢেউ উঠছে / কারা টুটছে / আলো ফুটছে / প্রাণ জাগছে আর হেইঁয়ো হো হো হেইঁয়ো - বম্বে আইপিটিএ কনফারেন্সের সভাঘর ভাসিয়ে নিয়ে গেছিলো হার্মোনির বন্যায়। ঢেউ উঠছে / কারা টুটছে গানটাতে সা গা পা র্সা এই ফোর পার্ট হার্মোনির ইমপ্যাক্ট এসেছে ঢেউয়ের মতো। প্রথম বেসএ সা এ - ঢেউ উঠছে / কারা টুটছে / আলো ফুটছে / প্রাণ জাগছে - গাইছে সামনের সারির পাঁচজন। তার পর রিপিট করছে তারা একই জায়গায়, তাদের সাথে যোগ দিচ্ছে দ্বিতীয় সারির আরও পাঁচজন গা-এ। এইভাবে তৃতীয় সারির পাঁচজন যোগ দিচ্ছে পা-এ, এবং চতুর্থ সারির পাঁচজন যখন উপরের সা-এ ধরছেন - ঢেউ উঠছে / কারা টুটছে / আলো ফুটছে / প্রাণ জাগছে - তখন আরবসাগরের ঢেউএ - নৌ বিদ্রোহের ঢেউএ ভেসে যাচ্ছে কনফারেন্স।
    কিন্তু এতো অপ্রকাশিত।
    নেহাৎ প্রকাশিত সলিলের সাথে অপ্রকাশিত সলিলের দ্বন্দ্ব, তাই সেদিন কেউ একথা বলতে পারেন নি - "আগে হয়তো হয়েছে, তবে আমি শুনিনি"। আমার আপত্তি এখানেই। গ্যালিলিওর আগে কাউকে বলতে শুনিনি - তাই কি তার আগে ঘটনাটি অন্য রকম ঘটতো !! (চলবে)
  • কৃশানু | 213.147.88.10 | ৩০ আগস্ট ২০১২ ২১:৫৮569134
  • আমার এখানে কথা বলা সাজে না। তবুও নেহাত অর্বাচীন এর মতো-ই চলে এলাম। আসলে সুমন এর টই, তাতে আবার কল্লোল দা রানার ও নিয়ে এসেছেন। বোধ হয় এই টা সকলেই দেখেছেন, তবু লিঙ্ক টা দেবার লোভ সামলাতে পারলুম না -

    অনধিকার প্রবেশ মার্জনা করবেন।
  • কল্লোল | 111.62.18.25 | ৩০ আগস্ট ২০১২ ২৩:১৪569135
  • বল্লাম বটে সলিল মোড় ঘোরাচ্ছেন বাংলা কাব্যসঙ্গীতে, কিন্তু তাঁর ধারা বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন কারা? প্রায় কেউ না। কিছুটা সুধীন দাশগুপ্ত ও কিছুটা রাহুল তাঁর নিজের মতো করে সোল ও হিন্দুস্থানী ধ্রুপদী (বলো কি / আছে গো / তোমারই আঁখিতে) বা টকিং ব্লুজ-সোল ও বাংলা লোকসুর (স্বপ্ন আমার হারিয়ে গেছে)। যদিও এঁরা কেউই কাব্যের ব্যাপারটা বুঝতেন না (রাহুল) বা অতোটা জোর দেননি (সুধীন)।
    অন্যেরা সেই রাইচাঁদ-পঙ্কজ-হিমাংশু ধারায় গেয়ে চলেছেন - এতো রাগ নয় গো এযে অভিমান, একটা গান লিখো আমার জন্য, তোমাদের ভালোবাসা ফিরায়ে এনেছে মোরে মরনের পার হতে, এই মৌসুমী মন শুধু রং বদলায়............................। তাহলে সলিল কী মোড় ঘোরালেন? হ্যাঁ, তাহলেও সলিল মোড় ঘোরালেন।

    এরপর ৭৫ থেকে ৭৮-৭৯ মহীন। নকশালবাড়ীর রাজনীতি করতে গিয়ে জেল। জেল থেকে বেরিয়ে ওরা কজন। ঐ চাঁদ-ফুল-লতা-পাতা-তুমি-আমি কথা আর পেলব রাগপ্রধানের ঘেরাটোপ ভাঙ্গছে। ভাঙ্গছে ধুতি-পাঞ্জাবী-হারমোনিয়ামের সাদা-কালো দৃশ্যপট। জিনস আর বুকখোলা শার্টে - গিটার-স্যাক্সোফোন-ভায়োলিন-ড্রামস-বাঁশি নিয়ে তোলপাড় মঞ্চ।
    কি গাইছে ?

    ভালোবাসি জোছনায় কাশবনে ছুটতে / ছায়াঘেরা মেঠোপথে ভালোবাসি হাঁটতে / দূর পাহাড়ের গায়ে গোধূলীর আলো মেখে কাছে ডাকে ধানক্ষেত সবুজ দিগন্তে / তবুও কিছুই যেন ভালো যে লাগেনা কেন / উদাসী পথের মাঝে মন পড়ে থাকে যেন / কোথায় রয়েছে ভাবি লুকিয়ে বিষাদ তবুও / ভালো লাগে ডিঙ্গি নৌকায় চড়ে ভাসতে / প্রজাপতি বুনো হাঁস ভালো লাগে দেখতে / জানলার কোনে বসে / উদাসী বিকেল দেখে / ভালোবাসি একমনে কবিতা পড়তে - চাঁদ-ফুল-লতা-পাতা দিয়ে ঢুকছে গান - কিন্তু ফারাকটা অন্য জায়গায়। থ্রি পার্ট হার্মোনি দিয়ে শুরু হচ্ছে গান - সেই ঢেউ উঠছে - কিন্তু এই হার্মোনির জাত আলাদা। সিম্ফোনি নয় বরং বিটলসের ছায়া - Cant buy me love। কিন্তু বলছে কি? সেই জোছনা-কাশবন-গোধুলী?
    নাহ।
    যখন দেখি ওরা কাজ করে গ্রামে বন্দরে / শুধুই ফসল ফলায় ঘাম ঝরায় মাঠে প্রান্তরে / তখন ভালো লাগে না লাগে না কোন কিছু / সেদিন কাছে এসো ভালোবাসি একসাথে আজ সব কিছু
    আলাদা হচ্ছে ভালোবাসা ক্রমশঃ
    ভালোবাসি পিকাসো বুনুয়েল দান্তে / বিটলস ডিলান আর বিঠোফেন শুনতে / রবিশংকর আর আলি আকবর শুনে / ভালো লাগে ভোরে কুয়াশায় ঘরে ফিরতে / তবুও কিছুই যেন ভালো যে লাগেনা কেন / উদাসী পথের মাঝে মন পড়ে থাকে যেন / কোথায় রয়েছে ভাবি লুকিয়ে বিষাদ তবুও
    যখন দেখি ওরা কাজ করে গ্রামে বন্দরে / শুধুই ফসল ফলায় ঘাম ঝরায় মাঠে প্রান্তরে / তখন ভালো লাগে না লাগে না কোন কিছু / সেদিন কাছে এসো ভালোবাসি একসাথে আজ সব কিছু
    বাংলা কাব্যগীতিতে স্থায়ী-অন্তরা-সঞ্চারীর ফর্ম্যাট ভাঙ্গছে ১৯৭৫এ।
    কিন্তু গ্যালিলিও না বলা পর্যন্ত - আমি তো শুনিনি। তাই.........
    অথচ এটি প্রকাশিত। তবে কুত্তার প্রভুর গলায় নয়। কাবলিওয়ালার কাছে সুদে টাকা ধার করে কোন এক সস্তার রেকর্ডিং স্টুডিওতে একদল তরুণের স্পর্ধিত টক্কর প্রভুর সাথে।
  • কল্লোল | 111.62.18.25 | ৩০ আগস্ট ২০১২ ২৩:৫১569136
  • ১৯৭৫। বাংলা কাব্যগীতিতে পরিত্যক্ত বিমানবন্দর নিয়ে গান। এই অভিঘাতের তুলনা শুধু বাংলা সাহিত্যে প্রথম সুকুমারীয় ননসেন্সের সাথেই হতে পারে।
    মনে পড়ে সুবর্ণরেখায় পরিত্যক্ত রানওয়েতে বহুরূপী কালী।

    রানওয়ে জুড়ে পড়ে আছে / শুধু কেউ নেই শূন্যতা / আকাশে তখন থমকিয়ে আছে মেঘ / বেদনা বিধুর রাডারের অলসতা / কিঞ্চিত সুখী পাখীদের সংবেগ

    (ক্রীতদাস-ক্রীতদাসী হাতবদলের বহু আগেকার এই উপরের পংক্তিসমূহ)

    এমন বিশাল বন্দরে বহুকাল / থামেনি আকাশবিহারী বিমানযান / এখানে ওখানে আগাছার জঞ্জাল / শূন্য ডানায় বায়বীত গতিবেগ / এমন ছবিতে কিশোরী মানায় ভালো / ফ্রকে মুখ গুঁজে কাঁদে চুল এলোমেলো
    চারণ দেখেছে এই ছবিখানি তাই / হৃদয়ে জমেছে শূন্যতা উড়ু মেঘ / চারণ ভোলেনা এই ছবিখানি তাই / বড় মায়া লাগে বড় তার উদ্বেগ / আকাশে তখন ঝড় এসে যাবে বলে / থমকিয়ে আছে মেঘ

    এর পরেও শুনতে হবে বাংলা কাব্যগীতির কথা সুমনের আগে অপরিনত ছিলো !! ওহো, প্রকাশিত মূলধারা নয় তো এটি।

    গ্যালিলিওর আগে তো কেউ বলেনি। আমি তো শুনিনি। তাই.........
  • কল্লোল | 111.62.18.25 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ০০:০৫569137
  • মহীনের এই প্রথম অ্যালবামটিতে আরও দুটো গান আছে। শুনতে ইচ্ছে হলে শুনে নেবেন।
    কলকাতা বিষয়ক আর মেরুণ সন্ধ্যালোক।

    এখানে রেকর্ডগুলোর পুরো তথ্য আছে।
    http://www.washingtonbanglaradio.com/content/mohiner-ghoraguli-complete-discography-early-45-rpm-eps-wbri-kolkata-radio-bangla-online-fea
    রেকর্ড কভারগুলো খেয়াল করবেন। ওদের নিজেদের করা।
    এরা শুধু গান লিখতো-সুর দিতো-গাইতোই না কভারও ডিজাইন করতো। থ্রী নয় ফোর ইন ওয়ান।

    তবে কিনা গ্যালিলিওর আগে কেউ বলেনি। আমি তো শুনিনি। তাই...................
  • aranya | 154.160.226.53 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ০০:১০569138
  • এই টই-এর অনেকটা পড়া হয় নি। বুড়ি ছুঁয়ে যেতে এসে কল্লোল-দার শেষ পোস্টের গানটা থমকে দিল।

    রানওয়ে জুড়ে পড়ে আছে / শুধু কেউ নেই শূন্যতা / আকাশে তখন থমকিয়ে আছে মেঘ / বেদনা বিধুর রাডারের অলসতা / কিঞ্চিত সুখী পাখীদের সংবেগ

    কি অদ্ভুত ভাল, এতো সুমনও লিখতে পারলে গর্বিত হতেন। মহীন শুনি নি তেমন ভাবে, শুনতে হবে।
  • ব্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্ | 223.210.236.146 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ০০:১৩569139
  • দেবী নেমেসিসের অভিশাপে উল্ফ্‌গ্যাং অ্যামাডিউস মোৎজার্ট অনন্তকাল অ্যান্তোনিও স্যালিয়েরির হাত ধরিয়া চলিবেন।

    Flammis Acribus Adictis.
  • কল্লোল | 111.62.18.25 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ০০:৪৮569141
  • আজ এই পর্যন্ত। কাল আবার হবে।
  • PM | 96.22.56.206 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ০৩:০৫569142
  • এই টই-টা আগে পড়ি নি। সমৃদ্ধ হচ্ছি। অপেক্ষায় আছি।
  • সুকি | 168.161.176.6 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ০৫:২৯569143
  • দারুণ আলোচনা - আমি নিতান্তই অর্বাচীন টাইপের, ফাণ্ড নেই কিছুতেই - তবুও ভালোলাগাটা জানিয়ে গেলাম। সুমনের কথা (সুর নয়) নিয়ে কিছু বলবার ছিল, কিন্তু গুছিয়ে না লেখার ক্ষমতা থাকার জন্য এবং বেশী ফাণ্ডা না থাকার জন্য সাহস করছি না লেখার। তবে যদি কোন দিন সুমন নিয়ে লিখি এই থ্রেড থেকে অনেকটাই ঝেড়ে দেব (কৃতজ্ঞতা স্বীকার অবশ্যি করব)।
  • aranya | 78.38.243.161 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ০৭:৫৩569144
  • মহীন শুনছি।
  • lcm | 34.4.162.218 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ০৯:০৬569145
  • যা মনে হয় তাই যখন বলার কথা, সত্যের খাতিরে তখন বলেই ফেলি।
    মহীনের এই যে দুটি গান -
    ভালোবাসি জোছনায় কাশবনে ছুটতে .... এবং... রানওয়ে জুড়ে পড়ে আছে...
    প্রথমবার শুনে তেমন ভালো লাগে নি, আর এখন শুনেও বেশ বাজে লাগল - মানে, গান হিসেবে। দম নাই। জোশ নাই। আরো কি কি যেন নেই। সুর টুর বাদ দিয়ে আবৃত্তি করার মত পড়লেও মোটামুটি। মহীনের কিন্তু অন্য কয়েকটি গান বেশ ভালো লেগেছিল।
    একান্তই ব্যক্তিগত অভিমত।
  • aranya | 78.38.243.161 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ০৯:১৭569146
  • আমি আগে শুনি নি। এখন শুনে, এলসিএম যেমন বললেন, ভাল লাগল না খুব একটা।
    অথচ লিরিক ভাল, সন্দেহ নেই। গান দুটো কেমন মনোটোনে একটু যেন একঘেয়ে ভাবে গাওয়া হয়েছে।
  • aranya | 78.38.243.161 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ০৯:২২569147
  • পৃথিবীটা নাকি ছোট হতে হতে - এটা আরেকবার শুনলাম। ভাল লাগল আবারও।
  • lcm | 79.236.167.128 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ০৯:৩৬569148
  • হ্যাঁ, পৃথিবীটা - তো দারুণ।
    আরো একটা ছিল, ক্রিকেট।
  • aranya | 78.38.243.161 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ০৯:৪৮569149
  • রানওয়ে-টা সুমন গাইলে, নব্বই-য়ের সুমন, সেই ব্যারিটোন ভয়েসে - কেমন হত, শুনতে ইচ্ছে করে।
  • lcm | 34.4.162.218 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১০:০২569150
  • সুমন গাইলে অনেক বেটার হত। মহীনের গ্রুপে গানের গলা শ্রুতিমধুর নয়। সুর বেশ ফ্ল্যাট , আর একঘেঁয়েমি আছে। কথার কাব্যিক দিক ধরলে, গুরুর কবিতার টই-এ ওর থেকে অনেক ভালো কথা আছে। জানি কল্লোলদার সাথে এ নিয়ে আগে একবার তক্কো হয়েছে, কিন্তু যা মনে হয় তাই বললুম।
    দেখুন ব্যাপারটা হল - ভালো লাগলে লোকে শুনবে, না লাগলে শুনবে না। সুমনের আগেও কলেজের ফেস্টে ইত্যাদিতে গীটার নিয়ে বাংলায় জন ডেনভার হবার চেষ্টা কেউ করে নি তা নয়, কিন্তু সেগুলো হয় নি।
  • b | 135.20.82.164 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১০:০৫569152
  • জটিলেশ্বরের একটা গান ছিলো না ' এ কোন সকাল, রাতের চেয়েও অন্ধকার'?আমার মা কোনোদিন ঐ গানটি শোনেন নি। প্রথমবার শুনতে শুনতে বলেছিলেন 'এটা কি সুমনের গান?'
    তবে এই উদাহরণ খুবই কম।
  • aranya | 78.38.243.161 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১০:০৮569153
  • ক্রিকেট-এর লিঙ্ক থাকলে দেবেন তো, মহীনের ক্রিকেট খুঁজতে গিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট টিমের ওপর একটা গান শুনে ফেললাম।

    রানওয়ে-র লিরিকের প্রেমে পড়ে আছি এখনো, গান-টা লিরিকের মর্যাদা রক্ষা করতে পারে নি।
  • কল্লোল | 111.62.119.46 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১০:১০569154
  • কৈফিয়ৎ নয়, তবু।
    মহীনের গান, যদি ওদের প্রথম রেকর্ডিং শোনেন, মনে রাখবেন সেটা ১৯৭৫, ফলে গায়কী তখনো কাঁচা, রেকর্ডিংএর মান বেশ খারাপ।
    এই গানগুলোই কুড়ি বছর বাদে যখন গাওয়া হচ্ছে তখন গায়কী অনেক পরিনত। রেকর্ডিংএ বিপ্লব হয়ে গেছে।
    হায় ভালোবাসি আর রানওয়ের গান পরে আবারও গাওয়া হয়েছে - হায় ভালোবাসি -
    এখানে কন্ডাক্ট করছে আব্রাহাম, মাঝখানে টুপি মাথায় রঞ্জন আর এক পাকা দাড়ি গাইছে বুলা। মহীনের বুড়ো ঘোড়াগুলি।
    রানওয়ে জুড়ে
    এটা লক্ষীছাড়া। ড্রামসে গাবু (গৌরব) গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে।
    আমরা যারা ১৯৭৫এ এই গান শুনছি তারা পাগল হতে বাকি ছিলাম।
  • aranya | 78.38.243.161 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১০:১২569155
  • হ্যাঁ, জটিলেশ্বরের ঐ গান-টার উল্লেখ সুমন-ও করেছেন।

    গুরু-র কবিতা-র টই-তে ভাল কবিতা, ভাল কথার কবিতা অনেক আছে, কিন্তু সেগুলোয় সুর দিলে গান হবে কি? জানি না।
  • lcm | 34.4.162.218 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১০:১৮569156
  • কল্লোলদা,
    আপনি প্রথমবার মহীন শুনে পাগল হয়েছিলেন ঠিক আছে। আমার মনে হয় তার প্রধান কারণ আপনি নিজে গান গাইতেন, বিভিন্ন ধরনের গানে ইন্টারেস্ট আছে আপনার। অনেকেরই কিন্তু মহীন তেমন দাগ কাটে নি তখন।
    প্রথমবার সুমন শুনে কিন্তু এর লক্ষ গুন মানুষ পাগল হয়েছিল। এবং, এরা সকলে গান বাজনার সাথে যুক্ত নন।
    আমার ধারনা, সুমন, নচিকতা, বাংলা ব্যান্ড-এর এই জোয়ার না এলে, আজও কেউ খুব একটা মহীন জানত না।
  • কল্লোল | 111.62.119.46 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১০:২০569157
  • মুস্কিলটা ঐখানেই।
    সুমন ১৯৭৫এ মহীনের গানগুলো গাইলে কেমন গাইতো জানিনা, তবে ১৯৯০এ গাইলে নিঃসন্দেহে ১৯৭৫এর মহীনের অনেক ভালো গাইতো। যারা নাগরিকের(সুমনের ৮০ সালের ব্যান্ড) গান শুনেছেন তারা ওর অনেক গান (পরে গাওয়া) শুনে দেখুন, তফাৎটা বুখবেন।

    গানের কথা, নিয়ে লসাগুকে একটাই বলার - আজকের কবিতা দিয়ে তুলনাটা বোধ হয় ঠিক নয়। ১৯৭৫এর কবিতার সাথে তুলনা করুন।
    এখন যদি কেউ বলে মহেঞ্জোদরোর শিবমূর্তির মতো স্কাল্পচার তো কুমোরটুলিতেও পাওয়া যায়, তবে আর কিই বা বলার আছে।

    অতীতের কাঠামোর উপরেই থাকে বর্তমানের পা।
  • aranya | 78.38.243.161 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১০:২২569158
  • এমন ছবিতে কিশোরী মানায় ভালো / ফ্রকে মুখ গুঁজে কাঁদে চুল এলোমেলো
    চারণ দেখেছে এই ছবিখানি তাই / হৃদয়ে জমেছে শূন্যতা উড়ো মেঘ /
    চারণ ভোলেনা এই ছবিখানি তাই / বড় মায়া লাগে বড় তার উদ্বেগ / আকাশে তখন ঝড় এসে যাবে বলে / থমকিয়ে আছে মেঘ

    নাঃ, ১৯৭৫-এ লেখা ভাবলে দূর্দান্ত লিরিক। ৩৭ বছর পর, ২০১২-তেও ভাল লাগছে।
  • aranya | 78.38.243.161 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১০:২৫569159
  • কল্লোল-দাও এটাই বলেছেন দেখছি। ১৯৭৫-এর পক্ষে জাস্ট টু গুড। লোকে তখন নেয় নি - হয়ত স্বর্ণযুগের গানের থেকে তখনও বেরোতে পারে নি।
  • r2h | 78.46.93.195 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১০:৩৩569161
  • আহা।

    আমি তো আর আগে শুনিনি, এইসব গানের অস্তিত্ব আছে তাই জেনেছি অন্তত ১৯৯৩/৯৪ সালে। পরে যখন ক্যাসেট বেরুলো, তখনই প্রথম শোনা। আর আমি সংবিগ্ন পাখিকূলে সুমনের গলা... নাঃ, মানতে পারছিনা।
    তবে আবার হায় ভালোবাসি-তে 'বিটল্স ডিলান আর বিঠোফেন শুনতে' কেমন বালখিল্য লাগে। তবে সে ব্যাতিক্রম। কেমনি মানুষ হই, ধাঁধার থেকেও জটিল তুমি, পৃথিবীটা, এইসব তো সাংঘাতিক।

    অবশ্য তাতে কিছু আসে যায়না, আমি কেউ নই, মানে ঐ, কেবল 'নাম নেই গান শুনি' টাইপ ব্যাপার। শুধু মধ্যরাতের পর সবকিছুতে মতামত দেওয়ার জন্যে উসখুস করি আরকি, তাই।

    আর সব কিছুর পরেও, সুমন আমার কাছে ঐশ্বরিক। এই অবেলায়, হয়তো ফুরিয়ে যাওয়ার, পরেও।
  • কল্লোল | 111.62.119.46 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১০:৩৩569160
  • লসাগু। আমায় একটা মানুষের কথা জানান যে ১৯৭৫এ মহীন শুনে পাগল হয় নি।
    তখন গান শোনানোটা আজকের মতো এতো অনায়সে হতো না। কলকাতায় মহীনের অনুষ্ঠান তখন বছরে বড়োজোর তিনটে হতো। তারও খবর পাওয়াটা বাই চান্স। আজকের ফেসবুক অধ্যুষিত সে সব কল্পনার বাইরে। যারা সেসময় জ্যাভোৎসবে বা জ্যাজ ফেস্টে মহীন শুনেছেন তাদের কারুর সাথে যদি দেখা হয় তো জেনে নেবেন।
    আমি পরে কিছু মানুষের প্রথম মহীন শোনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো।
    সুমনের কৃতিত্ব এইসব ধরনের প্রান্তিক গানকে মূলধারায় নিয়ে আসা।
    ভালো লাগা না লাগা নিতান্ত ব্যাক্তিগত। আপনার মহীনের গান নিয়ে যে অভিযোগ, ঠিক একই অভিযোগ তোমাকে চাইএর সুমন নিয়েও বহু ছিলো।
  • lcm | 34.4.162.218 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ১০:৪৫569163
  • কল্লোলদা,
    প্রান্তিক গান শুনে প্রান্তিক শ্রোতা পাগল হয়েছেন। আজও হন। বাকি দুনিয়া কেয়ার না করলেও হন।
    এবার আপনি বলতেই পারেন, বছরে তিনটের জায়গায় ৩০ টা শো হলে, লক্ষ লক্ষ লোক পাগল হতেন। মহীনের ব্যাপারে এ নিয়ে আমার দ্বিধা আছে।
    সুমনের ক্ষেত্রে যে দ্বিধাটা নেই।
    আর, হ্যাঁ, মহীনের গান শুনে তেমন ইম্প্রেস্‌ড হন নি এমন লোকের কথা আমি শুনেছি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন