এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আরও একটি ধর্ষণ

    Ishan
    অন্যান্য | ১৬ মে ২০১৩ | ২৯১৩৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • riddhi | 84.138.207.162 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ০২:২৮604576
  • এটা ব্রতীনদাকে।
    নোটসটাকে আমি একটু জেনরালাইজ্ড অর্থে ধরেছি। সেখানে হোমোয়ার্ক্স সলিউশান ইঃ রয়েছে। স্যারের বানী ভারবাটিম লিপিবদ্ধ করাতে মেয়েরা এগিয়ে এটা আমিও মানি।
  • ঈশান | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৩:০২604577
  • স্রেটা মানে?
  • riddhi | 117.217.133.50 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৩:৩০604578
  • স্ট্রেটা।
  • s | 182.0.249.87 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৪:২৯604579
  • মুশকিল। খুব মুশকিল। যেখানে নোটস নেই, লিভ ইন নেই, পাতি নির্জলা প্রেমিক প্রেমিকা ইন্টু মিন্টু করছে, সেখানে কি হবে? প্রেমের বদলে প্রেম, আদরের বদলে আদর, চুমুর বদলে চুমু, দেহের বদলে দেহ। রসিদে রসিদে মানিব্যাগ, হ্যান্ডব্যাগ ভরে যাবে। তারপর হাজার দুয়েক রসিদ জমা হলে, এক শীতের বিকেলে প্রেমিকা যদি 'রিলেশন কাট' করে তাহলে প্রেমিক রসিদগুলো নিয়ে কার কাছে যাবে?
  • Atoz | 161.141.84.239 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৫:০৬604580
  • কেন, কৃষ্ণের কাছে যাবে?
  • ঈশান | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৮:১৮604581
  • রিদ্ধি। কোন স্তরে কতটা বলা যাবেনা। মানে আমি জানিনা। তবে মোটের উপর এস্টিমেট হল নথিভুক্ত ধর্ষণের অভিযোগের এক তৃতীয়াংশ হল এই ধরণের অভিযোগ, যেখানে প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েটি "স্বেচ্ছায়" শোবার পর বিয়ে না হবার কারণে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছে। এর কিছু বিয়েতে মেটে। কিছু কেসে ছেলেটি জেল খাটে। অর্থাৎ নথিভুক্ত ধর্ষণের দুই তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রে মেয়েটি বলপ্রয়োগের ভিক্টিম, যেখানে পৌরুষের তেজ ধর্ষণের জন্য দায় (যদি অভিযোগ সত্যি হয়)। সেখানে নারীটি সত্যিই নিপীড়িত। আর বাকি এক তৃতাংশ কেসে নারী নিজের নিজের নিপীড়িত শোষিত বা কচিখুকি ইমেজটি ব্যবহার করছে হয় প্রতিশোধ্হ নেবার জন্য কিংবা বিয়ে করার জন্য।

    মেয়েরা ধর্ষণের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দমনের শিকার। বলপ্রয়োগের ভিক্টিম। কিন্তু ধর্ষণের অভিযোগ যখন একটি মেয়ে করে, তখন তা প্রায় গসপেল -- এই মিথটিও ঠিক না। মোটামুটি এক তৃতীয়াংশ কেসে নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য মেয়েরা এটি ব্যবহার করে।

    (সাধারণভাবে, এই কথার সূত্র ধরেই আর কিছু বলার আছে, লিখছি।)
  • ঈশান | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৮:২৪604582
  • এই কেসগুলো কেমন হয়? নতুন সহস্রাব্দের গোড়ার দিক থেকেই খবরের কাগজে এগুলোর প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। আমি পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেই প্রথম দেখতে শুরু করি। কেসগুলোর কিছু ভ্যারিয়েশন সহ একটাই সাধারণ চরিত্র আছে, খবরের কাগজে যা পড়েছি)। স্বেচ্ছায় সহবাস। তারপর প্রেমিক বিয়ে না করায় ধর্ষণের অভিযোগ। সবশেষে বিয়েতে মধুরেণ সমাপয়েৎ। ছেলেটি বিয়ে না করতে রাজি না হলে ধর্ষণের দায়ে জেলবাস।

    এইটা নিয়ে আগেও গুরুতে লিখেছি। আমার কাছে এক আধটা কেস সেভ করাও আছে। একটা স্যাম্পল দিই।

    -----------
    সহবাসের মামলায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মালা জানা নামে এক তরুণী। বিয়ে করার শর্তে অভিযুক্ত রাজকুমার পারিয়ার অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
    রাজকুমার জেল-হাজতে আছেন। নিম্ন আদালতে জামিন না-পেয়ে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি অমিত তালুকদার ও বিচারপতি পি এস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, অভিযুক্ত ওই তরুণীকে বিয়ে করতে রাজি থাকলে এবং মেয়েটিও যদি আগ্রহী হন, তবেই জামিনের বিষয়টি ভাবা হবে।
    শুক্রবার রাজকুমারের আইনজীবী লালমোহন হাজরা হাইকোর্টকে জানান, দু’জনেই বিয়েতে রাজি হয়েছেন। দুই পরিবারও বিয়েতে সম্মতি দিয়েছে। বিয়ের দিনক্ষণও স্থির হয়ে গিয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চ এর পর রাজকুমারের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে। তবে স্থায়ী জামিনের জন্য অষ্টমঙ্গলায়, ৮ ডিসেম্বর স্বামী-স্ত্রীকে হাইকোর্টে হাজির হতে হবে। ডিভিশন বেঞ্চ মালার সঙ্গে কথা বলে সন্তুষ্ট হলে স্থায়ী জামিন মিলবে।
    ---------

    এটা নভেম্বর ২০০৮। রিপোর্টটা আনন্দবাজার পত্রিকার। অষ্টমঙ্গলা টলা সমেত, পুরোটা তুলে দিলাম, এই জন্য, যে, পড়ে দেখুন, এটা মধ্যযুগীয় খাপ পঞ্চায়েত ছাড়া আর কিছু মনে হবেনা। (তার পরেও ব্যবস্থাটা কারো ভালো লাগতেই পারে অবশ্য। :) )
  • ঈশান | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৮:৩৪604583
  • এটা টিপিকাল কেস। কিছু তেএঁটে ছেলে এই বন্দোবস্তে রাজি হয়না। উচ্চতর কোর্টে মুভ করে। সাধারণভাবে তাদেরও শাস্তি বহালই থাকে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে কিছু কিছু ব্যতিক্রম হয়। তার একটা উদাহরণ দিই।

    -----------
    ১৯৯৫ সালে কার্নালের বাসিন্দা দীপক গুলাটির বিরুদ্ধে বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক ১৯ বছরের তরুণীর সঙ্গে সহবাসের অভিযোগে ধর্ষণের মামলা আনা হয়৷ প্রাপ্ত সাত বছরের সাজার তিন বছর ইতিমধ্যেই জেল খেটেছেন তিনি৷ শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, দীপক যে শুধুমাত্র কামনা চরিতার্থ করার জন্যই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বা সেই প্রতিশ্রুতি পালন করার তাঁর কোনও ইচ্ছা ছিল না, এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷ তাছাড়া ঘটনার সময়ে অভিযোগকারিণী প্রাপ্তবয়স্ক এবং বিভিন্ন কারণে যে এই বিয়ে নাও হতে পারে এমনটাও তিনি জানতেন৷ দীপকের অপরাধ আদৌ ছিল কিনা সে সম্পর্কে যথেষ্ট প্রমাণের অভাবে তাই এ দিন তাঁর সাজা মকুব করে সুপ্রিম কোর্ট৷
    -----------

    এটা একটি ব্যতিক্রমী রায়। তার পরেও ছেলেটি অবশ্য তিন বচর জেল খেটেই ফেলেছে। এটা এই সময়ের রিপোর্ট। তবে রিপোর্ট ছাড়াও সঙ্গে আরো একটু দেওয়া দরকার, ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং লাগবে।

    -----------
    রায় দেওয়ার সময়ে আদালত জানিয়েছে, ধর্ষণ ও সহমতের ভিত্তিতে সহবাসের মধ্যে ফারাক স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন৷ আদালতের মতে, নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে ধর্ষণ কোনও সমাজে সবচেয়ে ঘৃণ্য অপরাধ৷ এমনকী হত্যাকারীর থেকেও ধর্ষকের অপরাধ বেশি বলে এ দিন মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট৷ আদালতের মতে, হত্যা শুধু মানুষের শরীরকে আক্রমণ৷ কিন্ত্ত ধর্ষণ কোনও মহিলার অস্তিত্বে আঘাত হানে, যা অপূরণীয় ক্ষতি৷
    -----------

    ব্যতিক্রমী রায়েও কোর্টের দৃষ্টিভঙ্গীটি খেয়াল করুন। মধ্যযুগের চেয়ে স্লাইট উন্নত। এই জায়গা থেকেই বিজেপি ধর্ষণে মৃত্যুদন্ডের দাবী আনে।

    এবং সঙ্গে এটা উল্লেখ থাকা দরকার, যে, এই ধরণের "ব্যতিক্রমী" রায় সুপ্রিম কোর্ট মাঝেমাঝেই দেয়। এর আগেও একটি দিয়েছিল (সেটা সেভ করা নেই, মনেও নেই)। তাতে করে মধ্যযুগীয় খাপ পঞ্চায়েতের মূলধারাটা বিশেষ বদলায়না।
  • aranya | 78.38.243.161 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৮:৩৫604584
  • এই এক-তৃতীয়াংশ অভিযোগের মধ্যে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছেলেটি-র আদৌ কখনো বিয়ের ইচ্ছে ছিল না, শোয়ার জন্য মিথ্যে বলেছিল - এমন হওয়ার হাই চান্স। সেক্ষেত্রে প্রতারণার জন্য শাস্তি হওয়া উচিত।
  • ঈশান | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৮:৪৪604587
  • এবং এখানে সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং হল নারী সংগঠনগুলির ভূমিকা। তাঁরা এই খাপ পঞ্চায়েতকে সমর্থন করেন। অন্তত বিরোধিতা করেন না। এটা হয় "মহিলাদের শরীরের উপর অধিকার"কে বাকি সব রাজনীতি থেকে আলাদা এবং উঁচু করে দেখার ফলে। নচেৎ এটা নজরে আসার কথা।

    কেন এটা বলছি? কারণ, "আমার শরীরের উপর আমার অধিকার চাই" -- এটা নারীবাদীদের যথেষ্ট যৌক্তিক দাবী, যদি সেটা গণতান্ত্রিক কাঠামোয় আসে। অর্থাৎ, "আমার শরীরের উপর আমার অধিকার চাই, একই সঙ্গে পুরুষ-নারী নির্বিশেষে সকলের শরীরের উপর তাদের অধিকার চাই"। এবার এই "পুরুষ-নারী নির্বিশেষে" অংশটা বাদ পড়ে যাওয়া মানেই, আমি বৃহত্তর রাজনীতিটা দেখবনা। দেখছিনা। এবং "শুধু" নারীদের উপর জোর দিচ্ছি। এবং তৈরি হচ্ছে খাপ পঞ্চায়েত। বা টিকে থাকা খাপ পঞ্চায়েতগুলোর অস্তিত্ব জোরদার করছে।

    মেয়েদের লড়াই, ভারতীয় কনটেক্সটে, এই বৃহত্তর প্রেক্ষিত না দেখার সমস্যায় ভুগছে। একদিকে লিবারালিজমের চূড়ান্ত অন্যদিকে খাপ পঞ্চায়েতের পুনরুত্থানের অংশীদার -- এই স্ববিরোধ থেকে কিভাবে মুক্ত হবেন সেটা তাঁদেরই ভাবতে হবে। নচেৎ যতবার লিবারালিজমের কথা বলবেন, ততবার এই খাপ পঞ্চায়েত পিছনে টানবে। জবাব দেবার কোনো জায়গা পাবেন না।
  • ঈশান | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৮:৪৭604588
  • শেষই করে দিয়েছিলাম। কিন্তু মাঝখানে অরণ্যদার পোস্ট পড়ল। দু লাইন লিখে দিই।

    "এই এক-তৃতীয়াংশ অভিযোগের মধ্যে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছেলেটি-র আদৌ কখনো বিয়ের ইচ্ছে ছিল না, শোয়ার জন্য মিথ্যে বলেছিল - এমন হওয়ার হাই চান্স। সেক্ষেত্রে প্রতারণার জন্য শাস্তি হওয়া উচিত।"

    লিবারাল ডেমোক্রেসিতে (ধরুন আমেরিকায়) যদি পুলিশে গিয়ে বলেন, ওমুক আমার আংটি পরিয়েছিল, কিন্তু বিয়ে করেনি, অতএব প্রতারক, পুলিশ কিন্তু অভিযোগ নেবেই না। বলবে নিজেদের মামলা নিজেরা সামলাও। ব্যক্তিগত ব্যাপারে থানা-পুলিশ কোরোনা।

    ব্যস। এই পর্ব সমাপ্ত।
  • a x | 86.31.217.192 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৮:৫৭604589
  • এই রেপ কম্প্লেইন্টের মহিলাদের কতজন কমপ্লেনটি করার সময় প্রেগন্যান্ট ছিলেন?
  • aranya | 78.38.243.161 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৯:০৩604590
  • প্রতারণা প্রমাণ করা যাবে কিনা, সেটা আলাদা ব্যাপার। প্রমাণিত হলে শাস্তিযোগ্য, কারণ যথেষ্ট ট্রমাটিক অভিজ্ঞতা, অনেক কনসিকোয়েন্স ইঃ
    কোন দেশে কি আইন চলে, আমেরিকায় আবার বিভিন্ন স্টেটে আলদা আইন - যেমন ধর অ্যাডালটারি কোন স্টেটে ক্রাইম, আবার কোথাও নয় - যাই হোক, সেসব ভারতের আইন প্রণেতারা ঘেঁটে দেখতে পারেন।
    আমি জাস্ট আমার মত বললাম।
  • ঈশান | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৯:০৮604591
  • পরিসংখ্যান নেই। তবে যাঁরা এই নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছেন, তাঁরা বলছেন, অন্তঃস্বত্তা হওয়াটা মূল কারণ নয়।

    One, there are cases where a man has ended things with a woman, either after a long live-in relationship or a few sexual encounters. Or, there is a man who promises marriage in exchange for sexual intercourse but then goes back on his word. "The woman is left looking for justice and usually approaches the police for help as she feels cheated and hurt with no other recourse," said Agnes.

    অর্থাৎ, "প্রতারণা" এবং "আঘাত"টা মূল কারণ। প্রেগনেন্সি নয়।
  • a x | 86.31.217.192 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৯:২৫604592
  • যারা মনে এই একজন আগ্নেস তো? সংখ্যাটা না জানলে এই অনুমান সঠিক কিনা বোঝা সম্ভব না। কারণ ঐ রিপোর্টেই যে ঘটনার কথা আছে তাতে তা বলছেনা।
  • s | 182.0.249.87 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৯:৪০604593
  • মামুর জন্য গত দুদিনের আবাপ থেকে কিছু কেস স্টাডি। তেজপাল বাদ দিয়েই।

    গণধর্ষণ, গ্রেফতার ২
    নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি
    গণধর্ষণের অভিযোগে দু’জনকে ধরল মিরিক থানার পুলিশ। মঙ্গলবার শিলিগুড়ি সংলগ্ন পানিঘাটা চা বাগান এলাকা থেকে কুলদীপ খালকো ও গিলবোর বেগকে পুলিশ গ্রেফতার করে কার্শিয়াং আদালতে পাঠায়। দু’জনেরই ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পুলিশ সূত্রের খবর, গত ১ ডিসেম্বর কাকার বাড়ি পানিঘাটায় ঘুরতে এসেছিলেন অর্ড চা বাগানের বাসিন্দা বছর তেইশের এক তরুণী। তাঁকে দুই পরিচিত যুবক ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ঝোপের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁকে ওই দু’জন ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। তরুণীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ধর্ষণ, খুনে ধৃত
    নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর
    শারীরিক প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে ধর্ষণ করে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করার অভিযোগে সোমবার রাতে এক যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃত আলমগীর শেখের বাড়ি সুতির কাশিমনগরে। পুলিশ জানায়, আলমগীরের পড়শি গ্রামের ওই প্রতিবন্ধী তরুণীর সম্পর্ক ছিল। জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “বিয়ের জন্য ওই চাপ দিতেই ২৫ নভেম্বর রাতে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে জেরায় আলমগীর স্বীকার করেছে।”

    তিন বছর আগে পুজোয় আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে আর ফেরেনি ১৬ বছরের মেয়েটি। বহু খোঁজ করেও মেলেনি সন্ধান। গত শনিবার এক ব্যক্তির সঙ্গে মেয়ে বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ায় চমকে ওঠেন বাবা-মা। জানতে পারলেন, অপরিচিত ওই ব্যক্তির কাছেই দিল্লিতে শেষ বার বিক্রি করা হয় তাঁদের মেয়েকে।
    গত কয়েক মাস ধরে ওই তরুণীর খোঁজে দিল্লিতে বার বার যায় পুলিশ ও সিআইডি-র দল। সেই খবর চাউর হতেই সন্দেহ হয় ওই ব্যবসায়ীর। এর পরেই ‘মোটা টাকায়’ কেনা ১৯ বছরের মেয়েটির মুখে শোনেন তাঁর কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিট থেকে দিল্লির অন্ধকার জগতে পৌঁছনোর কাহিনি। সব শুনে মেয়েটিকে বাড়ি পৌঁছে দিতে আসেন তিনি।

    পুলিশের এএসআই পরিচয় দিয়ে বিয়ের পাকা কথা বলতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে ধরা পড়ল এক যুবক। সোমবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে ফালাকাটা ব্লকের খগেনহাট গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, কোচবিহার জেলার শীতলখুচি গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবকের নাম মানিক বর্মন। এর আগে সে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে বেশ কয়েকবার বিয়ে করেছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। একাধিক বিয়ে করা নিয়ে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলাও চলছে।

    ধর্ষণে অভিযুক্ত নেতা পলাতক
    নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি
    স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনলেন এক বধূ। শনিবার রাতে মারিশদা থানার কানাইদিঘি গ্রামের ঘটনা। বছর কুড়ির ওই বধূর অভিযোগ, শনিবার রাতে স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে গ্রামের তৃণমূল নেতা ভাস্কর সর্দার বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করেছে তাঁকে। রবিবার স্বামী বাড়ি এলে ওই বধূ সমস্ত ঘটনার কথা জানান। সেদিনই ওই মহিলা ও তাঁর স্বামী মারিশদা থানায় ভাস্কর সর্দারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন।

    শ্লীলতাহানির অভিযোগে ধৃত
    সংবাদ সংস্থা • গুয়াহাটি
    মেয়েকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে দিসপুরের ৬ মাইল এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী, ১৯ বছরের ওই তরুণীর অভিযোগ, তাঁর বাবা তাঁকে কয়েকমাস ধরে যৌন হেনস্থা করছেন। এমনকী তাঁকে মাঝেমধ্যে মারধরও করা হত। আদালতে পেশ করা হলে ধৃতকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।

    ধর্ষণে ধৃত
    দিন পাঁচেক আগে কেরলের একটি অত্যাধুনিক রিসর্টে ঢুকে এক মহিলাকে ধর্ষণের দায়ে গ্রেফতার করা হল দুই ব্যক্তিকে। তারা সে রাতে রিসর্টটিতে কীটনাশক ছড়াতে গিয়েছিল। দুই অভিযুক্তের মধ্যে এক জনের গলার চেন রয়ে গিয়েছিল নিগৃহীতার হাতে। সেই সূত্র ধরেই পুলিশ গ্রেফতার করে তাদের।
  • ঈশান | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ১০:০৩604594
  • অক্ষদা। শুধু অ্যাগনেস না, আরও কিছু জায়গায় বলা হচ্ছে, ধর্ষণের অভিযোগের কারণটি সম্পর্ক ভাঙা জনিত। রিদ্ধি, এনেফেস থেকে কিছু বার করবে নাকি?

    এস। এগুলো পড়ে কী করব? আমি এগুলো সমর্থন করছি? নাকি শাস্তি দেওয়ার বিরুদ্ধতা করছি?

    তবে খবরের কাগ্জে বিভিন্ন সিজন আসে। এখন চলছে ধর্ষণের সিজন। যখন সহবাসের সিজন চলছিল তখনো রোজ তিনটে করে সহবাস বেরোতো, এই আরকি।
  • s | 182.0.249.87 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ১১:৪২604595
  • না। সেসব নয়। উপরে তিনটে সহবাসের ঘটনাও আছে।
    ১। প্রতিবন্ধী তরুনীর সঙ্গে। এক্ষেত্রে এই তরুনীর বিশেষ কোন চয়েস নেই। একে প্রতিবন্ধী, তাই খড় কুটো যা পেয়েছে আঁকড়ে ধরেছে। বিয়ে করার কথা উঠেছে তো একদম খাল্লাস।
    ২। ১৬ বছরের মেয়ে। তাকে 'কেনা' হয়েছে। যিনি 'কিনেছেন' তিনি নিশ্চয়ই পয়সা উসুল করেই মেয়েটিকে ফেরত দিতে এসেছেন। মেয়েটার বলা বাহুল্য কোন চয়েস নেই।
    ৩। একাধিক বিয়ে করা যুবক। যাদের বিয়ে করেছে তাদের সংগে নিশ্চয়ই সহবাস করেছে। সেই বউরা পরম নিশ্চিন্তে তাদের কন্সেন্ট দিয়েছে। অথচ, প্রথমটা বাদ দিলে আর সব বিয়েই অবৈধ। সুতরাং সেই বউদের চয়েস তো নেইই তার উপর অবৈধ বিয়ের পর এখন তাদের ভবিষ্যতও অনিশ্চিত।
    তাই 'আমার শরীরের ওপর অধিকার' এইসব কথার কোন মানে নেই যতক্ষণ না মিনিমাম কিছু ইক্যুয়াল ফুটিং আসছে।
  • π | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ১২:১১604596
  • এধরণের ধর্ষণের অভিযোগ ও তার সমাধান হিসেবে বিয়ে প্রসঙ্গে ঃ
    "In view of the fact that since the parties have got married, the present petition is allowed," the judge wrote in her order ending the case.

    This year alone, court records show that Justice Kohli has heard more than 20 requests to quash rape cases centered on men accused of reneging on their marriage promises. Half the requests were granted because weddings had taken place. Others were deferred until the court received confirmation of the marriage, or that the woman was being well treated in her married home....
  • π | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ১২:৫৩604598
  • অরণ্যদা, এই সব কেসে প্রতারণার অভিযোগে শাস্তিও হয়। যে কেসে ধর্ষণ বলে কোর্ট রায় দেয় না, প্রতারণা বলে দিতে পারে।

    এই যেমন এটাঃ
    Relying on Jayanti Rani Panda case Hon’ble Justice Ram Nandan Prasad, of Patna High Court held that “though on the facts of the case, an offence of rape is not made out, it is obvious that by holding out the false promise of marriage the petitioner fraudulently induced the complainant to have sexual intercourse with him and but for this false promise she would not have consented to have sexual intercourse with him. The act of the petitioner, therefore, amounts to cheating as defined in Section 415, I.P.C. and as such prima facie amounts to an offence under Section 417, I.P.C. Besides this act of cheating, the petitioner and other accused are also alleged to have indulged in assaulting the intimidating the complainant and her parents which prima facie would give rise to an offences under Sections 323, and 506, I.P.C.” (Mir Wali Mohammad @ Kalu vs The State Of Bihar (1991 (1) BLJR 247 Order dated 2/7/1990)
  • π | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ১৩:৩৬604599
  • তবে মামুও শেষমেশ অ্যাগনেসকে কোট করে 'সুবিধাবাদ' প্র্যাকটিস করলো দেখে ব্যাপক বিনুদুন পাইলাম ঃ))
  • aranya | 154.160.226.53 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ২১:৪০604601
  • থ্যাংকস পাই। আমার অবস্থানটা আরেকটু ক্লিয়ার করি। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শেষ পর্যন্ত বিয়ে না করার অনেক কারণ থাকতে পারে - পাতি বোর হয়ে যাচ্ছি, এই সম্পর্ক আর ভাল লাগছে না, অন্য কারুর প্রেমে পড়া, অন্য কারুর সাথে সম্পর্ক, বিয়ে ব্যাপারটাকেই এখন মিনিংলেস লাগছে ইত্যাদি প্রভৃতি। এই সব কেসের একটা মাত্র সাবসেট-কে আমার অন্যায় মনে হয় - সেটা হল প্রতারণা - প্রথমে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সময়েই যদি ছেলেটি মনে মনে জানে যে তার বিয়ে করার কোন সিন নেই।
    সিরিয়াসলি বিয়ের কথা বলেও পরে কারও মন পাল্টে যেতেই পারে, সেটাকে আমি অপরাধ মনে করি না। ব্যক্তিগত ভাবে পরকীয়া, পলিগ্যামি কোন কিছুকেই অন্যায় বলে ভাবি না, যে কেউ যে কারুর সাথে সম্পর্ক করতে পারে, কিন্তু একটা বেসিক অনেস্টি, স্বচ্ছতা থাকা দরকার।
  • sosen | 111.63.229.54 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ২৩:১০604602
  • বিয়েটা কোনো সমাধান হতেই পারেনা। আউট অফ কোর্ট এই টোপ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া একটা বিচ্ছিরি ব্যাপার। আইনে এরম থাকলে ভালো হয়, যে কারোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনলে তাকে আর বিয়ে করা যাবেনা। আর প্রতিশ্রুতিভঙ্গের আইনটা পুরো আলাদা করে তৈরী হওয়া দরকার। ক্লিন।
  • riddhi | 146.165.223.23 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ২৩:১৪604603
  • তো আলোচনার সামারি এটাই দাঁড়াচ্ছে-

    ১) মেয়েদের প্রোটেক্ট করতে বানানো আইন কিভাবে প্রোটেক্ট করছে, তার কোন উত্তর নেই। একটা খুব উইক অর্থনৈতিক এঙ্গেল থাকলেও সেটা প্রচন্ড্ভাবে সাব্জেক্টিভ, আর কেস-স্পেসিফিক।

    ২। প্রেগনান্সি, মাল্টিপল বিয়ে। এগুলো- সম্পূর্ণ আলাদা আইনের আওতায় পড়ে বা পড়া উচিত।

    ৩) বহু কেস আছে (মামুর দেয়া উদঃ, নেটেও প্রচুর পেলাম ) যেখানে প্রেগনান্সি এসবের কোন চক্কর নেই। টোটালি ফালতু ভাবে রেপ রেট ইন্প্লেশন হচ্ছে। তো যারা নারীবাদী কস নিয়ে লড়ছেন আর এই রেপ স্ট্যাটিস্টিক গুলো সাপোর্টে পেশ করেন এই জালিগুলোর জন্য তাদের ক্রেডিবিলিটিটা কোথায় থাকছে?

    ৪) মামুর দেয়া ঐ কোটেশান( এবং আরো কিছু জজ উকিলের বাণী) থেকে দাঁড়াছে -এই সব আইনের মোটিভেশান যতনা মেয়েদের ইকুয়াল ফুটিং এ আনা, তার থেকে বেশী বিয়ে , এক্স্ট্রামারিতাল সেক্স নিয়ে মান্ধাতার আমলের মানসিকতা।

    হাজারটা রেতোরিক ঝেড়েও এই পয়েন্টগুলো রিফিউট করা গেল না। সেদিন দেখলাম ৪৯৮এ এর সংখ্যা বিশাল আর তার অধিকাংশই জালি কেস
  • riddhi | 146.165.223.49 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ২৩:২০604604
  • রিলেশন তৈরি আর কাট হামেশা হচ্ছে। ওয়ান-থার্ড রিস্ক নিয়ে প্রোপোজ করতে হবে। একটি কথার দ্বিধা-থরোথরো চুড়ে.. দ্বিধার লেভেল .3 হয়ে গেল।
  • π | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ২৩:২৪604605
  • বহু জেনুইন ৪৯৮ এ রিপোর্টেড হয়না। বহু জেনুইন রেপ কেসও তাই। এবার কিছু অপব্যবহার হয় বলে ৪৯৮ এ উঠিয়ে দেওয়া যায় না, দরকার আছে। কিন্তু এই বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস=ধর্ষণের শাস্তি অথবা বিয়ে , এটাতে তো ইন্হেরেন্টলিই গণ্ডগোল আছে।
  • sosen | 111.63.229.54 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ২৩:২৫604606
  • না না। স্টার্টিং পয়েন্ট তো এইটা ছিল। বা মোটামুটি এইখানে।
    "
    মানে, রাজি না হওয়াটা জানানো তখনই হবে, যখন ফার্মলি কেউ রাজি হবেনা। আমি নিজের কার্যসিদ্ধির জন্য একটা ধোঁয়াটে এলাকা রেখে দিলাম, চোখে চোখ রাখলাম, দুষ্টু কথায় মিষ্টি হাসি দিলাম। স্লাইট রহস্যময়ী করে রাখলাম, যার হ্যাঁ মানে নাও হতে পারে, আর না মানে হ্যাঁ। এবং কর্ম মিটলে বললাম আমি হ্যারাসড। -- এ খুবই কমন স্টিরিওটাইপ। এবং জেনারালাইজ করলে বলা যায় নারীজাতির বহু সাধনা ও অভ্যাসের ফল।

    Name: সে

    IP Address : 203.108.233.65 (*) Date:02 Dec 2013 -- 02:19 AM

    একদম। এইভাবে চাকরিতে উন্নতির চেষ্টা করে গেলাম - উন্নতি না হলে বল্লাম হ্যারাস্‌ড্‌। ড্রাইভিং এর পরীক্ষায় প্রোভোকেটিভ ড্রেস পরে গেলাম-পরীক্ষককে ছুঁতে দিলাম- জানি এমনিতে ড্রাইভিং এর পরীক্ষায় ফেল হবো - কিন্তু পাশ করে গেলাম।
    ঠিক তেমনি লিভ-ইন্‌ করে গেলাম পরে ব্যাপারটা বিয়েতে গড়ালো না - তখন বল্লাম রেপ হয়েছে। এক্ষেত্রে "আমি" একটি প্লেসহোল্ডার।

    Name: ঈশান

    IP Address : 60.82.180.165 (*) Date:02 Dec 2013 -- 02:25 AM

    হ্যাঁ, ধর্ষণ আইনের এই অপব্যবহারটি দীর্ঘদিন ধরেই হয়েছে। মেয়েরাই করেছে। জেনারালাইজ করলে যেটাকে বলা যায় নারীকর্তৃক আইনের অপব্যবহার।"

    অর্থাৎ অপব্যবহার সুব্যবহারের চেয়ে বেশি। তার ফাইনাল স্ট্যাটিস্টিকস কি করে পাওয়া যাচ্ছে? অর্থাৎ কোনটা জালি এবং কোনটা জালি নয়, কত পার্সেন্ট এটা কোথায় পাওয়া যাচ্ছে?
  • sosen | 111.63.229.54 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ২৩:২৬604607
  • প্রশ্নটা ঋদ্ধিকৃত সামারি কে। পাইকে নয়।
  • ঈশান | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৩ ০২:২০604609
  • সোসেনকে।
    ১। স্টার্টিং পয়েন্ট মোটেই ওটা ছিলনা। ছিল এইটাঃ
    "উল্টোদিকে কোন এক বিকট থিওরিযোগে পুরুষ জাতি ঠিক্করে নিয়েছে মেয়েদের "না " মানে "হ্যা " এবং তারা সেই স্বকপোলকল্পিত থীয়রীর জোরে যে উত্পাত টা চালায় সেটা খুব লো লেভেলের । ছেলেদের "না " বোঝানো এক শাঁখের করাত কারণ তার মানেটাও পুরুষের অভিধান দেখে হয় ঃ। "

    যেটায় আপনারা একমত। তা উল্টোদিকে আইন কষে দেখলাম ওটা "পুরুষ জাতি" জাতি হিসেবে বলছে এমন না। আইন বলছে। সেই আইনের সাপোর্টারও নারীজাতির মধ্যে কম নয়। তাহলে আর "পুরুষ জাতি" "বিকট থিয়োরিযোগে" কথাটা বলার মানে কি।

    ২। "ধর্ষণ আইনের এই অপব্যবহারটি দীর্ঘদিন ধরেই হয়েছে" -- এইটা বলেছি। এখানে "এই" শব্দটি লক্ষণীয়। "এই" অর্থাৎ ধর্ষণের শাস্তি বিয়ে নইলে হাজতবাস। এখানে স্ট্যাটিস্টিক্সের প্রশ্নই নেই। এই আইনটি এবং তার প্রয়োগ, দুটিই মধ্যযুগীয়, ফলে ব্যবহার মাত্রেই অপব্যবহার।

    প্রশ্ন আসতে পারে সামগ্রিক ধর্ষণের কেসের মধ্যে কতগুলি "এই" অপব্যবহারের মধ্যে পড়ে। রিপোর্টেড কেসের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ। ফলে সামগ্রিক ভাবে রিপোর্টেড ধর্ষণ দুই-তৃতীয়াংশ সুব্যবহার ও এক-তৃতীয়াংশ অপব্যবহার, এইরকম গোদা করে বলা যায়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন