এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মাওবাদী হামলা ও মহেন্দ্র কর্মা

    Ishan
    অন্যান্য | ২৬ মে ২০১৩ | ১৭১৯৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 24.96.27.103 | ২৭ মে ২০১৩ ০২:২১611500
  • কিছু ফ্যাক্টঃ
    ৩) মহেন্দ্র কর্মাঃ হিমাংশু কুমারের 'তেহলকা'য় প্রকাশিত ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণে একটি তথ্য সামনে আসেনি। তাহল ওই বুদ্ধিমান বই পড়তে আগ্রহী দন্তেওয়াড়ার আদিবাসী নেতাটি প্রথমে সিপিআইয়ের সদস্য হ্হিলেন এবং সিপিআইয়ের টিকেটেই দন্তেওয়াড়ার সাংসদ হন। তারপরে নির্দলীয়, পরে কংগ্রেসী ও রমন সিং সরকারের সহযোগী হন। সলওয়া জুড়ুমের ব্যাপারে উনি ওঁর পার্টি লাইনের বাইরে গিয়ে অগ্রণী হয়েছিলেন। কারণ হিমাংশু বলেছেন।
    ২০০৫ এ ওঁর ভাই নিহত হয়, গর নভেম্বরে উনি অল্পের জন্যে বেঁচে যান।
    ৪) বিদ্যাচরণ শুক্লাঃ
    মধ্যপ্রদেশের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী রবিশংকর শুক্লার ( রায়পুর বুড়াপারা নিবাসী) দুই ছেলে। শ্যামাচরণ কয়েকবার মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। বিদ্যাচরণ দিল্লির রাজনীতি। ইন্দিরাজির জরুরী অবস্থার দিনগুলিতে উনি তথ্য ও প্রচার মন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু সঞ্জয় গান্ধী, হরিয়ানার বংশীলাল ও বিদ্যাচরণ সেই সময় অতীব ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছিলেন। তখন প্রেসের ওপর হামলা , ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে তালা মারা, ইত্যাদি ও অন্যান্য গণতান্ত্রিক কাঠামো নষ্ট করার অভিযোগ ওঁর বিরুদ্ধে ছিল।রাজীবের সময় ওঁর ডানা ছাঁটায় জনমোর্চা গঠন করেন , পরে আবার কংগ্রেসে যোগ দেন। সোনিয়া জমানায় রোম্যান ক্যাথলিক অজিত যোগীর উৎথানে মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড় কংগ্রেসে ব্রাহ্মণবাদের অবসান হয়। তখন বিদ্যাচরণ সবচেয়ে বড় ভুলটি করেন, বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপির টিকিটে অজিত যোগীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তাঁর যা তা রকমের পরাজয় হয়। অতি কষ্টে গতবছর হাই কম্যান্ডকে নিমরাজি করিয়ে কংগ্রেসে ফিরেছেন। কিন্তু ক্ষমতাহীন।তাই আজ ৮৪ বছর বয়সে নিজের আনুগত্য প্রমাণ করতে এই কনভয়ে শামিল হতে হয়েছিল। কিন্তু গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁর হাল শংকাজনক।
  • a x | 86.31.217.192 | ২৭ মে ২০১৩ ০৩:০২611511
  • অরণ্য, যতই মাওবাদীদের রাজনীতির নিন্দা করিনা কেন আমরা, ভারতের সেজ ম্যাপের দিকে তাকালে বোঝা যাবে কেন এখনও প্রাসঙ্গিক। ঠিক যেখানে যেখানে সেজ চালু করতে পারেনি, সেখানেই মাওবাদীরা। আদিবাসীরা কেন এখনও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি তার একটা কারণ মাওবাদীরা। কেন এখনও পাহাড় জঙ্গলের ওপর কব্জা করতে এত বেগ পেতে হচ্ছে তার কারণ মাওবাদীরা। আর আদিবাসীদের কেউ কেউ নিজের ইচ্ছেয় স্টেট স্পনসর্ড সলমা জুডুমে যোগ দিয়েছেন, কেউ কেউ মাওবাদী হয়েছেন, কেউ কেউ মাঝখানে পড়েছেন। তারা কোনো হোমোজেনাস প্যাসিভ জড় বস্তু নন। মহেন্দ্র কর্মা নিজে একজন আদিবাসী এটাও মাথায় রাখলে ভালো। কাজেই এই মাওবাদী আদিবাসী এইভাবে বহু জায়গাতেই ভাগ করা যায়না। আদিবাসীরা প্রোটেকশন না দিলে মাওবাদীরা টিঁকতে পারতনা এতদিন। কে আদিবাসী এবং কে মাওবাদী সেটা অনেকসময়ই বোঝা যায়না।

    আর মাটির রাজনীতি খুবই জটিল সেখানে সিপিএম, তৃণ, মাওবাদী কোনো ওয়াটার টাইট কম্পার্মেন্ট না। একটা রেশান কার্ডের জন্য লয়ালটি নিমেষে বদলে যায়।
  • a x | 86.31.217.192 | ২৭ মে ২০১৩ ০৩:০৫611522
  • আর এই এক গল্প তো আজ হচ্ছেনা। এই যে অস্ত্র নামিয়ে রাখার দাবী - যতবার সিজ ফায়ারের কথা হয়েছে, ততবার স্টেট অন্তর্ঘাতের ব্যবস্থা করেছে। অন্ধ্রতে মাওবাদীদের ওড়ালো কীভাবে? এই সিজফায়ারের কথা বলেই। আজাদ মারা গেল এই সিজফায়ারের চক্করে। ভারত রাষ্ট্রের কোনো সৎ ইন্টেরেস্ট আদৌ নেই সমঝোতার বা আলোচনায় বসার। মাওবাদীরা তাদের কাছে বাধা, এবং সেই বাধাকে ছলে বলে কৌশলে ভাঙ্গতে হবে, এটাই সোল অ্যাজেন্ডা, তাতে কজন আদিবাসী মরল তাতে রাষ্ট্রের কিছুই আসে যায়না।
  • ranjan roy | 24.96.27.103 | ২৭ মে ২০১৩ ০৩:০৭611533
  • কিছু ফ্যাক্টঃ
    ৫) নন্দকুমার প্যাটেলঃ রায়গড়ের এই কংগ্রেস নেতা বর্তমানে প্রদেশ কংগ্রেসের অধ্যক্ষ ছিলেন। আগে কংগ্রেস সরকারে উনি হোম মিনিস্টারও ছিলেন। সলওয়া জুড়ুমের প্রচারে মহেন্দ্র কর্মার পরই ওঁর নাম। তাই হিট লিস্টে ছিলেন মনে হয়।
    এছাড়া নিহত কংগ্রেসি নেতাদের মধ্যে বিধায়ক উদয় মুদালিয়ার, দন্তেওয়াড়ার বিধায়ক গোপীচান্দ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
    ৬) এখন অজিত যোগী নিশ্কন্টক নেতা।
    ---- না। আজকে কংগ্রেস সংগঠনে ও হাই কম্যান্ডের কাছে অজিত যোগীর ওজন খুবই কম। হাই কম্যান্ডের চোখে প্রদেশ কংগ্রেসীদের খেয়োখেয়ির জন্যে এই ভদ্রলোকের গুটবাজি ও পরিবারবাদ বিশেষ দায়ী।
    তাই কাল যখন উনি প্রথমেই রাষ্ট্রপতির শাসন দাবী করে স্টেটমেন্ট দিলেন, তখন দিল্লি থেকে এসে রাহুল গান্ধী উল্টোসুরে প্রায় রমন সিংয়ের মত বল্লেন-- এখন গভীর শোকের সময়, রাজনীতি করার না।
    সঙ্গে সঙ্গে অজিতও সুর পাল্টে ফেল্লেন।
    ভবিষ্যতে কংগ্রেস আসলে ক্ষমতায় আসবেন যোগীর সময়ের হোম মিনিস্টার ডঃ চরণদাস মহন্ত বা সিডি। উনি বর্তমানে হাই কম্যান্ডের প্রিয়পাত্র হওয়ায় ছত্তিশগড় থেকে একমাত্র কংগ্রেসি রাজ্যসভার সাংসদ।
    ৭) মাওবাদী হামলার কারণঃ
    ৭-১ঃ
    এখন প্রায় প্রতিদিনই দক্ষিন বস্তারে আধা মিলিটারি অপারেশন চলছে। এদিকের পত্রিকায় বেরয় না। যখন শুধু কোন আর্মি হেলিকপ্টারে গুলি লাগে বা পাইলটকে ফেলে অন্যেরা পালায় তখন বাকি দেশ জানতে পারে। গত দশদিনের মধ্যে মাওবাদী এনকাউন্টারের নামে একরাতে যে বেশ কিছু মহিলা ও শিশু মারা যায় তাতে রমণ সিং সরকার বেশ অস্বস্তিতে পড়ে তদন্ত ও প্রতি নিহতের পরিবারে দু'লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা বলছে।
    ৭-২ঃ
    গত বছর কিডন্যাপড- কলেক্টরদের ছেড়ে দেবার সময় ডঃ ব্রহ্মদত্ত ও আই এ এস নির্মলা বুচের মধ্যস্থতায় যে এগ্রিমেন্ট হয় তাতে বিনাবিচারে একবছরের বেশি বন্দী ১০০০ আদিবাসীদের কেস গুদ্রুত রিভিউ করে নির্দোষদের ছেড়ে দেবার কথা হয়েছিল। ডকুমেন্ট তৈরি হয়েছিল।
    তারপর বর্তমান সরকার কিস্যু করল না। জাস্ট ঠান্ডা ঘরে পাঠিয়ে দিল।
    ৭-৩ঃ
    যাঁরা গণতন্ত্র ও সংবিধানের কথা বলছেন তাঁরা একবার সোনী সোরি ও হিমাংশুকুমারের কথা মনে করুন।
    হিমাংশুকুমার মাওবাদী ন'ন, ওদের সমর্থকও ন'ন। বরং গান্ধীবাদী পদ্ধতিতে বনবাসী কল্যাণ আশ্রম চালিয়ে ইউনিসেফ ও সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রোজেক্টে যুক্ত ছিলেন। ওঁকে মাওবাদীরাও কিডন্যাপ করেছিল। এ পর্য্যন্ত সবই ঠিক চলছিল। কিন্তু যেই উনি সলওয়া জুড়ুমের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করলেন তখন ওঁর ১৭ বছরের পুরনো আশ্রম সরকারী তন্ত্রের আদেশে মাটিতে মিশিয়ে দেয়া হল, ওঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা হল। বস্তার থেকে পালাতে বাধ্য করা হল। সেই হাল ডক্টর বিনায়ক সেনেরও।
    সোনী সোরি নিয়ে এই মায়া পাতায় অনেক তথ্য আগেই দেয়া হয়েছে। সংক্ষেপে, ওঁর জননাঙ্গে পাথরকুচি ভরে হাতে পায়ে শেকল বেঁধে যে বীরপুরুষ টর্চার করল ( এগুলি সরকারি মেডিক্যাল রিপোর্টে প্রমাণিত) তাকে রাষ্ট্রপতি পদক দেয়া হল। আদালত কিছুই করতে পারল না।
    ৮) আমরা হিংসার বিরুদ্ধে গনতন্ত্রের পক্ষে।
    কিন্তু আমরা সাদ্দামের অত্যাচার, বিন লাদেনের আমেরিকায় হামলা ইত্যাদি নিয়ে যতটা নিন্দে করি ততটা ইরাকে মিথ্যে কথা বলে একতরফা যুদ্ধ ঘোষণা করে প্রচুর সিভিলিয়ানকে মারা, সাদ্দামকে ইঁদুরমারা করা বা দিনের পর দিন তালিবান নিধনের নামে ড্রোন হামলা করে হাসপাতাল স্কুল গুঁড়িয়ে দেয়া আমেরিকান রাশ্ট্রশক্তিকে করি না।
    কারণ আমরা একপক্ষকে ipso facto বর্বর ও অন্য পক্ষকে সভ্য মনে করি। সহজে সাদ্দাম-আফগানদের সঙ্গে নিজেদের রিলেট করি না, কম্ফর্টেবল মনে করি না। অথচ, আমেরিকার সংস্কৃতির সঙ্গে affinity অনুভব করি। এটাই সত্যি।
    এটাই ভারতের রাষ্ট্রশক্তি ও আদিবাসী মাওবাদীদের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী, এটাই স্বাভাবিক। ক্ষমতা ও ক্ষমতাহীনের হিংসাকে আমরা এভাবেই দেখব, কারণ সহজে ক্ষমতার সাথে থাকতেই কমফর্টেবল বোধ করি যে!
    তাই মাও দের হাতে নিহত আদিবাসীদের তুলনায় রাশ্ট্রশক্তির হাতে নিহত আদিবাসীর সংখ্যা যে কতগুণ বেশি তা দেখার চেষ্টা করি না।
  • aranya | 78.38.243.161 | ২৭ মে ২০১৩ ০৫:০২611555
  • 'কজন আদিবাসী মরল তাতে রাষ্ট্রের কিছুই আসে যায়না' -
    'কজন আদিবাসী মরল তাতে মাওবাদীদের কিছু আসে যায় কি?
    মাওবাদীদের পলিটব্যুরোয় কজন আদিবাসী আছেন?
  • aranya | 78.38.243.161 | ২৭ মে ২০১৩ ০৫:০৫611566
  • 'মাও দের হাতে নিহত আদিবাসীদের তুলনায় রাশ্ট্রশক্তির হাতে নিহত আদিবাসীর সংখ্যা যে কতগুণ বেশি ..'

    - মাওরা না থাকলে রাষ্ট্র এর চেয়ে অনেক কম আদিবাসী মারত বলে আমার মনে হয়।
  • aranya | 78.38.243.161 | ২৭ মে ২০১৩ ০৫:১৬611588
  • অক্ষ-র একটা পয়েন্ট আমি মানি, লিখেওছি আগে, মাওবাদীরা না থাকলে ছত্তিশগড়, অবুঝমারের জঙ্গল, পাহাড় এতদিনে সব বিভিন্ন কম্পানির হাতে চলে যায়, জঙ্গল ধ্বংস হয়, আদিবাসীরা উৎখাত হয়। মাওবাদীরা থাকায় সেটা হতে পারছে না।
    ওখানে ব্যাপকহারে মাইনিং শুরু হলে আদিবাসীরা তাদের মূল বাসভূমি থেকে উচ্ছেদ হয়ে শহরের বস্তিতে যাবে, মাইনিং কোম্পানির খনি শ্রমিক হবে, অন্তত প্রাণে বাঁচবে।
    এখনও, সালোয়া জুড়ুম শুরু হওয়ার পর, বহু আদিবাসী গ্রাম থেকে বিতাড়িত হয় ক্যাম্পে রয়েছে, সাব-হিউম্যান জীবন যাপন এখনও করছে, তার ওপর পুলিশের অত্যাচার, প্রাণ হারানো - পুলিশের হাতে, কখনও মাওবাদীদেরও হাতে।
    মাওয়িস্ট-দের মধ্যে অনেক আদর্শবাদী মানুষ আছেন, প্রচুর স্বার্থত্যাগ করছেন, জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন। সেদিক থেকে তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। কিন্তু বহু বছর ধরে চলে আসা এই আন্দোলন যাদের জন্য, সেই আদিবাসীদের কতটা উপকার এতে হচ্ছে, তা নিয়ে সন্দেহ হয়।
  • lcm | 34.4.162.218 | ২৭ মে ২০১৩ ০৫:১৬611577
  • "...আদিবাসীরা কেন এখনও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি তার একটা কারণ মাওবাদীরা..." --
    খাইসে! আমিতো উল্টোটাও শুনেসি - যে মাওবাদীদের জন্যেই একসময় আদিবাসীরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
  • aranya | 78.38.243.161 | ২৭ মে ২০১৩ ০৫:২১611600
  • 'আর আদিবাসীদের কেউ কেউ নিজের ইচ্ছেয় স্টেট স্পনসর্ড সলমা জুডুমে যোগ দিয়েছেন, কেউ কেউ মাওবাদী হয়েছেন, কেউ কেউ মাঝখানে পড়েছেন।'
    - এটা পুরোপুরি ঠিক নয় বলে আমার ধারণা। সালোয়া জুড়ুমে যোগ দেওয়ানো হয় অনেক ক্ষেত্রেই জোর করে, প্রলোভন দেখিয়ে। মাওবাদীরাও জোর করে, তাদের সাথে যোগ দেওয়ার জন্য।
  • SC | 34.3.20.47 | ২৭ মে ২০১৩ ০৭:০০611611
  • আদিবাসীদের উন্নতি হচ্ছে যে তারা exist করছে। মাওবাদীরা না থাকলে করত না।
    মাওবাদীদের সাথে আমার অনেক বিষয়ে মতপার্থক্য আছে। সে সব আগেও অনেক আলোচনা হয়েছে।
    এই মাওবাদীরাই ক্ষমতায় এলে কিন্তু মুখগুলো অন্যরকম হয়ে যেতে পারে। মাওবাদীরা নিজেরা আদিবাসীদের জন্য কি করছেন, সেই নিয়ে প্রশ্ন আছে,
    বছর খানেক আগে নির্মলাংশু র লেখায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি ছিল।

    কিন্তু অনেক দিন এই নিয়ে conflicted থেকে আমার মনে হয়েছে ছত্তিসগড়ে মাওবাদীরা যা করছে, সেটা ছাড়া আর অন্য কিছু করা সম্ভব ছিল না।
    সমস্ত ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট কে স্টেট বন্দুক দিয়ে থামিয়ে দিয়েছে। হিমাংশু কুমারের মত গান্ধীবাদী আন্দোলনকারী কে মেরে তাড়িয়ে দেওয়া হযেছে, এর পরে আর কি করা সম্ভব? হিমাংশু আর মাওবাদীদের মধ্যে চয়েস থাকলে আমি হিমাংশুর পক্ষে থাকতাম। কিন্তু এখানে তো আর কোনো চয়েস নেই।

    repurcussion হবেই, সন্দেহ নেই। চিন্দাম্বারাম তো নখ দাঁত বের করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু তাও, না বলতে চেয়েও একবার স্বগতোক্তির মত করে বলতে হলো, ভালো হয়েছে। একটা শিক্ষা পেল কিছু লোক, আর মাওবাদীদের ভয়ে অন্তত কং বিজেপি র নেতারা দালালি করার আগে দুবার ভাবতে পারে।
    কস্ট বেনিফিট analysis টা একটু পাল্টালো। মৃত্যু সততই dukkher , এরকম বলতে ইচ্ছে করছে না, হয়ত বলা ঠিকও নয়।

    রাজনৈতিক জায়গা থেকে, কংগ্রেস এর টপ ব্রাস তো পুরো শেষ। ওরা মাথা তুলে দাঁড়াতে কি আরো কয়েক বছর? রঞ্জনদা ভালো বলতে পারবেন।

    আর শুনলাম নাকি রাহুল গান্ধী রায়পুর গেছেন। তাও ভালো, দেশের ওপ্রান্তে যে মানুষ থাকে, যুবরাজের জেনারেল নলেজ বাড়বে, এ বিষয়ে। ছত্তিসগড়ে ডেমোক্রেসির যে নজির কং বিজেপি দেখিয়েছে এতদিন, তার পরে আর ডেমোক্রেসি র উপরে এটাক ইত্যাদি কথা আর তাদের মুখে মানায় না।
  • কৃশানু | 177.124.70.1 | ২৭ মে ২০১৩ ১০:১৫611622
  • এসসি-কেও ক দিয়ে গেলাম।
    গর্মেন্ট 'কত ভালো, কালো মানুষের ছুরিটা কালোরই তলপেটে চমকালো।'
    - এটা কিন্তু এই মৃত্যু নিয়ে বলছি না। সালোয়া জুডুম নিয়ে বলছি।
  • khilli | 131.241.218.132 | ২৭ মে ২০১৩ ১২:৩৫611633
  • রাষ্ট্র ও যুদ্ধ করবে সব নখ দাঁত বের করেই। মাও রা তো প্রথম থেকে যুদ্ধ ঘোষণা করেই রেখেছে। রাষ্ট্র আর হবু রাষ্ট্রর যুদ্ধ । মরবে উলুখাগড়া জনতা
  • Rivu | 78.232.127.201 | ২৭ মে ২০১৩ ১৪:২৫611644
  • সিঙ্গুরে যে আন্দোলন হলো, তাতে আর যাই হোক, মানুষ খুন হয়নি। আদিবাসীদের নিয়ে এই ধরনের আন্দোলনের স্পেস টা তৈরি করা যাচ্ছেনা কেন? আর এই মাওবাদী মিলিশিয়া গুলি কি কোনো পার্লামেন্টারী স্পেসে আসতে রাজি? তা না হলে আমি তো এই প্রবলেমের ফাইনাল কোনো সলুসন দেখতে পাচ্ছিনা। মাওবাদীরা যদি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, রাষ্ট্র ও তো যুদ্ধই করবে, নাকি?
  • Sayon Ghosh | 125.240.90.51 | ২৭ মে ২০১৩ ১৭:১০611655
  • মহেন্দ্র কার্মা মারা গেছেন, যাদের সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছিলেন তাদের হাতেই মারা গেছেন, এতে আশ্চর্‍্য্যের কিছু নেই, কোন এক পক্ষ তো সাময়িক ভাবে এগিয়ে থাকবেই। যে মাওবাদীরা মহেন্দ্রের মৃত্যুর পর পৈশাচিক উল্লাসে মেয়ে উঠেছিল ঠিক একইভাবে চে গুয়েভারাকে হত্যার পর বলিভিয়ার স্পেশাল ফোর্স মেতে উঠেছিল উল্লাসে, আবার অত দূরে যারার দরকার নেই হাতের কাছেই কিষানজী আছেন উদাহারন হিষাবে। কিন্তু আমি বড় ধাঁধাঁয় আছি, যেসব নাগরিক মহেন্দ্র কার্মার মৃত্যুতে লাফাচ্ছেন বা জয়ধ্বনি দিচ্ছেন বা নিদেনপক্ষে মানষিক শান্তি পাচ্ছেন তাদের কারনগুলো কি কি?

    আমি ব্যাক্তিগত ভাবে এটাও বুঝতে পারছি না যে যখন বিভিন্ন নক্সাল সহানূভুতিশীল মানুষ এমনকি মাওবাদীরাও বিভিন্ন সময়ে বলেছেন যে সালোয়া-জুডুম মাওবাদী আন্দোলনকে বস্তারে গতি দিয়েছে সেক্ষেত্রে ইনি বেঁচে থাকলেই তো তেনাদের লাভ। খামোখা এনাকে মারার দরকার কি ছিল? ব্যাক্তিটি একটি নিজে প্রান্তিক আদিবাসী হয়েও দমন-নীপিড়নকারী সামন্ত্রতন্ত্র এবং ধনতন্ত্রের প্রতিভূ ছিলেন, বেঁচে থাকতেই তো অনেক লাভ ছিল, যাজ্ঞে।

    এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে সালোয়া-জুডুম নিঃসন্দেহে একটি অসাংবিধানিক পদক্ষেপ, রাস্ট্র কোন পরিস্থিতিতেই সাধারন মানুষের হাতে অস্ত্র তুলে দিতে পারে না, এবং তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ায় যে সব অপরাধ সংগঠিত হয়েছে তার দায় তো আছেই। ভিতর বা বাইরে থেকে গনতন্ত্রের প্রতি হামলা হতেই পারে কিন্তু তার জন্য প্রশিক্ষিত বাহিনী আছে, যাদের আইনি, নৈতিক ও সাংবিধানিক দায়িত্ব আছে।কিন্তু সালোয়া-জুডুম একটা বিশাল পদক্ষেপ, একটা বড় রাস্তা খুলে দিয়ে গেছে। মাওবাদীদের দমন করার অন্যতম একটা পথ যে সেখানকার ভূমিপুত্রদের ব্যাবহার এই রাস্তা মহেন্দ্র কার্মা দেখিয়ে গেছেন। সেটা কতটা প্রাসঙ্গিক - সেইজন্যই আজো সিআরপিএফ/বিএসেফ এর বদলে মাওবাদিদের পয়লা নম্বর শত্রু কোয়া কমান্ডোরা।

    আমি মনে করি এমনটা ভাবা স্রেফ বাতুলতা স্থানীয় ভূমিপুত্রেরা পয়সার লোভে সরকারী দালাল বনেছেন, অজস্র যুবক যারা সরকারী অস্ত্র তুলেছেন কেন তুলেছেন সেটাও ভাবা দরকার, আর সেখানেই মহেন্দ্র কার্মা ঘৃনিত কারন তিনিই এই মাওবাদী অত্যাচারের বিদুদ্ধে এই অখুশী মানুষগুলোর মুখ ছিলেন হয়ত। অনেক না পসন্দের কথা বলে লাভ নেই তবে জল-জঙ্গল-সম্পদের অধিকার নিয়ে সাধারন আদিবাসীদের যে লড়াই তাতে মাওবাদীদের সমর্থন কোন ভাবেই তাদের সাথে রাস্ট্রিক দমন বা রাস্ট্রিক অধিকার খর্বের চরিত্রগত মিলকে বিপ্লবের নামে আর যাই হোক গ্লোরিফাই করা চলে না।

    মহেন্দ্র কার্মা চলে যাওয়ায় এক শ্রেনী খুশী, এক শ্রেনী শোকাতুর আবার একইভাবে কিষেনজীর সময়ে চিত্রটা উলটো ছিল, যুদ্ধ চলছে এসব তো হবেই, কিন্তু উলুখাগড়ারা কবে মুক্তি পাবেন বা কচুকাটা হোয়া থেকে বাচবেন সেটা সময়ের অপেক্ষা।
  • PT | 213.110.243.23 | ২৭ মে ২০১৩ ২০:১৭611661
  • মমতাকে ক্ষমতায় বসানোর প্রচেষ্টায় নিজেদের যে রাজনৈতিক সর্বনাশ করেছিল মাওবাদীরা (কিষেণজীর মৃত্যু সহ)-রাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত মহেন্দ্র কার্মা ও অন্যান্যদের হত্যা করে মাওবাদীরা কি নিজেদের রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরেয়ে আনার চেষ্টা করল?
  • pi | 34.164.19.36 | ২৭ মে ২০১৩ ২১:৩৫611662
  • কাউণ্টার কারেন্টসে হিমাংশু কুমারের লেখার কাউণ্টার ঃ
    http://www.countercurrents.org/samar260513.htm
  • pinaki | 148.227.189.9 | ২৭ মে ২০১৩ ২২:০২611663
  • প্রসঙ্গতঃ হিমাংশু কুমারের ব্যাপার স্যাপার আমার মাঝেমাঝেই বেশ অদ্ভুত লাগে। নিজের জমি থেকে পালিয়ে গিয়ে সারা ভারতে প্রচার করে হবেটা কী? মানে নিশ্চই তারও একটা পরোক্ষ ভূমিকা আছে। কিন্তু সে প্রায় আমাদের এই ইন্টারনেটে বক্কাবজির যা ভূমিকা তার ইকুইভ্যালেন্ট। যেখানে অত্যাচার হচ্ছে সেই জমিতে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ/প্রতিরোধ করা এক জিনিস, আর সেখান থেকে নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে সেসব করা সম্পূর্ণ অন্য জিনিস। সেটা কেউ করতেই পারেন, তাঁর পার্সোনাল চয়েস। কিন্তু সেক্ষেত্রে তাঁর কথাবার্তারও ততটুকুই মূল্য যতটুকু আমাদের এই গুচর পাতায় বিশ্লেষণের। বড়জোর কিছু পয়েন বেশী পাবেন একসময় ঐ এলাকায় ছিলেন বলে। যেমন আমাদের মধ্যে একটু বেশী পয়েন পাবেন রঞ্জনদা। সেইরকম। ঃ-)

    আর এই বিশেষ ইস্যুটায় ওনার ইন্টারভিউতে ঐ 'মোর্নিং' এর টোন সত্যি খুব বিরক্তিকর লেগেছে।
  • anirban basu | 214.28.113.200 | ২৭ মে ২০১৩ ২২:৫২611664
  • একটু প্রসঙ্গান্তরে গিয়ে বলছি কিন্তু পিনাকীদা, চুড়ান্ত মতবিরোধ হলে তথাকথিত fraternal সংগঠনগুলি যে এই ট্রিটমেন্ট পাবে না তার কী গ্যারান্টী?
  • pinaki | 148.227.189.9 | ২৭ মে ২০১৩ ২৩:৫২611666
  • পায় তো। সন্তোষ রাণাদের লোকই পেয়েছে। 'যুদ্ধ' ব্যাপারটা খুবই গোলমেলে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে সমস্ত কিছুই জাস্টিফায়েড হতে লাগে।
  • Ishan | 60.82.180.165 | ২৮ মে ২০১৩ ০০:৪০611667
  • ধুর। সরকারের কোনো ইচ্ছে নেই কোনোরকম নেগোশিয়েট করার। ছলে বলে মাওবাদীদের উড়িয়ে দেওয়াটাই লক্ষ্য।

    আর মাওবাদীদেরও কোনো ইচ্ছে নেই, একটা সরকারকে একটা যথেষ্ট ভায়াবল অপশন দেবার। মানে, "সংসদ একটি শুয়োরের খোঁয়াড়" এটা তো একটা নির্বাচিত সরকার মেনে নিতে পারেনা। মাওবাদীদের কিছু দাবীদাওয়া স্পেল আউট করতে হবে। সেরকম কিছু আমি এখনও পাইনি।

    ফলে এই যা হবার তা চলবে। কোনো এক পক্ষ যখন পিছু হটবে তখন অন্যজন তার উপর শর্ত চাপিয়ে একটা "চুক্তি" করে ফেলবে। কিছুদিন আগে পর্যন্ত মনে হচ্ছিল মাওবাদীরা বেশ সুবিধেজনক জায়গায় আছে। এখন মনে হচ্ছে সরকারের দিকেই খেলা ঘুরছে। তবে সবই হাওয়ায় বলা। আসলে কোথায় কী হচ্ছে সে কে জানে।
  • a x | 86.31.217.192 | ২৮ মে ২০১৩ ০৩:৫৮611668
  • হিমাংশু কুমারকে আমিও ঠিক বিশ্বাস করিনা। খুব কন্ট্রাডিকটরি কাজ কর্ম।
  • Anirban Maity | 126.193.135.133 | ২৮ মে ২০১৩ ০৭:৪৩611669
  • দলীয় অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে নকশাল আক্রমনে নিহত হলেন কংগ্রেস নেতা মহেন্দ্র কর্মা, সাথে সাথে কংগ্রেস সভানেত্রী তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন “এই আক্রমন আসলে গনতন্ত্রের ওপর আক্রমন” ভারতের সর্ববৃহৎ গনতান্ত্রিক বামদল সিপিআই এম প্রেস বিবৃতি দিয়ে এই আক্রমন কে বর্বরোচিত বলে নিন্দা করেই ক্ষান্ত থাকে নি, উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি ঘোষণা করার দাবী জানিয়েছে, এবং মহেন্দ্র কর্মার পরিবার এর প্রতি নিবিড় শোক জানিয়েছে। আর বাকিদের কথা তুলে লাভ নেই কারন গনতন্ত্র রক্ষার্থে ভাজপা থেকে শুরু করে মাকপা, মায়াবতী থেকে শুরু করে মুলায়ম, করুনানিধি থেকে শুরু করে জয়ললিতা, এরা সব্বাই এককাট্টা, তাই এক ই কথার পুনরাবৃত্তি না করে বলা যায় মোটামুটি মাকপার টা পড়লেই বাকিদের মতামত জানা হয়ে যায়, কারন ইস্যু টা গনতন্ত্র। বরং আমরা মহান ভারতীয় গনতন্ত্রের স্বাস্থ্যের খোজ নিয়ে দেখি চলুন, তা গনতন্ত্রের খবর নিতে গেলে আমাদের জানতেই হবে মহেন্দ্র কর্মার কথা, কারন তার ওপর আক্রমন মানেই কিন্তু গনতন্ত্রের ওপর আক্রমন, অর্থাৎ বকলমে তিনিই গনতন্ত্র, এরপর বাকি লেখাটা আমি আর মহেন্দ্র কর্মার নাম উচ্চারন না করে গনতন্ত্র বলেই বলব, পাঠক নিজগুনে পার্থক্য করে নেবেন, কারন আমার কাছে এই দুই নামের বিশেষ প্রভেদ নাই ...
    আমাদের গনতন্ত্রের রাজনৈতিক জীবন শুরু কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়ার হাত ধরে, ১৯৮০ সালে একটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়ার টিকিট এ , এরপর গনতন্ত্র কমিউনিস্ট পার্টির সান্নিধ্য ত্যাগ করে কংগ্রেস এ দিকে ভিড়ে যায়... এরপর আর পিছনে ফিরতে হয়নি, শুধুই আগ্রাসন , ইতিমধ্যে বাস্তার অঞ্চলে নকশালি কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেলে গনতন্ত্র তাদের বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়ায়, শুরু হয় জনজাগরন অভিযান, যদিও তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি , ২০০৫ সালে তৈরি হয় “সালোয়া জুদুম” এটি একটি গণ্ডি শব্দ, যার মানে শান্তি মিছিল, তা গনতন্ত্রে শান্তি মিছিল তো থাকবেই তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই, তা এই শান্তি মিছিল বাহিনীর কাজ কি ছিল ? এদের মুল কাজ ছিল জঙ্গলমহলে বেড়ে চলা নকশালদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভিযান, ভাবুন একবার গনতন্ত্রের নেতৃত্বে রাষ্ট্রের ঠ্যাঙ্গারে বাহিনী, যদিও বহুল পরিমানে সেনা বাহিনী বর্তমান, তবু এই ঠ্যাঙ্গারে কেন দরকার ? সে আলোচনায় পরে আসছি, সালোয়া জুদুম এর নৃশংসতা সর্বজনবিদিত , মাওবাদী নামে শিশুর আঙ্গুল কেটে নেওয়া থেকে শুরু করে, আদিবাসি রমণীকে ধর্ষণ করে, নলি কেটে, গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া, গ্রাম কে গ্রাম মাওবাদী আখ্যা দিয়ে পুরুষ শুন্য করে নারীদের ওপর অত্যাচার, বলাৎকার ইত্যাদি, শিশু মানে ভবিষ্যতের মাওবাদীরাও যে বাদ যেত না সে কথা বলাই বাহুল্য, এমন কি জীবন্ত পুড়িয়ে মারার নজিরও আছে , যদিও সে খবর বড় একটা কানে আসে না ,কেন আসে না ? এবং রাষ্ট্রের ঠ্যাঙ্গারে বাহিনীর দরকার কেন পড়ে? দুই প্রশ্নের উত্তর একটি ঘটনার মাধ্যমে দেওয়ার চেষ্টা করছি। সম্প্রতি তেহেলকা ডট কম এ জি টিভি র বিজাপুর এর স্থানীও করেস্পন্ডেন্ট কে সন্তোষ এর একটি লেখা পড়ছিলাম, সেখানে সন্তোষ ২০১২ সালের ২৯ এ জুন বাস্তার এ ঘটে যাওয়া সিআরপিএফ এর অন্যতম বড় এনকাউন্টার এর বর্ণনা এবং তার সাথে জড়িয়ে পরার অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন, সেদিন ভোর ৪ টায় তাকে পুলিশ প্রায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় ঘটনাস্থলে, সন্তোষ প্রথমে একটু সন্দিগ্ধই ছিলেন , কারন এই ধরনের ঘটনা সচরাচর পুলিশ প্রচার করতে চায় না, ঘটনা স্থলে গিয়ে ওখানকার মানুষ এর সঙ্গে এবং সিআরপিএফ কর্মীদের সাথে কথা বলে সন্তোষ জানতে পারেন যারা মারা গেছেন তারা সাধারন গ্রামবাসী, এবং সংখ্যাটা ১৭ , এরপর পুলিশ এর আসল রূপ বেড়িয়ে পরে, উপরমহল এর চাপে সংবাদপত্রে খবর ছাপানো হয়, এই ১৭ জন ই দুর্ধর্ষ মাওবাদী, মাওবাদী নেতা পাপারাও আর রামান্নার সঙ্গী, এই খবর ছাপার পরে গ্রামের মানুষের কি প্রতিক্রিয়া তা জানা যাবে না আর কোনদিন...কিন্তু আমাদের কি প্রতিক্রিয়া হয়েছিলো সেটা আমরা জানি, দক্ষিন পন্থী থেকে গনতান্ত্রিক বামেরা সবাই উল্লসিত ছিল রাষ্ট্রের এ হেন সাফল্যে,সেই যুদ্ধে মাওবাদীরা হারে নি, ভারত রাষ্ট্র হারে নি, হেরেছিল বাস্তার এর গরিব আদিবাসী, পুলিশ, সেনা, খবরের কাগজ, টিভি , গনতন্ত্র এদের সবার সাথে লড়াই বাস্তার এর ? আর এ লড়াই যুগযুগ ধরে চলছে, পুলিশ এর হাতে গ্রামের মানুষের মৃত্যু হলে ফলাফল জনরোষ, তাই দরকার ঠ্যাঙ্গারে বাহিনী যারা রাষ্ট্রের পক্ষে এই কাজ সম্পন্ন করবে , তাই মহামান্য আদালত এর চোখে মাওবাদ এবং সালোয়া জুদুম দুই দল ই নিষিদ্ধ হলেও মাওবাদীরা রাষ্ট্রের শিকার, আর সালোয়া জুদুম এর কর্ণধার পান জেড প্লাস নিরাপত্তা । কেন এই বৈষম্য ? এবার প্রশ্ন উঠবেই ,মাওবাদ ও সালোয়া জুদুম এই দুই দল কার কার প্রতিনিধিত্ত্ব করছে ? কেন ভারতরাষ্ট্র সালোয়া জুদুম এর কর্ণধার কে রক্ষা করতে চায় আর মাওবাদ কে হত্যা ?
    যাক এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে না সে আমরা জানি, গনতন্ত্রে সব প্রশ্নের উত্তর থাকে না, একজন নির্ভেজাল গনতান্ত্রিক হিসেবে গনতন্ত্রের মৃত্যুতে আমিও যে শঙ্কিত সে কথা না বললেও চলে, তবু ভিতরে নানা অবাধ্যতা কাজ করে, প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে, করে ফেলি, তবু মহান গনতন্ত্র আপনি চিন্তা করবেন না, এ প্রশ্ন সময়ের সাথে মিলিয়ে যাবে, আমরা আবার বাস্তার এর আদিবাসীদের কথা ভুলে ভোট এর লাইন দাঁড়াব......গনতন্ত্র বেঁচে থাকবেই
  • a x | 86.31.217.192 | ২৮ মে ২০১৩ ০৮:১৩611670
  • সালওয়া জুডুমের মানে পিউরিফিকেশন হান্ট। পিস মার্চ - এটা সরকারের প্রচার।

    উইকির সব কথা বিশ্বাস করতে নেই।
  • anirban basu | 214.28.113.200 | ২৮ মে ২০১৩ ০৯:০৭611672
  • পিনাকীদা, সন্তোষ রাণাদের ব্যাপারটা একটু বিশদে বলবে?
  • a x | 86.31.217.192 | ২৮ মে ২০১৩ ০৯:৩২611673
  • অরণ্যকে - তিনদশকের বেশি সময়কাল ধরে নন-ভায়োলেন্ট, শান্তিপূর্ণ নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন হল। আদিবাসীরা সব সুখে আছেন? ভেসে যাওয়া ছাড়া কি পেয়েছেন তাঁরা?
  • aranya | 78.38.243.161 | ২৮ মে ২০১৩ ০৯:৫৬611674
  • সুদীপের লেখাটা পড়্লাম, অক্ষ-র লিঙ্ক থেকে। ভাল লেখা।

    অহিংস আন্দোলনে মানুষ খুন হয় কম, দৈহিক অত্যাচার-ও কিছুটা কম হয়। মানে রাষ্ট্র একটু কম অত্যাচার করে। এইটুকুই।
  • aranya | 78.38.243.161 | ২৮ মে ২০১৩ ০৯:৫৯611675
  • সালোয়া জুড়ুমের লোকেদের ভয়াবহ অত্যাচার, পুলিশের অত্যাচার - ছত্তিশগড়ে নকশালরা না থাকলে এত অত্যাচার হত না বলেই মনে হয়।
  • a x | 86.31.217.192 | ২৮ মে ২০১৩ ১০:২০611677
  • হ্যাঁ অদৃশ্য মানুষদের অত্যাচার হবে কী করে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে প্রতিক্রিয়া দিন