এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মাওবাদী হামলা ও মহেন্দ্র কর্মা

    Ishan
    অন্যান্য | ২৬ মে ২০১৩ | ১৭১৩৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 172.129.44.120 | ২৯ মে ২০১৩ ২৩:০৭611291
  • 'Just a week before the Maoist attack on the Congress convoy, 8
    adivasis including 3 children aged 10-15, were shot dead by CRPF while
    celebrating a seed sowing festival. In June last year, 17 people were
    killed in another CRPF firing on an adivasi festival. The security
    officers were not booked for murder, and the SC/ST Act was not invoked.' লিবারেশনের স্টেটমেন্টে পড়লাম। স্টেটমেন্টটাতে সোনিয়া গান্ধী কথিত 'গণতন্ত্রের' উপর আঘাত নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। প্রশ্নগুলো ঠিকঠাক লাগলো।
  • pi | 172.129.44.120 | ২৯ মে ২০১৩ ২৩:২৬611292
  • পিনাকীদার পুরানো একটা পোস্ট নিয়ে অল্প বক্তব্য ছিল। ঐ হিমাংশু কুমারের কাজকর্ম আমাদের নেটের 'বক্কাবাজি' র সমতুল্য , সেই পোস্টটা নিয়ে। এক্ষেত্রে হিমাংশু কুমারের লেখাটা আমার খুব আপত্তিজনক লেগেছে, ওঁর সব কাজ বা কথাও সমর্থন করি, এমন নয়, কিন্তু তাহলেও, ছত্তিশগড়ে থাকতে পারছেন না বলেই কি ওঁর কার্যকলাপ আমাদের মতনই হয়ে গেল ? যেখান থেকে যেটুকু যা করতে পারা যায়, বা চেষ্টা করা হয়, সেটা তো করা। তুমিই অন্য পোস্টে লিখেছো, প্রচুর আদিবাসীকে যদি মিছিল করিয়ে আনানো যায়, যেখানে অডিয়েন্স আছে, সেটা একটা কাজের কাজ। উনি বা ওঁর মত কেউ কেউ তেমনি যেখানে অডিয়েন্স আছে, সেখানে কিছু করার চেষ্টা করছেন ( যা বলছেন বা করছেন, তার সাথে মতের অমিল থাকতেই পারে, সেনিয়ে বলছিনা)। সেক্ষেত্রে সেটা অকাজ, বক্কাবাজি হবে কেন ?

    আর বক্কাবাজির কথাই যদি বলো, তারও তো কিছুটা উপযোগিতা আছে। তুমি প্ল্যান করে করার কথা বলছিলে। শুধুই বক্কাবাজি হলে সেটা হয়তো সেভাবে কিছু মানে রাখে না, কিন্তু পার্ট অব দ্য প্ল্যান তো হতেই পারে। সেভাবে দেখলে , মিডিয়াও তো বক্কাবাজিই। সেভাবে দেখতে গেলে শুধু একটা মিছিল করে বা করিয়েই বা কী হয়, এই প্রশ্নও কেউ তুলতে পারে। মানে, শুধু কোনোকিছু, পরিকল্পনাহীন ভাবে হলে কোনোকিছুই তেমন কোন মানে রাখেনা। আবার কোন পরিকল্পনার অংশ হলে, বা কোন পরিস্থিতিতে ওটুকুই করা সম্ভব হলে, সেটা করার কিছু একটা গুরুত্ব থাকে।
  • ranjan roy | 24.96.64.150 | ২৯ মে ২০১৩ ২৩:৪০611293
  • পিএম,
    অবশ্যই স্ববিরোধিতা দেখতে পাইনা।
    বৃটিশ রাজের বিরোধিতা করে স্বাধীনতা সংগ্রামীরা যখন জেলে মানবিক ব্যবহার বা জেল কোডের হিসেবে খাবার ও চিকিৎসার দাবীতে লড়াই করেন তা বৃটিশের তৈরি কানুন মেনেই।
    তোমাকে পালটা প্রশ্নঃ
    ১)শরৎচন্দ্র বসু, সি আর দাশ বা মতিলাল নেহরুরা যখন সন্ত্রাসবাদী বিপ্লবীদের ডিফেন্ড করতে আদালতে কেস লড়তেন সেটা কোন আইনে? বৃটিশের তৈরি আইন নাকি অন্য কারো তৈরি আইন? বা নিজেদের তৈরি কোন আইন?
    ২) শত্রুদের হাতে ধরা পড়লেই মৃত্যু , এটা খুব সরলীকৃত--এটা সত্যি শুধু যুদ্ধক্ষেত্রে। বন্দী করে শাসন ব্যব্স্থায় আনা হলেই কাউকে আর আইন অনুমোদিত পদ্ধতি ছাড়া, বা প্রপার বিচার না করে প্রাণ নেওয়া যায় না।
    তাই কাসভের বিচার ( যদিও কিছু লোক ওর চিকিৎসা-থাকাখাওয়া-সুরক্ষার পেছনে কোটি টাকা খরচা না করে চটপট ফাঁসিতে ঝোলানোর জন্যে সওয়াল করেছিল,), তাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অতগুলো নাৎসী ও ফ্যাসিস্তদের শিবিরে আটকে রেখে বিচার করে তবে শাস্তি।
    ৩)
    সর্বাত্মক লড়াইয়ের দুটো দিক। খোলাখুলি আক্রমণ(কনফ্রন্টেশন) আর লেনিন কথিত বর্তমান ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মানুষের মনে অনাস্থা চারিয়ে দেয়া(এক্সপোজ)।
    সংবিধানের সীমাবদ্ধতা ও আইনের শ্রেণীচরিত্র বোঝাতে কি আইনেরই সাহায্য নিতে হবে না? শুধু গাল পাড়লেই হবে?

    সিপিএম এর উদাহরণ এই জন্যে যে পার্লামেন্ট শুয়োরের খোঁয়াড় তত্ত্ব খারিজ না করে, সংবিধান ও রাষ্ট্রযন্ত্রের শ্রেণীচরিত্রের তত্ত্ব খারিজ না করে সেই সংবিধানের শপথ নিয়ে মন্ত্রীসভা চালানো, আইন প্রণয়ন অনেক বেশি দ্বিচারিতা ও স্ববিরোধিতার উদাহরণ।

    যাক্গে, মূল বক্তব্যে আসছি।
  • pi | 172.129.44.120 | ২৯ মে ২০১৩ ২৩:৪২611294
  • ও রঞ্জনদা, মেইল দেখবেন !
  • pinaki | 148.227.189.8 | ২৯ মে ২০১৩ ২৩:৪৫611295
  • আমি তো লিখেছি কিছু ভূমিকা অবশ্যই আছে। কিন্তু যে জমিতে দাঁড়িয়ে একটা লড়াই করছে, তার তুলনায় ওনার কথার ওজন সাধারণভাবে কম। আমি যদি নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সমর্থনে একটা লেখা লিখি গুরুতে, ফেসবুক অর্কুটে এর বিরুদ্ধে প্রচার চালাই, তার কি কোনো ভূমিকা নেই? নিশ্চই আছে। কিন্তু যে লোকটা নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে লড়ছে তার তুলনায় সেই কথা অনেক হাল্কা। কম গুরুত্বের। আমার কাছে। আর বিশেষতঃ যেখানে উনি ওখানকারই লোক ছিলেন। ওখানে ওনার একটা ভালোমতন সাপোর্ট বেস ছিল। ওনার ইন্টেলেকচুয়াল মহলে পরিচিতিও ভালৈ। এত কিছুর পরেও উনি ফিরতে ভরসা পান না। এটা আমার কাছে খুবই পলায়নবাদী লাগে। ওনার থেকে অনেক কম রিসোর্স নিয়েও লোকে মাঠের লড়াইটা মাঠেই লড়ার সাহস দেখায়। এত কিছুর পরেও ওনার পার্সোনাল প্রেফারেন্স নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। কেউ মনে করতেই পারে সে এই মুহুর্তে ঐ ঝুঁকিটা নেওয়ার জায়গায় নেই। আমরা অনেকেই তো নেই। তার জন্যে আমাদের কোনোকিছুর সমর্থনে বা বিরোধিতায় বলতে বা লিখতেও কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা হয়, যখন এই পলায়নবাদিতার পরেও তিনি আদিবাসীদের কাইন্ড অফ 'সাচ্চা প্রতিনিধি' হয়ে ওঠেন। হয়তো উনি স্বেচ্ছায় ওঠেন না। ওনাকে বানানো হয়। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে এরকম হলে আমি সেই আরোপিত প্রতিনিধিত্বটা প্রত্যাখ্যান করতাম। কারণ আমার মাথায় থাকত আমি মাঠের লড়াইটা মাঠে ফেলে পালিয়েছি। মাঠ থেকে পালাবো আবার সেরা খেলোয়াড়ের শিরোপাও নিয়ে ঘুরবো - এটা আমার কাছে ঠিক লাগে না। এগুলো সবই আমার ব্যক্তিগত মত। হয়তো যথেষ্ট ইনফর্মড ওপিনিয়ন নয়। কিন্তু যেটুকু আমি দেখেছি শুনেছি তাতে আমার এরকম মনে হয়েছে।
  • PM | 233.205.169.192 | ২৯ মে ২০১৩ ২৩:৫১611296
  • "২) শত্রুদের হাতে ধরা পড়লেই মৃত্যু , এটা খুব সরলীকৃত--এটা সত্যি শুধু যুদ্ধক্ষেত্রে। বন্দী করে শাসন ব্যব্স্থায় আনা হলেই কাউকে আর আইন অনুমোদিত পদ্ধতি ছাড়া, বা প্রপার বিচার না করে প্রাণ নেওয়া যায় না।" এটা মাওবাদীদের ক্ষেত্রে প্রযোয্য নয় কেনো? কেনো তাদের ক্ষেত্রে সভ্য যগতের আইন প্রযোয্য নয়। সেই জন্যেই তো বলছি মাওদের কাছে এটা যুদ্ধ, রাষ্ট্রকেও এটাকে যুদ্ধ হিসেবেই ট্রিট করা উচিত।

    যাই হোক আপনি লিখুন। মিনিময় পরে করা যাবে
  • pinaki | 148.227.189.8 | ৩০ মে ২০১৩ ০০:০২611297
  • রাষ্ট্রকে নিজের নাগরিকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ছাড়পত্র দেওয়া মানে এখন ৫ টা মাওবাদী মারতে গিয়ে ৫০ টা নিরীহ লোককে মারে, ছাড়পত্র পেলে ৫ টা মাওবাদী পিছু ৫০০ টা নিরীহ লোককে মারবে। দিনের শেষে ওদের তো ওপরওলাদের কিছু হেডকাউন্ট দেখাতে হয়।
  • ranjan roy | 24.96.64.150 | ৩০ মে ২০১৩ ০০:২৬611298
  • সংবিধান, গণতন্ত্র ও মাওবাদঃ
    ----------------------------
    ১) একটি বক্তব্য এখানে উঠে এসেছে যে সরকার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের স্পেস দিচ্ছে না, লেজিটিমেট আন্দোলনেও মিথ্যে অভিযোগ তুলে হামলা করছে, কেস দিচ্ছে, জেলে পুরছে। যেমন, গান্ধীবাদী হিমাংশুকুমারের ওপর আক্রমণ। যেমন মুম্বাইথেকে যাওয়া প্রেস ও সমাজকর্মীদের প্রেস কনফারেন্স ভেঙে দিয়ে ওদেরই জেলে পুরে দেয়া। যেমন বিনায়ক সেনকে রাষ্ট্রদোহী ঘোষণা করে লাইফ টার্ম দেয়া।মাওবাদী হামলার ঠিক দিন দশেক আগে সিআরপি রাত্তিরে পুকুরে পায়খানা করতে যাওয়া আটজন মেয়ে ও বাচ্চাদের গুলি করে মেরে দিয়ে এনকাউন্টারের গল্প চালিয়েছে। এটা চটপট ধরা পড়ে যাওয়ায় রমন সি ং সরকারও ধামাচাপা দিতে এনকোয়ারি ঘোষণা করে মৃতদের পরিবারকে বোধহয় দু'লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
    --এই অবস্থায় হাতিয়ার তোলা ছাড়া কি বিকল্প আছে? অর্থাৎ সিস্টেমের মধ্যে যদি গ্রিভান্স রিড্রেসাল ফোরাম না থাকে তাহলে অবদমিত উষ্মা, রাগ , ক্ষোভ প্রকাশের কোন পথ খুঁজে নেবে?

    ২) কিন্তু, যদি ওপরের এই বক্তব্যের কথার ভেতরে যাই তবে দেখব এর পেছনে প্রিসামশন হল-- বস্তারে গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা আছে বা ছিল। সাময়িক ভাবে প্রশাসন বা বর্তমান সরকারের ভুল মাইন্ডসেটের ফলে সেসব লঙ্ঘিত হচ্ছে।( যেমন সিপিআই এম নেত্যারা বর্তমান বঙ্গের ব্যাপারে অভিযোগ করছেন।)
    তাহলে কিন্তু হাতিয়ার তোলা একমাত্র বিকল্প হয় না। বরং ধৈর্য্য ধরে শিকড় গেড়ে জন আন্দোলন গড়ার পথ ভাবা উচিত।

    ৩) আমার বক্তব্য হল দক্ষিণ বস্তারের বস্তুস্থিতিটাই আলাদা। আমার কথা বিশ্বাস না করে বরং গতকালকের জি-টিভিতে আলোচনায় ওদের দুই রিপোর্টারদের অবুঝমাড় ও মাওবাদী এলাকা ভ্রমণের পর ওদের বক্তব্য শুনে নিন। ওরা চর্মচক্ষে দেখে অনুভব করল যে সভ্য ভারত জানেই না এমন প্রাগৈতিহাসিক সমাজ, উৎপাদন ব্যবস্থা ও পরিকাঠামোহীন বিস্তীর্ণ এলাকা আজও ভারতের কোথাও টিকে আছে। তাই ওদের বক্তব্য এটা আদৌ রঘুডাকাতগোছের আইন-শৃংখলাজনিত সমস্যা নয়। বরং উন্নয়নের সমস্যা।
    আমি ওদের কোট-আনকোট না করে নিজের অনুভবের কথাই বলছি। কিন্তু শব্দ আলাদা হলেও আমাদের বক্তব্য মূলতঃ এক, মিলিয়ে নেবেন।
    দক্ষিণ বস্তারে দন্তেওয়াড়ার পাহাড়ের পেছনে অবুঝমাড় এলাকায় জনগোষ্ঠির সামনে ভারত সরকারের গণতন্ত্রের কি চেহারা?
    এক শ মাইলের মধ্যে বিজলী-পানীয় জল- স্কুল-ডাকঘর-হাসপাতাল-আদালত-পুলিশের দেখা নেই। আছে বাবা আদমের জমানার কিছু হাট-বাজার। সেখানে কেনা বেচা করতে হলে সকাল থেকে পায়ে হেঁটে চলতে হবে আর রাত্তিরে ফিরতে হবে।
    অধিকাংশ লোকের কাছে জমির কোন টাইটেল ডীড বা পাট্টা নেই। পুরুষানুক্রমে চাষ করে আসছে।
    কিন্তু সামান্য চুরির দায়ে (সত্যি বা মিথ্যে) বন্দী হলেও বিনাবিচারে বছরের পর বছর আটকে থাকতে হবে। কারন একশ গাঁয়ের মধ্যে জমির পর্চি আছে শুধু একজন মালগুজারের কাছে। তাহলে ওর জামিন হবে কি করে? আর ওর কেস লড়তে হলে বাড়ির লোকজনদের কাজকর্ম ছেড়ে দু-তিন দিন লাগাতে হবে শুধু এক দিনের হিয়ারিংয়ের জন্যে, উকিলের খরচা বাদই দিলাম। কৃষি বলতে বৃষ্টিনির্ভর একফসল। অপুষ্টি স্বাভাবিক। কন্দ-মূল খাওয়া হয় কিছু মাস। সালপি নামের শাল্গাছের দিশি মদ খেয়ে শীত বা পেটের জ্বালা ভুলে থাকতে হয়। তাই ওদের কাছে ভারত রাষ্ট্রের প্রতিনিধি বলতে গাঁয়ের মোড়ল বা কোতোয়াল।
    কিন্তু হটাৎ হটাৎ ওরা টের পায় ভারত সরকার বলে কিছু আছে। রেভিনিউ সিস্টেম চালু হয়েছে কয়েক দশক, আদিবাসী জানে না। নতুন রেকর্ডে ওদের নাম নেই। শহরের ঠিকেদার, তেন্দুপাতার ফড়ে সবার নাম আছে। আদিবাসীদের দাবিতে ভূমি সংস্কারের কমিটি তৈরি হল। সেই কমিতির অঙ্গুঠাছাপ সদস্য দেখল তার বাপ-পিতেমোর জঙ্গল কেটে আবাদ করা জমিন থেকে সে উচ্ছেদ হবে , কেন সেই জমিতে তার অধিকার ভূমি রেকর্ডে নেই।
    আগে ১৯৬৮-৭০ অব্দি ছিল বস্তারের রাজবংশের শাসন। দন্তেশ্বরী দেবী ওদের কুলদেবী। দশেরা'র দিন রাজা( ভঞ্জদেওর বংশের) দরবার লাগিয়ে দশ গ্রামের মোড়লদের অভাব-অভিযোগ শুনতেন।
    ১৯৬৪তে গনতান্ত্রিক ভারতের পুলিশ জগদলপুরে মহারাজা প্রবীরচন্দ্র ভঞ্জদেওকে ওঁর প্রাসাদের বারান্দায় গুলি করে মারল, মারা পড়ল কিছু সশস্ত্র আদিবাসী।
    তারপর থেকে রাজ পরিবারের কোন ক্ষমতা নেই। আদিবাসীদের দৈনন্দিন সুবিধে -অসুবিধে শুনবে কে?
    যে গণতন্ত্রের চেহারার সঙ্গে আমরা পরিচিত তার অস্তিত্ব এত দশকের পরেও অবুঝমাড়ে কোথায় আছে? যা নেই বা যে ওদের জমি কেড়ে নেয় তার জন্যে ওদের কোন মায়ামমতা বা বিশ্বাস থাকবে কেন?
  • ranjan roy | 24.96.64.150 | ৩০ মে ২০১৩ ০০:৪৫611301
  • ৫)একটি মত হলঃ মাওবাদীদের কোন জনসমর্থন নেই। ওদের বন্দুকের ভয়ে নিরীহ আদিবাসীরা যোগ দিয়েছে। এই মতের সমর্থকদের আমি বলব দন্তেওয়াড়ায় জেলা সদরে সুপারিন্ডেন্ট অফ পুলিসের অফিসের কাছে যান। দেখবেন, কালেক্টর, এস পি ও জজের বাংলোর চারদিকে গোল গোল করে কাঁটাতারের ঘেরা। আর দেখবেন পুলিশের তরফ থেকে প্রচারিত উঁচু বিশাল এক হোর্ডিংঃ
    এটি ভাটিকালি দুভাগে বিভক্ত। আদ্দেকটায়ঃ
    কেন গেছ নক্সালদের(মাওবাদী বলা নেই) সঙ্গে? ওরা তোমাদের কী দিয়েছে? মৃত্যু, অশিক্ষা,অনাহার, আতংক?(প্রত্যেকটার সঙ্গে সুন্দর আইকন)?
    বাকি আদ্দেকটায় সরকার তোমাদের কী দিচ্ছে জেনে নাওঃ
    আহার, শিক্ষা, চিকিৎসা, রোজগার।(সঙ্গে আইকন)।
    শেষে সমান্তরাল ভাবে বড় অক্ষরেঃ
    বস্তার মা ডাকছে রে, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আয়!
    মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।
    ৬) আমার উপসংহার। বস্তারের মাওবাদীদের যা শক্তি, ছত্তিশগড়ের বিশাল সমতলে তাই ওদের দুর্বলতা। সেখানে কৃষক সমাজ আদৌ এই ব্যব্স্থার পরিবর্তনে আগ্রহী নয়। সমস্ত লুট, ভ্রষ্টাচার, ডেলিভারি সিস্টেমে সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তিনটাকা কিলো দরে পাঁচজনের পরিবার পিছু মাসে ৩৫ কিলো চাল দেয়া হচ্ছে। সেচ ও পরিবহনের উন্নতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক পরিযোজনার টাকায় চুরিটুরি করেও অজ পাড়াগাঁয়ে পাকা রাস্তা হয়েছে। সর্বশিক্ষা অভিযানের ফলে গাঁয়ে গাঁয়ে স্কুল খুলছে। মধ্য প্রদেশ থেকে আলাদা হয়ে ছত্তিশগড় হওয়ার পর বিজলী সারপ্লাস। একবাতি কনেকশনের লাভ নিয়ে ঝোপড়পট্টিতেও বিজলী বালব জ্বলছে। ধানের দু'ফসল হচ্ছে অনেক জায়গায়।
    তাই বস্তারের আদিবাসী আধারিত মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে ছত্তিশগড়ের সমতলের কৃষকের কোন
  • siki | 132.177.20.10 | ৩০ মে ২০১৩ ০০:৪৫611299
  • ***** বিষয় বহির্ভূত ******

    রঞ্জনদা যদি জেগে থাকো, একটু মেল বা ফোন দেখবে?
  • ranjan roy | 24.96.64.150 | ৩০ মে ২০১৩ ০১:০৯611302
  • সমর্থন নেই। তায় ভাষাও আলাদা। ওদের হল্বী, গোন্ডি, সাদরি উপভাষার মেলে তেলুগুর সঙ্গে খানিকটা। আর ছত্তিশগড়ী হল হিন্দির উপভাষা।
    এ'কারণেই মাওবাদীরা ওখানে মিলিটারি অ্যাকশনকে যতই উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাক এ আন্দোলন অবুঝমাড়-বিজাপুর-দন্তেওয়াড়ার বাইরে ব্যাপক সমতলে ছড়াতে পারবে না।
    কাজেই এর ভবিষ্যত নিয়ে আমার কোন আশা নেই।

    উন্নয়নের ছবিঃ মাওবাদীঃ মডেল ইত্যাদি
    ---------------------------------------
    ১)একটি মত হলঃ বস্তারের আদিবাসীরা অরণ্যের সন্তান, প্রকৃতির কোলে বড় হয়, প্রকৃতিকে মায়ের মত মনে করে।কাজেই সভ্যতার বিষ নিয়ে ওদের মধ্যে যাওয়া উচিত নয়।
    ----শুনতে বেশ রোম্যান্টিক লাগে, মানবিক মনে হয়। ভালো লাগে।
    কিন্তু এর পেছনে কি সেই " বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ের"র প্রতিধ্বনি নেই?
    অর্থাৎ আগামী বহুদশক ধরে ওরা সেই আদিম শিকারী ও সাবসিস্টেন্স এগ্রিকালচারের স্তরে থেকে যাবে। আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের বড় প্রতিষ্ঠানে পড়াবো, বিদেশ পাঠাবো। আর কখনো সখনো ট্যুরিস্ট হিসেবে ওদের ডেরায় গিয়ে বড়বড় চোখ করে ওদের দেখবো, নাচগান শুনবো,-- যেমন করে ছুটির দিনে চিড়িয়াখানায় বাঘ দেখি?

    ২)কিন্তু তাহলে কি উন্নয়নের নামে বেলাডিলার লৌহ আকর সস্তায় জাপানে পাঠাবো? টাটা- এসারের মত কোম্পানীদের বনজ-খনিজ সম্পদ লুটতে সাহায্য করব? ক্ষতিপূরণ না দিয়ে(জমির রেকর্ড নেই যে) উচ্ছেদ করব আদিবাসীদের? খেদিয়ে দেব ইন্দ্রাবতী-শংখিনী-ডংকিনী নদীগুলির ওপারে? ভয়াল অরণ্যে? আমাদের ছেলেপুলেরা কোলকাতা থেকে গিয়ে চাকরি পাবে তাই ওখানে মল-ডিস্কো- ডিপিএস স্কুল, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল খুলব? ওদের সালপি খাওয়া বা ঘরে বানানো প্রতিবন্ধিত করব যাতে সবাই মদ খেতে হলে কিং ফিশারের মালিকের তৈরি মালটাই খায়? আর কয়েক দশক বাদে মুছে যাবে একটি জনগোষ্ঠী? মুছে যাবে ওদের নাচ গান লোককথা শুদ্ধু? মুছে যাবে আমাদের বাইরে থেকে এসে গেড়ে বসা শহুরে লোকজনের ঘনবসতি আর জনসংখ্যার চাপে? মুছে যাবে অপুষ্টি, অসুখ-বিসুখ আর আমাদের দেয়া যৌনরোগের প্রকোপে? আমরা চোখ বুঁজে থাকবো কিভাবে রাজনৈতিক নেতাদের দালাল বা আমলা বা তেন্দুপাতার ব্যবসায়ীরা বস্তারের সেগুন-শাল-মেহগনি-শিরীষের জঙ্গল কেটে সাফ করে দিচ্ছে? অ্যামাজনের পর এমন রেইনফরেস্ট আর কোথায় আছে? ক'টি আছে আমি জানিনা।
  • ranjan roy | 24.96.64.150 | ৩০ মে ২০১৩ ০১:২৫611303
  • ৩) আমার মতঃ
    ওপরের দুটো মডেলই কিন্তু দুই বিপরীত মেরুর। এর মাঝখানে কোন তৃতীয় বিকল্প সম্ভব কি না নিশ্চিত নই। কিন্তু মানুষ ভাবছে।তার আগে দেখা যাক মাওবাদীরা কি ভাবছেন। কী ভাবছেন আমি জানিনা। কিন্তু সেই লালগড়ের সময় এই মায়াপাতাতেই কেউ, সম্ভবতঃ আমাদের অজ্জিত, নেট থেকে ওদের পার্টি প্রোগ্রামের লিং দিয়েছিল। সেটা পড়ে দেখেছিলাম ওঁরা ক্ষমতায় এলে বিদেশি পুঁজি বাজেয়াপ্ত করে ইন্ডাস্ট্রিয়ালি স্ট্রং স্বাধীন ভারত গড়ার কথা বলছেন। গোড়াতেই হোঁচট খেলাম। কাঁচামালের জন্যে খনিজ সম্পদ বা অরণ্য সম্পদের দোহন না করে কি করে ইন্ডাস্ট্রিয়ালি স্ট্রং স্টেট গড়ে উঠবে? তার মানে আজ বিদ্দ্বজনদের কথায় ওঁরা বস্তারের অরণ্য ও খনিজ সম্পদের রক্ষক, কিন্তু ক্ষমতায় এলে সম্ভবতঃ একই পথে হাঁটবেন। হয়ত সুচিন্তিত কোন বিকল্প মডেলের সন্ধান এখনো পান নি, খালি বিদেশি পুঁজির লুঠ ঠেকাবেন এই টুকুই ভালো লাগল। কিন্তু প্রোগ্রামটায় যেন বড্ড বে্শি ১৯৪৯য়ের মাও-চৌদের বিকাশচিন্তার ছাপ। প্রোগ্রাম পড়লে মনে হয় না ২০১০ এ দাঁড়িয়ে আছি। যেন ইতিহাসের পাতা ওল্টাচ্ছি। খুব ভরসা পেলাম না। ওদের রাজ্যে থাকতে পারব বলে মনে হয় না। হয়তো আমাকে অনেক কিছু হারাতে হবে। আমি যে কিছুই হারাতে চাই না।
    অতঃ কিম?
  • ranjan roy | 24.96.64.150 | ৩০ মে ২০১৩ ০১:৪৫611304
  • ৪) আসুন, আপনাদের একটা গল্প বলি। গরীবঘর থেকে একজন নিজের মেধা ও পরিশ্রমের জোরে আই এ এস হলেন। নাম রাজাগোপাল নাইডু।বাবা পুলিশ কনস্টেবল। রায়পুরের জিলা পঞ্চায়েতের সি ই ও থাকাকালীন উনি আমাদের গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ডের সদস্য ডায়রেক্টর ছিলেন। সেই সূত্রে সামান্য আলাপ।
    কয়েক্বছর পরে দেখি উনি খবরের হেডলাইনে।
    বস্তারের কালেক্টর হয়ে উনি জগদলপুরে গিয়ে দেখলেন যে অরণ্যসম্পদের লুঠ চলছে, এতে শহরের ব্যবসায়ী, ঠিকেদার, রাজনৈতিক নেতা সবাই জড়িত। উনি মোটা টাকার ঘুষের প্রলোভন এড়িয়ে লড়াই শুরু করলেন, সরকারের রাজস্ব ফাঁকি ও সম্পদ লুঠের বিরুদ্ধে একা কুম্ভ লড়াই করলেন। কিছুদিন বাদেই উনি বুঝতে পারলেন যে ওনার বস্‌ কমিশনার অফ বস্তার এই চক্রের একজন হোতা। ধমকি, আক্রমণ সব তুচ্ছ করে উনি শেষে নিজের বসের বিরুদ্ধেই এফ আই আর করলেন। এমন কান্ড কেউ আগে করেনি।
    ফল?
    কমিশনারকে সাময়িক ট্রান্সফার করা হল। কিন্তু কিছুদিন বাদে নাইডুর বিরুদ্ধেই অন্য তদন্ত শুরু করা হল। শেষে উনি চাকরি ছেড়ে অন্য পেশা ( সম্ভবতঃ কোন এনজিও) নিলেন। আর তথ্যপ্রমাণ একত্র করে বই লিখলেন হিন্দিতে "বস্তার কী মালিক-মকবুজা কান্ড্‌", আমার কাছে এককপি আছে।
  • ranjan roy | 24.96.64.150 | ৩০ মে ২০১৩ ০২:২৪611305
  • বলতে চাইছি যে আজাদীর এতগুলো বছরে বস্তারে শুধু লুঠ হয়েছে। সেই ৫০ এর দশকে নারায়ণ সান্যালের লেখা "দন্ডকশবরী" দুই ভাগ দেখুন। উনি ওখানে সেই যুগে সিপিডব্লুডির ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।
    জঙ্গলমহলেও একই অবস্থা। অমর্ত্য সেন এর প্রতীচী ট্রাস্টের কুমার রাণার রিপোর্ট দেখুন।
    মাও আন্দোলনের স্পিন অফ হল সরকারের থেকে কিছু করার আশ্বাস, কিছু প্রোজেক্ট, কিছু চুরি ও কিছু সামান্য হওয়া।
    সমস্যা হল দু'জায়গাতেই ওখানকার মানুষদের উন্নয়নের অংশীদার না করা।
    সরকার প্রাথমিক ভাবে ওদের হাসপাতাল, স্কুল, পানীয় জল দিক। রাস্তাঘাট বানিয়ে যাতায়াত সহজ সুগম করুক।বিভিন্ন যোজনার কথা বোঝাক, কিন্তু কোথায় কি হবে সেটা ধীরে ধীরে ওদের নিয়ে ওদের ইচ্ছে অনুযায়ী হতে দেয়া হোক। আজ আমাদের ওখানে গেলে হোটেল বা আইনক্স বা মল চাই বলে গাছপালা কেটে সেই সব বানানো বন্দ্ধ হোক।
    উদাহরণ হিসেবে বলছি আন্দামানে গিয়ে দেখেছিলাম জারোয়াদের জন্যে পি ডব্লু ডি থেকে ফ্রি তে থাকার ঘর বানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু "অকৃতজ্ঞ" জারোয়ারা ওখানে থাকে না, থাকে ওদের পুরনো মাটির বাড়িতে, সরকারি আবাসে যায় পায়খানা করতে।
    কারণ, সরকারি আমলারা খেয়াল করেন নি যে বিষুবরেখার কাছে হওয়ার কারণে জারোয়াদের মাটির বাড়ি বেশি আরামদায়ক। সরকারি টিনের ছাদের বাড়ি ভীষণ গরম। আদিবাসী এলাকায় এধরণের মিসম্যাচ মডেল অপকার বেশি করবে। ধৈর্য্য ধরে ওদের স্বার্থে ওদের নিয়ে উন্নয়নের মদেল বানাতে হবে, আমাদের স্বার্থে নয়--এটুকু বুঝলাম।
  • Blank | 180.153.65.102 | ৩০ মে ২০১৩ ০২:৪১611306
  • "বস্তার কী মালিক-মকবুজা কান্ড্‌", এই বইটার কোনো ইংরাজি ভার্সন নেই?
    না থাকলে ছোট করে বঙ্গানুবাদ করতে পারবেন না রঞ্জন দা?
  • ananyo | 126.203.191.81 | ৩০ মে ২০১৩ ০৪:১৪611307
  • "Let us declare that the state of war does exist and shall exist so long as the Indian toiling masses and the natural resources are being exploited by a handful of parasites. They may be purely British Capitalist or mixed British and Indian or even purely Indian. They may be carrying on their insidious exploitation through mixed or even on purely Indian bureaucratic apparatus. All these things make no difference.
    No matter, if your Government tries and succeeds in winning over the leaders of the upper strata of the Indian Society through petty concessions and compromises and thereby cause a temporary demoralization in the main body of the forces.
    No matter, if once again the vanguard of the Indian movement, the Revolutionary Party, finds itself deserted in the thick of the war.
    No matter if the leaders to whom personally we are much indebted for the sympathy and feelings they expressed for us, but nevertheless we cannot overlook the fact that they did become so callous as to ignore and not to make a mention in the peace negotiation of even the homeless, friendless and penniless of female workers who are alleged to be belonging to the vanguard and whom the leaders consider to be enemies of their utopian non-violent cult which has already become a thing of the past; the heroines who had ungrudgingly sacrificed or offered for sacrifice their husbands, brothers, and all that were nearest and dearest to them, including themselves, whom your government has declared to be outlaws.
    No matter, it your agents stoop so low as to fabricate baseless calumnies against their spotless characters to damage their and their party's reputation. The war shall continue...."- এটা ভগত সিং বলেছিলেন ওনার লাস্ট পিটিসনে, কথা হলো এটা কি এখনো প্রযোজ্য?
    যদি প্রযোজ্য হয় তাহলে মাওবাদীরা থাকলো কি থাকলো না, মিলিটারি অ্যাকশন ওদের মুছে দিল সেগুলো অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পরে, কারণ যদি ওপরের অবস্থা তা থাকে এখনো তাহলে 'যুদ্ধ' চলবেই, সে মাওবাদীরা করুক বা পরে অন্য কেউ।
    প্রথমে যখন মাওবাদী নিয়েই বাজার সরগরম তাহলে মনে হয় ওদের নিয়েই প্রথমে কথা বলা উচিত; বেশিরভাগ রাজনীতিবিদ (মুখ্যধারার) -এর মুখে প্রায় এ একটা কথা শোনা যায়, ওরা ইলেকশন-এ দাড়ায় না কেন? ওরা অনশন করে না কেন ? সেগুলোর কথাতে পরে আসি, তার আগে মাওবাদীদের নিয়ে একটু কথা বলেনি ।
    একেবারে সাম্প্রতিক কালেই লালগড় আন্দোলন নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে, অনেক হত্যা হয়েছে, যার মধ্যে রাষ্ট্রীয় হত্যা গুলো অবশ্যই 'অপাপবিদ্ধ' , অন্য পক্ষেরগুলো কতটা উদ্দ্যেশ্যহীন ও কতজন নির্দোষ সেটা নিয়ে অনেক তর্ক হতে পারে যেটা resolve হওয়া সম্ভব নয় .. বেশ কিছু মাত্রায় excess হয়েছে সেটা নিয়ে সঠিক. TMC কে support করার বিষয়টাও একটু shady .. তবে কিষানজিকে নিয়ে যেটা বলা হয় যে উনি মমতাকে cm দেখতে চেয়েছিলেন,সেটা মনে হয় সঠিক নয়। কারণ ঐরকম কোনো video খুজলেও পাওয়া যাচ্ছেনা, অথচ একটা interview আছে যেখানে উনি বলছেন যে 'মমতাকে বাংলার মানুষ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান কিন্তু বুদ্ধ-মমতা একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ' সেই ভিডিও youtube এই আছে. tmc কে support করার কথাটা যেটা pcapa leadership ও কিছু মাত্রায় maoist নেতারাও করেছিলেন political illusion থেকে। সেটা অবশ্যই ক্ষমার অযোগ্গ্য একটা ঘটনা কারণ ওনারা যে লড়াই করছেন সেটা অন্যদের চেয়ে একেবারেই আলাদা ও তার সাথে মানুষের জীবন -মৃত্যু জড়িত শুধু নয় , তাদের চেয়ে expectation ও ওনাদের কাছে বেশি কারণ বাকি কোনো সংগঠনি actively ground এ দাড়িয়ে বিকল্প কাঠামো গড়ার লক্ষ্যে লড়াই করছেনা, critic করছে , বই লিখছে, ডিবেট arise করছে যেগুলো অত্যন্ত গুরুত্যপূর্ণ কাজ, কিন্তু struggle এর ground reality থেকে বেশ কিছুটা হলেও দূরে দাড়িয়ে ..
    প্রশ্ন হলো কোনটা অধিক কাম্ম্য ও কোনটা সংশোধন ও পরিমার্জনের সুযোগ আছে, সংশোধনবাদের ফিরে এসে কাঠামো বদলের লড়াই করা সম্ভব নয় সেটা আমরা আগেই দেখেছি, দেখছিও।
    কোনো দেশেই একক পার্টি 'বিপ্লব' করে ফেলেনা, ভারতে আরো সম্ভব নয় সেটা কারণ এর বিভিন্নতা ও অসম বিকাশ, অবস্থা ও পরিস্থিতির বিভিন্নতা সৃষ্টি করেছে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে দেখতে গেলে যদি ব্যবস্থা বদলানোকে গোদা অর্থে লক্ষ্য ধরা হয়, সেক্ষেত্রে এই মুহুর্তে এগিয়ে আছে এই মাওবাদী নামক শক্তিটিই। কিন্তু লক্ষ্যে এগোনো অন্যান্য সহানুভূতিশীল ও আন্তরিকভাবে ব্যবস্থা বদলকামি বাম-রেডিকালদের গঠনমূলক সমালোচনা ও যৌথ প্রয়াস ছাড়া সম্ভব নয় যেটা মাওবাদীরাও জানে কারণ তাদের জেনারেল সেক্রেটারির interview এই দেখা যায় যে উনি imperialism-feudalism বিরোধী লড়াইয়ের কমন মিনিমাম এজেন্ডাতে যারা এই প্রচলিত ব্যবস্থার বাইরে বিকল্প ব্যবস্থা গড়তে চাইছেন বা করছেন, নিজেদের মতো করে preach করছেন-সে যদি 'গান্ধিবাদিও' হয় তাহলে তাকেও বন্ধুশক্তি হিসেবে লড়াই এ incorporate করতে বলছেন আর এই সামগ্রিক যৌথ উদ্যোগ থেকেই যে ভুল প্রবণতাগুলো এই আন্দোলনে লক্ষ্য করা যাচ্ছে সেগুলো সরে যাবে বলে মনে হয়। যেটা অবশ্যই হয়নি লালগড় এ .. তবে সেটা আপেক্ষিকভাবে structural violence ও সামগ্রিক মূলধারার বাম সংশোধনের একেবারে বিপরীতে , ফলে ভুল পরিমার্জনার সম্ভাবনা অসীম যেটা আরো রাজনীতিকরণ ও আরো বেশি active mass assertion ও tactical change এর মধ্যে দিয়ে সম্ভব । উল্টোপক্ষে সংশোধনবাদের 'সংশোধনের' কোনো জায়গা নেই কারণ তার উদ্যেশ্যই হলো পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে হোক বা অন্য যেকোনো কারণ দেখিয়ে বিপ্লবী মর্মবস্তুকেই গুলিয়ে দেওয়া, জনগনকে ভুল বোঝানো।
    কিন্তু আজ এই কথা গুলো এত বেশি বেশি করে আলোচনায় আসছে কেন যে মাওবাদীরা এতজনকে মেরেছে, গণতন্ত্রকে আঘাত দিয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি? কোথায় এতদিন আদিবাসী শিশুর আঙ্গুল কাটা, আদিবাসী মহিলার স্তন কেটে ফেলা সেসব তো আমাদের খারাপ লাগেনি! বা বিষয়টা শুধু আদিবাসী বৃত্তেই বেধে ফেলে একটা বেশ আরবান এলিটিসম মার্কা ব্যাপার ও দেখা যাচ্ছে।
    ডুয়ার্স এর বন্ধ কাঠালগুড়ি চা বাগানে না খেতে পেয়ে গত দুই দিনে মারা গেছেন ৩ জন শ্রমিক, আরো একজন আশংকাজনক অবস্থায় শিলিগুড়িতে হাসপাতালে ভর্তি। এই শ্রমিকরা যদি এবার কারখানা দখল করে উত্পাদন চালাতে চায়, তাহলে অবশ্যই পুলিশ, মিলিটারি এসে সন্ত্রাস নামাবেই, তখন যদি এই শ্রমিকরা হটে না গিয়ে প্রতিরোধ করে, ম্যানেজারকে মালিককে মেরে বের করে দেয় - আর সামগ্রিক প্রক্রিয়ায় কোনো পুলিশ অফিসার বা দালাল নেতা মারা যান তাহলে এই শ্রমিকদের কি বলা হবে - ভাই ভিক্ষে সরকারের কাছে প্রার্থনা করুন, সেটা না পেলে না খেয়ে মরে যান, পরের বছর ভোট দিন এখনকার বিরোধীদের ও বাম জোট গড়ে তুলুন কিন্তু পুলিশ, মালিককে কিছু করবেন না...
    আর যদি শ্রমিকরা সেটা না মেনে প্রতিরোধ জারি রাখে, পুলিশকে ঢুকতে না দেয় তাহলে তাদের কি দেশদ্রোহী/সন্ত্রাসবাদী /সমরবাদী/ নৈরাজ্জ্যবাদী বলে দেগে দেওয়া হবে ? তাদের বলা হবে ভাই পরিস্থিতি নেই ! ভাই আপাতত ভোট দিয়ে নেতা পাল্টান?? বা আমরণ অনশন করুন ?
    জীবিত থাকার জন্যই যদি লড়াই হয়, যদি নিজের অধিকারের লড়াই হয় যে অধিকার কারো ভিক্ষের দান নয় বরং এতদিন সেটা থেকে তাদের বলপূর্বক বঞ্চিত করা হয়েছে; লড়াই যদি বিকল্প কাঠামোর হয় তবে রাজার পথের ওপর বসে আমরণ অনশন করে ভিক্ষা চাওয়ার কথা আসে না কি তার বিপরীতে গিয়ে বিকল্পকে গঠন ও তাকে রক্ষা ও পরিবর্ধন করাতাই শ্রেয় ?
    এই প্রশ্নগুলো কি এই আন্দোলনের সাথে জড়িত নয় ?
  • rivu | 85.102.69.102 | ৩০ মে ২০১৩ ০৪:২৪611308
  • রঞ্জন বাবুর লেখার জন্যে প্রথমেই একটা বিরাট ধন্যবাদ। খুবই তথ্য সমৃদ্ধ লেখা। তো উন্নয়ন মানেই যদি খেদিয়ে দেওয়া হয়, সে উন্নয়ন দরকার নেই। কিন্তু এক্সিস্টিং সিস্টেমও খারাপ, তাই কিছু করারও প্রয়োজন আছে। আমার প্রশ্ন ছিলো একটাই, একটা গণতান্ত্রিক স্পেসে ব্যাপারটাকে আনা যাচ্ছেনা কেন? মানে ধরুন একটা বড় লেভেলের পলিটিকাল পার্টি, ওই অঞ্চলের সব মানুষকে নিয়ে গিয়ে দিল্লিতে একটা ধর্নায় বসলো, এবং দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত উঠলনা। যেমন হলো আন্না হাজারের আন্দোলনে। ধরুন একটা বেসিক দাবি হলো জমির পাট্টা, বা উন্নত সেচ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা। ছোট খাটো এনজিও দিয়ে হবেনা, পুলিশ জাস্ট ঢুকতেই দেবেনা। কিন্তু কংগ্রেস বিজেপি বা নিদেন পক্ষে সিপিএম তৃনমূল লেভেলের পার্টির ক্ষেত্রে সেই সমস্যা নেই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে দুটো: পলিটিকাল পার্টি এতে ইনভলভড হবে কেন? পার্টির কি লাভ? কিছুটা ভিজিবিলিটি পাওয়া যাবে, সেই অব্দি। দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে লজিস্তিকাল । প্রচুর ম্যানপাওয়ার ও টাকার প্রশ্ন। সেগুলো যোগাড় করতে হবে। হ্যান এইসমস্ত অর্গানাইজ করার ক্ষেত্রে যদি মাওবাদীরা বাধা দেয়, তখন যুদ্ধ হোক! যদি কোনো পলিটিকাল পার্টি এদের এদের বিশ্বাস অর্জন করতে পারে, সে যুদ্ধে এই বস্তারের এই মানুষ গুলি রাষ্ট্রেরই পাশে থাকবেন বলে মনে হয়।

    সিঙ্গুর আন্দোলনের ফলাফল নিয়ে বিরোধিতা থাকতে পারে, কিন্তু এটা আশা করি সকলেই মানবেন যে একটি মেজর পলিটিকাল পার্টির একটিভ সাপোর্ট পেলে একটা গণতান্ত্রিক অহিংস আন্দোলন যে কার্যসিদ্ধি করতে সক্ষম হয়, সিঙ্গুর সেটার প্রমাণ দিয়েছে। সেই শিক্ষা কি কোনভাবেই কাজে লাগানো যায়না?
  • অসমর্থ | 119.145.78.93 | ৩০ মে ২০১৩ ০৮:২৯611310
  • “মাওবাদীরা যখন আদিবাসীদের উপর অত্যাচার চালায়, নিজেরাই বিচার করে মৃত্যুদণ্ড দেয়, তখন সবাই চুপ করে থাকে। শুধু দোষ হয় সালওয়া জুড়ুমের! আপনি বলুন তো ইটের জবাব কী ভাবে দেওয়া উচিত?” নিজের প্রশ্নের জবাবটাও মহেন্দ্র নিজেই দিয়েছিলেন। শান্ত অথচ কঠোর গলায় বস্তারের আদিবাসী কংগ্রেস নেতা বলেছিলেন, “মাওবাদীদের বুলেটের জবাব কী ভাবে দিতে হয় তা আমাদের জানা আছে।” কিন্তু এই সালওয়া জুড়ুম আন্দোলনের নামে কি আদিবাসীদেরই আদিবাসীদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে না? “একেবারেই হচ্ছে না। যে আদিবাসীরা নকশালবাদের নামে অন্য আদিবাসীদের উপরে অত্যাচার চালায়, এই আন্দোলনে অসুবিধা হচ্ছে তাঁদের ও তাঁদের মদতদাতাদের।”

    আ বা প
  • PM | 233.205.169.192 | ৩০ মে ২০১৩ ০৮:৩০611312
  • রন্জনদা, পড়ছি মন দিয়ে।

    পিনাকিঃ

    "রাষ্ট্রকে নিজের নাগরিকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ছাড়পত্র দেওয়া মানে এখন ৫ টা মাওবাদী মারতে গিয়ে ৫০ টা নিরীহ লোককে মারে, ছাড়পত্র পেলে ৫ টা মাওবাদী পিছু ৫০০ টা নিরীহ লোককে মারবে। দিনের শেষে ওদের তো ওপরওলাদের কিছু হেডকাউন্ট দেখাতে হয়।"

    আপনার আপত্তিটা কি শুধু কো-ল্যটারাল ড্যমেজ এর বিরুদ্ধে? মানে ৫০ জন নিরিহের মৃত্যুকে (যদি হয়ে থাকে) যদি ঠেকানো যায় তো ৫টা মাওবাদীর মৃত্যু নিয়ে আপত্তি নেই- এই রকম কিছু?
  • SC | 34.3.20.47 | ৩০ মে ২০১৩ ০৮:৩৩611313
  • আমি খুব ভালো করে ফলো করতে পারিনি এই সুতোটা।হিমাংশুকে নিয়েও কিছু লেখার ছিল।
    কিন্তু আপাতত এই টুকু বলি যে মেইনস্ট্রিম মিডিয়া মহেন্দ্র কর্ম র দুষ্কর্ম ঢাকার জন্য যে নোংরামি তা করছে, জাস্ট অসহ্য।
    মিনমিন করে বড়জোর লিখছে, "controversial " সালোয়া জুদুম। একরাশ ছি: রইলো।
  • PT | 213.110.246.230 | ৩০ মে ২০১৩ ০৮:৩৫611314
  • উন্নয়ন মানে এক ধরণের খেদানো-ইঃ সেটা অন্যের সিদ্ধান্তে হতে পারে অথবা নিজ সিদ্ধান্তেও হতে পারে। গত ৫০ বছরে যত মানুষ কলকাতা শহরে এসে জমা হয়েছে, তাদের বেশীর ভাগই কোন না কোন ভাবে স্বভূমি থেকে উৎপাটিত হয়েছে। আমাদের মোটামুটি বড় পরিবারের সবাই নদীয়া জেলার গ্রামের বাড়ি-জমি বেচে-বুচে দিয়ে উন্নয়নের সন্ধানে কলকাতায় আশ্রয় নিয়েছে।

    শুধু আদিবাসীরা এই ব্যবস্থার ব্যতিক্রম হতে যাবে কেন?
  • PM | 233.205.169.192 | ৩০ মে ২০১৩ ০৮:৪৮611315
  • রন্জন্দা, একটা প্রশ্ন। আপনি নিজেই লিখেছেন যে জঙ্গলের বাইরে বাকি ছত্তিশ্গড় উন্নয়নের সামান্য ছিটেফোটা পেয়েছে তাই তারা মওবাদি সমর্থক নয়।

    এই ছিটে ফোঁটা দিয়ে যদি আনুগত্য কেনা যায়,ষন্তিতে লুঠ করা যায় তো রাষ্ট্রের কাছে অনেক ভায়াবল অপ্সান হচ্ছে জঙ্গলেও এই মডেল এক্ষ্স্টেন্ড করা। তার জায়্গায় হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে মাওবাদী আন্দোলন্কে রোখা, মিডিয়ার প্রেসার নেওয়া, সর্বপরি শাসক শ্রেনীর লোকেদের প্রান হাতে নিয়ে বসে থাকা- এই অপসনটাকে কেনো বেছে নেওয়া হচ্ছে? বিশেষতঃ ২য় অপসনে গেলে যেখানে লুঠের ফ্রিডম অনেক কমে যাচ্ছে।
  • ranjan roy | 24.96.118.98 | ৩০ মে ২০১৩ ১১:৪৫611316
  • পি এম,
    ১)আরো স্পষ্ট করি। সমতলে যে টুকু এখন ৩৬গড়ের চাষিরা পাচ্ছে আমাদের চোখে ছিঁটেফোঁটা হলেও তার মূল্য কম নয় ওদের কাছে।
    উদাহরণ স্বরূপ বলি-- প্রয়াত কানু সান্যাল প্রায় বিশবছর আগে রায়পুরে এসেছিলেন, তখন উনি একটি বৈঠকে নিজেই বলেছিলেন-- আজকের নকশালবাড়িতে নতুন করে কোন জঙ্গল সাঁওতাল জন্ম নেবে না। কারণ নকশালবাড়ির চেহারা পাল্টে গেছে।

    অর্থাৎ,রাস্তাঘাট, বাজার, ট্রানস্পোর্ট, নানান ব্যবসা, পেশা হয়ে লোকের কাছে অপশন বেড়ে গেছে। কাজেই--।
    তেমনি যে জিনিসগুলো বললাম তা সত্ত্বেও সমতলের কৃষক ৩৬ গড়ে শোষিত হচ্ছে না, অত্যাচারিত হচ্ছে না-- এমন নয়। কিন্তু যা পাচ্ছে তার ফলে এক্ষুণি সিস্টেমের ওপর আস্থা হারাচ্ছে না, বরং এর মধ্যেই পরিবর্তনের সম্ভাবনায় বিশ্বাস রাখছে। তাই বর্তমান কৃষকদের দাবী-দাওয়ার আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কহীন সোজা সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের ডাক দেয়া মাওবাদী আন্দোলন সমতলে প্রভাব বিস্তার করতে পারছে না। তাই আজ বিনায়ক সেন/ হিমাংশুকুমারদের মত লোকদেরও ৩৬গড় ছাড়তে হয়েছে।
    আমার চোখে শেষ বিচারে এটা এখনো উন্নয়নের সমস্যা।

    ২) কেন করছে না রমন/জোগী সরকার?
    -- চেষ্টা করছে, কিন্তু দেরি হয়ে গেছে। বস্তার জায়গাটা অনেক বড়। কেরালার চেয়ে বড়, বেলজিয়াম এর থেকে বড়। তারপর এত দশক ধরে অবহেলিত। ফলে ইন্ফ্রাস্ট্রাকচার নেই। তাই টাকাটা খরচ করবে কোথায়/ কাদের মাধ্যমে? সেই মেশিনারি কই?

    আর যদি তিনদিন আগের সন্ধ্যায় জিটিভির নিউজ টেলিকাস্ট দেখতে পান তাহলে দেখবেন-- গহন অবুঝমাড়ের জঙ্গলে কাঠের থাম দিয়ে চিহ্ণিত করা --মাওবাদী এলাকা, যেখানে সরকারি তন্ত্রের প্রবেশ সম্ভব নয়।
    তবু রাজধানী জগদলপুর, বেলাডিলা, নারায়ণপুর, চারামা, ধমতরী, কোন্ডাগাঁও ইত্যাদিতে সরকার নিবেশ করছে।

    আসলে এতদিন ওদের taken for granted ধরে নিয়ে ব্যবহার করেছে। এখন সেই সাদাসিদে মানুষ ও রাষ্ট্রযন্ত্রের মধ্যে ডিসকোর্স/ আদানপ্রদান ইত্যাদি কঠিন। তারপর এই যে সিআরপি গিয়ে বলা নেই কওয়া নেই মেয়েদের বাচ্চাদের মারছে, গাঁ জ্বালিয়ে দিচ্ছে তাতে রাষ্ট্র ও তার প্রজার মধ্যে অবিশ্বাস ও দূরত্ব বেড়েই চলেছে।

    ৩) মাওবাদীরাও বন্দীদের কাউকে কাউকে ছেড়ে দেয় ,যেমন সেদিন আহত বিধায়ক ক্যায়াসী লখমাকে ছেড়ে দিল। আবার দন্ড দেয় ওদের আইন, ওদের জন আদালত(ক্যাঙ্গারু কোর্ট)এর হিসেবে। ওদের মধ্যে নারীর অধিকার নিয়ে স্বতন্ত্র সমিতি/কমিটি আছে। ওরা মেয়েদের সঙ্গে পুরুষতান্ত্রিক ব্যবহার করলে আলাদা করে বিচার করে। সবাইকেই প্রাণদন্ড দেয় এমন নয়। অর্থদন্ডও দেয়, ঠেঙ্গিয়ে সাবধান করে ছেড়ে দেয়ার ঘটনাও আছে।তবে ওদের আইন/বিচার পদ্ধতি আমাদের পছন্দ নাও হতে পারে।
  • কল্লোল | 111.63.133.126 | ৩০ মে ২০১৩ ১১:৪৮611317
  • মাওবাদী উন্নয়ন মডেল (যদি কিছু থাকে), আজকের মনমোহনী মডেলের চাইতে মৌলিকভাবে আলাদা কিছু নয়। শুধু ব্যক্তি পূঁজির জায়গায় রাষ্ট্রীয় পূঁজি। এরা ক্ষমতায় এলেও কান্ডোটা একই হবে। MNC না এসে জাতীয় খনি কর্পোরেশন আসবে।
    আদিবাসীরা উৎখাত হবেই।
    রামচন্দ্র গুহ হিমাংশুকুমারের আশ্রম ভেঙ্গে দেওয়া নিয়ে বলতে গিয়ে এখানে এক সভায় বলেছিলেন - ভারতের মোট জনসংখ্যার ৪% আদিবাসী। সেই আদিবাসীদের ৪০% আজ উচ্ছিন্ন। ব্যাপারটা বেশ ভয়াবহ।

    পিএম।
    "হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে মাওবাদী আন্দোলনকে রোখা" - এই টাকাটা আমরা পকেট থেকে দেই। ওখানে খনি বনিয়ে লাভ করবে বড় বড় কর্পোরেটগুলো। তাই ছিঁটে ফোঁটা উন্নয়নও হয় না ওসব জায়গায়।
    মাওবাদীরা অস্ত্র কেনে, সরকারও অস্ত্র কেনে। লাভ অস্ত্র ব্যবসায়ীদেরও।
  • ranjan roy | 24.96.118.98 | ৩০ মে ২০১৩ ১১:৫৩611318
  • পিটি,
    সাম্প্রতিক কান্ডটি তো নতুন কিছু নয়। এই ধরণের অ্যাকশন তো ওরা নিয়মিত গত কয়েক বছর ধরে করে আসছে। লোক্যাল নিউজপেপার বা চ্যানেল এ ছাড়া রিপোর্ট হয় না। এবার বিদ্যাচরণ ও মহেন্দ্র কর্মার মত ব্যক্তিরা নিহত হওয়ায় ন্যাশনাল মিডিয়ায় এসেছে। গত কয়েক মাস আগেই তো ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের হেলিকপটারে দুবার গুলি করেছে। আহত ওয়ারলেস অপারেটরকে ছেড়ে বাকিরা পালিয়ে যাওয়ায় কেচ্ছা হয়েছে।
    দেখুন, মহেন্দ্র কর্মার ভাইকে ওরা ২০০৫ এ মেরেছে। মহেন্দ্র কর্মার ওপর বেশ কয়েকবার হামলা হয়েছে,কখনো গার্ড বা ড্রাইভার মারা গেছে। এই গত নভেম্বর না দিসেম্বরেই শেষবার হয়েছিল। আর এক পুরনো নেতা বলীরাম কাশ্যপের ছেলেকে মেরেছিল। এমনি চলছেই। বরং মিলিটারি অ্যাকশন হিসেবে তাড়মেটলায় ৭৭ জন সিআরপি বা তার আগে বাসাগুড়ায় ৫৬ জন পুলিশকে মারা বেশি উল্লেখযোগ্য,
  • ranjan roy | 24.96.118.98 | ৩০ মে ২০১৩ ১২:০২611319
  • পিটি,

    ১)যেখানে চয়েসের অপশন থাকে সেখানে উচ্ছেদ বা কোন কন্যা/ পুরুষকে বিয়ে সেটা স্টেকহোল্ডারের নিজস্ব নির্ণয়ের হিসেবে হওয়া উচিত নয় কি? নিজে থেকে যাওয়া আর ইচ্ছের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ হওয় কি এক? আপনার পরিবারের লোকজন সম্পত্তি বেচে কোলকাতায় এসেছেন। উচ্ছেদ হওয়া আদিবাসীদের বেচার প্রশ্নই নেই। ক্ষতিপূরণও পাবে না-- সম্পত্তির টাইটেল ডীডই নেইওদের কাছে।

    ২)অন্ধ শহরীকরন, তার ডেমোগ্রাফিক সমস্যা, পানীয় জলের সমস্যা, ইকো-সমস্যা এগুলি নিয়ে আজ সারা প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্ব ভাবিত নয় কি? আজকে ভেবেচিন্তে অনেকগুলো ফ্যাকটরকে কভার করে কিছু করতে হয় না কি? আজ কলোনি বানাতে গেলেও কতটুকু জায়গা সবুজ রাখতে হবে, প্রত্যেক বাড়ি বানাতে প্লটের কতটুকু ছাড়তে হবে, ড্রেনেজ ব্যব্স্থা কি হবে? এগুলো স্পষ্ট না করে লাইসেন্স (বাড়ি বানাতে বা কলোনি গঠন করতে) পাওয়া যায় কি? আগে ছিল?
  • ranjan roy | 24.96.118.98 | ৩০ মে ২০১৩ ১২:০৫611320
  • ব্ল্যাংকি,
    একটু গুছিয়ে উঠতে পারলে "মালিক-মকবুজা কান্ডে"র অনুবাদ না হোক, মূল তথ্য গুলো দু-তিন পাতায় এখানেই লিখে দেব।
  • ranjan roy | 24.96.118.98 | ৩০ মে ২০১৩ ১২:১২611321
  • আবাপ তে প্রকাশিত মহেন্দ্র কর্মার যুক্তির সম্বন্ধে আমার একটাই কথাঃ
    মাওরা তো সংবিধান মানে না। উনি তো সংবিধানের শপথ নিয়ে নির্বাচিত বিধায়ক। উনি কি করে অসংবৈধানিক কাজ করলেন? আর
    মাওবাদী ল' অ্যান্ড অর্ডার মোকাবিলার জন্যে পুলিশ নেই? মিলিটারি নেই,? আদালত নেই?
    তাহলে তো ক্রিমিনালদের সাফাই করতে এনকাউন্টারের তত্ত্বকে জাস্টিফাই করতে হয়, (অনেকে করেও)।

    নন্দীগ্রামের কেসেও লোকের বিরাগের একটা বড় কারন ছিল পুলিশের আড়ে সশস্ত্র পার্টি ক্যাডারদের দিয়ে ঠ্যাঙানো, যেমন বরানগর কান্ডে ৭১ এ হয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই বুদ্ধবাবুর 'পেইড ইন দেয়ার সেম কয়েন' উক্তিটি ঘি ঢালার কাজ করেছিল।
  • PT | 213.110.243.23 | ৩০ মে ২০১৩ ১২:১৪611323
  • RR
    না, আমার পরিবারের লোকজনরা নিজেদের পছন্দে কলকাতায় আসেনি। গ্রামে যথেষ্ট সুযোগ না থাকায় তারা দেশ-গ্রাম ছাড়ে। এটাকে "নিজস্ব" সিদ্ধান্ত বলে চালানো যেতে পারে-কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে ৭০ দশকের আর্থ-সামাজিক নীতি প্রধান্তঃ এর জন্যে দায়ী।

    এমন হতেই পারে যে আদিবাসীরা যথেষ্ট শিক্ষা ইত্যাদির সুযোগ না পাওয়ায় জঙ্গলমহল ছেড়ে বেড়িয়ে আসতে পারছে না। আর আমরা শহরে বসে তাদের সেই অবস্থানকে glorify করে তাদেরকে জঙ্গলের মধ্যে আটকে রাখতে চাইছি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন