এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মাওবাদী হামলা ও মহেন্দ্র কর্মা

    Ishan
    অন্যান্য | ২৬ মে ২০১৩ | ১৭১৩৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • khilli | 131.241.218.132 | ২৮ মে ২০১৩ ১৮:৪৬611711
  • রাষ্ট্র আর মাওবাদী দের যুদ্ধে আমিও রাষ্ট্র -র পক্ষে থাকব শেষমেষ কারণ গণতন্ত্রে বিরোধিতা করার পরিসর টুকু আছে , মাওতন্ত্রে আছে মৃত্যু । মাওরাজ্যের খেমার রুজ এ আমি রাজি নই কারণ আমি এদেশেই থাকতে চাই (বিদেশে নিরাপদ দুরত্বে যেতে চাইলে যেতেই পারি,ভিসাও আছে ,কিন্তু কেন যাব? )
  • PT | 213.110.243.23 | ২৮ মে ২০১৩ ১৯:০৩611712
  • মহেন্দ্র কর্মা শুধুমাত্র "সিস্টেমের প্রোডাক্ট" হলে সিস্টেমকে কোন ব্যক্তি represent করে? মাওবাদীদের হত্যার রাজনীতির যুক্তি মেনে নিলে, ঠিক কাকে হত্যা করলে বলা যাবে যে সরাসরি সিস্টেমের ওপরে আঘাত করা হয়েছে। যেমন কিনা হিটলারকে মারলে বলা যেত যে নাজী সিস্টেমকে সরাসরি আঘাত করা হয়েছে।
  • a x | 138.249.1.198 | ২৮ মে ২০১৩ ২০:০৮611713
  • পিনাকী,

    ১) অহিংস আন্দোলনের জায়গা নেই একথা একবারও বলিনি। বরঞ্চ উল্টোটা বলেছি। কখনও কোথাও একটা কাজ করে আরেকটা করেনা, ঠিক এটাই বলেছি। অরুন্ধতী "অহিংস আন্দোলনের আজকের দিনে কোনো জায়গা নেই" এরকম কনক্লুশন কোথায় করেছে? এবং কখনও একটা ফেইল করে, কখনও একটা কাজ করে - এর বিপ্রতীপে অরণ্য বলছেন একটা (হিংস) সবসময়ই ফেল করে। এই ব্ল্যাংকেট স্টেটমেন্ট ভুল প্রমাণ করার জন্য একটা সাফল্যই যথেষ্ট।

    ২) আর ডিসকানেক্ট? স্টেটের ভায়োলেন্স - এইসব জায়গায় অ্যাভারেজ লাইফ এক্স্পেক্টেন্সি কত? চাইল্ড মর্টালিটি রেট কত? ম্যালনিউট্রিশন কতটা র‌্যাম্পান্ট - এগুলো খুন না? এইগুলো মাথায় রাখালেই কিভাবে একেকটা জনজাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে তা বোঝা কি খুব দুষ্কর? কোনো রকম বাধা না দিয়ে চুপচাপ সব মাইনিং প্রজেক্ট হয়ে গেলে আদিবাসীরা এদিকওদিক চাকরি পেয়ে বেঁচে বর্তে থাকত, এই অতি সরলীকরণকে মোলায়েম করে ডিসকানেক্ট বলেছি।

    ৩) মাওবাদীরা ব্যানড অর্গানাইজেশন, কীভাবে শহরে নিয়ে আসবে আন্দোলনকে? কালোবাজারীর জন্য তো শহরের মানুষও বিপুল পরিমাণে অ্যাফেক্টেড ছিলেন, একেবারেই দুর্গম জায়গার মানুষের ইউনিক সমস্যা এরকম না - এবং গ্রামের পরে গ্রাম মানুষ নিজে থেকে খাবারের সন্ধানে শহরে এসেছেন, পার্টি অর্গানাইজ্জ কারার আগেই - কাজেই খাদ্য আন্দোলনের অ্যানালজি এখানে কীভাবে খাটে?

    ৪) অ্যাবসোলিউটলি, মহেন্দ্র কর্মা, সিআর্পিএফ এই প্রতিটি মৃত্যু সিস্টেমের মৃত্যু। মৃত্যু কে চেরিশ করে কোনো পোস্ট করিনি (অবশ্য এটা আমাকে উদ্দেশ্য করে নাও হতে পারে) - কিন্তু মহেন্দ্র কর্মার এগেইন্স্টে প্রভূত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও অ্যারেস্ট করা হয়নি। অ্যারেস্ট করলে আজকে তার মৃত্যু হতনা। এমনকি অরুন্ধতীও কিন্তু বলে সিআর্পিএফ জওয়ানদের মৃত্যুও গরীবের এগেইন্স্টে গরীবের মৃত্যু।
  • pi | 78.48.231.217 | ২৮ মে ২০১৩ ২০:১৩611714
  • হল !

    'Centre rules out talks, to intensify anti-Maoist operation'
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৮ মে ২০১৩ ২০:৩১611715
  • পিনাকী-কে ক।

    হিংসা সবসময়ই ফেল করে - এমন ব্ল্যাংকেট স্টেটমেন্ট অরণ্য কখনও দেয় নি। শুধু পাহাড়প্রমাণ ইগো কিঞ্চিৎ কমিয়ে আর চোখে স্বইচ্ছায় পড়া ঠুলি দুটো খুলে ফেলে একটু চেয়ে দেখতে বলেছে - সোনি সোরিদের মত যে উলুখাগড়াদের ওপর পুলিশি টর্চার নিয়ে আপনারা চেঁচামেচি করেন, সেই সোনি সোরিদের ওপর অত্যাচারের দায়ভাগ যে অনেকটাই মাওবাদীদেরও, সেটা দেখা যায় কিনা।

    মাওবাদী আন্দোলনের প্রাপ্তি হিসেবে কুমীরের একটি ছানার মত সেই সেজ না হওয়া!!

    পঃ বঙ্গের জঙ্গলমহলে তো সেজ বিরোধীতার গল্প ছিল না। সেখানে কয়েক বছর ধরে শ পাঁচেক সিপিএম সমর্থক আর সাসপেক্টেড স্পাই-দের মারার কি প্রয়োজন ছিল? ভবিষ্যতে যাতে সেজ না হয়?

    দুঃখের বিষয় যে মাওবাদীদের করা খুনগুলোর জন্য নামকরা মাও সমর্থক - কবীর সুমন, অরুন্ধতী, মহাশ্বেতা দেবী থেকে শুরু করে গুরুর রেসিডেন্ট মাও সিমপ্যাথাইজারস - কারও কাছ থেকে কোন নিন্দা আসে না।
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৮ মে ২০১৩ ২০:৩৮611716
  • গত ৪৬ বছরের সশস্ত্র আন্দোলনে মাওয়িস্ট টেরিটরিতে লাইফ এক্স্পেক্টেন্সি কতটা বেড়েছে, চাইল্ড মর্টালিটি রেট কত কমেছে, ম্যালনিউট্রিশন কত কমেছে - মাওয়িস্ট থিংক ট্যাংক আশা করি সেগুলো ও কালে কস্মিনে অ্যাসেস করেন, শুধু অ্যাকশনের প্ল্যান না করে।
  • kisholoy mukerjee | 127.194.253.66 | ২৮ মে ২০১৩ ২১:০১611717
  • মাওবাদীদের সাথে সব ব্যাপারে একমত না হলেও, আমি স্পষ্ট বলছি মহেন্দ্র কার্মার মতো একজন দস্যুর মৃত্যুতে আমার বিন্দুমাত্র দুঃখ তো নেই-ই, বরং আননদই আছে। আর তা ছাড়া যারা বলছেন যে মাওবাদীদের এই হামলার ফলে রাষ্ট্রীয় দমন আরও বেড়ে যাবে, তাই এসব করা উচিত না, তাদের উদ্দ্যেশে বলি - তাহলে ঠিক কি করব? চুপচাপ গান্ধীগিরির মতো অত্যাচার সহ্য করতে বলব?
  • ভসকা | 122.79.36.161 | ২৮ মে ২০১৩ ২১:০৮611718
  • যারা রাষ্ট্রের পক্ষে তারা সুবিধাবাদী ও স্বার্থপর।
  • নীলাভ্র | 122.79.37.203 | ২৮ মে ২০১৩ ২১:৩৩611268
  • আজ থেকে ২৫ বছর আগের ঘটনা । আমার (now late) বড়দা তখন ঝাড়্গ্রাম সাব ডিভিসানের পুলিশের Wireless বড়বাবু । আমার বরদার একটা আলাদা ক্যারিশ্মা ছিল । খুব বেপরোয়া লোক ছিলেন, গুনীও । গরীব দের সঙ্গে বড়দার একটু বেশী ভাব থাকার ফলে ঝাড়্গ্রামের এলিট ক্লাসে উনি ছিলেন ব্রাত্য । কিন্তু ঝাড়্গ্রামের স্টেশানে দেওয়ার পরে থেকে আমাকে আপামর জনসাধারন ওনারই সম্মানে আমাকে আপন করে নিয়েছিল । তা বড়দা আমাকে নিয়ে গেছিল লোধাশুনির জঙ্গলে, শাল পিয়ালের বনের ভেতর দিয়ে সরু রাস্তায় সাইকেল করে । বড়দা সামনের সাইকেলে, আমি পেছনে । সে গ্রামগুলি আমাকে দেখেছি, হতদরিদ্র ভারতবাসী, যার দুবেলা অন্ন জোটেনা, পরনে নেই কাপড় । সে দারিদ্র্য অপরিসীম... যারা দেখেনি, তারা জানেনা । আমি Detail এ যাচ্ছিনা । আর এদের মাথায় রাজ করছে ঠিকাদার-গভর্নমেন্ট কর্মচারী- রাজনৈতিক পান্ডার ত্রিকোণ আঁতাত । রাজনৈতিক বলতে সিপিএম, কংগ্রেস সবাই । বড়দা বলেছিল, দেখিস, এরা একদিন জেগে উঠবে, তখন এদেরকে সামাল দেওয়া যাবে না । ১৯৯৮ এ আবার যখন ঝাড়্গ্রাম যাই, ততদিনে মাওবাদ জাঁকিয়ে বসে গেছে । তখন দেখেছি অকুতোভয় বড়দা জীপে একা নয়াগ্রাম লালগড় চড়কিপাক খাচ্ছে । এক নবীন পুলিশ সাব ইন্সপেক্টরের ভাষায় "ওদের কে বোঝাতে একমাত্র তোমার দাদাই পারেন"...আর বড়দার ভাষায় ..."কেন বোঝাব বল, যে লোকটা সরল মানুষগুলোর জমি কেড়েছে, তারপরে তাদের ক্রীতদাসের মত খাটিয়েছে, সে আজ নেতা সেজে ভাষণ দেবেন, কেন তাকে আমি Protection দেব ? যে সরকারী বড়বাবু ঠিকাদারের চামচাগিরি করে সত মানুষের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে , তার মাথা আজ টাঙ্গি দিয়ে নামিয়ে দিলে কিসের অন্যায়।" বেশ কিছুদিন আরো, নিজের বিবেকের সঙ্গে লড়ে বড়দা বদলি চেয়ে নিলেন একদিন । মাওবাদের জন্যে নয়, সরকারের জন্যে, কারন সেখানে সরকার মানুষের সরকার নয় ।
  • pinaki | 148.227.189.8 | ২৮ মে ২০১৩ ২১:৩৭611269
  • প্রোঅ্যাক্টিভলি পুলিশ সিআরপি মারব - এটা যদি আমার এজেন্ডা হয়, তাহলে আমাকে ব্যানড হতেই হবে। আর তারপর ব্যানড হয়ে গিয়ে স্টেট আমাকে ওপেন কর্মসূচী নিতে দেয় না - এই যুক্তি খাটে না। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির আদিকালের ইতিহাস দেখলে দেখা যাবে তাদেরও বহু সময় আন্ডারগ্রাউন্ড থাকতে হয়েছে, গোপন কর্মসূচী নিতে হয়েছে। কিন্তু ওপেন প্রোগ্রামের বিন্দুমাত্র সুযোগ থাকলে সেটার ওপরেই ফোকাস রাখা হয়েছে। যদ্দিন সেটা হয়েছে তদ্দিন পার্টির বিকাশ হয়েছে। অরুন্ধতি অবশ্যই এটা বলেন যে যারা জঙ্গলে এমনিতেই খেতে পায় না, তারা অনশন করলেই বা কী? অর্থাৎ অনশন ইত্যাদির মত 'অহিংস' আন্দোলনের ফর্মকে তো তিনি নাকচই করেন আজকাল। (রিসেন্ট লেখাপত্রে ক্রমশঃ এই ঝোঁক স্পষ্ট)। এই কথাটা আপাতদৃষ্টিতে শুনতে যুক্তিপূর্ণ, কিন্তু গণ আন্দোলনের যুক্তিতে আমি যা বুঝি ১০০০০ আদিবাসী এসে দিল্লীর রাজপথে কোথাও একটা আমরণ অনশনে বসুক না? তার মধ্যে ১০ জন অনশন করে মারা যাক, দেখা যাবে তার কোনো ইম্প্যাক্ট হয় কি না? একবারও কি এই পথটা এক্সপ্লোরড হয়েছে? না হয়েই থিওরাইজেশন হয়ে গেল যে, যে খেতে পায় না তার অনশনে স্টেটের কি যাবে আসবে? অবশ্যই যাবে আসবে। এগুলো আন্দোলনের ফর্ম। মাথা খাটিয়ে নেওয়া হয়। অভিমান করে তো আর কেউ অনশন আন্দোলন করে না। প্ল্যান করে করে। ঠিক তেমনি মাওবাদীরা যখন একটা সার্চ পার্টির ওপর হামলা করে সেটা পরিকল্পনা করেই করে। সবসময় মোটেই ব্যাপরটা এরকম নয় যে সেই হামলাটা না করলে পাঁচটা আদিবাসী তক্ষুণি মারা যেত। সেটা যেমন তাদের কাছে একটা (এবং একমাত্র) আন্দোলনের ফর্ম, তেমনি পরিকল্পনা করে অডিয়েন্স আছে এমন কোথাও অনশন করাটাও আন্দোলনের ফর্ম। কোথায় কিভাবে সেটা করা হবে সেটা মাথা খাটিয়ে ঠিক করতে হবে, যাতে সবচেয়ে বেশী মানুষকে কানেক্ট করা যায়। জঙ্গলের আদিবাসী জঙ্গলের মধ্যে বসেই অনশন করবে - এটা অরুন্ধতি ধরে নিচ্ছেন কেন? কারণ তিনি 'অহিংস' আন্দোলনের ফর্মের বিরুদ্ধে একটা মানসিক অবস্থান নিয়ে ফেলেছেন। তাই সেটার অকার্যকারিতা দেখাতে গিয়ে জঙ্গলে অনশনের কথা বলছেন। সেটা যে ইম্প্র্যাক্টিকাল সে তো সবাই বোঝে। আবার প্যারালালি যেহেতু তিনি সহিংস প্রতিরোধের প্রতি বেশী ঝুঁকে আছেন অবস্থানগতভাবে, তাই তাঁর লেখা পড়লে মনে হবে সমস্ত কাউন্টারভয়োলেন্সই যেন অপরিহার্য ছিল। যেন নিরুপায় হয়ে অন্য সমস্ত পথ রুদ্ধ হয়ে যাওয়ার কারণেই কেবল ওরকম অ্যাকশনগুলো নেওয়া হয়। অর্থাৎ সমস্তটাই যেন চলছে স্বতস্ফূর্ততার ওপর। ভাবটা এমন যে স্বতস্ফূর্ত প্রতিরোধে নেমে আদিবাসীরা আবিষ্কার করেছেন যে জঙ্গলে তো আর অনশন করে স্টেটকে আটকাতে পারবনা, তাই বাধ্য হয়ে বন্দুক হাতে তুলে নিতে হল। ওনার দিক থেকে পুরো পোর্ট্রেয়ালটার মধ্যে এই ঝোঁক তো আছেই। যাঁরাই একটাভাবে এই অবস্থানটা নিয়েছেন মনে মনে তাঁদের লেখাপত্র পড়লেই এই ঝোঁকটাও পরিষ্কার বোঝা যায়।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 | ২৮ মে ২০১৩ ২১:৪৮611270
  • 'যারা রাষ্ট্রের পক্ষে তারা সুবিধাবাদী ও স্বার্থপর।' - পক্ষে বলতে?
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৮ মে ২০১৩ ২১:৫৭611271
  • '১০০০০ আদিবাসী এসে দিল্লীর রাজপথে কোথাও একটা আমরণ অনশনে বসুক না' - এইটা যে আমিও কতবার ভেবেছি। কেন দিল্লীতে নয় বা রায়পুরে নয় - লজিস্টিকালি কি এতই কঠিন?
  • a x | 86.31.217.192 | ২৮ মে ২০১৩ ২২:০৬611272
  • পিনাকী, ভোপাল নিয়ে কতবার হয়েছে, তুমি যা যা বললে?
  • a x | 86.31.217.192 | ২৮ মে ২০১৩ ২২:০৭611273
  • বাই দ্য ওয়ে, মাওইস্টদের লেখা যদি পড়তে, তোমার ক্রিটিসিজমের অনেক গুলোই তাদের নিজেদের কাগজপত্রেই আছে।
  • ranjan roy | 24.99.67.192 | ২৮ মে ২০১৩ ২৩:১৪611274
  • অক্ষ,
    উঁহু, হিন্দুস্থান টাইমস্‌ ভুল বলছে। আজকের চ্যানেলের খবরগুলো দেখ।
    আসলে প্রথম দিনেই ছত্তিশগড়ের লোক্যাল কিন্তু ওদিকে ভাল নেট ওয়ার্ক -- সাধনা নিউজ, আই বি সি ২৪ , আর ই -টিভি ছত্তিশগড় ভাল কভারেজ দিচ্ছিল। আমি আই বি সি তে ছত্তিশগড় কংগ্রেসের রাজ্য সেক্রেটারি বিলাসপুরের বিবেক বাজপেয়ির সঙ্গী ডাক্তারবাবুটির ঘটনাস্থলে গাড়ির পাশে রাস্তায় বসে দেয়া বাইটগুলো শুনলাম।
    আর ন্যাশনাল চ্যানেলগুলো প্রথম দু'দিন যে কথা গুলো বলেনি তাহল নন্দকুমার প্যাটেল আগে ছত্তিশগড়ের হোম মিনিস্টার ছিলেন। ওঁর সময়েই বস্তারে ইন্টেন্সিভ স্টেট অ্যাকশন প্রথম শুরু হয়।
    আর মহেন্দ্র কর্মাকে যে খুঁজেছিল সেটা এখন সর্ববিদিত। ওই ডাক্তারের কথা অনুযায়ী মহেন্দ্র কর্মা, কয়াসী লখমা ও নন্দকুমার প্যাটেলকে নাম ধরে খোঁজা হয়। গুলিতে আহত কয়াসী লখমাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যেতে বলা হয়। উনি স্থানীয় আদিবাসী এম এল এ আর সলওয়া জুড়ুমের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখতেন।
  • বিকর্ষণ | 122.79.36.157 | ২৮ মে ২০১৩ ২৩:৫০611275
  • মানুষ অভ্যাস এবং অনভ্যাসের কাছে মাঝে মধ্যে surrender করে .....তাই কখনো লিখতে গেলে রক্ত বমি তে ভেসে যায় সমকাল .... তা ভাসুক .....পৃথিবী তে মৃত্যু আসে দুভাবে .... জানিয়ে আর না জানিয়ে ..... আর হত্যা হয় অনেকভাবে । তাও মূলত দুভাবে । জানিয়ে ... না জানিয়ে ... যারা হত্যা হয়েছেন তাদের মৃত্যুকালীন অনুভুতি জানা সম্ভব নয় .... কিন্তু জীবিতরা হত্যা হওয়াকে কল্পনা করতেও ভয় পায় , কারণ অজানা আর অদেখার সাথে অনিশ্চিত জড়িয়ে । মহেন্দ্র কর্মা অনিশ্চিতের পথিক ছিলেন না ....নিশ্চিত ভোগ সুখের কারবারে আর কারবারীদের পথিক তিনি ..... আর এই কারবারে যা যা বিপত্তি তাকে যে কোনো মূল্যে উপরে ফেলতে ভয়ঙ্কর committed একজন ব্যক্তি ....একটি প্রতিষ্ঠান যিনি নিজেই .... আর তার হত্যাকারীরা ?? তারা জেনে শুনে অনিশ্চিত জীবনের পথ বেছে নিয়েছেন (পথে ভুল বা ঠিক যাই থাক না কেন ) নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ..... অন্তত তাদের লক্ষ্যটা চার দিকে হত্যালীলা দেখে চোখ বুজে আত্মসুখ কল্পনা নয় .... তাই মানবিক অভ্যাসের বসে কিছু অমানবিক অভ্যাস কে দমন করতে চেয়েছেন ..... এটা যদি মানবিক না হয় তাহলে মানবিক বলে কোনো কিছু অস্তিত্বহীন এটা মেনে নিতে হয় .....৬৪৪ টা পুড়ে যাওয়া গ্রাম ২০০৫ এর সলবা জুড়ুম.... কয়েক হাজার আদিবাসী পরিবার উদ্বাস্তু ... কাম্পে .... খুন ধর্ষণ ...কালো রাত .... গণতন্ত্রের অর্থ তারা এভাবেই বুঝেছিলেন .... বছর বচ্ছর ভোট দেওয়া শুধু নয় গণতন্ত্র মানে এটাও ..... তাই শুধু এই 'গণতন্ত্র 'এর শীর্ষ নেতারা নন ....প্রগতিশীল , নকশালপন্থী আর বামেরাও শুধু মহেন্দ্র কর্মার হত্যাকেই গণতন্ত্রের উপর আক্রমন করে দেখেন ... আদিবাসীরা যে গণতন্ত্রকে ২০০৫ এ চিনেছিলেন ....সেটার স্বীকৃতি স্বরূপ
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৯ মে ২০১৩ ০৫:৪৮611276
  • আদিবাসীদের ওপর অত্যাচার, সেই অত্যাচার থেকে মুক্তির পথ দেখাতে এল মাওবাদ, মাওবাদীদের হাতে খুন জমি মালিক/পুলিশ/রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রের বদলা হিসেবে এল সালোয়া জুড়ুম - ৬৪৪ টা পুড়ে যাওয়া গ্রাম/কয়েক হাজার আদিবাসী পরিবার উদ্বাস্তু/ক্যাম্পে পশুর জীবন/খুন/ধর্ষণ/জেল/জেলের ভেতর ধর্ষণ, সেই অত্যাচারের প্রতিশোধ নিল মাওবাদীরা ২৫শে মার্চ।
    এবার আবার রাষ্ট্র বদলা নেবে। মাওয়িস্ট সেন্ট্রাল কমিটির অনেকেই এর মধ্যে নিহত বা বন্দী, কাগজ পড়ে যা মনে হয়। এবার হয়ত শুরু হবে যুদ্ধের শেষ পর্ব -
    'The endgame in the battle against Maoist rebels is still to begin in earnest, but it will likely come sooner than later, precipitated by the 25 May incident' - সুদীপ চক্রবর্তীর লেখা থেকে।
  • Tapas | 126.203.211.250 | ২৯ মে ২০১৩ ০৮:৩২611277
  • যেভাবে অরুন্ধুতির নন-ভায়লেন্স এর প্রতি সমর্থন জানানোটাকে যুক্তি দিয়েই খারিজ করছেন অনেকে, তেমন হয়ত কোথাও একটা যুক্তি দিয়েই এই মহেন্দ্র কর্মাকে মারা, বা তার সাথে সাথে আরো ২৬ জনকে মারার সমর্থণ
    ও পাওয়া যাবে। কোথাও হয়ত মনে হবে যে রাষ্ট্র তো অনেক মারল, আরও অনেক মারবে, কিন্তু একটা Z-plus ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিয়েও তো একটা বা একদল মানুষকে মরতে দেখল!

    এটা যেমন আমাদের শহুরে যুক্তিতে অনেক সময় সুইসাইড-আল বলে মনে হবে, তেমন অনেক সময় আমাদের ডিসকানেক্টেড মনভাব-জনিত ভুল ব্যাখ্যা বলেও মনে হবে। শেষপর্যন্ত আমাদের ভাবনা চিন্তার উপর এই আন্দলনে ভায়লেন্স বা নন-ভায়লেন্স এর উপস্থিতি তো ঠিক হবেনা। রাষ্ট্রের এখন নেওয়া পদক্ষেপ এর উপরেই অনেক কিছু নির্ভর করবে।

    মাওবাদী ও আদিবাসীরাও কোনো অখণ্ড জোড় নয় যে, কোনোদিন কোনও সরকার এদের আলাদা করতে পারবেনা। শুধু মাথায় এটুকু রাখা জরুরী যে জঙ্গল পাহাড় মিলিয়ে যে বিস্তীর্ণ ভূখণ্ডে এখনো উন্নয়নের নামে সভ্যতার বিষ ঢোকানো হয়নি, সেখানে যাবার সময় সেইখানকার মানুষদের অধিকারে হস্তক্ষেপ না করে যেতে হবে। জঙ্গল কেটে পাহাড় খুড়ে আর না হয় পৃথিবী কে শূন্য নাই করলাম! লক্ষ বছর ধরে, যে সম্পদ পৃথিবী জমা করেছে তাদের, সঠিক রক্ষাকারীদের প্রাপ্য সম্মান দিয়ে যদি কিছু করতে পারি তো করলাম।

    মহেন্দ্র কর্মার মত করে মাইনিং কোম্পানি এনে আদিবাসীদের চাকরী দেওয়ার নাম করে নিজেদের পাওয়া অসাধারন সম্পদ নিজেরাই লুঠ না করার মানসিকতা নিয়ে যদি যাই তাহলে কি মাওবাদ এসে পথ আটকাবে মনে হয়? আমি কিন্তু এখনও মাওবাদী মানে কিছু নির্বোধ খুনীদের দল এমনটা ভাবতে পারিনা। হয়ত সে আমার ভাবার ভুল! সবাই তো চালাক আর সঠিক হতে পারেনা।
  • khilli | 131.241.218.132 | ২৯ মে ২০১৩ ১১:০৪611279
  • বিরোধিতা করলেই মৃত্যু আর সুবিধাবাদী স্বার্থপর বলে অতিসরলীকরণ । মাওবাদী রা তো বটেই মাওবাদী সমর্থক রাও পুরো বুশ পন্থী - "either with us or against us "। বড় হয়ে পল পট হবে :-)
    আর অরুন্ধতি রায়ের পথের থেকে গান্ধী বাবার পথের সাফল্য অনেক বেশি । martin luthar king বা mandela রা প্রমান
  • lcm | 34.4.162.218 | ২৯ মে ২০১৩ ১১:০৬611280
  • সভ্যতার বিষ !

    বোঝো! এ কথা টাইপ করতে সভ্যতার যন্ত্র... টেকনলজি... ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হল।
  • SC | 34.3.20.47 | ২৯ মে ২০১৩ ১১:৫৩611281
  • এদিকে কাজের সময়ে কাজী, কাজ ফুরোলে কিশেনজির রাজনীতি যারা করেছিলেন, তাদের এক মাঘ শেষ হয়ে পরের মাঘ আসতে চলল।
    http://anandabazar.com/29med1.html
  • PM | 233.205.169.192 | ২৯ মে ২০১৩ ১১:৫৭611282
  • একটা জিনিষ ঠিক ক্লিয়ার হচ্ছে না। আদিবাসীদের জন্য ঠিক কি দাবী করা হচ্ছে-
    ক। তারা যেভাবে গত ৩০০০+ বছর ধরে আছে সেটা খুব ভালো ছিলো। সভ্যতার "বিষ " ঢোকার পর থেকেই (আনুমানিক ১৮০০ সাল) যত গন্ডোগোল, তার আগে তারা দিব্বি ছিলো অ-আদীবাসীদের ছোঁয়া বাঁচিয়ে । তাদের সেভাবেই থাকতে দেওয়া হোক কোনো অ-আদীবাসী প্রভাব ছাড়া।

    খ) আবার বলা হচ্ছে স্বাধীনতার পরে তাদের কোনো উন্নয়ন হয় নি। তারা হত দরিদ্র। উন্নয়ন হওয়া মানে ইকোনোমিক অ্যাক্টিভিটি হবে যেমন শিল্প, পর্যটন, মাইনিং ইত্যদি। সেগুলো হলে আদিবাসীদের জীবন গত ৩০০০ বছরের মতো থাকবে না তো। সেটাও দেখছি অনেকে চাইছেন না। তার বিরুদ্ধেই নাকি মাওবাদী আন্দোলন

    ধরুন কাল সরকার আইন করে সেজ, শিল্প , মাইনিং বন্ধ করে দিলো। আদিবাসী এলকা আন্দামানের জারোয়াদের বাসভুমির মতো বিচ্ছিন্ন আর প্রটেকটেড করে দেওয়া হলো, ওরা যাতে নিজেদের মতো থাকতে পারেন। তাতে কি আপনারা খুশী হবেন? বা তারাই কি খুশী হবে? নিশ্চিত না।

    মনে হয় অনেকে চাইছেন আদিবাসীদের জন্য এমন এক দেশ যেখানে তাঁরা সমস্ত আধুনিক (বিষ সভ্যতার) সুযোগ-সুবিধা পাবেন কিন্তু সভ্যতার কোনো হার্ডশিপ তাঁদের দেশে থাকবে না। এরকম ইউটোপিয়া কি হতে পারে?

    অবশ্য অধিকাংশ পঃবঃ বাসী আদর্শ বলতে বোঝেন এমন একটা দেশ যেখানে সিঙ্গুর থাকবে না, শিল্প থাকবে না, রোজ আপিশ যাওয়া থাকবে না কিন্তু সভ্যতার সুযোগ্সুবিধাগুলো "উন্নত " ভারত বা বিশ্বের মত হবে।
  • ranjan roy | 24.99.191.212 | ২৯ মে ২০১৩ ১৩:৫২611283
  • আমি এখানে যা লিখছি তা আদৌ মাওবাদী রণদামামার 'জাস্টিফিকেশন' নয়, বরং যা ঘটছে , তা কেন ঘটছে, কেন এমনটাই ঘটছে, অমনটা নয়--সেটা 'এক্সপ্লেন' করার সামান্য চেষ্টা। যদিও আমি সবজান্তা বা শেষ কথা নই।
    অর্থাৎ আমি যদি বলি যে অমুক যে অকালে জিভের ক্যান্সারে মারা গেল তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই, অত সিগ্রেট খেলে অন্যরকম না হওয়াটাই স্বাভাবিক,---- তখন আমি আসলে বলতে চাই যে সিগ্রেটের নেশার বিরুদ্ধে কিছু না করে শুধু কেমোথেরাপি/ সার্জারি/রেডিয়েশন দিয়ে জিভের ক্যান্সারের রোগিকে বাঁচানো বা ক্যান্সার নির্মূল করা, কোনটাই সম্ভব নয়।
    তাই মাওবাদী এজেন্ডার বিরুদ্ধে বললেই রাষ্ট্রযন্ত্রের সমর্থক, আত্মসুখী চাটুকার বা রাষ্ট্রযন্ত্রের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে বলতে গেলেই necessarily মাওবাদী এজেন্ডার সমর্থক--- এই "আমরা-ওরা"র বাইরে নিশ্চয়ই কোন স্পেস আছে, সেটা খুঁজছি।
    এই আলোচনায় দুটো বিষয় উঠে এসেছে।
    এক, মাওবাদীরা কেন গণতন্ত্র ও সংবিধানের মা-মাসি করছে? যতই দমন শোষণ পীড়ন হোক, প্রতিবাদের রাস্তাও তো এই ব্যব্স্থায় আছে, সেগুলো ব্যবহার না করে এ কি তান্ত্রিক বামাচারী কমিউনিস্ট আন্দোলন? কেন নেপালের মাওবাদীদের মত ইলেক্শন লড়ে না? এগুলো আসলে কিছু নৈরাজ্যবাদী-টেররিস্ট আউটফিট, বিপ্লব-টিপ্লব ফক্কিকারী। এলোমেলো করে দে মা লুটেপুটে খাই গ্রুপ।
    দুই, উন্নয়ন কেন হচ্ছে না? মাওবাদী আন্দোলনে রাস্তাঘাট-স্কুল-হাসপাতাল সব বন্ধ ? নাকি আগেই কিছু ছিল না? আর কোন উন্নয়ন? সত্যি কি মেইনস্ট্রিম ভারতের মত উন্নয়ন ওখানে না হলেই ভালো হবে?

    এককথায় এ নিয়ে কিছু বলায় অতি-সরলীকরণের ঝোঁক এড়ানো কঠিন। তবু সামান্য চেষ্টা করব।
  • কৃশানু | 177.124.70.1 | ২৯ মে ২০১৩ ১৪:১১611284
  • লিখুন রঞ্জনদা। আগ্রহ রয়েছে।
  • PT | 213.110.243.23 | ২৯ মে ২০১৩ ১৫:০৬611285
  • সিঙ্গুরে চাষীদের "ক্ষতি" হবে বলে ন্যানো হতে না দেওয়া আর আদিবাসীদের "না-আধুনিক" করে রাখার পক্ষে সওয়াল করা এই দুটো অবস্থানের মধ্যে কোথায় যেন একতা তাত্বিক মিল আছে। যে সকল শিক্ষিত মানুষেরা প্রথমটার বিরোধীতা করেছে তারা প্রায় সকলেই দ্বিতীয়্টারও পক্ষ অবলম্বন করেছে। এটা শুধুই শুধুই কি আশ্চর্য সমাপতন?
  • PM | 120.168.201.98 | ২৯ মে ২০১৩ ১৫:৪৪611286
  • মাওবাদীরা সংবিধানের বা গনতন্ত্রের মা-মাসি করছে না তো? ধরা পড়লে এই সংবিধান আর তাতে বর্নীত নাগরিক অধিকার , এই বস্তাপচা গনতন্ত্র আর তার বিচার ব্যবস্থার সুবিধা কোনোটাই তো নিতে আপত্তি নেই দেখেছি।

    শুধু যতক্ষন ধরা না পড়ছে ততক্ষন সংবিধান মানে না তারা।
  • ranjan roy | 24.96.122.32 | ২৯ মে ২০১৩ ১৮:২৮611287
  • পিএম,
    মাওবাদীরা ওদের পার্টি প্রোগ্রাম অনুযায়ী ভারত সরকারের রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধে। ওরা এই সংবিধান-ভিত্তিক সংসদ, সরকার, আদালত, পুলিশ-জেল সবকিছুকে একপেশে ভাবে শোষক শ্রেণীর স্বার্থরক্ষায় নিবেদিত মনে করে। তাই তারা চায় এই ব্যবস্থা ভেঙে নতুন ব্যবস্থা কায়েম করতে, যেখানে ওদের তৈরি সংবিধান-ভিত্তিক সংসদ, সরকার, আদালত, পুলিশ-জেল থাকবে। কিন্তু সেগুলো, ওদের দাবী অনুযায়ী, জনগণের বৃহত্তর অংশের স্বার্থে মুষ্টিমেয় শোষকের দমনে ব্যবহৃত হবে।
    সিপিএম কিছুদিন আগেও পার্টি প্রোগ্রামে ভারত সরকারকে(তখন কংগ্রেস) "ল্যান্ডলর্ড-বুর্জোয়া গভর্নমেন্ট, হেডেড বাই বিগ বুর্জোয়াজী" বলে বিশেষিত করে কৃষিবিপ্লবের মাধ্যমে জঙ্গণতান্ত্রিক সরকার কায়েম করার কথা বলত। কিন্তু বলত বিপ্লবের সময় আসেনি, এখন কাজ জনগণের মনে এই ব্যব্স্থার প্রতি অনাস্থার সঞ্চার করা। জনগণের ক্রমশঃ মোহমুক্তি ঘটিয়ে বিপ্লবের জন্যে তৈরি করা।
    এখন সেই মোহমুক্তি ঘটাতে গিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে হল।
    কেন? আমাদের সংসদ কি মার্ক্স-বর্ণিত বা লেনিনের 'দ্বিতীয় আন্তর্জতিকের পতন"এ বর্ণিত 'শুয়োরের খোঁয়াড়' নয়? অন্যকিছু? আসলে কৌশলগত দিক থেকে পার্লামেন্টে গেলে জনগণের মধ্যে প্রচারের বিশেষ সুবিধে হয়। তাও হল। কিন্তু সংসদে গিয়ে সাংসদ হলে সেই বুর্জোয়া সংবিধানের নামে শপথ নিতে হয়। --ওটুকু ফর্মালিটি। আমরা তো কমনওয়েল্থ গেমস্‌ থেকে বেরিয়ে আসিনি। তার মানে কি আমরা আজো বৃটিশ মহারাণীর বশংবদ প্রজা? রামোঃ! ওসব যেমন ফর্মালিটি, এগুলো ও তেমনি। কিন্তু সরকারে যাবো না। শুধু রাজ্য সরকারে যাব। কেন্দ্রে বাইরে থেকে সমর্থন দেব। এখন রাজ্যে-কেন্দ্রে যেখানে হোক সরকারে মন্ত্রী হলে এই সংবিধান রক্ষার শপথ নিতে হয়। এই সংবিধান মেনে আইন প্রণয়ন করতে হয়। সংশোধন করতে হয়।
    তা সিপিএম ও ওসব করল। লক্ষ্যণীয়, পঞ্চায়েত নির্বাচন আইন প্রণয়নে রাজ্যের অধিকার বাড়িয়ে ওদের পাশ করা আইনটাই কিভাবে ব্যুমেরাং হল।
    সে যাকগে, এ তো সেই সন্নিসির কৌপীন ইঁদুর কাটায় বেড়াল পোষার থেকে গেরস্থালির গল্প। আজকে সিপিএম এর একমাত্র রণনৈতিক উদ্দেশ্য রাজ্যে রাজ্যে সরকার গঠন ও তৃতীয় শক্তির কোয়ালিশনে লালকিলা পর লাল নিশান!

    ফিরে আসি মাওদের কথায়। বন্দী অব্স্থায় শত্রুর থেকে আইনানুগ ব্যবহার চাওয়া,( সে আইন শত্রুর তৈরি হলেও) কি খুব অনৈতিক? তাহলে তো বৃটিশ জেলে স্বাধীনতা সংগ্রামী বন্দীদের ওদের খাবার মুখেই তোলা উচিত নয়।
    আর কৌশলগত দিক দিয়ে দেখলে জনযুদ্ধে গেরিলারা মাও-বর্ণিত জলের মধ্যে মাছের মত থাকে যাতে ওদের আলাদা করে চেনা না যায়। তাই ধরা পড়লে সে অবশ্যই একজন সাধারণ নাগরিকের মত বর্তমান সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ী বিচার চাইবে। সেভাবে একস্পোজ করতে পারবে যে এইব্যব্স্থায় আইন আসলে সবার জন্যে সমান নয়। কুঘো বা শ্রীনি'র জন্যে একরকম, সোনি সোরির জন্যে আরেক রকম।

    মূল লেখাটা রাত্তিরে লিখবো।
  • PT | 213.110.243.23 | ২৯ মে ২০১৩ ২০:৩৯611288
  • RR
    সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড মাওবাদীরা নিজেদের রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা (শ্রেণীশত্রু...... ইত্যাদি) ফিরিয়ে আনার জন্য করেছে কিনা সে ব্যাপারেও মন্তব্য করবেন।
  • PM | 233.205.169.192 | ২৯ মে ২০১৩ ২৩:০০611290
  • রন্জনদা মাওবাদীদের অবস্থান তো জানি-ই। কিন্তু "বন্দী অব্স্থায় শত্রুর থেকে "আইনানুগ" ব্যবহার চাওয়া,( সে আইন শত্রুর তৈরি হলেও) " এর মধ্যে স্ববিরোধীতা দেখতে পাচ্ছেন না?

    শত্রুরা আপনার হাতে পড়লে তার শাস্তি মৃত্যু---কিন্তু আপনি শত্রুর হাতে পড়লে সংবিধানের বা আইনের আড়াল খুঁজবেন যেটা নাকি আপনি স্বীকার-ই করেন না।

    সিপিয়েম সম্পার্কে কথা এখানে বোধ হয় অপ্রসংগিক। মাওবাদী আর সিপিয়েম দুটৈ কম্যুনিসম এর ঢাল সামনে রেখে যে যার নিজের মতো খেলে--এইটুকুই মিল। আদতে আমার চোখে সিপিয়েম একটা মধ্যবিত্ত নিয়ন্ত্রিত সংসদীয় গনতান্ত্রিক দল যারা নিম্নবিদের সাথে কোলাবোরেট করতে চেষ্টা করে। আর মাওবাদীরা হলো ঠগী/ রঘু ডাকাতের আধুনিক সংস্করন, তাদেরি ঐতিহ্য বয়ে নিয়ে চলেছে। সেযুগেও রঘু ডাকাতের প্রতি সহনুভুতিশীল শিক্ষিত লোক কম পরে নি---আজও পড়ছে না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন