এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মাওবাদী হামলা ও মহেন্দ্র কর্মা

    Ishan
    অন্যান্য | ২৬ মে ২০১৩ | ১৬৯৮৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • চান্দু মিঁঞা | 233.233.77.20 | ০৪ জুন ২০১৩ ১২:১৬611424
  • আরে মশাই মাওবাদীবলে কি মানুষ নয়! ওদেরকেও করে খেতে হবে। আর পাঁচটা শো এর মতন এটাও একটা শো আর তাই একেও থামতে দেওয়া যাবেনা।
  • কল্লোল | 111.63.168.23 | ০৪ জুন ২০১৩ ১৯:১০611425
  • পিটি। এটাই একটু মন দিয়ে বোঝার, কেন আদিবাসীরা ট্যাক্সী চালায় না। বিহারী চালায়, গোরখপুরী, ইলাহাবাদী, হরিয়ানভি, পাঞ্জাবী, তমিল, মালায়ালী সকলেই চালায়, আদিবাসী চালায় না। কারন গাড়ী চালানোর জন্য যে নূন্যতম অক্ষর জ্ঞান (ইস্কুল-কলেজের নয় - এমনিই জীবন থেকে শেখা) কিছু চিহ্ন জানতে হয়, তার জন্য একটা লেভেলে বাংলা, হিন্দি, ইংরাজি জানতে হয়, সেটাও এদের নেই। এদের ভাষায় গাড়ি চালানোর নিয়ম কানুনের কোন বই নেই।
    ৩৬ গড়, মদ্যপ্রদেশ, অন্ধ্র, উড়িষ্যায়, এরা থাকে মূলতঃ জঙ্গল ও তার আসেপাশে, সেখানকার যাপন আর বিহার বা ইউপি বা হরিয়ানার প্রত্যন্ত গ্রামের যাপনেও শতেক যোজন ফারাক। তুলনায় পঃবঃএ ও ঝাড়খন্ডে বসবাসকারী আদিবাসীরা কিছুটা ভালো অবস্থানে। দুটো দুরকম কারনে। পবয়ে জনসংখ্যার প্রাচুর্যে জঙ্গল কমে গেছে। বাঙ্গালীদের সাথে গা ঘেঁষে থাকতে থাকতে বাংলা, ও সিনেমা/টিভির দৌলতে হিন্দি কিছুটা জানে। ঝাড়খ্ন্ডে এরা ক্ষমতায় আছে। রাঁচীতে, ধানবাদে আদিবাসী অটোওয়ালা বিরল নয়।

    বারবার তো বলা হচ্ছে, এদের (৩৬ গড়, মদ্যপ্রদেশ, অন্ধ্র, উড়িষ্যায়) ইস্কুল দাও, জল দাও, রাস্তা দাও হাসপাতাল দাও, সবচেয়ে বড় কথা এদের ভাষার মর্যাদা দাও। তারপর ট্যাক্সী চালক বা কোংপানীর ভিপি করে দাও, কিচ্ছু বলার নেই। কিন্তু এসব না দিয়ে, কেন ট্যাক্সী চালায় না বল্লে - রুটি নেই তো কেক খায় না কেন হয়ে যায়।
    মাওরা আদিবাসীপ্রেমী নয়, এনিয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই। মাওরাও শিল্পোন্নত ভারত গড়তে চায়। ক্ষমতায় এলে এরাও এই একই কান্ডো ঘটাবে। কিন্তু বুদ্ধদেব আদিবাসীপ্রেমী এটা জানা গেলো কোদ্দিয়ে? ৩৪ বছরে জঙ্গলমহলের "উন্নতি" দিয়ে?
  • PT | 213.110.243.21 | ০৪ জুন ২০১৩ ১৯:৪৪611426
  • আদিবাসীদের মধ্যে কেউই ইস্কুলে যায়নি আর তাই বলে -ট্যাক্সি বাদ দিলাম-হাতে টানা রিক্সাও চালাতে পারবে না-এটা গলাঃধকরণ করা বেজায় মুশকিল। বিহারি রিক্সাচালক্দের কতজন PhD করে কলকাতায় হাতে টানা রিক্সা চালাচ্ছে সেই সংখ্যাটা জানলে ভাল লাগত। আর রিক্সা চালানোটা রুটির বদলে কেক খাওয়ার মত উন্নতির পর্যায়ে পোঁছেছে সেটাও জানতাম না।

    আজ থেকে প্রায় চল্লিশ বছর আগে কলকাতায় - আমি যে বাড়িতে থাকতাম সেটার ইঁট গেঁথেছিল বিহারি শ্রমিকরা। সেই সব মানুষদের মধ্যে মাত্র একজনকে দেখেছিলাম মাধ্যমিক পাস।

    আর বুদ্ধবাবু আদিবাসীপ্রেমি এমৎ দাবি অন্য কেউ করে থাকতে পারে-আমি করিনি।
  • কল্লোল | 125.242.136.65 | ০৪ জুন ২০১৩ ২০:৪১611427
  • পিটি। তুমি বিষয়টা বুঝছো না।
    এই লাইনটা খেয়াল করো।
    "গাড়ী চালানোর জন্য যে নূন্যতম অক্ষর জ্ঞান (ইস্কুল-কলেজের নয় - এমনিই জীবন থেকে শেখা)...... "
    শহরে এসে এই জীবনের সাথে মানিয়ে চলা এদের যাপনের বাইরে। তার জন্য ইস্কুল কলেজে যেতে হয় না। একজন প্রত্যন্ত গ্রামে থাকা বিহারী মানুষ, তবু কাজে অকাজে গোপালগঞ্জ বা হাথুয়ার মতো শহরেও যায়। আমি নিশ্চিত তুমি শহরদুটোর নামও শোনো নি। ওগুলোকে শহর বল্লে বেশ বাড়িয়েই বলা হয়। তবু। একটা গল্প বলি। আমি প্রথমবার হাথুয়ায়। স্টেশন থেকে গাড়িতে যাচ্ছি আমাদের একটা ডিস্টিলারীতে। হাথুয়া পার হয়ে একটুখানি ভিতরে যাবো। তো হাথুয়াতে বিশাল জ্যাম। মোটোর গাড়ি, ঠেলা, গরুর গাড়ি, মোট বওয়া গাধা সব মিলে জট পাকিয়ে সে এক ধুন্ধুমার। রাস্তাটা একটা বাজারের মধ্যে, ফলে সোনে পে সুহাগা। আমি ঘন্টা খানেক বসে থেকে আর না পেরে হাঁটতে হাঁটতে জ্যামের কেন্দ্রে গিয়ে দেখি একটি টাঙ্গা ও একটি সাইকেল ভ্যান মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। কেউ সরবে না। সে তুমুল ঝগড়া-সালিশি-ঝগড়া চলছে। সকলেই যারপরনাই চেঁচিয়ে দুজনকেই একটু "ব্যাক" করতে বলছে। খেয়াল করো, "ব্যাক" করতে বলছে, পিছু হঠতে বলছে না। এর মধ্যে টাঙ্গাওয়ালা এক মোক্ষম ছাড়লো। হম কৈসে ব্যাক করেঁ? হঁ? ঘোড়েকা ব্যাক গিয়র নহীঁ হোতা। বিশ্বাস করো সাইকেল ভ্যানওয়ালা মেনে নিলো। সে "ব্যাক" করলো। অবশ্য তার ব্যাক করতেও প্রায় ঘন্টা খানেক লাগলো, কারন তার পিছনেও তখন অষ্টাদশ অক্ষৌহিনী দাঁড়িয়ে।
    এটা উত্তর বিহারের এক প্রত্যন্ত জায়গার গল্প। তো এর আসেপাশের গাঁওএর মানুষ নানান দরকারে এখানে আসে ও "ব্যাক" ও "ব্যাক গিয়র" শেখে। তাদের মতো করে স্ট্রিট স্মার্ট হতে শেখে। সেটাই তার কলকাতা বা পাটনায় পুঁজি। বড় কম পুঁজি, তবু। ৩৬গড়, মধ্যপ্রদেশ, উড়িষ্যায় অধিকাংশ আদিবাসীর সে ভাগ্যও হয় না।
    বাংলা ও ঝাড়খন্ডের আদিবাসী দিয়ে সব আদিবাসীর বিচার হয় না।
  • PT | 213.110.246.230 | ০৪ জুন ২০১৩ ২১:৫০611428
  • হা-হাঃ - এক সদ্য কলকাতায় আসা বিহারি ট্যাক্সিচালক বিদ্যাসাগার সেতুর ওপর থেকে সোজা left turn নিয়ে শিবপুরের দিকে চলে গেল। ধমকালে জানাল যে সে এখনও সব রাস্তা চিনে ওঠেনি আর স্পস্টতই রাস্তার নাম পড়তে পারেনা তাই পার্ক সার্কাসের দিকে যেতে পারল না। কিছুদিন আগে গড়িয়ার মোড়ে এক বাঙালী মেট্রো স্টেশনের দিক নির্দেশ চাইল-নিউ গড়িয়া যাবে। বুঝলাম সে ঐ দিকে নতুন। কথা বলতী বোঝা গেল তার আসল সমস্যার কথা -মধ্যবয়সী মানুষটি পড়তে পারে না-তাই তাল করতে পারছে না কোন স্টেশনে নামবে।

    লক্ষ লক্ষ অক্ষর-পরিচয়হীন মানুষ দিব্য কলকাতায় করে খাচ্ছে। শুধু আদিবাসীরাই এত নাতুপুতু যে তারাই একমাত্র জনগোষ্ঠী যারা শহরে এলে পথহারা পাখী হয়ে যাবে!!

    আমরা কি কোন রাজনৈতিক অব্স্থান বা বিশ্বাসের কারণে আদিবাসীদের জঙ্গলের মধ্যে রেখে দেওয়ার জন্য বড়ই ব্যাকুল হয়ে উঠেছি?
  • bb | 127.213.210.251 | ০৪ জুন ২০১৩ ২২:০৮611429
  • PT দা- আমি আগেও লিখেছি, মুশকিল হচ্ছে আমরা সবাই আদিবাসীদের সমস্যার সমাধান নিয়ে নিজেদের সমাধান দিচ্ছি যা শহুরে দৃষ্টিভঙ্গী থেকে দেখা। তাঁদের আর কেউই জিগ্ঞাস করছেনা তাদের কি চাই?
  • pi | 78.48.231.217 | ০৪ জুন ২০১৩ ২২:১৩611430
  • একটা জিনিস বুঝছি না। কেউ বই চয়েস এই শহরের মধ্যে এলে সেটা এক কথা, যত অসুবিধে হোক, মানিয়ে নেওয়ার চেষ্ট করতে হবে, কিন্তু আদিবাসীদের কি আদৌ চয়েস দেওয়া হচ্ছে ?
  • PT | 213.110.246.230 | ০৪ জুন ২০১৩ ২২:৪৯611431
  • বিহারের মানুষগুলোকে কে চয়েস দিয়েছে? তারা পেটের ধান্দায় শহরে পাড়ি জমাচ্ছে। পিঁপড়ের ডিম খেয়ে থাকার চাইতে তো শহরে গিয়ে পরিশ্রম করা শ্রেয়।

    বামেদের গাল দেওয়ার চাইতে বড় কোন সামাজিক বিপ্লব যখন হচ্ছে না আপাততঃ, তখন আদিবাসীরাও শহরে এসে তাদের হিস্যা বুঝে নিক।

    কবে মেধা পাটেকর প্রধানমন্ত্রী হবে আর জঙ্গল-মহলে দুধ-মাখনের বন্যা বইবে তার অপেক্ষাতে থাকলে তো আদিবাসীদের কয়েক জেনারেশন এমনিতেই ডায়রিয়া আর ম্যালেরিয়াতে শেষ হয়ে যাবে।

    যারা আদিবাসীদের দুঃখে কেঁদে ভাসাচ্ছে তারা কমবয়সী ছেলে মেয়েদের হাতে-কলমে কাজ শেখানোর চেষ্টা করে দেখুক না। এখন তো বয়্স্ক একা মানুষদের দেখ-ভালের জন্যেই লোকের বিরাট চাহিদা।
  • aranya | 154.160.226.53 | ০৪ জুন ২০১৩ ২৩:১৩611432
  • 'এদের (৩৬ গড়, মদ্যপ্রদেশ, অন্ধ্র, উড়িষ্যায়) ইস্কুল দাও, জল দাও, রাস্তা দাও হাসপাতাল দাও' - এগুলো দিলে + লোকালি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে মাওবাদীদের প্রভাব কমতে বাধ্য। ফলতঃ মাওবাদীদের এগুলো চাওয়ার কথা না।
    প্রশ্ন - মাওবাদীরা কি এসবের বিরোধিতা করে?
  • rabaahuta | 172.136.192.1 | ০৪ জুন ২০১৩ ২৩:২৯611434
  • PT , - "যারা আদিবাসীদের দুঃখে কেঁদে ভাসাচ্ছে তারা কমবয়সী ছেলে মেয়েদের হাতে-কলমে কাজ শেখানোর চেষ্টা করে দেখুক না। এখন তো বয়্স্ক একা মানুষদের দেখ-ভালের জন্যেই লোকের বিরাট চাহিদা।", তো, আদিবাসীদের ছেলেমেয়েরা শিখবে হাতে কলমে কাজ আর লক্ষ্য হবে শহরের বয়স্ক একা মানুষদের দেখভাল। আর যাঁরা কেঁদে ভাসাচ্ছেন এবং যাঁরা ভাসাচ্ছেননা, তাঁদের ছেলেমেয়েরা প্রপার স্কুলে টুলে পড়বে, আর অন্যতর উচ্চাকাঙ্খা পোষন করবে। আর রাষ্ট্র লোকজনকে নির্বিচারে খেদিয়ে দিয়ে বাঁধ টাঁধ বানাবে।
    খুবই বাস্তববাদী, সন্দেহ নেই, তবে ঐ গণতন্ত্র বা সাম্য ঐসবের সঙ্গে বিরোধ দেখা যায় আরকি। আমার কোন অ্যাকটিভিজম, সক্রিয় রাজনীতি বা পড়াশুনো কিছুই সেরকম নেই, তবে শহুরে কাঁদুনী গাওয়া মনুষদের দাবী যেটা বুঝতে পারি, উচ্ছিন্ন মানুষদের সঠিক পুনর্বাসন, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ নয়, মানুষের নিজভূমের অধিকার স্বীকার করা, প্রত্যন্ত/পিছিয়ে পড়া/আদিবাসী অঞ্চলে শিক্ষা সাস্থ্য ও খাদ্যের সঠিক যোগান নিশ্চিত করা। পথাগুলি বিভিন্ন। তো এইসব না করে হাতে কলমে কাজ শিখিয়ে বয়স্ক মানুষদের দেখভাল। একটু সাম্যের পরিপন্থী আরকি, নাহলে তো ভালোই, চমকপ্রদভাবে বাস্তববাদী।
  • aranya | 154.160.226.53 | ০৪ জুন ২০১৩ ২৩:৩৫611435
  • 'শহুরে কাঁদুনী গাওয়া মনুষদের দাবী যেটা বুঝতে পারি, উচ্ছিন্ন মানুষদের সঠিক পুনর্বাসন, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ নয়, মানুষের নিজভূমের অধিকার স্বীকার করা, প্রত্যন্ত/পিছিয়ে পড়া/আদিবাসী অঞ্চলে শিক্ষা সাস্থ্য ও খাদ্যের সঠিক যোগান নিশ্চিত করা।'

    - সত্যের খাতিরে কইতেই হয়, এই সব দাবী দাওয়া নিয়ে যারা কাঁদুনী গায়, তাদের সাথে বড় একাত্মতা অনুভব করি।
  • rabaahuta | 172.136.192.1 | ০৪ জুন ২০১৩ ২৩:৫৩611436
  • তো এই দাবীগুলি করে কিভাবে আদিবাসীদের 'আতুপুতু' করে জঙ্গলে আটকে রাখার ষড়যন্ত্র চলছে, তাদের আলস্যকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে বা শাইনিং ইন্ডিয়ার বিভা থেকে তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে সেটা বুঝতেই অসুবিধে হচ্ছে। এর বদলে হাতে কলমে কাজ শিখে তারা শহরের একা বয়স্ক মানুষদের সেবা করে সাম্যের পতাকাতলে মিলিত হবে কি করে হবে সেটাও কঠিন প্রশ্ন।
    এই চাহিদা গুলি পূরণ না হলে তো দৌড়টা এক জায়গা থেকে শুরু করাই সম্বব নয়। স্বপ্ন এবং সম্ভাবনা গুলি দেখার জন্যেও তো পটভূমি, পরিস্থিতি, প্রস্তুতি লাগে। মানছি, আমি বা এই শহুরে 'কাঁদুনী গাওয়া' লোকেরা বস্তারের জঙ্গলের জীবন জানেন না। কিন্তু সেখানে যে খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থের অভাব আছে সেগুলি তো অজানা কিছু নয়? আর এগুলি যে প্রয়যনীয় তাও তো জানি? 'হাতে কলমে কাজ শেখা' আর স্কুলে যাওয়ার, বা যেতে পারার তফ্তাৎ তো জানি?
    স্বাধীনতার ৬৫ বছর পর সেই পটভূমি বা বেছে নেবার ক্ষমতা তৈরী হলে এই আলোচনাগুলি হতো না, শহুরে মানুষ কাঁদুনীও গাইতো না।
  • lcm | 138.32.84.103 | ০৫ জুন ২০১৩ ০০:০০611437
  • সত্তর আশির দশক পর্যন্ত, আদিবাসী শ্রমিক কলকাতা এবং শহরতলী এলাকায় আসত। মাটি কাটা, বাড়ি তৈরীর কাজ ... ইত্যাদি জনমজুরের কাজে দেখা যেত। সাঁওতাল বা ধাঙড় শ্রমিক বলা হত। পরিশ্রমী বলে লেবার মার্কেটে ডিমান্ড ছিল এদের।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 | ০৫ জুন ২০১৩ ০০:০৮611438
  • হুতোদাকে কিছু ক দিয়ে গেলাম।
    যেহেতু আমাদের, শহুরে মানুষদের কাঁদুনির শেষ নেই, এবং আমরা যখন বেশির ভাগ সময়েই নিজেদের জন্যই কাঁদি, এবং শুনবার সমস্ত কান গুলোও যেহেতু শহুরে, তাই একজন দুজন জঙ্গলের দিলে তাকিয়ে কাঁদলে যদি সামান্য কিছু হয়। এমনিতেই তো পুরোটাই অসম লড়াই।
  • rabaahuta | 172.136.192.1 | ০৫ জুন ২০১৩ ০০:১৪611439
  • হুঁ, অলস আতুপুতু আদিবাসীরা শহরে কাজের খোঁজে আসেনা সেটা ভুল তথ্য, মানে বস্তারে কি হয় জানিনা- অন্যান্য জায়গায় দেখেছি।

    বাঘাযতীনে রেললাইনের ধারে সাঁওতাল বস্তি ছিল। বস্তি কিসের, খুব বেশী হলে পাঁচটা কুঁড়ে ঘর। রাতে আগুন জ্বেলে গান হতো অনেক সময়। এখন ফ্ল্যাটবাড়ি হয়ে গেছে।

    তবে বারবার 'আদিবাসী' উল্লেখটা অস্বস্তিকর। বস্তারের আদিবাসী আর মেঘালয়ের আদিবাসী - পুরো আলাদা অব্স্থান তো। আবার মহেন্দ্র কর্মাও জন্মসূত্রে আদিবাসী, সোনি সোরিও তাই। প্রদ্যোৎ বিক্রম কিশোর মাণিক্য দেববর্মাও সংজ্ঞা অনুযায়ী আদিবাসী, ত্রিপুরার লুসাই চাকমারাও তাই।
  • ranjan roy | 24.99.237.70 | ০৫ জুন ২০১৩ ০০:১৯611440
  • আবার সেই কথা!
    আদিবাসীরা কোলকাতা-গড়িয়ায় ট্যাক্সি চালাবে আর রঞ্জন ও পিটি তাতে চড়বে।ঃ)))
    তার চেয়ে একশ কিলোমিটার দূরে নিজের এলাকায় রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ হলে , বাজার হলে ওখানেই একদিন ট্যাক্সি চলতে শুরু করবে । তখন যে আদিবাসীরা জমির রোজগারে পরিবার পালান করতে পারবে না তারা, বাই দেয়ার ওন চয়েস, কৃষি ছেড়ে অনেক কিছু করবে। ট্যাক্সিও চালাতে পারে।
    কিন্তু ৩৬গড়ে সাধারণতঃ, আর আদিবাসী এলাকায় বিশেষ করে, জমির ওপর জনসংখ্যার চাপ নেই। ডেনসিটি খুব কম। জমি প্রচূর পড়ে আছে।
    তো লোকে বাপ-পিতেমোর কৃষিকাজ ছেড়ে খামোকা শহরে ট্যাক্সি চালাবেই কেন? কোলকাতায় ভাল চাকরি পেলে এখানকার ছেলেপুলেরা চেন্নই, লুরু,পুণে, দিল্লি যাবেই কেন?

    পিটি,
    অন্যভাবে নেবেন না। আপনাকে ব্যক্তিগত ভাবে জানি। নিজের শাস্ত্রে আপনি অত্যন্ত পন্ডিত ও নামী স্কলার। বহুদিন বিদেশে ছিলেন। চাইলেই বিদেশে ভালো চাকরি করে কাটিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু ফিরে এলেন ভারতে। তারপর এলেন বঙ্গে। এখন বাড়ি করেছেন কোলকাতায়।
    এটাই আদিবাসীদের ক্ষেত্রেও সত্যি। নিজভূমে কর্মসংস্থান পেলে পরবাসে কে রবে হায়!
  • ranjan roy | 24.99.237.70 | ০৫ জুন ২০১৩ ০০:৩৩611441
  • অরণ্য,
    যা বুঝছি যে মাওবাদীরা এসব এতদিন হয় নি বলে লোককে স্বপ্ন দেখিয়েছে যে ওরা ক্ষমতায় এলে এসবকে প্রাথমিকতা দেবে।
    এখন ওই পিছিয়ে থাকা এলাকায় জঙ্গলের মাঝে ওরা নিজেদের মত করে স্কুল চালায়, ক্লাস নেয়। নিউজ শোনায়। বই পত্রিকা পড়ে শোনায়। রাজনীতিরও ক্লাস নেয়। প্রাইমারি লেভেলের হাসপাতাল চালায়। হাতের কিচু কাজকম্ম শেখায় যা ওদের লড়াকু জীবনে কাজে লাগবে। ছেলেদেরও রান্নার ডিউটি দেয়া হয়। মেয়েদেরও নিজেদের কিট ক্যারি করতে হয়।
    আর এখন সরকার করতে গেলে মাওবাদীরা অবশ্যই বিরোধিতা করে এই বলে যে এগুলো সরকার আদিবাসীদের স্বার্থে করছে না। ওইটুকু করছে যেটুকুতে সরকারের আর্মড ফোর্স ভিতরে ঢুকে ঘাঁটি গাড়তে পারে। স্কুল বিল্ডিংয়ে ফোর্সের আস্তানা হবে, এই আর কি! তবু সাধারণতঃ ওরা শিক্ষক , শিল্পী ও ডাক্তারদের আক্রমণ করেনা।
    সেই জন্যেই যখন আমিও দিল্লি থেকে আসা অ্যাডাল্ট এডুকেশনের পরিদর্শক দলের সঙ্গে এঁটুলির মত বস্তারে ওই দন্তেওয়াড়া, সুকমা, দরভায় গিয়েছিলাম বা সলওয়া জুড়্ম ক্যাম্পে স্কুল দেখছিলাম তাতে ওরা কোন হামলা করেনি।
    [এই নিয়ে লেখা গতবছরের শেষে বুলবুলভাজায় চার সংখ্যায় বেরিয়েছিল]

    অথচ খবরের কাগজের রিপোর্ট অনুযায়ী ওরা আমাদের গতিপথের নীচ দিয়েই সুড়ঙ্গ করে বারুদ বিছিয়ে বুবিট্র্যাপ করে রেখেছিল। আমরা ফিরে আসার পরে পরেই সিআর্পি কম্পানির ফিরে আসার সময় ব্লাস্ট করিয়ে গুলি চালাল।

    একটা খবরঃ এখন বোধহয় সবচেয়ে সুরক্ষিত শহর জগদলপুর।
    আমি অবশ্য রায়পুরে যাব ১০ দিন পরে।
  • aranya | 154.160.226.53 | ০৫ জুন ২০১৩ ০১:৪১611442
  • 'ওরা আমাদের গতিপথের নীচ দিয়েই সুড়ঙ্গ করে বারুদ বিছিয়ে বুবিট্র্যাপ করে রেখেছিল' - মাই গুডনেস, কন কি রঞ্জন-দা। সেলাম আপনারে সেলাম - সাহসের জন্য। হামলা করবে না (অন থিয়োরি) হয়ত, তা সত্ত্বেও বেশ বুকের পাটা দরকার ঐ সব এলাকায় যাওয়ার জন্য।

    হ্যাঁ, মাওবাদীরা স্কুল, হাসপাতাল চালায় বটে, তবে তা ঠিক সরকারী ব্যবস্থার বিকল্প হওয়া মুশকিল। যেমন মাওবাদী স্কুলে প্রাথমিক পড়াশুনো হতে পারে কিন্তু হাই স্কুল লেভেলের শিক্ষা মনে হয় দেওয়া যাবে না বা দেওয়া গেলেও ঐ স্কুলের ডিগ্রী কোন কলেজে গ্রাহ্য হবে না। ভাল হাসপাতাল-ও মাওবাদীদের পক্ষে চালান সম্ভব বলে মনে হয় না - ডাক্তার, মডার্ন ইনস্ট্রুমেন্টস ইঃ-র অপ্রতুলতা থাকবে।

    এটা একটা ডেডলক টাইপের অবস্থা। মাওবাদীদের সশস্ত্র আন্দোলনে জন্যই সরকারের টনক নড়েছে, সরকার ছিটেফোঁটা কিছু করতে চায় আদিবাসী এলাকায় আবার মাওবাদীরাই বিভিন্ন কারণে তার বিরোধিতা করবে - রাস্তা বানালে আর্মি ঢুকেআসবে, স্কুলে আর্মি ক্যাম্প হবে, ইন জেনারেল একটু বেটার লাইফ্হলে, কিছু সুযোগ সুবিধা পেলে অনেক কম মানুষ মাওবাদী দলে নাম লেখাবে।

    মাওবাদীদের কনসার্ন-গুলো ও তাদের সারভাইভালের জন্য সত্যি, রিয়াল ডেডলক।
  • ddt | 135.20.82.166 | ০৫ জুন ২০১৩ ০২:২৮611443
  • 'নন্দ্কুমার প্যাটেলকে মারল কেন? যা পড়ছি তাতে তো মনে হচ্ছে উনি পুলিশ এক্সেসের প্রতিবাদ করতেন!'

    নন্দবাবু আগে নাকি ৩৬গড়ের গৃহমন্ত্রী ছিল। তখন প্রথম সি আর পি এফ নামানো হয়। সেই রাগ।
  • ddt | 135.20.82.166 | ০৫ জুন ২০১৩ ০২:৩৫611445
  • গৌতম নবলখা অবুঝমাড়ে ঘুরে বেরিয়েছিল। গণপথির ইন্টারভিউ নিয়েছিল। জনতানাম সরকারের ডিভেলাপমেন্ট মডেল নিয়ে কিছু কিছু লিখেছিল

    http://sanhati.com/articles/2250/
  • pi | 78.48.231.217 | ০৫ জুন ২০১৩ ০২:৪৯611446
  • 'কবে মেধা পাটেকর প্রধানমন্ত্রী হবে আর জঙ্গল-মহলে দুধ-মাখনের বন্যা বইবে তার অপেক্ষাতে থাকলে তো আদিবাসীদের কয়েক জেনারেশন এমনিতেই ডায়রিয়া আর ম্যালেরিয়াতে শেষ হয়ে যাবে।'

    এটা একেবারেই বুঝলাম না। আদিবাসীরা ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়ায় মরার মতন অবস্থায় আছেন, এই নিয়ে তো এখনো আপত্তি জানানো হচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য তো বেসিক রাইট্স। এগুলো না দেবার কথা কোথাও হয়েছে ? বরং বারেবারে বলা হচ্ছে, স্বাধীনতার এত বছর পরেও স্বাধীন ভারতবর্ষ তার আদিবাসীদের জন্য এই ব্যবস্থাটুকু করে উঠতে পারেনি, উল্টে তাদের নিজ ভূমি থেকে উৎখাত করছে। কখনো এমন কাজও করছে, যাতে ঐ ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়া বেড়ে যাওয়ার মত পরিস্থিতিও হয় ( বড় বাঁধের সাথে ম্যালেরিয়া বেড়ে যাবার সম্পর্ক আশা করি জানেন)।
    আর আগেও জিগিয়েছিলাম, আবারো জিগাই, জল, জঙ্গলএর অধিকারের অন্দোলনের সাথে স্বাস্থ্য, শিক্ষার অধিকারের বিরোধ কোথায় আর সেই বিরোধিতা কোন আন্দোলনকারীই বা করছেন ? মাওবাদীরাও করেন না। রঞ্জনদার পোস্ট পশ্য।
  • pinaki | 56.17.190.22 | ০৫ জুন ২০১৩ ০২:৫৩611447
  • স্কুল চালানো বা স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া বা সম্ভব হলে বিকল্প আইন আদালতের সরকারি কাজকর্মের পরীক্ষা নিরীক্ষা তো এই ব্যাবস্থার মধ্যেই যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করতে হবে। পুরোটা না পারা গেলেও যা পারা যাবে তার মধ্যেও যদি বিকল্পের সম্ভাবনাটুকুও তুলে ধরা যায় - সেটাই অনেক। মাওবাদীরা এব্যাপারে সাধ্যমত চেষ্টা করছে। চেষ্টা করলে ভুলত্রুটিও হবে। সেটাই স্বাভাবিক। এব্যাপারে তাই আমার মাওবাদীদের প্রতি কোনো অভিযোগতো নেইই, উল্টে খুবই অ্যাপ্রিশিয়েট করি। আমার সমস্যা একমাত্র এই হত্যার রাজনীতিকে একমাত্র রাস্তা বানিয়ে ফেলা আর তাকে যেনতেনপ্রকারে থিওরাইজ করা নিয়ে। আগে প্রকাশ্যে সমালোচনা করতে অস্বস্তি হত। এখন এই থিওরাইজেশনটার প্রাবল্য দেখে (বিশেষতঃ লালগড়ের সময় ঐ আপাতঃ সাফল্যের যা অ্যাসার্শন দেখেছি, যদিও সে আন্দোলন প্রায় পুরোটা তিনোরা খেয়ে ফেলার পর, বা নিজেরা এত ক্ষতি স্বীকারের পরও কোনও লেখাপত্রে নিজেদের লাইনের দুর্বলতা নিয়ে একটি শব্দও দেখিনি) এখন প্রকাশ্যেই সমালোচনা করি। আদিবাসীরা 'স্বতন্ত্র সত্বা', ইত্যাদি নিয়ে যে থিওরাইজেশনটা এখন বাজারে চলছে, মানে সশস্ত্র প্রতিরোধের জাস্টিফিকেশনে, সেটা নিয়েও অনেক কথা বলার ছিল। সময় হলে লেখা যাবে কখনও।
  • pi | 78.48.231.217 | ০৫ জুন ২০১৩ ০৩:০১611448
  • কোবাদ গান্ধীর একটা সাক্ষাতকার থেকে ঃ

    '...The Bastar region of Chhattisgarh is emerging as a Maoist bastion, and you seem to be giving extra emphasis on schools there?

    Not schools but education. We are trying to give basic education through Mobile Academic Schools (MAS). Teaching basic sciences, mathematics and indigenous languages. Teams involved in the process are specialising in designing courses for the people who are backward, so that they can learn faster.

    We are taking extra care to improve health facilities, as well. For example, wherever we work, we have told the tribals to boil drinking water. It has reduced diseases & death by 50%. Even independent NGOs have said so. Child mortality decreased because we have managed to empower women to an extent. The level of under-development in Bastar and all these areas is worse than, as some indicators suggest, sub-Saharan Africa....'
  • PT | 213.110.246.230 | ০৫ জুন ২০১৩ ০৭:৫৩611449
  • শিক্ষা এবং নগরায়ণ যখন জঙ্গল মহলে যাচ্ছে না তখন জঙ্গল মহলের মানুষ শহরের দিকে আসুক-এত কথা বলার এটাই উদ্দেশ্য। বিহার নামক একটা গোটা রাজ্যের মানুষ কাজের সন্ধানে ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে-জঙ্গল মহলের মানুষ সেটা করবে না কেন? আপত্তি আরও এক জায়গায়-আদিবাসীদের সমস্যাটাকে অসংখ্য গরীব ভারতীয় সমস্যা থেকে অলাদা করে দেখানোর প্রচেষ্টাতে। এই অবস্থানটা রাজনৈতিক-যেটা পারমাণবিক বিদ্যুতের বিরোধীতা, বাঁধের বিরোধীতা, ন্যানোর বিরোধীতার সঙ্গে একাসনে রাখা যায়।

    RR
    স্বভুমি ছেড়ে অন্যত্র না যাওয়ার পক্ষে কথা বলাটা প্রাচীন বঙ্গ দেশীয় সংস্কৃতি। এটা ভারতেই বহুদিন অচল-তাহলে কলকাতার ৬০% অ-বাঙালীদের দখলে চলে যেত না। বিহারিরা ট্যক্সি চালালে সেই ট্যাক্সিতে চড়তে যদি পিটি আর RR-এর আপত্তি না থাকে তাহলে আদিবাসীরা ট্যাক্সি চালালে তাতে চড়তে আপত্তি কেন? তারা জঙ্গলের মানুষ-মঙ্গল গ্রহ থেকে তো আসেনি।

    আর আমি বঙ্গে ফিরেছি মনমত "কাজের" সন্ধান পেয়েছি বলে-আমার হিসেব মত সব ঠিকঠাক হলে আপনার সঙ্গে কানপুরে বসে তক্ক করতাম।
  • bb | 127.195.189.87 | ০৫ জুন ২০১৩ ০৮:২৪611450
  • রঞ্জনদা- আপনাদের এই যুক্তিটা খুব অবাক লাগে। এদিকে গুরুর বেশীরভাগ জনতা (ইনক্লুডিং আমি ) নিজভুমের বাইরে নিজ ইচ্ছায় থাকে, কারণ উন্নতি করা। অথচ আদিবাসীরা নাকি নিজের জায়্গার বাইরে যেতে চায়না? এইটা কে ঠিক করে দিল? তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদির বন্দোবস্ত করে তাদেরও সুযোগ দেওয়া হোক বাইরে যাওয়ার।
    তারা ঠিক করুক তারা নিজের জায়গায় থাকবেন না রাজস্থান যাবেন। যারা নিজেরা ব্যাঙ্গালোর বা বস্টনে বেশী উন্নত জীবনের জন্য স্বেচ্ছায় যায় আর অন্যকে বলে নিজের জায়গায় থাকতে সেটা দ্বিচারিতা বলেই মনে হয়। যে যাবে তাকেই ঠিক করতে দিন সেটা।
  • r2h | 78.224.201.112 | ০৫ জুন ২০১৩ ০৮:৪০611451
  • bb, যে যাবে তার না যেতে চাওয়ার চয়েস থাকা না থাকা নিয়ে ঈশান কিছু লিখেছিলেন। যুক্তিপূর্ণ মনে হয়েছিল।
  • PT | 213.110.246.230 | ০৫ জুন ২০১৩ ০৯:২৩611452
  • rabaahuta
    বয়্স্ক/অসুস্থ/অসক্ত মানুষদের দেখাশোনার কাজকে কোন কোন দেশ বিপুল পরিমাণ মানুষের চাকরীর সংস্থান হিসেবে ব্যবহার করেছে। আমার চেনা পরিচিত স্বল্পশিক্ষিত অনেক মানুষই বিদেশে এই কাজ করেন। বেকার সমস্যার আংশিক সমাধানের এই স্ট্র্যাটেজি অনেক পুরোন -আমার মস্তিষ্কপ্রসূত নয়। সুইডেনে জাহাজ তৈরির কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময়ে প্রচুর মানুষ চাকরী হারায়। সে দেশের সরকার এই সব বেকার মানুষদের প্রশিক্ষণ দিয়ে বয়্স্ক/অসুস্থ/অসক্ত মানুষদের দেখাশোনার কাজে নিযুক্ত করে। অতদূরেও যাওয়ার দরকার নেই। কলকাতায় বিভিন্ন এজেন্সিতে যোগাযোগ করলে আজকাল তারাও এই ধরণের কাজের মানুষের জোগান দেয়।
  • bb | 132.248.163.3 | ০৫ জুন ২০১৩ ১০:৩৪611453
  • r2H ঈশানের লেখা আমি হয়ত মিস করে গেছি, দেখে নেব। কিন্তু এই মাওবাদী বা আমরা (সংহতি, জনহতি, কাফিলা) সবাই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গীদিয়ে এই সমস্যাটা দেখছি, তার কথাই আমি বলছি। বরং কল্লোলদার কথাটা প্রথমে অনেক যুক্তিপূর্ণ লেগেছিল।
    আমি বরং আদিবাসীরা কি বলছেন সেটা জানতে উৎসুক।
  • কল্লোল | 116.66.159.5 | ০৫ জুন ২০১৩ ১১:২৪611454
  • বিবি। আমরা কেন বাইরে যাই, তার যুক্তি দিয়ে আদিবাসীদের মাপতে গেলে ভুল হবে।
    আমি একমত, আদিবাসীদের মতমত নেওয়া উচিৎ। রাষ্ট্র কি তা করবে? উত্তর সোজা সাপটা - না। কাশ্মীরে করেনি, উঃপূঃতে করেনি। কোনদিন শোনা যায় নি যেখানে বাঁধ বা খনি বা কারখানা হবে সেখানকার মানুষের সাথে কথা বলে, তাদের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
  • lcm | 34.4.162.218 | ০৫ জুন ২০১৩ ১১:৪৪611456
  • রুক্ষ, অনুর্বর জমিতে লড়াই করে আর কত শত বছরই বা থাকবে মানুষ, বেরিয়ে আসবে। নিজেদের তাগিদেই আসবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন