এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মাওবাদী হামলা ও মহেন্দ্র কর্মা

    Ishan
    অন্যান্য | ২৬ মে ২০১৩ | ১৬৯৭৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কল্লোল | 111.63.136.72 | ০২ জুন ২০১৩ ০৬:৫৮611392
  • ঋভু।
    আমার খুব নিশ্চিত ধারনা নেই, কিন্তু বাঁধ কোথায় হবে সেই জায়গা নির্বাচনে এসব্কিছুর ভূমিকা আছে। শুনেছি DVCর প্রকল্পে যতোগুলো বাঁধ হওয়ার কথা ছিলো তার অনেকগুলোই হয় নি।
    শুনেছি আসানসোলের তলায় প্রচুর কয়লা আছে।
    এটাও ঠিক যে, আমাদের ভ্দ্রলোকেদের বিজলী-পানি-সড়ক দিতে গিয়ে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আদিবাসী জনগোষ্ঠী। তা না হলে একটা জনগোষ্ঠীর ৪০% মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে যায় কি করে?
    পিটি।
    একমত, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে ৬৬/৬৭ বছরে আদিবাসীদের জন্য অনেক কিছু করা যেতো। সেই সদিচ্ছা কারুরই নেই। তার দায় তো আদিবাসীদের নয়। বরং প্রচুর বদিচ্ছা আছে। সেগুলো আদিবাসীদের ওপর চাপাতেই গিয়েই মেধা থেকে মাও।
    এসটি এসসি নিয়ে তো নাচা কোঁদার শেষ নেই। কতো চুটকি, কতো রাগ। তারা নাকি সরকারের সোনার টুকরো সোনার চাঁদ। তাহলে আজ তাদের এই দশা কেন?
    তাই জন্যই বলা, তাদের আর ঝামেলায় না ফেলে, অন্ততঃ যেমন আছে তেমনই থাকতে দেওয়া হোক।
  • PT | 213.110.246.230 | ০২ জুন ২০১৩ ১১:২২611393
  • এরকম আলাদা আলাদা করে দেখলে কি করে চলবে? দেশভাগের সময়ে বাঙালী জনগোষ্ঠীর কত শতাংশ উদ্বাস্তু হয়ে তাদের কত গুলো জেনারেশন হেজে-মজে গিয়েছে এবং এখনও যাচ্ছে তার হিসেব কে করছে? মরিচঝাঁপি তো খুব বেশীদিন আগের ঘটনা নয়।
  • কল্লোল | 125.242.189.165 | ০২ জুন ২০১৩ ১৩:০০611394
  • পিটি। অ্যায়। এক্কেরে ঠিক জয়গাটা ধরেছো ভায়া। বলতো সে সব উদ্বাস্তুরা কোথায় গেলো? আমরা যাদের খবর রাখি, এমনকি স্বয়ং ঋত্বিকও যাদের নিয়ে ফিল্ম বানাতেন, তারা বর্ণহিন্দু ভদ্রলোক শিক্ষিত উদ্বাস্তু। একমাত্র সুবর্ণরেখা এক বাগদীর পো কে নিয়ে। তবে সেও তো বর্ণহিন্দুর ঘরেই মানুষ হলো। যেই তার বাগদীত্ব প্রকাশ পেলো, ওমনি সে দূরছাইয়ের দলে চলে গেলো। আর তাকে আশ্রয় দেবার অপরাধে বর্ণহিন্দু ভদ্রলোকেরও কি হেনস্তা।
    কিন্তু সে তো সুবর্ণরেখার গপ্পো। তো এখন সেই সব বাগদী, তেলি ছোটজাতেরা গেলো কোই? সুবর্ণরেখাতেই উত্তর আছে। তবে সে নেহাৎ বলতে হয় তাই বলা - দন্ডকারণ্য, কিছু আন্দামান, এমনকি কিছু কর্ণটকের রায়্চুর জেলার সিংহানুরে (যাদের দৌলতে কর্ণাটকে বাংলা দ্বিতীয় ভাষার মর্যাদা পেলো)। এরকম সারা ভারতের নাম না জানা বহু অঞ্চলে তাদের ঠেলে দেওয়া হয়েছিলো। দ্যাখো তবে, ভদ্রলোক শিক্ষিত উদ্বাস্তু আর অশিক্ষিত ছোট্জাতের উদ্বাস্তু - তফাৎ হয়, খুবই তফাৎ হয়। ভদ্রলোকেরা কলকাতার আশেপাশে কলোনী গড়েন (তাদের লড়াইকে ছোট করছি না) এবং শেষ পর্যন্ত পাট্টা পেয়ে বাড়ি হাঁকান। অথবা চিত্তরঞ্জন পার্কের ইপিডিপি কলোনীতে ভালোই থাকেন। আর ছোটলোক উদ্বাস্তুরা - মরিচঝাঁপি হয়ে যান, বা সম্পূর্ণ বিস্মৃতির তলায় হারিয়ে যান।
    তাই পিটি সব মরণ নয় সমান-এর মতো সব উদ্বাস্তু নয় সমান। আলাদা আলাদা করেই দেখতে হবে।
  • PT | 213.110.246.230 | ০২ জুন ২০১৩ ১৩:২৮611395
  • কল্লোলদাঃ খানিকটা মানলাম আবার মানলামও না।

    আমার চেনা (বর্ণহিন্দু) আত্মীয়রা দু-দুটো জেনারেশন ধরে নাখেয়ে বা অর্ধভুক্ত থেকে, স্বভূমি ছেড়ে গড়িয়ার বিবেকানন্দ কলোণীতে এসে সম্পুর্ণ অচেনা পরিস্থিতিতে লড়াই করে এতদিনে স্থিত হয়েছে। আমার চেনা মানুষদের লেখা-পড়া ইত্যাদি কোন কাজেই লাগেনি-এক দাদা প্লাস্টার অব প্যারিসের ওপরে সাঁটা ছবি বানাত আর ঘুরে ঘুরে বিক্রি করত, অন্য আরেকজন রাস্তা কাটার কাজও করেছে। আর তাদের এখন স্থিত হওয়ার অন্যতম কারণ জমির আকাল। দখল করা জমি (পরে বোধহয় পাট্টা পাওয়া) প্রোমোটারকে দিয়ে সেই বংশের তৃতীয় পুরুষ একটি ফ্ল্যাট আর একটা ৩ফুটx৪ফুটের চানাচুর-বাদামের দোকান দিয়েছে। এরকম উদাহরণ অসংখ্য দেওয়া যেতে পারে।

    এদের কথা বাদ দিলাম। অসংখ্য শিখ/পাঞ্জাবি দেশ-গাঁ ছেড়ে কলকাতায় লরি-ট্যাক্সি চালান। শয়ে শয়ে বিহারী বিহার ছেড়ে এসে হাওড়ায় কুলির কাজ করেন। আর মেদিনিপুর বা মুর্শিদাবাদের অসংখ্য যুবক কেরালা বা মুম্বাইতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে যান। জঙ্গল মহলের মানুষেরা, যাঁরা কলকাতা থেকে খুব দুরে থাকেন না এইসব কাজ করেন না কেন? কতজন হেমব্রম বা টুডুকে কলকাতায় ট্যাক্সি চালাতে বা হাওড়ায় কুলির কাজ করতে দেখা গিয়েছে? এই কাজ করতে তাদের কারা আটকেছে?
  • কল্লোল | 125.241.88.132 | ০২ জুন ২০১৩ ১৮:০৪611396
  • পিটি।
    এর উত্তর আমার কাছে নেই, কেন হেমব্রম বা টুডুরা কলকাতায় এসে ট্যাক্সি চালান না। একটু খোঁজার চেষ্টা করি।
    আদিবাসীরা কলকাতায় কাজে আসে কি? সাধারনভাবে না। কলকাতায় মজুর, রাজমিস্ত্রী, মুটে, স্টেশনের মালবাহক এদের মধ্যে আদিবাসী আমি দেখিনি, এমনকি খড়্গপুরেও প্রায় না। ওখানে, তুমি তো জানোই অন্ধ্র থেকে মানুষ আসেন এসব কাজ করতে। কলে কারখানায় আদিবাসী মজুর বেশ কম, একমাত্র খাদান ছাড়া।
    যদিও কলকাতায় মেট্রো রেলের কাজে (মাটি কাটা) প্রচুর আদিবাসী এসেছিলেন পার্কস্ট্রিট স্টেশনের অংশটিতে। যদি মনে থাকে পার্কস্ট্রিট থেকে টাটা সেন্টার পর্যন্ত ময়দানের অংশটি একটা ছোটোখাটো মাটির পাহাড় হয়ে থাকতো। তার ওপাড়ে নাকি একটা আদিবাসী পল্লী অবধি হয়ে গেছিলো ময়দানের ঐ অংশের পুকুর পাড়ে, যে পুকুরটি পরে ময়দান বই মেলার ভিতরে থাকতো। এরা কিন্তু মেট্রোর অন্য অংশে ছিলো না।
    এরা মূলতঃ জঙ্গলের সন্তান। সম্ভবতঃ শহরে, কিশেষ করে তাদের অঞ্চল থেকে দূর শহরে খুব স্বস্তিতে থাকে না।
    এরা জাতিগতভাবে খুবই সরলমনা (ব্যাঙ্গার্থে নয়)। তাই বোধহয় শহরের ছলচাতুরীর সাথে একেবারেই মানিয়ে নিতে পারে না।
    তুমি নিশ্চই চল মিনি আসাম যাবো গানটা শুনেছো। খুব বিরল জাতের লোকগীতি। গানটি আসামের চা বাগানে আসা আদিবাসী মজুরদের লোকগান। ফলে সাঙ্গীতিক জায়গা থেকে খুব বিরল একটা মিশ্রন ঘটেছে - বিহু ও সাঁওতালী লোকসুর। সাধারনত লোকগীতিতে এটা হয় না। ধুর, যেটা বলছিলাম - ওতে দেখো একটা লাইন - হায় যদুরাম, ফাঁকি দিয়া পঠাইলি আসাম। যদুরাম আড়কাঠি ওদের নানান সুখের প্রলোভন দেখিয়ে আসামে নিয়ে এসেছিলো।
    এরা এরকমই। চাহিদা বড় সামান্য। সেটুকু পেলে ধামসা মাদল বাজিয়ে আনন্দে থাকে।
    এদের নিজভুমে একটু বিজলী, একটু সড়ক, একটু পানি আর একটু ইস্কুল - সেটাও মেলে না। উল্টে সারাক্ষণ উৎখাতের ভূত তাড়া করে বেড়ায়।
  • pinaki | 56.17.190.22 | ০২ জুন ২০১৩ ১৮:৪৩611397
  • মেইনলি মাটি কাটা, ড্রেন পরিষ্কার, জঙ্গল পরিষ্কার এই ধরণের কাজ করতে দেখেছি আমাদের মফঃস্বল এলাকায় (নিউব্যারাকপুর) সাঁওতালদের। সকালে ৭ টা নাগাদ স্টেশনের কাছে অনেকে এসে দাঁড়ায়, কাজের জন্য। এই ধরণের কাজ থাকলে লোকে এসে দরদাম করে নিয়ে যায়।
  • PT | 213.110.243.23 | ০২ জুন ২০১৩ ১৮:৫৫611398
  • বাঙালীও কিন্তু বহুদিন রকে বসে চারমিনার টেনে ফেলিনি আর কামু-কাফকা করে মাছের ঝোল-ভাত খেয়ে আনন্দে ছিল। সে ভাত-ঘুম বাঙালীর বহুদিন হল ছুটে গিয়েছে। এবার জঙ্গল-মহলের মানুষদের ধামসা-মাদল তাকে তুলে রেখে বোধহয় লড়াইতে নামার সময় হয়েছে।
  • $ | 69.160.212.37 | ০২ জুন ২০১৩ ১৮:৫৭611399
  • এই লেখাটি কিছু ভাবনা চিন্তার খোরাক জগতে পারে। সবাইকে পড়তে অনুরোধ করছি। কিছু প্রাথমিক তথ্য:

    Title: Dealing With The Maoists

    Authors: CHITRANGADA CHOUDHURY, AJAY DANDEKAR

    Published in: Outlook, May 31, 2013

    (Very) brief summary: The Maoists want a military conflict as it brings more adivasis into their fold. The Indian state's best bet is in ensuring that it wins over the aam adivasis to its side.

    Link: http://www.outlookindia.com/article.aspx?285799
  • ranjan roy | 24.99.184.100 | ০২ জুন ২০১৩ ১৯:৩৭611401
  • পিটি,/কল্লোল,

    খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন। আলোচনা চলুক।
    আদিবাসীদের বাদ দিলেও এই গাঁ থেকে শহরে খেপ খাটতে আসা কৃষক জনগোষ্ঠীদের আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। কারণ এদের অনেকেই গ্রামীণ ব্যাংকের ক্লায়েন্ট।
    আসলে ছত্তিশগড়ের বিশাল এলাকায় সেচের অভাবে একটিই ফসল হয়। তাই গরীব মানুষেরা ওদের সামান্য জমিতে ধানকাটা হয়ে গেলে ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই আড়কাঠিদের সঙ্গে সপরিবারে বেরিয়ে পড়েন। কেউ কেউ হোলির পর। মাটির বাড়ির কাঠের দরজায় শেকল ঝোলে আর তালা। এরা যান প্রধানতঃ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, ইউপি, দিল্লির আশে পাশে, জম্মু-পর্য্যন্ত।
    কাজ করেন প্রধানতঃ ইঁটভাটায়, ও নির্মাণ প্রকল্পগুলোতে। অনেকেই আমির খানের নিউজ চ্যানেল নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক সিনেমাটি দেখেছেন যাতে নাত্থা বলে ৩৬গড়ি মজদূরটি গুরগাঁওয়ে কাজ করছে।
    এই "পলায়ন" বা exodous এত পুরনো প্রথা যে একজন মন্ত্রী কিশোরীলাল শুক্লা এটা কে ৩৬গড়ের বৈশিষ্ট বলায় গাল খেয়েছিলেন।
    গোপাল হালদারের উপন্যাসেও কোলকাতার আশেপাশে ''বিলাসপুরিয়া" মজদুরদের খাটার ক্ষমতার সুনাম আছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
    এখন এই ভাবে ৩৬গড় থেকে লোক নিয়ে যাওয়কে দন্ডনীয় অপরাধ ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ এদের যা প্রমিস করে নিয়ে যাওয়া হয় তা পালন করা হয় না। অনেক অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় ঘেঁষাঘেঁষি করে রাখা হয়। আর মাঝখানে ছাড়তে চাইলে শাস্তি দিয়ে কড়া পাহারায় রাখা হয়।
    তাই কেউ ওখান থেকে রায়পুর বা বিলাসপুরের কালেক্টারের নামে একটা পোস্টকার্ডে কমপ্লেন লিখে পোস্ট করলেও পুলিস অ্যাকশন নেয়।
    দূর-দরাজ থেকে ওদের "মুক্ত" করে আনে। সীজনে বাস-স্ট্যান্ডে রেল স্টেশনে পুলিশ ঘুরে বেড়ায়। বড় কোন গ্রুপে বিছানপত্তর নিয়ে গেঁয়ো লোকজন যাচ্ছে দেখলেই ঘ্যাঁক করে ধরে। দালালকে পেলে জেলে পোরে, পয়সা নিয়ে ছাড়ে।
    সরকারের ইচ্ছে বিভিন্ন রোজগার যোজনার সমন্বয়ে ওদের নিজেদের এলাকাতেই বিকল্প রোজগারের বন্দোবস্ত করা, যাতে ওরা এভাবে শহরে যেতে বাধ্য না হয়। কিন্তু কাগজে-কলমে ভালো এই সব প্ল্যান সৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের অভাবে ১০% ক্রিয়ান্বিত হয়।

    তবু বলি একটা success storyর কথা, হয়তো আগেও বলেছি।
    বিলাসপুর থেকে রায়পুর যাবার হাইওয়ের থেকে দশ কিমি ভেতরে সাবন্তপুর গ্রাম। শিবনাথ নদের পাশে। একটি নামী এন জি ও "প্রদান" এর প্রচেষ্টায় সম্ভব হয় নদীতে ডিপ ওয়েল বানিয়ে সেখানে দশটি পাম্প লাগিয়ে লিফট ইরিগেশন করে ১৪৯ জনের ৫০০ একর জমিতে assured irrigation এর ব্যব্স্থা করা।
    পাঁচ বছরে ধাপে ধাপে এরা একফসলী থেকে দোফসলী তারপর তিনফসলী হয়েছে। ধান ছাড়াও সয়াবীন, টম্যাটো, পেঁয়াজ, আলু, সূর্যমুখীর চাষ করছে। একটি বড় পরিবারের বেশ কিছু জমি, বাকিদের গড়ে এক দু একর বা কিছু ডেসিমেল। সরকার দিয়েছে বিনেপয়সায় ট্রান্সফরমার ৬৫ কেভি ক্ষমতার। আর এনজিও দিয়েছে টেঅকনোলজি, কোয়ালিটি, প্ল্যানিং। ব্যাংক দেখেছে টেকনিক্যাল ফিজিবিলিটি ও ইকনমিক ভ্যায়াবিলিটি।

    আজ ওরা কেউ বাইরে খাটতে যায় না। তাই দিল্লি-কোলকাতা গিয়ে ওদের মুক্তি না ভেবে ওদের জমিতেই সেচ, রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, পানীয় জল, ডাক্তারখানা, স্কুল ও ভোকেশনাল ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করলে ওদের উন্নয়নের পথ সুগম হবে। এর পর মার্কেট ডিমান্ড বাড়বে, কেইন্সিয়ান মাল্টিপ্লায়ার ও অ্যাক্সিলেটর ক্রিয়াশীল হবে। লোকের রোজগার ও আয় বাড়বে।
    ওদের থেকে কেউ কেউ অবশ্য যাবে বড় শহরে/বিদেশে উচ্চশিক্ষা হাসিল করতে, উন্নত চাকরি করতে। কিন্তু ব্যাপক গ্রামের মানুষ নিজেদের গাঁয়েই উন্নত জীবন যাপন করতে পারবে।
  • ranjan roy | 24.99.184.100 | ০২ জুন ২০১৩ ২০:১১611402
  • $,
    অনেক ধন্যবাদ। আমি যা যা বলতে চেয়েছিলাম সে সবই এখানে অনেক গুছিয়ে ভালোভবে বলা হয়েছে।
  • PT | 213.110.243.23 | ০২ জুন ২০১৩ ২০:৩১611403
  • একটা politically incorrect প্রশ্ন রাখি। জঙ্গল মহলের মানুষেরা কি বাঙ্গালীদের মত ঘরকুণো আর বেশ খানিকটা কুঁড়ে? যেটাকে আদিবাসীপ্রেমিরা জঙ্গলের সন্তান, সরলমনা (একা কল্লোলদা নয়) ইত্যাদি চিনির প্রলেপ দিয়ে আড়াল করার চেষ্টা করছে?
  • ranjan roy | 24.99.184.100 | ০২ জুন ২০১৩ ২০:৪৫611404
  • পিটি,
    ওদের শুধু জীবনধারণের জন্যে সকাল-বিকেল যা করতে হয় তা দেখলে "কুঁড়ে" বলা যায় কি?
    আর অরণ্যের সন্তান? অবশ্যই। যেমন আমরা "শহরের সন্তান"। অনায়াসে ট্রেনে বাসে চড়ি, এস্ক্যালেটরে। মলে গিয়ে বৈচিত্র্যের মধ্যে হতপ্রভ না হয়ে নিজের দরকারি জিনিসটি টুক করে বুঝে নেই। ইংরেজি সিনেমা দেখে আনন্দ পাই।
    লাইব্রেরি/ ম্যাগ/ইন্টারনেটে স্বচ্ছন্দ থাকি। তেমনি ওরা পাহাড়ে জঙ্গলে নদীতে স্বচ্ছন্দ, আমরা নই।
  • PT | 213.110.246.230 | ০২ জুন ২০১৩ ২৩:৫৮611405
  • সেই পরিশ্রমের সঙ্গে শহরের রিক্সাওয়ালার, বা রাস্তা তৈরির জন্য পাথর ভাঙ্গে এমন মানুষদের সারাদিনের পরিশ্রমের সঙ্গে বোধহয় খুব ফারাক নেই। একটা ফারাক জোর করে establish করার চেষ্টা চলছে বলে মনে হচ্ছে।
  • ranjan roy | 24.99.184.100 | ০৩ জুন ২০১৩ ০০:০৬611406
  • না পিটি!
    পরিশ্রমটার কোয়ান্টিটি বা অ্যাবস্ট্রাক্ট শারীরিক শ্রমের প্রশ্ন নয়। গুণগত। অর্থাৎ নিজের এলাকায়, নিজের চেনা পরিবেশে, নিজে যে কাজ করতে ছোটবেলা থেকে অভ্যস্ত --সেইটা করার আনন্দ।
    যেমন গিন্নি অসুস্থ হলে আমাকে যদি রান্নাঘরে যেতে হয় তখন অনভ্যস্ত হাতে পেয়াঁজকাটা ইত্যাদি ছেড়েই দিলাম-- আটা মেখে গোল লেচি করে রুটি বেলতে গিয়ে এমন ছেড়ে-দে-মা-কেঁদে-বাঁচি অবস্থা হয় যে মনে হয় এর থেকে ডিফারেনশিয়াল ক্যালকুলাস করা অনেক সোজা।ঃ)))
  • কল্লোল | 125.242.197.159 | ০৩ জুন ২০১৩ ০৬:৫৪611407
  • পিটি। রঞ্জন পুরোটাই বলে দিয়েছে পরিশ্রম নিয়ে। তাই ওটা নিয়ে আর বললাম না। ঘরকুনো নিয়ে বলি।
    নিজভূমে থেকে যদি চাট্টি পান্তাভাত পাওয়া যায় তবে কে আর বাইরে যেতে চায়। তুমি বলবে তা কেন, এই যে কতো মানুষ আরও ভালো থাকার জন্য কাহাঁ কাহাঁ মুল্লুকে পাড়ি দিচ্ছে। তফাৎ আছে। আমরা যারা শিক্ষা ও শহরে বা তার আশেপাশে থাকার ফলে "উন্নততর" জীবন দেখেছি, তাদের আকাঙ্খা বেশী, চাহিদা বেশী। আবার চাহিদা তো তৈরী করাও হয় ক্রমাগত নিরন্তর।
    আদিবাসীরা এই "ফাঁদের" বাইরে বা প্রান্তে অবস্থান করে। আজকের এই মিডিয়া বুমের যুগেও টিভি খুব সুলভ নয় আদিবাসী এলাকায়।
    তার উপর এরা শুধু কৃষি নির্ভর নয়। শিকার ও জঙ্গল কুড়ানোও এদের খাবার জ্বালানীর জোগান দেয়। জঙ্গলে কাঠ কুড়ানোর অধিকার নিয়ে বেশ কিছু লড়াই ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে। আদিবাসীরা তাদের জঙ্গলের অধিকার আদায়ও করে নিয়েছে বহু ক্ষেত্রে। তাই, বিহার ইউপি, ৩৬গড়ি মানুষদের মতো এদের খাবার সংস্থানের জন্য খুব বেশী বাইরে যেতে হয় না। আগে বর্ধমান, বীরভূম, মেদিনীপুরে এরা ফসল কাটার সময় আসতো, আবার ফসল কাটা হয়ে গেলে চলে যেতো। এখন কি হয় জানি না। ঐ সময়্টা (অঘ্রান-পৌষ) জঙ্গলও শুকনো থাকে। তখন হাতিও জঙ্গল ছেড়ে আসে খাবার খোঁজে, আদিবাসী তো কোন ছাড়। তবে লক্ষ করো ঘর থেকে বেশী দূর না। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, নিদেন জলপাইগুড়িও না।
    এদের চাহিদা কম। এরা অল্পেই খুশী। তাই যদি এদের বেসিক অ্যামিনিটিটুকু দেওয়া যায় , তো সেটাই অনেক কাজ হবে। আমাদের আকাশ ছোঁয়া চাহিদার জন্য এদের উৎখাত নয়।
  • PT | 213.110.246.230 | ০৩ জুন ২০১৩ ০৯:১৮611408
  • "অল্পেই খুশী"- কারণ বেশীটা দেখেনি বা দেখতে দেওয়া হয়নি। অথবা ওরা জানে যে চেষ্টা করে লাভ নেই কেননা "বেশীর" কাছে পৌঁছনর সম্ভাবনা ওদের নেই।

    আমি এই ব্যাপারে মোটামুটি চ্যালেঞ্জ রাখতে পারি যদিও প্রমাণ করতে পারব না। ১৫-২২-এর মধ্যে বয়স যাদের তাদের হাতে ক্রিকেট ব্যাট, টিভি, কম্প্যু ইত্যাদি এনে দেওয়ার চেষ্টা করুন-তারা আনন্দের সঙ্গে এইসব "ফাঁদ"-এ পা দেবে।

    আশ্চর্যের বিষয়, সিঙ্গুরের তুলকালামের সময়ে সল্ট লেকের এক বাড়িতে - যার মালিক ছ মাস এদেশে আর ছ মাস স্কটল্যান্ডে থাকেন- একদল সলটলেক নিবাসী উচ্চবিত্ত মানুষের সঙ্গে মিনিময় হচ্ছিল। এই সব উচ্চবিত্ত লোকেরা আমাকে কোনঠাসা করে বোঝাচ্ছিল যে সিঙ্গুরের চাষীরাও নাকি "অল্পেই খুশী"-তাদের চারপাশে কারখানা ইত্যাদি আধুনিকতার দরকার নেই!!
  • Ishan | 60.82.180.165 | ০৩ জুন ২০১৩ ০৯:৩৬611409
  • এই কথাটা প্রায়ই ওঠে। "চাষীর ছেলে কি চিরকাল চাষী থাকবে?" বা "আদিবাসীরা কি চিরকালই অনুন্নত থাকবে, উন্নয়নের সুফল পাবেনা?" ইত্যাদি নানা ফর্মে। এই প্রশ্নটা বহুবার অ্যাড্রেস করা হয়েছে। তবু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে উঠবেই। তাই খুব টু-দি পয়েন্ট উত্তর লিখি। বৃহৎ বাঁধকে ফোকাল পয়েন্ট ধরেই লিখি।

    বৃহৎ বাঁধ প্রসঙ্গে আপত্তি সাধরণত দুটো জায়গা থেকে করা হয়।

    ১। টেকনিকাল। সেটা "আদৌ বাঁধ দিয়ে বন্যা বা সেচ সমস্যার সমাধান হয় কিনা" এই প্রশ্নের সঙ্গে সংযুক্ত। সেটার পক্ষে বিপক্ষে না উদাহরণ আছে। সে তক্কে ঢুকছিনা। কিন্তু, যেহেতু পাবলিক মানি, তাই আমার ও চাষীর ছেলে, বা আদিবাসী ভূমিপুত্রের এখানে মত দেবার সমান অধিকার। এর সঙ্গে চাষী বা আদিবাসীদের প্রতি প্রকৃত দরদ বা কুম্ভীরাশ্রু কোনোটারই কোনো সম্পর্ক নেই।

    ২। দ্বিতীয় কারণটা এখানে গুরুত্বপূর্ণ। সেটা হল চয়েস। আমি আমার ফ্ল্যাটে থাকব, না বিদ্যেসাগরের মতো কত্মটরে গিয়ে থাকব, নাকি মুম্বইতে গিয়ে ফ্যাশান ডিজাইন করব, সেটা আমার চয়েস। একই ভাবে একজন আদিবাসী জঙ্গলে থাকবেন নাকি ইরোপ্লেনের পাইলট হবেন সেটা তাঁর চয়েস। সেই চয়েসটার অধিকার থেকে তাঁকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, এবং জোর করে বাস্তুচ্যুত করা হচ্ছে, সেই জন্যই প্রতিবাদ। শহরের অধিবাসীদের বাস্তুচ্যুত করা হলেও একই রকম প্রতিবাদ করা হত।

    প্রশ্নটা একেবারেই কে অল্পে খুশি বা কে বেশিতে সেটা ড্রয়িংতুমে বসে নির্ধারণ করে দেবার নয়। প্রশ্নটা হল কে কিসে খুশি থাকবে সেটা তার চয়েস। এবং সেই চয়েসটা তাকে দেওয়া হচ্ছে কিনা। আর কিচ্ছু না।
  • Ishan | 60.82.180.165 | ০৩ জুন ২০১৩ ০৯:৪৩611410
  • এ থেকেই একদম সোজাসুজি সেই প্রশ্নটার উত্তর পাওয়া যায়, যেটা গোরু রচনার মতো করা হতেই থাকে হতেই থাকে। "জঙ্গলে কি রাস্তার দরকার নেই?" "উন্নয়নের দরকার নেই?" "আদিবাসীরা কি শুধুই পাতা কুড়িয়ে যাবে?" ইত্যাদি নানা ফর্মে।

    এর একটা উত্তর হল, ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, যে জঙ্গলে রাস্তা দরকার, স্বাস্থ্যকেন্ত্র দরকার, "উন্নয়ন" দরকার। কিন্তু আমার মনে করা এখানে অর্থহীন। আমি জঙ্গলের কেউ না। আমি জঙ্গল চিনিনা। কাজেই এই প্রশ্নটার উত্তর জানতে গেলে প্রাথমিকভাবে তাঁদের জিজ্ঞাসা করতে হবে, যাঁরা জঙ্গলে থাকেন। তঁদের জন্য শহরে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করুন। মুটে মজুর পাইলট যা খুশি চাকরির ব্যবস্থা করুন। তাঁরা পাইলটের চাকরিই আর জঙ্গলে পাতা কুড়োনোর মধ্যে কোনটা বেছে নেন দেখুন। গপ্পো শেষ। শহরে ড্রয়িংরুমে বসে চাট্টি বাবু কি বলল তাতে কান দেবার একেবারেই দরকার নেই।
  • Ishan | 60.82.180.165 | ০৩ জুন ২০১৩ ০৯:৫১611412
  • এর থেকে এটাও বোঝা যাবে, যে, সরকারের নানাবিধ ডিসপ্লেসমেন্টের আমি কেন বিরোধিতা করি। কারণ সেখানে
    ১) চয়েসের কোনো জায়গা নেই। পাইলটের চাকরির চয়েস আদপেই আদিবাসীদের দেওয়া হয়না, জাস্ট ঘাড়ধাক্কা দিয়ে "তুমি ফোটো" ইত্যাদি বলা হয়। চয়েস দিলে এবং আদিবাসীরা দলে দলে পাইলটের চাকরি করে সুদান কুয়েত ফ্রান্স আমেরা বেঙ্গালুরু ও মুম্বাইতে উড়ে গেলে তখন জঙ্গল এমনিই ফাঁকা হয়ে যাবে। তখন "উন্নয়ন" এ কিচ্ছু আপত্তি করবনা (মানে জঙ্গল কেটে সাফ করে দিলে পরিবেশের সমস্যা হতে পারে সেইটুকু ছাড়া)

    ২) এই ডিসপ্লেসমেন্টে চয়েসের জায়গা নেই শুধু তাইই নয়, চয়েসের যে অধিকার নেই, সেটাও স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়। ভূমিপুত্রদের যেকোনো কণ্থস্বরকেই দমন করা হয়। একদিকে গায়ের জোরে। অন্যদিকে "চাষীর ছেলে কি চাষীই থাকবে, ওখানে কারখানার দরকার নেই?" বলে। অ্যাজ ইফ কোনটা দরকার আর কোনটা নয়, সেটা ভুক্তভোগীরা ছাড়া বাকি সবাইই খুব ভালো বুঝবে।
  • PT | 213.110.243.23 | ০৩ জুন ২০১৩ ১৩:৫০611413
  • এই "অল্পেই খুশী" ব্যাপারটা স্থানীয় রিক্সাওয়ালাদের সঙ্গে কথা বললেও জানা যায়। ওরা জানে যে দিনে ওদের মোটামুটি ১০০ টাকার চাইতে বেশী রোজগার কিছুতেই হবে না। চেষ্টা করলে শরীরটা বরবাদ হবে। সে জন্য কিছু কিছু সময়ে-কড়া রোদ, দাপিয়ে বৃষ্টি বা খুব ভোর বেলা বা গভীর রাত্রি-যখন বেশী পয়সা কামানো যায়-তখন তাদের কোন ভাবেই পাওয়া যাবে না। কেননা সাময়িক ভাবে বেশী রোজগারের সেই চেষ্টা-ওদের হিসেবে-অর্থহীন।
  • Half Blood Prince | 131.241.218.132 | ০৩ জুন ২০১৩ ১৪:০০611414
  • ইশান, 9.36ঃ

    "শহরের অধিবাসীদের বাস্তুচ্যুত করা হলেও একই রকম প্রতিবাদ করা হত"

    তাই কি? মেট্রো (অতীতে এবং বর্তমানে) - বহু কেস হয়েছে এবং হচ্ছে, কিন্তু প্রতিবাদ করতে গিয়ে মেট্রো না হলে কী হত? বা এখন যদি জমিজটে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো আটকে যায়? বা সেকেন্ড হুগলি ব্রীজ - মন্দিরতলার পর আর রাস্তা চওড়া করা যায়নি একই কারণে, কেসগুলো সম্ভবতঃ এখনো ঝুলে আছে। ফলটা তো ভুগতে হচ্ছে ওই রাস্তার দৈনন্দিন যাত্রীদেরই।

    একটা যুক্তি হতে পারে যে পাবলিক ইনটারেস্টের কাজ হলে বাস্তুচ্যুত করা যেতে পারে। কিন্তু কোনটা পাবলিক ইন্টারেস্ট সেটা ঠিক হবে কী উপায়ে?
  • PT | 213.110.243.23 | ০৩ জুন ২০১৩ ১৪:০৯611415
  • আসলে যারা উচ্ছেদ হবে তাদের appropriate compensation-এর ব্যপারটাই রাষ্ট্র ঠিকঠাক ব্যবস্থা করে উঠতে পারেনি। গোলমাল তো সেখানেই। জীবন-যাপনের পদ্ধতি তো রোজই বদলাচ্ছে। কম বয়সী আদিবাসীরা তো (দু নম্বরি) নাইক ছাপ মারা সস্তার সিন্থেটিক জামা কাপড় ব্যবহার করে। তাদের দাদুরা ঐ সব পরে ঘুরত নাকি? এই যে জঙ্গল-মহলে সারদার পকেট কেটে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যব্স্থা করেছিল এই সরকার-সেতো আদিবাসীদের আধুনিক চিকিৎসার সুবিধে দেওয়ার জন্যই। যারা আধুনিক চিকিৎসা পাবে তারা কেন আধুনিক জীবন-যাপনের সঙ্গে সংযুক্ত হবেনা?
  • কল্লোল | 125.241.71.199 | ০৩ জুন ২০১৩ ১৪:৩৮611416
  • পিটি। আধুনিক জীবন যাপন??!!??
    কে বারন করেছে। আদিবাসী এলাকাগুলোতে হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, স্টেডিয়াম, জিম, সুইমিং পুল, পাকা রাস্তা, পানীয় জল, সিনেমা হল, সাইবার কাফে, বিলায়েন্স ফ্রেশ হোক না। কেউ তো মানা করেনি।
    উচ্ছেদ করতে হলে "appropriate compensation" বা ঠিকঠাক পুনর্বাসন এসব করতে তো কেউ মানা করে নি। তারপর দেখতে মেধা বা মাও থাকে কি না। সেসব না করে আমাদের খনি চাই আমাদের মেট্রো চাই বলে লাফালে কি লাভ। তাতে মেধা ও মাও জমিয়ে বসবে।
    আর ওসব করতে যদি ব্যথা থাকে, তো এদের ঘাঁটিও না। অন্তত, যেমন আছে তেমন থাকতে দাও।
  • ranjan roy | 24.99.232.245 | ০৩ জুন ২০১৩ ২২:৫১611418
  • অক্ষদার দুটো লিংকই উল্লেখযোগ্য।
    এতদিন ধরে নেপালে রেড টেরর করে ক্ষমতায় আসা প্রচন্ড বা পুষ্প কুমার দহল নেপালী কংগ্রেসের কৈরালার সঙ্গে গলা মিলিয়ে ভারতের কংগ্রেসী নেতাদের ওপর প্রাণঘাতক মাওবাদী হামলার কড়া নিন্দা করেছেন দেখে বেশ আহ্লাদিত হলাম।
    উনি কিন্তু তার দশদিন আগে সিআরপিএফের দুটো হামলায় কিছু নিরস্ত্র আদিবাসী মহিলা ও বাচ্চাদের মারা যাওয়ায় (রমণ সিং সরকারও প্রাইমা ফেসি স্বীকার করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে) এতটুকু বিচলিত হন নি। একদশক আগে থেকেই ওনার আউটফিটের নাম আম্রিকার টেররিস্ট লিস্টে আছে।
    ক্ষমতার কী মহিমা! হরি হে তুমিই সত্য!!
  • PT | 213.110.246.230 | ০৪ জুন ২০১৩ ০৯:৫৮611420
  • সবই তো বুঝলাম-কিন্তু জঙ্গল মহলের মানুষের ট্যাক্সি চালিয়ে জীবন যাপন করতে অসুবিধে কোথায় সেটা তো বোঝা গেল না।

    মেধা বা মাওরা যদি কিছুদিন দেশ চালানোর কাজটি করে তাহলে অন্ততঃ বুঝতে পারি যে তাদের ঝুলিতে কোন মহৎ পদ্ধতি লুকোনো আছে মানুষের জীবনের মানোন্নয়নের জন্য। আমি তো মেধার মুখে গত কুড়ি বছর ধরে কি কি করা যাবেনা তার ফতোয়া শুনছি। কি করতে হবে জিগালেই টক করে প্রশ্নটি এড়িয়ে diplomatic উত্তর দেন। আর মাওরা যদি সত্যি আদিবাসীপ্রেমি হত তাহলে বুদ্ধর বদলে মমতার পক্ষে সওয়াল করত না। সেটা আর পাঁচটা রাজনৈতিক দলের মতই রাজনৈতিক অঙ্ক কষার ব্যাপার ছিল।

    আর আমাদেরই বা কে অধিকার দিয়েছে-ওরা "যেমন আছে থাকতে দাও" জাতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য?
  • potke | 132.172.197.74 | ০৪ জুন ২০১৩ ১০:৩৪611421
  • নন্দ্কুমার প্যাটেলকে মারল কেন? যা পড়ছি তাতে তো মনে হচ্ছে উনি পুলিশ এক্সেসের প্রতিবাদ করতেন!
  • a | 76.27.52.230 | ০৪ জুন ২০১৩ ১২:০৩611423
  • রেফারেন্ডামের কথা মাঝে কেজরিওয়াল আর প্রশান্ত ভূষাণ খুব তুলে ধরছিলেন। কিন্তু প্র্যাক্টিকাল বলে আমার মনে হয়নি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন