এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বেঁচে আছিঃ প্রেমে-অপ্রেমে

    ranjan roy
    অন্যান্য | ০১ অক্টোবর ২০১৪ | ২১৮৪৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • de | 24.97.56.221 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৩:১২651142
  • এই ভদ্রলোক সারাদিন কোন কাজ না করে কি করে থাকতেন! সবচেয়ে অদ্ভুত ক্যারাক্টার এই গপ্পের!
  • ranjan roy | 113.242.198.90 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৯:৫০651143
  • দে,
    সারাদিন কোন কাজ না করে বাসুবাবু কেন থাকবেন?
    উনি রেলের চাকরি করেও যথেষ্ট অবসর সময় পেতেন ঘন্টা দুঘন্টা নিয়মিত আড্ডা দিয়ে যাওয়ার।
    আর সমীর? ও তো কাজ খুঁজছে। কিন্তু ছোট্ট শহরে পাওয়া মুশকিল। আর তারচেয়েও বেশি খুঁজছে পার্টির শেকড়--যদি কোথাও পায়। ও তো সারাজীবন হোলটাইমার থাকবে বলে ঘর ছেড়েছে, চাকরি করবে নয়। মনে মনে তেতো হয়ে আছে আজ কাজ খুঁজতে হচ্ছে বলে। অবচেতনে প্রার্থনা করছে--যদি কোথাও কোন সংগঠনের লিংক পায়।
  • 00 | 181.64.40.104 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:৫০651144
  • @ ranjan roy, একেবারেই nitpicking - কিছু মনে করবেন না। লতার মুখে এই প্রসঙ্গে sick শব্দটা বেমানান লাগল। fed up / irritated অর্থে , sick ব্যবাহার খুব প্রচলিত নয়, লতার সমাজে। once again, absolutely irrerelevant nitpicking কানে বাজল, তাই লিখ্লাম।
  • সে | 188.83.87.102 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৪:০২651145
  • ও রঞ্জনদা! তারপরে কী হোলো?
  • ranjan roy | 24.96.123.203 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২১:৪২651146
  • oo,
    মেনে নিলাম। যেখানে স্টোর করছি সেখানে (word file এ) শুধরে নেব।
  • সে | 188.83.87.102 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২১:৪৫651147
  • রঞ্জনদা,
    আমরা কিন্তু অধৈর্য হয়ে উঠেছি।
  • ranjan roy | 24.96.123.203 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২১:৪৯651148
  • আসলে যা তা হচ্ছে। কাল রিকশ করে উষা পুল যেতে ট্যাক্সিওয়ালা আচমকা দরজা খোলায় উড়ে গিয়ে রাস্তায় চিৎপাত!ঃ)))
    buttockএ সামান্য লেগেছে। বসতে অসুবিধে হচ্ছে। heat belt এ সেঁক ও আর্নিকার জোরে কাল থেকে লিখব।
  • সে | 188.83.87.102 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২১:৫২651149
  • ওঃ! সেরে উঠুন আগে।
    তবে "buttockএ সামান্য লেগেছে" টা চুড়ান্ত হয়েছে! কী করব? হাসি পেয়ে গেল পড়ে।
  • ranjan roy | 24.96.123.203 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২২:১৫651150
  • সে,
    সত্যি হাসি পাবার জন্যেই অমন করে লিখে্ছি।ঃ))
    এগুলোকে সের্ফ হেসে উড়িয়ে দিতে না পারলে---!!
  • Du | 76.249.82.238 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২২:৩১651153
  • দেখিয়ে নিñ তাও।
  • ranjan roy | 24.96.123.203 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২৩:০৮651154
  • দু,
    নিশ্চয়ই।
  • Abhyu | 85.137.14.101 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২৩:২০651155
  • এ বাবা। সেরে উঠুন তাড়াতাড়ি।
  • ranjan roy | 24.96.182.187 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৬:০৮651156
  • ৬)
    এই দিনটা সারাজীবন ভুলতে পারব না। এই একটা দিন আমাদের জীবনের গতি বদলে দিল। আমার আর সমীরদার।
    সকাল বেলায় একটি চিঠি পেয়েছি। সিস্টার রোজালিনের। সেই যে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে আসার সময় চার্চের অফিসে সিস্টার রোজালিনের নামে একটি চিঠি রেখে এসেছিলাম, কেরালায় পাঠিয়ে দেওয়ার জন্যে। উনি জবাব দিয়েছেন। আর এই ছোট্ট রেলশহরের আট কিলোমিটার দূরে মিশনের একটি কুষ্ঠাশ্রম আছে। তাদের মাধ্যমে তিন হাত ঘুরে আজ চিঠিটা পেলাম। পড়ে মাথা ঘুরে গেল।
    ওনার অসীম দয়া। সেই যে ছোটবয়সে ছেলেদের ছোঁয়ায় পেটে বাচ্চা আসতে পারে ভেবে কাঁদছিলাম , সেদিন থেকেই।
    উনি তখনই বলেছিলেন--শান্তিলতা, তুমি সরলবিশ্বাসী। তোমাদের মত মানুষদের প্রভু বিশেষ ক্ষমার চোখে দেখেন।তবে সত্য ও মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য করতে হয়।
    উনি চিঠিতে একটি নাম ও ফোন নম্বর দিয়েছেন। কোরবা শহরের। সেখানে নতুন টাউনশিপের পাশে একটি ক্রিশ্চান মিশনারী ফান্ডেড এনজিও অফিস খুলেছে দু'বছর হল। ওরা একটা হোলিস্টিক মিশন নিয়ে কাজ করছে। একটি গ্রাম ধরে তার সার্বিক উন্নতি। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানীয় জল ইত্যাদি।
    সমীরদার মত লোকের জন্যে বিশেষ সুযোগ। ও আকুপাংচার জানে। স্বাস্থ্যের প্রাথমিক পাঠ নেওয়া আছে। দক্ষ সংগ্ঠক। ও পারবে। টেরিটোরিয়াল ম্যানেজার পদের জন্যে ইন্টারভিউ। আগামী রোববারে। সিস্টার আগাম খবর দিয়ে রেখেছেন। যদি সব ঠিকমত চুকে যায় তাহলে আবার শহর বদলাও। কিন্তু লাল ইঁটের কোয়ার্টার, তাতে সেপটিক ল্যাট্রিন।, কিচেন। চিমনি। কলের জল ।পাকা ড্রেন। ভেতরের উঠোনে একটা পাকা চৌবাচ্চা। স্বর্গ কি আর কোথাও?
    আমি আর থাকতে পারি না। ডনের বাড়ি বাচ্চা পড়াতে গিয়ে আমার সখী , মানে বাচ্চার মাকে বলে ওদের ঘরের ফোন থেকে একটা কল করতে চাই।
    হ্যাঁ, লাইনের ওপাশ থেকে একটি বেশ দয়ালু গোছের পুরুষকন্ঠ জানায় যে ইন্টারভিউয়ের দিন বদলে গেছে। এই রোববারে নয়, দশদিন পরের রোববারে। উনি এটাও বলে দেন যে অন্ততঃ ছ'জন ক্যান্ডিডেট আছে। আর ভোপাল ও দিল্লি থেকে মিশনের সিনিয়ররা আসছেন। কোন পক্ষপাত হবে না। ইন্টারভিউয়ে কমিটি ইম্প্রেস্ড হলে তবেই--। আর কোন রকম রেকমেন্ডেশন বা কমিটি মেম্বারদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ক্যান্ডিডেট ডিস্কোয়ালিফায়েড হবে।
  • ranjan roy | 24.96.182.187 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৬:২৫651157
  • একটু টেনশন হল বটে! কিন্তু আমি জানি, সমীরদা পারবে। খেটে খাওয়া গরীব মানুষদের জন্যে সহানুভূতি- সোজা কথা নয়। এ তল্লাটে ওর মত কয়জনের আছে? আর দেশবিদেশের খবর? পড়াশুনো? নাঃ , এ চাকরিটা ওর জন্যেই ভগবান তৈরি করেছেন।
    সব কথা সখীকে বলতেই ওর মুখ গম্ভীর হল। তারপর বলল--তাহলে তোমরা এ শহর ছেড়ে চলে যাবে? আমার বাড়িতে আর আসবে না?
    কি মুশকিল! ও যে ফুলে ফুলে কাঁদছে।
    আস্তে আস্তে চোখ মুছে স্বাভাবিক হল। বলল-- কিছু মনে কর না। আমি তো ঘরের মধ্যে একরকম বন্দী, কর্তার অনুমতি ছাড়া আর সঙ্গে লোকজন না নিয়ে বেরোতে পারি না। আমার মত মেয়েছেলের বন্ধু কে হবে? তোমাকে পেয়ে আমার মন ভরে গেছল। জমে থাকা কত কথা বলেছি। হয়ত তুমি বোর হয়েছ। মাপ করে দিও। আমার কপালে এই সুখ বেশিদিন সইল না, আর কি! কিষুনজী যা চাইবেন তাই তো হবে। তবে তুমি যাও! এই শহরের ঝোপড়পট্টি জীবন থেকে ভাল ভদ্র জীবনে ফেরার সুযোগ পেয়েছ, এ সুযোগ ছেড়ো না।
    কিন্তু একটা কথা। কেরেস্তান হয়ে যেও না। আমাকে কথা দাও, তুমি ওসব হবে না? আরে, ওদের অনেক দয়া, অনেক মায়া! ভালবাসার আফিম খাইয়ে ফাঁদে ফেলে। ওই সব চিড়ই মেয়েছেলেদের আমি ভাল করে চিনি। তুমি ছ্যাবলা ঢলানি নও, আমি জানি তুমি ওসব হবে না। দাঁড়াও।
    এই বলে আমার সখী ঘরের ভেতর থেকে একটি ছোট পেতলের মূর্তি নিয়ে এল। নাড়ু হাতে হামা দেওয়া কৃষ্ণের। বলল --যতদিন তোমার পেটে বাচ্চা না আসে ততদিন একে রোজ জল আর নকুলদানা দেবে। আদর করবে। তোমায় দিলাম।
    আমি আস্তে আস্তে বলি-- এখনও কাজটা হয়ে যায় নি। হলেও এই মাসটা এখানেই থাকব, তোমার কাছে আসব।
  • সে | 188.83.87.102 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১১:২৫651158
  • দারুণ!
  • ranjan roy | 24.99.205.157 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৩:৩৬651159
  • ফিরে আসার সময় সমীরদাকে বললাম, সাইকেলের পেছনে বসে, ফিস ফিস করে। সমীরদা কোন উচ্চবাচ্য করল না। মন দিয়ে সাইকেল চালাতে লাগল।
    বাড়ি ফিরে বললাম-- ইন্টারভিউয়ের দিন ঠিক হয়ে গেছে। সকাল ১০টার আগেই পৌঁছে যেতে হবে। এখান থেকে মাত্র দু'ঘন্টার পথ।জলখাবার খেয়ে বেরিয়ে পড়ো। আমি দুপুরের জন্যে রুটি-তরকারি প্যাক করে দেব। চাকরি হোক না হোক, বিকেলের মধ্যে বাড়ি ফিরে একসঙ্গে চা খাবে।
    --কিন্তু কেমন কেমন লাগছে! এইসব এনজিওরা আসলে সাম্রাজ্যবাদের দালাল। ওদের গোপন এজেন্ডা থাকে।
    -- কী আজেবাজে কথা! তুমিও চাও গরীবের ভাল হোক, কিন্তু ক্ষমতা নেই ভাল করার। তাই গোপন সংগঠন করে ক্ষমতা দখল করতে চাও। তারপরে গরীবের ভাল করবে। ওরা এখনই করছে, খোলাখুলি। এতে কোন বিপদ নেই। এদের সঙ্গে যোগ দিয়ে গ্রামের গরীবদের মধ্যে কাজ করতে পারবে। সেটা ভেবে দেখেছ?
    -- লতা, আমরা গরীবের ভাল করতে চাই নে। গরীবকে দয়া করিনে। ভিক্ষে দিই নে।দয়া করলে ওদের ছোট করা হয়। আমরা চাই ওদের ক্ষমতায় বসাতে। তারপর ওদের ভাল ওরাই বুঝে নিতে পারবে।
    --- আর এই এনজিওরা? এরা? অ্যাট দ্য বেস্ট- এরা ঘায়ে পুলটিস লাগায়, মাদার টেরেসার কুষ্ঠরোগীর সেবা করার মত। এরা রিফর্ম করে শ্রেণীদ্বন্দ্বকে ভোঁতা করে দেয়, বিপ্লবের সম্বাবনাকে স্যাবোটাজ করে। এইভাবে এরা আসলে সাম্রাজ্যবাদের দ্বিতীয় ফ্রন্ট ।
    আর অ্যাট দ্য ওয়ার্স্ট, এরা চোর। সামান্য কিছু আই-ওয়াশ বা থুক-পালিশ কাজ দেখিয়ে বিদেশ থেকে ভিক্ষে পাওয়া ফান্ড চুরি করে লাক্সারিয়স লাইফ লীড করে।
    --- তাহলে তুমি যাবে না? ইন্টারভিউয়ে?
    --ভাবছি।
    --- এবার আমি ভাবছি। শোন।পেটের দায়ে ডনের বাড়ি বাচ্চা পড়াই-- তা তোমার পছন্দ নয়। তোমাকে মিনিমাগনা আমার সাইকেলচালকের কাজ করতে হচ্ছে-- তাও পোষাচ্ছে না। তো চল না, কোরবা যাই। এখন যা করছি যেভাবে আছি তার চেয়ে তো ভালই হবে। এই কাজটা মন্দের ভাল, সেটা মানবে তো?
    --ঠিক আছে। আপাততঃ মেনে নিচ্ছি। তোমারও শরীরটা সারবে। আর আমিও আকুপাংচার নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়ে যাব। কিন্তু বেশিদিন নয়। আমি তো ভিলাই বা অন্য কোথাও পাব্লিক সেক্টরে চাকরি পেয়ে যেতাম। কলেজে পড়াতে পারতাম। কি? পারতাম না?
    আমি একদিকে মাথা নাড়ি।
    -- তবেই দেখ; ঘর ছেড়ে বেরিয়েছিলাম প্রফেশনাল রেভোলুশনারি হব বলে, বিপ্লব করব বলে। কিন্তু--
    আমি ওর মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বলি-- কিন্তু আজকে তোমার পার্টি গোল্লায় গেছে। সত্যি কথা বলায় তোমাকে বের করে দিয়েছে। ওরা তো বিপ্লব করবে না! তাহলে আর ওসব কথা কেন ?
    --- ওরা না করুক, কেউ না কেউ দেশের কোন না কোন জায়গায় চেষ্টা করছে। জনগণই ইতিহাসের নিয়ন্তা। ইতিহাস থেমে থাকে না। গড়চিরৌলি, মুঙ্গের, অনন্তপুরম, পারবতীপুরম---ডাক আসবে। সেদিন--।
    এবার আমি ভুল চাল দিলাম।
    হেসে উঠে বললাম-- ডাক নিয়ে কে আসবে? সরকারি পিওন? রেজিস্ট্রি? নাকি টেলিগ্রাম?

    সমীরদা একটু হলেই গায়ে হাত তুলতে যাচ্ছিল। সামলে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। রাত্তিরে আমার থেকে সরে গিয়ে শুল আর একটা কথাও বলল না।
    হে ভগবান! হাতের লক্ষ্মী পায়ে ঠেললাম?
  • ranjan roy | 24.99.24.15 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৯:৩৮651160
  • পরের দিন বিকেলের দিকে একটা পরিষ্কার পাঞ্জাবি গায়ে চড়িয়ে বলল-- রেলওয়ে ইন্স্টিটুটের রিডিং রুমে যাচ্ছি। এমাসের কম্পিটিশন মাস্টার থেকে জিকে'র টপিকগুলো একটু দেখে রাখতে চাই। আজকাল সব জায়গায় ইন্টারভিউতে জিকে জিজ্ঞেস করে। ফিরতে একটু দেরি হবে।
    আমি অবাক ভাবটা চেপে গিয়ে বলি- চায়ের জল চাপিয়েছি, খেয়ে যাও। তারপর উনুনের আগুন খুঁচিয়ে দি।

    সমীরদা বেরিয়েছে কি কমরেড বাসু এসে হাজির। আবার সঙ্গে করে থলি ভরে বাজার করে এনেছেন।
    -- বৌদি, আমাদের কমরেড কোথায়?
    শুনে বলে-- যাকগে, মাছের মুড়ো আর লাউ দিয়ে ঘন্ট রাঁধতে পারবেন? চমৎকার মাছের মুড়ো পেয়ে গেলাম।
    -- এসব কেন এনেছেন? ফেরত নিয়ে যান। আপনার ঘরে রান্না হবেখ'ন।
    --আমার ঘরে তো কেউ নেই? এইসব রাঁধবেটা কে? তাই ভাবলাম আজ আপনার হাতের রান্না খেয়ে যাব।
    -- এখন কেটেকুটে রান্না চাপালে বেশ রাত হবে। আর সমীরদারও ইন্স্টিটুট থেকে আসতে দেরি হবে। একা একা কতক্ষণ বসবেন?
    -- কেন? রাত হবে কেন?
    -- ওই একটা ইন্টারভিউয়ের জন্যে তৈরি হচ্ছে আর কি!
    --- ইন্টারভিউ? চাকরির? কিসের? রেলের? আমাকে বলেনি তো?
    কমরেড বাসুর চোখ রসগোল্লা হয়ে যায়।
    আমি আশ্বস্ত করি, রেলের নয়। নইলে নিশ্চয়ই বলা হত। এনাজিওর । কোরবায়, অনেক ঘোরাঘুরি আছে।
    বাসুর চেহারায় খুশি উপচে পড়ে। বলে-- নিশ্চয়ই হবে।
    তখন বলি যে আমরা আগামী মাসেই চলে যাব। সম্ভবতঃ আর দেখা হবে না।
    ও খানিকক্ষণ চুপ করে থাকে। কী যেন ভাবে। তারপর মাথা তুলে সোজাসুজি আমার দিকে তাকায়।
    --- সমীর যাবে তো যাক। কিন্তু তুমি কেন যাবে?
    আমি এত অবাক হয়ে যাই যে মুখে কোন কথা জোগায় না। দেখি ওর মুখের রঙ পাল্টে গেছে। পাল্টে গেছে গলার স্বর।
    ---শোন, ওখানে সমীরের ক্যারিয়ার হবে। ওর ভবিষ্যত আছে। তোমার কি আছে? আর সমীরের স্বভাবের মধ্যে একটা বাউন্ডুলে ভবঘুরেপনা আছে। তুমি তো ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখ। তুমি কেন ওর লেজ হয়ে ঘুরবে? তোমার ভবিষ্যত এখানেই! তুমি কোথাও যাবে না।
    --- এসব কী বলছেন?
    --ঠিকই বলছি। আমি মেয়েদের মন বুঝতে পারি। অনেকদিন ধরে তোমাকে দেখছি। ও বড় আকাশের পাখি। কিন্তু তুমি নীড়ের স্বপ্ন দেখ। আসলে আমি শুধু তোমার জন্যেই রোজ আসতাম। সেদিন তুমি রেগে গেলে। আমাকে কিছুদিন আসতে বারণ করে দিলে। আমি মেনে নিয়েছি, আসিনি। আজ এলাম।
    --তো?
    -- কোন তো, কিন্তু নয়।ও যাচ্ছে, ভাল হচ্ছে। তোমার ভবিষ্যত আমার সঙ্গে বাঁধা। আমি তোমাকে সুস্থ জীবন দেব। ঘর দেব। সন্তান দেব। ও তোমাকে কি দিয়েছে? আমার তো সন্দেহ হয় কোন মেয়েকে আদৌ সন্তানসুখ দিতে পারবে কি না!
    ওঃ ভগবান! সেই এক কথা! সব পুরুষ একরকম কেন? কেন শুধু একটা জিনিসই বোঝে! একটা ব্যাপারই ওদের সর্বতীর্থসার?
    -- শুনুন, বাসুবাবু! সোজা বেরিয়ে যান! হ্যাঁ, আপনার বাজারের থলি শুদ্ধু!
    ও অবিশ্বাসের চোখে আমাকে দেখে।
    তারপর বলে-- বোকামি কর না! এদ্দিন আমাকে খেলিয়ে অনেক বাজার করিয়ে নিয়েছ, আজ দাম চাইছি তো সতীপনা দেখাচ্ছ?
    উনুনের পাশ থেকে কয়লা খোঁচানোর শিকটা তুলে নেই। তারপর সোজা ওকে পেটাতে থাকি। ওর পিঠে গায়ে হাতে গরম শিকের দাগ কেটে বসতে থাকে।
    কমরেড বাসু পালায়। বাজারের থলিটা ফেলেই।
    সারাদিনের আনন্দ মাটি হয়ে গেছে। রাগের চোটে বাজারের থলিটা ফেলে দেব কি না ভাবি।আমার আর কিস্যু ভাল লাগে না। উনুনে জল ঢেলে দিয়ে শুয়ে পড়ি।
    সমীরদা আসুক; আজ হেস্তনেস্ত করে ছাড়ব। কিন্তু রাত ন'টা বেজে গেল সমীরদা আসে না। ইনস্টিটুট তো সাড়ে আটটায় বন্ধ হয়ে যায়। ওখান থেকে সাইকেলে মাত্র পাঁচ-দশ মিনিট লাগার কথা।
    এবার চিন্তা হতে থাকে। সাইকেল পাংচার হল? নাঃ আর একটু দেখে নিই। তারপর ওদিকে খুঁজতে যাব।
    কিন্তু তার আর দরকার হল না। সোয়া ন'টা নাগাদ দরজায় খটখট। কেউ কাতরাচ্ছে-- দরজা খোল, লতা!
    দরজা খুলেই চমকে যাই।
    একি! সমীরদাই বটে। খোঁড়াচ্ছে। জামাকাপড়ে কাদা, রক্তের দাগ।একতা চোখ বন্ধ। কষের পাশ দিয়ে রক্ত গড়াচ্ছে। ঠোঁট ফুলেছে।
    আর্তনাঅদ করে উঠি।
    -- কী হয়েছে? কে করেছে?
    -- ভেতরে চল, বলছি।
    ঘরে ঢুকে মাটিতে ধপাস করে পড়ে গেল সমীরদা।
    -- মেরেছে। ওরা চারজন। লাইব্রেরির সামনের মাঠে। তুমি নাকি বাসুকে অপমান করেছ! যা তা বলেছ! নোংরামি করেছ? ব্ল্যাকমেল করবে বলেছ! আমি যত বলি--আমার কথাটা শুনুন। কেউ শুনল না। বাসু আমাকে মাটিতে ফেলে লাথি মেরেছে, মুখে। সাইকেলটাও কেড়ে নিয়েছে।
    সমীরদা জ্ঞান হারায়।
  • | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২১:০৬651161
  • লতার জন্য কোনও বিশেষণই যথেষ্ট নয়। অ্যামেজিং চরিত্র!
  • ranjan roy | 24.99.24.15 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২২:২০651162
  • আমার রাগের চোটে নিজের হাত কামড়াতে ইচ্ছে করছে।
    তিনদিন রেলের হাসপাতালে থেকে গায়ে মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে সমীরদা বাড়ি ফিরল, কিন্তু কিছুতেই থানায় যেতে রাজি হল না।
    পরে বুঝিয়ে বলেছিল যে ওর নামে এখানে না হোক অন্য রাজ্যে কেস আছে। আমাদের পুলিশের সাহায্য না নেওয়াই ভাল।
    আমার যুক্তিটা খুব পাকা মনে হয় নি। কেমন যেন সন্দেহ হল যে সমীরদার মাথায় পুলিশ-টুলিশ নিয়ে কিছু পোকা আছে।ওই পুলিশ হল রাষ্ট্রযন্ত্রের অংশ, শোষকের পক্ষে--এই সব। তাই ওর মত আগমার্কা বিপ্লবীদের কোন অবস্থাতেই পুলিশের কাছে যাওয়া উচিত নয় গোছের ছুঁচিবাই।
    কিন্তু আমি ছাড়ব কেন? সোজা আমার টিউশন বাড়িতে সখীর মাধ্যমে ওর কর্তার কানে তুলে দিলাম। জানিয়ে দিলাম যে ওঁর স্ট্যান্ড থেকে ভাড়ায় নেওয়া সাইকেলটাও বাসুর দল কেড়ে নিয়েছে।
    মৃত্যুঞ্জয় সিং আমাকে ডেকে পাঠালেন।
    খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সব জেনে নিলেন। তারপর বললেন যে আপনাকে বহন বলেছি। আমার বহনের ইজ্জতে হাত দিয়েছে যে তার তো বেঁচে থাকাই উচিত নয়। তবে আপনি যখন বলছেন অল্প দাওয়াই দিয়েই ছেড়ে দেব। কিন্তু বহন, আপনার স্বামীর রাজনৈতিক পরিচয় আছে। ওরা প্রতিহিংসায় পুলিশকে দিয়ে ক্ষতি করতে পারে। আপনাদের চাকরি নিয়ে কোরবায় চলে যাওয়াই উচিত। আর আমি দেখব যে ওই শুওর কে অউলাদ বাসু ইস শহর মেঁ রহ ন সকে।
    --- কিন্তু, ভাইয়া! কি করে হবে? আমার স্বামী যে অসুস্থ। ইন্টারভিউ তো ছ'দিন পরেই। আপনার বহনোই তো সেদিন কোরবা যেতে পারবে না।
    -- উসকী চিন্তা আপ ন করেঁ। মেরে উপর ছোড় দেঁ।
    তাই হল। মৃত্যুঞ্জয় সিং এর নির্দেশে একজন রেলের ডাক্তার রোজ আমাদের ঝোপড়িতে এসে সমীরদাকে দেখে যেত, ড্রেসিং করে দিয়ে যেত। হাসপাতালের রেজিস্টারে অন্য একজন রেলকর্মীর নাম রোগী হিসেবে লেখা হত।
    শেষে ওঁর জীপে চড়ে আমি ও সমীরদা কোরবায় গেলাম।
    আর গজব কী বাত! ইন্টারভিউয়ে দিল্লি থেকে চার্চের প্রতিনিধি হয়ে এসেছেন আর কেউ নয়, সিস্টার রোজলিন নিজে। উনি নাকি এখন দিল্লি অফিসেই আছেন। কিন্তু উনি আমাকে দেখেও দেখলেন না।
    ইন্টারভিউ খুব ভাল হল। আর বোর্ড সমীরদার ব্যান্ডেজ সমেত ইন্টারভিউয়ে আসায় বেশ ইম্প্রেসড হল।
    এদিকে বাসু হাসপাতালে। কে বা কারা ওকে এক রাত্তিরে কোয়ার্টার থেকে তুলে নিয়ে হাসপএক ক্ষণতালের পাশের মাঠে অনেকক্ষণ ধরে সাইজ করেছে। ভোরের দিকে ওর গোঙানি শুনে কিছু লোক হাসপাতালে দিয়ে আসে।
    ওর পাঁজরের তিনটে হাড় ভাঙা, একটা হাতের আঙুলগুলো থেঁতো আর সামনের দুটো দাঁত নেই।
    পুলিশ এল। ও নাকি কাউকেই চিনতে পারেনি। সবার নাকি মুখে গামছা বাঁধা ছিল।
    সমীরদা আমাকে বলল-- এটা ঠিক হয়নি লতা। শেষকালে তুমি মাফিয়ার হেল্প নিলে? এমন বর্বরতাকে প্রশ্রয় দিলে?
    রাগে আমার মুখে বাক্যি সরল না, এমন অকৃতজ্ঞ`হয় লোকে ?
    -- বর্বরতা? সে কি? তোমাদের তো হিংসা নিয়ে ছুঁতমার্গ নেই।
    -- দেখ, তুমি বিপ্লবী হিংসা আর এই লুম্পেন হিংসাকে এক করে দেখতে পার না।
    -- ভাইয়াকে নিয়ে ফালতু কথা বলবে না। তুমি হলে পাক্কা নিমকহারাম আর জেলাস!
  • সে | 188.83.87.102 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২৩:২০651164
  • জমে ক্ষীর!
  • 4z | 208.231.20.20 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২৩:৫৭651165
  • এই সমীরদাকে তো আমারই মাঝে মাঝে আচ্ছা করে দু-চার ঘা দিয়ে আসতে ইচ্ছে করে। লতাকে হ্যাটস অফ।
  • Nina | 83.193.157.237 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৮:২৬651166
  • দারুণ দারুণ
  • সিকি | 166.107.33.122 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১১:৫০651167
  • সত্যি! এই সমীরদা লোকটিকে কাছে পেলে গুছিয়ে ক্যালাতে ইচ্ছে করছে। :)

    রঞ্জনদার লেখার গুণ। আগে এগোক।
  • Du | 24.96.77.165 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:১১651168
  • কমরেডের স্ত্রী আমার স্ত্রী টাইপের কথাটা শুনেই তাই সিক কথাটাই মনে হয়েছিল লতার।
  • de | 24.139.119.172 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:২৯651169
  • সমীরদাকে আমারো কয়েক ঘা দেবার ইচ্ছে হয় - প্রথম থেকেই মাঝে মাঝেই হচ্ছে ঃ)
  • ranjan roy | 113.242.199.68 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৮:০৭651170
  • পঞ্চম অধ্যায়
    =========
    " ইস্‌ রাত কী সুবহ্‌ নহীঁ "
    (১)
    অনেক অনেক দিন ধরে ঘুমিয়েছি। কত দিন? নাঃ, দিন নয়, মাস নয়, বছর। বেশ, কত বছর? ওই যে, স্কুলে পড়া গল্পটা গো, কি যেন? হ্যাঁ, রিপ ভ্যান উইংকল। ও কত বছর ধরে ঘুমিয়েছিল? কুড়ি বছর না? ঠিক তাই, কুড়ি বছর।
    আমিও জেগে উঠেছি কুড়ি কুড়ি বছর পেরিয়ে। বুড়ি ছুঁয়ে ফেলেছি। দিদিমা বলত-- মেয়েরা কুড়ি পেরোলেই বুড়ি!
    সমীরদা বলত- - বাজে কথা। যত সব সেক্সিস্ট গল্প, পুরুষতন্ত্রের তৈরি। এইসব বুড়িগুলো খুব হারামী হয়। এরাই বউ হয়ে অত্যাচারিত হয়, আবার শাশুড়ি হয়ে অত্যাচার করে।
    ভালো কথা সমীরদা, খুব ভালো কথা। তুমি খুব ভালো ভালো কথা বল। কিন্তু খেয়াল করলে না যে তুমিও সেক্সিস্ট। নইলে বুড়িদের দিকে আঙুল তুললে, বুড়োদের দিকে?
    সেই সব হারামী বুড়োগুলো? যারা কাকুর আদর, মামার আদরে বাচ্চা বাচ্চা মেয়েগুলোকে অতিষ্ঠ করে তোলে? সেই বিপ্লবের সিম্প্যাথাইজার মেশোমশায়েরা? যারা শেল্টারে থাকা মেয়েদের গায়ে হাতের সুখ করতে চায়?
    কুড়ি বছর মানে দুই দশক।
    আরে,কে যেন বলেছিল -- সত্তরের দশক হল মুক্তির দশক। কই, আমার মুক্তি তো হল না। আচ্ছা, আমার জীবনে মাত্র চল্লিশের দশক চলছে, তাই?
    কিন্তু যে বলেছিল সে ও তো একটা বুড়ো। নাঃ, ওকে ছাড়ান দিই। লোকটা নিজের জীবন দিয়ে ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করে গেছে।
    কিন্তু কেন ছেড়ে দেব? কে কাকে ছেড়ে দেয়? আমাকে কে ছেড়ে দিয়েছে? তুমি ছেড়ে দিয়েছিলে সমীরদা?
    সেই যখন ছোট একটা কর্মীসভায় বলেছিলে উনি একজন সোশ্যাল সায়েন্টিস্ট-- আমি হেসে উঠেছিলাম ,বলেছিলাম 'বাল'! অল্পবয়েসি ছেলেগুলো হেসে ফেলেছিল। দুটো মেয়ে মুখে হাতচাপা দিয়েছিল। বয়স্ক কমরেডরা গম্ভীর হয়ে গেলেন। কিন্তু তোমার চোখ ! আমি ভয় পেলাম। উঠে বাইরে গেলাম। ক্লাসের নটি বয়দের মতো।
    সন্ধেবেলায় ঘরে ফিরে বললে-- কেন ওরকম করলে লতা?
    -- উনি সোশ্যাল সায়েন্টিস্ট?
    -- নিশ্চয়ই।
    -- রেখে দাও তোমার গুরুভক্তি! যে লোকটা স্বপ্ন ও বাস্তবের মধ্যে ফারাক করতে জানে না ,বলে ১৯৭৫ এ ভারত মুক্ত হবে, সে ফেলিওর জ্যোতিষ। সায়েন্টিস্ট নয়।
    তোমার চোয়াল শক্ত হল।
    --- তোমার যতটুকু আক্কেল ততটুকুই বলবে। কিন্তু ওই নোংরা কথাটা কেন বললে?
    --- কোন নোংরা কথা?
    -- ওই যে নোংরা গালিটা? আমাদের শ্রদ্ধেয় নেতার সম্বন্ধে ওই অপশব্দ বলার অধিকার কে দিয়েছে?
    আমি তখনো বিছানার ওপর পড়ে থাকা চামড়ার বেল্টটা দেখতে পাইনি। তাই হেসে উঠলাম।
    --ওঃ, তোমরা যা তা! ভুলে যাচ্ছ আমি কোলকাতার মেয়ে নই, হিন্দি বেল্টের। তোমরা যাকে তাচ্ছিল্য করে বল গোবলয়। আমাদের ভাষায় বাল শব্দের দুটো মানে। এক হল চুল, তাই সেলুনে বাল কাটা হয়। আর বাল মানে শিশু, যার থেকে বালক-বালিকা। হিন্দি প্রাইমারের নাম-- বাল ভারতী। চাচা নেহরুর জন্মদিনের ডাকটিকিটে লেখা হয়---।
    কথাটা শেষ করতে পারি নি। চামড়ার বেল্ট তার কাজ শুরু করে দিয়েছে। প্রথম কয়েকটা মার গায়ে যত না লেগেছে তার থেকে বেশি অবাক হয়েছি। একী!
    একটু পরেই বুঝতে পারলাম গুরুভক্তি ভালবাসাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে।
    খানিকক্ষণ পরে ক্লান্ত হয়ে বেল্টটা ফেলে দিয়ে বলল-- ওই কথা কোন পুরুষ বললে তার জিভ আমি--!
    কিছুদিন পরে বুঝেছিলাম কমরেডরা সমীরদাকে বলেছিলেন বেয়াদপ বউকে লাইনে আনতে। ব্লাসফেমির শাস্তি!!
    আজকে আপনাদের বলছি --আমার কোন আফশোস নেই। বিশ বছর পরেও। আবার বলছি--বাল!
    না না, মজা নহীঁ আয়া! বলতে হবে কোলকাতার ছেলেমেয়েদের মত করে-- দূর বাল!
    অব ঠিক হুয়া।
    কিন্তু বললাম কাকে? ওই বুড়োকে? না, না! সেসব কবে চুকেবুকে গেছে। সমীরদাকে? নিশ্চয়ই। আর আর-- হ্যাঁ, আমাকে। আমাকে। আঃ! নিজেকে বলতে পেরে বড় শান্তি পেলাম।
    কী যা তা বকছি! শান্তি তো আমারই নাম। শান্তিলতা।শান্তি আবার শান্তিকে পাবে! দূর বাল!!
    নাঃ। এবার ট্যাবলেটটা খেতে হবে। ডঃ থেংকাপ্পন বলেছেন-- যখন দেখবেন আপনার বারবার গাল দিতে ইচ্ছে করছে, ভেতর থেকে একটা গালাগালির তুফান তেড়ে আসছে, তখন এই গোলাপি ট্যাবলেটটা খেয়ে নেবেন।
    দাঁড়ান, ওষুধটা খেয়ে নিই, তারপর খেই ধরব গল্পের। বিশবছর আগের ছিঁড়ে যাওয়া সূতোর।
  • aranya | 154.160.226.93 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৯:২১651171
  • মারাত্মক।
  • সিকি | 125.249.13.82 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১০:৫৯651172
  • উরিশশালা।

    রঞ্জনদা, আজকে লিখবে তো? (অফিসের কাজ মাথায় উঠল)
  • de | 24.139.119.171 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১১:১৪651173
  • সাসপেন্সে!
  • সে | 188.83.87.102 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১১:৫১651175
  • ভয়ঙ্কর
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন