এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা  বিবিধ

  • ইসলাম ও ইসলামফোবিয়া

    3-dots
    আলোচনা | বিবিধ | ১৫ নভেম্বর ২০১৫ | ১৫২০৪ বার পঠিত
  • প্যারিস থেকে চিত্রশিল্পী সাহাবুদ্দিনঃ
    "এত ভয় আগে কখনও পাইনি। এত অসহায় আগে কখনও মনে হয়নি নিজেকে। মুম্বইতে যে রকম হামলা হয়েছিল, প্যারিসে হুবহু সে রকমই দেখলাম। মুম্বইয়ের ঘটনা টিভিতে দেখেছিলাম। ভয়ঙ্কর! এ বার প্যারিসে নিজেই সেই পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে গেলাম। এমন জঘন্য কাজ কারা ঘটাতে পারে! কোন ধরনের মানুষ তারা? অথবা আদৌ মানুষ কি? আমার সত্যিই আতঙ্কের ঘোর কাটছে না। গোটা রাত ঘুমতে পারিনি। এখন কথা বলতেও কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু ঘুমিয়ে পড়ব, তেমন মানসিক স্থিতিতে পৌঁছতে পারছি না।"
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • robu | 11.39.38.189 | ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ১৫:৪৯688040
  • নিচের কমেন্টগুলো ভয়ন্কর।
  • sinfaut | 11.39.60.208 | ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ১৬:১৬688041
  • পেজটা এলোই না।
  • সে | 204.230.159.169 | ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ১৬:২৮688042
  • লিংকটা আসছে না। এখানে পেস্ট করা যায় ?
  • | ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ২২:৩৭688044
  • একজনের পাবলিক পোস্ট এটা।

    "যে জায়গাগুলোতে নৃশংসতা হয়েছে তার খুব দূরে থাকি না আমরা। প্রতিদিন স্টেডিয়ামের পাশ দিয়েই যাতায়াত করি। কসমোপলিটন শহরে কীটের জীবন, কাজবাজ সেরে বাসায় এসেই ঘুমুতে যাই। রাত সাড়ে আটটার কিছু আগে আমার ঘরে ফেরার পথে স্টেডিয়াম স্টেশনে ট্রেন থেমেছেও। গতকাল অন্যান্য দিনের চেয়ে ঘন্টাখানেক আগে বাসায় ফিরেছি। তখনো কেউ জানিনা যে একটু পরেই শহরে কি ঘটতে যাচ্ছে! ঘটনাস্থলে সে সময়ে আমিও থাকতে পারতাম। যদিও এখনো হয়তো প্রমাদ গুনি,কড়া নজরদারী তে থাকা ট্রেন স্টেশনের ভেতরে তো কিছু হয়নাই। আজ হয়নাই,কাল হতে কতক্ষন? যাক, সারাদিনের ক্লান্তিতে শুয়েই চোখ লেগে এসেছে প্রায়। রাত একটা থেকে ফোনের পর ফোন, প্যারিসে নাকি গন্ডোগোল, আমরা কেমন আছি?ছোট্ট দেশের দুনিয়া বিস্তৃত প্রজন্ম আমরা। সকাল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে প্রায় চার,পাঁচ প্রান্ত থেকে ফোন, ফেবুতে মেসেজ, ভাল আছিতো?

    বেঁচে আছি, কিন্তু ভাল নাই। কোথা থেকে শুরু করব,কোথায় শেষ করব, বুঝতে পারছিনা। স্বাধীনতা নিয়ে মাঝরাতে হাঁটতে হাঁটতে হেড়ে গলায় গান গাইতে পারব, ভাবতে পারব, মনের কথা প্রকাশ করতে পারব, লিখতে পারব, মুক্তির স্বাদ নিয়ে বাঁচতে পারব বলে মায়ের কোল খালি করে কোন সাগরের পারে পড়ে আছি।

    এখানের পৃথিবীটাও ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে। কি এক গুমোট দমবন্ধ পরিস্থিতি,বলে বোঝানো যাবে না। ঘটনার পরদিন সারাটা দিন প্যারিস ছিল অন্ধকার। একবারের জন্যও সূর্য ওঠে নাই। মনে হয় সারাদিন সন্ধ্যা ছিল, গুড়ি বৃষ্টি, কারো মুখে হাসি নাই। শনিবার হলেও রাস্তাঘাটে মানুষ নাই। কেমন মনখারাপ করা পরিবেশ, বলে বোঝানো যাবে না। এরা কি আমাদের আশ্রয় দিয়ে ঠেকে গেল? এই প্রশ্ন যদি কোন ফরাসী করে, তার জবাব দিতে পারব কি?
    অন্য দেশী আশ্রয়প্রার্থী আর আশ্রয়প্রাপ্তদের কথা না হয় বাদই দিলাম, ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে স্বজাতি কয়েকজন আশ্রয়প্রাপ্তের কথা বলিঃ
    ১)প্যারিসে আসার পরে এক আপুর বাসায় উঠেছি। উঠে জেনেছি সত্যমিথ্যা বলে আশ্রয় নিয়েছে ফ্রান্সে,সবাই ই করে। কিন্তু যে দেশের আলোবাতাসে স্বস্তির নিশ্বাস নিচ্ছে তার সব খারাপ। ফ্রান্স মুসলমানদের দেখতে পারে না, অফিস আদালতে চাকরি করতে গেলে হিজাব পড়তে দেয় না তাই আরো বেশি করে হিজাব পড়ে। দেশে থাকতে যদিও মাথায় ঘোমটা দিত শুধু আজান দিলে। এমনিতেও ঘর সামলানো আর কুটনামী করা ছাড়া বেশিরভাগ মহিলা আর কিছু জানেও না। ফ্রান্সে বাচ্চা বড় করা নিরাপদ না, ইসলামের আলোকে বড় করা যায় না। শার্লির হামলার দিন বলে, "আল্লাহ নাস্তিকদের বিচার করছে"।

    আমার কথা হল, সরকারের কাছে যে প্রেমিক প্রেমিকা বলে বাচ্চা জন্ম দিল, দ্রুত বসবাসের অনুমতি পাবার জন্য। হুজুর ডেকে বিয়ে করেছে কি করে নাই,তাতে কি, সরকারী খাতা কলমে যে ধর্ম অনুযায়ী অবৈধ বাচ্চা হিসেবে বড় করল, বাচ্চা কোলে নিয়ে নগর ভবনে গিয়ে বিয়ে করল তাতে কি এদের ধর্ম যায় না? হুজুর খেজুর এটাকে কেউ দোষেরও মনে করে না। আমিও করিনা। কিন্তু ধর্মের ধুয়া তুলে ভন্ডামী কেন? পূজা দেখতে যায়না। ধর্ম যায়। ইহুদী মালিকের অধীনে কাজ করে নুন আনে,সেটা খাওয়া হালাল হয়ে যায়। গতর খেটেছে, ফ্রি দেয়নি সত্য। ইহুদীর চেয়ে এতগুণ বেশি মুসলিম মালিক থাকতে তাদের অধীনে কেন নয়? ঠকাবে বলে? কেন মুসলিমরাই বেশি ঠকায়?এই প্রশ্ন করলেই আমি নাস্তিক!

    ২)সেই আপুরই এক পরিচিত আন্টির বাসায় নিয়ে গেল। যাবার আগে বারবার হিজাব পড়ে নিতে বলল। আমি হিজাব পড়িনা, গলা আটকে আসে দেখে বলল মাথায় ভাল করে কাপড় দিয়ে নিতে। দিলাম গেলাম।অনেক ধর্মকর্মের বয়ান দিলেন। ভালই লাগল।কেউ ধর্মের কথা মানে ভাল কথা বললে আমার তার জন্য খুব মায়া হয়, মন নরম হয়ে যায়। ধর্ম নাম দিয়ে অধর্মের কথা বললে আর ভাল লাগেনা। জ্বলে! যাক, আন্টিকে আমার একদিনে ভালই পছন্দ হয়েছে। আন্তরিক মহিলা। বলল তার বড় ছেলেটা ফ্রেঞ্চদের মত চলে, তার ভাল লাগে না। ছোট জামা পড়া মেয়ে নিয়ে ঘোরে। দুইদিনের দুনিয়ায় আসছি,যদি দ্বীনের পথে না চলি, পরকালের হাজার বছরে কি হবে? খুবই পরহেজগার মহিলা। দেখলেই সম্মান করতে মন চাইবে। বছরখানেক পরে।। আল্লাহ তার ছেলেকে বেহেশত নসীব করুক, ফট করে কে যেন ছেলেটাকে মেরেই ফেলল। তরুণ শিক্ষিত সুদর্শন ছেলে,তাজা প্রাণ। সবারই খারাপ লাগে। আমারো লাগল। যখন মারা গেল তখন আমি আর এক নোয়াখালী আন্টির বাসায় থাকি। আন্টিদের পরিচিত ওরা। আংকেল হাসপাতালে সেই ছেলের লাশ খোঁজে,পায় না। পরে জানে অন্য নাম দেয়া কাগজে। কারন???? আসলে তারা ফ্রান্সে আশ্রয় পেতে হিন্দু কেস করেছে!!!

    ৩)এক সিলেটি আপুর বাসায় থাকি তখন,হিজাবি। মন ভাল। যে যা বোঝায় তাই বোঝে। সরকারী স্কুলের চাকরী ছেড়ে ফ্রান্সে জামাইয়ের সুবাদে এসেছে। অশিক্ষিত জামাইয়ের কথামতো প্রায়ই নারী মজলিশে যায়, আমিও যেতে চেয়েছিলাম,দেখতে যে কি হয়। বউ আগ্রহী হলেও জামাই ঝানু। নেয়নাই। পরকাল পরকাল করে, সারাদিন মিথ্যা কথা বলে আর টাকা ছাড়া কিছু বোঝে না। ফরাসী দূতাবাসে যেদিন যাওয়ার কথা, সেদিন বলে, "মাথার কাপড় নামাই যাইও"! ভদ্রলোক আবার সাথী। মেলা বছরের সাধনার পর খেতাব পেয়েছে। জীবনের সেরা স্বপ্ন দেখেছে যে সাইদী সাহেবের সাথে হাত মিলিয়েছে।(মজা করার জন্য বলছিনা,ঘটনা সত্য)! প্রতিবছর জামাতি ফান্ডে টাকা দেয়। ওনার মত আরো লক্ষ ডোনার আছে, এই টাকা দিয়ে কি হয় জানিনা।

    ৪)এক আপু। ভাষা শিক্ষা ইন্সটিটিউট থেকে মাস্টার্স করা। এইখানে গাবরের দেশে শিক্ষিত ছেলেমেয়ে দেখলেই খুব মায়া হয়। ধার্মিক। কথার আগে আল্লাহ পরে আল্লাহ,মাঝে আল্লাহ,যেখানে দরকার নাই সেখানেও আল্লাহ। আমি আবারো বলি, হিন্দু মুসলিম বলে না। যে কোন ধার্মিক মানুষের প্রতি আমি দূর্বল। আমার কাছে,ধার্মিক মানেই ভালোমানুষ। কিন্তু মুখে আর অন্যের বেলায় ধর্মের নাম দিয়ে ফেনা উঠিয়ে ব্যাক্তি জীবনে সম্পূর্ণ বিপরীত আচরন করবে স্বার্থের জন্য, সেটাই সহ্য করতে পারি না। যাক, আমি যেহেতু পুরাতন, কি কেস করা যায় জিজ্ঞেস করলেন। আমি বললাম আপনার যা সমস্যা তাই লিখবেন। কত সমস্যা আছে, রাজনৈতিক,সামাজিক, সাংবাদিক,ধর্মহীনতা।।।! শেষ পর্যন্ত ধর্মহীনতার কারনটা তার খুব মনে ধরল। আমি বললাম আপু, আপনি তো মনে প্রানে এটা বিশ্বাস করেন না। ফ্রান্স সরকারের খুশির জন্য করবেন, মিথ্যা আমরা কমবেশি সবাই বলি, কিন্তু আপনার নিজের সাথে বেইমানী করা হইল না? এটা তো আপনার আদর্শের বিপরীত। উনার জবাব ছিল, "আমি তো বিপদে পড়ে জান বাঁচানোর জন্য করেছি। নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে নেব যে হে আল্লাহ আমার এ ছাড়া আর উপায় ছিলনা। তিনি পরম দয়ালু, তিনি আমার পরিস্থিতি অবশ্যই বুঝবেন।" এর পর থেকে দুই একদিন যোগাযোগ ছিল, আর আপুর সাথে আমি যোগাযোগ করিনাই।

    ৫)আমার প্রতিবেশী সেই মাঝবয়েসী দাদা বৌদীর সাথে "ড্যানিয়েল কাসানোভা" থেকে "হপিটাল দ্য লা ফন্টেন" যাচ্ছি একদিন। তখন আমি ওই এলাকায় থাকতাম।এটাও "স্তাদ দ্য লা ফঁস" থেকে খুব দূরে নয়। জুব্বা বা বড় কামিজ মত টাঙানো এক দোকানে ঢুকলাম, বাংলা বা শ্রীলংকান দোকান ভেবে। শাড়ি আছে কিনা জিজ্ঞেস করতে। ঢুকেই দেখি মুখ ভোঁতা করে এক বাঙালি দাড়িওয়ালা বসা। সবই ধর্মীয় বই। জিজ্ঞেস করলাম, শাড়ি নাই। হঠাৎ "নারীর পর্দা" বইয়ে চোখ আটকে গেল। নেড়েচেড়ে দেখতেই লোক ক্ষেপে গেল, হু, "ফ্রান্সে আছি বলে যারা বেহায়ার মত চলাফেরা করি,(যদিও সেইদিন আমার ফুলহাতা শার্ট পরা ছিল) আমাদের পরকাল হবে জ্বলন্ত আগুন।" আমি বললাম, "আমাকে এই কথা না বলে আপনার বউ আর বাচ্চাকে এই কথা বলেন, আর আমি বাঙালি কিন্তু হিন্দু না মুসলিম আপনি জানেন না, সুতরাং আমার সাথে ধর্ম নিয়ে কথা বলবেন না।" আরো ক্ষেপল, "আমি অমুক মসজিদের ইমাম,আমার বাসার মেয়েরা বেপর্দা না, নাস্তিক দেশে আসছি, সেইখানে ইসলাম প্রচার করতে, বেয়াদব মেয়ে মুখের ওপর তর্ক করে।" আমি বললাম, "ফ্রান্স সরকারের কাছে ইসলাম প্রচারের কথা বইলাই তো বসবাসের অনুমতি পাইছিলেন, না? তখন তো কইছিলেন মুসলমানদের অত্যাচারে তোদের ভিটায় আসছি, আর এখন এদের ভিটাছাড়া করার পাঁয়তারা করতেছেন।"

    দাদা পরে আমাকে টেনে পারলে দোকান থেকে বের করে।

    এমন হাজারো বাঙালি আছে যারা এই মাটিতে আশ্রয় নিয়ে, এই মাটি থেকে সর্বোচ্চ নাগরিক সুবিধা শুষে নিয়ে, বাথরুম সেরে ফরাসী দেশ,সরকার,সংস্কৃতির গুষ্ঠি উদ্ধার করে। বাকি মুসলিমদেশি উদ্বাস্তুরা তো আরো সরেস। শাসন করেছ এত বছর, ভাগ দেবে না? আরেকটা কথা কমবেশি সবাই বলে, আশ্রয় দিয়েছে,ফ্রি তে দেয়নি, মাথা গুণে জাতিসঙ্ঘ থেকে ভাতা পায়, যা পায় সবটা তো দেয়ও না। মেরে খায়। বলি, এত ধনী মুসলিম ভাই বেরাদার দেশ আছে, যাওনা সেখানে। জাতিসঙ্ঘ ভাতা দিলেও তোমায় বসে বসে রেশন খাওয়ায় কিনা দেখ?আর তার রূপসী শহর তোমার কারনে নোংরা হতে দেয় কিনা দেখ? কয়জন সিরিয়ান আছে, মুসলিম দের কাছে আশ্রয় পেয়েছে। ইহুদী নাসারা আশ্রয় দেবে, আবার তাদের ঘর জ্বালিয়ে দেবে তোমার ভ্রাতা, ভাল না?

    এরা নাকি আসল না, তাহলে আসল কারা?

    তিনদিন বসে লিখলাম। ট্রেনে বসেও লিখেছি, লিখছিলাম আর মনে হচ্ছিল, স্টেশনটা যদি উড়িয়ে দেয়, আমার ছিন্ন মস্তক ছিটকে ছিটকে পড়বে শান্তির বারতায়।"
  • সে | 198.155.168.109 | ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ২৩:৪০688046
  • দ এর Date:16 Nov 2015 -- 10:37 PM পোস্ট এত জ্বলন্ত সত্য, যে বলবার নয়। হ্যাটস অফ, যিনি লিখেছেন তাঁকে। এত অল্প কথায় আসল ঘটনাগুলো লিখেছেন।
    নেদার্ল্যান্ডসবাসী মণিদি (" বা লা"র) র কাছেও শুনেছি কিছু, যখন উনি দোভাষীর কাজ করতেন উদ্বাস্তুদের জন্য। সেসব শুনতে শুনতে হাসিও পায়, আবার মানুষের নির্লজ্জতা দেখে স্তম্ভিত হয়ে যেতে হয়। এখানেও কেস কিছু আলাদা নয়। গতবছর আমার শহরেই স্বামীর হাতে খুন হয়ে যায় একটা নতুন বউ। পর্দা করতে চায়নি বলে। বাংলাদেশী।
  • kaktarua | 216.223.181.135 | ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ০০:০৬688047
  • দ কে ক দুটো পোস্ট এর জন্যেই। দুটোই সত্যি কিন্তু দুঃখের এই যে দুই নম্বর পোস্ট টা সত্যি হতে পৃথিবী কে এখনো অনেকটা পথ পেরোতে হবে। আর সাধারণ মানুষের মত অনেক রাগ নিয়ে প্রশ্ন করি প্রথম পোস্ট এ লেখা মুসলিম রা কারা? আমার পরিচিত অনেকেই আছেন যেনাদের সাথে এই বর্ণনা মিলে যায়। এনারা নিরীহ মুসলিম/ধর্মপ্রাণ মুসলিম/ইসলাম শান্তির ধর্ম বলে মনে করেন/ না এই সমস্ত পরিবার থেকেই একদিন potential terrorist উঠে আসবে।

    এনাদের সাথে কিকরে connection তৈরী করা সম্ভব। কানাডায় দেখি এনারা বাইরে বেরোতে এবং কোনরকম সংযোগ স্থাপনেও নারাজ। আবার অনেক অনেক example দেখেছি যেনারা মিশে গেছেন এবং এই দেশ টাকে নিজের করে নিয়েছেন। তবে এই ধরনের কথা শুনলে সত্যি 'জ্বলে'- খুব-ই জ্বলে।
  • sinfaut | 127.195.50.235 | ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ০০:০৭687363
  • Brian Keenan এর An evil cradling বইটার কিন্ড্ল এডিশন ৬৭ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এক্ষুনি কিনলাম।
  • ranjan roy | 132.162.198.81 | ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ০০:৩৩687364
  • সিঁফোঁ,
    ড্রপবক্স।
  • kc | 198.71.213.254 | ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ০০:৪২687366
  • কিনলা কেনে? কোনওদিন দেখা হলে না হয় মদ না হোক, পঞ্চাশ টাকার ঘটিগরমই না হয় খাইয়ে দিতা, টাকাটা দেশেই থাকত।
  • ranjan roy | 132.162.198.81 | ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ০০:৪২687365
  • রোবু,
    তা কেন হবে? সিন্ফোঁর দ্বিতীয় ক্লজটি দেখ।
    সিপুএম/নকু সবার ক্ষেত্রেই অন্ধ গোঁড়াদের বুড়ো আঙুল দেখাব, কিন্তু তার মানেই যে সব সিপুএম/নকু/কং/বিজেপিকে একসঙ্গে ব্র্যাকেট করব তা তো নয়।
    সিঁফোঁ বক্রোক্তির মাধ্যমে ব্রতীনএর ওই ভুলটাকেই আঙুল দেখিয়েছে। অর্থাৎ ঘাতক হত্যাকারী ধর্মীয় গোঁড়াদের যত ইচ্ছে গালি দাও, কিন্তু তাদের জন্যে জেনেরিক 'মুসলিম' শব্দ ব্যবহার কোর না। তাই ক দিলাম।
    তুমি শুধু একটা লাইনকে আলাদা করে দেখছ, তাই তোমার খারাপ লাগছে।
    আর আমিতো পার্কসার্কাস পাড়ায় মুসলিম মহল্লায় বড় হয়েছি। মুসলিম মেয়েদের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল।ঃ)))
    গতমাসে লখনৌএ ট্রেনিং নিতে গেছলাম। রুম পার্টনার দুজনই মুসলিম, বাচ্চাছেলে। খুব দোস্তি হয়ে গেল।
  • ranjan roy | 132.162.198.81 | ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ০০:৫২687367
  • কল্লোলের সঙ্গে একটু পোঁ ধরি।
    এছাড়া অর্জুন যখন সামনে আত্মীয়স্বজনদের দেখে অস্ত্র তুলতে চাইছেন না বলছেন মাতুলা-শ্বশুরা-পুত্রৌ-শালা-সম্বন্ধীনস্তথাঃ
    অর্থাৎ কাকে মারবো? সব যে আমার নিকটাত্মীয়।
    তখন শ্রীভগবান বললেনঃ
    ময়ৈবৈতে নিহতাঃ পূর্বমেব,
    নিমিত্তমাত্রং ভবঃ সব্যসাচীন্‌।
    [ছোটবেলার স্মৃতি থেকে লিখছি, নির্ঘাৎ কোন শব্দ বা ব্যাকরণের ভুল আছে, কানে মনে হচ্ছে। (ম্যাক্সিমিন থাকলে ঘ্যাঁক করে ধরতেন। অনেকদিন আসেন না।ঃ( ]
    অর্থা`ৎ, তোমার কোন দায় নেই (আত্মীয়ের বধজনিত মহাপাপের), এরা আগেই মরে গেছে, আমিই মেরে রেখেছি।

    এবার দময়ন্তীর পোস্ট দেখুন। শার্লি হত্যাকান্ডের সময় পাত্রপাত্রীর কমেন্টঃ আল্লাহ্‌ বিচার করছেন।
  • anirban | 208.128.198.212 | ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ০০:৫৩687368


  • এইটা দেখতে পারেন।
  • kaktarua | 216.223.181.135 | ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ০১:০৮687369
  • জনগনকে বলতে শোনা যায় " ভগবানের মার কি করা যাবে " - ওই গীতা থেকেই বোধয় কিন্তু বলার মধ্যেও দুঃখ মিশে থাকে। ওপরের আর্টিকেল এর conversation টা বোধয় " বেশ হয়েছে ঠিক হয়েছে" typer । either ওপরের উল্লিখিত ব্যক্তি রা spritually এতটাই অ্যাডভান্সড যে "দুখেসুখেসু অনুদ্বিগ্নমনা etc (বানান ভুল) হয়ে গেছেন। আল্লাহ কে "কোনো প্রশ্ন নয়"। বা সত্যি expression টা actually "বেশ হয়েছে। মজা দেখ" গোছের কিছু একটা
  • Dipak Pal | ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ০১:১৫687370
  • এই গ্রুপে বা আমার ফ্রেন্ডলিস্টে যে বন্ধুরা মুসলিম তারা কেউ প্যারিস সন্ত্রাসে জড়িত নয়। আমার বাড়িতে মুর্শিদাবাদ থেকে আসা রাজমিস্ত্রি সেও মনে হয় জড়িত নয়। আমার অফিসের এক কলিগ সেও নয়। আমার জন্মের পর আমাকে হাস্পাতাল থেকে কোলে করে নিয়ে আসা লিচুমাসি (মুসলিম ) সেও মনে হয় জড়িত নয়। আমাদের ক্লাবে খেলা ফুলুমামা(মুস্লিম) তারও জড়িত থাকার কোন খবর নেই। যাদের সিনেমা দেখে ১০০ কোটির ব্যবসা দিচ্ছেন তাঁরাও নয়। আশা করি আপনাদেরও একই অভিজ্ঞতা। so please stop posting insensitive and stupid post.
  • anirban | 208.128.198.212 | ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ০১:১৬687371
  • এবং এইটা -
  • sswarnendu | 198.154.74.31 | ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ০২:০৯687372
  • দীপক পাল বাবু, একদম মনের কথাটা বলেছেন ...
    কিভাবে যে কিছু মানুষ ভাবতে পারে যে শখ করে, সন্ত্রাস করতে কাতারে কাতারে লোক রবারের ভেলায় ভূমধ্যসাগর পার হচ্ছে... আমি সত্যি জানি না...
  • aranya | 154.160.226.92 | ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ০২:৪৭687374
  • সন্ত্রাস করতে 'কাতারে কাতারে' লোক রবারের ভেলায় ভূমধ্যসাগর পার হচ্ছে - এমন তো কেউ ভাবে না, ভাবে 'অল্প সংখ্যক' সন্ত্রাসবাদী এভাবে রবারের ভেলায় ভূমধ্যসাগর পার হচ্ছে

    সে ভাবনা-টা ভুল নাই হতে পারে
  • aranya | 154.160.226.92 | ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ০২:৪৮687375
  • মানে যেটা বলতে চাইছি - শরণার্থী সেজে কিছু সন্ত্রাসবাদী অন্য দেশে ঢোকার চেষ্টা করতেই পারে
  • anirban | 208.128.198.212 | ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৪:১২687376
  • অরণ্যদা, সেটার কোন প্রমাণ কিন্তু এখনও পাওয়া যায় নি।
  • aranya | 154.160.226.92 | ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৫:০৪687377
  • প্রমাণ কিছু নেই, কিন্তু সম্ভাবনা অবশ্যই আছে।

    আমি চাইব, মানবিক কারণে তাও শরণার্থী-দের আশ্রয় দেওয়া হোক। শুধু ইউরোপ কেন, মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা, ভারত, চীন - সব দেশই এই ভার নিক, তাতে নিজের দেশে সন্ত্রাসবাদ বা মৌলবাদ বৃদ্ধির সম্ভাবনা সত্বেও। সম্ভাবনা শব্দ-টায় তলদাগ।

    তবে দিনের শেষে প্রতিটি দেশের সরকার ও মানুষ-ই তাদের নীতি ঠিক করবে।
  • anirban | 208.128.198.212 | ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৫:৫৮687378
  • "no one leaves home unless
    home is the mouth of a shark
    you only run for the border
    when you see the whole city running as well

    your neighbors running faster than you
    breath bloody in their throats
    the boy you went to school with
    who kissed you dizzy behind the old tin factory
    is holding a gun bigger than his body
    you only leave home
    when home won’t let you stay.

    no one leaves home unless home chases you
    fire under feet
    hot blood in your belly
    it’s not something you ever thought of doing
    until the blade burnt threats into
    your neck
    and even then you carried the anthem under
    your breath
    only tearing up your passport in an airport toilets
    sobbing as each mouthful of paper
    made it clear that you wouldn’t be going back.

    you have to understand,
    that no one puts their children in a boat
    unless the water is safer than the land"

    http://www.commondreams.org/further/2015/09/04/no-one-leaves-home-unless-home-mouth-shark
  • aranya | 154.160.226.93 | ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৬:০৯687379
  • 'no one puts their children in a boat
    unless the water is safer than the land'

    - সে তো বটেই। একশ বার সত্যি
  • lcm | 14.15.124.11 | ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৭:৩৭687380
  • | ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৮:৫০687381
  • বোঝো! এই দীপক পালের র‌্যান্টের লক্ষ কে বা কারা? মানে স্টুপিড ইত্যাদি?
  • | ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৮:৫৬687382
  • কাকতাড়ুয়া, ওটি আমার লেখা নয়। লিখেইছিলাম একজনের পাবলিক পোস্টে পেয়েছি। যিনি লিখেছেন তাঁর নাম সানজিদা সুলতানা। তাঁর দেয়ালে এটি পাবলিক পোস্ট এবং যথারীতি মুমিন ভাইয়েরা রে রে করে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।

    সে'র মন্তব্য প্রসঙ্গে হ্যাঁ নেদারল্যান্ডসের তানবীরা হোসেনের কাছে আমিও কিছু শুনেছি। তানবীরা মূলতঃ বাংলাদেশ থেকে আসা মেয়েদের সাথে কাজ করেন। তানবীরা মুক্তমনায় নিয়মিত লেখেন।
  • cb | 208.147.160.75 | ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৮:৫৮687383
  • মনে হচ্ছে ফেবুতে লড়তে লড়তে এখানে কপি পেস্ট করে দিয়েছেন
  • dd | ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৯:০৭687385
  • রঞ্জন আর কল্লোলকে। ধুর।

    গীতা বা অন্য যে কোনো হিন্দু ধর্মগ্রন্থেই বা বিশ্বের যে কোনো ধর্মগ্রন্থেই অসংখ্য বাজে কথা ও স্টুপিড "তথ্য" আছে। এ নিয়ে আর বলার কী?

    প্রশ্ন হচ্ছে স্ক্রিপচারকে অলংঘ্যনীয় বলে দেশের বা কমিউনিটির সব আইন কানুন পোষাক খ্যাদ্যাভাস হ্যান ত্যন কোথায় আছে? ব্লাসফেমি আইন হিসেবে কোথায় আছে? সেইখানে কোরাণের মতন স্ক্রিপচার ভিত্তিক ধর্ম আর কোনো সমাজে নেই। সমস্যাটা সেখানে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন