এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • প্রসঙ্গ জে এন ইউ

    রৌহিন লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | ৫৬৫৬৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • :) | 192.69.250.130 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:৩১691139
  • একমত। লজিকের প্যাটার্ন দেখেই কেমন সন্দেহ হচ্ছিল :)
  • নন্দকিশোর মুন্সী | 151.0.13.176 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:৪৮691140
  • ডিসকানেক্ট আছে সন্দেহ নেই। সমস্যা হল একেবারে সাধারণ লোকের সাথে আলোচনা হচ্ছেই না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখছি যারা ডিবেটে আসছে তারা সকলেই মনস্থির করেই আসছে।
  • ডিসি | 132.164.150.102 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:৫৫691141
  • না এটাও সঠিক বলতে পারিনা। সাধারন লোকের কথাই বলছি। চলতে ফিরতে ট্রেনে বা এয়ারপোর্টে, নিজের অফিসে, ক্লায়েন্টের সাথে টুকটাক আলোচনায় যাদের সাথে কথা বলেছি তাদের মধ্যে খুব বড়ো মেজরিটি কাশ্মীর গনভোটের কথা শুনলেও চমকে ওঠে, আর্মি মানেই একটা গম্ভীর সশ্রদ্ধ ভাব ফুটে ওঠে। শুধু যারা ডিবেটে আসে বা ডিবেটে আগ্রহী তারা না, সাইলেন্ট মেজরিটিরও এরকম মনোভাব। বিজেপি এটা জেনে বা না জেনে যে কারনেই হোক, নিজেদের এই মেজরিটির সাথে অ্যালাইন করে নিতে পেরেছে। তার মানেও এই না যে এই মেজরিটি বিজেপির সাপোর্টার। কিন্তু এই জায়গাটায় তাদের সাথে বিজেপির মত মিলে যায় বলেই বোধায় দেশের অনেক লোক এখনও এসব বিষয়ে সাইলেন্ট। আমি এই অংশের সাথে ডিসকানেক্টের কথা বলতে চেয়েছি, যারা ডিবেটে আসে তাদের সাথে না।
  • নন্দকিশোর মুন্সী | 151.0.12.127 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:১৫691142
  • আমিও এদের কথাই বলছি। এদের সাথে যতটা কথা বলা দরকার সেটা হচ্ছে না। অন্ততঃ আমি পারিনি, কারণ সেই স্কোপটাই নেই। কলেজে ছাত্র রাজনীতিতে বকুলতলায় বসে গ্যাঁজানোর সময় যে ইন্টার‌্যাকশন হত সেই ব্যাপরটাই নেই।

    আবার এদের সাথে কথা বলার সময় কাশ্মীরের গণভোট এড়িয়ে যাওয়া শেষে পুজো কমিটিতে ঢোকার মত না হয়ে যায়ঃ-)
  • cm | 127.247.96.253 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:২১691143
  • এরা সবাই ডাকলেই বাধ্য ছেলের মত ডিবেটে আসবে এ অ্যাসাম্পশনের ভিত্তি কি? আমি এরকম অনেককেই দেখেছি যারা ডিবেটে/আলোচনায় যাবেই না। এদেরকে কাঁচা বাংলায় গাঁট বলে, আর এরাই ভক্তকুলের মেজরিটি।
  • pi | 233.176.34.111 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:৩৮691144
  • এটা অন্যত্র লিখেছিলাম, এখানেও দিয়ে রাখি।

    এই কথাটা ক'দিন ধরে বারবার বলার চেষ্টা করছি।বিশেষ ক'রে বাম লোকজনের মতামত জানতে সিরিয়াসলি ইচ্ছুক। সিপিএম সিপিয়াই এম এল এর লোকজন কী বলেন ?
    আফজল গুরুর বিচার নিয়ে বলা মানে বা কাশ্মীরের আজাদী চাওয়া মানে ভারতের বরবাদী চাওয়া কেন হবে, এটা সত্যি তো বুঝছি না ! অথচ এটাকেই ইক্যুয়েট ক'রে খাওয়ানো চলছে !
    টিভি চ্যানেলে নির্ঝর বা ভিসি বা আরো অনেকের ঐ ফ্রিন্জ এলিমেন্ট বলে ডিস ওন করার চেষ্টাটা খুব বাজে লাগলো। আফজল গুরু কি গিলানির বিচার নিয়ে দাবি তোলাকে কেন ডিফেণ্ড করা যাচ্ছে না ? কেন কাশ্মীরের গণভোটের দাবি তোলাকে এভাবে ডিস ওন করতে হচ্ছে ?
    বড় পার্টীগুলির কিছু বাধ্যবাধকতা আছে, জানি। কিন্তু এবার ভাবার সমইয় এসেছে।
    ঐ 'ফ্রিঞ্জ এলেমেন্ট' শুনলেই বিরক্তি লাগছে। ভয়ও। আজ ধরা যাক, কোন একটি ফ্রিন্জ এলিমেন্টকে স্পট ক'রে গ্রেপ্তার করা গেল। যেমন এখন জে এন উ ঐ উমর খালিদের হান্টিং চলছে। শুরু হয়েছে যে উ র জুবিকে নিয়েও। এবার যেহেতু ঐ 'ফ্রিন্জ এলিমেন্ট' আফজল গুরু আর গিলানিকে নিয়ে স্লোগান দিয়েছিল, তার গ্রেপ্তার কি লিন্চিং কি কোর্টরুম লিঞ্চিং জাস্টিফায়েড হয়ে যাবে না তো, বা হলে তা নিয়ে প্রতিবাদের অভাব দেখা যাবেনা তো ? জুবিকে নিয়ে হলে ?
    নাকি এটা যেহেতু প্রমাণিত হয়ে গেছে, কানহাইয়া 'ভাল' ছেলে, দেশবিরোধী কিচ্ছু বলেনি, তাই তার জন্য সমর্থন আসছে, যে জন্য কানহাইয়াকে বারবার স্টেটমেন্ট দিয়েও প্রমাণ দিতে হচ্ছে!
    আর ইন্টারন্যাশানাল সাপোর্ট ইঃ খুব ভাল কথা, কিন্তু সেগুলো আসার জন্য সেফ খেলতে গিয়ে ঐ সমস্যাজনক ইস্যুগুলো এড়িয়ে যাওয়া কোন কাজের কথা নয় বলেই মনে হয়। বিকাশবাবুর কথা খুব ভাল লেগেছে, বারবার বলার চেষ্টা করছিলেন, কাশ্মীর নিয়ে কি আফজল কি নিয়ে কী ভাবির থেকেও বড় কথা, এইসব ইস্যুতে একটা অন্য ভাবনাও আছে। তো, সেই ভাবনাটা কেন আসছে, সেটা অ্যাড্রেস তো করতেই হবে, সেটা বন্ধ করা বা বন্ধ করতে চাওয়া খুব ক্ষতিকর।
    এটা ঘটনা, বিজেপি এগুলো নিয়ে কথা বলা বন্ধ করতে চেয়েছে। ডায়লগের স্পেসও । এবার এগুলো বন্ধ করলে বা ডায়লগ না চালালে বিজেপি-আর এস এস এর ট্র্যাপেই পা দেওয়া হবে।
  • dc | 132.164.150.102 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:৪৪691145
  • হ্যাঁ এরা বেশীরভাগ "ডিবেটে" আসেনা, তবে এদের ঠিক গাঁট বলতেও আপত্তি আছে। ধরুন ক্লায়েন্টের অফিসে গিয়ে কোন অফিসারের সাথে খানিক গ্যাঁজালাম, কথায় কথায় বললো, "আরে ইয়ে JNU মে ক্যায়া হো রাহা হ্যায় মেরে তো কুছ সমঝ মে নহি আতা হ্যায়। ইয়ে লোগ দেশ কা বর্বাদি কিঁউ মাংগ রাহা হ্যায়?" তার মানে কিন্তু লোকটা গাঁট না, এমন কিছু পলিটিকালও না। আমি যদি বলি, "লেকিন দেশ কা বর্বাদি তো নেহি মাংগ রহা হ্যায়, JNU ওয়ালে তো বিজেপি সরকার কে খিলাফ হ্যায়" তো লোকটা বেশী কিছু রিয়াক্টও করেনা বা তেড়েও আসেনা। এরা ফেবুর ভক্তকুল না।
  • cm | 127.247.96.253 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:৫০691146
  • ভ্যাবলা সাজলেই কি আর আমি ভ্যাবলা হয়ে যাই নাকি? যা শত্রু পরে পরে ওদের পেটাচ্ছে পেটাক, এদিকে আপিসে ন্যাকামো করি। এ শতকরা দুশো ভাগ ভ্যালিড অবস্থান আর আমি এই মালই বেশি দেখি।
  • cm | 127.247.96.253 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১২:০০691147
  • কাশ্মীরের আজাদী চাওয়া আর কাশ্মীরে ভোট চাওয়া দুটো সম্পূর্ণ আলাদা কথা। কাশ্মীরকে যারা ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ মনে করে তাদের কাছে কাশ্মীরের আজাদী ভারতের বরবাদী কিনা জানিনা তবে আবাদী নিশ্চয় নয়।
  • pi | 74.233.173.185 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১২:০৫691150
  • কেউ কাশ্মীরের আজাদি চাইলে তার বিরোধিতা করা আলাদা নাকি ?
  • pi | 74.233.173.181 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১২:০৫691149
  • মাঝেও কিছু লোকজন আছেন। তান্দেরকে দূরে সরালে ক্ষতি ও বিজেপির লাভ।
  • cm | 127.247.96.253 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১২:১৬691151
  • কিসের থেকে আলাদা, ভোটের থেকে? বিজেপি আপাতত একটু বাড়ুক না ক্ষতি কি? দেশের রাজনীতিতে যা ভয়ানক স্ট্যাগনেশন। সবার গাঁটে গাঁটে জং ধরেছে।
  • PT | 213.110.243.21 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৪:২০691152
  • ২০০৬ সালে বিজেপি কি এমনতর খারাপ-ই ছেলো? নাকি তখন ভাল ছেলো এই বছর দেড়েক হল খারাপ হয়েছে? আজকের বিজেপির ক্ষমাতার আস্ফালনের পেছনে সেদিনের কানে কানে কথার কোন অবদান নেই?

    WE ARE WITH YOU": BJP president Rajnath Singh extends support to Trinamool Congress leader Mamata Banerjee in her campaign against the acquisition of farm land in Singur by the West Bengal Government for a Tata car project, in Kolkata on Monday.
    http://www.thehindu.com/todays-paper/buddhadeb-rules-out-stopping-work-on-tata-motors-project/article3029568.ece

    তখন তো এইসব মিটিন-টিটিন নিয়ে অনেকেরই তেমন বিশেষ কোন উচাটন দেখেছি/শুনেছি বলে মনে করতে পারছি না!!
  • Div0 | 132.167.99.72 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৫:১৯691153
  • "The Delhi Police has asked the Foreigner's Regional Registration Office or FRRO to alert airport authorities to look out for three JNU students named Umar Khalid, Anirban Bhatacharya, Aswathi."

    এই লুক আউট নোটিসটা ভালো লাগছে না। "উমর খালিদ" তো অলরেডি বৈধতা পেয়ে গেছে মার্কেটে, 'আসলি জড়' হিসেবে। নামেই দেশদ্রোহিতা প্রমাণ করে দিতে রেডি সক্কলে। এই ছেলেগুলো গ্রেপ্তার হওয়ার পরে প্রতিবাদ স্তিমিত না হয়ে যায়। JNU, JU'এর মত সলিডারিটি মার্চ, প্রতিবাদ লাগাতার চাই। কানহাইয়া বেইল যদি পেয়েও যায়, এই হাঃজাঃ সরকার এত সহজে হার মেনে নেবে না। এরা আরও বড়ো কিছু প্লট করছে।
  • Arpan | 24.195.232.143 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৫:৩০691154
  • পৃথিবী পাল্টে যায়।

    শুধু জগাই ক্লান্ত হয় না।
  • Div0 | 132.167.99.72 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৬:০৩691155
  • এই "হিন্দুত্বে"র ধ্বজাধারী ক্রিমিনালাগুলোকে অ্যারেস্ট করার জন্য লুক আউট নোটিস জারি করা যায় না?

  • S | 108.127.145.201 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৬:১০691156
  • একটা দেশ যত এগিয়ে যায় সেখানে সংস্কারের/ উদারিকরণ দরকার হয়। একদিকে যেমন অর্থনৈতিক উদারিকরণ করা হয়েছে, বোধয় (অবশ্যই তর্কের বিষয়) রাজনৈতিক উদারিকরণ ততটা করা হয়নি। বৃটিশ সরকারের আমলে কিছু কিছু আইন (বা কনস্টিটুশনাল প্রভিশন বা আর্টিকল যাই বলা হোক না কেন) বানানো হয়েছিলো তখনকার কথা ভেবে। দেশ স্বাধীন হয়েছে, তারপরেও সেরকম অনেকগুলো আইন রয়ে গেছে - বা রেখে দেওয়া হয়েছে। অবশ্যই শাসক দলের জন্য। এছাড়াও কিছু কিছু আইন আরো তইরী করা হয়েছে টু প্রোটেক্ট অ ইয়ঙ্গ নেশন অ্যান্ড অ ডেমোক্র্যাসি ইন ইট্স অ্যাডোলেসেন্স। কিন্তু দেশ তো এখন অনেকটা এগিয়েছে, দেশ শক্তিশালি হয়েছে, গণতন্ত্র মজবুত হয়েছে, বিদেশি শক্তি ক্ষমতার দ্বারা দেশের সম্পদ বা সোভেরেইনটি কেড়ে নেবে সেই সম্ভাবনাও খুব কম, দেশ এখন সিকিউরিটি কাউন্সিলের পার্মানেন্ট মেম্বার হতে চায়, সুপার পাওয়ার ইত্যাদি। এইসব কারণে অর্থনৈতিক উদারিকরণ যথেস্ট করা হলেও অন্যদিকে কিন্তু দেশ তেমন এগোয়নি। একটা কোস্নো আছেঃ আর্টিকল ৩৫২ কি এখনো আছে? কোনো পরিবর্তন কি করা হয়েছে?
  • ranjan roy | 24.99.70.72 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৭:৩৯691157
  • রোবু,
    ঠিক বলেছ। তখন ছিল ডিভিডি, সিডি নয়। আসলে এখন ডিভিডি উঠেই গেছে, তাই ভুল হয়ে গেল। আমরা তখন লুকিয়ে আনন্দ পটবর্ধনের তৈরি বাবরি মসজিদ নিয়ে তৈরি ,আরেকটা India Today ও বানিয়েছিল জোগাড় করে কারও বাড়িতে প্রাইভেট স্ক্রীনিং করাতাম, দেখত ১৫/২০ জন ব্যস্‌।

    ঈশান, দমু, পাইয়ের সঙ্গে কিঞ্চিৎ দ্বিমতঃ
    ১) কাশ্মীর, মণিপুর ইত্যাদি প্রশ্নে চুপ করে থাকার বা মুখ লুকনোর প্রশ্ন তো নয়, প্রশ্ন হল কখন কিভাবে বলা --সেটা!
    ১।১ বারবার বলতে হবে খোলসা করে বলতে হবে--কেন কাশ্মীর কোন দিন অখন্ড ভারতের অংশ ছিল না, কী পরিস্থিতিতে `'অংশ' হল।
    বলতে হবে হরি সিংএর কাশ্মীর ও নিজামের হায়দ্রাবাদের মধ্যে তুলনা।
    ১।২ বলতে হবে যে আজও ভারতের যে কোন আইনে clause No. 2 (nomenclature) এ স্পষ্ট করে বলা আছে এই আইন জম্মু ও কাশ্মীরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়!
    ১/৩ বলতে হবে ইউএনও চার্টারে জাতিসত্তার আত্মনিয়ত্রণের অধিকারের কথা।
    ১/৪ বলতে হবে ইস্ট পাকিস্তানের বাংলাদেশ হওয়ার কথা।
    --- কিন্তু কী ভাবে ? কখন? জে এন ইউ এর ছাত্রদের মুক্তচর্চার ওপর দেশদ্রোহী তকমা লাগিয়ে রাষ্ট্রের সুনিয়োজিত গুন্ডামির প্রতিবাদ মি্ছিলে উপরোক্ত আলোচনার ,এনগেজমেন্টের কোন সুযোগ নেই।
    সেখানে শ্লোগান ওঠা উচিত ---
    ক) আফজল কো শহীদ কহনেওয়ালে কে সাথ বিজেপি হাত মিলায়া কিউঁ?
    খ) রাষ্ট্রপিতা কী হত্যাকারী কী মূর্তি ইস দেশ মেঁ বন রহা হ্যায় কিঁউ?
    গ) কান্দাহার মেঁ মাসুদ আজহার কো বিজেপি সরকার ছোড়া কিঁউ?
    ঘ) বিন বুলায়ে মেহমান বনকে মোদী পাকিস্তান জাতা কিঁউ?
    --অগর উন সব গদ্দারি নহীঁ তো কানহাইয়া কো গদ্দার কহতে কিঁউ?
    তবে সাধারণ জনতার কাছে বিজেপির দেশপ্রেমের ভন্ডামি স্পষ্ট হবে। নতুন প্রজন্মের অনেকেই কাশ্মীর নিয়ে হিন্দি সিনেমার বাণী ( 'নেফা হমারা, কাশ্মীর হমারা'র )বেশি জানে না।
    তার জায়গায় বিনা প্রেক্ষিতে গিলানি বোলে আজাদি, আফজল বোলে আজাদি---আম জনতার মনে বিজেপির অভিযোগকেই মান্যতা দেবে।

    দ্বিতীয়তঃ সংযুক্ত প্রোগ্রামের কিছু বাধ্যবাধকতা থাকে।
    সেই সমাবেশ ও মিছিলে র‌্যাডিকাল নামধারী গ্রুপটি অবশ্যই মূল আয়োজক নয়। যদি ফেটসু/এসএফ আই/ এ আই এস এফ/ ডিএসও এর আয়োজক হয়ে থাকে ( না জেনে বলছি), তো কমন মিনিমাম প্রোগ্রামের শ্লোগান দেওয়াই কী কাম্য নয়?
    ধরুন, আজ যখন কং/সিপু জোট হচ্ছে তখন প্রচারে গিয়ে কি সিপুরা এমার্জেন্সির কালো দিনের কথা তুলবেন? বা কং রা হাওড়ায় ওদের পক্ষে ভোট দেবার অপরাধে কিছু লোকের কব্জি কাটা যাওয়ার ঘটনা?
    যুবি সাহার সৎসাহসের প্রশংসা করেও বলব --ওঁরা ওদের বক্তব্য নিয়ে ( আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার, কাশ্মীর ও মনিপুর সমস্যা) আলাদা সেমিনার করুন, তাতে প্রশান্তভূশণের মতন জুরিস্ট ও সুবক্তাকে নিয়ে আসুন। বেশি এফেক্টিভ হবে।
    ২) সুরঞ্জন দাসের ভূমিকা আর ছাত্রদের ভূমিকা এক হবে না তো!
    উনি রাজ্যপাল দ্বারা নিযুক্ত, মানে এক হিসেবে কেন্দ্রের কাছে দায়বদ্ধ। কেন্দ্রীয় হোম ডিপার্টমেন্ট ওঁর থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে।
    উনি যে ভাবে প্রশাসনিক চাপ সামলে বিজেপির দুই নেতার অপমানজনক গুন্ডার মত ভাষা অগ্রাহ্য করে য্থাযথ উত্তর দিয়েছেন ও পুলিশ না ডেকে আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে সংযোগ রাখতে চেয়েছে ন--এজন্য উনি অত্যন্ত প্রশংসার বা সম্মানের যোগ্য।
  • ranjan roy | 24.99.70.72 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৮:০২691158
  • চীন-ভারত সংঘর্ষের দিনগুলোতে কী ভাবে বক্তব্য রাখা হত?
    সংঘর্ষ তো একমাসের। বমডিলা তাওয়াং অবদি এসে গেছলো পিএলএ। আশংকা শীগ্গিরই তেজপুর ফল করবে। এমনসময় চীনা ফৌজ একতরফা যুদ্ধবিরাম ঘোষণা করে ফিরে গেল। এই চালটা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চীনের সম্মান বাড়িয়ে দিল। আর বিগ্রেডিয়ার দালভির গোটা ব্রিগ্রেডকে তুলে নিয়ে গিয়ে বন্দী করে খাইয়ে দাইয়ে গরম জামাকাপড় দিয়ে ফেরত পাঠিয়ে বলল-- দেশে ফিরে বল, আমরা তোমাদের দুশমন নই। আর তোমাদের সরকার কেমন? এই শীতে ভাল করে গরম কাপড়জামা না দিয়ে লড়তে পাঠিয়েছে?
    দালভি ফিরে এসে বই লিখলেন-- হিমালয়ান ব্লান্ডার!
    সিপিআই তো নেহরুর পক্ষে দাঁড়াল, সরাসরি চীন/রাশিয়া বিতর্কের ফলশ্রুতি। বামেরা গেল জেলে। জ্যোতি বসু/সুন্দরাইয়া সেন্ট্রিস্ট অবস্থান নিয়ে বললেন অত হাজার ফুট উঁচুতে কে কাকে আক্রমণ করেছে নিশ্চয় করে বলা মুশকিল।
    প্রচার পুস্তিকা বলতে গান্ধীবাদী নেতা পন্ডিত সুন্দরলালের নেহরু ও চৌ এন-লাইকে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে লেখা চিঠিপত্র, এবং বার্ট্রান্ড রাসেলের দুপক্ষকে লেখা চিঠি, যাতে রাসেল বলছেন যে প্রথমে মনে হচ্ছিল ভারত ঠিক বলছে, কিন্তু চৌয়ের বক্তব্য ও রেসপন্স পেয়ে মনে হচ্ছে যে চীনই ঠিক।
    তখন কী কমিউনিস্ট পার্টি বলতে সাহস পেয়েছিল যে ভারত সরকার আক্রমণকারী? না, আমরা বলতাম --ওটা হল সীমান্ত সংঘর্ষ। ভুল বোঝবুঝি হচ্ছে মার্কিন লবির প্ররোচনায়।
    মিছিলে শ্লোগান দেওয়া হত (৬৩-৬৪তে)--
    " যখনি মানুষ চায়, বস্ত্র ও খাদ্য,
    সীমান্তে বেজে ওঠে যুদ্ধের বাদ্য।"
    ৬৬তেঃ
    " হিন্দি-চীনী ভাই ভাই,
    চৌ-ইন্দিরা বৈঠক চাই।"
    আসলে পর পর দুটো যুদ্ধ, ৬২-৬৩ চীন ও ৬৫তে পাকিস্তান, দেশের আর্থনীতিকে নড়িয়ে দিয়েছিল।অনেক ট্যাক্সো বসল--
    আইপিটিএর গান হলঃ
    শুনছ নি হ সজনি,
    সজিনা গাছের ট্যাক্সো দিছ নি?
    ট্যাক্সো দিও পোলা হইলে ট্যাক্সো দিও মইলে,
    ট্যাক্সো দিও মাটির তলায় সাত হাত নীচে গইলে"। ইত্যাদি।
    শেষে বাজারে চাল/কেরোসিন গায়েব হল।
    আর সয় না। পার্টি সংগঠন ও ভোগে গেছে। অভিযোগ উঠেছে সিপিআইয়ের লোকজন ভালো ছেলে সাজতে বামেদের ধরিয়ে দিচ্ছেন। একটা কৌশল ছিল কোন কমরেডকে গোপন বৈঠকএ ডাকতে পোস্টকার্ড দিয়ে চিঠি পাঠানো।ঃ)))

    দুই অগ্নিযুগের বিপ্লবী গণেশ ঘোষ ও সতীশ পাকড়াশি ( যুগান্তর ও অনুশীলন) আন্ডারগ্রাউন্ড হয়ে উত্তর ও দক্ষিন চষে ফেলে দাঁড় করালেন খাদ্য আন্দোলন ও পার্টি সংগঠন। তার পরের কথা তো সবাই জানে।
    ওঁরা যোগ্য স্বীকৃতি পেলেন না।
  • cb | 208.147.160.75 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৮:০৪691160
  • রন্জনদা মনে হয় ভিডিয়ো ক্যাসেট/ভিসিআর এর কথা বলছেন। কোন চিন্তা নেই রন্জনদা, আপনার ভাঁওনাকো আমরা সমঝে লিয়েছি
  • Robu | 11.39.39.72 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৮:০৯691161
  • ঠিক।
  • 0 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৯:২৫691162
  • গত কয়েকদিন ধ'রে, এই ধরনের মানুষ, যারা এমনিতে বেশ ধর্মনিরপেক্ষ, সবরকম মৌলবাদের বিরোধী, সংঘপরিবার-বিরোধী, সবরকম লিঙ্গযৌনতাবৈষম্য-বিরোধী, মৃত্যুদণ্ডবিরোধী, মোটামুটিভাবে র‌্যাশনাল, লিবেরাল তথা মুক্তচিন্তার মনোভাব রাখলেও, কাশ্মীর, ভারতীয় সেনাবাহিনী, অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব, এসব বিষয়ে অনমনীয় আপসহীন, তাদের সাথে যে কথাগুলো আলোচনা ক'রে কিছুটা বোঝাতে পেরেছি বা বোঝানোর চেষ্টা করতে পেরেছি ব'লে মনে হয়েছে, সেই কথাগুলো লিখে রাখলাম। আপনারাও দেখতে পারেন, যদি এভাবে কথা বলে কোন লাভ হয়।

    ডিঃ, সতর্কীকরণ, গ্র্যারান্টি - পড়ার পর এক্কেবারে পিচ্চিসুলভ গোরু-রচনা টাইপের মনে হবেই :-) কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে বেশ এফেক্টিভ্‌ হয়েছে।

    মনে হয় এই অস্থির সময় অতুলপ্রসাদের "হও ধর্মেতে ধীর" গানের চেনা বহুব্যবহারে প্রায়ক্লিশে কথাগুলো নিয়ে আরো একবার ভাবা যেতে পারে।
    "বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান" - এই "মিলন"কে যারা প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে, তারা যদি চায় একে সত্যিকারের "মহান" করতে, তাহলে সবার আগে যেকোন পরিস্থিতিতেই, শাসননীতিতে কোনরকম অন্যায় বৈষম্য না রেখে এই "বিবিধ"কে তার প্রাপ্য ন্যায্য সমস্ত অধিকার আর সম্মান দিতে হবে সমানভাবে।
    মার্টিন লুথার কিং বলেছেন - "Injustice anywhere is a threat to justice everywhere." কথাটাকে দেশের শাসননীতির দিক থেকে বিচার করলে মনে হয় এভাবেও ভাবা যেতে পারে যে, গণতান্ত্রিক লোকতন্ত্রের পরিচালন ব্যবস্থায় কোথাও কারুর ওপর কোনরকমের অন্যায়, জবরদস্তিকে নীরবে উপেক্ষা করলে, তার প্রতিবাদ না করলে, তা সমস্ত দেশের জন্যে ভীষণ অমঙ্গলকারী বিভেদের অন্যায় সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেবার মতন কাজ হবে।

    "বিবিধ" তো শব্দমাত্র নয়, নানান প্রান্তের "নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান"এর মানুষরাই হলেন এই "বিবিধ"। তাদের অন্তরের "নানা মত"এর সব কথা, সে কথা যতো জোরে ছাড়া কন্ঠের "বিবিধ" স্লোগানেই হোক না কেন, যেকোন "বিবিধ" পতাকার সাথেই হোক না কেন, তাদের ক্ষোভদুঃখের আসল কারণগুলোকে, তাদের ভাবনার সাথে "মিলন"এর আন্তরিক চেষ্টা দিয়ে একাত্ম হয়ে, নিজের চিন্তার ভিতরে অনুভবের সাথে একসাথে নিয়ে ভাবতে হবে।
    "ভুলি ভেদাভেদ জ্ঞান" যদি সত্যিই হয়, তবে নিরপেক্ষ ভাবে সেই ক্ষোভকে গুরুত্ব দিয়ে, তা নিয়ে পরিপন্থী অনমনীয়তা, দমনমূলক একরোখোমি না রেখে একসাথে আলোচনা, মত বিনিময়, এসব না হলে, কোনদিনও সেই "মিলন"এর ধারেকাছেও আসা যাবেনা। জোর ক'রে আর যাই হোক মনের "মিলন" হয়না। আর "বিবিধ" মনগুলোই যদি না মিলতে পারে, তাহলে সেই জোর করে মিথ্যে "মিলন" ঘটানোর চেষ্টা কখনও "মহান" হয়না, হতে পারেনা।

    ক্ষোভের মূলকারণ যদি ধর্মমতের "বিভিধ"তা হয়ে থাকে, আর তাই থেকেই যদি মানুষের মধ্যে স্বাধীনতা বা বিচ্ছিন্নতার "নানা মত" গড়ে ওঠে, যেমনটা কাশ্মীরে হয়েছে, তাহলে কখনও জোর ক'রে তাকে আটকানো যায়না। তাকে পূর্ণ ন্যায্যতা, সম্মান দিতেই হবে। ওই "ভুলি ভেদাভেদ জ্ঞান" যদি সত্যিই হয়ে থাকে, তাহলে ওই "নানা মত"এর সাথে নিজের মতের মিলকে চিনে নিয়ে, স্লোগানে স্লোগান মিলিয়ে একসাথে মিছিলে "সবে আগুয়ান" হওয়াটা ওই ক্ষোভকে আন্তরিক দরদ ও ভালোবাসা দিয়ে প্রশমিত ক'রে সত্যিকারের "মহান মিলন"এর চেষ্টারই সামিল।

    মণিপুরীদের নয়নের মণি "আয়রন লেডি" শর্মিলা। তাঁর অহিংস সত্যাগ্রহ সমস্ত পৃথিবীর সামনে মানবতার প্রতীক। এই"সত্যাগ্রহ"এর মধ্যে থাকা সত্যের একটা স্বরূপ বা পরিচয় গানের শেষ লাইনে বলা আছে। "সাম্য কভু নাহি স্বার্থে ডরে - সত্যের নাহি পরাজয়"। এই "স্বার্থ" হলো ওই "মিলন"বিরোধী দেশদ্রোহী স্বার্থ। যে সত্যিকারের দেশভক্ত তার কাছে উনি গর্বের কারণ। ওনার ক্ষোভের সাথে গোটা মণিপুরসহ উত্তরপূর্বাঞ্চলের "নানা মত"এর মানুষের ক্ষোভ একসাথে মিলে আছে। যদি কেউ ভেবে থাকে যে শর্মিলার ক্ষোভের কারণ 'AFSPA'কে জারী রেখে দিয়ে জোর ক'রে তাকে দমন করবে তাহলে সে মূর্খের মতো ওই "মিলন"এর বিরোধিতা, মানে দেশদ্রোহ করছে। "মিলন"কামী দেশপ্রেমীর গলাতেই প্রকৃত অর্থে পূর্ণতা পায়, সত্যিই মানায় এই স্লোগান - শর্মিলা মাঙ্গে আজাদি, মণিপুর মাঙ্গে আজাদী।

    চেস্টারটন বলেছেন - "The true soldier fights not because he hates what is in front of him, but because he loves what is behind him" - যে সত্যিকারের দেশভক্ত সে নিশ্চ'ই চাইবে যে, ভারতীয় সেনাদের পেছনে, তাদের উর্দির পকেটে, তাদের সমর্থনে যেন এমনই এক "মহান মিলন"এর প্রতীক থাকে।
  • dd | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৯:২৮691163
  • হায় রঞ্জন। (৫ঃ৩৯)

    ভামেদের দিন গিয়াছে। এক্ষনে অর্নব যুগ। টিভিতে, মিছিলে, গুচতে। ক্ষী দাপট ক্ষী দাপট।
  • Arpan | 74.233.173.181 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ২৩:১১691164
  • রঞ্জনদার ৫ঃ৩৯ এ একটা বড়সড় ক দিলাম।
  • Tim | 108.228.61.183 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ২৩:৩৪691165
  • "যখনি মানুষ চায়, বস্ত্র ও খাদ্য,
    সীমান্তে বেজে ওঠে যুদ্ধের বাদ্য"

    এই লাইনগুলো ইন্টারেস্টিং। সলিল চৌধুরির "আমাদের নানান মতে..." গানে ফিট করে যায়, কনটেন্ট সুর দুয়েই। রঞ্জনদার লেখা ভালো লাগলো।
  • ranjan roy | 24.96.78.190 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০০:৩২691166
  • আমি আলসে ল্যাদখাওয়া অকর্মণ্য লোক। তাই গুছিয়ে ডকুমেন্টেড ইতিহাস লিখতে পারি না। ওটা ডিডি/ঈশানের ক্যালি।
    আমার স্মৃতি ইম্প্রেশনিস্টিক, টুকরো টাকরা ছবির মিছিল মাত্র। তবু একটা বুবুভা নামাবো। শরীরটা একটু ভালো হোক। সম্ভবতঃ আগামী সপ্তাহে। ইতিমধ্যে কিছু লিস্টিঃ
    সেই সময়ের বিতর্কের ও বাতাবরণের ইম্প্রেশনিস্টিক ছবির জন্যে পড়ে দেখতে পারেন কোন আর্কাইভে যদি থাকে।
    এক, পূজো সংখ্যা দেশহিতৈষীতে( সম্ভবতঃ ১৯৬৫) উত্পল দত্তের প্রবন্ধঃ "সংগ্রামের একটি দিক"। উনি সম্ভবতঃ মতাদর্শ ও সংস্কৃতির ফ্রন্টের কথা বলেছিলেন। এর পরই উনি ভারত রক্ষা আইনে গ্রেফতার হন ও ওই সংখ্যাটি নিষিদ্ধ হয়। ওই সংখ্যাতেই একটি অসাধারণ উপন্যাস। নাম মনে নেই।
    ১৯৬৬ তে নন্দনে বেরনো উৎপলের দুটি নাটক --"একই দেহে লীন" ও " একটি তলোয়ারের কাহিনী"-- বিশেষ করে দ্বিতীয়টি। আর ১৯৬৭ তে ইলেক্শনের আগের পথ নাটিকা "দিন বদলের পালা"।
    আর চীন-ভারত সীমান্ত সংঘর্ষ নিয়ে ডকুমেন্টেড লেখাঃ
    ১) বার্ট্রান্ড রাসেল Unarmed Victory।
    ২) তিব্বতে বিপ্লব ও নেহরুর দর্শন ঃ চীন কমিউনিস্ট পার্টির ১৯৫৬-৫৭র দলিল; কমিউনিস্ট পার্টি বাংলা অনুবাদ বিক্কিরি করত।
    ৩) বিগ্রেডিয়র দালভিঃ Himalayan Blunder।
    ৪) লেফটেনান্ট জেনরেল বি এম কল
    নেহরু পরিবারের এই অপদার্থ ভাগ্নেটি দিল্লি থেকেই টেলিফোনে নিজের যুদ্ধ -যুদ্ধ খেলার সাফাই দিয়েছেন। কিন্তু এর ভাঁজে ভাঁজে ফুটে উঠছে মার্কিন লবির প্ররোচনা। যেমন সীমান্তে স্পর্শকাতর এলাকায় মার্কিন উচ্চাধিকারীর ভিজিট; এঁরই দাক্ষিণ্যে।
    ৫) গৌরকিশোর ঘোষের দেশপত্রিকায় ধারাবাহিক রিপোর্তাজঃ " ড্রাগনের দাঁতে বিষ"।
    ৬) মুজতবা আলীর সেই সময়ে লেখা প্রবন্ধঃ
    তাতে উনি লিখছেন যে চীন ভেবেছে এই ভাবে ভারতে কমিউনিজম রপ্তানী করবে? ভালো কমিউনিস্টরা নেহেরুর সঙ্গে আছেন। আর চীন এমনি করলে আমরা ভারতে মার্কিন সামরিক বিমানঘাঁটি বানাতে দেবো।
    ( কী সর্বনাশ! অলরেডি পাকিস্তানে কাছাকাছি কিছু বা পরবর্তী কালে চট্টগ্রামে হয়েছিল তো!)
    ৭) ১৯৬৯-৭১ এ বেরলো নেভিল ম্যাক্সওয়েলের India's China War। এটি নেহেরুর "দেশের স্বার্থে" গোপন করে যাওয়া হেন্ডারসন-ব্রুকস রিপোর্টের বেসিসে লেখা। জাতীয় মহাফেজখানার থেকে গোপনে কিছু সরকারী অফিসাররাই জেরক্স বের করে ওঁকে দিয়েছিলেন। যাঁরা চাইতেন দেশের লোক সত্যিটা জানুক।
    ৮) প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে রিটায়র হয়ে করুণাকর গুপ্তের বইটি। যাতে উনি নেভিল ম্যাক্সওয়েলকে অগ্রজের সম্মান দিয়েছেন।
    ৯) এর পরে আরও বই বেরিয়েছে। আমার কাছে আছে দুবছর আগে অ্যামাজন থেকে কেনা জনৈক নায়ারের ব্যালান্সড রিপোর্ট। বইটা খুঁজে নামটা দেবো।

    রোবু ও সিবি,
    হ্যাঁ, ভিসিআর এর যুগছিল, ছরিয়েছি। পর আপনে ভাঁওনা কো সহী সমঝা, শুক্র হ্যায়।ঃ))
  • ranjan roy | 24.96.78.190 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০০:৪৯691167
  • ডিডি,
    কিন্তু কিছু রূপোলি রেখা দেখতে পাচ্ছি।
    আপনারাও দেখুনঃ
    ১) আজ তক এ " ম্যাঁয় জে এন ইউ হুঁ"।
    দেখায় কী ভাবে সব সময়েই এই সংস্থানটি ক্ষমতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কন্ঠস্বর হয়েছে--সেই ঐতিহ্য। যেমন এমার্জেন্সির সময় ডি পি ত্রিপাঠি ও ৬০ জন সাথীকে গ্রেফতার করা হয়। রাহুলের ঠাকুমা করিয়েছিলেন।
    আবার ইন্দিরা মারা গেলে শিখবিরোধী দাঙ্গার সময় ওরা শিখদের আশ্রয়শিবির হয়ে ওঠে।ভিপিসিং এর সময় মন্ডল--কমন্ডল ঝগড়ায় ওরা মন্ডলের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল।
    বামপন্থী বলে দেগে দেওয়া ছেলেগুলো আবার নন্দীগ্রাম ঘটনায় বামসরকারের আদ্যশ্রাদ্ধ করছিল। আজও ওরা টগবগ করে ফুটছে।
    ২) এন ডি টি ভি( হিন্দি) তে রবীশ কুমার গোটা পর্দা কালো করে রাখেন প্রায় ২০ মিনিট। আর শুধু বিভিন্ন আওয়াজ শোনান -- বিভিন্ন চ্যানেলের , নাম না করে। পর্দায় ভেসে ওঠে ভয় পাবেন না, ভুল বুঝবেন না-- আপনার যন্ত্রটি ঠিকই আছে। কিন্তু আজ মিডিয়ার এই চেহারা। মিডিয়া নিরপেক্ষ নিউজ দেবার পরিবর্তে ট্রায়াল করছে-- কে দোষী নিজেরা ঠিক করছে। সাংবাদিকতার প্রাথমিক পাঠ উপেক্ষা করে "কথিত" শব্দটি ব্যবহার করছে না। রবীশ বলেন-- আপনারা একটু ভাবুন, নিজেরাই ভেবে দেখুন।
    আমার অনুরোধ--এই অসাধারণ প্রোগ্রামটি সবাই দেখুন।
    ৩) সুদর্শন বলে বিজেপির চ্যানেলটি।
    এরা দেশকে খন্ডবিখন্ড করার কমিউনিস্ট ষড়যন্ত্র বলে রিপিটেডলি একটা প্রোগ্রাম দেখাচ্ছে। তাতে বারবার পাকিস্তানি হাফিজ , বৃন্দা কারাত ও মাওবাদীদের ছবি বারবার একসঙ্গে দেখানো হচ্ছে। আর কাশ্মীর বলে আজাদির সঙ্গে দেখানো হচ্ছে " কেরল বোলে আজাদি"! তার সঙ্গে বৃন্দা কারাতের ফোটো!

    সিপিএম শুনছেন?
    কেন এই চ্যানেলের বিরুদ্ধে প্রেস কাউন্সিলে এবং কোর্টে বিকাশবাবুরা নোটিস দেবেন না? ওই ফ্রড "কেরল বোলে আজাদি" কোত্থেকে এলো?

    বলা হচ্ছে অধিকাংশ ইউনিতে অধ্যাপক মার্ক্সিস্ট, ওঁরা ছাত্রদের কানে বিষ ঢালছেন দেশকে টুকরো করার উদ্দেশ্যে।
    বলা হচ্ছে এই মার্ক্সিজম কেন ইউনিতে পড়ানো হবে? আপনারা এই মিথ্যের বেসাতি দেখুন ও বলুন।
  • Du | 118.19.44.70 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০১:১৭691168
  • O এর লেখা খুব ভালো লাগলো। আরো একটা কথা আমার মনে হয় -- এ শুধু আমাদের আঞ্চলিক ব্যপারও নয়। ভারতবর্ষে ইতিহাসে দীর্ঘদিন ইসলামের কোএক্সিস্টেন্সের ইতিহাস রয়েছে -- সহনশীল --শিল্প সাহিত্যানুরাগী -- বিশেষভাবে কাশ্মীরে । এই ইসলামকে যত কোনঠাসা করা হবে, ভারতবর্ষকে যত তাদেরকে এলিয়েনেটেড করা হবে -- ততই আরবী ইসলামেরই চয়েস রয়ে যাবে পৃথিবীতে। অনেকে বিশদে লিখতে পারবেন আমি শুধু মনে হওয়াটা জানাচ্ছি।
  • ঈশান | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০২:৩৫691169
  • রঞ্জনদা, যেখান থেকে ঘটনা শুরু, সেটা জে এন ইউ এর একটা প্রোগ্রাম। অল্প কিছু ছেলেপুলের ডাকা। কাশ্মীর, আফজল গুরু সেখানে অ্যাজেন্ডা ছিল। সেটাকে নিয়ে বিজেপির এই শোরগোলের একটাই লক্ষ্য, যে, এই প্রশ্নগুলো তোলা যাবেনা। উল্টোদিকের বক্তব্য একটাই হতে পারে, যে, এই বক্তব্যগুলো তোলা যাবে, এবং তুলে বেশ করেছে। তার সঙ্গে বিজেপিকে এক্সপোজ করা অবশ্যই চলতেই পারে। কিন্তু "কাশ্মীর নিয়ে বলেছে বেশ করেছে", এর নিচে কিছু বললে বিজেপি এবং অর্ণব গোস্বামীকে মান্যতা দেওয়া হবে। আর চড়া সুরে এটা না বললে এই বাঁদরামি চলবেই। "কানহাইয়া তো কাশ্মীর দিয়ে স্লোগান দেয়নি, ওকে গ্রেপ্তার করা কেন হল?" -- এই জাতীয় কথার একটাই মানে, যে, কাশ্মীর নিয়ে নারাবাজি গ্রেপ্তারযোগ্য অপরাধ, সেটা স্বীকার করে নেওয়া। সবার রাজনীতি একরকম হবেনা, ঠিক কথা। কিন্তু যাদের কাশ্মীর নিয়ে বলার ধক আছে, তাদের বলতে দিন। তাদের বাকস্বাধীনতাকে যদি ডিফেন্ডই না করা গেল তবে এত আন্দোলনের মানে কি?

    আর আরও একটা কথা। বাকস্বাধীনতা রক্ষা করা এখন বেশ কঠিন হয়ে গেছে, তার কারণ শুধু বিজেপি না। ভারতীয় ইলেকট্রনিক মিডিয়া একটা বড়ো কারণ, যারা জনমত নির্ধারণ করার রক্তের স্বাদ পেয়ে গেছে। বেসরকারিকরণ হবার পরে যে বেসরকারি চ্যানেলরা এসেছিল, তারা ছিল রি-অ্যাকটিভ। জেসিকা লাল মামলা স্মরণ করুন, কোনো বিচার না হওবার পর তবেই বিচার চেয়ে গণমাধ্যম মাঠে নেমেছিল। অ্যাপ্রোচটা ছিল রিঅ্যাকটিভ। সেই প্রণয় রায় বরখা দত্ত এখন অতীত। বিগত চার-পাঁচ বছরে ইলকেট্রনিক মিডিয় রি-অ্যাকটিভ থেকে প্রো-অ্যাকটিভ হয়ে উঠেছে। এরা আর বিচারের জন্য অপেক্ষা করেনা, বিচার নিজেরাই সম্পন্ন করে। জেসিকা লাল ঘটনা আলোড়ন ফেলেছিল সুবিচর না হবার পর, আর তরুণ তেজপালের ট্রায়াল সুসম্পন্ন হল ফৌজদারি বিচার শুরু হবার আগেই। পয়েন্টটা হল, এই মিডিয়া নিজেকে প্রভু, বিচারক, জনমত নির্ধারণকারী ভাবছে। এরা যাকে বাকস্বাধীনতা মনে করে, তাই স্বাধীনতা, উল্টোদিকে আর কিছু নেই, এইটাই অ্যাপ্রোচ। উল্টোদিকের ভিউ টা সজোরে তোলা, নারাবাজি করে তোলা এই জন্য দরকার, যে, একমাত্র এমনটা হলেই এই দানবাকার ইলকট্রনিক মিডিয়াকে একটা সীমানার মধ্যে বাঁধা যাবে। সেটাও একটা পলিটিকাল কাজই। নইলে অর্ণব গোস্বামীরা ক্রমাগতই নির্ঝরদের দেখিয়ে বলবে "ওখানে দেশদ্রোহী স্লোগান দেওয়া হল কেন?" আর নির্ঝররা আমরা-আমরা করে বলবে, "কই আমি তো দেশদ্রোহী স্লোগান দিইনি"। ফাঁকতালে এটা প্রমাণিত হয়ে যাবে, যে, কাশ্মীর নিয়ে স্লোগান দেওয়া মানেই দেশদ্রোহ।

    এইসব নানা জটিল পরিস্থিতি আছে আর কি।
  • S | 108.127.145.201 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৩:০৭691172
  • বা এইখানে।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন