এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • অটোমেশন এবং আপনার শিশুর ভবিষ্যত

    bip
    অন্যান্য | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ১০০৬৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ | 183.67.3.44 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:৩৯717872
  • অটোমেশন এবং আপনার শিশুর ভবিষ্যত
    *************************
    জীবনের প্রথম আঠারো বছরে টেলিফোন করার সুযোগ হয়েছে সম্ভবত দুই থেকে তিন বার।

    না অবাক হওয়ার কিছু নেই। সেই ১৯৮০-৯০ সালে, স্যাম পিত্রোদার আগের জমানায় টেলিফোন মানে এলাহি ব্যপার। বড়লোক ব্যবসায়ীরাই রাখত। তখন একটা ফোন আসা মানে সারাদিনে বলার মতন ঘটনা- ট্রাঙ্ককল আসত।

    ট্রাঙ্ককলটা কানেক্ট করে দিতেন টেলিফোন ওপারেটর। মানে ম্যানুয়াল সুইচিং। এই শহর থেকে অন্য শহরের এক কলের সাথে অন্যকল লাগিয়ে দিতেন টেলিকম অপারেটররা। আমার বড় মামা এবং বড় মাসী ছিলেন টেলিকম অপারেটর। উনাদের সাথে গেছি টেলিফোন অফসে মাঝে মাঝে । সারাক্ষন হ্যালে হ্যালে করছেন। আর এখান কার জ্যাক খুলে ওখানে লাগাচ্ছেন। একদম হাতে ধরে ক্রস কানেক্ট করা যাকে বলে।

    রাজীব গান্ধী স্যাম পিদ্রোদাকে নিয়ে আসলেন। আস্তে আস্তে ম্যানুয়াল সুইচিং এর বদলে এল সিডটের তৈরী অটোমেটিক সুইচ বা ড্যাকস। পুরাতন কপার লাইনের বদলে মাইক্রোয়েভ লিংকে জোড়া হল শহর থেকে শহর।

    রাজীব গান্ধী তদ্দিনে মারা গেছেন। কিন্ত তার আধুনিক চিন্তার সুফল পেতে শুরু করেছি আমরা। প্রথমে জেলা শহর এবং তারপরে করিমপুরের মতন প্রান্তিক শহরেও দ্রুত লাইন দেওয়া শুরু করে ডট বা ডিপার্ট্মেন্ট অব টেলিকম। তখনও ভিএসএনএল বিএসেনএল আসে নি। ফলে ১৯৯৩ সালের আগেও যেখান বাড়িতে নিয়মিত চিঠি লেখা অভ্যেস ছিল হোস্টেল থেকে- ১৯৯৪ এর পর থেকে সরাসরি এস টি ডি বুথে গিয়ে লাইন দাও। বাড়িতে ফোন কর।

    অন্যদিকে পুরাতন ট্রাঙ্ককল লাইন গুলোকে তুলে দেওয়া হচ্ছে। তাই নিয়ে বড় মামা এবং মাসীর একটা চাপা টেনশন কি হয়- কি হয়। কারন অপারেটরের আর দরকার নেই। সেখানে এসে গেছে অটোমেটিক সুইচ। নেহাত সরকারি চাকরি। তবুও ভিয়ারেসের চাপ। সরকার চাপ দিচ্ছে টাকা নিয়ে অবসর নাও। ডটে প্রায় ধর্মঘট হত সেই সময়। কিন্ত ওই আদ্দিকালের ট্রাঙ্ককল ত চলার না। ফলে সামান্য রফা। টেলিফোন অপারেটেরদের কাউকে দেওয়া হল একাউন্টস দেখার কাজ-কেউ কেউ জেনারেটর তত্ত্ববধান শুরু করলেন। কম্প্রোমাইজড লাইফ। রিটারমেন্ট পর্যন্ত।

    একটা সময় ছিল যখন শহরের ব্যবসায়ী মহলে বেশ খাতির পেতেন অপারেটররা। কারন ব্যবসায়ীদের ট্রাঙ্ককল তাদের হাত ঘুরেই আসত কি না! বড়মামার সাথে কালনার বাজারে গেলে টের পেতাম। কিন্ত হাইরে অটোমেশন! মেশিনের সাথে কি আর মানুষ পারে অসম প্রতি্যোগিতায়? একটা শহরে মাথা উঁচু করা চলা মানুষগুলো হঠাৎই হয়ে উঠলো প্রযুক্তির ঘোড়াতে লাথি খাওয়া কোনঠাসা বোরে।

    সেই প্রথম কাছ থেকে দেখা কি করে প্রযুক্তি এবং অটোমেশন মানুষের চাকরি জীবন একদম বদলে দেয়-যে কাজ সারাজীবন ধরে তারা করতেন-পাঁচ বছরের মধ্যে ভ্যানিশ!

    অটোমেশনের ফলে আমেরিকাতে ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরে গত ত্রিশ বছরে ৯০% শ্রমিক ভ্যানিশ। কিন্ত উৎপাদন বেড়েছে আড়াইগুন। একদম ছুমন্তর জাদু। ফলে লেবার ইউনিয়ানের সেই দাপট আর নেই আমেরিকাতে। তারা কোনঠাসা। বেশী ইউনিয়ানবাজি করলে কারখানা বন্ধ করে নতুন কারখানা খুলবে কোম্পানি-যা হবে সম্পূর্ন অটোমেটেড! ভারতেও এর ব্যতিক্রম হবে না। টাটা স্টিলে দেখেছি। ১৯৮৫ সালে ছিল ৭০,০০০ কর্মী। এখন উৎপাদন প্রায় তিনগুন, জামসেদপুর প্ল্যান্টে আছে মোটে ১১,০০০ কর্মী। তাও শুনলাম ৮০০০ উদবৃত্ত। তাদের ধরে ধরে সিকিউরিটির চাকরি দেওয়া হচ্ছে। কারন টাটারা দয়ালু। সচরাচর ছাঁটাই করেন না।

    সুতরাং এইসব শ্রমিক আন্দোলন ইত্যাদি করে কিস্যু হবে না। শ্রমিকই ত উঠে যাচ্ছে। যারা টিকে যাবেন তারা স্কিল্ড, কর্মী। অনেক বেতন পান। তারা বেতন কম পেলে অন্যত্র ভাল কাজ নেবেন। তাদের ইউনিয়ানবাজি করার দরকার নেই।

    সমস্যা আসলে অন্যত্র- একটা বিপুল আধা-বেকার শ্রেনী তৈরী হবে। স্কিল নেই বলে। এদের জন্য দরকার বিপুল বেকার ভাতা নইলে স্কিল ট্রেনিং। স্বাধীন ব্যবসা করার জন্য। কারন চাকরি ব্যপারটা বদলে যাচ্ছে। আস্তে আস্তে সব চাকরিই প্রায় অনলাইন করা সম্ভব। ফলে ফ্রি ল্যান্সিং, কনসাল্টিং জনপ্রিয় হচ্ছে বেশী। পুরাতন মালিক শ্রমিক মডেল খুব অদক্ষ। আধুনিক মডেল হবে মালিক নিজেই পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে ফ্রি ল্যান্সার হায়ার করে ভার্চুয়াল টিম দিয়েই তার অধিকাংশ কাজ সারবে। বাকীটা রোবট, অটোমেশন।

    ফলে আল্টিমেটলি আসলে আন্দোলনটা জরুরী দরকার স্কুল শিক্ষাটা আমূল বদলে দিতে। স্কুল থেকেই ছাত্রদের ব্যবসা ইঞ্জিনিয়ারিং আইন কোডিং শেখানো হোক। আল্টিমেটলি লাইফে অঙ্ক আর কমিউনিকেশন স্কিল ছাড়া আর কিছু লাগে না। এইসব মান্ধাতা আমলের ভূগোল, ইতিহাস, বিজ্ঞান রেখে লাভ নেই। ওগুলো উইকি করলে বা একটা ইউটিউব ডকু চালালে বেটার শেখা যায়। বরং বেসিক ইঞ্জিনিয়ারিং শেখানোর মাধ্যমে ফিজিক্স শেখালে ছাত্ররা শিখবে অনেক ভাল। যেটা ফিনল্যান্ড করে। আমেরিকাও শুরু করেছে।

    যারা শিক্ষা এবং স্কিল মিশন বাদ দিয়ে ভ্রান্ত শ্রমিক আন্দোলন এবং লাল সেলাম চালিয়ে যাচ্ছেন-তারা ইতিহাসের লিখন দেখতে পাচ্ছেন না। ৩৪ বছরের ব্যর্থতা থেকেও শেখেন নি। তাই জনগন তাদের আস্তেকুঁড়েতে ছুড়ে ফেলেছে।

    আমি তৃণমূল সরকারের কাছ থেকে আশা করব বামফ্রন্ট সরকারের ভুলগুলো তারা করবেন না। ধর্মঘট বিরোধি পজিশন খুবই সদর্থক তৃনমূলের। এবার বাংলাকে উন্নত করতে স্টেপ টু দরকার- সেটা হচ্ছে স্কুল শিক্ষার বৈপ্লবিক পরিবর্তন করে তাকে কর্মমূখী এবং আধুনিক করা হোক।

    মনে রাখবেন-আপনার শিশু যে চাকরিটি করবে আগামী দিনে-সেই চাকরির এখনো জন্মই হয় নি।
  • সিকি | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:৪৭717983
  • ইয়েএএএএএএএএ, উইকেন্ড!!!!
  • PT | 213.110.242.8 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:২০718070
  • ২০১৪-র আমেরিকার "ভ্রান্ত শ্রমিক আন্দোলন"ঃ
    In response to company harassment and attempts to silence workers who had protested and walked off their jobs over intolerable working conditions, Walmart workers in over 20 cities struck and demonstrated June 4 in a National Strike Day and Action on Inequality. Demands included “No retaliation against workers fighting for a just wage” and “$25,000 per year and enough hours to support their families.”

    ২০১৬-র আমেরিকার "ভ্রান্ত শ্রমিক আন্দোলন"ঃ
    Nearly 40,000 employees of Verizon went on strike Wednesday seeking improved benefits and work conditions, as well as a slowdown in outsourcing of some jobs.

    এখানে ইউরোপের কিছু "ভ্রান্ত শ্রমিক আন্দোলন"-এর হিসেব পাওয়া যাবেঃ
    http://www.independent.co.uk/news/world/europe/the-european-countries-that-strike-the-most-french-strikes-industrial-action-map-a7063926.html
  • dc | 132.174.108.216 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:৩৮718081
  • ওবাবা কটা থ্রেড চালু হল? মানে এতোগুলোতে একসাথে হাওয়া দিতে হলে তো মুশকিল :p
  • Ranjan Roy | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২২:৩৫718103
  • "আল্টিমেটলি লাইফে অঙ্ক আর কমিউনিকেশন স্কিল ছাড়া আর কিছু লাগে না।"
    মধু! মধু!
    আশা করি বিপ নিজের সন্তানদের শুধু ওই দুটো স্কিল ছাড়া আর কিছু শেখাচ্ছেন না।
  • Alcyoneus | 127.248.137.240 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২২:৪১718114
  • বেশি মার্কেটিং পিচ বা হোয়াইট পেপার পড়লে বদহজম হয়।
  • সিকি | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:৪০718125
  • হ্যাঁ বেশ ভালো হচ্ছে। তারপর, তারপর বিপ?
  • Robu | 11.39.36.53 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:৪৮718136
  • আমি তো বলি বাচ্চাদের শুধুই প্রোটিন শেক খাওয়ানো উচিত।
  • Bratin | 11.39.38.88 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:০৫717873
  • আর ইয়ে মানে দুধ?

    তবে যে কবি বললেন

    " আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে"।

    লক্ষ্য করুন মাছে ভাতে বলেন নি কিন্তু☺☺
  • Atoz | 161.141.85.8 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৩০717884
  • এই দুধেভাতের কবিকে যদি ঐ ডাক্তার বাবু পেতেন! একটা দক্ষযজ্ঞ হয়ে যেত! ঃ-)
  • Robu | 11.39.39.85 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৪৫717895
  • কবি আর থাকবেনা। কবিতা অটোমেটেড হবে।
    এটাও বোঝাতে হচ্চে?
  • Atoz | 161.141.85.8 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৪৭717906
  • কবিরা হবেন হলোগ্রাম-কবি। মঞ্চে দাঁড়িয়ে ইন্স্ট্যান্ট কবিতা বানিয়ে বানিয়ে বলে বলে হঠাৎ করে সুইচ টিপে ভ্যানিশ। ঃ-)
  • Bratin | 11.39.38.88 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৫১717917
  • ওহো।

    ঠিক বুইতে পারি নি।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:০০717928
  • নাঃ, থাক। লিখবো না।
  • s | 60.158.182.25 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:০৮717939
  • বিপদা তুমি অটোমেশন নিয়ে লেখো। কি ধরণের অটোমেশন হচ্ছে, কোন কোন সেক্টরে হচ্ছে।
    অমিও দুএকটা উদাহরণ দেব।
  • Pinaki | 95.229.73.124 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:২৯717950
  • সিরিয়াস প্রশ্ন। ধরা যাক পৃথিবীর সবাইকে উপযুক্ত স্কিল শেখানো হল। তাতে কী চেঞ্জ হবে? কাজের সংখ্যা তো আর বাড়ছে না। এখন আনস্কিলড বেকার সেদিন স্কিলড বেকার হবে। এর বেশী কী হবে?
  • Ekak | 53.224.129.56 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:৫৪717961
  • "সবাই কে শেখানো " টা কী ব্যাপার ? :(:( "সবাই " কখনো এক সময়ে এক লেভেলে থাকে নাকি :)

    কাজ বাড়ছে না এটা ঠিক না । রিসোর্স অপ্টিমাইজেশন লিভিং বিইং এর প্রাইম সমস্যা । সেই কারণেই কাজ বাড়বে । ধরুন সমুদ্রের তলায় ডেটা সেন্টার বসাতে হবে , অলরেডি মাইক্রোসফট শুরু করেছে , এটা হলো ডিপ সী ইন্ডাস্ট্রির একদম শুরুর ধাপ । এখানে ভবিষ্যতে অনেক কাজ হবে । বড়ো বড়ো ফ্যাক্টরি সমুদ্রের তলায় হবে । এরপর আছে ইন্টারপ্ল্যানেটারি ইন্ডাস্ট্রি । চাঁদ ফাঁদ এটা ওটা তো আছেই , দূরের মোটামুটি আধা বাসযোগ্য গ্রহগুলোকে পৌনে বাসযোগ্য করা দরকার । সেখানে ইন্ডাস্ট্রি হবে । ইন্টারগ্যালাক্টিক ইন্টারনেট খুব বেশি দূরে নেই । তো এইসব বিশাল কাজকম্মো করতে গিয়ে প্রচুর বিপদ হবে । তার ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট । চারপাশে ভাঙা স্যাটেলাইট এর মুন্ডু তার নিজ ছড়িয়ে স্পেস পলিউশনের চূড়ান্ত হবে তার জন্যে আবার গবেষণা -কমিশন - ক্লিনিং এজেন্সি । এতসব হৈচৈ করতে গিয়ে খেয়াল থাকবেনা যে পৃথিবীতে এন্টিবায়োটিক ওষুধগুলোর কিন্তু অনেক বয়েস হলো এবং বেশ কিছু হারামি জীবাণু অলরেডি বা ভবিষ্যতে ইমিউন হবে , সো আরেক দফা প্রাণ সংশয় । কাজ নেই মানে ?? কাজ ই কাজ !! রোবট করার পরেও ম্যালা কাজ । কিছু এরিয়া স্ট্যাগন্যান্ট আছে বলে বড়ো করে কোনো ঝামেলা বাধঁছেনা আর আমরা ভাবছি কাজ নেই , রোবট এলে এরপর কী হবে । আইদার স্পেস অর ডিপ সী ইন্ডাস্ট্রি অর জীবাণু আক্রমণ কিছু একটা বার্স্ট করে যাক , ব্যাস তারপর কাজে কাজে জেরবার ! স্ট্যাগন্যান্সি টা কাটা দরকার , এটা ঘটনা !
  • Atoz | 161.141.85.8 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:০৭717972
  • আহা, ইন্টার্গ্যালাক্টিক ইন্টার্নেট শুনে বড় আনন্দ হল। বেশ একটা অনুপ্রাস আছে।
    ঃ-)
  • dc | 132.164.227.140 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৭:২৪717984
  • ইনটারপ্ল্যানেটারি ইনটারনেট নিয়ে ভিন্ট সার্ফ অনেকদিন ধরে কাজ করছেন তো।
  • sch | 55.250.245.39 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৭:৩৫717995
  • বিপ নামক ভাইরাসের একমাত্র এন্টিডোট একক । এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই
    bip একটু মাটিতে পা দিয়ে হাঁটেন না কেন? স্কুল লেভেলে যে জিনিসগুলো ইন্ট্রোডিউস করার চেষ্টা করতে বলছেন সেটা পড়াবে কে? স্কুলের টিচার যারা তাদের সেই লেভেল অফ আপ্টিচিঊড আছে? বেসিক ইঞ্জিনিয়ারিং দিয়ে স্কুলে ফিজিক্স শেখানোর মতো ইনফ্রাস্ট্রাকচার আছে? রাতারাতি এই শিক্ষক বাহিনী কোথা থেকে আমদানী হবে? তার পয়সা কে দেবে? আপনি?

    আপনি সত্যি প্রজেক্ট ট্রজেক্ট করেন ?- ট্রান্সফর্মেসানের প্রজেক্ট সম্বন্ধে কোন আইডিয়া আছে?

    ইতিহাস ভূগোল সাহিত্য কিছুরই দরকার নেই? লোকে তো প্রজেক্ট রিপোর্ট বা রিসার্চ প্রোপোজালই লিখতে পারবে না। শুধু অঙ্ক আর কোডিং দিয়ে সব হবে? কম্যুনিকেশান স্কিল এমনি এমনি বাড়বে ইতিহাস ভূগোল না জানলে?
  • dc | 132.164.227.140 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৭:৪৪718006
  • স্কুলে পড়ানোর দিন বোধায় শেষ হয়ে আসছে, বা বলা ভালো স্কুলে যাবার দিন শেষ হয়ে আসছে। ভবিষ্যতে ছোট ছোট চিপে নলেজ মডিউল বানানো হবে, যখন যে বিষয়ে নলেজ দরকার তখন সেই বিষয়ের মডিউলটা ব্রেনের সাথে ইনটারফেস করিয়ে নিলেই হলো। নানান এজ গ্রুপের মডিউল থাকবে, ছোটদের লেভেল থেকে অ্যাডভান্সড লেভেল পর্যন্ত।
  • T | 24.100.134.80 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৭:৫১718017
  • হাতের কাছে কাজের জিনিস সবসময় পাওয়া যায় না। আরে, সজারু গুলো গ্যালো কোথায়। ছুঁড়তুম...
  • sch | 55.250.245.39 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৭:৫৫718028
  • dc এই জাতীয় একটা গল্প শীর্ষেন্দু লিখেছিলেন অনেক দিন বাদে - "বনি" নাম মনে হয়। জন্মের আগেই মাথায় মাইক্রো চিপ বসিয়েদেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই চিপের কন্তেন্টগুলো বানাবে কে? বিপ????
  • T | 24.100.134.80 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৭:৫৯718039
  • ছি ছি ছি ছি...শীর্ষেন্দু! এইসব পড়েন আপনারা!

    তবে ডিসির মধ্যে একটা ফিউচারিস্টিক উদাসীন বিবাগী ভাব আছে। খুব সাট্‌ল হ্রেষা কিন্তু। চান্স দিলে মনে হয় সবার আগে উল্কার বেগে প্রক্সিমা সেন্টাওরির দিকে বেরিয়ে যাবে। :)
  • dc | 132.164.227.140 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:০৪718050
  • আরে নানা জন্মের আগে মাইক্রোচিপ ভুল আইডিয়া। আসলে মাথার পেছনে বা ঘাড়ে একটা সকেট থাকবে, যেটা ব্রেনের সাথে কানেকটেড। এই মডিউলগুলো যে মাইক্রোচিপে লোড করা হবে সেই মাইক্রিচিপগুলো পেন ড্রাইভে থাকবে। এবার দোকানে গিয়ে ধরুন প্রোজেক্টাইল মেকানিক্সের একটা পেন ড্রাইভ কিনলেন বা রিলেটিভিটির, কিংবা হয়তো কামসূত্রর হরেকরকম, তারপর সেই পেন ড্রাইভটা সকেটে ইনসার্ট করে নলেজটা অ্যাক্সেস করে নিলেন। আর নলেজ মডিউলগুলো বানানোর অনেক লোক পাওয়া যাবে। টিচার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, প্রোগ্রামার এরা কয়েকজন মিলে একেকেটা টিম বানিয়ে মডিউল বানাবে।
  • T | 24.100.134.80 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:০৫718068
  • সক্কাল সক্কাল মেট্রিক্স থেকে ঝেড়ে যাচ্চে, একের পর এক।
  • dc | 132.164.227.140 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:০৫718061
  • শজারুগুলো টিপ করে ছুঁড়বেন কমরেড, এলোপাতাড়ি ছুড়লে মুশকিল।
  • T | 24.100.134.80 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:১২718069
  • ভালোই চলছিল, কিন্তু পেনড্রাইভ...ওই তো। কল্পনার স্টোগোসরাস বেরিয়ে পড়ল। পেনড্রাইভ নামক একটা আদ্যিকালের বালিশে শুয়ে কেউ ফিউচারের স্বপ্ন দ্যাকে। হুঁ হুঁ বাবা, সবাই একক নয়।
  • dc | 132.164.227.140 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:১৯718071
  • একক তো বাই ডেফিনিশন একক!

    আচ্ছা তাহলে একক বলুক কিরকম সকেট ইন্টারফেস হবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন