এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বিজ্ঞান এবং

    T
    অন্যান্য | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ৬৩৫২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শৌভ | 192.77.115.24 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:৪৪723374
  • সরি, মালটা কাল লিখেছিলাম, আপিশ থেকে পোস্টাতে পারিনি। আজ পোস্টানোর পর দেখছি, টালির নালা দিয়ে বিস্তর জল বয়ে গ্যাচে। আমার লেখাটাও, অতএব, প্রায় রিডান্ডেন্টই। নিজগুণে মাফ করে দেবেন!
  • T | 165.69.191.249 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:৪৬723376
  • ঈশানদা, একনম্বর নিয়ে তো কিছু বলার নেই।

    দু নম্বর নিয়ে। দ্যাখো, পপার যা লিখেছেন সে তো সেই কবে আদ্যিকালে। জল অনেক গড়িয়েছে। নতুন করে পড়ার সময় মনে হয়, এই যে দাবীটা যে, পপার বেসিক্যালি বিজ্ঞানকেই দাঁড় করিয়েছেন বা তুমি যেমন বলছ পপারই বিজ্ঞান, তার থেকেও বেশী কিছু। এটা আমি আগেও লিখেছি, আবারও লিখছি ঃ)। একটা নিদারুণ অ্যাবস্ট্র্যাক্ট আইডিয়া যা কিনা শুধুমাত্র আর্গুমেন্টকে টেস্ট করছে। ইন্ডাকটিভ রিজনিং এর সমস্যাকে অ্যাড্রেস করছে। অ্যাটাকটা কগনিটিভি লেভেলে। বিজ্ঞান ও তার কমপ্লিমেন্ট সেট তো পরে আসবে। সেই জন্য লিখলাম এটি একটি রেজর মার্কা কিছু, বলা যেতে পারে 'অঘটন', নিউমারেলস যেমন ভুতুকে বলেছিল :)
    তো এইবার এই লজ্যিক্যাল সেটিং এ তুমি একটা কালেক্টিভ সেট অব আর্গুমেন্টকে টেস্ট করো, রেজাল্ট কি হয় দ্যাখো। এইখানে এই সেট অব আর্গুমেন্ট সো কলড নন-বিজ্ঞান কিছু থেকেও আসতে পারে আবার সো কলড বিজ্ঞান থেকেও আসতে পারে। কারণ প্লে গ্রাউণ্ডটা অ্যাবস্ট্র্যাক্ট। তাই একে ধরা হচ্ছে। যারা পাস করে বেরোবে তারা পপারিয়ান সেন্সে বিজ্ঞান (চাইলে অন্য নামও দেওয়া যায়, চলতি বাংলা 'বিজ্ঞান' এর সাথে যখন বিরোধ আসছে )

    আর মাইরি বিজ্ঞানের সর্বজনস্বীকৃত লক্ষণ কেউ খুঁজছে না। সর্বজনস্বীকৃতি আবার কি। ঐ 'জন' এর ফাঁক দিয়ে সোশিও পলিটিকো ইত্যাদি নানা জিনিস ঢুকিয়ে ঘেঁটে কি লাভ। অ্যাবস্ট্র্যাক্ট কিছু দিয়ে তো টেস্ট করা হচ্ছে, একধরণের 'অঘটন' ট্যুরিং মেশিন। :)
  • dc | 120.227.229.135 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:৫০723377
  • "বিজ্ঞানের সর্বজনস্বীকৃত সাধারণ লক্ষণগুলি খোঁজার জন্য খামোখা পপার কেন, এইটা বুঝি নাই" এরকম কোন লক্ষণ খোঁজা হইতেছে কেন, সেও বুঝি নাই। কাহার এরকম লক্ষণ খুঁজিতেছে? "মিডিয়া"? উহাদের কথা এই আলোচনায় না অনিলেই উপকার হয়।
  • ঈশান | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:১৯723378
  • আপনিই খুঁজছেন। "পপারের মূল দাবী ফলসিফায়েবিলিটি, যেটা আধুনিক ফিলসফি অফ সায়েন্সের একটা বেসিক প্রিনসিপল।" অন্য টইতে আপনিই লিখেছেন। আমি তবু 'সাধারণ লক্ষণ' লিখেছি, আপনি একেবারে 'বেসিক প্রিন্সিপল'। :-)

    তা সাধারণ লক্ষণ বা বেসিক প্রিন্সিপল যদি না খোঁজেন, পপার নিয়ে লিখছেন কেন? সেইটা কিলিয়ার করে দিন। এমনি বিশুদ্ধ পপার চর্চার জন্য হলে, বা কমন পড়ার কারণে হলে আমার কোনো তক্কোই নেই। আপনি 'বেসিক প্রিন্সিপল' লিখছেন বললেন বলেই এত গোল।
  • dc | 120.227.229.135 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৩১723379
  • এই রে! "পপারের মূল দাবী ফলসিফায়েবিলিটি, যেটা আধুনিক ফিলসফি অফ সায়েন্সের একটা বেসিক প্রিনসিপল" মানে কি বিজ্ঞানের সর্বজনস্বীকৃত সাধারণ লক্ষণ খোঁজা? এটা বোধায় একটু স্ট্রেচড হয়ে গেল।

    আচ্ছা, একটা উদাহরন দি (উদাহরনটা অ্যাপ্রোপ্রিয়েট হলো কিনা বলবেন)। ফিজিক্সের একটা বেসিক প্রিন্সিপল হলো, একটা ইউনিভার্সাল স্পিড লিমিট আছে (খেয়াল করবেন, আলোর গতিবেগ নিয়ে কিছু বলিনি, শুধুমাত্র বলেছি একটা ইউনিভার্সাল স্পিড লিমিট আছে। কোন কণার ভর যদি শূণ্য হয় তাহলে সেটা ঐ লিমিটিং ভেলোসিটিতে ট্রাভেল করে ইত্যাদি, সে আরো পরের ব্যাপার। আমার স্টেটমেন্ট শুধুমাত্র "ফিজিক্সের একটা বেসিক প্রিন্সিপল হলো, একটা ইউনিভার্সাল স্পিড লিমিট আছে")। তো এটা বলার মানে কি এই হয় যে আমি ফিজিক্সের কোন সর্বজনস্বীকৃত সাধারণ লক্ষণ খুঁজছি? আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলাম কিনা জানিনা।
  • ঈশান | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৩৩723380
  • পারেননি। তুলনা করতে হলে 'ফিজিক্সের বেসিক প্রিন্সিপল' না, 'ফিজিক্সের ফিলজফির বেসিক প্রিন্সিপল' হবে। দুটোর মধ্যে বিস্তর তফাত।
  • ঈশান | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৩৪723381
  • টিকেও উত্তরটা দিয়ে শুতে যাই। "পপার বেসিক্যালি বিজ্ঞানকেই দাঁড় করিয়েছেন বা তুমি যেমন বলছ পপারই বিজ্ঞান, তার থেকেও বেশী কিছু।" -- এইটা টি'র বক্তব্য।

    তা কথা হল, জ্ঞানচর্চা বহু শতক ধরে চলেছে। যখন পপার (মানে তাঁর চিন্তাভাবনা) ছিলনা, তখন থেকে। টলেমি, টি নিজেই লিখেছে, তাঁর সময়ে যেটা করেছেন, সেটা বিজ্ঞান। সে তো মোটামুটি দু-হাজার বছর আগের কথা। তাহলে পপার 'দাঁড়' করানোর বহু আগে থেকেও বিজ্ঞান ছিল।

    এবার পপার আসার পরে কী হয়েছে? বিজ্ঞানে ইউনিভার্সালি পপার-পদ্ধতি গৃহীত? ওটা একটা স্বীকৃত ইয়ার্ডস্টিক? তাও না, বহু ডিসিপ্লিন আছে, যেখানে ওই পদ্ধতি মানা হয়না। কাজেই ওটা ইয়ার্ডস্টিকও না।

    তাহলে কী দাঁড়াল। পপার আসার আগেও 'বিজ্ঞান' ছিল, আসার পরেও বিজ্ঞান পপারানুসারী না। অন্যান্য অনেক মেথডোলজির মতই ওটাও কেউ মানে কেউ মানেনা। পপার বিশেষ কোনো জলবিভাজিকা না।

    এরপরে যদি কেউ বলেন, যে, 'পপার এই বলেছেন, সেই মত অনুযায়ী অমুক শাখাটি বিজ্ঞান নয়', তো তিনি বলতেই পারেন। কিন্তু সেটা হবে এইরকম, যে আমি বললাম, 'যারা ১২ সেকেন্ডের চেয়ে বেশি সময়ে ১০০ মিটার দৌড়য় তারা কেউ মানুষ না'। এবং আমার মতানুসারে মানুষের তালিকা থেকে মোটামুটি কয়েকশো কোটি দ্বিপদকে কেটে বাদ দিয়ে দিলাম। এবার কেউ যদি এসে বলেন, সেকি এরা মানুষ নয় কেন? আমি বললাম পপার বলেছেন।

    উইথ ডিউ রেসপেক্ট টু পপার, উনি খুবই মূল্যবান কাজ করেছেন, কিন্তু সত্যিই পপার বলবেন বলে তো কোনো বস্তু বিজ্ঞান অথবা অবিজ্ঞান হয়ে যায়না। এই হল কথা।

    ব্যস। আজকের দান শেষ। আবার কাল।
  • dc | 120.227.229.135 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৩৮723382
  • ঈশানের লাস্ট অবজেকশানটা দাঁড়াল না। আমি "ফিলজফি অফ সায়েন্স" আর "ফিলজফি অফ ফিজিক্স"এর ইকুইভ্যালেন্স দেখাতে যাইনি।
  • dc | 120.227.229.135 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৩৯723383
  • " পপার বলবেন বলে তো কোনো বস্তু বিজ্ঞান অথবা অবিজ্ঞান হয়ে যায়না"

    অথচ এরকম দাবীও কেউ করেনি।
  • ঈশান | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৪০723082
  • আর ডিসির পোস্টের আরও খানিকটা পোস্ট করে দিয়ে যাই, নিজেই বুঝতে পারবেন, যদি মনে না থেকে থাকেঃ

    "এখানটা একেবারেই ভুল মনে হল। তাছাড়া পপারের মূল দাবী ফলসিফায়েবিলিটি, যেটা আধুনিক ফিলসফি অফ সায়েন্সের একটা বেসিক প্রিনসিপল।

    'বিজ্ঞান' কে 'পবিত্র গ্রন্থ' এইজন্যই বলা যায় না কারন 'পবিত্র গ্রন্থ' ফলসিফায়েবল না। ঘ্রুইয়েও বলা যায়, যা ফলসিফায়েবল না তা 'বিজ্ঞান' না। 'এক্সপার্ট' রা এইজন্যই যাজক না কারন যাজকদের কাজ 'পবিত্র গ্রন্থ' ভিত্তিক প্রচার করা, আর 'এক্সপার্ট' দের কাজ কোন একটা ক্লেইমের ভ্যালিডিটি এস্টাব্লিশ করা। আবার এই ভ্যালিডিটি কোন কনটেক্সটে এস্টাব্লিশ করা গেল বা গেল না সেটাকেও টেস্ট করা।

    এই টেস্ট-ফলসিফায়েবিলিটি মডেলটা 'বিজ্ঞান' এ এতোটাই ইমপরট্যান্ট যে তিরিশ বছর পেরিয়ে গেল, স্ট্রিং থিওরি নিয়ে কাজ হচ্ছে কিন্তু এখনো সেটাকে 'বিজ্ঞান' ইন জেনারাল অ্যাক্সেপ্ট করে নি। অন্যদিকে, রিলেটিভিটি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স এখনো অবধি 'বিজ্ঞান' এর দুটো বেসিক পিলার ধরা হয় এজন্যই যে এই স্ট্রাকচার দুটো ইতিহাসের সবথেকে বেশী এক্সপেরিমেন্টালি টেস্টেড।"

    দেখুনঃ
    ১। "যা ফলসিফায়েবল না, তা বিজ্ঞান না"
    ২। "এই টেস্ট-ফলসিফায়েবিলিটি মডেলটা 'বিজ্ঞান' এ এতোটাই ইমপরট্যান্ট যে তিরিশ বছর পেরিয়ে গেল, স্ট্রিং থিওরি নিয়ে কাজ হচ্ছে কিন্তু এখনো সেটাকে 'বিজ্ঞান' ইন জেনারাল অ্যাক্সেপ্ট করে নি।"

    আপনি বিজ্ঞানের সাধারণ লক্ষণ খোঁজেননি? একি ইয়ার্কি হচ্ছে? আমি খামোখা তক্কো করছি কেন তাহলে? :-)
  • ঈশান | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৪৩723083
  • আপনার পোস্ট ১। " পপার বলবেন বলে তো কোনো বস্তু বিজ্ঞান অথবা অবিজ্ঞান হয়ে যায়না"
    অথচ এরকম দাবীও কেউ করেনি।

    ----

    অপনার পোস্ট ২। ""যা ফলসিফায়েবল না, তা বিজ্ঞান না"

    -----

    ওই ডিসিটা আপনিই তো? মাক্কালী?
  • dc | 120.227.229.135 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৪৪723084
  • আমি সত্যি বুঝতে পারছিনা টেস্ট-ফলসিফায়েবিলিটি মডেল "বিজ্ঞান" এ ইমপর্ট্যান্ট, এটা বলতে গেলে কিভাবে "বিজ্ঞানের সাধারণ লক্ষণ" খোঁজা হয়। বেশ কয়েকবার বললাম যে পপারের মডেলের লিমিটেশান আছে, এও বলেছি যে কিছু ইউনিভার্সাল স্টেটমেন্ট ফলসিফায়েবল না। তাহলে কিকরে "বিজ্ঞানের সাধারণ লক্ষণ" এর সাথে ইকুয়েট করছেন?
  • sinfaut | 11.39.99.220 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৪৫723087
  • সবই আসলে ভাষার লিমিটেশন বলে মেনে নিলেই ব্যস এই তর্ক সমাপ্ত হয়ে যাবে।
  • ঈশান | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৪৫723086
  • ও মা দুটো জিনিস দেখতে বলাম তো। "যা ফলসিফায়েবল না, তা বিজ্ঞান না" -- এটাও সাধারণ লক্ষণ না? জাস্ট কিউরিয়াস।

    এটাও নয় বলে দিলে কথা বন্ধ করে দেব। প্রমিস। :-)
  • dc | 120.227.229.135 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৪৫723085
  • দুটোই আমি ঃ)
  • dc | 120.227.229.135 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৪৮723088
  • সত্যিই ভাষার লিমিটেশান এসে যাচ্ছে। "যা ফলসিফায়েবল না, তা বিজ্ঞান না" - এটা কোনভাবেই আমার দিক থেকে "সাধারণ লক্ষণ" মিন করে বলিনি। আগের উদাহরনেও এটা বোঝাতে চাইলাম, যে "বেসিক প্রিন্সিপল" মানে ""সাধারণ লক্ষণ" না।
  • dc | 120.227.229.135 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৫২723089
  • আচ্ছা "সাধারণ লক্ষণ" কে কি "জেনারাল ক্যারেকটারিস্টিক" বলা যেতে পারে? যদি বলা যেতে পারে তাহলেও আর তর্ক থাকেনা, কারন "বেসিক প্রিন্সিপল" আর "জেনারাল ক্যারেকটারিস্টিক" এক না।
  • ঈশান | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৫৩723090
  • অচ্ছ পূর্বপ্রতিশ্রুতিমতো আম্মো থেমে গেলাম। তবে এইরকম লিমিটেশনে নানা মুশকিল হতে পারে। যেমন "যারা চেন্নাইতে থাকেনা তারা মানুষ না", "ঘটিরা মনুষ্যপদবাচ্য না" এইসব বলে ফেলবেন না কিন্তু। অচেন্নাইয়ের লোক বা ঘটিরা সাধারণ লক্ষণ হিসেবেই নেবে। :-)
  • dc | 120.227.229.135 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৫৬723091
  • নিশ্চিন্তে থাকুন, এরকম বলবোনা। চেন্নাইয়ের বাইরেও আমার যাতায়াত আছে আর ঘটিবাটি নিয়েও খুব একটা ইন্টারেস্ট নেই।
  • T | 165.69.191.249 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:০৬723093
  • কিচ্ছু হয় নি, কিচ্ছু না। যা লিখছি পড়েই দেখছ না। এইভাবে হয় নাকি।

    আমি লিখেছি একটা আর্গুমেন্টের কালেকশন এগজিস্ট করছে। ঐতিহাসিক ভাবে। এবং দেখা যাচ্ছে যে সবচেয়ে সিপ্লিস্টিক 'থিয়োরী' এসেছে সবচেয়ে আগে। মানে ধর্মীয় ব্যখ্যা। এইটা ইন্টারেস্টিং। কেননা জটিল আর্গুমেন্ট আগে এসেছে এমনটা হয়নি। অথচ হতেই পারত। ধর্মীয় ব্যখা ইত্যাদি ঐ আর্গুমেন্ট সেটটির ফার্স্ট এলিমেন্ট, থিয়োরীর কমপ্লেক্সিটি অনুযায়ী, আবার অ্যাপিয়ারেন্স অনুযায়ীও বটে। কোনো গ্র্যান্ড ডিজাইন আছে কিনা অন্য প্রশ্ন। তবে দেখাই যাচ্ছে যে এই মতবাদের সেট এবং সময়ের মধ্যে একটা ওয়ান টু ওয়ান রিলেশন রয়েছে। এরপর এই কোন খান থেকে তুমি বিজ্ঞান হিসেবে ধরতে শুরু করবে সেইটা যার যার ব্যাপার। পপার দাঁড় করানোর আগে জ্ঞানচর্চা ছিল, এ তো, যা ত্তারা মানে ট্রিভিয়াল হয়ে গেল।

    পপার রিজনিংকে প্রশ্ন করেছেন, এবং দাঁড় করিয়েছেন। যেহেতু বিজ্ঞান, ধুর এরপর থেকে বেড়াল বলে ডাকব, রিজনিং নির্ভর তাই বেড়ালও দাঁড়িয়েছে। শৌভ যেমন লিখছিলেন, একটা চেহারা পেয়েছে। এইটা একটা লজিক্যাল ইয়ার্ডস্টিক। এ কি খুব কিছু না বোঝার কিছু।

    বহু ডিসিপ্লিন আছে, সোশিওবায়োলজি না মানবীবিদ্যা না কাল যা সব উদাহরণ দিচ্ছিলে, যেগুলোতে এইসব মানা হয় না। (এক হিসেবে মানলে অবশ্য সাবজেক্টগুলো আর বেশীদিন টিকবে না) তো, তাতে কি হ'ল। ইতিহাসে প্রচুর হনু এসেছেন, আসছেন, আসবেন। পপার বলে খালাস হয়েছেন। তুমি যদি বল মানবো না তো কিইইই বা আর হবে। সে তুমি ভক্তিবাদ দিয়ে উসেইন বোল্টকেও এক্সপ্লেন করে দিতে পারবে যে প্রভুই দৌড় করিয়েছেন। :) তো কি আর যায় আসে।

    আপেলের উদাহরণটা যেমন বাজে দিয়েছিলে, এই দৌড়নোর উদাহরণটাও সেরম হ'ল। এইভাবে চললে গোল খাবে। মানে আমিও স্ট্রীট স্মার্ট উদাহরণ দিতে পারি, তাতে আলোচনা বেশিদূর এগোয় না। কাল অবধি তো গড়াবেই না। পপার এই দিয়ে মেপেছেন, সে আমি মানবো না, ডিসি অমুক দিয়ে মেপেছেন, সে তুমি মানবে না, অর্পণদা বেঞ্চ দিয়ে মেপেছে, হনুদা মানে নি, এইভাবে চললে পড়ে থাকে এসেম। হ্যাঁ মশাই আপনি কি বিগ ব্যাঙের সময় ছিলেন? তো, তাহলে আমরা সবাই নিমিত্ত মাত্র বলে কাটিয়ে দিলেই তো হয় বা মানবীবিদ্যা দিয়েও মহাকর্ষ বলে দেওয়া যায়।

    শোনো, প্রথমত কম্প্যারিজনটা অ্যাবস্ট্র্যাক্ট গ্রাউন্ডে হচ্ছে। তাতে সবার প্রবেশাধিকার রয়েছে। শুরু হচ্ছে সিঙ্গুলার স্টেটমেন্টের কালেকশন দিয়ে। এই হোলো থিয়োরী। তারপর সেই থিয়োরীর ফলসিফিকেশন টেস্ট করা হচ্ছে। তার ডায়মেনশন দেখা হচ্ছে। পাশ করলে এইবারে এই থিয়োরীটি প্রাথমিক তাস হিসেবে ধরা হ'ল। এইবার এই থিয়োরীর কনসিকোয়েন্স হিসেবে অন্য থিয়োরীও একই স্টিক দিয়ে মাপা হচ্ছে, এর সাথে এই বার চলে আসছে কনসিস্টেন্সি প্রুফ। এরাও দাঁড়ালে দ্বিতীয় লেভেলটা হ'ল। এইভাবে চলতে থাকছে। নীট ফল হ'ল, স্ট্রাকচার বাড়তেই থাকবে অথবা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে।

    এখন এইভাবে চিহ্নিত করতে থাকলে সিমপ্লিস্টিক থিয়োরীর আবির্ভাব কেন আগে হচ্ছে সেটার মানানসই যুক্তি পাওয়া যাচ্ছে। প্রথম প্যারাগ্রাফ দ্যাখো। সেইজন্য পপারের পদ্ধতিটা ইন্টারেস্টিং। তুমি জেন্ডার স্টাডিজ দিয়ে এই ইতিহাসের সাথে সাযুজ্য ব্যাপারটা এক্সপ্লেন করে দাও, থিয়োরী গুলোর পারস্পরিক কনসিস্টেন্সি প্রুফ করে দাও, আমি সেটাকেই বিজ্ঞান বলে মেনে নেব।

    নয়তো এটা ফের আপেলের উদাহরণের মতো হচ্ছে।
  • পোদো | 114.236.58.27 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:০৭723094
  • বিজ্ঞান কি তা মুখে/লিখে বলা যায় না ।
  • sm | 53.251.91.253 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:১৬723095
  • কতকগুলো কু সংস্কার আর বাতেলার সমষ্টি মাত্র ;-))
  • dc | 120.227.229.135 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:২১723096
  • যাক, আমরা একটা লজিকাল কনক্লুশানে আসতে পেরেছি :d
  • T | 165.69.191.249 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:২৩723097
  • 'যারা চেন্নাইতে থাকেনা তারা মানুষ নয়' এইসব চালাক উদাহরণ পেশ করা হয়েছে। কিন্তু ব্যাপারটা যে এরম নয় বস। বেশ ডিসি দাবী করল চেন্নাইতে যারা থাকেনা তারা মানুষ নয়। তুমি চেন্নাইয়ের বাস করো, প্রচুর ভালোবাসো, (এইধরণের থিয়োরীর সমস্ত ল্যাঙ্গুয়েজ প্রবলেম ইত্যাদি রিপ্রেজেন্টেশন ধরে কাটিয়ে দিলেও, কেননা তুমি তো কিছুতেই এই স্ট্যান্স থেকে নড়বে না, বেশ অ্যামবিগুইটি জনিত ডিভিডেন্ড পাওয়া যাচ্ছে কিনা) তাই কোনো ফলসিফিকেশন খুঁজে পেলে না। বেশ থিয়োরীর প্রথম লেভেল দাঁড়াল। চেন্নাইয়ের মানুষের কিছু নির্দিষ্ট 'গুণ' বর্তমান, যার ভিত্তিতে তুমি তাকে 'মানুষ' বলচ। সব কোটেশনের মধ্যে রাখা হচ্ছে তার কারণ আছে।

    এইবার চেন্নাইয়ের বাইরে কোনোদিন গেলে তারপর সেই 'গুণ' যদি অন্য কারোর মধ্যে পাও তাহলে সেই 'থিয়োরী' জলে গেল। আর না পেলে কন্টিন্যুয়াস বিল্ডয়াপ করতে থাকো। এইখানে 'মানুষের' চেহারার সিমিলারিটি (বেশ একদম আইসোমর্ফিজম সেন্সে) চেন্নাইয়ের বাইরে কাউকে দেখতে পেলে, তাদেরকে এই থিয়োরী দিয়ে এক্সপ্লেন করা যাবে কিভাবে। তো আরেকটা থিয়োরী দাঁড় করালে। এইভাবে চলতে থাকছে, যতক্ষণ না থিয়োরীরা পরস্পরকে গোঁতায় বা মানবীবিদ্যার কনফারেন্স এ পরিণত হয়। এই তো বলেছে, আর তো কিছু না। ভয় পাওয়ার কি আছে।

    কোটেশনের মধ্যে রাখার কারণ, পপার নির্মোহ ব হতে বলেছেন। তা তো তুমি শুনবে না। তুমি ফাজি সেপারেশন চাইছ। যাতে পোমো তর্কের পরিসরটুকু থাকে, সে হতে দেবো না মাইরি।
  • শৌভ | 233.179.143.27 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:৪৮723098
  • পপার-কে নিয়ে এই অন্তহীন কচলাকচলি দেখে একটা বেসিক প্রশ্ন মাথায় ঘুরছে। আমরা কি অন্টোলজি আর এপিস্টেমোলজি-র পার্থক্যটাকেই, কোথাও, বেমালুম হাপিশ করে দিচ্ছি? বিজ্ঞান যদিও প্রাথমিকভাবে একটি এপিস্টেমোলজিকাল সিস্টেম, কিন্তু তার সমস্ত ধারণা, তত্ত্ব, নিয়ম, স্বতঃসিদ্ধ, আন্তঃসম্পর্ক, সীমা, এইসব কিছু নিয়ে যে সামগ্রিক ব্যবস্থা, অর্থাৎ বৈজ্ঞানিকভাবে অর্জিত সমস্ত জ্ঞানের যে-সমাহার, তা একটা অন্টোলজিক্যাল সিস্টেম তৈরি করে। আর, পপার এবং ফিলজফি অফ সায়েন্স সেই অন্টোলজিক্যাল সিস্টেমের সাপেক্ষে একটি এপিস্টেমোলজিক্যাল আপ্রোচ--জ্ঞান নয়, জ্ঞানের তত্ত্ব। কাকে জ্ঞান বলব, কীভাবে তা অর্জন করতে হয়, তার ব্যাখ্যান।
  • গোতামা | 87.247.181.163 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:৫১723099
  • পুরিসো তি খো পনিতং বুত্তং -- এই পুরুষ ছয় ধাতু দ্বারা গঠিত

    ১. আকাশ ধাতু ২. পৃথিবী ধাতু ৩. তেজ ধাতু ৪. অপ ধাতু ৫. বায়ু ধাতু ৬. বিজ্ঞান ধাতু। প্রতিটি ধাতুর দ্বিবিধ প্রকাশ ১. বাহ্য ও আন্তর ২. আদিভৌতিক ও আধ্যাতিক।
  • একক | 53.224.129.58 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৪৬723100
  • হ্যা এটাই । বিজ্ঞান কোনো জ্ঞান নয় । জ্ঞান আহরণের তত্ব বা পদ্ধতি । যেকারনে থট মেশিন বলেছি আগে । এটাকে জ্ঞানের সিস্টেমে রিফিউট করতে গেলে গোল গোল আলোচনা ছাড়া কিছু হবেনা । জ্ঞান আহরণের টুল হিসেবে এটা কাজের না অকাজের সেই নিয়ে অবস্যই কথা হতে পারে ।
  • dc | 120.227.229.135 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:০২723101
  • একক বোধায় ভুল বল্লেন।

    বার্কেলি ইউঃ Science is both a body of knowledge and a process. In school, science may sometimes seem like a collection of isolated and static facts listed in a textbook, but that's only a small part of the story. Just as importantly, science is also a process of discovery that allows us to link isolated facts into coherent and comprehensive understandings of the natural world.

    http://undsci.berkeley.edu/article/whatisscience_01
  • dc | 120.227.229.135 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:০৯723102
  • তৃতীয় সেনটেন্সটা বিশেষ করে খেয়াল করবেন, ওটা অতি গুরুত্বপূর্ণ। ওটাতে কেন পদ্ধতি আর কেন জ্ঞান দুটোই বলা আছে।
  • একক | 53.224.129.58 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:১২723104
  • কথাটা ঠিক । অস্বীকার করছিনা । তবে এই পদ্ধতি + জ্ঞান এই স্ট্রাকচারে একটা আপাত স্টাটিক এবং অলোযেস চেন্জেবল দুটো এরিয়া আছে । পরে লিখছি ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন