এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বামপন্থীরা ও বিজেপি বিরোধী জোট

    souvik
    অন্যান্য | ০২ জানুয়ারি ২০১৮ | ৩৪৮৫৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 57.29.138.186 | ০৪ মার্চ ২০১৮ ০৮:৩১372796
  • আর ভারতে হিন্দু মৌলবাদের উথ্থান কেবল।মুসলিম তোষণের কাউণ্টারে? মুসলিম মৌলবাদের কাউণ্টারে, এই যুক্তি দেবারও তো কোন জায়গা নেই। কিন্তু কোন সম্প্রদায় তিন তালাক দিতে পারে আর একাধিক বিয়ে করতে পারে বলে অন্যদের এত রাগ ( আচ্ছা, এই রাগের এত কী কারণ থাকতে পারে, নিজেরাও এগুলো করতে চেয়ে করতে পারছেনা? আর হিন্দু মেয়েদের এত রাগ কেন? ) , এত রাগ যে হিন্দুত্ববাদের জন্ম ও বৃদ্ধি।হল, এতে ঘোড়াতেও হাসবে। এগুলোলে অজুহাত বললে তাও ঠিক আছে। আর রইল অর্থনৈতিক তোষণ টোষণ। সাচার কমিটির রিপোর্ট তো একটু পড়তেও পারা যায়, নাকি?
  • T | 129.74.180.59 | ০৪ মার্চ ২০১৮ ০৮:৪৪372797
  • সাচার কমিটির থেকেও গুরুভার হচ্ছে পার্কের বেঞ্চ। উনি সেখানে ছিলেন, বাকিরা ছিলনা, হিসেব সিম্পল।
  • dd | 193.82.17.175 | ০৪ মার্চ ২০১৮ ০৮:৪৯372798
  • সকালে একবার আর রাতের দিকে একবার। এই বার দুয়েক গুচতে আসি, তক্কোতে কিছু ঝগড়া, খুনসুটি এসব তো চলেই। বিশেষতঃ পোলিটিকাল তক্কো যখন চলে।

    প্রায়ই দেখি, কিছু পোস্ট পড়ে, এই যেরকম "এই" নামে ,আজ সকালে। পড়ে মনে হয় নিয়মিতই লেখেন। অন্ততঃ অন্যদের পোস্ট তো পড়েনই। ভাষা আর বানানও একেবারে বিশুদ্ধ।

    এইসব জীবদের যখনই নোংরামি করার দরকার হয় তখনই একটা নতুন নিকে লিখে আবার মেঘের আড়ালে চলে যায়। ইগনোর করতে পারলেই ভালো হোতো। তাও মনে হয় বিরক্তিটা লিখে যাওয়া উচিৎ।
  • কল্লোল | 37.63.160.254 | ০৪ মার্চ ২০১৮ ০৮:৫১372799
  • অমিত। "প্রশ্নটা যে রয়েই গেলো। যদি কোনো মিউনিসিপালিটি তে আপনার নোটা জয়ী হয় (কল্পনা আর কি), তাহলে শহরের জঞ্জাল কারা সাফ করবে ? নোটাপন্থীরা ? আপনার কি মতামত -?"

    এটাই মুস্কিল। একটু পড়াশোনা করো না ভাই! ইলেকশন কমিশনের একটা সাইট আছে ইন্টারনেটে। গুগল আছে। একটু খুঁজে দ্যাখো না! এরকম অবান্তর প্রশ্ন কেউ করতে পারে, বিশেষ করে যারা আবার বাম রাজনীতিতে আগ্রহী, সেটা ভাবলেই করুণা হয়।

    http://eci.nic.in/eci_main/ElectoralLaws/OrdersNotifications/NOTA_11102013.pdf
    এই লিংকের ৩নং পাতার ৫ নং পয়েনে লেখা
    5. It is clarified that NOTA has the same effect as not voting for any candidate under the
    earlier provisions of Rule 49-O. Therefore, even if, in any extreme case, the number of
    votes against NOTA is more than the number of votes secured by the candidates, the
    candidate who secures the largest number of votes among the contesting candidates
    shall be declared to be elected as per the provisions of Rule 64.
    পরিস্কার??

    শহরের জঞ্জাল সাফ। মনে হয় আমরা হয়তো একই বয়সী। তাই বলছি, মনে আছে? ১৯৭২/৭৩ থেকে ১৯৮৫ কলকাতা কর্পোরেশনের কোন কাউন্সিলার ছিলো না। তাতে কি ঐ গোটা সময়টা জুড়ে সাফাইকর্মীরা ছুটিতে ছিলো?
    নাকি ১৯৮৫ পর থকে আজ অবধি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাউন্সিলার আছে বলে কলকাতার রাস্তায় ময়লা জমে না?
    কোনটা?

    এতো রাজনৈতিক বালখিল্যদের সাথে তক্কো করা বেশ চাপের। ভাবনা-চিন্তায় এট্টু জাপনী তেল দিলেও তো পারো!!

    পিটি। "যেন মানুষের সচেতনতা বাড়াবার দায় শুধু সিপিএমের ছিল। আর সকলের আলোচনাতেই কং এক্কেবারে বাদ। যেন সেটা কোন দলই নয়, ত্রিপুরাতে কখনো রাজত্ব করেনি, আর বিজেপির বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ানোর কোন দায় তাদের ছিল না!!"

    অপূর্ব। বামপন্থী আর মার্কসবাদী দলের কাছ ঘেঁষা মানুষ হিসাবে শ্রেণী-টেনি নিয়ে সামান্য ধারনা আছে কি? কং আর বিজে্পি একই শ্রেনীর প্রতিনিধিত্ব করে, সেটা তো পোকাশ অ্যান্ড কোং বলেই দিয়েছেন। তারপরেও যুক্তফ্রন্টের কথা ওঠে। কারণ যারা সেই সময়ে বৃহত্তর বিপদ, তাদের বিরুদ্ধে তখনকার কম বিপজ্জনক দলের সাথে যুক্তফ্রন্ট গড়তে হয়। কোনদিকেই যাবো না বললে কি হয়, সেটা সিএমের গ্রামশি ও স্রাফা পোস্টটি পড়ে দেখে নিও।
    ফলে কং মানুষের রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়াবে এমন আশা যারা করেন ও না করার জন্য নিজেদের দায়ী না করে - ও কেন করেনি বলে উটপাখী হন, তাদের বালখিল্যতায় করুণা হয়।

    ভাবো ভাই! ভাবা প্র্যাকটিস করো। মানুষকে ছাগল বলে দিলে তুমি শান্তিতে ঘুমাতে পারো, কিন্তু নিজের খামতিগুলো থেকেই যায়। তার কোন সুরাহা হয় না।
    যে মানুষগুলো গতকালও মানুষ ছিলো, তারা আজ হঠাৎ ছগল হয়ে গেলো, এসব অদ্ভুতুড়ে তত্ত্ব, আর কদ্দিন চলবে ভাই? এই ভাবে হেরে যাওয়ায় নিজেদের কোন দায় নাই?
    এট্টু দায় নিয়ে শেখো।
  • kiki | 185.100.20.195 | ০৪ মার্চ ২০১৮ ০৮:৫২372800
  • হিংসে টা কিভাবে টের পাওয়া গেল???

    তবে পাই, সোসেনকে ওদের গুনের জন্য আমি সত্যি হিংসে করি। সেই হিংসেটা অবশ্য অন্যরকম। সেটাকে আপনেরা কমপ্লেক্স , কষ্ট এসব বলেন বোধায়।

    মজা লাগল , খারাপ লাগেনি এই এর পোষ্ট। এবং হঠাৎ নাম ধরে মাত্র তিনজনেই এল কেন বুঝিনি, গুরুতে তো গুনী মেয়েদের অভাব কোনদিন পড়েনি। এক আমিই মনে হয় অতি সাধারণ। ঃ)
  • kiki | 185.100.20.195 | ০৪ মার্চ ২০১৮ ০৮:৫৩372801
  • মানে হিংসে করতে হলে তিনজনকেই কেন??
  • SC | 86.102.224.15 | ০৪ মার্চ ২০১৮ ০৮:৫৪372802
  • আজ থেকে অনেক বছর আগে, মোদী যখন ভারতের মসনদ দখল করলো, তখন অমিত ভাই শাহ এর নাম শুনে এখানে একজন হেসেছিলেন। পি টি দা। তার ধারণা ছিল ভদ্রলোক আরাবুল এর শাগরেদ বা এরকম কিছু, এতটাই সচেতন জাতীয় রাজনীতি সম্পর্কে। অনেক দিন ধরে আরাবুল এর সাথে ছায়াযুদ্ধের পরে কালকে সকালে ঘুম থেকে উঠে উনি মনেহয় একটা surprise পেয়েছেন। সিপিএমের নাকের ডগা থেকে ত্রিপুরা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে অমিত ভাই শাহ।

    সমস্যার সবচেয়ে বড় এখানেই, বিজেপি যে প্রধান শত্রু, বহু বই পড়ে, দলিল পড়েও এখনো বুঝে উঠতে পারেননি। এখানে দুনিয়ার সকলের বিরুদ্ধে অনেক পোস্ট, জনগণ ছাগল ইত্যাদি, কিন্তু লক্ষণীয় ভাবে নরেন্দ্র মোদী কিংবা বিজেপি র বিরুদ্ধে পি টি র অমোঘ নীরবতা। কেন? রাজনীতির দেওয়াল লিখন পড়তে পারেননি (এখন সিদ্ধার্থ বরোদারাজন এর বিরুদ্ধে পাগলু ইত্যাদি বলে লাভ নেই), আর নইলে মনে মনে হয়তো বিজেপি দলটাকেই পছন্দ। এছাড়া আর কোনো কারণ দেখা যাচ্ছে না। কল্লোল দার বিরুদ্ধে যতটা লিখেছেন, তার ১% মোদির বিরুদ্ধে লিখলে আজ মনেহয় দিন দেখতে হতো না।

    জনগণ কে ছাগল বলার আগে একটা আয়না কিনে নিজের মুখ দেখুন। ছাগল আসলে তারা, যারা দেওয়ালের লিখন বুঝতে পারে না, আর মোদির বিরুদ্ধে অদ্ভুত নীরবতা অবলম্বন করেন। আজকে আশা করি তার ফল পেয়েছেন। এখনো শিক্ষা না হয়ে থাকলে, কেরালা তে আবার শিক্ষা পাবেন, কেমন। আপনি যখন ৩৪ বছর বাংলা তে, আর ২৫ বছর ত্রিপুরা তে জিতেছিলেন, তখন জনগণ issac নিউটন ছিল, আর আজকে জনগণ ছাগল? গণতন্ত্রে জনগণ শেষ কথা বলে, তাদেরকে ছাগল বললে আপনার পার্লামেন্টারী ডেমোক্রেসি তে পার্টিসিপেট করা উচিত নয়। সেই পসিশন নেওয়ার মতো ধকও নেই আপনার। তাই শুধু মোদী র প্রতি নীরবে সমর্থন, আর মাঝে মাঝে ছাগল তত্ব আওড়ানো, এই আর কি।

    যাই হোক, ত্রিপুরা তে যে ঘটনা কালকে ঘটেছে, সেটা আটকাতে না পারলে, শুধু বাড়িতে বসে বসে একটা আয়না র সামনে দাঁড়িয়ে শুধু পাগলু, ছাগল আওড়াতে হবে, এছাড়া আর গতি নেই।

    এই রেজাল্টে সবচেয়ে বেশি ভয় পাওয়া উচিত পব র রাজনৈতিক দলগুলোর। 2019 এ এই ফলের রিপিট সময়ের অপেক্ষা। তখন আবার এসে দাঁত বার করে ছাগল বললে সমস্যার সমাধান হবে না। তত্বের বই থেকে মুখ তুলে, আমার মনে হয় পব র সমস্ত অ-বিজেপি দলের জোট করার সময় চলে এসেছে। দেখবেন খুব দেরি না হয়ে যায়। ২০১৯ এ হেরে যাওয়ার পরে জোট করে কোনো লাভ হবে না। আরো দুই পুরোনো বন্ধু মায়াবতী ও অখিলেশ এর যেমন দশা হয়েছে, তা যেন না হয়।
  • কল্লোল | 37.63.160.254 | ০৪ মার্চ ২০১৮ ০৮:৫৭372803
  • কিকি।"আমি সত্যি বুঝি না এদের ধর্মে কি আফিম আছে, বেশিরভাগ এই ধর্মাবলম্বী রা চোখ বন্ধ করে মৌলবিদের শোনে) "
    এটা বুঝতে গেলে একটা বই পড়তে বলবো, নেতাৎ গপ্পের বই মহসীন হামিদের দ্য রিলাকটেন্ট ফান্ডামেন্টালিস্ট। পড়ে দেখুন ঠকবেন না।
  • কল্লোল | 37.63.160.254 | ০৪ মার্চ ২০১৮ ০৯:০৮372804
  • যাক এঁরা অন্ততঃ মানুষকে ছাগল ভাবছেন না।
    http://www.anandabazar.com/national/is-cpm-leadership-going-to-start-self-analysis-after-their-loss-in-tripura-assembly-election-dgtl-1.765178?ref=hm-ft-stry-2
    ২৪ ফেব্রুতে "রিভিউ" করেও সিপিএমের মনে হয়েছিলো তারাই সরকার গড়ছেন!!!!
    ঠ্ক যেন ২০১১। সেবারও ফিডব্যাক ছিলো তারাই সরকার গড়ছেন।
    এমন ফিডব্যাক কারা দেয়? পার্টির লোকাল কমিটিগুলো। তারা সত্য কথা বলতে ভয় পায়। কেন?
    মানুষকে ছাগল বললেই সব দায়িত্ব খালাস হয়ে যায় না।

    অবশ্য গুরুর সিপিএমকূলের কেউ কেউ (সকলে নয়) এসব নিয়ে মাথা ঘামান না। বিজেপি বা তিনো কি সিপিএম যেই আসুক - তাদের কখনই কিছু এসে যায় না।
    অবশ্য মাথাই নেই, তো মাথা ঘামানো!!
    ধ্যুস।
  • kiki | 185.100.20.195 | ০৪ মার্চ ২০১৮ ০৯:১৪372806
  • কল্লোল দা, পড়ব।

    আর পাই, আমি অত জানিনা গো। আমি সাধারণদের বেশি দেখি তো, তাদের কিন্তু ক্ষোভের জায়গা ওটাই। একটা ধর্মাবলম্বী মানুষ সুবিধা বেশি পাচ্ছে মনে হয়। এবং মুসলিমদের মধ্যে ধর্ম নিয়ে গোঁড়ামি এখন ও অনেক বেশি।

    এবং আমি দেখি যে ওরা এমনিতে মানুষ আমাদের মতন ই। কিন্তু ধর্মের কোন কথা কথা এলে অন্যরকম হয়ে যায়।

    এবার কথা হচ্ছে যে এইসবকে সামনে এনে একটা অদ্ভুত খেলা হচ্ছে। অনেক আগে, তখন ও বিজেপি ক্ষমতায় আসেনি, তারপরের ইলেকশনেই এলো, তখন আমি কোথাও একটা এমনিই লিখেওছিলাম মনে হয়, দেখছিলাম হঠাৎ তারকেশ্বরে জল ঢালার দলের অদ্ভুত পরিবর্তন। আগে যেমন যেত তেমন নয়, কেমন যুদ্ধং দেহি ভাবে চলেছে। এগুলো ঠিক বোঝাতে পারব না, কিন্তু চোখে পড়ছে।

    এখন মানুষের সমাজটাতো থিয়োরি বেসড নয়। এটা হলে এমন হবে , এটা কেন হল, হওয়া উচিত নয়। এরকম নিয়মে বাঁধাও নয়।

    আমি মনে হয় বোঝাতে পারছি না। পরে চেষ্টা করব।

    আর এটাও সত্যি অন্যদলগুলোকে ও মানুষ ভরসা করছে না। ভাবছে বিজেপি যদি অন্যরকম উন্নয়ন আনে। মানে যাদের ধর্ম নিয়ে চেপে ধরছি, যারা ধর্ম নিয়ে গোঁড়ামি দেখাতে লজ্জা পায়(বেশিরভাগ হিন্দু কিন্তু তাই পায়, অন্তত আমার দেখা সেটের)তাদের সেরকম বক্তব্য দেখছি।
  • pi | 127.226.157.190 | ০৪ মার্চ ২০১৮ ০৯:৩৪372807
  • আর আর এস এস এতটাই প্ল্যান ক'রে সব করে ও করছে, পব র সামনেও এই ভবিষ্যত আসতেই পারে। ২০১৯ এ হাওয়া যদি না ঘুরে যায়।
  • Ekak | 53.224.129.49 | ০৪ মার্চ ২০১৮ ০৯:৪২372808
  • আমার এখনো মনে হয়না , পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি আসার মতো পরিস্থিতি হয়েছে । সতর্কতা অবসসই দরকার । আমাদের বর্তমান সিএম একটা বিপজ্জনক খেলা খেলছেন এবং এযাবৎ ভালোই খেলছেন । এটা ঘটনা । আরেকটা ব্যাপার , তা হলো মমতা সাধারণ মানুষের ডেভেলপমেন্ট এর পারসেপশন বোঝেন , যেটা এইচ ডি আই মুখস্ত করা শিক্ষিতরা বোঝেন না ।

    এটা বর্তমান ভারতের একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট যে , ডেভেলপমেন্ট এর সংজ্ঞা দুটো এক্সট্রিমে ভেঙে যাওয়া , এবং মোটেই আম্বানি -নীরব দের কথা হচ্ছেনা । একদম আপনার পাড়ার সাধারণ পড়াশোনা করা সাধারণ ছেলে মেয়েদের কথা হচ্ছে । এনারা ডেভেলপমেন্ট বলতে বোঝেন চোখে দেখা যায় এমন সব জিনিস । উঁচু বাড়ি -রাস্তা ঘাট -হু হু করে সিভিল কনস্ট্রাকশন হবে । কেও দুটো টেম্পো ভাড়া দিয়ে দু পয়সা কমাবে তো কেও বালি ফেলে । এইটা ডেভেলপমেন্ট ।

    মমতা এটা বোঝেন এবং এই মডেল টাই ফলো করে যান । আর এটা করলে ব্যবসায়ী রা এমনিতেই সেই পার্টিকে পছন্দ করে কারণ বরাত তারাই পায় ।

    মাড়োয়ারি কিছু চেষ্টা করছে চাঁদা ফাঁদা দিয়ে , আমরা বাঙালি টাইপ একটা হওয়া তুলে রাখা আছে সেইজন্যে । কোনদিন কয়েকটাকে ধরে র্যাম্পারট কেলিয়ে দেবে ।
    ক্ষুরধার মহিলা । আমি বেশ ইম্প্রেসড :)
  • PT | 160.129.67.188 | ০৪ মার্চ ২০১৮ ০৯:৫০372809
  • "বামপন্থী আর মার্কসবাদী দলের কাছ ঘেঁষা মানুষ হিসাবে শ্রেণী-টেনি নিয়ে সামান্য ধারনা আছে কি?"
    এবারের ভন্ডামিটা গগনভেদী। কল্লোলদা এখন শ্রেণীর ক্থা শোনাচ্ছে গো!! এরাই না ২০১১-র আগে কং ভেঙ্গে আসা তিনোকে সমর্থন করে বামেদের উৎখাত করতে পথে নেমেছিল? কল্লোলদা যাদের হয়ে অশ্রুনদী বহাত সেই কিষেনজীরা শ্রেণীচেতনার মুখে মুতে দিয়ে তিনোদের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করার পক্ষে সওয়াল করেছিল?

    আর মব্যা যখন সিঙ্গুরের কালে রাজনাথ সিং ও তথাগত রায়ের সঙ্গে মিটিন করছিল তখন অতিবদ অতিবামেদের শ্রেণীচেতনা কোথায় ছিল? কল্লোলদার লেখা একটিও প্রতিবাদ পত্র তখন দেখ্ছি বলে মনে পড়ে না। বাবরি গোধরা তো তার আগেই ঘটে গিয়েছে। তখন শ্রেণী বোঝা যাচ্ছিল না?

    এরা কি সব এলজাইমারে ভুগছে নাকি?

    "কারণ যারা সেই সময়ে বৃহত্তর বিপদ, তাদের বিরুদ্ধে তখনকার কম বিপজ্জনক দলের সাথে যুক্তফ্রন্ট গড়তে হয়।"
    কাদের সঙ্গে? তিনোদের সঙ্গে? যারা বলেছিলঃ “we are with you (the RSS) in your fight against the communists”!! তখন শ্রেণী চেতনা কি জানালা দিয়ে বাইরে ফেলে দিতে হবে?

    "২৪ ফেব্রুতে "রিভিউ" করেও সিপিএমের মনে হয়েছিলো তারাই সরকার গড়ছেন!!!!"
    তো এর আগে কোন দল এরকম ভুল এস্টিমেট করেনি?

    কিন্তু এটার তো ব্যাখ্যা এখনো পেলাম নাঃ কং আর তিনো বিজেপি বিরোধী জোট করেনি কেন?

    "আজ থেকে অনেক বছর আগে, মোদী যখন ভারতের মসনদ দখল করলো, তখন অমিত ভাই শাহ এর নাম শুনে এখানে একজন হেসেছিলেন। পি টি দা। "
    এখনো হাসছি।
    এখনো বোধহ্য বুঝতে আরেননি বোধহয় কার ঘাড়ে চড়ে বিজেপি পব ও ত্রিপুরাতে ঢুকল। পব-তে তিনোর প্রত্যক্ষ সহায়তায় দিলীপ ঘোষ জিতেছে আর বিরোধী ভোট ভাঙ্গার জন্য তিনোরা বিজেপিকে লালন-পালন করছে। ত্রিপুরাতে কং-এর লোকগুলোকে পোচিং করে বিজেপিতে যাওয়ার পথ সুগম করেছে তিনোরা। আর এই কম্মটি যিনি সুচারু রূপে সম্পন্ন করেছিলেন তিনি তিনোর মুকুল রায়।

    "এই রেজাল্টে সবচেয়ে বেশি ভয় পাওয়া উচিত পব র রাজনৈতিক দলগুলোর। ২০১৯ এ এই ফলের রিপিট সময়ের অপেক্ষা। তখন আবার এসে দাঁত বার করে ছাগল বললে সমস্যার সমাধান হবে না।"
    গত ৬ বছরে ভিক্ষের চাল দিয়ে আর রাজনৈতিক ডিস্কোর্সকে জলাঞ্জলি দিয়ে ছাগলামির পথ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। মোদীর অর্থনীতির বিরুদ্ধে বন্ধ-হরতাল ডাকলে তিনো সরকার গুন্ডা লেলিয়ে দিয়ে সেই বন্ধ-হরতাল প্রতিহত করবে।
    পিটির পেছনে বিজেপি ছপ্পা মেরে কোন লাভ নেই। বরং ছাগলদের ছাগল বলুন। তাতে তাদের মনুষ্যত্বে রূপন্তর হলেও হতে পারে।

    ভাইরাস বোঝেন? সারক্ষণ ভেহিকেল খোঁজে-কি করে শরীরে ঢোকা যায়। শাহ হচ্ছে ভাইরাস আর তিনোর মত দলেরা হচ্ছে শাহর বাহন। ঐ বাহন তাড়ান আগে-ভাইরাস তাহলে এমনিই মরবে।
  • dc | 181.49.202.75 | ০৪ মার্চ ২০১৮ ০৯:৫৫372810
  • ২০১৯ এ পবতেও এইভাবে বিজেপি জিতলে আমি অবাক হবো না। লাস্ট চার পাঁচ বছর ধরেই দেখছি বা শুনছি আরেসেস কিভাবে পবতে ছড়াচ্ছে। ত্রিপুরাতে সিপিএম আরেসেসকে রুখতে পারেনি, পবতেও তিনোরা পারবে না। আর পবতে সিপিএম আগেই মুছে গেছে, ওরা তো পারবেই না।

    তবে হ্যাঁ, তিনোদের বিজেপি সরাতে চাইবে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন, কারন রাজনীতিতে অনেক জটিল হিসেব চলে। উল্টোদিকে বলা যায় পবতে বিজেপি সরাসরি ক্ষমতায় এলে অনেকগুলো রাজ্যসভা সিট পেয়ে যাবে। দেখা যাক।
  • dc | 181.49.202.75 | ০৪ মার্চ ২০১৮ ১০:০৬372811
  • একক, আমার মনে হয় ডেভেলপমেন্ট হবে এই আশায় লোকে বিজেপি ভোট দেয়, যেটা তুমি আর কিকি ম্যাডাম বলছো (বলছেন), সেটা পার্শিয়াল পিকচার। বিজেপির লাস্ট চার পাঁচ বছরের সাফল্যের পেছনে আরও কয়েকটা ফ্যাক্টর আছে। প্রথম হলো আরেসেসের লং টার্ম প্ল্যানিং আর গ্রাসরুট লেভেলের কাজ, যেটা এখানে পাই ম্যাডামও লিখেছেন আর এখন খবরেও বেরোচ্ছে। ওরা কিন্তু অন্তত তিনচার বছর ধরে ত্রিপুরায় ওদের ক্যাডার পাঠিয়েছে, অর্গানাইজেশান বানিয়েছে, সাধারন লোকের সাথে মিশেছে। দ্বিতীয় ফ্যাক্টর মোদির জনপ্রিয়তা, যেটা মানুষের মধ্যে একটা হাওয়া তৈরি করছে (এর মধ্যে ডেভেলপমেন্ট আর হিন্দুত্ব, দুটোই আছে)। তৃতীয় অমিত শাহের আর্গানাইজেশান বিল্ডিং ক্যাপেবিলিটি। মানে ম্যানেজমেন্ট মডেল যদি দেখো, টপ ম্যানেজমেন্ট, লাইন ম্যানেজমেন্ট আর এমপ্লয়ী তিনটে লেভেলেই বিজেপি-আরেসেস একটা দুর্দান্ত ভালো সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। অমিত শাহ যদি এই মডেল পবতেও অ্যাপ্লাই করে তো তিনোরা কিস্যু করতে পারবে না। তবে তিনোদের সরাতে চাইবে কিনা সেটা অন্য প্রশ্ন।
  • pi | 127.226.157.190 | ০৪ মার্চ ২০১৮ ১০:১০372813
  • এটা আমারো মনে হয়।
  • PT | 160.129.67.188 | ০৪ মার্চ ২০১৮ ১০:১০372812
  • মেদিনীপুরের কেউ কেউ জানালেন যে RSS-এর প্রসার নাকি কল্পনাতীত।
    তবে তিনোর ওপরে কোন ভরসা করার আগে ভেবে দেখবেনঃ
    কেন সারদা বা নারদা তদন্তে কোন অগ্রগতি নেই।
    কেন আদবানীর নেতৃত্বে সেই কেন্দ্রীয় কমিটি এখনো মিট্ন করার সময় পায়নি।
    দরকার হলে নিজেদের প্রাদেশিক নেতাদের বসিয়ে দিয়ে বিজেপি তিনোদের ক্ষমতায় রাখবে পবতে। কারণ তিনোরা দুর্বল হলে পবতে আবার বামেদের উত্থানের সম্ভাবনা দেখা যাবে।
    RSS "বামমুক্ত ভারত" চায়। তারজন্য যা করার তারা করবে।
  • S | 194.167.2.96 | ০৪ মার্চ ২০১৮ ১০:১২372814
  • কিকিদি, আপনি যদি বাংলার টিভি সিনেমার দিকেও একটু মন দেন দেখবেন সেখানেও বিগত দুতিন বছরে হঠাৎ করে ধর্মিয় আচার অনুষ্ঠান বেশ বেড়ে গেছে। লোকে সেসব দেখছেও এবং হিন্দু মৌলবাদের প্রতি কেমন একটা প্রচ্ছন্ন সমর্থন রয়েছে।

    আর এককের দুটো অবজার্ভেশন একদম পারফেক্ট।
    "আমাদের বর্তমান সিএম একটা বিপজ্জনক খেলা খেলছেন এবং এযাবৎ ভালোই খেলছেন।"
    একদম ঠিক। কিন্তু যেদিন একটু পিছলোবেন, সেদিন সব শেষ হয়ে যাবে। বিজেপি ক্যাচ ধরার জন্য জাল পেতে রয়েছে।

    "এনারা ডেভেলপমেন্ট বলতে বোঝেন চোখে দেখা যায় এমন সব জিনিস ।"
    একদম। লোকে কেউ কটা স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র হলো তাতে উৎসাহিত নয়। সবাই শুধু মল, অফিসবাড়ি, কন্স্ট্রাকশন, ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল এইসবই দেখতে চায়। এতে শহর-রাজ্য-দেশের শর্টটার্মে কিছু উন্নতি হলেও আদতে তেমন কিছু লাভ হয়না। জনগন সেটা জানে, কিন্তু এইটাই চায়।
  • dc | 181.49.202.75 | ০৪ মার্চ ২০১৮ ১০:১৩372815
  • পবতে হয়তো আরেসেস-তিনো লড়াই আরেকটু টাফ হবে, সত্যি যদি হয়, তার কারন তিনোদেরও গ্রাসরুট লেভেলে আউটরিচ বেশ ভালো আছে। সিপিএমের মতো ফোঁপরা হয়ে যায়নি, আর মমতাও অবশ্যই কারাত-ইয়েচুরীর থেকে অনেক অনেক বেশী ধুরন্ধর রাজনীতিক।
  • S | 194.167.2.96 | ০৪ মার্চ ২০১৮ ১০:১৬372817
  • "তিনোদেরও গ্রাসরুট লেভেলে আউটরিচ বেশ ভালো আছে। সিপিএমের মতো ফোঁপরা হয়ে যায়নি"

    তিনোদের গ্রাসরুট লেভেলে যে আউটরীচটা দেখছেন সেটা বোধয় সিপিএমের তৈরী করা স্ট্রাকচার। তিনোরা এখন দখল নিয়েছে।
  • dc | 181.49.202.75 | ০৪ মার্চ ২০১৮ ১০:১৬372818
  • পিটিদার 10:10 am পোস্টের সাথে একমত। মমতা আর মোদী-শাহ কি ইকুয়েশানে খেলবেন সেটা বলা অসম্ভব। তিনজনই অফেন্স আর ডিফেন্সে সমান পোক্ত, পপুলিজম অসম্ভব ভালো বোঝেন। কাজেই খেলাটা কোন মাঠে হবে সেটা আন্দাজ করা খুব কঠিন ঃ)
  • dc | 181.49.202.75 | ০৪ মার্চ ২০১৮ ১০:১৭372819
  • S, তা হতে পারে। একসময়ে সিপিএম এরও আউটরিচ খুব ভালো ছিল তাতে কোন সন্দেহ নেই।
  • S | 194.167.2.96 | ০৪ মার্চ ২০১৮ ১০:৩৯372820
  • তবে একটা কথা মনে হয়েছে যে বিজেপি যেদিন তিনোদের হারানোর জায়্গায় পৌঁছবে, সেদিন ঠিক সরিয়ে দেবে। পবের দিকে বিজেপির অনেক দিনের লোভ।
  • কল্লোল | 116.203.150.118 | ০৪ মার্চ ২০১৮ ১১:৩৩372821
  • পিটি। আমি লিখেছি " বামপন্থী আর মার্কসবাদী দলের কাছ ঘেঁষা মানুষ হিসাবে শ্রেণী-টেনি নিয়ে সামান্য ধারনা আছে কি? কং আর বিজে্পি একই শ্রেনীর প্রতিনিধিত্ব করে, সেটা তো পোকাশ অ্যান্ড কোং বলেই দিয়েছেন। তারপরেও যুক্তফ্রন্টের কথা ওঠে। কারণ যারা সেই সময়ে বৃহত্তর বিপদ, তাদের বিরুদ্ধে তখনকার কম বিপজ্জনক দলের সাথে যুক্তফ্রন্ট গড়তে হয়। কোনদিকেই যাবো না বললে কি হয়, সেটা সিএমের গ্রামশি ও স্রাফা পোস্টটি পড়ে দেখে নিও।"

    ঠিক এই কারনেই জরুরী অবস্থার সময় অটল-আদবানীদের হাত ধরেছিলো সিপিএম। এমন নয় যে সে সময় অটল-আদবানীরা ধোতু ছিলো আর বাবরীর পর শয়তান হয়ে গেলো। এরা আরএসএস করা পাব্লিক, সেই পরাধীন ভারত থেকেই। ধর্ম নিয়ে দাঙ্গা এই শ্যামাপ্রসাদের চ্যালারা কম করেনি। কিন্তু জরুরী অবস্থায় এদের হাত ধরাটাই সঠিক কাজ ছিলো। ঠিক তেমনি আজ যখন বিজেপি অনেক বড় বিপদ, তখন পুঁজিপতিদের দল, শিখ গণহত্যাকারীদের দল কংএর হাত ধরাতেও কোন ভুল নেই।
    এই সহজ মার্কসীয় যুক্তফ্রন্টের ধারনা যার নেই তার সাথে তক্কো করাটাও সময়ের অপচয়।
    আরএসএস নিয়ে তোমাদের ধারনাটি হাস্যকর। কোন তিনো-টিনো লাগে না। বানিয়াদের শ্রেণী প্রতিভূ এই সংগঠনটি তিনোদের বাপের জম্মো থেকে আছে ও এদের বাড়বাড়ন্তর জন্য করুর মুখের দিকে তাকাতে হয় নি। দুঃখজনক হলেও সত্যি, এদের সংগঠকদের দেখলে তেভাগা আমলের কমিউনিষ্ট সংগঠকদের কথা মনে পড়ে। এদের আদর্শের সাথে আমি কোনভাবেই একমত নই, যেমন একমত নই মাওবাদীদের সাথেও, কিন্তু এই দুই দলের সংগঠকদের লেগেপড়ে থাকার মনোভাব, নাছোড়বান্দা মনোভাব দেখলে বিস্মিত হতে হয়। মানুষের সুখে দুঃখে তাদের পাশে থেকে এরা সংগঠন গড়ে তুলেছেন। বামেদের ভোট দেয় বলে এরা ত্রিপুরার মানুষকে ছাগল মনে করেন নি।
    যাই হোক
    ভুল অ্যাসেসমেন্ট?? এটি ইংরাজি গণশক্তি।
    The CPI (M) state secretary and Left front chairman Bijan Dhar described the outcome of the assembly polls today as unexpected and inconsistent with response received from people.
    "We got healthy response from the people but the results have disproved our expectations' এই "পিপল" কারা? যারা ২০১১তেও পবতে ভুল বুঝিয়েছিলো??

    এখন আমার মনে হচ্ছে - এই যারা বিভিন্ন স্যোসাল সাইটে ছাগলতত্ত্ব, তিনো ষড়যন্ত্র ইঃ ইঃ বলে বেড়াচ্ছে তারা আসলে আরএসএসের গোপন এজেন্ট। এইভাবে সিপিএমের উপর শিক্ষিত মধ্যবিত্তেকে বিরক্ত ও বিমুখ করে তুলে আরএসএসমুখী করে দিচ্ছে।
  • ---- | 127.194.206.103 | ০৪ মার্চ ২০১৮ ১১:৪৩372822
  • এই কথা পাঁচ বছর আগে একবার বলে আমি এই পিটি নিকটির সাথে সময় নষ্ট করা বন্ধ করেছি। স্যোসাল মিডিয়াতে জনমানসে সিপিএম বিরক্তি জিইয়ে রাখতে এরা সম্ভবত পেইড। অন্তত সেল্ফ এমপ্লয়েড ও আরেসেসপ্রতিম মোটিভেটেড।
  • sm | 52.110.150.151 | ০৪ মার্চ ২০১৮ ১২:৪২372823
  • @---,আপনি পাঁচ বছর আগে পিটি র সঙ্গে মিনিময় বন্ধ করেছে এতে জগতের কিছু ছেঁড়া গেছে কি?
    এরা, পেইড বলতে কি বোঝাচ্ছেন?আপনার কাছে কোন প্রমাণ আছে কি?
    আমার সঙ্গে, পিটির প্রচুর মনান্তর ঘটে, কিন্তু এমন মিথ্যা ও ঘৃণার প্রচার তো করতে হয় না।
  • SC | 86.102.224.15 | ০৪ মার্চ ২০১৮ ১৩:০৪372824
  • "এখনো হাসছি।"
    বা! গুড! এতদিন লুকিয়ে হাসছিলেন, এখন বিজেপির জয়ে একদম প্রকাশ্যে হাসছেন। রাজনৈতিক পরিচয় জানানোর জন্য ধন্যবাদ, ও আপনাদের এই জয়ে অভিনন্দন। আশা করি আর বেশিদিন হাসবেন না। :)
    ভাইরাস নয়, অমিতভাই এর এরকম ভাই থাকতে আর কোনো ভাইরাস এর প্রয়োজন পড়েনা।
  • SC | 86.102.224.15 | ০৪ মার্চ ২০১৮ ১৩:২০372825
  • বিজেপি পব তে চেষ্টা করছে না এমন নয়। তবে ত্রিপুরা র মতো ছোট্ট isolated রাজ্য নয়, যে দুম করে কব্জা করে ফেলবে। মুকুল রায় কে একটা চমক দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, সেটা কতদূর সফল হবে, সময়েই বলবে। আসামে এভাবেই জিতেছিল, এখানেও একই কায়দায় চেষ্টা চলছে। তবে মোদী অমিত শাহ তো ভগবান নয়, যে সব জায়গাতে সফল হবে। পব আর উড়িষ্যা এখনো ওঠাতে পারেনি (আর কেরালা)।
    বামেরা আর পব তে কোনো ফ্যাক্টর নয়, যে তার জন্য মমতা কে জিইয়ে রাখতে হবে।
    ইন ফ্যাক্ট, মোদীর কাছে যেটা ভয়ের, যে ২০১৯ এ সেরকম হাওয়া না থাকলে ইলেকশন close হতে পারে, গুজরাট এর সাম্প্রতিক ইলেকশন এর মতো। সেখানে একটা সম্ভাবনা আছে, যে কং/মমতা/লালু/নীতিশ/অখিলেশ রা একটা নির্বাচন পরবর্তী জোট বানিয়ে দিতে পারে। সেইজন্য মমতা কে (আর এই বাকিগুলো কেও) আটকানো টা বিজেপির জন্য জরুরি।
    মমতা এখনো বেস ধরে রেখেছেন, ব্যক্তিগত চারিস্মা তে, আর সিপিম এর পুরো গুন্ডা/cadre মেশিনারী টাকে ক্যাপচার করে। আর বাঙালি রা মনেহয় অনেক সময় নেয় দল পাল্টাতে।
    আমার মনেহয় নির্বাচন এগিয়ে এলে বিজেপি আরো পয়সা ঢালবে এখানে। ২ তো সিটের জন্য যারা অতটা লড়াই করলো, ৪২ এর জন্য যান লড়িয়ে দেবে। তবে বিজেপির দুটো প্রধান সমস্যা। এক হচ্ছে, সেরকম কোনো নেতা নেই। মুকুল ঠিক হিমন্ত বিশ্ব শর্মা নয়, ইন ফ্যাক্ট, মুকুল নিজে কত বড় স্ট্রাইকার, সেটাই এখন প্রশ্ন। মমতা বল এগিয়ে দিলে গোল করতে পারতেন, না এগিয়ে দিলে কত ভালো খেলবেন জানা নেই। পঞ্চায়েত ভোটে প্রমান করতে হবে। দিলীপ ঘোষ রাহুল সিনহা র চেয়ে বেটার, তবে জেতাতে পারবেন কিনা এখনো সন্দেহ আছে।
    আরেকটা সমস্যা হচ্চ্ছে, মমতা এখনো কোনো বড়ো ভুল করেননি, যাতে পুরো জনমত ওর বিরুদ্ধে চলে যায়। সারদা আর নারদ কাণ্ডের ব্যাপারটাতেও জনমতে সেরকম প্রভাব পড়েছে বলে মনে হয় না।
  • SC | 86.102.224.15 | ০৪ মার্চ ২০১৮ ১৩:৩২372826
  • " ঠিক তেমনি আজ যখন বিজেপি অনেক বড় বিপদ, তখন পুঁজিপতিদের দল, শিখ গণহত্যাকারীদের দল কংএর হাত ধরাতেও কোন ভুল নেই।"
    - একদম ঠিক। ওটাই এখন একমাত্র রাস্তা। মোদী যে বড়ো বিপদ সেটা বোঝার সময় এসেছে।

    আরেকটা জিনিস মনেহয়। আর এস এস পব তেও নীরবে বাড়ছে না তো? এখন এই ভাসা ভাসা শোনা যাচ্ছে, মেদিনীপুরে বাড়ছে, এখানে ওখানে বাড়ছে, হটাৎ একদিন ভোটের আগে দেখা যাবে বেড়ে বেড়ে মহীরুহ হয়ে গিয়েছে। বিজন ধর পার্টির চেয়ারম্যান, তিনিই বুঝতে পারেননি কিভাবে আরএসএস জাল ছড়িয়েছে ত্রিপুরা তে। আমাদের মতো সাধারণ মানুষও হয়তো আরএসএস এর ব্যাপ্তি টা এখনো পব তে বুঝতে পারেনি, সেটাই ভয় হয়।
  • S | 194.167.2.96 | ০৪ মার্চ ২০১৮ ১৩:৪২372829
  • কোলকাতায়ও বহু লোকজন আরেসেসের শাখা/উপদলগুলোর মেম্বার হয়ে উঠেছেন। এই দলগুলো অন্য নামে থাকে, যাতে কেউ না জানতে পারেন যে এরাই আরেসেস বা এইচভিপি বা বজরং দল ইত্যাদি। একটু খোঁজ নিলে আপনার আশে পাশেই পেয়ে যাবেন। সন্ধ্যা বেলায় একটু ধর্ম-কর্ম, ফ্রিতে চা-সিঙ্গারা, নিজের মেন্টালিটির লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করার সুযোগ করে দেয় এইসব দলগুলো। আস্তে আস্তে হিন্দুত্ববাদী বীজ ছড়ানো হয় এইসব লোকেদের ভেতরে। এনাফ টু গেট দেয়ার ব্যালট ইনটু বিজেপিস বক্স।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন