এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • তৃণমুলী পরিবর্তনকামী বুদ্ধিজীবিদের ভূমিকা

    mousumi mukherjee
    অন্যান্য | ০৬ অক্টোবর ২০০৯ | ১১৪০৩৪ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aka | 168.26.215.13 | ১০ নভেম্বর ২০০৯ ২২:৪৭419921
  • হ্যাঁ বাংলায় উচ্চশিক্ষা শুরু হলে বাংলায় হনার্স পড়েও কি কি কাজকম্মো করা যাবে সেটাও জানতে চাই।
  • Arpan | 122.252.231.12 | ১০ নভেম্বর ২০০৯ ২২:৪৮419922
  • ঔদ্ধত্য।

    (ঠিক করে না লিখলে কাল র আবার পিছনে লাগবে)
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১০ নভেম্বর ২০০৯ ২২:৫৩419923
  • হ্যাঁ, দীর্ঘসূত্রী মানে বুঝবে। আমি তথাকথিত "শিক্ষিত' লোকেদের কথাই বলছি। তারা প্রোক্রাস্টিনেটর মানে জানেনা। তারা প্যাসেঞ্জার মানে জানে, কিন্তু ইনকনভিনিয়েন্স মানে বলতে বললে ৭৫% লোকই মানে হাতড়াবে। মনে রাখবেন ভারতের ১০% লোক মোটামুটি ইংরিজি বোঝে।

    কিছু কিছু আরবি ফার্সি শব্দ আজ বাংলা হয়েছে। কিছু কিছু ইংরিজি শব্দও হবে। সে নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ইংরিজি শব্দ মত্রেই বাংলা শব্দ বলে মেনে নিতে হলে তো খুবই মুশকিল। হামি ইংরাজি জানি, অটয়েব হামি যা জানি টাহাই বাংলা, এটা জাস্ট মানা গেলনা।

    আর খিল্লি করতে হলে অনেক কিছু নিয়েই করা যায়। এইতো হিংসা ইত্যাদি নিয়ে পাশের টইতে জনতা গুরুগম্ভীর বক্তব্য রাখছেন। আহারে হিংসা নিয়ে ঐ কঠিন বাগাড়ম্বর করে দেশ দশ ও মানবজাতির কি প্রবল উন্নতিই না হচ্ছে। মনে হচ্ছে চাট্টি টাইপ করে এনারা পৃথিবী থেকে হিংসা দূর করে দেবেন। ইত্যাদি ইত্যাদি।
  • a x | 76.247.246.200 | ১০ নভেম্বর ২০০৯ ২২:৫৪419924
  • ঠিকই বাংলা ভাষা হারিয়ে যায়নি। এবং সুদূর ভবিষ্যতে হারাবেনা। তার কারণ পাশের দেশটা, যারা এই সব নিয়ে মারামারি কাটাকাটি কে অর্থহীন ভাবেনি।
  • aka | 168.26.215.13 | ১০ নভেম্বর ২০০৯ ২২:৫৭419925
  • পোতিক্কিয়াশীল শক্তিকে দূর হঠিয়ে তক্কে মনোনিবেশ করুন কমরেড। :))

    আপাতত দুইখান প্রশ্ন:

    ১। বাংলায় রাশিবিজ্ঞান পড়ে কাজকম্মো কি করা যাবে?

    ২। বাংলায় উচ্চশিক্ষা শুরু হলেও বাংলায় হনার্স পড়ে কি কি করা যাবে?
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১০ নভেম্বর ২০০৯ ২২:৫৮419926
  • এবার কটা পুরোনো পোস্টের উত্তর দিয়ে দিই।

    শুভজিৎকে: শুভজিৎ মোটামুটি আমার বক্তব্য ঠিকই লিখেছেন। শুধু একটা জিনিস যোগ করি। ইংরিজি এখন একটা আন্তর্জাতিক ভাষা। সেটা আমার পছন্দ হোক বা না হোক। ছেলেপুলেকে ইংরিজি শেখানোর দরকার হলে নিশ্চয়ই শেখানো হবে। আমার কোনো আপত্তি নেই। কোন কেলাস থেকে, কি বৃত্তান্ত, অপশনাল নাকি আবশ্যিক, সেসব বাস্তব অবস্থা সহ অনেক কিছুর উপর নির্ভরশীল, কিন্তু নীতিগত স্তরে কোনো আপত্তি নেই।

    কিন্তু বক্তব্য এটাই, যে ইংরিজি শেখালে সেটা ভাষা হিসেবে শেখানো হোক। শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে নয়।

    আজ্জোকে: বাংলায় বা হিন্দিতে রাশিবিজ্ঞান পড়ানো হলে আজ যা যা করা যাচ্ছে সবই যাবে। ইংরিজি ভাষাটা যদি পাশাপাশি শেখানো হয় তাহলে বিদেশে চাকরি/পড়াশুনোতেও কোনো অসুবিধে নেই। এমনকি বিশ্বের ৯০% লোকের যা পেশা, সেই কঙ্খলেও কোনো সমস্যা হবেনা। :)
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১০ নভেম্বর ২০০৯ ২৩:০২419927
  • আরেকটা নতুন পোশ্নো চলে এসেছে। বাংলায় অনার্স পড়ে কি কি করা যাবে।

    পড়ানো যাবে। অনুবাদকের চাকরি করা যাবে। পরিভাষা তৈরির কাজ করা যাবে। পাঠ্যপুস্তক তৈরির কাজ করা যাবে। পাবলিশিং কোংগুলোতে সম্পাদনার কাজ করা যাবে। শুধু তাই নয়, কম্পুতে ডেটা এϾট্রর কাজ করা যাবে। ইত্যাদি প্রভৃতি।
  • aka | 168.26.215.13 | ১০ নভেম্বর ২০০৯ ২৩:১১419928
  • যা: বাবা তাহলে তক্কো করছি কেন? আমিও একই কথা বলছি। প্রাথমিক স্তরে ইংরিজি পড়ানোর ক্ষেত্রে অন্তত। একটুও দ্বিমত নেই। এমনকি কেলাস ওয়ান থেকে না পড়িয়ে কেলাস n থেকে পড়ালেও নেই। শুধু যাই ইমপ্লিমেন্ট করা হোক সেটা যেন ভেবেচিন্তে, সুন্দর প্ল্যান করা হয়। আধুনিক স্টাডি ইত্যাদি রেফার করা হয়। ইত্যাদি ইত্যাদি। যতদিন না সেটা হচ্ছে ততদিন লার্নিং ইংলিশ তুলে পুরনো কারিকুলাম ফিরিয়ে আনা হোক। সৌভাগ্যের কথা সেটা হয়েছে।

    উচ্চশিক্ষার বিষয়ে এখনো দ্বিমত। বাংলা বা হিন্দি বললে তো শুনব না। শুধু বাংলার কথা শুনতে চাই। শুধু বাংলার কথা হলে একটা বিষয়ে সহমত হওয়াই যায় যে বাংলায় রাশিবিজ্ঞান পড়লে নিজের কাজ পাবার প্রোবাবিলিটি বহুগুণে কমিয়ে ফেলা হচ্ছে। ঠিক?
  • Bratin | 117.194.97.227 | ১০ নভেম্বর ২০০৯ ২৩:১৫419931
  • আহা, বাংলা য় পড়ো না। কে মানা করছে। শুধু পরিভাষা গুলো জেনে নিও :-))
  • PT | 203.110.243.21 | ১০ নভেম্বর ২০০৯ ২৩:১৫419929
  • সময়-সুযোগ পেলে কোনো জেলাশহর বা একটু গ্রামের মানুষের সঙ্গে গপ্প করলে দেখবেন যে বাংলা ভাষাটা হারিয়ে যায়নি। শহরের বাবু-বিবিরা ভাষাটির থেকে দুরে সরে এসেছেন। এক রিকশা-চালকের মুখে কত বছর বাদে ""উড়োজাহাজ"" শব্দটি শুনলাম।

    এমনকি বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষিত মানুষদের সঙ্গে কথা বললেও ভাষাটি যে দিব্য বেঁচে আছে তা বোঝা যায়।

    ""হে বঙ্গ ভান্ডারে তব বিবিধ রতন
    তা সবে অবোধ আমি অবহেলা করি
    পরধনলোভে মত্ত করিনু ভ্রমণ
    পরদেশে ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি।""

    মাইকেল ভাষাকে দোষ দেননি। নিজেকে ""অবোধ"" বলেছিলেন।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১০ নভেম্বর ২০০৯ ২৩:২৩419932
  • আমার তো সেটাই প্রশ্ন, তক্কো কেন করছ? বাস্তব অবস্থাকে তো একবারও অস্বীকার করিনি। পুরো টইতে।

    বাংলায় রাশিবিজ্ঞানও এখনই পড়ানো যাবেনা। বই নেই, পরিভাষাও তেমন নেই, কিন্তু ওরিয়েন্টেশনটা সেই দিকেই রাখা উচিত। পরিভাষা, পাঠ্যপুস্তক তৈরি করা উচিত। অনুবাদ শুরু করা উচিত। অদূর ভবিষ্যতে একদিন উচ্চশিক্ষা মাতৃভাষায় হবে এই লক্ষ্যটা রাখা উচিত।

    তবে বাংলায়ই হোক আর ইংরিজিতেই পড়ানো হোক রাশিবিজ্ঞান, তাতে কাজ পাবার প্রোব্যাবিলিটি কমবে কেন বুঝলাম না। বাংলায় রাশিবিজ্ঞান শিখলে কি কম শিখবে লোকে? (ইংরিজি ভাষাটা পাশাপাশি শিখলে অন্তত: ভাষাজ্ঞানের অভাবটা এক্ষেত্রে ফ্যাক্টর হবে বলে তো মনে হয়না)।
  • aka | 168.26.215.13 | ১০ নভেম্বর ২০০৯ ২৩:২৭419933
  • না কাজ করার জায়গা কমে যাবে বলে, গবেষণার সুযোগ কমে যাবে বলে। আঞ্চলিক ভাষা হওয়ার জন্য যা যা অসুবিধা।

    তক্কোটা এইজন্যই যে বাংলার মতন আঞ্চলিক ভাষা যে ভাষার গ্লোবাল ভাষা হয়ে যাবার কোন সম্ভাবনাই নেই তাতে উচ্চশিক্ষা শুরু করাটা পেছনে হাঁটা বলে মনে হয়।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১০ নভেম্বর ২০০৯ ২৩:২৯419934
  • ধুত্তেরি, মাইকেল ওটা ইংরেজের কাছে ল্যাং খেয়ে তারপরে লিখেছিলেন। তার আগে তিনি ইঞ্জিরিতে কাব্যরচনার চেষ্টা করেন। ক্যাপটেভ লেডি না কি যেন নাম সেই কাব্যির। তখন উনি বঙ্গভাষাকে চাকর মনিশ্যির ভাষাই ভাবতেন।

    আর বাংলা ভাষা যে মরে যায়নি এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। মরে যায়নি বলেই তো এখনও বাংলাতেই লিখছি। কিন্তু মরে গেলে তবে বলব হ্যাঁ ব্যাটা মরিয়াছে, তার আগে রোগলক্ষণের কোনো সন্ধান করবনা, বিশ্বের উবে যাওয়া বা বিলুপ্তপ্রায় ভাষাগুলোকে দেখে কিছু শিখবনা, এটা একটা কথা হল?
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১০ নভেম্বর ২০০৯ ২৩:৩১419935
  • তুমি রাশিবিজ্ঞান জানো। তুমি ইংরিজিও জানো। তোমার কাজ করার সুযোগ কেন কমবে?
  • PT | 203.110.243.21 | ১০ নভেম্বর ২০০৯ ২৩:৩৪419936
  • S. N. Bose ...... strongly felt that it was duty to present science to the common man in his own language.

    For popularizing science Bose wrote in Bengali..... It were largely Bose’s efforts which led to the establishment of the Bangiya Bijnan Parishad (Science Association of Bengal), a registered society with the sole objective of promoting and popularizing science through the vernacular.

    The circular announcing the formation of the Parishad stated: “We need science at every step, but our system of education does not prepare us for it, so that we are not able to utilize science in our everyday life. The main obstacle so far was a foreign language through which education was being imparted.......Now it is the duty and the responsibility of our scientists to popularize science through the medium of vernacular and thus help to create a healthy scientific attitude among the people."

    The Parishad started a monthly magazine on popular science in Bengali, Jnan O Bijnan (Knowledge and Science).

    As part of his attempt in popularizing science through the vernacular Bose even started teaching Relativity to post-graduate students in colloquial Bengali.

    http://www.vigyanprasar.gov.in/scientists/snbose/bosenew.htm

  • san | 123.201.53.4 | ১০ নভেম্বর ২০০৯ ২৩:৩৭419937
  • আরে রাশিবিজ্ঞান বাংলায় পড়লে তো সব টার্মিনোলজি বাংলায় শিখবে লোকে। এদিকে চাকরির জন্য সেই ইংরিজিগুলো জানতেই হবে। মাঝখান থেকে ডবল খাটুনি এবং ডবল ঝামেলা।

    না কি দাবিটা হল বাংলা রাশিবিজ্ঞানের টার্ম জানা + ইংরিজি ভাষাটা মোটামুটি জানা = ইংরিজি টার্মগুলো স্মুথলি সড়গড় হয়ে যাওয়া? এটা হাইপোথেসিস হলে খুব ভুল হাইপোথেসিস। এই রাশিবিজ্ঞান আমি নিজেই প্রথমে বাংলা এবং পরে ইংরিজিতে পড়েছি এবং ট্রানজিশন খুব একটা স্মুথ লাগেনি তো ! এবার আমার ইংরিজি ভাষাজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে, কিন্তু আমার মতন আইডিয়াল সব সুযোগসুবিধে পেয়েও যদি অবস্থা এই দাঁড়ায় তো দেশের সেই ৭৫% মানুষের কি অবস্থা হবে !!!
  • san | 123.201.53.4 | ১০ নভেম্বর ২০০৯ ২৩:৪২419938
  • কিন্তু আমি কেন এসব ভাবছি? বরং ক্লুলেসে ফেরৎ যাই ।
  • Samik | 122.162.75.113 | ১০ নভেম্বর ২০০৯ ২৩:৫৭419939
  • হিন্দিভাষায় কিন্তু পরিভাষা নিয়মিত চর্চা হচ্ছে এবং শিক্ষিত অশিক্ষিত সব রকমের লোকেই সেইসব কথা বলছে।

    বাংলায় বলি, আপনাকে কন্ট্যাক্ট করা গেল না।
    বাঙালি হিন্দি বললে বলে, আপসে কন্ট্যাক্ট নেহি হো পায়া।

    হিন্দিভাষী বলে, আপসে সম্পর্ক্‌ নেহি হো পা রহা হ্যায়।

    হিন্দিভাষী বলে, হমে সূচনা মিলি হ্যায়, কখনো বলে না ইনফর্মেশন মিলা হ্যায়। কিন্তু বাঙালি বলে না, তথ্য পেয়েছি, বলে খবর পেয়েছি বা ইনফর্মেশন পেয়েছি। হিন্দিভাষী বলে হাওয়াই আড্ডা, বাঙালি বলে এয়ারপোর্ট, বিমানবন্দর বলে না।

    ইলেকট্রিকের মিটারের জন্য অ্যাপ্লিকেশন জমা দিতে গিয়ে আবার মনে পড়ল, অ্যাপ্লিকেশনের বাংলা এবং হিন্দি দরখাস্ত। আর সেটা লিখতে হবে উপ্‌খণ্ড্‌ অধিকারীকে, বাংলায় যাকে বলে এসডিও।
  • aka | 168.26.215.13 | ১১ নভেম্বর ২০০৯ ০০:০০419940
  • না তো, বাংলায় রাশিবিজ্ঞান পড়ানো হলে তো আমি আর ইংরিজিতে রাশিবিজ্ঞান শিখব না। সেই লক্ষ্যের কথাই তো বলা হচ্ছে, নাকি? আর যদি তখনো ইংরিজি শিখি তাহলে আর শখের বাংলা কারিকুলাম করে কি লাভ?
  • Sibu | 74.125.59.49 | ১১ নভেম্বর ২০০৯ ০০:০৮419942
  • শমীকের পোস্ট পড়ে মনে পড়ল, বাপুজীর দেশে নাকি আইন মেনে মাল খেতে হলে পারমিট লাগে। সেই পারমিটের অ্যাপ্লিকেশন হিন্দীতে করতে হয়। নমুনা প্রশ্ন:

    - দারুখোরকা নাম কেয়া হ্যায়।
    - দারুখোরকা পতা কেয়া হ্যায়।

    ইত্যাদি।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১১ নভেম্বর ২০০৯ ০০:১২419943
  • রাশিবিজ্ঞান বিষয়টা কি ভাষাভিত্তিক? যথা বাংলা রাশিবিজ্ঞান বা ইংরিজি রাশিবিজ্ঞান? বাংলায় শিখলে আবার ইংরিজিতে শিখতে হয়? বিষয় বলে কিছু নেই ওতে?

    আমি রাশিবিজ্ঞান পড়ি নাই বলে জানিনা। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছি। ছেলেবেলায় বাংলায় পড়েছিলাম বেগ, দ্রুতি, ত্বরণ। ইংরিজিতে পরে জানলাম ভেলোসিটি, অ্যাক্সিলারেশন, ইত্যাদি ইত্যাদি। এগুলো জানার পর আমার ইশকুলের ফিজিক্স শেখা মিথ্যে হয়ে যায়নি। বিষয়টা একই ছিল।

    হ্যাঁ, বলে নেওয়া ভালো, যে, টার্মিনোলজি গুলো আয়ত্ব করতে সামান্য অসুবিধে হয়েছে। কিন্তু তার চেয়ে ঢের বেশি অসুবিধে হয়েছে ইংরিজি লিখতে। বলতে তো বটেই। লেখা-বলার চেয়ে টার্মিনোলজি শেখার অসুবিধে নেহাৎই নগণ্য। ভালো করে মনেও পড়েনা।
  • aka | 168.26.215.13 | ১১ নভেম্বর ২০০৯ ০০:২২419944
  • না একেবারেই নয়। বিষয়ের বুৎপত্তি তৈরি করতে কোনই অসুবিধা হবে না যদি ঠিকঠাক পরিভাষা তৈরি হয়। কিন্তু অবশ্যই শুধুই দ্রুতি, ত্বরণ, উদস্থৈতিক কূট শিখলে বাংলার বাইরে চাকরি পাওয়া যাবে না।

    ধরা যাক হিন্দি ভাষী বসকে বলা হল - "অমুক যন্ত্রের ত্বরণ সামান্য বেড়ে যাওয়ার জন্য যান্ত্রিক ত্রুটি বহুলাংশে বৃদ্ধি পাচ্ছে""। ফাণ্ডায় একশয় একশ কিন্তু কমিউনিকেশনে ডাণ্ডা। এই চাকরি বাংলা ভাষী কারুর পক্ষেই পাওয়া সম্ভব নয়।

    এটা রাশিবিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং সবের ক্ষেত্রেই সত্যি তো।
  • rimi | 168.26.215.135 | ১১ নভেম্বর ২০০৯ ০০:৩২419945
  • আহা ইশান, রেগে যাচ্ছ কেন? তক্কাতক্কি বাংলা ভাষার পক্ষে অর্থহীন, কিন্তু আমার পক্ষে তো নয় রে বাবা!

    এবারে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে। দেশটি বাংলাভাষাকে বাঁচিয়ে রাখার প্রভূত চেষ্টা করেছে। ঠিকই, যতদিন বাংলাদেশ বেঁচে আছে, ততদিন ঐ দেশের ভাষাও বেঁচে থাকবে। কিন্তু ঐদেশে শিক্ষার মাধ্যম কি? উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত বাংলা আর ইংরিজি দুই মাধ্যমেই পড়ানো হয়। উচ্চশিক্ষা?? অন্তত বিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চশিক্ষা ইংরিজিতেই হয়, বাংলাদেশী সহকর্মীকে এইমাত্তর জিগিয়ে এলাম। বাংলা মিডিয়াম স্কুলে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরিজিরই স্থান। সেটা পড়ানো হয় ক্লাস ওয়ান থেকেই। সিক্স থেকে নয়। যদি তাই হয়, তাহলে বাংলা ভাষা প:বঙ্গে দুদিন বাদেই হারিয়ে যাবে, আর বাংলাদেশে অমর হয়ে থাকবে এরকম ভবিষ্যদবাণীর পিছনে যুক্তিটা কি?
  • san | 123.201.53.4 | ১১ নভেম্বর ২০০৯ ০০:৪৬419946
  • আরে । প্রশ্নটা হল চাকরি করতে সেই যখন ইংরিজি টার্মিনোলজি পড়তেই হবে, ইংরিজিতে ভাবতেই হবে, লিখতেই হবে, বলতেই হবে, যে সাবজেক্টই হোক, তখন বাংলায় পড়ে হাতিঘোড়া লাভটা কী হল? এমন তো নয় যে পরবর্তী জীবনে ইংরিজির জায়গায় বাংলা ভাষা অ্যাপ্লাই করতে পারব। তো যে ট্রানজিশন চাক্রি পেয়ে করতেই হবে সেটা ডিগ্রি পাবার সময়ে অ্যাভয়েড করে কি এমন সুবিধে হয়ে যাবে ? একটা বেনিফিট তো থাকতে হবে, একটা এক্সিসটিং সিস্টেমকে পাল্টাবার। রেট অফ রিটার্ন দেখাতে হবে :-)
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১১ নভেম্বর ২০০৯ ০১:০৯419947
  • বাংলাদেশে ইংরিজিতে উচ্চশিক্ষা হয়। টো?

    "যতদিন বাংলাদেশ বেঁচে আছে, ততদিন ঐ দেশের ভাষাও বেঁচে থাকবে' এই ভবিষ্যতবাণীর পিছনে যুক্তিটি কি? সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করুন।
  • a x | 143.111.22.23 | ১১ নভেম্বর ২০০৯ ০১:১৪419948
  • রিমি। ওনাকে আরেকবার জিজ্ঞেস করবে, উনি প্রাইভেট স্কুলে পড়েছিলেন কিনা?

    আর বাংলাদেশে তো ব্যবহারিক কাজও বাংলাতে হয়, প:ব:র সাথে তফাৎ নেই?
  • rimi | 168.26.215.135 | ১১ নভেম্বর ২০০৯ ০১:২০419949
  • অক্ষ, কে প্রাইভেট স্কুলে পড়ার কথা জানতে চাইছ? আমার সহকর্মী? সেই তথ্যে কি প্রয়োজন?

    ব্যবহারিক কাজের ভাষা নিয়ে তো কথা হচ্ছে না, হচ্ছে উচ্চশিক্ষার মাধ্যম নিয়ে। উচ্চশিক্ষার মাধ্যম ইংরিজি রেখেও ব্যবহারিক কাজ আঞ্চলিক ভাষায় করতে কোনো অসুবিধা হয় না। হয়নি, বাংলাদেশ তার উদাহরণ।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১১ নভেম্বর ২০০৯ ০১:২১419950
  • উন্নততর ভারবাসীর কোনো এক কারণে ধারণা হয়েছে, যে সমস্ত লোকই বিএ এমএ করে কঞ্‌খল করে, ইংরিজিতে পাঞ্চিবায় ও বাংলায় খিল্লি করে। বাস্তব অবস্থা নিয়ে পোচ্চুর কথা বললেও এঁরা বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। আরেকবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া যাক, ভারতে ১০% লোক ইংরিজি বুঝতে পারে। উচ্চশিক্ষা/বিএ/এমএ যারা করে তাদের মধ্যে ৯০% (আন্দাজ) কস্মিনকালে কঞ্‌খল করেনা। তারা খামোখা বিদেশী টার্মিনোলজি শিখবে কেন বুঝলাম না। তাদের ফালতু একটা বিদেশী ভাষায় চাট্টি টার্মিনোলজির শেখার ইনসেন্টিভ টা কি? বাকি ১০% এর প্রচন্ড সুবিধে হয় এইজন্য নিশ্চয়ই নয়।

    আর হ্যাঁ, বাকি ১০% যাঁরা কঞ্‌খল করবেন, বা বিদেশে উচ্চশিক্ষার্থে যাবেন, তাঁদের টার্মিনোলজি গুলো শিখতে হবে। কিঞ্চিৎ অসুবিধে হবে। সে তো হবেই। যাঁরা জিআরই দেবার জন্য গোটা ডিকশনারি মুখস্থ করেন, কঙ্খল অ্যাটেন্ড করার জন্য ইস্পেশাল অ্যাক্সেন্ট আয়ত্ব করেন, জাপানে গেলে আস্ত জাপানি ভাষা শেখেন, তাঁরা এগুলো পারবেন কঠিন কিসু না। এঁদের ইনসেন্টিভটা হল এঁরা বাইরে গিয়ে করেকম্মে খাবেন/খাচ্ছেন, তাই শিখবেন। বাকি ৯০% শতাংশের ঘাড়ে এঁদের উচ্চাশার বোঝা চাপানোর তো কোনো মানে নেই।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১১ নভেম্বর ২০০৯ ০১:২৫419951
  • ইংরিজিতে উচ্চশিক্ষা হলেও বাংলায় "ওরে আমায় ছুঁসনে, আমি গু মাড়িয়েছি' জাতীয় ব্যবহারিক কথা বলতে লিচ্চই কোনো অসুবিধেই নেই।

    আসুন আমরা দুবাহু তুলে "আমি হেগো আমায় ছুঁসনে' বলে ব্যবহারিক বাংলা ভাষার জয়ধ্বনি দিই।
  • aka | 168.26.215.13 | ১১ নভেম্বর ২০০৯ ০১:২৬419953
  • উচ্চশিক্ষা নিয়ে কথা হচ্ছে। তা বিএ এমএ তো উচ্চশিক্ষা। সেটা ঐ ঐতিহাসিক ভাবে ১০% বা আরও কম। অতএব এখন আমরা ১০% নিয়েই কথা বলছি। একদম ঠিক।

    প্রাথমিক স্তরে কিভাবে পড়াশুনো হওয়া উচিত সেই নিয়ে আমরা একমত। ইংরিজি এবং বাংলা দুইই চলবে, বাংলা মাধ্যমে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন