এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বিকল্প লেখাপত্তর, কি লিখব কেন লিখব

    Ishan
    অন্যান্য | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ | ১১৩৫৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 128.231.22.89 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:২৮422894
  • না:, ঐ সুতোতে টুকরো খাবার কী ও কেন এছাড়া তোমার আর পেন্ডিং প্রশ্ন নজরে পড়েনি । মানে পিডিএফ পড়ার পর ও তোমার সংশয় ও আমার কাছে প্রশ্ন আছে এমন কিছু। তাই আর উত্তর দেবার যে কিছু আছে সেটাই বুঝিনি।

    তবে কাটাতে চাইলে কাটাও। আম্মো কাটালুম এবং কাটলুম । :)

  • Ishan | 12.163.39.254 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:৪৪422895
  • রেসিস্টেন্স কিসের আবার? আমি তো প্রবলেমটাই বুঝতে পারছিনা।

    ধরা যাক রাম একটি ওয়েবসাইটে কিছু লিখেছেন। শ্যাম একটা কাগজে সেটাকে কোট করে বা নিজের ভাষায় লিখে কিঞ্চিৎ খিল্লি করেছেন বা করবেন বা করবেন না। এতে আপত্তির কি জায়গা?
  • a x | 143.111.22.23 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:০৯422896
  • ১) সেক্ষেত্রে তোমার কথা আর পাইএর কথা ক¾ট্রাডিকটারি হচ্ছে। তাহলে আর পারমিশান নেবার দরকার কি?
    ২) এই ক্ষেত্রে সাইটটি এবং কাগজটি একই প্রতিষ্ঠান। এবং সাবস্ক্রাইবার ও কϾট্রবিউটারদের সেটটা হিউজলি ওভারল্যাপিং।
    ৩) যেগুলো কে খিল্লি করা হবে বা হতে পারে বা হবেনা, সেগুলো পার্ট অফ দ্য কন্টেন্ট। অর্থাৎ রেসিপিটা পারমিতা দিচ্ছে বা মিঠু দিচ্ছে বা ডিডি দিচ্ছেন। হয় রেসিপিটা মূল কনটেন্ট,খিল্লিটা সাইড, অথবা, রেসিপি গৌণ, খিল্লি মূখ্য, কিম্বা দুটোই মূখ্য। প্রথম এবং শেষটা হলে যে রেসিপি দিচ্ছে, তাকে জায়গা দিতে হবে আপত্তির। মাঝেরটা হলে একটা মূল্য দিতে হতে পারে, অ্যালিয়েনেশনের।

    তফাৎটা এরকম। আজকালে দেবেশ রায় একটা লেখা লিখলেন। তুমি তা নিয়ে খিল্লি করে কাগুজেগুরু তে কিছু লিখলে। এটা একটা সিনারিও। দ্বিতীয়টা, গুচ তে এক বছর আগে শ্যামল কিছু লিখেছিলেন, তুমি সেটাকে খিল্লি করে কাগুজেগুরু তে লিখলে, এবং শ্যামলের নাম রেখেই করলে সেটা। এবার তুমি বলছ, শ্যামলের কোনো আপত্তি কেন থাকবে।

    এই খিল্লির অ্যাঙ্গলটা নতুন যোগ হল। আমি এটা ভেবে প্রথমে লিখিনি। ডিডির ভাষ্য মানেই ডিডি সবসময় খিল্লি করেন তা ঠিক না। ডিডির একধরণের সেন্স অফ হিউমার আছে, পাল্লিনের বা বাইনারির আরেকধরণের। লেখার স্টাইলও আলাদা। এখন যা হয়েছে, দুটোই মেনটেন্ড হয়েছে। সোমনাথের কাছে একটা বেশি প্রেফারেবল, তাই ও চায় (মানে আমি যা বুঝলাম) যে পুরোটাতেই ডিডির স্টাইলটাই থাক।

    লোকেদের নাম নিয়েছি বলে কেউ কিছু মনে করবেন না আবার। A'র বদলে B হতেই পারত।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:১২422897
  • ওহো আমাকে রেসিস্ট্যান্সের কথা লেখেনি মনে হয়। :)

    তা প্রশ্নটা কি? ছাপা গুরু কেন? সিম্পল। বিকল্প গণমাধ্যম বানাব বলে। এর মধ্যে ধোঁয়াশা কি আছে? বিকল্প কথাটা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকতে পারে। সেটা নিয়েই তো কথা হচ্ছে এই টইয়ে।
  • a x | 143.111.22.23 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:১৬422898
  • উফ্‌ফ্‌ ওটা তো পাইকেই, পাই উত্তরও দিল! যেটা তোমাকে লিখিনি, সেটা নিয়ে লিখছ, যেটা তোমাকে লিখছি, সেটা লিখছনা!
  • a x | 143.111.22.23 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:২২422899
  • আর না, বিকল্প নিয়ে প্রশ্ন না। গণ নিয়ে প্রশ্ন। ইন্টার্নেটও তো গণমাধ্যম। কোনো বিশেষ "গণ"র কাছে পৌঁছনো অ্যাজেন্ডা কিনা জানতে চেয়েছিলাম।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:২৯422900
  • লিখছি তো।

    ১। টেকনিকালি এক্ষেত্রে পারমিশন নেবার তো দরকার নেই। মানে কোট করলে। বা অমুক লিখেছেন বলে নিজের ভাষায় লিখলে। এতে পারমিশন নেবার কিচ্ছু নেই। কেউ "আমার লেখা কেন ছাপলে' বলে ধরতেও পারেনা।

    এটা ফর্মালি। তবুও ইনফর্মালি পারমিশন নেওয়া হয়েছে। ডিডি নেননি। তিনি নিজের মতো লিখেছেন। ছাপার আগে লোকজনকে আমাদের তরফে একবার বলে নেওয়া হয়েছে সৌজন্যবশত। তোমার কোনো আপত্তি নেই তো? জিগানো হয়েছে।
    এতে প্রবলেম কি? কনট্রাডিকশনই বা কোথায়?

    ২। সাইট আর কাগজ কেন। সাইটের লেখা নিয়ে খিল্লি করে সাইটেও লেখা যেতে পারে। কি প্রবলেম? কে বলল ডিডির কিচাইন সাইটে কখনও আসবে না? তাতেই বা কি প্রবলেম?

    ৩। এখনও পর্যন্ত আমার মনে হয়নি কেউ কিছুতেই আপত্তি করতে পারেন। তবুও আপত্তির জায়গা সবসময়েই থাকছে। পছন্দ না হলে যে কেউ আপত্তি করতেই পারে, যে, আমার রেসিপি নিয়ে অনাচার হচ্ছে। আমার রেসিপির মানহানি হচ্ছে। ইত্যাদি। ডিডি তার যেমন ভালো বুঝবেন উত্তর দেবেন। হয়ে গেল। কিন্তু লেখার আগেই আপত্তি নিয়ে হট্টগোল করার কি হল?

  • Ishan | 12.163.39.254 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:৩০422901
  • "গণ' প্রসঙ্গে: হ্যাঁ। ইন্টারনেট দিয়েই যদি সর্বত্র রিচ করা যেত তাহলে ছাপা বেরোতোনা। কোনো দরকার থাকতনা। যায়না বলেই ছাপা।
  • a x | 143.111.22.23 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০২:০৯422902
  • হট্টগোল, মানহানি, পেটেন্ট এই কথাগুলো তুমিই ব্যবহার করছ। লেখার আগেই :-)

    ক¾ট্রাডিকশন এখানে। পাই লিখেছে কারো আপত্তি থাকলে ছাপা হবে এমন না। তোমার বক্তব্য, পার্মিশান নেওয়াটা একটা সৌজন্য। টেকনিকালি দরকার নেই, এবং আপত্তি থাকলেই বরঞ্চ তুমি তাকে খিল্লি করতে পার, এটা মনে হচ্ছে, ভুল মনে হচ্ছে কি?

    তো এই নিয়েই তো কাগুজে গুরুর থ্রেডে প্রথম দিকে হনু তুমি এবং দ'র কিছু পোস্ট আছে। যেটাকে তুমি সৌজন্য বোধ বলছ, সেটা তো একেবারে বেসিক সৌজন্য বোধ! কারণ আপত্তি হলেই অবাক যেখানে হচ্ছ তুমি, সেখানে সৌজন্যটা আর বেসিক থাকছেনা, অপশনাল হয়ে যাচ্ছে।

    দময়ন্তী নিজেই লিখেছে, "আমার বক্তব্যের ভাষা ডিডি দুরমুশ করলে আমি ওটা ছাপতে দিতে অস্বীকার করব"। তুমি তো এই স্পেসটাই ডিনাই করছ, বা দিলে বলছ নেহাৎ ভদ্রতার খাতিরে দিচ্ছি, না দিলেও চলে। এখানে এক্স্যাক্ট রেসিপি নিয়ে কিন্তু বলা হচ্ছেনা, যেটা তুমি বারবার রেসিপির মানহানি বা রেসিপির পেটেন্ট এই শব্দ ব্যবহার করে বলে যাচ্ছ। এটা লেখার স্টাইল নিয়ে বলা হচ্ছে। এবং এক্ষেত্রে রেসিপিই কনটেন্ট যদি হয়, তাহলে কি হবে? অর্থাৎ আমার আগের পোস্টের তিন নং পয়েন্ট।
    ধর আমি একটা ছবি আঁকলাম। তুমি তাতে দুটো গোঁফ তিনটে ল্যাজ জুড়ে ছাপলে এবং পাঠক জানলনা, অরিজিনাল ছবিটা কি ছিল। এবার বলছ, আরে আপত্তির কি হল! :-)
  • Ishan | 12.163.39.254 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০২:২০422904
  • তুমি যেটা বলছ, তাতে লোককে কোট করতে হলেও সৌজন্যবোধে পার্মিশন নেওয়া উচিত। আবাপতে বা আজকালে অমুক অমুক লিখেছেন বলে খিল্লি করার সময় আমরা পার্মিশন নিইনা। কিন্তু কোট করি। সিরিয়াসলি করি। অথবা খিল্লি করি। এতে করে লেখকের মনে হতেই পারে, যে, তাঁর আঁকা ছবিতে দুটো গোঁফ জুড়ে বিকৃত করে প্রেসেন্ট করা হয়েছে। তিনি তাঁর জবাবও দিতে পারেন। কিন্তু কোট করাটা একজন লেখকের বেসিক রাইট। এবং খিল্লি করাটা। সৌজন্যবোধ টোধ দিয়ে সেই রাইট কেড়ে নেওয়া যায়না। একটা লোককে লিখতে বলব এবং তারপরে বলব, যাকে যাকে কোট করছ তার পার্মিশন নিয়ে এসো, এটা জাস্ট মানা গেলনা। লেখকের স্বাধীনতার উপরে ওটা চূড়ান্ত হস্তক্ষেপ।

    এবার দুই নং কথাটা। লেখা ছাপা। একটা লোকের লেখা কোট করা আর লেখা ছেপে দেওয়া দুটো কমপ্লিটলি আলাদা জিনিস। দ্বিতীয় ক্ষেত্রটায় আমরা পার্মিশন নিই। সর্বত্রই নিই। এখানেও নেব। সেটা বেসিক সৌজন্য। কিন্তু লোকের লেখা কোট করার সময় নেবনা। যাঁর লেখা কোট করা হচ্ছে তিনি কোট করাটা সহজ ভাবে নেবেন, এটাও বেসিক সৌজন্য। সেটা এক্সপেক্ট করব। এই আপত্তিটাতে আমার সেই বেসিক সৌজন্যবোধের অভাব হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
  • a x | 143.111.22.23 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০২:৪১422905
  • ভার্বাটিম কোট করলে তো আপত্তির কথা ওঠেনি। কোট করার সময় যদি আমি ভাষাটাই বদলে দিই? ইনফ্যাক্ট এটাকে কি করে কোট বলে বুঝছিনা। ডিডি কম্পাইল করেছেন, নিজেরও কিছু দিয়েছেন, যাদের থেকে করেছেন, তাদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। এটাকে কোট বলে কি ভাবে? আমি যদি তিনটে লিমেরিক বাছি, একটা টিমের, একটা তীর্থংএর একট ডিডির এবং নিজের মত করে লিখে ছাপতে দিই, ওদের কোনো আপত্তি থাকলে সেটা ওদের সৌজন্য বোধের অভাব?
  • Ishan | 12.163.39.254 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০২:৫৪422906
  • ডিডি এখনও পর্যন্ত যা করেছেন, তা হল ওমুক এই রেসিপিটা দিয়েছে বলে লিখে দিয়েছেন। হুবহু। তার উপরে নিচে নিজের কমেন্ট দিয়েছেন নানাপ্রকার। ডিডি একশবার এটা করতে পারেন। এমনকি রেসিপিটা খাজা হয়েছে বলে কমেন্টও করতে পারেন।

    হুবহু কোট না করে ডিডি নিজের ভাষায়ও রেসিপি লিখতে পারেন। "অমুক মোটামুটি এইরকম লিখেছেন' বলে। পৃথিবীতে একটাও লেখা লিখেছে যে, সেও জানে এরকম হরবখত করা হয়ে থাকে। "মার্ক্স বলেছেন সর্বহারার একনায়কতন্ত্রের কথা। তাঁর অমুক বইতে তিনি কৃষকদের নিয়ে প্রচুর ভলও ভালো কথা বলেছেন। তার মূল বক্তব্য হল এই'। ইত্যাদি ইত্যাদি। তার জন্য মার্ক্সের কেউ অনুমতি নিয়েছে বলে শুনিনি।

    হ্যাঁ লেখা পড়ে মার্ক্স হেবি খচে যেতে পারেন। এও বলতে পারেন লেখক কিস্যু না বুঝে হাবিজাবি লিখে তাঁর লেখার উপর দুটো গোঁফ এঁকে দিয়েছেন। সে নিয়ে লিখতেও পারেন। কিন্তু "আমার পার্মিশন নিলে না কেন বাপু আমার লেখা ""নিজের ভাষায়'' টোকার আগে', এই কথা বলা মার্ক্স বলতে পারেন না। ও জিনিস হয়না। এই হলেই যদি অ্যালিয়েনেশনের প্রশ্ন চলে আসে তো ভীষণ মুশকিল।
  • a x | 143.111.22.23 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৩:০৪422907
  • প্রথমটা নিয়ে খামোকাই এতক্ষণ কথা বললে কেন বোঝা গেলনা, কেননা প্রথমটা নিয়ে কেউ আপত্তি করেনি।

    দ্বিতীয়টা, যেটা বললে, একেবারেই দাঁড়ালো না। এক তো যে এরকম বলে, সে মার্ক্সের বইয়ের রেফারেন্স দেয়, পৃথিবীতে যে একটাও এরকম বই লেখেনি, সেও জানে :-) দুই, আমি আর মার্ক্সের জায়গা আর এখানের দুজনের মধ্যে যে জায়গা তা এক না। আর লেখার অ্যানালিসিস বা সার-সংক্ষেপ এক জিনিস, আর সেই লেখাটাই আমার কনটেন্ট এটা আরেকটা জিনিস। উদা: লিমেরিক।
  • Somnath | 117.194.193.161 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৩:০৬422908
  • অক্ষদা, ঠিক তা নয়, ডিডির ল্যাঙ্গুই একমাত্র নয় ঐ যে লিখলাম 02:43 PM এ, ক্যাও টাই আসল। এক্ষুনি চটজলদি উদাহরণ দিতে গেলে ধরো সর্ষেবাটা থ্রেডের ১ পাতায় J-রচিত পাটিসাপ্টা। আমার মনে হয় রেসিপি দিতে গিয়ে গিয়ে এই ক্যাঁও বা বাওয়ালি করাটাই গুরুচন্ডালির সিগনেচার। ভালো রেসিপি সানন্দাতেও দেয়, বর্তমানে, সুখী গৃহকোণে বা বেলা দে বা হকিন্সের বইতেও দেয়। সে জিনিস আবার ছাপাগুরুতে দিয়ে কি হবে? এই ম্যাগাজিনের টার্গেট রীডার কি তিনি, যিনি শুধু প্রতিমাসে চাট্টি রেসিপি পাবেন বলে ১০ টাকা দিয়ে বইটি কিনতে রাজি, হয়ত বিন্দুমাত্র বা একটাও অন্য লেখা পড়লেন না! তা হলে তো বলব ছাপা গুরুতে সুডোকু আর শব্দছক ও থাক। সর্বস্তরের সব মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়াটা লক্ষ্য না তাদের কাছে অন্যরকম কিছু নিয়ে পৌঁছে যাওয়াটা আসল? আমার মনে হয় রেসিপি দেওয়াটা মুখ্য নয়, রেসিপি নিয়ে এই ক্যাঁও করাটা বেশি ইম্পর্ট্যান্ট। রেসিপি লেখার একটা অল্টার্নেট ল্যাঙ্গুয়েজ তৈরি করাটা বেশি ইম্পর্ট্যান্ট। সেটা ডিডির না হয়ে পারোলিনের বা যোষিতাদির ল্যাঙ্গুয়েজ হল সেটা বড় কথা নয়, কিন্তু সেটা ২ সংখ্যার চিকেন হেলাফেলা বা বেগুনের কালিয়ার মতো ফ্ল্যাট / ক্লাসিক / অনাদিকালের রেসিপিভাষায় না হওয়াটাই বাঞ্ছনীয় (এইটে পড়ে মিঠুদি বা পারমিতাদির খারাপ লাগে যদি, তবে তো বোঝা ই যাচ্ছে কেন আমার অ্যাকচুয়ালি কিচ্ছু বলা উচিত নয়। আফটারঅল, আমি নিজে তো জিন্দেগীতে একখানাও রেসিপি দিই নি।) এগুলোর পরে ডিডির কমেডি ফিলার দিয়ে জিনিসটা খানিক খানিক দাঁড়িয়েছে তবু তাতে পাঠককে ঠিক সেই ইমপ্যাক্টটা দেওয়া যাচ্ছে না, যেটা সব রান্নাগুলোর স্রেফ রেসিপিভাষা চন্ডালিকরণের মাধ্যমে দেওয়া যেত। হলই বা আলাদা আলাদা লোকের ভাষায় কিংবা শুধু ডিডিরই ভাষায়। তোমার চাঁপের রেসিপিতে যেমন প্রথম লাইনটা, "কার্পণ্য করতে হলে ...." লাইনটা, "এইবার হল আসল কায়দাটা শুরু" এই টুকরো লাইনটা আমার কাছে ছাপা গুরুতে যাওয়ার পক্ষে সবচেয়ে ইম্পর্ট্যান্ট, ইটসেল্ফ রেসিপিটার চেয়েও। :-)

    আগের প্যারার শেষ লাইনটা পড়ে হয়তো লোকে রেগে যাবে, তবে আমার বক্তব্য মেইনলি এটাই। বাজার ভরা নানারকম রেসিপি। প্রতি বইমেলায় ২০ টা করে নতুন রেসিপির বই বেরোয়। তো, ছাপা গুরু কি চায়? সেই ভীড়ে আরো একটা রেসিপি (হয়তো একটু বেশি ভালো) অ্যাড করতে, না এই ২০টা বইয়ের রেসিপি লেখার ভাষাকে চ্যালেঞ্জ করে একটা অনন্য রেসিপিভাষা মার্কেটে আনতে যা গুরুচন্ডালির সিগনেচার, যা স্রেফ ফাজলামো আর টেক্সট হিসেবেও অসীম মজারু? মনে রাখতে হবে দেশে বিদেশে বাংলা বই এর অ্যাকসেস বঞ্চিত অবস্থায় ওয়েবসাইটে পাওয়া রেসিপিতে লোকে যেটা পেলেই খুশি; বই, কাগজ, লিটিল ম্যাগ, টিভির রান্নাঘরগুলোর ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে থাকা জনতার কিন্তু সে জিনিসটি হয়তো আদৌ দরকার নাই।

    এইবার এটা করতে রিসোর্স ঘটিত সমস্যা আছে, সময়, পার্মিশন, মতদান, মেনে নেওয়া ঘটিত সমস্যা আছে। আর এই নানাপ্রকার সমস্যা আছে বলেই ছাপাগুরুতে একটা প্র্যাকটিকাল জিনিস নেমেছে, আর আমি ভাট বকছি।
  • Somnath | 117.194.194.144 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৩:২৩422909
  • লিমেরিক নিয়ে যেটা বললে সেটা এভাবেও ভাবা যায়। ধরো কৌশিক একটা কবিতা লিখেছে, ঐ ওয়েটিংরুমের কবিতাটা। এবার টিম কোথাও 'গুরুতে লেখা কৌশিকের পদ্যটার মূল বক্তব্য এই' - বলে সেই থিমটা নিয়ে একখান গুছিয়ে লিমেরিক লিখে দিল। এবার কৌশিক যদি রেগে গিয়ে বলে এইঁও আমার থিমটা নিয়ে তুমি লিখবে কেন? - সেটা কি ঠিক একটা উচিত রেগে যাওয়া হবে? এবার কৌশিক যদি একটা ঠিকঠাক লিমেরিক নামাতে পারতো তাহলে তো পরের পুরো প্রসেসটারই দরকার হয় না, তাই না? স্রেফ ওটা ছাপিয়ে দিলেই ল্যাটা চুকে যায়।

    এইবার এইটে পড়ে যদি কৌশিক রেগে যায় তবে আর কি বোলবো?
  • Ishan | 12.163.39.254 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৩:২৭422910
  • ধুর। অক্ষদা নির্ঘাত চন্দ্রবিন্দুর বাথরুম শোনেনি। কি বলব।
  • arjo | 24.42.203.194 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৫:৪৮422911
  • এতক্ষণ রেসিপির কথা হচ্ছে অথচ ঈশান কোনের নতুন নক্ষত্রের কথা কেউ একবার বলল নি। আশ্চর্য! সে যাই হোক ডিডিদা যদি আমার রেসিপি নিয়ে মশলা মাখিয়ে পরিবেশন করেন সে তো দিব্যি হবে। তবে অন্যান্য যা সাপ ব্যাঙ লেখা আছে সেটা নিয়ে বক্তব্য একেবারে অন্য। যেহেতু সেটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না তাই কাটিয়ে দিলাম।

    আর এইযে সোমনাথ, এ যদি বক্তিমে মোড থেকে বেরিয়ে একটু কাজ মোডে যেত তাহলে বেশ ভাল হত। সোমনাথ সিরিয়াসলি একটু ভেবে দেখলে পারে। এই বয়সটাই তো কাজ করার বয়স, এরপরেই তো পোবন্ধ লিখতে বসবে, তখন কি আর সময় করতে পারবে?
  • a x | 75.53.198.45 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৬:৪২422912
  • কারো কাছে রেসিপি ইম্পর্ট্যান্ট, কারো কাছে লিমেরিক। সেটা তো তাদের ব্যাপারই হওয়া উচিৎ। আর এখানে যখন লেখে কেউ, সেটা কোনো একদিন ছাপার কালি দেখবে ভেবে লেখেনা। এবার ঈশানের তাই নিয়ে বক্তব্য থাকতে পারে, যে সেই ভাবে, মানে না ভেবেই লেখা উচিৎ, কিন্তু সেটা ঈশানেরই বক্তব্য। এখানে লেখা হয়েছে চ্যাটরুমে লোকে যেভাবে লেখে, আড্ডার মেজাজে যেভাবে লেখে। আমি নিজেই এখানের অনেক বক্তব্য পুস্তিকা আকারে বার করব ভাবলে একেবারেই অন্যভাবে লিখব। যখন এখানে লিখেছিলাম, তখন এই সম্ভাবনাটা ছিলনা, যে হঠাৎ একদিন আমার কোন লেখা কেউ তুলে নিয়ে তারমত করে খিল্লি বা খেউর বা প্রশংসা করে বইমেলায় বিক্রি করতে পারে। মার্ক্সবাবুর লেখার উপমা কাজেই এখানে খাটেনা।

    এখন ইউটিউব টাইম।
  • a x | 75.53.198.45 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৭:২০422913
  • সোমনাথ, তুমি যা বললে, কৌশিকের উদা দিয়ে, তাতে আমার বিস্তর আপত্তি আছে। কৌশিকের লেখা তোমার স্ট্যান্ডার্ডের মনোমত না হলে, তুমি ছাপবেনা, কিন্তু কৌশিকের লেখা মনোমত হয়নি বলে টিম সেটাই কৌশিকের বিনা অনুমতিতে ঘষেমেজে দিলে কৌশিকের রাগ কেন হবে, এটা ভেবে তুমি অবাক হচ্ছ দেখেই আমি অবাক হচ্ছি !
  • Ishan | 173.26.17.106 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৮:২২422915
  • ধুত্তেরি। টইয়ের কোনো পোস্টিং লেখা হিসেবে ছেপে দেবার কথা আদপেই বলছি না তো। পুস্তিকা হিসেবে ছাপার কথাও হচ্ছেনা। একথা একশবার ঠিক, যে, এখানে যা লিখছেন, সেগুলো পূর্ণাঙ্গ লেখা নয়, লেখা হিসেবে সেগুলো বার করতে গেলে অনুমতি নেওয়া দরকার। কিন্তু এটাই তো একমাত্র দিক নয়। উল্টো দিকটাও আছে। আপনি যা লিখছেন, নেটে, খোলা ফোরামে লিখছেন। সেগুলোকে শুধু হাল্কা খেলা হিসেবে নেওয়া হবে, এ দাবীও ঠিক না। এটা ঘটনা, যে, লোকে আপনার মন্তব্য পড়ে, পড়ে দু:খ পেতে পায় বা ফুর্তি পায়। এবং সে রিয়্যাক্টও করতে পারে। সেটা টইয়েও করতে পারে, অন্যত্রও করতে পারে। সেই রিয়্যাক্ট করাটাও তার স্বাধীনতা।

    এক্সট্রিমে না গিয়ে প্র্যাকটিকালি দেখুন। এই একটা লেখা: http://ddts.randomink.org/blog/?p=27
    এখানে টইয়ের বিভিন্ন লেখার নাম না দিয়ে রেফারেন্স করা হয়েছে। নিজের ভাষায়। এবং রিয়্যাকশান দেওয়া হয়েছে। আপনি বা আমি গিয়ে কি এই ভদ্রলোককে বলতে পারি, মোশাই আমাদের পারমিশন নেননি কেন? সেটা সম্ভব নয়। এথিকালও নয়। আর বললেই বা উনি মেনে নেবেন কেন? খেলতে খেলতেই লিখুন আর আড্ডার মেজাজেই লিখুন, যাই লিখুন, লেখার এইটুকু দায় তো নিতেই হবে।

    এবং আবার বলছি, এইটুকুর বেশি আর কিচ্ছু বলা হচ্ছেনা। আপনার লেখা কেউ আপনার নামে ছাপিয়ে দিচ্ছেনা। কিন্তু টইয়ের পোস্ট হিসেবে রেফার করতেই পারে। তাকে বলা সম্ভব নয়, যে, আগে পারমিশন নিয়ে আসুন।

  • pi | 128.231.22.89 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৯:১২422916
  • এইডা অক্ষদি কী কইলো বুইলুম না :(
    কোট করার সময় ভাষাটা বদলালে তাকে আর কোট বলার প্রশ্ন আসছে কেন ! তাহলে তো মুখে কথা বসানো হয়ে যায় ! অর্থাৎ মিসকোট। কিন্তু সেটার প্রশ্ন আসছে ই বা কেন ?
    বরং এখনো অব্দি ডিডি যেটা করেছেন তাকে তো কোট ই বলা চলে।
    সেটা না করে, রেফার করে তো নিজের ভাষায় লিখতেই পারেন, নয় কি ?
    রেফার করলে কি অরিজিনাল ভাষা রাখার দায় বর্তায় ?
    এটি অক্ষদার দেওয়া রেসিপি, এটুকু বলে যদি ডিডি সেটা নিজের ভাষায় লেখেন, অক্ষদার দেওয়া তিনটে ফোড়নের উল্লেখের সাথে সাথে নিজেও দুটি ফোড়ন কাটেন, তাতে অসুবিধে টা কি ?
    নৈতিক আপত্তি ই বা কি?
    ইন ফ্যাক্ট সোমনাথ যেমনটি বলেছে ( যা যা বলেছে তার সবকিছু নিয়ে বলছি না, মানে রেসিপির কোনটি ফ্ল্যাট , কোনটি শার্প এসব নিয়ে আমার এখানে কোন বক্তব্য নাই ), চরিত্রগত দিক দিয়ে অনেকটা সেরকম ভাবে ভেবেই তো শুরু করা হয়েছে এই বিভাগটা।
  • pi | 128.231.22.89 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৯:১৮422917
  • আরো একটা ব্যাপার ঠিক বুঝলাম না । খিল্লি , খেউর , করলে অসুবিধেটা কি শুধু ছেপে বেরোলে তবে ? এখেনে ইন্টারনেটে তো আকছার খিল্লি করা টরা হয়, তাতে কোন অসুবিধে , আপত্তি নেই ? এই যে কবিতা, পদ্য , এমনকি সাময়িকী তেও কত লেখায় এখানকার কতজনের রেফারেন্স টেনে কত চন্ডালি লেখাপত্তর আছে, কূটকচালি, বুবুভা তেও, ঐ ইন্দোদার লেখাটার কথাই তো এখুনি মনে পড়ে যাচ্ছে।
    তো, ঐ লেখাটা ছাপাতে গেলে ঐ খিল্লিগুলো বাদ দিতে হবে ? সে হয়তো অনেকসময় এমনি ই বাদ দেওয়া হয়,
    অ-গুরু লোকে রিলেট করতে পারবে না ভেবে, কিন্তু আমি এই নৈতিক আপত্তির অ্যাংগেল থেকে বাদ দেওয়ার ব্যাপারটা নিয়ে বলছি।

    আর, ঐ ইন্টারনেট, গণমাধ্যম এগুলো যখন উঠলো ই, তখন অক্ষদার আগের প্রশ্নের রেশ টেনে বলি , আমার তো মনে হয় , ইন্টারনেটে এ যে জন'গণ' এর কাছে পৌঁছনো যাচ্ছে না, শুধু তাদের কাছে যাবার জন্য ই ছাপা গুরু নয়। তাহলে আর ইন্টারনেটে ( ও নেট অ্যাকসেস কারী) জন'গণ' কে গ্রাহক হবার কথা বলা ই বা কেন। চাপা আর ইন্টার্নেট দুটৈ গণমাধ্যম বটে কিন্তু আলাদা গণমাধ্যম, তাও তো বটে। একটা ওয়েবম্যাগাজিন , সে সাময়িকী সাহিত্য পত্রিকা কি সাপাতাহিক কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স চর্চাই হোক, তার সাথে একটি পূর্ণাঙ্গ মুদ্রিত পত্রিকার তফাত নেই ? চরিত্র না হোক, রিপ্রেসেন্টেশান, প্যাকেজিং এ তো আছেই।

    তবে এতদ্বিধ বকবকানির পর আমার কিছু প্রশ্ন পেয়ে গেল।
    বস্তুত, ছাপা গুরু কেন, এ প্রশ্ন আমাকে করার পর থেকেই পেয়েছিল।
    করি ?
    আমি এখানে আসার অনেক আগে থেকেই রয়েছে নেটগুরু।
    তাই অক্ষদা এবং আগের সকলকে এবং মামু কে প্রশ্ন , নেটগুরু কেন ? :)

    ইন ফ্যাকট, যেকোনো পাবলিক ফোরাম ই বা কেন ?

    ও: , আরো প্রশ্ন পাচ্ছে! :(
    এটাই লাস্ট।
    যেকোন গণমাধ্যম ই বা কেন ?

    :)
  • nyara | 64.105.168.210 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৯:৪০422918
  • আমি ছাপা সংখ্যা দেখিনি। যদি ডিডিদাদার টীকা সম্বলিত রান্নার টইয়ের পোস্ট ছাপা হয়, তাহলে ব্যাপারটা আমার কাছে খুবই আরোপিত লাগবে - খিল্লি অর নো খিল্লি। বেসিকালি মনে হচ্ছে বাজারে খাওয়ানোর জন্যে একটা চমক। বাজারে খাওয়ানোর ব্যাপারে আমার সেরকম শুচিবায়ু নেই। কিন্তু একদিকে যদি বলা হয় শুধু বাজারের জন্যে গুরু কিছু করবে না, তারপরে এইধরণের জিনিস করা হয় - তাহলে চোখ কপালে উঠবেই।

    টইয়ের একটা প্রধান ব্যাপার হল স্পনটেনিইটি। টিকা-সম্বলিত টইতে সেটাকে হাওয়া করে দেবার ব্যবস্থা হচ্ছে। এরপরে অনেকেই টইতে লেখার আগে পাঁচবার ভাববে। লিখলেও অনেক মক্সো করে জিনিস ছাড়বে - খিল্লিত হবার ভয়ে। তো টইয়ের যে একটা 'ধুর বাল' অ্যাটিচিউড আছে - আমার ধারণা টইয়ের সেটাই ইউএসপি - সেটাকে হাওয়া করে দেবার কারণতা কি? খিল্লি করার বা টিকা লেখার জিনিসের কি অভাব পড়িয়াছে?

    এখানে জিনিসটা এথিকাল কি নয়, মার্ক্স না দাস-বাবুর ব্লগ ইত্যাদি তর্ক শেষ পর্যন্ত 'পাত্রাধার কি তৈল' কেসে ডিজেনারেট করবে। মাঝখান থেকে কিছু ভাল টইয়ের পঞ্চত্বপ্রাপ্তি।
  • pi | 128.231.22.89 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১০:০৬422919
  • এটা কি অনেকটা হাওয়ায় যুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে না ?
    কাউকে তো আদৌ খিল্লি করা হয়নি যে লোকে খিল্লিত হবার ভয়ে লিখবে না !
    আর উনি নিজের দু চারটে টীকা ঢোকালে তাতেই বা লোকে স্পনটেনেইটি হারাবে কেন ?
    বরং , লোকজনের এই স্পনটেনিয়াস মেজাজ টাই তো ধরে রাখার চেষ্টা হচ্ছে, তার মাঝে মাঝে ফিলার হিসাবে উনি কিছু ওনার টীকা ঢোকালে তার 'ভয়ে' লোকজনের স্পনটেনেইটি চলে যাবে কেন ? টইয়ের ধুর বাল মেজাজ টাই বা ছাপাতে এলে ক্ষতি কি ?
  • pi | 128.231.22.89 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১০:১৭422920
  • আর ডিডিদা ওনার স্টাইলে টীকা টিপ্পনী দিয়ে একটা লেখা তৈরি করলে সেটা জাস্ট বাজারে খাওয়ানোর জন্য চমক ?
    সব মিলিয়ে ব্যাপারটা যদি একটালেখা হিসেবে দাঁড়ায়, আলাদা রকম লেখা হিসেবে দাঁড়ায়, তাহলে ক্ষতি কি ?
  • nyara | 64.105.168.210 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১০:৪১422921
  • হয়তো এটা হাওয়ার সঙ্গে যুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে, কারণ আমি ছাপা গুরু দেখিনি।

    ডিডিদাদার টীকা কি টই-তে লিখেছিলেন, সেটা ছাপা গুরুতে তোলা হয়েছে? তাহলে কিচ্ছু বলার নেই।

    কিন্তু যদি শুধু ছাপা গুরুর জন্যে টীকা লেখা হয়ে থাকে, তাহলে দুইখান কথা আছে। তার একখান কথা আগেই লিখেছি।

    আরেকখান কথা হল, আমার একটা টই পোস্টিং-এ কেউ খিল্লি করলে আমি কাউন্টার-খিল্লি করতে পারি, ঝেড়ে খিস্তি করতে পারি, হ্যাহ্যা করতে পারি ইত্যাদি আরো অনেক কিছু করতে পারি। লেভেল প্লেইং ফিল্ড। কিন্তুউ ছাপা গুরুর জন্যে ইশপেশাল টিপ্পনি লেখা হয়, তাহলে আর ফিল্ড লেভেল রইল না। এবং সেখানেই লোকের আপত্তি আসতে পারে যে 'আমি তো ছাপানোর জন্যে টইতে লিখিনি'।
  • arjo | 168.26.215.13 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২০:৩৭422922
  • আমি এখনো ছাপা গুরু হাতে পাই নি, আর অন্যদিকে আমি পেজমেকিং বা সম্পাদনার সাথেও খুব একটা যুক্ত নই (পেজমেকিংটা এবারেও পিছলে যাওয়া গেছে), আবার স্ট্র্যাটেজিক কারণে কোন পিডিএফ করা হচ্ছে না। তাই আমি সবটা পড়ি নি। ডিডিদার যে ধরণের লেখা নিয়ে এত কথা হচ্ছে তা অনেকটা আমার রসগোল্লার রেসিপির পরে ডিডিদা যেমন লিখলেন অনেকটা তেমন। তার কিছুটা টই থেকে সরাসরি নেওয়া বাকিটা ডিডিদা পরে এডিট করছেন। যেমন ওখানে ডিডি দা লিখলেন যে গেঞ্জীতে মাজন বা ঝোল ইত্যাদি, পরেই আমি হাসলাম। কিন্তু ঠিক এটাই ছাপা গুরুতে গেলে ঠিক রেলেভ্যান্ট হবে না। প্রায় ঐরকমই সেন্স অফ হিউমারটা বজায় রেখে কিছু একটা বলা। ভাবার চেষ্টা করলাম কি বলা যায় কিন্তু প্রখর সেন্স অফ হিউমার না থাকলে ব্যপারটা ঝুলে যাবে বলে লিখলাম না। ঠিক এখানেই ডিডি সেটাকে নিজের মতন করে লিখছেন, পরে এডিট করছেন। সব মিলিয়ে জুলিয়ে লেখা। এখানে ""খিল্লি"" অর্থে 'মজা' কাউকে হেয় করা নয়। যা বুঝলাম সম্পাদক বলছেন এই বিশ্বাসটা রাখুন যে ব্যপারটা মজাই হবে।

    ওভারঅল আমিও ন্যাড়াদার সাথে একমত। টই থেকে লেখা তুলে নিয়ে ছাপতে হলে যে লিখেছে তার সাথে কথাবার্তা বলে নেওয়া দরকার, নইলে ভুল বোঝাবুঝির সম্ভাবনা। সেটার সাথে আমার মনে হয় সম্পাদকও ক। এই পুরো আলোচনাটা কাল থেকে বেশি বড্ড জেনারালাইজড হয়ে গেছে। কথা হচ্ছে শুধু রেসিপি এবং তাতে মজা করা নিয়ে। তাতে আমার কোন আপত্তি নেই। এবারে অন্য কিছু নিয়ে যখন হবে তখন ভাবা যাবে। এত গাইডলাইন ঠিক করা যায় নাকি।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২১:১২422923
  • হ্যঁ। ডিডিদার লেখা নিয়ে বেসিকালি অকারণ কথা হচ্ছে। :)

    তবে ন্যাড়াদার সঙ্গে আমি একমত নই এই ব্যাপারে, যে, ছাপলেই সেটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রইলনা। ছাপার পরেও আপনি রেগে গিয়ে চিঠি লিখতে পারেন। লেখককে গাল দিতে পারেন। সম্পাদককে গাল দিতে পারেন। নিদেন পক্ষে অতো লেবার না নিয়ে টইয়ে পোস্ট করতে পারেন। সেটা গুরুত্ব দিয়ে না ছাপার কিচ্ছু নেই। গুরু এ পর্যন্ত কারো মুখ বন্ধ করেনি। ছাপা গুরুই বা করবে কেন? করবে তো না ই, বরং এই পাঠকপ্রধান চরিত্রটাই ধরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে ছাপা গুরুতে। যেটা গুরুর চরিত্র।

  • dd | 122.167.14.44 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২১:৩২422924
  • হা ! আমার পনেরো মিনিটের খ্যাতি। অবশেষে।

    আমি দৌড়ে এসে এক লাইন লিখেই আবার ছুটে কাজে চলে যাবো তার আগে শুধু জানিয়ে দিতে চাই আমার নাম বারংবার উল্লেখ হচ্ছে আর তাতে আমি কিন্তু আহ্লাদে আটখানা হয়ে যাচ্ছি।

    পাছে, কেউ ভুলেও ভাবে,আমি অভিমান করে ঠোঁট ফুলিয়ে হেথায় আসছিনা ..... আরেন্না। আদৌ ন্না।
  • Tim | 198.82.22.14 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২২:২৫422927
  • :-)))

    ডিডিদার এই লাইনগুলো সত্যিই খুব দরকার। যত বেশি থাকে ততই ভালো। কিভাবে সবদিক বজায় রেখে হবে সেটাই চ্যালেঞ্জ।
    আমি এখনও প্রিন্টেড গুরু দেখিনাই তাই কিসু কইতাসি না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন