এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বিকল্প লেখাপত্তর, কি লিখব কেন লিখব

    Ishan
    অন্যান্য | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ | ১১৩৫৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • d | 144.160.5.25 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৪:৩৪423015
  • এই সুতোটয় এট্টু ঝগড়াঝাঁটি হবে না? গুচ কি কেবলই প্রেমরসে ডুবে যাবে?
  • r | 125.18.104.1 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৪:৩৫423016
  • এমা, ঈশান ঐ যে বলেছে: "বাজারের ফর্দ লিখে আমরা আনন্দ পাই না", তাই তার বিকল্প দিচ্ছিলাম। :-)
  • h | 203.99.212.224 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৪:৩৮423017
  • কি মেয়ে মাইরি, লোকে চুলোচুলি না করলে ভাতঘুম হচ্চে না :-)
  • pinaki | 67.43.241.179 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৪:৩৯423018
  • উঁহু। বিকল্প নয়। টুনটুনিমূলক উপাখ্যান।
  • san | 121.50.4.34 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৪:৪০423019
  • আমি সরল মনে দুটো কথা বললাম আর হানুদা এমন ইয়ে ....

    বাড়িতে আমার দায়িত্ব ছিল পুজোর ছুটি গরমের ছুটিতে বেড়াতে যাবার আগে সঙ্গে কি কি যাবে তার লিস্টি করা। মনের সুখে করতাম আর সেই লম্বা লিস্টি মিলিয়ে নেওয়া হত। সে সব সুখস্মৃতি আবার ফিরে এল :-)
  • san | 121.50.4.34 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৪:৪১423020
  • এবং এখনও বাড়ি গেলে বাজারের ফর্দের ভার আমি টেক ওভার করি :-)
  • kali | 76.114.64.110 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২০:৪৩423021
  • যে কথাটা আমি কাল থেকে বলবো ভাবছিলাম সেটা স্যান আর র বলে দিয়েছে :)। বাজারের ফর্দ করায় যারা আনন্দ পায়না তাদের ইম্যাজিনেশনের কিঞ্চিত অভাব আছে বলে আমি বিশ্বাস করি।
  • tkn | 122.162.42.156 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২১:০৫423022
  • অ্যাবসোলিটলি একমত। এবং আমি বাড়িতে লোকজন আসবে আগে থেকে জানালে মেনু লিস্ট বানাতেও খুব ভালোবাসি :-)
  • tkn | 122.162.42.156 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২১:০৬423023
  • আবসোলিউটলি**
    আর মেনু লিস্ট "লিখতে" ভলোবাসি
    :-( দু লাইনে আড়াই ভুল :-(
  • vikram | 193.120.76.238 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২১:২৩422705
  • অর্থাৎ মেয়েরা এবং মেয়েলি ছেলেরা খুব লিস্ট বানাতে পছন্দ করে
  • a x | 143.111.22.23 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২১:২৬422706
  • রুটিন চলবে? আমি পরীক্ষার আগে হেবি রুটিন বানাতাম। এমন রুটিন বানাতাম যে দুবার করে রিভিসন হয়ে যাবে। এই রুটিন প্রায় রোজই এডিশন চেঞ্জ করত। শেষে পরীক্ষার সকালে প্রথমবার পড়তে বসা চ্যাপ্টারগুলোর জন্য ম্যাক্সিমাম অপটিমাইজ্‌ড রুটিন বানানো। আহা সেসব দিন।
  • d | 117.195.34.104 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২১:৩০422707
  • আরে আমিওওওওওওও বানাতাম আর প্রতিদিন বদলাতাম। । সেই রুটিন বানিয়ে বানিয়েই সেই ছোটবয়স থেকে আমি ভার্সান ক®¾ট্রালে পাকাপোক্ত হয়েছি।
  • san | 123.201.53.4 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২১:৩৫422708
  • আমিওওওওওও

    মেয়েরা নয়, যারা গুছিয়ে কাজ করতে পছন্দ করে তারা সবাই লিস্ট বানাতে ভালবাসে। বড় হয়ে দমদির মত ভাল ম্যাঞ্জার হয় :-)

    (নেহাৎ আমি এখনও ছোট তাই কলার তুলতে পাল্লাম না)
  • Bratin | 117.194.98.149 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:৫৩422709
  • আমি ও লিস্ট বানিয়ে কাজ করতে পছন্দ
    করি। সক্কাল সক্কাল off গিয়ে thinghs to be done গোছে র একটা লিস্টি করি ভেবে চিন্তে। তারপরে সেটাকে follow করার চেষ্টা করি।
  • Samik | 122.162.236.218 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:৫৮422710
  • আমি লিস্টিকরণ, ডকুমেন্টেশনে একেবারে আগ্রহী নই। নিজের স্মৃতিশক্তির ওপর আমার অসীম বিশ্বাস। সেই জন্যেই প্রতিবার দোকান থেকে ফেরার পরে বউয়ের কাছে খিস্তি খাই আর রেজোলিউশন নিই, পরের বারে ঠিক লিস্টি বানিয়ে নিয়ে যাবো।

    আর পরের বারে আবার আমার স্মৃতিশক্তির ওপর হারানো বিশ্বাস ফিরে আসে।
  • pi | 128.231.22.89 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:০৩422711
  • ভিকিদার জেনেরালিজেশনের পোব্বোল পোতিবাদ।
    আমি লিস্টি বানাতে ( ও তা ফলো করতে) পছন্দ তো করি ই না, ঘোরতর অপছন্দ করি।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:০৭422712
  • যারা লিস্টি বানানো ভালোবাসেন, তাঁদের আমার কিচ্ছু বলার নেই। মানুষ কতকিছুই না ভালোবাসে। কেউ মশা মারতে ভালোবাসে, কেউ বাঘ। আমার ছেলে সিডি প্লেয়ারে গান চালালে গান না শুনে নম্বর গুনতে (কত মিনিট কত সেকেন্ড হল) ভালোবাসে। সে ঠিকই আছে। কিন্তু কথা হচ্ছিল লেখালিখি নিয়ে। মন দিয়ে ফর্দ বানিয়ে গুরুতে কেউ কখনও ছাপাননি, লেখার জন্য পাঠানও নি। যাঁরা ফর্দ বানাতে ভালোবাসেন, তাঁরা এই চ্যালেঞ্জটা নিলে বরং পারেন, যে, স্রেফ ফর্দ দিয়ে একটা ক্রিয়েটিভ লেখা লিখবেন।
    হ্যাঁ, তেমন ফর্দ হলে, প্রকাশের জন্য চিন্তা করবেন না। টই তো আছেই। না হলে দাঁড় করাতে পারলে আমি কেন, আমার চোদ্দগুষ্টিও বাপ বাপ করে ছাপবে। :) এটা ইয়ার্কি নয়, সিরিয়াসলিই বললাম। কেন সিরিয়াস সে ব্যাপারে বিশদে লিখব এট্টু পরে। টাইম পেলেই।
  • roy | 121.243.114.162 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৩:১২422713
  • আমি আবার ক্যালাই অন্য ভাবে। লিস্টি করতে গিয়ে সালা ছন্দ মেলাবার চেষ্টা করি আর শেষ পর্য্যন্ত সেটাকে গলায় দড়ি দিয়ে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে খুব খারাপ কবিতা বানিয়ে ফেলি। তারপর কলার তুলে এদিক ওদিক তাকিয়ে কাগজ-টা ফেলে দিই!
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২২:২৮422714
  • দেকেছো, ফর্দ, বিজ্ঞাপন এসবকে কেউই সিরিয়াসলি নিলনা, এক কলিই যা দুকলম লিখল। লোকজন শুধু গপ্পো আর কবিতা লিখবে। কেন? কেন? কেন? অন্য কিছু লিখতে সমস্যা কোথায়?

    বাইরে কোথাও খুঁজে লাভ নেই, সমস্যাটা এইখানেই, যে, সিরিয়াসলি কিছু লিখতে গেলেই অ্যাদ্দিন পড়ে আসা টিভি সিরিয়াল ও সোপ অপেরা গুলো মাথার মধ্যে ভুড়ভুড় করতে থাকে। সব্বোনাশের কথা হল, শুধু ভুড়ভুড় করা নয়, তারা এমনকি ডিকটেটও করতে থাকে। সেইজন্য সেই লছমনরেখার বাইরে বেরোতে বুক কাঁপে (কাউক্কে গাল দিচ্ছি না, আমারও কাঁপে)। লিখতে গেলে তাই পাবলিক যা খায় (আম্মো তো পাবলিকের পার্ট) তাইই বেরিয়ে আসে। চেতনে অবচেতনে।

    তাবলে ভাববেন না আমি পাবলিককে হতচ্ছেদ্দা করছি। একদম না। পাবলিক চেতনা খুব ভালো জিনিস, প্রাকৃত সাবল্টার্ন, ইত্যাদি ইত্যাদি যারে কয়। কিন্তু পাবলিক এইক্ষণে যা খাচ্ছে তাই লিখতে আমার আপত্তি আছে। সেটা হতচ্ছেদ্দা করি বলে নয়। কিন্তু সে মাল আমার চেয়ে হরনাথ চক্কোত্তি বা সুচিত্তা ভটচায অনেক ভালো দিয়ে থাকেন (আঁতেল ধর্মমতে এঁদেরকে চিমটি কাটছিনা, সত্যিই দিয়ে থাকেন)। ও লাইনে হাঁটতে আমি পারবনা। তাছাড়া খামোখা দিতে চাইবই বা কেন। আমি যা বলতে চাই, সেটা আলাদা বলেই তো আমি বলছি। নইলে না বললেই চলত। শুধু হরনাথ চক্কোত্তি আর মিঠুন দাদার ফিল্ম দেখতাম মন দিয়ে।

    কাজেই মিঠুন দাদার মতো ফিলিম বানানোটা আমার উদ্দেষ্য নয়। ওঅদিকে পাবলিক চেতনাকে আমি গালমন্দও করবনা। তাহলে করবটা কি? সোজা কথা, পাবলিককে এমন মাল দেব, যা "আসলে' সে চায়, কিন্তু চায় বলে জানেনা। পড়লে ব্যাপক লাগবে, চমকে যাবে, কিন্তু অমন যে লেকা হয়, সে আগে ভাবেনি। যথা ফর্দ। যথা ক্লাসিফায়েড বিজ্ঞাপন।

    ইহাই ক্রিয়েতিভিটি। আমার ভাষায় বললে বিকল্প। মার্কেটিং এর ভাষায় বললে পোজিশনিং। ইত্যাদি প্রভৃতি।

    ল্যান ভিকিদাদা, এবারে আপনার দান। :)
  • dd | 122.166.81.244 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:৫২422716
  • ভিকিদা ছেলেমানুষ। অ্যাখন ওনার বিকেলবেলা, খেলার সময়। উনি পার্কে চু কিৎ কিৎ খেলতে গ্যাছেন। ডিস্টার্ব কইরেন না।

    আচ্ছা (আমাদের) ঈশেন, এই যে তুমি ল্যাল্যাত্ব থেকে মুক্তি চাও। সেটা কি সত্তি সত্তি ? মানে রিয়ালি ?

    সেকেন ওয়াল ওয়ার নিয়ে (ধরো না ক্যানো ব্যাটেল ওব মিডওয়ে) আমি যদি ডিডির স্টাইলে পোবোন্ধো লিখি, তুমি ছাব্বে ? এইরকম বানামে ? অ্যাবং সিন্ট্যাক্সে? **

    ** ধরে ন্যাও, পোবোন্ধটি সুচমৎকার। এটি তক্কের খাতিরে। হাইপথেসিস।

  • Ishan | 12.163.39.254 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:৫৭422717
  • হ্যাঁ। যদি জিনিসটা দাঁড়ায়। কি করে দাঁড় করাবেন, সেটা লেখকের চ্যালেঞ্জ। তবে আমার দিক থেকে এইটুকু বলতে পারি, ঘাবড়াইয়ে মাত, আমি সঙ্গে আছি।
  • dd | 122.166.81.244 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:০৫422718
  • "যদি জিনিসটা দাঁড়ায়"।
    "যদি জিনিসটা দাঁড়ায়"।

    সব মাস্টারমশাই ও সি ই ও এবং দেশপ্রেমিকের অমোঘ যুক্তি। শেষ কথা। লাস্ট স্টান্স।

    আরে, যদি না দাঁড়ায় তো সাথে (সংগে নয়, ঘটিরা সংগে থাকে, বাঙালীরা সথে থাকে) থাইক্কো। মিলিটারী হিস্ট্রী। তথ্য নিয়া গোলোযোগ নাই।

    না দাঁড়ালে পলাইও না। ভায়াগ্রার মতন সাথে থাকো।

  • Ishan | 12.163.39.254 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:১৩422719
  • টাইম নেই ছোট্টো করে লিখি।

    ডিডির পয়েন বুঝিছি। ইংরিজিতে বললে :যদি দাঁড়ায়' টা হল, যারে কয়, যুক্তির ঊর্ধ্বে এসেনশিয়ালিজম। কিন্তু কথাটা হল, ঐটুকু না রাখলে শেষমেষ সুবিমল মিশ্রের মতো দলছুট হয়ে থেকে যেতে হবে। এরে কমপ্রোমাইজ বললে কমপ্রোমাইজ। :)
  • ranjan roy | 122.168.214.169 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:০৮422720
  • ঈশেন বলছে -- পাবলিক ""আসলে'' যা চায়, কিন্তু "" চায়'' বলে জানেনা।
    এটা কি খানিকটা ----যেমন আমি ঘুমের মধ্যে শীত-শীত করছে বুঝছি, কিন্তু চাদর, লেপ, কম্বল, বা অন্য কিছু কোনটা স্পেসিফিক চাই তা জানিনা। আসলে আমি খানিকটা উষ্ণতা চাই।
    ঠিক বুঝেছি কি? তাহলে আমি ভবিষ্যতে ঈশেনের মল্লিনাথ হব।
  • sibu | 66.102.14.1 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:১৪422721
  • এইটে হলনা রঞ্জনবাবু। এখন আপনি আসলে শীতের কষ্ট থেকে মুক্তি চান। যখন সেটা বুঝতে পারবেন, তখন উষ্ণতা চাইবেন। এই ভাবে ব্যাপারটা সাইকল-এ চলতে থাকবে। একমাত্র গুরুর আশীর্বাদেই এর থেকে মুক্তি।
  • ranjan roy | 122.168.214.169 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:২১422722
  • :))))))))।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০২:২৩422723
  • রঞ্জনদা, ঐ কথাটা একটু বেফাঁস লিখেছি। পড়ে যে কেউই ধরবে। এবং আমি ফেঁসে যাব।

    তার চেয়ে যেটা বলতে চেয়েছি ব্যাখ্যা করে বলি। রঞ্জনদার উদাহরণটা নিয়েই বলি। ধরেন, আপনার শীত করছে। চাদর, না লেপ, না কাঁথা কি গায়ে দেবেন বুঝতে পারছেন না। লেপে বেশি গরম, চাদর নিলে কাজ করতে অসুবিধে, আর সোয়েটার কেমন একটা মোটকা মতো ফর্মাল জিনিস। সব কটাই অসুবিধেজনক। সবকটাতেই অসুবিধে হয়। সে হয় হয়, এ নিয়ে কেউ কখনও মাথা ঘামিয়েছে কি? কেউ কখনও ঘামায়নি। কিন্তু আমেরিকায় গত বছর বা তার আগের বছর থেকে একটা জিনিসের অ্যাড দেখা যেতে শুরু করল টিভিতে। অন্য কিছু না, ব্ল্যাংকেট, কিন্তু সেটা হাত গলিয়ে পরা যায়। মাথাও বোধহয় গলানো যায়। প্রথমে দেখে আমি খুব হেসেছিলাম, পরে কেমন একটা জোকারের মতো লাগছে লোকগুলোকে ভেবে। কিন্তু এ বছর টিভি দেখেই জানলাম, সেটা নাকি সুপারহিট। গুচ্ছ গুচ্ছ বিক্রি হয়েছে। কোম্পানি নাকি লালে লাল।

    তা, এই গপ্পোটা বললাম কেন? আমার আগের স্টেটমেন্টের সঙ্গে মিলিয়ে দেখুন। লোকে জানতনা শীত করলে এমন কম্বল পাওয়া যেতে পারে, যেটা পরে ফেলা যায়। সেটা ঐ কোং "আবিষ্কার' করল। ক্রিয়েটিভিটি খাটিয়ে। এবং সেটা সুপারহিট। এইটাই হল লোকে জানিতনা সে কি চায়, টাইপের ব্যাপার।

    একই ভাবে, আরও একটা গপ্পো বলি। আপনার বাড়িতে গাছ আছে নির্ঘাত। টবও আছে। বাড়ি থেকে যখনই কোথাও বেড়াতে গেছেন (৭-১০ দিনের জন্য), তখন এই গাছেদের কি হবে, নির্ঘাত ভেবেছেন। ভেবে, হয় যা হবে হবে বলে কাটিয়ে দিয়েছেন, নচেৎ প্রতিবেশীকে বাবা-বাছা বলে গছিয়েছেন। সর্বত্রই লোকে তাই করে থাকে। অন্য কিছু যে হতে পারে, ভাবেইনি।
    তা গত বছর আরেকটি আমেরিকান কোং আবিষ্কার করল এমন একটি যন্তর, যা একটা বাল্বের মতো জিনিস। জল ভরা যায়। আর টবের মাটিতে পুঁতে দিলে সাতদিন ধরে নিয়ম করে এই যন্তরই টবে জল দেবে। এই নিয়ে কমাস ধরে অ্যাডে অ্যাডে ছেয়ে গেল দুনিয়া। (লোকে কেমন কিনেছে অবশ্য জানিনা)।

    তো, এইটা হল আরেকটা বস্তু, যাহা লোকে বোঝে নাই, যে, তাহার দরকার।

    এইগুলো খুব হার্ডকোর মার্কেটিং এর ব্যাপার। এইসব উদাহরণ দিলাম বলে কেউ রাগ করেন না। আমি সাপ্লাই সাইড ইকনমিক্সের গুণ গাচ্ছি না, শুধু একটা টেকনিকের কথা বলছি, যা করে সাপ্লাই সাইড ইকনমিক্স দীর্ঘদিন ধরে ডিকে আছে। এবং আমার পয়েন্ট হল, যে হার্ডকোর মার্কেটিং এর লোকেরা যদি এতো ক্রিয়েটিভ হয়, তো হার্ডকোর ক্রিয়েটিভ লোকেরা এর চেয়ে বেশি ক্রিয়েটিভ হবেনা? আমার তো মনে হয়, হতে হবেই। যারা মার্কেট করে প্রচুর অর্থ খরচা করে প্রোমোট করে প্রোডাক্ট বাজারে লঞ্চ করে, তাদের কাছে, এটা "গুড টু হ্যাভ' হতে পারে, থাকলে ভালো, নইলে চলে যায়। কিন্তু যারা অন্যভাবে কিছু লঞ্চ করতে চায়, তাদের তো এটা "মাস্ট হ্যাভ'। থাকতেই হবে। আপনার ঢাল নেই, তরোয়াল নেই, শুধু আছে ক্রিয়েটিভিটি। কনটেন্ট। সেটাই যদি না দেখালেন, তাহলে আর লিখছেন কেন?

    কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, এতো ভেবে কি লেখা যায়? উত্তর সোজা। যায়। লেখালিখি মানে আসলে "স্বর্গের উদ্যান থেকে একাকী ও নিভৃতে একটি পারিজাত পুষ্প চয়ন করে আনা' - এই জাতীয় দাবীদাওয়া ত্যাগ করুন। ফিল্মমেকারকে ফিল্ম বানানোর জন্য ডেকরেটার থেকে শুরু করে ইলেকট্রিশিয়ান পর্যন্ত সব কাজ করতে হয়, ছবি আঁকিয়েকে প্রদর্শনীর জন্য হল ভাড়া থেকে শুরু করে ঝাট দেওয়া অবশি করতে হয়, আর আপনি লেখার জন্য এইটুকু ভাববেন না? সেকি হয়?
  • h | 61.95.144.10 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৪:১৩422724
  • ডিডি দাকে একটা কথাই বলার আছে, বানান অপরিবর্তিত রেখে ছাপানো নিয়ে অনেকেই খুঁতখুঁতে থেকে থাকেন। সেটা নতুন কিছু না। স্টাইল তো আপনারি, সেটার যদি এই বানানে সুবিধে হয়, তাহলে আমি যদি প্রকাশক হতাম তাহলে ছাপতাম। মুশকিল হল দাঁড়ানো। এইবারে এরকম লেখক প্রচুর আছেন, যাঁদের বিষয় নিয়ে বক্তব্য নির্দিষ্ট কিসু নাই বলে সব সময়েই স্টাইলের ভায়াগ্রা টা লাগে। অনেক ভ্যালিড বক্তব্য আছে যেটা একমাত্র একটা স্টাইলেই বলা সম্ভব। যেমন ধরেন আমি বয়সকালে একটা গল্প লিখেছিলাম, একটা বিএড ছাত্রছাত্রীদের লেসন প্ল্যানের স্টাইলে। গল্পটা অতি বাজে হয়েছিল সন্দেহ নাই, সেই জন্যেই হয়তো হারিয়ে গেছে। কিন্তু কেস হল আমার মনে হয়েছিল আমার যা বক্তব্য একটা লেসন প্ল্যান-ই বলতে পারবে।

    এবার আমি প্রবন্ধে কেন এক ধরণের রিগরের পক্ষে? অতএব, আমার স্বল্পবুদ্ধিতে আপনার কোন প্রবন্ধ যদি স্রেফ পোঁয়াপাকামো বলে মনে হয়, আমি প্রকাশক হিসেবে ছাপবো না। তার একমাত্র কারণ হল, প্রথমত: প্রবন্ধ লেখকের মনে করা উচিত নয়, পৃথিবীর সমস্ত পাঠক এবং এই বিষয়ের আগেকার সব লেখক গান্ডু। একট বিষয়ের অবতারণা করতে গেলে সেই বিষয়ে আমার পরিষ্কার বক্তব্য ক্লাসিক টেক্সট পড়া থাকতে হবে। পিরিয়ড। এবং বড় রকমের অলটারনেটিভ আর্গুমেন্ট থাকলে সেটাকে বড়দের কে উড়িয়ে দিয়ে প্লেস করতে হবে, ঔদ্ধত্ত্য ইজ ফ্যান্টাসটিক, কিন্তু সেটা পড়ে, না পড়ে নয়। ধরুন আমি ক্রিকেটের হিস্টরি নিয়ে কথা বলতে চাই। বাংলা গল্প হল আমাকে ব্র্যাডম্যান, সি এল আর জেমস, কার্ডাস, রাম গুহ, পড়তে হবে। এবার সেটা আদৌ না পড়ে আমি বল্লাম, আগে যা লেখা হয়েছে তারা কেউ কিসু জানে না, এইত্তো আমি জানি, আমি পেপসি পাড়া ক্রিকেট সম্পর্কে লিখবো, এবং গোটাটাই পার্থ চ্যাটার্জির থেকে টুকে টুকে লিখবো। আজকাল যা বাজারে অবস্থা, লোকে ছেপে দেবে, জাস্ট কোটেশনে চমকে গিয়ে, কিন্তু একটা সহজ কথা মনে রাখা দরকার, পার্থ চ্যাটার্জি কিন্তু ল্যাহাপড়াটা করেছেন। ভারতবর্ষ কেন পৃথিবীর সমস্ত আকাডেমিকস সম্পর্কেই আমার আলাদা কোন শ্রদ্ধা নেই, যেটা অন্য পেশা সম্পর্কে নেই, কিন্তু রিগর সম্পর্কে শ্রদ্ধা থাকবে না কেন? যে অন্তত তিন রকম কমোডে বসে নি, বা যার মাসখানেক হাগু না করলেও চলে যায়, আপনি তার কাছ থেকে কমোড কিনবেন?
  • h | 61.95.144.10 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৪:৪১422725
  • আরেকটা জিনিস আছে, তার থেকে মুক্তির উপায় আমার অন্তত: জানা নেই। ধরুন গোদা বাংলায় বল্লে, আপনি আমি সবাই একটা-ই কাz করছি। মানুষের কাজ নেই এবং আমাদের মত লেখককে দেওয়ার মত সময় তার আছে ধরে নিয়ে, আমরা যেটা মূলত: করছি, সেটা হল, কোন একটা বিষয়ে সামান্য কিছুটা ল্যাহাপড়া করে, সেই বিষয়ে আমাদের নিজেদের আগ্রহ শেয়ার করছি। এইবার এই পদ্ধতিতে, 'বিকল্প' বলে zদি কিসু হয়, তার জন্য দায়ী আমরা যেখান থেকে রেফারেন্সিং করছি সেই বই গুলোর লেখকদের, আমাদের প্রায় কোন কৃতিঙ্কÄ নেই, যদি না আমি নতুন আর্গুমেন্ট কিছু আনি। যখন আমর পোলিটিকাল বিতর্ক করি, এটার থেকে সাময়িক মুক্তি আসে, আমরা পুরোনো বা নতুন লয়ালটির কারণেই হোক আর বিভিন্ন ব্যাপারে বিটার বা অ্যাফার্মেটিভ হয়েই হোক, আমরা শুধুই রেফারেন্সিং করি না, অভিজ্ঞতা দিয়েও কিছু বলি। সেটা একটা চিন্তাশীল মানুষের উইসডম হয়ে ওঠে কিনা দ্যাট ইজ বিসাইডস দ্য পয়েন্ট। নিজে চিন্তা করছি, এটাই ইম্পর্টান্ট। এই বার ক্রিয়েটিভ লেখার ক্ষেত্রে এই চিন্তার একটা কন্টিনিউইটি দরকার। সেটাই বিকল্পের প্রথম স্টেপ হতে পারে। এবং সত্যি বলতে কী, মানুষ নিজে চিন্তা করবে, এটা অনেক অর্ডারের কাছেই থ্রেট। এইবার সব বিষয়ে তো অভিজ্ঞতা থাকা সম্ভব নয়, তাই ঐ ক্লাসিক টেক্‌স্‌ট ই সম্বল।
  • arjo | 24.42.203.194 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৭:০২422727
  • আর আমি অভিজ্ঞতার কথা বললে হানুদা পেপারের কথা কয়। তবে হানুদার দুটো পোস্টের সব কটা কথা বুইতে পেরেছি এবং কি আশ্চর্য একমত হয়েছি। :))
    ভালো লেখার জন্য পড়াশুনো চালিয়ে যাওয়াটা জরুরী। নট নেসেসারিলি সেখান থেকে টুকতে হবে। বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশুনো করলে চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা বাড়ে। আর লেখা মানে তো নিজের মনের ভাব প্রকাশ। সেক্ষেত্রে চিন্তাভাবনা বাড়লে লেখার মানও ভালো হয়। তার পরে আসে প্যাকেজিং বা ফর্ম। সেটা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলতেই পারে কোনটা দাঁড়াবে সেটা সময়ই বলবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন