এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বিকল্প লেখাপত্তর, কি লিখব কেন লিখব

    Ishan
    অন্যান্য | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ | ১১৩৬১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • nitai | 66.57.226.145 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২১:৪৬422794
  • এই ল্যালা কি মা? ল্যালা কি?
    অনেকগুলো জিনিস পড়তে পড়তে একসাথে ঘেটে গেচে বলেই হয়তো এই ধোয়াশা। লিখিত ভাষার আদল ভাঙ্গা, ইন জেনারাল সাহিত্যে ফর্ম ভাঙ্গা , নাকি পশ্চিমের দৃষ্টিতে ইতিহাস, অর্থনীতি কে দেখতে নারাজ হওয়া , ন কি রেনেশা যূক্তিবাদ এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ নকি অন্য কিছু? এগুলো সবি সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন ল্যলা-পনা, তা একি ল্যালা প্রকল্পে স্থন পাই কি করে?
    যেমোন এই আর্টিকল টির এই আলোচনা তে প্রাসোঙ্গিকতা টা ঠিক কোথায়? কোটেশন এর আধিক্য আর নিজস্ব বিশ্লেষন কম, ঠিক আছে। তো এ তো এক্সিস্টিঙ অ-ল্যালা একাডেমিক নর্মস থেকেই প্রত্যাখ্যান বা বাধা ফেস করবে। এটাকে সমালোচনা করার জন্য ল্যালা হওয়া কি জরুরি?
    ম্যানিফেস্টো তে ঈশান দা মনে হয় এর থেকে গভীর কিছু বলতে চেয়েছে। একটু কনফিউসড।
  • pinaki | 131.151.102.250 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:৪৫422795
  • আমার আবার মনে হয় দুটো লেয়ারে ব্যাপারটা থাকে। কিছু লেখা - যা একান্ত ব্যক্তিগত ভালোলাগা থেকে আমরা লিখি। পোচুর লোককে পড়াতে হবে, এমন কোনও মোটিভেশন ছাড়াই। যেমন অজ্জিতদার ব্লগ। হনুদার পোলিটিকাল লেখা। কিছু কাছের লোক পড়ল, অনেস্ট মতামত দিল। ফাইন। লেখক স্যাটিসফায়েড। এমনকি না দিলেও কিছু এসে যায় না। আর কিছু লেখার ক্ষেত্রে কারুর মোটিভেশন অন্য হতে পারে। কেউ চাইতে পারে তার লেখা অনেক লোক পড়ুক। একদম অচেনা লোকও মতামত দিক। আমার নিজের ক্ষেত্রে আমি বলতে পারি যৈবনকালে আমি ঐ প্রথম ক্যাটেগরির লেখা লিখতাম। পোচুর লোক পড়ুক বা পত্রিকায় পাবলিশ করি, এরকম কোনও মোটিভেশন ছিল না। কিন্তু আবার একটা লেখা লেখার পর দু একজন কাছের বন্ধুকে না পড়ানো অব্দি শান্তি হত না - এটাও মনে আছে। কিন্তু সেই পড়ানোটুকুই লেখার মোটিভেশন - এভাবে ভাবলে ভুল হবে। কিন্তু বয়েস বাড়ার সাথে সাথে দেখলাম ঐ ব্যক্তিগত অনুভূতি লেখার মোটিভেশনটা চলে গেল। এখন খুব ইমপাল্‌স না এলে লিখতেই পারি না। এবং সেই ইমপাল্‌সটা পুরোপুরি রাজনৈতিক বক্তব্য লেখার ইমপাল্‌স। কিন্তু এখন আমি মনে করি আমার রাজনৈতিক ওপিনিয়ন (যদি লিখি) সেটা এমন ভাবেই লিখব যাতে তা অনেক মানুষ পড়ে বুঝতে পারে। প্রচলিত রাজনৈতিক লেখার ভঙ্গিমা, যা কিনা মানুষকে রাজনৈতিক টেক্সট থেকে প্রতিদিন দূরে সরিয়ে দিচ্ছে, সেই ধরণটাকে চেঞ্জ করার একটা জেদ ভিতরে ভিতরে কাজ করে। সিরিয়াস কনটেন্টই লিখব। কিন্তু মানুষ যাতে কিছুটা হলেও রিলেট করাতে পারে। কোথাও যদি আমার মনে হয় যে একটা কথা যা আমি বলতে চাইছি - সেটা বুঝতে গেলে কোনও একটা টেক্সট-এর পূর্বপাঠ আবশ্যক, তাহলে প্রথমে চেষ্টা করব সেই টেক্সটকে আমি কিভাবে বুঝি তার একটা ইনট্রো লেখায় দিয়ে দিতে। যদি মনে হয় সম্ভব নয়, সেই প্রবন্ধ লিখব না। কারণ সেটা লেখার চেয়ে লোককে অরিজিনাল টেক্সটটা পড়তে উৎসাহিত করা বেটার।

    কিন্তু এই মোটিভেশনের উৎস কি? অবশ্যই আমার নিজস্ব পলিটিকাল দৃষ্টিভঙ্গি। নিজের ভালোলাগা, মোটিভেশন, লেখার ক্ষেত্রে বিষয়ের বা আঙ্গিকের চয়েস বা প্রায়োরিটি - এগুলো কি দিয়ে নির্ধারিত হয়? মেইনস্ট্রীমের মত করে ভাববো না, বা তার কাছে নিজের লেখা বেচবো না - খামোকা একটা লোক এভাবে ভাবতে যাবে কেন, যদি না তার কাছে মেইনস্ট্রীমের বাইরে অন্য কোনও রাজনীতি থাকে? আমার কাছে তাই প্রশ্নটা 'কি লিখবো? কেন লিখবো?' নয়। 'কি ভাববো? কিভাবে ভাববো?'
  • taitn | 130.39.149.146 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:৪৩422796
  • ইসে, নিজেকে পাঠক ভেবেও তো লেখা যায়। মানে ধরুন, আমি একটা কবিতা পড়তে চাইছি, কিন্তু অদ্যবধি কেউ সেইটে লেখেন নি, তাই নিজেই লিখ্‌লাম আর নিজেই পড়লুম, মিটে গ্যালো।
  • vikram | 83.71.238.44 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০২:৫৭422797
  • পিনাকী ঠাকুর বলে একজন লোক আছিল। সে অংক যত/যখন (বোধ হয় যয়) শুণ্য পেলে বলে কবিতার বই লিখে কি একটা ফাস্ট প্রাইজ পেইছিলো। আবার এই পিনাকী পলিটিক্ষ লেখে। নাকি
    এই পিনাকী
    সে পিনাকী
  • pinaki | 131.151.102.250 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৩:০২422798
  • এই পিনাকী মানুষ বটেক। ঠাকুর দেব্‌তা নয়কো।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৩:৩১422799
  • হনুকে বেশি কিচ্ছু বলার নেই। (কেসটা আমরা সব্বাইই বুঝি, তারপরেও আমরা কেন তক্কো করি, এই নিয়ে একটা বিপন্ন বিস্ময় অবশ্য আছে।:) ) কিন্তু হনুকে অল্প হলেও বাকিদের আছে।

    পয়েন্ট এক। মেনলি অজ্জিতকে। অ্যাকাডেমিক লেখাপত্তর একদম পড়িনা তা নয়। এই সেদিন একটা লেখা নামানোর জন্য খান তিরিশ পড়লাম। তার একটার লিংক দিচ্ছি এখানে। http://www.historycooperative.org/journals/lhr/21.3/forum_kercher.html
    বাকিগুলো হয় jstor, তাতে আমার অ্যাক্সেস নাই, লোকজনকে বললে নামিয়ে দেয়, ফলে লিংক দিতে পারবনা। কিংবা হার্ড কপি, তারও লিংক দেওয়া যাবেনা। দরকারও নেই, এই একটা থেকেই পয়েন্টটা বোঝা যাবে। এই লেখাটা যদি ধৈর্য্য ধরে পুরোটা পড়েন, তাহলে দেখতে পাবেন, অ্যাকাডেমিক ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যেই পুরোটা আছে। অজস্র রেফারেন্স, উদ্ধৃতি, ইত্যাদি ইত্যাদি এখানেও আছে, কিন্তু তাতে নিজের অ্যানালিসিসে কোনো জায়গায় আটকায়নি। রেফারেন্সগুলোকে টুল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, বাহন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, দেবতা হিসেবে নয়। (প্রসঙ্গত: এই লেখাটিতেও ফুকোর গুচ্ছ সমালোচনা করা আছে)। অ্যাজ সাচ অ্যাকাডেমিক ফ্রেমওয়ার্কে আমার কোনো প্রবলেম নেই, সবকিছু গুছিয়ে লেখা থাকলে তো বেশ কাজেরই হয় জিনিসটা। কিন্তু আপত্তি ঐ দেবজ্ঞানে পুজো করায়। রেফারেন্স-কন্টকিত এবং বেসিকালি কনটেন্টহীন যেসব লেখাপত্তর আমি দেশের বিভিন্ন কাগজে কাগজে ভারতীয় এবং ইংরিজি ভাষায় দেখতে পাই, আপত্তি সেখানে। চিরশ্রী কে আমি জানিনা, অজ্জিতের সঙ্গে প্রগতির কি সম্পক্কো তাও জানিনা, কিন্তু এই পয়েন্টটা চিরশ্রীকে নিয়ে না। নানা নামজাদা ব্যক্তিত্বও ভারতীয় ভাষায় এই একই জিনিস করে থাকেন। (তাঁদের মোটিভটা, আমার ধারণা, অন্য থাকে অবশ্য, সেটা পরে বলা যাবে)।

    তা, আমার স্ট্যান্ড ক্লিয়ার। বুলশিটকে বুলশিট বলে চিনুন ও বলুন। শ্রদ্ধাবিজড়িত চোখে "আহা উনি বড়ো পন্ডিত, উনি কি খারাপ লিখিতে পারেন' বলবেন না। ওটাই ল্যালাপনা। আপনি সিপিএম না নকশাল না তৃণমূল, সেটা আমার কাছে আদৌ ফ্যাক্টর না এখানে, আপনি ল্যালা, সেটাই ফ্যাক্টর। এবং এই সোজা কথাটা সোজা করে বলতে গেলে যা যা বাধা-বিপত্তি আসে, সেতো দেখতেই পাচ্ছেন। অজ্জিত, যে, অজ্জিত, নিউ ক্যাসেলের ম্যানেজার থেকে শুরু করে আবাপ, সব্বাইকেই ভাটে গাল পাড়ে, সে বলছে, অ্যাকাডেমিক লেখাকে গাল পাড়লে উদাহের কিসুই এসে যাবেনা।

    কমরেড। স্থিত হউন। আবাপকে গাল দিলে আবাপর কিচ্ছু হবেনা সে যেমন আপনি জানেন, পন্ডিতদের সমালোচনা করলে কিচ্ছু হবেনা, সেও তেমনই আমি জানি। তবু কেন দিচ্ছি? এক, আপনি যে কারণে আবাপকে দেন। দুই, আমি ল্যালা। ভাট ও টই ছাড়া আমার গাল দেবার আর কোনো জায়গা নাই। কোনোদিন যদি বেটার জায়গা পাই, সেখানে দেব, সেই জায়গা বানানোর চেষ্টায় আছি। হলে ভালো, না হলেও বিন্দাস। :)

    (অনেক লম্বা হয়ে গেল। বাকিদের পরে লিখব)।
  • shyamal | 24.117.233.39 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৬:২৯422800
  • নিজের প্রফেশনের মানুষদের উদ্দেশ্যে জার্নালে লেখা একরকম। সেখানে ধরে নেওয়া হয় যে পাঠকও ঐ ব্যাপারে অনেকদূর পড়াশোনা করেছে।

    কিন্তু কোন বস্তু যখন সাধারণ মানুষের কাছে বলতে হয়, সে রিলেটিভিটির থিওরী হোক বা ধর্মতঙ্কÄ বা অর্থনীতি তখনই বোঝা যায় লেখাকের নিজের কাছে কনসেপ্টটা কতটা পরিষ্কার। সহজ করে বোঝাতে পারে সেই যার ঐ সাবজেক্টে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা প্রচুর। সাধারণ লোকের উদ্দেশ্যে লিখলে কঠিন প্রবন্ধ লেখাটা লেখকের অক্ষমতা শুধু নয়, ঐ সাবজেক্টে জ্ঞানের অভাব।

    ব্লগ প্রসঙ্গে: আমি নিশ্চিত যে ব্লগ লেখকের সংখ্যা ব্লগ পাঠককে ছাড়িয়ে গেছে। আজ অমিতাভ বচ্চন থেকে পাওলী দাম, সবাইয়ের ব্লগ আছে। যেহেতু অতি সাম্প্রতিক টেকনোলজি, তাই গুগল বা অন্যত্র সার্চ করলে ঠিক সাবসেট আসেনা। যেমন ধরুন, আপনি তামিলনাডুর সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে ব্লগগুলো পড়তে চান। গুগল সার্চ করলে প্রচুর অনবশ্যক গারবেজ আসবে আর অনেক রেলেভেন্ট ব্লগ আসবেনা। আশা করা যায় IETF বা কেউ এই নিয়ে একটা RFC বের করবে যাতে ব্লগ সার্চের ব্যাপারটা standardize করা যায়।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৯:৫৯422802
  • আমার বক্তব্যটা হল অ্যাকাডেমিক লেখাকে গাল পাড়লে তার সলিড গ্রাউন্ডস থাকতে হবে, এবং অ্যাকাডেমিক লেখার ফ্রেমওয়ার্ক বুঝতে হবে/জানতে হবে। স্পেক্ট্রামের লেখা আর ভিএলডিবি-র লেখা একরকম হয় না। ওয়ার্কিং পেপার, জার্নাল পেপার, ওয়ার্কশপ পেপার - একরকম হয় না। প্রত্যেকের আলাদা আলাদা ফ্রেমওয়ার্ক, এবং স্টাইল। এবং খুব হার্ড অ্যাণ্ড ফাস্ট নিয়ম। কাজেই সবকিছুকে একটা প্যাটার্নের মধ্যে ধরতে চাওয়া বা আমার পছন্দ নয় সুতরাং এটা বোগাস বলাটা গাঁটামো। এখানে চিরশ্রী, প্রগতি, অজ্জিত, হনু, মামু - কেউ ম্যাটার করে না।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২০:৫৮422804
  • এ সবের পরেও একটা লেখা ভাট হলে সেটা ভাটই। খবরের কাগজে যেমন রিপোর্টিং এর সমস্ত ফ্রেমওয়ার্ক মেনে-টেনেও ভাট লেখাপত্তর হয়, এবং রিপোর্টিং ফ্রেমওয়ার্ক সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান না থাকা সত্বেও লোকে তাকে ভাট বলে গাল দেয়। এখানেও সেই একই লজিক।

    এইটা নিয়ে বেসিকালি আমার বিশদে লেখার আছে। পরে লিখছি।

  • Ishan | 173.26.17.106 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৮:৩০422805
  • যাগ্গে যে কথা হচ্ছিল। অজ্জিত স্পষ্ট করে লেখেনি, কিন্তু প্রতিটা ভঙ্গী থেকেই একটা টোন পরিষ্কার। যে, তুমি খোকন অ্যাকাডেমিক্সের কি বোঝ? ওসবের জন্য ফান্ডা বুঝতে হয়, ফ্রেমওয়ার্ক বুঝতে হয়, সোজা কথায় পন্ডিত হতে হয়, তুমি কে ওসব নিয়ে জ্ঞান দেবার? তুমি ওসবের বোঝো টা কি? আর তুমি জ্ঞান দিলেই বা শুনছে টা কে? অ্যাকাডেমিক্সের ভাষা তুমি জানো? শিখেছো? ব্যাদে তোমার অধিকার আছে, যে, ঐ ভাষায় কথা বলছ?

    তা, এই ধরণের আর্গুমেন্টের একটা আইনী জবাব দিয়েছিলেন সৌমেন গুহ। অর্চনা গুহ বনাম স্টেটের মামলায় সরকার পক্ষ যখন সওয়াল করে, যে, এই সৌমেন গুহ লোকটির আইনী ডিগ্রী নেই, এ কিভাবে অর্চনার হয়ে সওয়াল করতে পারে, তখন তার উত্তরে সৌমেন গুহ বলেছিলেন, যে, একজন নাগরিক হিসেবে দেশের সব আইন আমি জানতে বাধ্য। আমি যদি অপকম্ম করে ধরা পড়ি, আর পুলিশ ধরলে বলি, আইনটা আমি জানতাম না, তাহলে পুলিশ শুনবে? আদালত শুনবে? এই জবাবের পর (আক্ষরিক উদ্ধৃতি নয়), আদালত ওনাকে সওয়াল করতে দেয়।

    তা, এইটাই হল পয়েন্ট। তুমি যখন কিছু লিখছ, এবং পাবলিক দোমেনে লিখছ, এবং আমি একজন পাতি-পাবলিক যখন সেটা পড়তে পারছি, তখন, আমি তোমার ভাষাটা জানি। ফিলিমের ভিউয়ার ফিলিমের ভাষাটা জানে। প্রবন্ধের পাঠক প্রবন্ধের ভাষাটা জানে। ভাষা জানলেই যে ভালো করে লেখা যাবে তা নয় (যেমন ভাষা জানলেই বক্তৃতা দেওয়া যায়না), কিন্তু মেনলি ভাষাটা আমি জানি, বেসিকটা আমি জানি, ফলে ফুট আমি কাটতেই পারি।

    এই সিধে কথাটাই বারবার আমাদের ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সে কারণেই কেবলই এক্সপার্টের জন্ম হয়। ব্রাহ্মণের জন্ম হয়। লেখা হয়ে ওঠে জার্গনবাজি, থিয়োরি হয়ে ওঠে চর্বিতচর্বন, মিডিয়া বা অকাদেমি হয়ে ওঠে গুরুদের আখড়া। খাজনার চেয়ে বাজনার দাম বেশি হয়ে ওঠে, মোল্লা নাসিরুদ্দিনের গপ্পের মতো পোশাকের দাম বেড়ে যায়, কনটেন্টের দাম হয় গোল্লা। এবং আমরা বিনীত গোরুদের মতো গিলতে থাকি, মুখস্থ করতে থাকি গুরুবাণী, জরাজীর্ণ নোটবুক ভরে যায় কপি ও তস্য কপিতে।

    শীলিত সমোস্কিতি বলতে যা বুঝি আজ, তার অনেকটাই (সবটাই কিনা কে জানে), এই কপির কপি। এখানে আপনি যে ভাষাটা আদতে জানেন, তার উচ্চারণ নিষিদ্ধ। যদ্দিন না ইংরিজি জার্গনগুলি রপ্ত করছেন। রপ্ত করছেন আদব-কায়দা। স্ট্রিটস্মার্ট পরিবেশে গাঁয়ের ছেলে যেমন ক্যাবলা কাটিং, ভাষারহিত, সেইরকম। গাঁয়ের ছেলে যে এর বাইরে বেরোবে, তার উপায় নেই। কারণ, একে তো গুরুদের হেবি রেলা। চোখধাঁধানো রেলা। তার উপরে আছে অজ্জিতের মতো মাস্টারদের চোখ রাঙানো। সবশেষে নিজের ভাষায় কথা বলার ল্যাক অফ কনফিডেন্স। যে ভাষাটা সে আদতে জানে, সেইটা ভুলিয়ে দেবার সমস্ত আয়োজনই তৈরি।

    তো, এখানে আহ্বান একটাই। নিজের ভাষায় কাইন্ডলি কথা বলুন। ঢের হয়েছে মুখস্থবিদ্যে। ঢের হয়েছে জাবরকাটা। ইত্যাদি ইত্যাদি। :)
  • sinfaut | 117.194.197.89 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৯:০৮422806
  • মামুর সাথে ক।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৯:৩৬422807
  • দু:খিত - মানা গেলো না। অবশ্য তাতে কারো কিসু এসে যায় না।
  • lcm | 69.236.160.74 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১২:৩৩422808
  • ঈশান বাংলায় কথা বলতে বলছে। বেসিক্যালি বলছে - বাংলায় ফিরে এসো বাবা।
  • h | 203.99.212.224 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৩:২১422809
  • কিন্তু ইশান যে বাংলায় 'নামতে' বলছে, সেখানে 'নামতে' গেলে অনেক ইংরেজি পড়া থাকতে হবে। প্রস্তাবটা অনৈতিহাসিক। মানে অন্তত তর্ক করতে গেলে এটা বলা যায়। কোনটা ঠিক কোনটা ভুল, আদৌ ঠিক ভুল কিসু হচ্ছে কিনা নাকি জাস্ট বাতিল, সেটা বলবেন পাঠক, সম্ভত: যাঁদের ওঠা নামা কিঞ্চিত বেশি। আমরা মরে ফৌৎ হবার পরে।
  • kc | 213.132.250.2 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৩:৪১422810
  • ইশানকে,ইশানকথিত বিরুদ্ধযুক্তি কোট করাই যায়, কতগুলো টই আগে থেকে পড়ে আসতে হবে। "সাবঅল্টার্ন কেন কথা...." "নেটে বক্তিমে করে কিছু হয়না...." আর কালেকের ভাটে ইশানের কিছু যুক্তি। বাইরের কিছু পড়ার দরকার নেই। :))
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৪:৩৫422811
  • বিভিন্ন ইউনির সাইটে যে পাবলিকেশন ডেটাবেজ থাকে সেগুলো পাবলিক ডোমেইনে, পাতি পাবলিক ইশান চাইলে সেগুলো পড়তে পারে - সুতরাং ইশান নিশ্চয় তার ভাষা জানে। বেশ কথা। এবার আমি পড়া ধরবো - আমি মাস্টার কিনা।
  • h | 203.99.212.224 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৫:২৮422812
  • অরিজিত যা খচে গেছে, তাতে ডিবেট টা যেকোনো মুহুর্তে সাইন্স ভার্সাস সোশাল সাইন্সে চলে যেতে পারে। যেটা সিরিয়াসলি খুব বাজে হবে।

    এটাকে না হতে দেওয়ার জন্য কারোর একটা দুশো থেকে তিনশো শব্দের পেবোন্দো লেখা উচিত। কে আছো জোয়ান ইত্যাদি।
  • Arpan | 65.194.243.232 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৫:৩২422813
  • একটা ল্যালাসুলভ প্রশ্ন আছে। লোকে শব্দসীমা (ডেসিবেল নয়) মাপে কী করে? আড়াইশো, তিনশো অথবা নয়শত পঞ্চান্ন? মেপে লেখে? না লিখে মাপে?
  • h | 203.99.212.224 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৫:৩৬422816
  • আমি মাপতে মাপতে লিখি। এট্টু খারাপ শোনালেও এটাই সত্যি ;-)
  • Arpan | 65.194.243.232 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৫:৪৮422817
  • খুব খারাপ শোনাল। সার্ভে অফিসের মেজবাবুর মত আবেগকে শৃঙ্খলিত করছ। ;-)
  • h | 203.99.212.224 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৬:৩১422818
  • জমি বিতর্ক করে করে প: বঙ্গের বিভিন্ন লোকজনের এমন অবস্তা হয়েছে, শুধু জমি ছাড়া আর কিছুকেই মাপযোগ্য মনে করছে না। ওরে পাগল, ভুলিস না, ফ্রয়েড হলেন মার্ক্ষের পিঠোপিঠি অথবা কোলাকুলি, ডিপেন্ডিং অন ভেরিয়াস জেনেটিক অর অকোয়ার্ড ফ্যাকটর্স। মেটাফরিকালি।
  • h | 203.99.212.224 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৬:৩২422819
  • *অ্যাকোয়ার্ড।
  • Arpan | 216.52.215.232 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৭:১২422820
  • অকোয়ার্ড বললেও দিব্যি মানে বোঝা যাচ্ছিল। :-)))
  • h | 203.99.212.224 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৭:১৮422821
  • সাহসী কিন্তু বিকল্প নয়।
  • h | 203.99.212.224 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৮:৫৫422822
  • ইশানের প্রস্তাবটার মূল যেটা স্ট্রেংথ সেটা হল দুটি কথা। প্রথমটা হচ্ছে, পৃথিবীর চিন্তার ইতিহাসের অনেক বড় মাপের ফসল-ই আকাদেমিয়ার বাইরে তৈরী। আর দ্বিতীয়টা হল, বিষয়ের তুলনাআমূলক গুরুঙ্কÄ আরোপনের যে রাজনীতি, সেটাকে একটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার সুযোগ। ধরুন, ইউনানি বা আয়ুর্বেদ কলেজ আদৌ থাকবে কিনা , না সবটাই মেডিকাল কলেজ হবে, সেটা নির্ধারণ করে যে রাজনীতি, সেটাকে কতগুলো প্রশ্নের সম্মুখে আনা, একটা একজ্যামিনেশনের সামনে দাঁড় করানো। 'প্রগতি' র একটা ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করা। সাধে ... ইত্যাদি।

    এবং বেশ কটি দুর্বল দিক আছে। সেটা নিয়ে অনেকেই বলেছেন। আমার ধারণা আমার কয়েকটি কথ আরো বলার আছে। সেগুলি কাল বলবো। এর পরে লোকে বলবে মরেও শান্তি নেই ইত্যাদি।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১১:৩৯422823
  • আমার দুটো অবজার্ভেশন - সবকিছুকে এক ছকে ফেলা (এক্ষেত্রে কোনো ছক না থাকার ছক) যায় বলে আমি মনে করি না। দুই, ইশানের কিছু কিছু দাবিতে আমার পরশুরামের গপ্পে "ক্রাতব'-এর কথা মনে পড়ে যায়। শেষে বাদুড়-ঝোলা হলেই হয়েছে আর কি;-)
  • lcm | 69.236.160.74 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১২:০৩422824
  • সেরেছে, এই থ্রেড-টাও কি কবিতার থ্রেডের মত হয়ে যাচ্ছে না কি?
    দ্যাখো ভাই, পি এইচ ডি - থিসিসের স্টাইলে পবোন্ধ, গপ্পো লেখার আগে বোলো - প্রিপারেশন নিতে হবে, অ্যাট লিস্ট প্রিলিম-টা ক্লিয়ার না করলে তো কিছুই বোঝা যাবে না।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১২:১৪422825
  • প্রবন্ধ/গপ্পো না।

    (১) পাবলিক ডোমেইনে থাকা মানেই সবাই তার ভাষা জানে এটা ভুল ধারণা। যদি মনে হয় ভুল নয়, তাইলে ওই যে পড়া ধরবো বলেছি আগে;-)
    (২) একটা অ্যাকাডেমিক লেখা পাবলিক ডোমেইনে রাখা মানেই তাকে ইশেনের ফর্মলেস ফর্মে হতে হবে এটা টোটালিটারিয়ান বিলিফ।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১২:২৬422827
  • (৩) এটা আগেই বলা - ভিএলডিবি বা ইউরোপার-এর একটা লেখা তুলে সেটা ঝাঁটের কারণ সেটা স্পেক্ট্রামের ফর্মে নয় যুক্তিটা কোনো কাজের নয়।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন