উখীমঠের কিছু আগে থেকে রাস্তার চড়াই শুরু হল। এখান থেকে গুপ্তকাশীর রাস্তাও চলে গেল নদী পার হয়ে ওপারে। কেদারের পথ ঐদিকেই মন্দাকিনী বরাবর। এপাশ থেকে আমরা দেখলাম অপর পাশে পাহাড়ের গায়ে স্তরে স্তরে বাড়ি-ঘর নিয়ে সেজে ওঠা গুপ্তকাশী, ঠিক যেন কেউ আঠা দিয়ে খেলনা কিছু ঘরবাড়ি বসিয়ে দিয়েছে, এমন ঝুলে আছে বলে মনে হচ্ছে সেগুলো! আর পাহাড়ের গায়ে ধাপে ধাপে চাষ-বাসের উদ্যোগ। সবুজ উপত্যকা মাঝে মাঝেই বেশ কিছুটা পাহাড়ি ঢাল জুড়ে। আমরা ফেরার পথে উখীমঠ দেখবো, এখন সোজা চোপতা যেতে হবে। উখীমঠ থেকে চোপতার রাস্তার সৌন্দর্যে চোখ জুড়িয়ে যায়। অপরাজিত-এ অপুর প্রণবকে লেখা চিঠির কথা মনে পড়ে “I enter it by the Ancient way, Through the Ivory Gate and Golden”! এই পথ ঐতিহাসিক পথ, এই পথ পুরাণের-ও পথ। ইতিহাস আর পুরাণ এসে মিলে যায় যেন এই পথে। শিব মহিষের রূপ ধরে পালিয়ে বেড়ান পঞ্চকেদারের পথে, পঞ্চপান্ডব তাড়া করে ফেরেন তাঁকে ধরবেন বলে, উমাপ্রসাদ, প্রবোধকুমার, জলধর সেনরা জীবনকে নতুন করে খুঁজে বেড়ান, মানুষ দেখেন, ইতিহাসকে জানার চেষ্টা করেন, জানিয়ে দেন আমাদের। আর আমরা ফিরে ফিরে এসে মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করি সেসব বারবার, মানুষ, ইতিহাস, পুরাণ আর সর্বোপরি হিমালয়ের অতুলনীয় সৌন্দর্য-সম্পদ। তীর্থযাত্রার বা ধর্মকর্মের উদ্দেশ্যে বের হইনি, কিন্তু হিমালয় নিজেই যে তীর্থ, সে স্থান-মাহাত্ম্যে আর সৌন্দর্যে প্রতি মুহূর্তে মালুম হয়। ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ৯ … বলি, কিছু মনে করবেন না হাফিজভাই, মুসলিম হয়েও আপনি তো এই হনুমান মন্দির সম্পর্কে অনেক খবর রাখেন! উনি বলেন, এখানে হিন্দু মুসলিম ভেদভাব নেই। বহুদিন ধরে আমরা মিলেমিশে আছি। এই দেখুন না খবর পেলাম ঐ মন্দিরে বার বার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। গতকাল পর্ষদের ইলেকট্রিসিয়ানকে ধরে খুঁজে বার করলাম এক জায়গায় লুজ কনেকশন ছিল। দাঁড়িয়ে থেকে তা ঠিক করালাম। তারপর উনি কপালে হাত ঠেকিয়ে বলেন, ছোটবেলা থেকে এই মন্দিরের কথা অনেক শুনেছি। স্থানীয়রা এই হনুমানজীকে খুব জাগ্ৰত বলে মানে। ... ...
ক্রিকেট নামক মগজধোলাই মেশিন, এবং গ্ল্যাডিয়েটরদের মাথা কেটে নেওয়ার উন্মাদনা। ... ...
এই দিকের গেটের একটু পাশেই ভোপাল ইন্টারস্টেট বাস স্ট্যান্ড। সোজা জাতীয় সড়ক ৪৬ চলে গেছে ওবাইদুল্লাগঞ্জ হয়ে সাতপুরা জাতীয় উদ্যান , পাঁচমারি ইত্যাদি হয়ে হোসাঙ্গাবাদের দিকে। ওবাইদুল্লাগঞ্জের পরেই ডানদিকে কিছুটা বেঁকে গিয়ে বিন্ধ্য পর্বতের কোলে রাতাপানী ব্যাঘ্র প্রকল্পের মধ্যে ভীমবেটকা। মহাভারতের ভীম বনবাসের সময় নাকি কিছুদিন এখানে ছিলেন , সেই ভীমের বৈঠক থেকে জায়গার নাম স্থানীয়দের মতে ভীমবেঠকা। ভীমের জন্য নয় , জায়গাটা আদিম মানুষদের গুহাচিত্রের জন্য বিখ্যাত। আদিম মানুষ এখানে গুহায় রাত্তিরবেলা থাকত , সকালবেলা বাইরে বেরিয়ে শিকার করত , হান্টার গ্যাদারার তারা চাষবাস শেখেনি তখনও। একসময় তারাই সেখানকার পাহাড়ের আশ্রয়গুলোর দেওয়ালে আঁকতে শুরু করে। প্রথমে সরলরেখায়। কাঠির মাথায় আলুর দম। আলতামিরায় বা ফ্রান্সের ল্যাসকো , শোভে ইত্যাদি গুহাগুলোতে রঙিন টানা স্কেচের মত যেসব ছবি দেখা যায় তার থেকে ভীমবেটকার ছবি অনেকটা আলাদা। দশহাজার বছর আগে তারা জ্যামিতি না জানলেও পরিষ্কার ত্রিভুজ , বর্গক্ষেত্র ইত্যাদি আঁকতে পারত। ভীমবেটকা ছাড়াও এই রকম নব্য প্রস্তর যুগের গুহাচিত্র পাওয়া গেছে আশেপাশের সাতধারা , জাওরা এবং পাঁচমারিতে। ... ...
রুদ্রপ্রয়াগ থেকে অগস্ত্যমুনির দিকে গাড়ি এগনোর সাথে সাথেই চারপাশের পাহাড়গুলো কেমন হঠাৎ ক’রে উঁচু হতে হতে আকাশ ছুঁয়ে ফেলছিল, ঘিরে ফেলছিল পাঁচিলের মত, বাঁক নেওয়ার মুহূর্তে মনে হচ্ছিল এরপর আর রাস্তা আছে তো? অলকানন্দার বাঁদিক ধরে চলতে চলতে অগস্ত্যমুনি পৌঁছনোর একটু আগে গাড়ির কাঁচে হঠাৎ একঝলক দুধসাদা পাহাড়ের অংশ, একেবারেই হতবাক করে দিয়ে আবার মিলিয়ে গেল। মেঘ বলে ভুল করার কোনো উপায় নেই, চারটে কোণ আর শিখরদেশের ট্রাপিজিয়ামের আকৃতিতে ওই এক ঝলকেই চিনিয়ে দিয়ে গিয়েছে সে নিজেকে; হ্যাঁ, চৌখাম্বা দর্শন দিয়েই তাহলে এ’যাত্রার শুরু; তখনো জানিনা, এরপর এ-যাত্রা যেখানেই যাই আকাশের গায়ে চৌখাম্বা লেগে থাকবে সফেদ-শুভ্র শিখরশ্রেণীর কিরীটে কোহিনূর-এর মতো! কিন্তু ওই একবারই, অগস্ত্যমুনির কাছে এসে বাঁদিকে কেদারের গিরিশ্রেণী দৃশ্যমান হলেও সামনের উঁচু পাহাড়-প্রাচীরে চৌখাম্বা আবার অদৃশ্য উখিমঠের কাছাকাছি আসা পর্যন্ত। পাহাড় কিভাবে প্রাচীর হয়ে তার ভয়ঙ্কর সুন্দর চেহারা নিয়ে দিগবিদিক জুড়ে সার বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকে, গাড়োয়ালের হিমালয় তার এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ! ... ...
"৮৭৬ সালে , মাঘ মাসের উজ্জ্বল অর্ধের দ্বিতীয় দিনে সবাই এই মন্দিরে সমবেত হয়েছে যা ভৈলবভট্টের ছেলে আল্লা ২৭০ হস্ত দৈর্ঘ্য এবং ১৮৭ হস্ত প্রস্থের ওপর বানিয়েছেন। এছাড়াও একটা ফুলের বাগানের জন্য পুরো নগর অর্থ দান করেছে যাতে এই মন্দিরের পুজোর জন্য দিনে ৫০টা করে ফুলের মালা তৈরী হতে পারে।" [১ হস্ত ~ ৪৫ সেন্টিমিটার] গণিতজ্ঞ ব্রহ্মগুপ্ত এর প্রায় দুশো বছর আগে পাটিগণিতের নিয়মগুলো লিখে ফেলেছিলেন। ১৯৩১ সালে ৬৮৩ সালের ক্যাম্বোডিয়ার একটা মন্দিরের লিপিতে শূন্য পাওয়া যায়। আপাতত সেটাই পৃথিবীর সবথেকে প্রাচীন শূন্য। গ্বলিয়র দ্বিতীয় স্থানে। আরেকটা প্রাচীন শূণ্য পাওয়া গেছে পাকিস্তানের বাকশালী পুঁথির বার্চ গাছের ছালের পাণ্ডুলিপিতে , যেটা রাখা আছে অক্সফোর্ডের বোডলেইন লাইব্রেরীতে। শূন্যের ইতিহাসে আগে যদি কোনোদিন গ্বলিয়র শিলালেখের উল্লেখ দেখে থাকেন তাহলে বুঝে নেবেন এটাই সেই জায়গা। ... ...
আজকাল জেন্ডার ইকুয়ালিটি সব আলোচনার শীর্ষে কিন্তু সেদিন , সেই ইউরোপে এটা কোন বিবেচ্য বিষয় ছিলো না । তবে এটা মানতেই হয় সেই নয়ের দশকেই অ্যাংলো সাক্সন জগতে বিশেষ করে আমেরিকায় মহিলারা সম্মানের স্থান পেয়েছেন সবার আগে , তার পরেই যুক্তরাজ্যর স্থান। ট্যাক্সি ধরার জন্যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি । দরাদরিতে পরাস্ত হয়ে আমরা দুজনেই কিঞ্চিৎ বিমর্ষ । হঠাৎ মার্ক বললে, একটা জিনিস মানতে হবে তোমাদের দেশে মহিলারা কর্পোরেট জগতে যেখানে পৌঁছেছেন, জুরিখ জেনিভাতে হয়তো কোনদিন তা সম্ভব হবে না! বন্ডের দর কমে যাওয়ার মর্মবেদনা ভুলে গিয়ে ভারতীয় হিসেবে সেদিন খুব গর্ব হয়েছিল ... ...
গণিতের সঙ্গে লেখকের প্রেম ও অপ্রেমের এক বর্ণময় ব্যক্তিগত আখ্যান — যার পর্বে পর্বে উন্মোচিত হবে হাজারো জিজ্ঞাসা, ফিরে ফিরে আসবে নানান স্মৃতিভার। সুপাঠ্য ঝরঝরে ভাষায় গণিতের আলো-আঁধারি পথে এ এক নতুন পদচারণার অভিজ্ঞতা। ... ...
একদিকের সবুজ ঘাসেভরা পাহাড়ের ঢাল বেয়ে ভাই অনেকটা উঠে গিয়েছিল, পেছন পেছন আমিও। মা নীচ থেকে আমাদের নাম ধরে পরিত্রাহী চীৎকার শুরু করে নেমে আসার জন্য। সেজমামার হইহই হাসি, ছোট্ট বোনটার একদিকে আমাদের সাথে যাবার ইচ্ছে আরেকদিকে বাবা মা’কে ছেড়ে উপরে ওঠার দ্বিধা, প্রথম বরফ দেখার উচ্ছাসে কলকল করে সবাই মিলে একসাথে কথা বলা। দুপুর পার করে মানালি ফিরে কোথাও ভাত না পেয়ে হোটেলের দোতলার বারান্দার গা লাগোয়া আপেলগাছ থেকে আপেল পেড়ে কচমচিয়ে খেয়ে ফেলা, গোল্ডেন আপেলও সেই প্রথম চেনা ...চৌত্রিশ বছর আগের দিনটা তার তীব্র ঠান্ডা হাওয়া, ঝলমলে রোদ্দুর, সরুমোটা গলার আওয়াজ, হইহই হাসি, সব সঅব নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে আজ। ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ৮ … এটাকে চান্দেরী ভ্রমণ বৃত্তান্তের পুনশ্চঃ বলা যায় ....আমার প্রশ্ন শুনে করণ করুন ভাবে আমতা আমতা করে। করণের মতো মানুষের জীবনে বিশেষ কিছু না জেনেও দিব্যি চলে যায় তাই যেখানে এতদিন আছে সেই স্থানের নামটির তাৎপর্য জানার কৌতূহলও হয়নি ওর। শেক্সপিয়ারের বিখ্যাত কোট - যা রোমিও জুলিয়েট না পড়েও কোথাও উদ্ধৃতি পড়েই জেনেছি - “What's in a name? That which we call a rose by any other name would smell just as sweet.” মনে হয় এমন খামচা মারা জানার আগ্ৰহ ওর নেই। ... ...
মধ্যপ্রদেশের বুন্দেলা রাজপুতরা ছিল চান্দেলদেরই মত আরেকটি রাজপুত রাজাদের বংশ , এক বিন্দু রক্ত থেকে যাদের জন্ম বলে বংশের নাম বুন্দেলা। মধ্যযুগে চান্দেলদের পতনের পরে বুন্দেলাদের রাজ্যের এলাকা পরিচিত হয়ে ওঠে বুন্দেলখন্ড নামে। টিকমগড়ের কাছে গড় কুন্দর ছিল বুন্দেলা রাজপুত বংশের রাজধানী। এই সিরিজে মধ্যপ্রদেশের খুব গুরুত্ত্বপূর্ণ নদী বেত্রবতীর কথা আগেও এসেছে। যমুনার এই উপনদীর ধারেই আছে উজ্জয়িনী ইত্যাদি প্ৰাচীন জনপদ। পনেরোশো সালে রুদ্র প্রতাপ সিং জঙ্গলের মাঝে বেত্রবতী নদীর ধারে ওরছার পত্তন করেন এবং রাজধানী সেখানে সরিয়ে আনেন। ওরছা শব্দের অর্থ গোপন। কালক্রমে সংস্কৃত বেত্রবতী নামটা বুন্দেলি ভাষায় অপভ্রংশে বেতওয়া হয়ে যায়। ... ...
একজন ১৮৬৮ থেকে ১৯০৪। অন্যজন ১৯৮০ থেকে ২০১৬। প্রথমজন পরাধীন ভারতে ব্রিটিশ প্রভুদের অধীনে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। দ্বিতীয়জন স্বাধীনতার তিন দশক অতিক্রান্ত হওয়ার পরের পর্বের আই এ এস। দুজনেই প্রশাসনিক কাজে যুক্ত ছিলেন ৩৬ বছর ধরে। বিচক্ষণতা, দক্ষতা এবং দরদী ও অনুভূতিসম্পন্ন অন্তরের স্নিগ্ধতায় পেয়েছেন সাধারণ মানুষের উজাড় করা ভালোবাসা। কায়েমী স্বার্থের সংঘাত অগ্রাহ্য করে বিবাদ-বিসম্বাদ মেটানো থেকে শুরু করে দুর্নীতি রোধ, উন্নয়ন সহ বিবিধ কর্মকান্ডের জটিল দায়িত্বের প্রাত্যহিকতা সামলে দুজনেই সৃজনশীল সাহিত্যসেবী। দুজনেই কবিতা ও গদ্যে সমান স্বচ্ছন্দ। দুজনেই প্রকৃতিপ্রেমী বঙ্গসন্তান। প্রথমজন মাইকেল মধুসূদনের থেকে ২৩ বছরের এবং তাঁরই সমসাময়িক আর এক কবি ও হাকিম রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠিক ২০ বছরের কনিষ্ঠ নবীনচন্দ্র সেন। 'রৈবতক', 'কুরুক্ষেত্র', 'পলাশীর যুদ্ধ', 'রঙ্গমতী' রচনা করে যিনি জনপ্রিয় এবং ইংরেজ আমলে বাঙালি কবিদের মধ্যে যিনি সর্বপ্রথম গদ্যে লেখেন আত্মজীবনী, 'আমার জীবন'। প্রথমজনের সঙ্গে দ্বিতীয়জনের ব্যবধান শতাধিক বছরের। দ্বিতীয়জন একালের সুপরিচিত লেখিকা অনিতা অগ্নিহোত্রী যাঁর প্রশাসনিক জীবনে "মানুষের আঙিনায় বসে দেখা রাষ্ট্রের রূপ" প্রকাশ পেয়েছে 'রোদ বাতাসের পথ' বইটিতে। এই দুটি বই পাশাপাশি পড়লে এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হয়। স্থান-কালের ব্যবধান যাই থাকুক না কেন, দেশ পরাধীন বা স্বাধীন যাই হোক না কেন, দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রে কিছু বিষয় তেমন বদলায়নি। ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ৭ … শুধু ঐতিহ্যময় শাড়ি নয়, ঐশ্বর্যময় অতীতও জড়ানো তার সর্বাঙ্গে। চারদিকে পাহাড়, কয়েকটি হ্রদ, শহরের প্রান্তে নির্জন সবুজ, বড় একটি কেল্লা, নানা ঐতিহাসিক স্মারক তার অলঙ্কার। বুন্দেলখন্ডের এই প্রাচীন নগরী ভ্রমণে অভিজ্ঞতার প্রাপ্তি ছাপিয়ে যেতে পারে পর্যটকের প্রত্যাশা। লেখাটি ২০১৯এ প্রকাশিত হয়েছিল বাণিজ্যিক 'ভ্রমণ' পত্রিকায়। তবে তাদের পছন্দ low carb, low fat, high protein Dukan diet সদৃশ। তাই সেভাবেই লিখেছিলাম। সংক্ষিপ্ত আকারে। লেখার ল্যাজে ছিল কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন গোছের টীকা। তবে অমন ফাস্টফুড রান্নার মতো লিখতে ভালো লাগে না। তবু ওখানে দুটো লেখা প্রকাশিত হয়েছিল। আরো দুটো কম্পোজ হয়ে প্রতীক্ষায় ছিল। অনুমেয় কারণে প্রকাশিত হয়নি। এটা মন খুলে লিখলাম। 'ভ্রমণ' পত্রিকায় প্রকাশিত লেখাটি যদি হয় কিশোরী, ৫৭টি বাছাই করা ছবিতে সজ্জিতা এটি পূর্ণ যুবতি.. ... ...
ইনফোসিসের নারায়ণ মূর্তি বলেছেন, সপ্তাহে সত্তর ঘন্টা কাজ ভারতের নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের করতে হবে। তাকে তিনি সোৎসাহ সমর্থন জানাচ্ছেন। ... ...
আঠেরোশোতে আলেক্সান্ডার কানিংহ্যাম, তারপর জন মার্শাল, হ্যারল্ড হারগ্রিভস হয়ে সারনাথে শেষ খোঁড়াখুঁড়ি করেছেন দয়ারাম সাহানি। এখানে খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতক থেকে বারোশো শতাব্দীর সময়কালীন একগাদা বিহার , স্তুপ , মন্দির , লিপি , মূর্তি পাওয়া গেছে। জার্মান প্রত্নতাত্ত্বিক ফ্রিডরিখ অস্কার ওয়ের্টেল সারনাথের অশোক স্তম্ভ আবিষ্কার করেন ১৯০৫ সালের মার্চ মাসে। এত এত জিনিস পাওয়া যাচ্ছিল দেখে ১৯১০ সালে জন মার্শাল উদ্যোগ নিয়ে সেসব জিনিস রাখার জন্য অর্ধেক বৌদ্ধ সংঘারামের মত ধাঁচে সারনাথ সংগ্রশালা বানানোর নির্দেশ দেন। জাতীয় প্রতীকের সঙ্গে নিজস্বী তোলার ভিড় কমাতে এখন সারনাথ সংগ্রহশালায় মোবাইল নিয়ে ঢোকা বারণ। বাইরে বিনামূল্যে ব্যাগ এবং মোবাইল জমা রাখার লকার আছে। ... ...