সুপ্রিম কোর্ট এবং শিয়ালদা কোর্ট, সব মিলিয়ে দেখলে নানারকম ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এখনও একজনই অভিযুক্ত, তিনি যে নন কেউ বলছেনা। প্রমাণ লোপাটে জড়িত যাঁরা, তাঁদের সংগ্রহ করা প্রমাণের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার সেই অভিযুক্ত। তাহলে লোপাট হল কী? এই নিয়ে নানা জল্পনা বাজারে চলছে। সেসব এখানে উল্লেখ করা হলনা, তবে আন্দাজ করা যায়, হয় ভয়াবহতম কিছু ঘটনা ঘটেছে, যা একেবারেই প্রকাশ করা যাচ্ছেনা, তেমন হলে সেটা প্রশাসনের ভিত নাড়িয়ে দেবে। অথবা এজেন্সি পরস্পরবিরোধী কথা বলছে, যেটা হলে এজেন্সির বিশ্বাসযোগ্যতা তলানিতে ঠেকবে। কোনটা জানার কোনো উপায় নেই। কারণ কোনো আপডেট নেই। ... ...
এই পর্যায়ে এইরকম অদ্ভুত শুনানি আমি শুনিনি। স্ট্রিমিং শুরু হয় দেরিতে, বিভিন্ন জায়গায় নানা টুকরো। শুনে, জুড়ে টুড়ে হয়তো করা যেত, কিন্তু অতটা চাপ নিলে অনেকদিন লাগবে, তাই লাইভ-ল এর উপরেই ভরসা করতে হল। তারা যদি এক আধটা কথা বাদ দিয়ে থাকে, তো সেটা অনুবাদেও নেই। দ্বিতীয় আরেকটা কথা না বললেই নয়, যে, এটা শুনতে, পড়তে এবং অনুবাদ করতে গিয়ে কীকরকম নেটফ্লিক্সের ওয়েব-সিরিজের কথা মনে হচ্ছিল। নির্যাতিতার বাবার চিঠি, তদন্তের কিছু গভীর ব্যাপার, যা কিছুতেই প্রকাশ করা যাবেনা, কিন্তু তার অদ্ভুত সব ইঙ্গিত দেওয়া হবে, যা থেকে সবরকম মানে করা যায়। জল্পনা, সূত্র কোনোকিছুরই কোনো আদি বা অন্ত নেই, সেটাকেই বস্তুত ধোঁয়া দেওয়া হল, এবং নানা জল্পনা আবার ছড়িয়েও পড়েছে। সিবিআই আজ অবধি কোনো আপডেট দেয়নি। কোর্টেও তদন্ত নিয়ে স্রেফ অদ্ভুত সব ইঙ্গিত, ঠিক যেন পরের এপিসোড পর্যন্ত আগ্রহ জিইয়ে রাখার জন্য। ... ...
সকাল থেকেই কুনাল ঘোষ এবং দেবাংশু ভট্টাচার্যের একটি অবমাননাকর আলাপ নিয়ে ইন্টারনেট তোলপাড়। এক অভিনেত্রী এবং আন্দোলনকারীর ছবি বা ভিডিও দিয়ে ( জানা মুশকিল, কারণ পোস্ট মুছে দেওয়া হয়েছে) কুনাল দেবাংশুকে জিজ্ঞাসা করেন, পাত্রী হিসেবে কেমন? দেবাংশু লেখেন, দজ্জাল, কাজ নেই, বদন বিগড়ে গেছে, ইত্যাদি। কী কারণে এই রসালাপ? কুনাল দাবী করেন, পরে মিলিয়েও দেখা গেছে, ওই অভিনেত্রী একটি চ্যানেলে অন ক্যামেরা এই দুজনকে গালিগালাজ করেন। দেবাংশুকে বলেন 'কালিঘাটের কুলি'। কুনাল এবং দেবাংশুকে গণধোলাই দিলে কে বাঁচায় তিনি দেখবেন। এবং ডাক্তারদেরও চিকিৎসা করতে বারণ করেন। এই বক্তব্যটা নিয়ে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। ... ...
১। সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তার কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, আদালতে সিবিআইয়ের বক্তব্য থেকে। কার্যবিবরণী হাতে আসেনি। কিন্তু সংবাদপত্রের রিপোর্টে পাওয়া গেছে সাত দফা সন্দেহঃ ক। ওসি ঘটনাস্থলে দেরিতে পৌঁছেছিলেন। খ। দ্রুত ঘটনাস্থল ঘেরার কাজ করতে ব্যর্থ। গ। এফআইআরএ দেরি। ঘ। ভিডিওগ্রাফি ঠিকঠাক হয়নি। ঙ। পরিবারের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের দাবী না শুনেই দাহ। চ। মৃত্যুর শংসাপত্র দিতে দেরি। ছ। মৃত বুঝেও অভিযোগপত্রে ' অচৈতন্য' লেখা হয়েছে। ... ...
সকাল শুরু হল কলতান দিয়ে। আগেরদিন যে অডিও ক্লিপ 'ফাঁস' হয়েছিল, সিপিএম নেতা কলতান দাশগুপ্তকে তার একটি কণ্ঠস্বর হিসেবে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করেছে পঃবঃ পুলিশ। তারা একটা সাংবাদিক সম্মেলনও করেছে, অভিযোগটা যথাযথ বলে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক ক্লিপটিকে জাল, এবং পুরোটাকেই চক্রান্ত বলেছেন। মোসাদ, সিআইএ, এদের কাছ থেকে ট্রেনিং নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ, বলেও দাবী করেছেন (যদিও গ্রেপ্তারটা করেছে রাজ্য পুলিশ)। সেলিমের লিখিত বিবৃতিটি পুরো পাইনি। পেলে লিংক দিয়ে দেব। আপাতত মৌখিক বিবৃতিটি রইল। ... ...
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ডাক্তারদের আলোচনা হয়নি। এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী একটি লম্বা সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন। ডাক্তারাও গতকাল তাঁদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে একটি ভিডিও নিজেদের পাতায় প্রকাশ করেছেন। তাতে পাঁচটি দাবীর কথা বলা হয়েছে। সেগুলি সংক্ষেপে এরকমঃ (বিশদে জানার জন্য ভিডিওটি দেখে নিন) ১। ন্যায়বিচার এবং দ্রুত তদন্ত। ২। সন্দীপ ঘোষ সহ স্বাস্থ্য অধিকর্তারা, যাঁরা দুর্নীতিতে জড়িত তাঁদের শাস্তি। ৩। বিনীত গোয়েলের অপসারণ এবং ডিসিপি নর্থ, সেন্ট্রাল ইত্যাদির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা( তদন্তকে ভুল পথে চালনা করা, টাকা দিতে চাওয় ইত্যাদি কারণে) । ৪। হাসপাতালে নিরাপত্তা সুরক্ষা, বাথরুম, সিসিটিভি ইত্যাদি ৫। স্বাস্থ্যবববস্থার উন্নতির একগুচ্ছ প্রস্তাব। নির্বাচন। এগুলো আগের পাঁচ-দফা + কর্তাব্যক্তিদের পদত্যাগ থেকে কিছুটা আলাদা। এই বদলে যাওয়া, সংযোজন, ইত্যাদি এর আগেও হয়েছে। লিখিত আকারে দাবীগুলো কোথাও রেখে দিলে ওঁরা ভালো করতেন। হয়তো আছে, কিন্তু পাইনি। কেউ পেলে জানাবেন। এছাড়াও এই দাবীর এক থেকে তিন মূলত কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছে হবার কথা। ওঁরা তাদের জানাবেনও বলেছেন। কিন্তু সেটা এখনও হয়নি, কবে কীভাবে হবে, বলেননি। ... ...
সবাই জানেন, তবু টুকতে গেলে টুকে রাখতেই হবে, যে, ডাক্তার-সরকার দড়ি-টানাটানি গত দুদিনে প্রচুর মিডিয়া টিআরপি তৈরি করলেও নিট ফল শূন্য। মঙ্গলবার নবান্নের তরফে মেল করে জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। তার বয়ানও বেরিয়েছে। আন্দোলনকারীদের তরফে বলা হয়েছিল, মেলের বয়ান অপমানজনক। তাঁরা উত্তর দেবেননা। কিন্তু উত্তর দেন। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সাংবাদিক সম্মেলনে রাত ৩ঃ৪৫ এ আসা মেল নিয়ে কটাক্ষ করেন। বুধবার নবান্ন আবার মেল করে। আন্দোলনকারীদের তরফে উত্তরও দেওয়া হয়। বলা হয়, তাঁদের চারটি শর্ত মানতে হবে, যাঁর মধ্যে অন্যতম হল, মুখ্যমন্ত্রীকে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে হবে। এর পর বৃহস্পতিবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ আবার মেল পাঠান আন্দোলনকারীদের। জানিয়ে দেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রীও। তবে বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার চেয়ে জুনিয়র ডাক্তারেরা যে শর্ত দিয়েছিলেন, তা মানা হবে না। ১৫ জনকে আসতে বলা হয়। এরপর আন্দোলনকারীদের ৩০ বা ৩৫ (দুটো বয়ানই পড়েছি) জনের প্রতিনিধিদল নবান্নে উপস্থিত হয়। কিন্তু সরাসরি সম্প্রচার না হলে আলোচনায় যোগ দেবেন না, বলা হয়। সরকারের তরফে ভিডিও রেকর্ড করার কথা বলা হয়, যা সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া হবে। কিন্তু আলোচনায় রাজি হননি আন্দোলনকারীরা। ফলে আলোচনা হয়নি। ... ...
সীতারাম ইয়েচুরিকে প্রথম দেখি, খুব নিশ্চিত নই যদিও, ১৯৮২ সাল নাগাদ। দিল্লিতে বেড়াতে গিয়ে ছিলাম এক মাস, তখন আমাকে প্রায় তীর্থ দর্শনের মতো সিপিএমের সেন্ট্রাল কমিটির আপিস দেখানো হয়েছিল। সেই অফিসটা ছিল রাজেন্দ্রপ্রসাদ রোডের ধারেকাছে, দেখতে যাবার সময় আমার হাতে ছিল একটা ক্রিকেট ব্যাট, খেলতে খেলতেই চলে গিয়েছিলাম, কারণ যেখানে থাকতাম, তার থেকে হেঁটে মিনিট দুই। ব্যাট দেখে গোটা কেন্দ্রীয় কমিটির অফিস খুব উৎসাহিত হয়ে পড়ে, তার পর থেকে মাঝে-মধ্যেই হানা দিতাম। কোনো কোনো দিন অনেক প্লেয়ার জুটতো, কোনো কোনোদিন জুটতনা। নিরাপত্তার দায়িত্বে যিনি ছিলেন, তিনিই সম্ভাব্য খেলোয়াড়দের ডাকাডাকি করতেন। এরকম একজন খেলোয়াড়ের কথা মনে করতে পারি, যার ঝাঁকড়া চুল, সবই কালো। ইয়েচুরিই কিনা বলা শক্ত, নামের ব্যাপারটা জানতামই না, উনি কেন্দ্রীয় কমিটির অফিসে অতদিন আগে কী করছিলেন তাও জানিনা, তবে যদি উনিই তিনি হন, তো খুব খারাপ বল করতেন। কেমন ব্যাট করতেন জানিনা, কারণ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির কাউকে ব্যাট করতে দিইনি, আমিই করতাম। ... ...
মৃত্যুর পর ইঞ্জেকশন দিয়ে ‘অভয়া’র যোনিতে ঢোকানো হয়েছিল নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তির বীর্য? এই নিয়ে ব্রেকিং 'খবর' রিপাবলিক বাংলার। তদন্তকারীদের সঙ্গে কথা বলে ওঁরা জানাচ্ছেন, সম্ভবত মৃত্যুর পরে নির্যাতিতার শরীরে খুলের পর ইনজেক্ট করে দেওয়া হয় কারো বীর্য। ওঁরা বলেননি, কীকরে কারো বীর্য পাওয়া গেল, স্পার্ম-ব্যাংক থেকে কিনা। সেই লোকটিকে ঠিক সময়ে অকুস্থলে পাঠানোই বা হল কীকরে। যদি গণধর্ষণ হয়েই থাকে তো বাকিদের বীর্য কোথায় গেল। সেটাও কি ইনজেকশনে করে তুলে নেওয়া হয়েছিল? আই এমএর যুগ্ম সম্পাদক রঞ্জন ভট্টাচার্য শোয় ছিলেন। বললেন, ১৫০ মিলি বীর্য যোনিদ্বারে পাওয়া গেছে। এত বীর্য কিভাবে পাওয়া গেছে, এবং কীভাবে ঢোকানো হয়েছে, সেটার তদন্ত প্রয়োজন। ... ...
কর্মবিরতিতে রোগীমৃত্যু নিয়ে নানারকম দাবী শোনা যাচ্ছিল। আগের পর্বে আছে। ডাক্তারদের সংগঠন অফিশিয়ালি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি প্রকাশ করেছেন। তাতে বলা আছে, অভিষেক (এবং রোগীর পরিবারের) দাবী ঠিক নয়। কোন্নগরের ছেলেটি উপযুক্ত পরিমানে চিকিৎসা পেয়েছিল। মিথ্যা এবং বিপজ্জনক খবর ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে অভিষেকের বিরুদ্ধে। এরপর পাল্টা দাবীতে শ্রীরামপুরের মৃত ছেলেটির মায়ের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। মিডিয়ায় এসেছে এবং মিডিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও দিয়েছেন। সেখানে মা ডাক্তারদের সংগঠনের নেতা পুণ্যব্রত গুণকে ফোন করে অসত্যভাষণের অভিযোগ করছেন। ... ...