এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • বাই বাই টোরি, ব্রিটেনের লেবার সুনামি

    Tirtho Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ০৭ জুলাই ২০২৪ | ৫৯৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • শুক্রবার লন্ডনে যখন ভোরের আলো ফুটছে ততক্ষনে সারা ব্রিটেন জেনে গেছে যা প্রত্যাশিত ছিল তাই হয়েছে। কোনো অঘটন ঘটেনি। বিবিসির অফিসের বাইরে বিশাল ইলেকট্রনিক বোর্ডে জ্বলজ্বল করছে লেবার নেতা স্যার কিয়ের স্টারমারের ছবি। পাশে ফ্ল্যাশ করছে লেবারের প্রাপ্ত আসনের সংখ্যা। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ম্যাজিক নম্বর ছাপিয়ে চারশ পার করে দিয়েছে। আমরা ভারতীয়রা ‘আব কি বার চারশ পার’ - এর স্লোগান সম্মন্ধে সম্যক পরিচিত। কিন্তু না, লেবার পার্টি তেমন কোনো স্লোগান না দিয়েই ৬৫০ আসনের মধ্যে ৪১২ টি আসন জিতে নিয়েছে। আর তাদের যে স্লোগান জয় এনে দিয়েছে সেটি সম্মন্ধেও আমরা বাঙালিরা খুব ভালোভাবেই পরিচিত। গত চোদ্দ বছরের দুর্নীতি, অপদার্থতা, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, অর্থনৈতিক বিপর্যয়, রাজনৈতিক অস্থিরতার যে শাসন উপহার দিয়েছিলো পূর্বতন টোরি বা কনজারভেটিভ সরকার গুলো, তার অপসারণ ঘটাতে স্যার কিয়ের স্টারমারের নেতৃত্বে লেবার পার্টির স্লোগান ছিল একটা ছোট্ট শব্দ - ‘পরিবর্তন’ (change) !

    ব্রিটেনের ইতিহাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার লেবার পার্টি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে কোনো শায়িত্ব (incumbent) সরকার কে হারিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করল। এর আগে এই ধরণের জয় পেয়েছিলো সেই ১৯৪৫ সালে যখন সেই ঐতিহাসিক নির্বাচনে ক্লেমেন্ট এটলির লেবার পার্টি উইনস্টন চার্চিলের কনজারভেটিভ পার্টিকে হারিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলো।ঋষি সুনকের টোরি যে এবার হারবে সেটা এক রকম প্রত্যাশিতই ছিল। তারা লেবারের থেকে ২১ পয়েন্টে পিছিয়ে ছিল নির্বাচনের আগের সমীক্ষায়। মিডিয়া, ইন্ডাস্ট্রি এবং সাধারণ মানুষের উপলব্ধি ও (perception) তাই ছিল।কিন্তু যেটা প্রত্যাশিত ছিল না সেটা হলো এই হারের ব্যবধান। টোরি পেয়েছে মাত্র ১২১ টি আসন। ২৫০ টি আসন হারিয়েছে তারা যা ব্রিটেনের নির্বাচনী ইতিহাসে অভূতপূর্ব।

    মাত্র ১১ টি আসন থেকে ৭৭ টি আসনে পৌঁছে তৃতীয় হয়েছে লিবারেল-ডেমোক্রেটিক দল। এছাড়া ৫ টি আসন পেয়েছে নাইজেল ফারাজের উগ্র-দক্ষিণপন্থী রিফর্ম ইউকে পার্টি, ৪ টি পেয়েছে পরিবেশ পন্থী গ্রিন পার্টি। এছাড়া উল্লেখযোগ্য হলো পাঁচ-পাঁচটি ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রার্থীর জয় যাদের সবকটিই লেবার অধ্যুষিত কেন্দ্রগুলি থেকে যেখানে গাজা ও প্যালেস্টাইন ইস্যু ছিল মূল এজেন্ডা। গতবারের নির্বাচনের লেবার নেতা কিন্তু বর্তমানে পার্টি থেকে বহিস্কৃত স্যার জেরেমি করবিন এমনি একজন ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রার্থী হিসেবে উত্তর - ইসলিংটন কেন্দ্র থেকে জিতেছেন যেখানে উনি ১৯৮৩ থেকে জিতে আসছেন, যদিও লেবার প্রার্থী হিসেবে। ইংল্যান্ডের বাইরে স্কটল্যান্ডে বর্তমান শাসক দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (SNP ) ৩৮ থেকে ৭ এ নেমেছে। উত্তর আয়ারল্যান্ডে ২৫ টার মধ্যে ১৮ টা জিতেছে সিন্ ফিন যারা ব্রিটিশ সার্বভৌমত্ব স্বীকার করেনা এবং ব্রিটিশ পার্লিয়ামেন্টে আসন ও গ্রহণ করবে না।ওয়েলসে টোরিরা পেয়েছে ০টি আসন।

    কিন্তু ব্রিটেনের এই নির্বাচনী ফলাফল উপর থেকে দেখলে যতটা স্পষ্ট ও চূড়ান্ত মনে হয়, বিভিন্ন পরিসংখ্যান খুঁটিয়ে দেখলে ধন্ধে পড়তে হবে।বস্তুত এবারের নির্বাচনে ব্রিটেনে এই প্রথমবার দুই পার্টির প্রাধান্য ভেদ করে বহু-পার্টির গণতন্ত্রের লক্ষণ ফুটে উঠেছে। চিরাচরিত বাম ও দক্ষিণপন্থী অবস্থানের পরিবর্তন হয়েছে। প্রগতিশীল ও রক্ষণশীল ভোটের ও স্থান বিনিময় হয়েছে। উগ্র দক্ষিণপন্থী ও অতি -প্রগতিশীল রাজনীতির ও উত্ত্বান হয়েছে। বামপন্থী শিবিরে ভাগাভাগির ঐতিহাসিক নিদর্শন আমরা জানি। কিন্তু এবারে দক্ষিণপন্থী শিবিরে এই ভাগাভাগি চরমে হয়েছে যার প্রকাশ এই অপ্রত্যাশিত ফলাফল। এই যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দ্বন্দগুলি ফুটে উঠেছে, শ্রেণী ভিত্তিক ভোটাভুটির যে পুরোনো ধারা সেগুলি পুরো ঘেঁটে গেছে, তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে আসন সংখ্যার আপাত নিশ্চিত পর্দাটা একটু সরালেই।

    প্রথমত ২০০১ এর পর সবথেকে কম সংখ্যক (৬০%) মানুষ এবার ভোট দিয়েছে যা নির্দেশ করে রাজনৈতিক নির্বাচন ও দলগুলির প্রতি সাধারণ মানুষের অনাসক্তি। এবার একটু ভোট শেয়ার ও সিট্ শেয়ারের শতাংশের হিসেবগুলো দেখা যাক। লেবার পার্টি মোট ভোটের মাত্র ৩৪% পেয়ে মোট আসনের ৬৩% (৪১২) পেয়েছে। সেখানে টোরিরা ২৪% ভোট নিয়ে ও মাত্র ১৯% (১২১) আসন জিতেছে। আবার লিবডেম ১২% ভোট পেয়ে ১১% আসন (৭৭) জয় করেছে।এবার দেখা যাক দুই এক্সট্রিমিস্ট পার্টির পরিসংখ্যান। রিফর্ম পার্টি যেখানে ১৪% ভোট নিয়ে ১%( ৫) আসন সেখানে তার অর্ধেক, অর্থাৎ ৭% ভোট নিয়ে প্রায় একই সংখক ৪ টি আসন বা মোট আসনের ১% পেয়েছে গ্রিন পার্টি। তাহলে ব্যাপারটা দঁড়ালো এই যে প্রায় ৭৬% ভোট লেবারের বিরুদ্ধে গেলেও লেবার সংখাগরিষ্ঠ্য হয়েছে। শতাংশের হিসেবে গতবারের চেয়ে মাত্র ২ শতাংশ বেশি পেয়ে এবার এমন সাংঘাতিক ফল করলো লেবার।

    আমরা নির্বাচনী শতাংশের এই আপাত প্রহেলিকার সম্মন্ধে অবগত। ২০১৯ এ বিজেপি ৪০০ এর কাছাকাছি আসন পেলেও মোট ভোটের মাত্র ৩৭% পেয়েছিলো। যেকারণে ২০২০ তে কয়েকটি প্রদেশে শতাংশের হিসেবে বেশি ভোট পেয়েও হারতে হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনের ফলাফল মানতে চায়নি। এর পেছনে আছে ব্রিটেনের ফার্স্ট পাস্ট দ্য ভোট সিস্টেম যা ভারত সহ অনেক কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশগুলি অনুসরণ করে। আমেরিকা ও কানাডা ও তাই করে। এর ফলে মূলত দুটি পার্টির প্রাধান্য দেখতে পাওয়া যায়, যা দেশের সবকটি অঞ্চল থেকে শতাংশের হিসেবে আসন প্রাপ্ত হয়। আঞ্চলিক পার্টি বা অন্যান্য পার্টি শতাংশের হিসেবে অনেক ভোট পেলেও সেই অনুপাতে আসন পায় না।

    এই হিসেবে মাথায় রেখে যদি জনসমর্থন দেখি তাহলে দেখবো লেবার পার্টির প্রতি জনসমর্থন হঠাৎ করে এমন গগনচুম্বী হয়ে যায়নি। তেমন রিফর্ম পার্টি মাত্র ৫ টি আসন পেলেও তাদের ভোট শতাংশের হিসেবে বেশ গুরুত্বপূণ। রক্ষণশীল দুর্গে টোরি পার্টির প্রাধ্যান্যে আঘাত করেছে এবং ভবিষ্যতে লেবারের মূল প্রতিপক্ষ হবার সম্ভাবনা ধরে। আমেরিকাতে যেমন ডোনাল্ড ট্রাম্পের গোষ্ঠী চিরায়ত রক্ষণশীল, অভিজাত রিপাবলিকানদের প্রাধান্য ভেঙে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরী করেছে। আবার অতটা না হলেও গ্রিন পার্টির ভোট শতাংশের উল্ল্যেখযোগ্য বৃদ্ধি এবং বেশ কিছু আসনে দ্বিতীয় বা তৃতীয় হওয়া ভবিষ্যতে লেবারের প্রগতিশীলতা কে চ্যালেঞ্জ জানাতে তৈরী হচ্ছে। তেমনই প্যালেস্টাইন ইস্যু লেবারের বিশ্বস্ত ভোট ব্যাংকে ফুটো করছে যেটা ইন্ডিভিজুয়াল ক্যান্ডিডেটদের জয়ে স্পষ্ট।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৭ জুলাই ২০২৪ | ৫৯৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Guru | 2409:4060:eb8:7692:4c58:18cb:8ff1:b4c8 | ০৭ জুলাই ২০২৪ ০৮:৫২534297
  • @তীর্থ বাবু  অনেক ধন্যবাদ এই বিশ্লেষণের জন্য l কিন্তু আমি খুবই মর্মাহত জর্জ গ্যালোওয়ে হেরে যাবার জন্য l ইহুদী ধনকুবের লবি কি এভাবেই গাজা জেনোসাইডের প্রতিবাদ কোরবার বদলা নিলো !! লেবার পার্টির বর্তমান কর্ণধার কির স্টার্নার নিজে একজন জিওনবাদী উনি গাজার জেনোসাইডের ইসরায়েলী নীতিকে সমর্থন করেছিলেন ওনার স্ত্রীও একজন জায়নবাদী l ব্রিটেন এর প্রধানমন্ত্রীত্ব হয়তো ইস্রায়েল এর গাজা গণহত্যা সমর্থনের পুরস্কার ! কি বলেন আপনি !! 
  • বিপ্লব রহমান | ০৭ জুলাই ২০২৪ ১১:৩০534310
  • গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ। আরেকটু যোগ করি, বিশ্লেষকরা বলছেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে আগ্রহী লেবার পার্টি
     
  • বিপ্লব রহমান | ০৭ জুলাই ২০২৪ ১১:৩৭534311
  • যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে এবারও সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ৪ বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ। তারা সবাই সরকার গড়তে যাওয়া লেবার পার্টির সদস্য। নির্বাচিত টিউলিপ সিদ্দিক আবার  বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার কন্যা, অর্থাৎ বংগবন্ধুর নাতনি 
  • কৌতূহলী | 103.249.39.163 | ০৭ জুলাই ২০২৪ ১১:৫৪534314
  • @গুরু
    দুটো প্রশ্ন আছে।
    ১) ব্রিটেনের ভোটে দাঁড়ানো কোন কোন দল ঘোষিতভাবে ইজরায়েলের আক্রমণের বিরুদ্ধে ছিল? 
    ২) ইজরায়েলের প্যালেস্টাইন আক্রমণের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস আর জাতীয় কংগ্রেস কোন স্টেটমেন্ট দিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে কিনা জানেন? ( সমস্ত বামদল এই হানাদারির বিরুদ্ধে ,এটা আমি জানি। )
  • Tirtho Dasgupta | ০৭ জুলাই ২০২৪ ১৬:৫৮534333
  • @গুরু
     
    না। উত্তর এত সহজ না। লেবারের ভোটবেস মুসলিম ও ইহুদী দুই -ই আছে। তাই স্টার্মার ব্যক্তিগত ভাবে জায়নবাদী কি না তাই দিয়ে লেবারের নীতি নির্ধারণ হবে না। ইহুদীদের সবাই যে জায়নবাদী এমন মনে করার ও কোনো কারণ নেই। লন্ডনে যে বিশাল মিছিলগুলি হয়েছে তাতে ইহুদীরাও ছিল। এখানকার অনেক প্রগতিশীল সংগঠন ও ছিল। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় লেবারের হার হয়েছে কেননা স্টার্মারের মন্তব্য নিয়ে সেখানে লোকে রেগে ছিল। 
     
    স্টার্মার যখন লেবার পার্টির প্রধান হয়েছেন তখন গাজার বর্তমান সংকট তৈরি হয়নি। লেবার জিতেছে টোরিদের অ্যান্টি-ইনকাম্বেন্সি ভোটের কারণে। গাজা ইস্যু ব্রিটিশ মুসলিমদের কাছে যতটা বড়, বাকি অংশের কাছে ততটা নয়। লেবারের মধ্যেই জিওনবাদী ও ইসলামী দক্ষিণপন্থীদের দ্বন্দ্ব আছে। তবে মোটের উপর বাম ও প্রগতিশীল অংশ গাজার প্রতি সহানুভূতিশীল এবং স্টার্মারের ইজরায়েলী নীতির বিরোধী। কিন্তু তা সত্তেও ও ভোটে লেবারের জয় এটা প্রমাণ করে যে ব্রিটেনের নিজস্ব অর্থনৈতিক অবস্থা ও টোরিদের অকর্মণ্যতা অনেক বেশি প্রায়োরিটি পেয়েছে। 
  • Tirtho Dasgupta | ০৭ জুলাই ২০২৪ ১৭:১০534334
  • @বিপ্লব বাবু
     
    ব্রিটেইনের পররাষ্ট্রনীতি আমেরিকার বিদেশ নীতি দ্বারা প্রভাবান্বিত। ঐতিহাসিক ভাবে ব্রিটেইন চিরকালই প্যালেস্তাইন রাষ্ট্রের সমর্থক। ইন ফ্যাক্ট বালফোর ডিক্লেরেশন ও ১৯৩০ এর রাজনীতি ইজরায়েল রাষ্ট্রের গঠন ও প্যালেস্তাইন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি বা টু স্টেট গঠনের মডেল ব্রিটেইনই দিয়েছিল যা প্রথমে আরবরা মানতে রাজি হয়নি আর পরে ইজরায়েলিরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোল্ডওয়ার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমী বিদেশনীতি নির্ধারণ করতে শুরু হওয়ায় ব্রিটেনের বোলবলা কমে যায়। করবিন থাকলে লেবার নিজস্ব নীতি নিতে পারত। স্টার্মার সেটা করবে না।
  • কৌতূহলী | 103.249.39.163 | ০৭ জুলাই ২০২৪ ১৭:৪৯534338
  • এটা কি কংগ্রেস এর অফিসিয়াল স্ট্যান্ড?আর তৃণমূল সুপ্রিমোর এব্যাপারে কোন মন্তব্য আছে?
  • @ কৌতূহলী | 2a01:cb20:8862:1c00:647b:5ea7:ad82:e08a | ০৭ জুলাই ২০২৪ ১৭:৫৬534339
  • হ্যাঁ।
     
    জয়রাম রমেশ কংগ্রসের মুখপাত্র। সোনিয়া গান্ধীও বলেছেন। অন্যেরাও। এই নিয়ে চাড্ডিরা অনেক জলঘোলাও করেছিল।
  • Guru | 2409:4060:eb8:7692:4c58:18cb:8ff1:b4c8 | ০৭ জুলাই ২০২৪ ১৯:২৬534342
  • @তীর্থবাবু, 
    অনেক ধন্যবাদ। তবে একটি উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো যে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ মিলিয়ে প্রায় ২১ জন মুসলিম MP ভোটে জিতেছেন। ৮ জন শিখ MP কেও দেখা যাবে। বিশাল ব্যাপার এটি। ভারতেও এতো সংখ্যালঘু MP (population percentage হিসাবে) দেখাই যায়না। ভারতের শাসক দলে তো বোধহয় একটাও সংখ্যালঘু MP নেই। 

    তবে আরেকটা ব্যাপার দেখলামl Liceseter ইস্ট এই সিটে টোরিদের স্থানীয় আরএসএস সমর্থিত হিন্দু প্রার্থী জিতেছেন কিন্তু এটি মূলতঃ লেবর পার্টির সিট। এটিই বোধয় ব্রিটেনের একমাত্র সিট্ যেখানে ভারতীয় (পড়ুন গুজরাটিরা) সংখ্যাগুরু। ২০২২ সালে এখানে ভারত পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে স্থানীয় গুজরাটি হিন্দু মুসলিমদের মধ্যে দাঙ্গা হয় ও তার ফলে (এবং  পরবর্তী কালে গাজার পরিপ্রেক্ষিতে) স্থানীয় আরএসএস সংঘটন স্থানীয় গুজরাটি হিন্দুদের সবাইকে টোরিদের ভোট দিতে বলে। তার ফলেই লেবার ওখানকার প্রায় তিরিশবছরের জেতা সিট্ হেরেছে। ব্রিটেনের প্রথম ভারতীয় অরিজিন লেবার MP কিথ ভাজ প্রায় তিরিশ বছর ওখান থেকে জিতেছেন। এবছর এই মেরুকরণের জন্যই উনি হারলেন। (অবশ্য উনি এবার অন্য পার্টির টিকিটে লড়েছিলেন) গৈরিকী রাজনীতি কি ব্রিটেনেও পাকাপাকি ঘাঁটি গাড়ল? 
  • Tirtho Dasgupta | ০৭ জুলাই ২০২৪ ২০:৩৮534351
  • @Guru
    ২০০০ এর পর থেকে যে ভারতীয়রা গেছে  যারা মূলত প্রথম প্রজন্মের  তারা অধিকাংশই মোদী ভক্ত গর্বিত হিন্দু এবং টোরি দের ভোট দেয় ২০১৯ থেকে যেমন আমেরিকায় ট্রাম্পের রিপাবলিকানদের। যদিও ট্র্যাডিশনালি ডেমোক্র্যাট ও লেবার ভারতীয়দের ভোট পেত প্রো-ইমিগ্র্যান্ট ও প্রোগ্রেসিভ লিবারাল বলে। কিন্তু যেহেতু উপমহাদেশের মুসলিমদের সংখ্যা বেশি ব্রিটেইনে, তাই উপমহাদেশের অশান্তি এখন বিলেত-আমেরিকাতেও পৌঁছে যাচ্ছে। এই আরএসএস পন্থীরা জিওনিস্টদের সমর্থন করছে। যদিও ওয়াইট ক্রিশ্চিয়ান কনজারভেটিভদের কাছে সবাই ব্রাউন। এই  মুহুর্তে তাই লেবারের পক্ষে একরকম ভোটব্যাংক সামলে রাখা বেশ চাপের।
  • Guru | 2409:4060:eb8:7692:4c58:18cb:8ff1:b4c8 | ০৭ জুলাই ২০২৪ ২১:৩৮534354
  • @তীর্থবাবু, এবারের ভোটে দেখলাম যে ওভারঅল ভোটার টার্ন আউট অনেকটাই কমে গেছে। এটা কি লেবারপন্থী মুসলিমদের ভোট বয়কট করার কারণে? আরেকটা প্রশ্ন গাজার পরিস্থিতে লেবার এর মুসলিম ভোটব্যাংক কি ভোট বয়কট করবে নাকি রাজনীতি থেকেই দূরে সরে দাড়াবে? আচ্ছা ব্রিটিশ মুসলিমদের প্রায় সবাই কি উপমহাদেশের অরিজিনের? এরা সবাই কি লেবার ভোট বয়কট করবে আপনার কি মনে হয়? 
  • কৌতূহলী | 103.249.39.163 | ০৭ জুলাই ২০২৪ ২১:৪১534355
  • @গুরু
    ব্রিটেনে এত গুজরাটি থাকেন? তাঁদের পেশা কী? ব্যবসা?
  • কৌতূহলী | 103.249.39.163 | ০৭ জুলাই ২০২৪ ২২:৫২534363
  • ২০১৯ এ বিজেপি ৪০০ এর কাছাকাছি আসন পেলেও মোট ভোটের মাত্র ৩৭% পেয়েছিলো।
    এটা সচরাচর অনেকে বলে থাকে, কিন্তু এভাবে শতকরা হিসাব নেওয়া ঠিক না। বিজেপি একা সবকটা সিটে লড়েনি, এনডিএ জোটে লড়েছিল। এনডিএ ৪৬% ভোট পেয়েছিল, যা যথেষ্ট বেশি।
  • Tirtho Dasgupta | ০৯ জুলাই ২০২৪ ২৩:২০534443
  • না। ব্রিটিশ মুসলিমদের সবাই দক্ষিণ এশিয় নয়। মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা থেকেও অনেকে আছে। তবে হ্যাঁ পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে একটা বিরাট অংশ আছে। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন