এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • নতুন সরকারের শিক্ষা স্বাস্থ্য শিল্পনীতি ইত্যাদি-৬

    pi
    নাটক | ১১ আগস্ট ২০১১ | ১৫৮১৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dd | 124.247.203.12 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১৪:৪৮481422
  • "পুলিশের দমনমুলক ব্যবস্থা" তো সারা দুনিয়াতে একই রকম ছিলো। মধ্যযুগীয় বর্বরতা - সে ইউরোপে হোক বা চেঙ্গিজ খানের স্তেপেতে, কোথাও কমতির কিছু ছিলো না।

    বাইবেল কোরাণে পুরাণে পাপীদের জন্য নরকের প্রেসকৃপশন পশ্য।

    তাইলে বৃটীশেরা এসে "পুলিশ" বা রাজ পেয়াদার শাস্তির গুনগত পরিবর্ত্তন করলেন এটা কি ঠিক স্টেটমেন্ট হোলো ?

    তোপ দেগে উড়িয়ে দেওয়াটাও সাহেবদের আমদানি নয়। বেত্রাঘাত ও নয়। ঈশেন কি মনুসংহিতা পড়ো নি?

    পেয়াদারা চিরকাল ই একইরকম ছিলো,দেশী বা বিদেশী। অত্যাচার ও একই রকম সারা দুনিয়ায়। আর শুধু পেয়াদা কেনো শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মজীবনী পড়লে দেখা যায় টুলো পন্ডিতদের ছাত্র ঠ্যাঙানো ও একটা ইনস্টিটিউশন হয়ে উঠেছিলো।

    না:, পাকামী না করে পারলাম ই না।
  • Ishan | 117.194.32.70 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১৪:৪৯481423
  • এবার এটা শুধু পুলিশের চরিত্র না। গোটা সমাজেরই চিত্র। আমলাতন্ত্র থেকে শুরু করে শিক্ষা সকলেরই একটা নির্দিষ্ট ইতিহাস আছে। সবকটাই মোটামুটি এক। বা কাছাকাছি। আমলাতন্ত্রকে সহজেই পুলিশের সঙ্গে মেলানো যায়। শিক্ষাকে মেলাতে হবে একই রকম তিনটে উপাদানের সঙ্গে:
    ১। প্রাক ব্রিটিশ শিক্ষাপদ্ধতি (নামতা মুখস্থ বা কান ধরে দাঁড়ানো যেখান থেকে এসেছে)
    ২। মেকলের কেরানি বানানোর পদ্ধতি ( শিক্ষাক্ষেত্রে এখনও শিক্ষকের প্রতি প্রশ্নহীন আনুগত্য আশা করা হয়)।

    এবং পাশ্চাত্যের সঙ্গে তফাত এই যে, শিক্ষা জগতের দমনমূলক চরিত্র পরিবর্তনের যে প্যারাডাইম শিফট পশ্চিম দেখেছে, সেই সামাজিক ট্রেনিং ভারতে হয়নি।
  • Ishan | 117.194.32.70 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১৪:৫৭481424
  • ডিডিদা। আমি যদ্দুর জানি "পুলিশ' ব্যাপারটা ভারতে বৃটিশ আমদানি। তার আগে তো সবটাই ছিল আর্মি।

    আর আমার বাক্যগুলি ঠিক হয়নি। ব্যাপারটা ঠিক প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত নয়। তার একটা নির্দিষ্ট রিচুয়াল ব্রিটিশরা নিয়ে আসে। সেটা আমি পরে টুকে দেব। ফাঁসি তো আনেই।

    তোপ দেগে উড়িয়ে দেওয়াটা ভুল হতে পারে। দেখে বলব।
  • dd | 124.247.203.12 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১৫:১০481425
  • পুলুশ ছিলো। হিন্দু ও মুসলিম রাজাদের।
    কোতোয়াল ছিলো পেয়াদা ছিলো, অ্যাজ অপওজড টু আর্মি।

    দাঁড়াও ,কোটিল্যের অর্থশাস্ত্র থেকে ধাঁ ধাঁ করে টুকে দিবো 'খনে,ট্যাক্স কালেক্টর থেকে কাস্টমস,এক্সাইজ পুলুশ সব ছিলো। বনরক্ষী ছিলো। বাজার ইনে্‌স্‌পক্টর ছিলো।

    তোপ দেগে উড়িয়ে দেওয়া অবশ্যি মুঘল আমলে ছিলো।

    তা হোক, তোমার ল্যাখাটা জমছে। খামোখা ডিস্ট্রাকটেড হয়ো না, আমার মতো পোস্টিং পড়ে।
  • Ishan | 117.194.32.70 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১৫:১৩481426
  • এইবার এইখান থেকে আমি দুটো পয়েন্টে যাব।

    প্রথম পয়েন্ট হল, ব্যবস্থা না বদলে কিছুই করা যাবেনা, এটা এক্কেবারে ঠিক না। এই ব্যবস্থার মধ্যেই কিছু কিছু জিনিস করা যায়। এমনকি পুঁজিপতিদের স্বার্থহানি না করেও কিছু কিছু জিনিস করা যায়। ধরেন আমলাতন্ত্র যদি সহজ ও সরল হয়, তাহলে পুঁজিপতিরা তাতে বাধা দেবেন বলে মনে হয়না। বরং খুশিই হবেন।

    কিন্তু এটা খুচরো পয়েন্ট। আসল পয়েন্টটা হল, যে করা যদি যায়ই তো অ্যাদ্দিন যায়নি কেন? এবং এখানেই আমাদের এক্ষপার্টদের প্রসঙ্গ চলে আসে। :)

    আমাদের এক্ষপার্টরা, মনে রাখবেন আকাশ থেকে পড়েননি। তাঁরা, আপনার আমার মতই এই শিক্ষাব্যবস্থারই সন্তান। আমাদের পুলিশরা যেমন পুলিশ ডিপার্টমেন্টের সন্তান, আমাদের এক্ষপার্টরাও এক অর্থে মেকলের সন্তান। এখানে এক্ষপার্টাইজের ছত্রে ছত্রে মুখস্থবিদ্যা, বাঁধা-গত এবং ঔপনিবেশিকতার ছায়া আপনি দেখতে পারবেন। সর্বত্র।

    সেই জন্য আমাদের এক্ষপার্টরা যখন নদী বাঁধের পরিকল্পনা করেন, তখন তাঁরা ব্যাপারটা রিয়েলিটির উপরে দাঁড়িয়ে নয়, টেক্সট বইয়ের মুখস্থবিদ্যার উপরে দাঁড়িয়ে করেন। এবং বিপর্যয় ডেকে আনেন। পাবলিক মনই খচ্চা করে লোকের ক্ষতি করেন। যেটাকে আকা টাইপ টু এরর বলবে। :)

    তাঁরা যখন পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা করেন, তখন ভুলে যান, যে, দেশটা সোভিয়েত না। যখন কাছা খোলা উদারনীতির কথা ভাবেন তখন ভুলে যান, দেশটা আমেরিকা না। ভুলে যান, কারণ তাঁরা টেক্সট বই দেখেন, মুখস্থ বিদ্যা ওগরান। কিন্তু রিয়েলিটি দেখেন না। এবং পলিসি বানিয়ে দেশের গুষ্টির পিন্ডি চটকান।

    শুধু এইটুকু হলেই হত। এই এক্ষপার্টরা নিজেরা তো মুখস্থের বাইরে যান ই না। অন্য কেউ গেলে তাকে যতটা পারা যায় হ্যাটা করেন। কারণ এঁরা অন্তর থেকে বিশ্বাস করেন, এই কাঠামোয়, এই চাকরের জাতের পক্ষে নতুন কিছু করা অসম্ভব। হাতের কাছে টেস্ট-টিউব বেবি খ্যাত সুভাষবাবুর উদাহরণ আছে। মনে করে দেখতে পারেন।

    ফলে যখন এক্ষপার্ট এক্ষপার্ট করে লাফানো হয়, তখন এটাও মনে রাখতে হবে দেশের এই অবস্থার জন্য তথাকথিত এক্ষপার্টাইজও কিছু কম দায়ী না। এঁদের উপর, শুধু এঁদের উপর ভরসা রাখব কোন আক্কেলে?
  • Sibu | 70.1.155.155 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১৬:০৭481427
  • এই অ্যান্টি-এক্সপার্ট স্ট্যান্ড নিয়ে একটা কথা বলি। আমাদের মত লোকেরাই যদি এক্সপার্ট হয় তো এমন ভাবার কি কারন আছে যে আমরাই সব মাটির কাছের মানুষ, আর এক্সপার্টেরা সব গজদন্ত মিনারে থাকে। ইন প্র্যাকটিস, অনেক সময়েই যে পয়সা ক®¾ট্রাল করে সেই বলে দেয় এক্সপার্টদের কি করতে হবে। অনেকসময় পলিটিক্যাল লীডরশিপও ডিরেকশন ডিকটেট করে, সদিচ্ছা থেকেই হোক, আর কোন আলটিরিয়র মোটিভ থেকেই হোক।

    প্রথম জীবনে আমি একটা প্রোজেক্টে কাজ করতাম। সেই প্রজেক্টটি ছিল কম্পুর নেটওয়ার্ক দিয়ে বিদ্যুত সরবরাহ ব্যবস্থা ক®¾ট্রাল করা। ইন্ডিয়ান কম্পানি। তো সেই সূত্রে বাংঅলাদেশে এই ধরনের সিস্টেমের জন্যে একটা টেন্ডার প্রসেস খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিল। ওদের এক্সপার্ট শেষ অবধি সিমেন্সের সিস্টেম কেনার পক্ষে মত দিলেন। আমি তার পর ওনাকে আড়ালে জিজ্ঞেস করলাম - এটা কি করলেন? সিমেন্স ওভারপ্রাইসড এবং ফাংশনালিটিও তো আপনাদের স্যুট করবে না। উনি বললেন জাএমান এইডের টাকায় প্রজেক্ট, উপায় নাই। তো এইসব ব্যাপার আড়ালে হয়, বদনাম হয় এক্সপার্টের।

    আর মার্কেট লিবারালাইজেশনের উদাহরনও তাই। ইট ইজ রিয়েলি ডিক্টেটেড বাই আইএমএফ ও বিশ্ব ব্যাংক। এক্সপার্টদের দোষ দিয়ে কি হবে? স্টিগলিটজ এই নিয়ে পোচ্চুর লিখেছেন।
  • Sibu | 70.1.155.155 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১৬:০৮481428
  • জাঅমান না, জার্মান
  • dukhe | 122.160.114.85 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১৬:১০481429
  • এই শেষটা কেমন একটা হল । এক্সপার্টেরা মুখস্থবিদ্যাতে চলেন, রিয়েলিটি দেখেন না - এই সিদ্ধান্তটা যথেষ্ট সাবস্ট্যানশিয়েটেড লাগল না । দু-চাট্টে উদাহরণ হলে ভালো হত ।
    আর এই যুক্তির এক্সটেনশনে তো আমি-আপনি সবাই মেকলের সন্তান, কাজেই রেজাল্টে আর তফাৎ হবে কী করে ?
  • Ishan | 117.194.38.62 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১৬:১৪481430
  • না না শেষ হয়নি। কিন্তু এরপর কলে ঢুকতে হবে। আবার মিটিন করতে করতে লিখব। :)
  • PT | 203.110.243.21 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১৭:৩১481432
  • এই এক্সপার্ট-ব্যাসিং প্রসঙ্গে একটা প্রশ্ন ছিল: দিল্লীতে বর্তমান সরকার থাকা অবস্থাতে বিনায়ক সেনকে স্বাস্থ্য কমিটি আর মহাশ্বেতা দেবীকে আদিবাসী কমিটির মাথায় বসিয়ে দিলে অবস্থার ইতর-বিশেষ হবে?

    আবার উল্টোদিকের চিত্র। গতমাসে দিল্লীতে টিবির ওষুধ আবিষ্কার প্রসঙ্গে একটি মিটিং ডেকেছিলেন একটি সর্বভারতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানের আধিকারিক। উপস্থিত হওয়ার পরে জানা গেল যে তিনি বা তাঁর লোকেরা সরাসরি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন যে চল্লিশোর্ধ বৈজ্ঞানিকদের প্রতি তাঁরা আস্থা হারিয়েছেন। তাই MSc-র ছাত্রদের সাহায্যে তাঁরা ওষুধ আবিষ্কার করতে চান। দীর্ঘ জ্ঞান শোনার পরে চা-কাজু-দুপুরের খানা সহযোগে দিনটি দিল্লীতে কাটিয়ে সরকারি পয়সায় আকাশভাসি হয়ে ফিরে আসা গেল। সারা ভারত থেকে জনা তিরিশেক মাস্টারমশাইদের ডাকা হয়েছিল সেরেফ ছাত্রদের জোগানদার হিসেবে!! এই আধিকারিক অবশ্যই একজন এক্সপার্ট হিসেবে ভারতের উচ্চগবেষণা সম্পর্কে সরকারকে নিয়ত মন্ত্রণাদান করেন।
  • v | 168.244.164.244 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১৮:১০481433
  • মামু লিখছে ব্যপক, কিন্তু আকার পয়েন্টটা মনে হয় শুধু এক্সপার্ট গোষ্ঠীকে ইনক্লুশনের দাবী ছিলো না।
    আমার স্বল্পবুদ্ধিতে যা বুঝেছি, আকার বক্তব্য যে খসরায় যারা ইনপুট দিয়েছে বা রিভিউ করেছে তারা সমস্যা ও তার সমাধান সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল হয়ে দিয়েছে কিনা।
    যেমন ধরুন শিক্ষাব্যবস্থা। প্রতীচী বলছে শিক্ষকের অভাব। ৫০০০০ শিক্ষক নিয়োগ করা দরকার। গুরু বলছে শিক্ষক নিয়োগ করার আগে দেখ যে যারা পড়াচ্ছে তারা ঠিক মতো পড়াচ্ছে কিনা? অতএব ক্লাসে ক্লাসে ওয়েবক্যাম লাগাও। আকা বলছে তার আগে দেখ পড়াবার পরিবেশ আছে কিনা। ক্লাসে একটা ফ্যান নেই পড়াবে কি করে। দুখে বলছে ফ্যান নেই তো কি আছে, আমরা অমন কতো খালি গায়ে ক্লাস করেছি। আগে সিলেবাসটা ঠিক হোক তাহলেই সব মন দিয়ে পড়াশুনা করবে।
    তো মোদ্দা কথা সমস্যাটা কোথায়? কে বলতে পারবে?
    পয়সাটা কোথায় ঢালা হবে? কে বলতে পারবে?
    কেননা ভুল জায়গায় ঢালা হলেই আকা 'টাইপ টু এরর' বলে খ্যাঁক করে চেপে ধরবে।
    তাই এরর মিনিমাইজ করতে রুট কজ বার করা দরকার। প্রশ্ন সেটা কি যথেষ্ট করা হয়েছে? ল্যালা পাব্লিকের কি সেটা করার যথেষ্ট যোগ্যতা আছে।
    এই আর কি।
    ডি: আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ ভূল, অপ্রাসংগিক, অনভিপেত, অসার ইত্যাদি কোনো কিছু মনে হলে, নিজগুনে মাফ করে দেবেন। দয়া করে এটা পড়ে আসুন, ওটা পড়ে আসুন, বলবেন না। পড়াশুনা করতে পারব না। :-)
  • dukhe | 122.160.114.85 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১৮:১৭481434
  • না না, দুখে ফ্যান লাগানোরই পক্ষে । বড্ড গরম ।
    তবে v বোধহয় ওটা জাস্ট একটা উদাহরণ হিসেবে বললেন । তাই তো ?
  • pi | 72.83.74.17 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১৮:৪১481435
  • v কে দুটো ক্ল্যারিফিকেশন।
    ক্লাসে ক্লাসে ওয়েবক্যাম লাগানোর কথা বলা হয়নি। প্রকৃত প্রশিক্ষণের কথা ছিল।

    শিক্ষকদের ইভ্যালুএশন ও আসবে। এসব নিয়ে অনেক প্রস্তাব এসেছে।

    শিক্ষা নিয়ে এই দাবীগুলো তোলা হয়েছে বলে অন্য দাবী নেই, এমন ও না। সেজন্য ই অসম্পূর্ণ লেখা আছে।
    শূন্য শিক্ষকপদ পূরণ, টিচার-স্টুডেন্ট রেশিও এসব নিয়ে কোন কথাই এখানে আসে নি। সেগুলো নিয়ে আলাদা করে অনেক শ্‌প্‌রস্তাব এসেছে। সেগুলো প্রকাশ করার কাজ চলছে।
  • anipa | 108.194.169.197 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১৮:৫৯481436
  • আর,ঈশানের স্ট্যান্স যতটা বুঝেছি (লেখা থেকে) এক্ষপার্ট ব্যাশিং না, --এক্ষ্‌পার্ট হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে না, এরকম কিছু। এর কারণ কোন সোসিও-ইকোনমিক সিস্টেম ইম্পলিমেন্ট করার মধ্যে অসংখ্য প্রাক্তিকল প্যরামিটার ও সংস্লিষ্ট আন-সারটেন্টি । সব কিছু সমান ভাবে ওপ্তিমাইজ সম্ভব নয়। কোথায় গোলদারের কথা বলা হচ্ছিল,-আবহাওয়াও তেমনি একটা কেওটিক সিস্টেম।
    এবারে ভি যেটা বললেন - সেটকে একটা স্টাইলাইজড উদাহরন ধরে নিলে, পুরো প্রসেসটার মধ্যে এটার জন্য ইন বিল্ট ডিফেন্স আছে। যদি সেরকম সিনারিও দেখা যায়, যে একটি অতি-প্রয়োজনীয় স্যাক্রিফাইস করা হচ্ছে , প্রকল্প রুপায়ক রা অবশ্যই সেটা পয়েন্ট আউট করবেন , আর সে নিয়ে আলোচনা হবে। এই খসরা তো একটা রোবোটিক সিস্টেম কে দেয়া হচ্ছে না। কিন্তু আগে থেকেই কোথায় কি আছে সেটা জেনে এগোনোর চেষ্টা অসম্ভব।
  • aka | 168.26.215.13 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১৯:৩৭481437
  • v কে নকুলদানা দেবই দেব।

    শুধু একটাই কথা, ল্যালা পাব্লিকের যোগ্যতা নেই এই কথা বলি নি। কার কোথায় কিসে যোগ্যতা তা জানা যায় না। বলেছি খসড়ায় সেটা করা হয় নি।

    পাই বলছে শিক্ষক নিয়োগের সাথে প্রকৃত প্রশিক্ষণের ক্ল্যাশ কোথায়? দুটোই হোক না ক্ষতি কি। মুশকিল হল দুই করতেই রিসোর্স লাগে, টাকা লাগে। যেমন প্রকৃত প্রশিক্ষণ পদ্ধতির জন্য সমস্ত শিক্ষকের ট্রেনিং লাগে। আর শুধু এই ট্রেনিং একবার হলেই হয় না, সমস্ত নতুন শিক্ষকদের ট্রেনিং দিতে হয়, দুই এই ট্রেনিং সিস্টেম আপডেট করতে হয়। তাই শুনতে যতই নিরীহ লাগুক এর পিছনেও যথেষ্ট টাকা লাগে। খসড়ার পূর্বশর্ত হিসেবেই এসেছে প:ব:য়ের দৈন্যদশার কথা। টাকা যখন এতই কম তাহলে প্রথম লক্ষ্য কি?

    ঈশান, তো মোটামুটি ভল্যুমেই মেরে দিয়েছে। ঠিক আছে দেখি পড়ে লিখি।
  • pi | 128.231.22.133 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ২০:১৪481438
  • মামু, জনস্বাস্থ্যকে ( সোস্যাল মেডিসিন বা environmental public health )অবহেলা করে কিওরেটিভ মেডিসিনের দিকে পুরো ঝোঁকার জন্য বড়সড় রকম ভাবে দায়ী কিন্তু নেহেরু। পশ্চিমে যা হছে, আমাদের ও তা করতে হবে। ওরা অলরেডি কী করে ফেলেছে, আমাদের সেখানে কী অবস্থা, সেসব বিচার না করেই।
  • aka | 168.26.215.13 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ২০:১৯481439
  • ঈশানের দীর্ঘ পোস্টগুলোতে অনেক কিছু লেখা আছে যা থেকে সামারাইজ করলে যে বিষয় গুলো বেরিয়ে আসে

    ১। এক্সপার্ট যদি হাতে না থাকে কি করব? হাত গুটিয়ে বসে থাকব? এর উত্তর ঈশান আমার কাছে দাবী করেছে। এর উত্তর আমি দিচ্ছি, সঙ্গে থাকুন।

    ২। এক্সপার্টরাই তো দামোদর প্রকল্প বানিয়েছে যা কিনা এখন বন্যা বানানোর কল।

    ৩। এক্সপার্টরা ঔপনিবেশিক শিক্ষার ফলে শুধুই মুখস্ত বিদ্যা ওগড়াতে ব্যস্ত।

    তর্কের খাতিরে ধরা যাক এগুলো ঠিক (যদিও এক্সপার্টদের সাকসেস স্টোরিও কিছু কম নেই) এবং এক্সপার্ট গোষ্ঠী অর্থাৎ কিনা বর্তমান আমলা গোষ্ঠীকে দিয়ে কাজ চলছে না। খুব ভালো কথা তাহলে এই খসড়া যে এক্সপার্টরা বানিয়েছে তারা অন্য এক্সপার্টদের থেকে আলাদা কিসে? যদি এক্সপার্টদের ইনক্লুশনই প্রশ্ন হয় তাহলে খসড়া বানানোর এই বেসিক স্ট্যান্ডটাই প্রশ্নের। আজ আম জনতা হিসেবে ঈশান যে প্রশ্নটা আমলা তন্ত্রের দিকে ছুঁড়েছে। ঠিক সেই একই প্রশ্নগুলো আমি এক সাধারণ মানুষ হিসেবে খসড়ার এক্সপার্ট ঈশানের দিকে ছুঁড়ে দিলাম। আমার পলিসি আমাকে বানাতে দিন, আমার সমস্যার কথা আমাকে বলতে দিন। যদি আমলাতন্ত্রের ইনক্লুশন প্রশ্নযোগ্য হয় তাহলে এই খসড়ার প্রণেতা অর্থাৎ সৈকত (১ও২), দুখে, পিনাকি, অরূপ, ইপ্সিতা, দেবপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় ইত্যাদি এনারা সবাই সেই একই মেকলের সন্তান এবং এনাদেরও ইনক্লুশনও প্রশ্নযোগ্য।

    তো, এর সাথে ঈশান বলতে পারে হাতের কাছে আর কোন এক্সপার্ট না থাকায় আমাদেরই এক্সপার্ট সাজতে হয়েছে। এক্সপার্ট না থাকায় কি বসে থাকব? সেখানেই আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না এটা কেন এত জরুরী ছিল? কেন একমাসের মধ্যে তড়িঘড়ি সমস্ত কিছু দিতেই হবে।

    এখানে একটা ফাণ্ডামেন্টাল ক্ল্যারিফিকেশন না হলে তো উত্তর দেওয়া যাচ্ছে না। ঈশানের মতে খসড়া বানিয়ে যেনতেন প্রকারেণ সরকারের কাছে দেওয়াটা বাধ্য হয়ে সাপ খেলানো - যেখানে সাপ খেলানো শেখার সময় নেই। অন্যদিকে আমি মনে করি এটা স্বেচ্ছায় কিছু দায়িত্ব ঘাড়ে নেওয়া - মানে শখ করে সাপ খেলানো। এই বাধ্যতার জায়গাটা ক্লিয়ার না হলে ১ নং প্রশ্নের উত্তর দেওয়া গেল না।
  • Sibu | 184.195.43.36 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ২১:৩০481440
  • এক্সপার্ট হোক আর ল্যালা পাবলিক, দি ডেভিল ইজ ইন ডিটেল। কোন সমস্যার সমাধান করতে হলে ডিটেলে যেতেই হবে, আর কোন উপায় নাই। আর যে ডিটেলে যাবে সেই এক্সপার্ট হবে, সে তার পুঁথিগত যোগ্যতা থাকুক আর নাই থাকুক। ডিটেল না ভেবে সমাধান প্রস্তাব করলে সেটি বাজে সমাধান হবেই হবে। ল্যালা পাবলিক সমাধান দিলে সেটা বাজে সমাধান হবার ও জ্যানাগানের পয়্‌সা নে্‌ষ্‌টর কারন হবার সম্ভাবনা অতি প্রবল। তারপর যদি সেই ল্যালা পাবলিকের কাছে ক্ষমতাবানেদের কানের ডিরেক্ট অ্যাকসেস থাকে তো সে অতি বিষম বস্তু।

    এই প্রসঙ্গে শুদ্ধসঙ্কÄকে পাঠানো আমার একটা মেইল থেকে একটু কপি করে দেই। এটা ঐ ওপেন সিস্টেম আর টেক্‌স্‌ট ফাইল দিয়ে সরকার চালানোর প্রসঙ্গে লেখা।


    aar oi shastaay e-file based governance-taa galpo katha. o jinish sastaay just hay naa. ektaa file delete kore dile tumi ki korbe? collaborative notes kibhaabe neoaa/deoaa hobe? file-e access control ki kore hobe? file search kemon kore hobe? tarpor e niye legal framewoker samsyaa aachhe. no paper trail file system court kibhabe handle korbe? karmacharider training ektaa issue. je sob jaygaay google apps baa microsoft web office use kore sekhaane employee-der extensive training laage. Data location ki korbe? WB govt. data center banabe? naaki ektaa central server-e rakhbe? naaki private company-r data center-e thakbe file gulo?


    তো এই সব ইস্যুগুলো না ভাবলে সেটা ডিউ ডিলিজেন্সের অভাব। আর ইস্যুগুলো ভেবে দেখলে যে ভাববে সেই এক্সপার্ট।
  • Ishan | 117.194.38.62 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ২১:৩৯481441
  • না: আমার লেখা এখনও শেষ হয়নি। এক্ষপার্ট ব্যাশিং করার ইচ্ছা একেবারেই নেই।

    তবে আগে এক্ষপার্টাইজের দুটো উদাহরণ দিই।

    প্রথম উদাহরণটা নদী বাঁধের। বৃহৎ বাঁধ নিয়ে বিভিন্নরকম সেকশন থেকে বিভিন্নরকম আপত্তি আছে। আমি শুধু দামোদরের কথাটাই তুলব। দামোদরে আগে বচ্ছর বচ্ছর বন্যা হত। সারাবছর জল থাকতনা। বর্ষায় দু কুল ভাসিয়ে বন্যা হত। লোকে তল্পিতল্প গুটিয়ে এলাকা ছেড়ে পালাত। এবং একে বাংলার দু:খ না কি একটা বলত।

    এই বন্যা দূর করার জন্য বাঁধ দেওয়া হল। ড্যাম হল। বর্ষর তাৎক্ষণিক বন্যা দূর হল। কিন্তু বন্যা দূর হলনা। ড্যাম থেকে জল ছেড়ে বন্যা শুরু হল। এতে কাজের কাজটা হল এই, যে, আগে লোকে প্রস্তুতির সময় পেত, বেশি বৃষ্টি হলে এলাকা ছেড়ে তল্পিতল্পা গুটিয়ে পলাত। এখন আর সে সুযোগ নেই। সঙ্গে আরও দেখা গেল, প্রাকৃতিক নিয়মে বন্যা হলে বন্যার পরে পলি পড়ে যেত সন্নিহিত এলাকায়। জমি উর্বর হত। এখন সেই পলি জমা হচ্ছে জলাধারে। একদিকে অপ্রত্যাশিত বন্যা হচ্ছে, অন্যদিকে জমি অনুর্বর হচ্ছে। পলি জমছে ড্যামে, লাভের মধ্যে ড্যামের ধারণক্ষমতা কমছে, এবং পরের বছর আরও কম বৃষ্টিতেই বন্যা হচ্ছে। এবং এই ভাবে চক্রাকারে চলছে পুরোটা।

    পরিবেশ নিয়ে অনেকগুলো উদাহরণ দেওয়া যায়। সেগুলো আর দেবনা। বরং দ্বিতীয় উদাহরণটা হাতের কাছ থেকেই দেওয়া যাক। নগরায়ন। চোখের সামনে দেখছি নিউটাউন গড়ে উঠতে। ইয়া ইয়া রাস্তা হচ্ছে। টাউন প্ল্যানাররা ঘ্যামা প্ল্যান করছেন। একদম পরিকল্পিত নগরী, যেখানে ছয় লেন রাস্তা দিয়ে হু হা ছুটবে গাড়ি।

    এইবার মজা হচ্ছে, যদিও ছয় লেন রাস্তাটি এক্সপ্রেসওয়ের কপি, তাই এর পাশে কোনো ফুটপাথ নেই। ফুটপাথের জায়গায় বসানো হয়েছে বৃক্ষ। মাথায় রাখা হয়নি, যে, এটা ইউএস এক্সপ্রেসওয়ে না। এর পাশে জনবসতি। এখান দিয়ে অটো যাবে, বাস যাবে, থামবে, লোক তুলবে। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। তিনটি লেনের একটিতে দাঁড়িয়ে আছে বা হাঁটছে লোক। পরের লেনটিতে দাঁড়াচ্ছে বাস। এবং গাড়ি চলছে একটি লেন দিয়ে। লোক দাঁড়ানোর লেনটিতে জমা হচ্ছে মাটি, বালি আবর্জনা, তার উপরে জমছে জল, এবং খন্দ তৈরি হল বলে। ছয়লেন রাস্তা পরিণত হচ্ছে দুই লেনে। অর্থাৎ রাস্তার দুই তৃতীয়াংশ ফালতু। না বানালেও চলত। পাবলিক মানির ওয়েস্টেজ।
  • Ishan | 117.194.38.62 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ২১:৫৯481443
  • সাতকাহন করে এসব বলা একটি কারণেই। বাস্তবতাকে বিচার না করে স্রেফ পুঁথি পড়ে পরিকল্পনা করা আমাদের দেশের এক্ষপার্টাইজের একটি রোগ। এক্ষপার্ট বলতে আলদা কাউকে দোষ দেওয়া হচ্ছে না। এই রোগে নিজেদের ফিল্ডে আমি-আপনি সকলেই আক্রান্ত। কম বেশি।

    অথচ রিয়েলিটির দিকে তাকালে এই রোগটিকে অতিক্রম করা যেত। যেমন ধরুন, পরিবেশবাদীরা দেখিয়েছেন, যে, দামোদরের বন্যার সুফলগুলি সম্পর্কে স্থানীয় মানুষ যথেষ্টভাবেই ওয়াকিবহাল ছিলেন। তাঁদেরকে একবারটি জিজ্ঞাসা করলেই সব মিলিয়ে একটা কার্যকর সমাধানসূত্র তৈরি করে ফেলা যেত। সেটা এক্ষপার্টরাই পারতেন।

    একই ভাবে, এক্সপ্রেসওয়ের কপি-পেস্ট না করে ভারতীয় জনবসতির চরিত্র কেমন, এ নিয়ে একটু মাথা ঘামালেই এক্ষপার্টরা বুঝতে পারতেন, দরকারটা আসলে কিসের। হয়তো একটু ছোটো একতু রাস্তা, যার ধারে আছে ফুটপাথ, তা দিয়েই কাজ চলে যেত। সেটাও এক্ষপার্টরাই বার করতে পারতেন।

    ফলে, এক্ষপার্টদের বাদ দিয়ে চলে যাবে একেবারেই এরকম দাবী নেই। কিন্তুক, ঐ রিয়েলিটি-বিবর্জিত-পুঁথি-পড়া-পেপার-পুজোয় প্রবল আপত্তি। পরিকল্পনা হোক, এক্ষপার্টরা তাতে থাকুন, কিন্তু "সাধারণ মানুষ'ও থাকুন। এক্ষপার্টরা ভগবান নন। তাঁরা ল্যালাদের সঙ্গে ডায়ালগে আসুন। এইটাই দাবী। এবং যেহেতু ডায়ালগ, তাই সেটা দ্বিমুখী। রাজা-প্রজার সম্পর্ক একেবারেই নয়।
  • Ishan | 117.194.38.62 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ২২:২৪481444
  • মোটামুটি এইসব দাবীদাওয়াকে ভিত্তি করেই নিয়েই আমাদের খসড়া শুরু। (এক্ষটেম্পোর লিখছি। এক আধটা পয়েন বাদ যেতে পারে, কিছু মনে করেন না।) এতক্ষণ যা লিখলাম, তাতে দেখা যাচ্ছে, পয়েন্ট মোটামুটি দুটো।

    ১। সীমিত সামর্থ্যের মধ্যেও এই রাজ্যে কিছু করা যায়। এক্কেবারে কিছুই করা যায়না তা নয়।

    ২। এতদিন যে অনেক কিছুই করা যায়নি, তার পিছনের শ্রেণীশোষণ, বা কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক, এগুলো অবশ্যই ফ্যাক্টর। কিন্তু এগুলো হাতের বাইরে। অতএব ফোকাস করা উচিত পরিকল্পনার গোড়াতে নিশ্চয়ই একটা বা একাধিক গ্যাপ থেকে গেছে, সেদিকে।

    এই কারণেই লোকের কাছে শুনতে চাওয়া। এক্ষপার্টের চাদর ফেলে দিয়ে একটু রিয়েলিটির দিকে সোজা ভাবে তাকানোর আহ্বান। এখানে কোনো এক্ষপার্ট পয়েন্ট আউট করতে পারেন, বস আসলে রিয়েলিটির এই পার্টটা অ্যাদ্দিন মিস করেছি। বা কোনো পাতি পাবলিক আঙুল উঁচিয়ে বলতে পারেন, আরে ধুর এক্ষপার্টরা এই সোজা মালটা বুঝতেই পারেনি। এই আরকি।

    এই অ্যাপ্রোচে একটা খাপছাড়া ভাব থাকবে। অন্তত: প্রাথমিক ভাবে। বিভিন্ন লোক বিভিন্ন জিনিস পয়েন্ট আউট করছেন, কেউ সেটা কোলেট করছেন। কেউ এক্ষপার্ট, কেউ চাষি। কেউ জেন-ওয়াই, কেউ বহু পুরোনো পাপী। তাঁরা একযোগে একটা মাল নামাচ্ছেন, তাতে টানাপোড়েন থাকবে। মতবিরোধ থাকবে। এমনকি এরকমও ভাবা হহ্যেছিল সম্পূর্ণ দুরকম মত এলে সুটোই ডিসক্লেমার দিয়ে তুলে দেওয়া যায় কিনা।

    কিন্তু দেখা গেল প্রথাগত এক্ষপার্টাইজের জগতের ব্রাহ্মণ যাঁরা, তাঁরা এটা একেবারেই পছন্দ করছেন না। ডায়ালগ করে পলিসি? পুঁথি পড়ে নয়? সে আবার হয় নাকি?

    সেই সমালোচনার জবাব দেবার জন্যই এতটা লেখা। যে দাদারা ও দিদিরা স্রেফ পুঁথিপড়া এক্ষপার্টাইজ দিয়ে তো ঐ দামোদরের বাঁধ বানিয়েছেন। নিউ টাউনের রাস্তা বানিয়েছেন। এবার একটু পাতি পাবলিককে মর্যাদা দিন না। একটু রিয়েলিটির দিকে নজর ফেরান না।
  • Ishan | 117.194.38.62 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ২২:৩৪481446
  • এটা একবারেই এক্ষপার্ট ব্যাশিং নয়। বরং ক্রিটিক বলা যেতে পারে। একই ভাবে এটা পাতি পাবলিককে মাথায় তোলাও নয়। পাতি পাবলিক গ্রাউন্ড রিয়েলিটিটা দেখতে পায়। কিন্তু পুরো জিনিসটা বড়ো দেখার ক্ষমতা অনেক সময়ই তার থাকেনা। আবার এক্ষপার্ট পুরোটা দেখতে পান, কিন্তু গ্রাউন্ড রিয়েলিটিটা চোখের আড়ালে থেকে যায়। আমরা এই দুটোকে মেলাতে চেয়েছি।

    মেলানোর কাজটা সহজ নয়। শক হুন পাঠান মোগল একদিন সক্কালে এক দেহে লীন হয়ে যাবে, এ আশা যাঁরা করেন, তাঁরা হয় এক্ষপার্ট, নয় সিপিএম। :) এটা লম্বা প্রক্রিয়া। এতে সময় লাগে। সেই সময়টা দিতে হবে। পাবলিক যে গোড়েগোব্দ জিনিসের বাইরে কিছু ভাবছে এই মেসেজটা কোথাও একটা দেবার দরকার ছিল। সেটা হয়েছে। বাকিটা ধীরে ধীরে হবে।

    পার্টিজানরা এটা বুঝবেন না। তাঁরা তৃণমূল-সিপিএম নিয়ে ব্যস্ত। পেপার-পুজোর জগতেও এখনি এর কোনো জায়গা হবেনা। দশ বছর পরে তাঁরা এই নিয়ে একটা পেপার লিখবেন বড়োজোর। :) সে ঠিক আছে। এই সব নিয়েই চলতে হবে। চলবও।

    জয় হিন্দ। :)
  • aka | 168.26.215.13 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ২২:৩৪481445
  • শেষ হলে বলি ঈশান সমালোচনাটাই বোঝে নি। বাকিটা পরে লিখছি। এবং ঈশানের লাস্ট বাট টু এবং থ্রি পোস্টে বিরাট বড় ক। আর শিবুদার (এই বোধহয় প্রথম :)) তার আগের পোস্টে ক।
  • Ishan | 117.194.38.62 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ২২:৪৮481447
  • শেষ করার পরেও একটা পুনশ্চ থাকে। সেটা লিখে ফেলি।

    খসড়া খুললেই উপরে দেখবেন জ্বলজ্বল করছে "পূর্বশর্ত'। মানে "নীতি' বা "পলিসি' বলে অ্যাদ্দিন যা চলেছে বা চালানো হয়েছে, তার কিছু ফঁকফোকর আছে বলে আমাদের মনে হয়েছে। অর্থাৎ আজকের রিয়েলিটি যা, তাতে বেশ কিছু পূর্বশর্ত পালন না করলে সব নীতিই মুখ থুবড়ে পড়বে।

    সেটা কি? না এক্ষপার্টাইজের প্যারামিটারে সব আছে। জিডিপি আছে, ইনকাম আছে, জনস্বাস্থ্য আছে, ভরতুকির পরিমাপ আছে, কিন্তু একটা জিনিসের কোনো পরিমাপ নেই। সেটা হল দক্ষতা। পাইপের একদিক থেকে জল ঢাললে আসল জায়গায় গিয়ে কতটা জল পড়ে তার কোনো পরিমাপ নেই। কোনো মাপকাঠি নেই। তো, আমরা দাবী করেছি, এটাকে মাপতে হবে এবং দক্ষতর করতে হবে। পূর্বশর্ত বলতে যদি আমাদের কিছু দাবী থেকে থাকে সেটা এইটুকুই। এরপরে দক্ষতর করার উপায় গুলো কি সে নিয়ে কিছু আউটলাইন দেওয়া হয়েছে। এইগুলো করতে পারেন, ঐগুলো করতে পারেন। জনতার নজরদারি চাই। ইত্যাদি। এগুলো পরিবর্ধিত পরিমার্জিত হতে পারে। এমনকি কিছু অবাস্তব বলে বাদও যেতে পারে (যেমন ধরা যাক আকার হটলাইন :) )। সেটা খুব বড়ো ব্যাপার নয়। বড়ো ব্যাপারটা হল, এই মেসেজটা দেওয়া, যে, প্রশাসনকে, সরকারি ব্যবস্থাকে দক্ষতর করতে হবে, জনগণের জন্য দায়বদ্ধ করতে হবে। এবং জনতার একতি অংশ এই দাবী তুলছে।

    ওয়েব ক্যাম কেনার টাকা কোত্থেকে আসবে, ই-গভর্নেন্সের বাজেট কে বানাবে, এগুলো বলখিল্য এক্ষপার্টসুলভ প্রশ্ন। সেটা জনগণ নেটে বসে ঠিক করে দিতে পারেনা। যেমন ওয়্যারলেস নিয়ে থানায় থানায় কি করা হবে তার ডিটেল একদিনে বানিয়ে ফেলা যায়না। ফেলা হবেও না। ব্যস।
  • dukhe | 117.194.228.166 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ২৩:০১481448
  • খাসা ।
    সমস্ত ডিটেল ছকে ফেলা একটা খসড়ার কাজ নয় । খসড়া শুধু কিছু পয়েন্ট তুলে ধরতে পারে । ইমপ্লিমেন্টেশনের পুরো ডিটেল (ই-গভর্নেন্সের ফাইল স্টোরেজ কী হবে ইত্যাদি) এখানে আউট অফ স্কোপ ।
  • Sibu | 184.195.43.36 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ২৩:৩৭481449
  • @dukhe। যদি ডিটেলে আগ্রহ না থাকে তাহলে সমাধান প্রোপোজ না করাই উচিৎ। সেক্ষেত্রে দাবী জানিয়ে বলা উচিৎ এইটে সমাধান কর। কেননা ডিটেল না দেখলে সমাধানটা ভাল কি মন্দ সে বোঝাই যাবে না।

    এই এ-গভর্নেন্সের কথাটা বলি। এক্ষেত্রে দাবী এই রকম হতে পারে - পাবলিকের এই এই কাজগুলো এতদিনের মধ্যে করে দিতে হবে। কি করে করবে সেটা তোমার সমস্যা। কিন্তু যখন ওপেন সিস্টেম আর ফ্ল্যাট ফাইল বলা হবে তখন ডিটেল ভেবে দেখা মাস্ট। নইলে প্রস্তাবটা সিরিয়াস নয় বলব। আমার আপত্তি এই ল্যাক অফ সিরিয়াসনেস নিয়ে।

    এই ব্যাপারটায় খুউউউব ছোট এক্সপার্ট হিসেবে আমার মত এই ওপেন সিস্টেম আর ফ্ল্যাট ফাইল দিয়ে সস্তায় এ-গভর্নেন্স করানো প্রায় অসম্ভব। এই পরামর্শ অনুসরন করলে পাবলিক মানির শ্রাদ্ধ ছাড়া আর কিছু হবে না।

    তো আমার কথা হল ডোন্ট ডু দিস ইন গুরু'স নেম, মানে সংশ্লিষ্ট সকলের নামে।
  • Sibu | 184.195.43.36 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ২৩:৪১481450
  • দক্ষতর করতে হবে এটা খুব গোলগোল কথা। আজেবাজে সমাধান প্রোপোজ করার চেয়ে দক্ষতার মেট্রিক ও অ্যাকসেপ্টেবল থ্রেশোল্ড প্রোপোজ করা অনেক ভাল। এই যেমন ই-গভর্নেন্সের ক্ষেত্রে দক্ষতার মেজারমেন্ট হতে পারে সরকারের কাছে কোন সার্ভিস চাইলে তার জন্যে গড়ে কতদিন লাগছে। এবং সেটা কতদিন হলে ভাল ই-গভর্নেন্স হয়েছে বলব।
  • aka | 168.26.215.13 | ২০ আগস্ট ২০১১ ০২:০২481451
  • ঈশানের লেখা শেষ হয়েছে। আমারও মিছিল শেষ হয়ে এখন কেক খেলাম।

    প্রথমেই ল্যালা সম্বন্ধে যা যা বুঝলাম -

    ক) পারফেকশনের জন্য বসে থাকবেন না কারণ ওটি ইউটোপিয়া।

    খ) আপনার অনেক কিছু জানা নেই সেটি আপনার দূর্বলতা, আবার সেটিই আপনার স্ট্রেন্থ। কারণ আপনার জানার বায়াসও নেই। অতএব আপনার দূর্বলতাকে আপনার ব্যর্থতার কারণ না ভেবে বরং সেটিকেই আপনার সাফল্যের কাজে লাগান।

    গ) আর একটু আছে সেটা পরে বলছি।

    তো এই ক এবং খ কোন নতুন কথা নয়। আপনারা যারা লীডারশিপ বা যেকোন ধরণের ম্যানে্‌জমেন্ট ট্রেনিং করেছেন তাঁরা এই ফ্রেজটার সাথে নিশ্চয়ই পরিচিত - লার্ন টু লিভ উইথ এরর বা অ্যানালিসিস প্যারালিসিস। মানে কোন জিনিষকে পারফেক্ট করার জন্য বসে থাকলে টাইম বা সেই মুহূর্তের যে বিশেষ ভ্যালু আছে সেটা চলে যাবে অ্যাণ্ড ইউ উইল মিস দা বাস। তার থেকে আগে তো বাসে ওঠো তারপর চলতে চলতে ঠিক করো। তো, এই অবধি ঠিকই আছে। নিশ্চয়ই পারফেকশনের জন্য বসে থাকবেন না, আর সে কথা কেউ বলেও নি। ঈশানের সাথে একদম একমত।

    খ এর কথা সম্বন্ধে গুগুলের সার্চ ইঞ্জিনের কথা ভেবে দেখুন। ল্যারি পেজ এবং সের্গেই যদি ভাবত ইয়াহুর সার্চ অ্যালগরিদম, ওয়ার্কিং মডেল ইত্যাদি জেনেই তবে গুগুল করার কথা ভাবত তাহলে ইন্টারনেটের ইতিহাসই বোধহয় অন্য হত। তো এরকম গুচ্ছ উদাহরণ আছে যা 'ক' এবং 'খ' মানে আমাদের ল্যালা থিওরিকে সাপোর্ট করে। আমাদের প্রায় সকলের ত্যাজ্য ম্যানেজমেন্টের বেসিক কোর্সেই এসব শেখানো হয়। এগুলোরই গুচকরণ করা হলে একে বলা যায় ল্যালা ম্যানিফেস্টো। কবি বলেছেন নামে কিবা যায় আসে অতএব একে বেসিক লিডারশিপই বলো, আর ল্যালা ম্যানিফেস্টোই বলো ব্যাপরটা বোঝা গেছে এবং তাই নিয়ে কোন আপত্তিই নেই।

    (সঙ্গে থাকুন)
  • Sibu | 184.195.43.36 | ২০ আগস্ট ২০১১ ০২:১৫481452
  • অ্যাকচুয়ালি ল্যারি এপ্‌জ ও সের্গেই ব্রিন ইয়াহুর ইনার ওয়ার্কিং সম্পর্কে ভালমত ওয়াকিবহাল ছিল বলেই শুনেছি।
  • aka | 168.26.215.13 | ২০ আগস্ট ২০১১ ০২:৩৭481454
  • এরপরে ঈশান ডিটেলে ব্যাখ্যা করেছে কেন এই খসড়া কারণ বর্তমান আমলাতন্ত্র কাজ করছে না কারণ তারা মেকলের সন্তান নিজের মুখস্ত বিদ্যা উগড়ে দিচ্ছে ঠিক মাথা ঘামাচ্ছে না। কিছু উদাহরণও আছে যেমন দামোদরের বাঁধ, রাজারহাটের রাস্তা।

    একটা কথা মনে রাখবেন এই এক্ষপার্টরাও কেউ একা সিদ্ধান্ত নেয় না বা নিজের মন থেকে পলিসি তৈরি করে না, তার একটা সাংসদীয় পদ্ধতি আছে যেখানে আইডিয়ালি গ্রাস রুট লেভেলের চাহিদা সমূহ নিয়ে মন্ত্রী সান্ত্রীরা লড়াই করে আমলাদের দিয়ে পলিসি বানায়। একটা উদাহরণ দিই - জলঙ্গী বলে মূর্শিদাবাদে একটি গ্রাম আছে, গঙ্গার একদম পাড়ে। সেখানে প্রতি বছর গঙ্গার ভাঙনে প্রচূর লোকের বাড়ি ভাঙে, রাস্তা ভাঙে। এখানকার এই সমস্যা নিয়ে লোকে স্থানীয় মন্ত্রীদের জানায়, তারা আরও অনেক মন্ত্রীদের সাথে লড়াই টড়াই করে কিছু টাকা আনে যা দিয়ে লোকাল আমলা মানে বিডিও ইত্যাদিরা ঠিক করে কোথায় কাঠের গুঁড়ি, কোথায় লোহা বা কোথায় সিমেন্টের ঢালাই হবে। এই ধরণের পলিসি আপনারা যতক্ষণ না একটা প্যারালাল গণতন্ত্র কায়েম করছেন ততদিন বানানো সম্ভব নয়। কারণ দুনিয়ার সমস্ত পেপার পড়েও বা বাঁকুড়ার লোকের সমস্ত অভিজ্ঞতা দিয়েও জলঙ্গীর সমস্যা বোঝা এবং সমাধান করা সম্ভব নয়।

    তাই কমরেড গ্রাউণ্ড রিয়ালিটি এবং পেপারের যে মেলবন্ধন আপনারা ঘটাতে চেয়েছেন তার যে বেসিক কিছু লিমিটিশেন আছে সেটা প্রথমে মেনে নিই।

    বর্তমান ব্যবস্থার লিমিটিশেন বোঝা উদাহরণ হিসেবে দিয়েছেন রাজারহাটের রাস্তার কথা। বলেছেন বর্তমান আমলাতন্ত্র্র চলছে না কারণ তাঁরা এতই মুখস্ত বিদ্যা উগড়াতে ব্যস্ত যে ভেবেই দেখেন নি কলকাতার লোকের চরিত্র বোঝা, বোঝা আসলে দরকার ছোট্ট একটু রাস্তা যার পাশে একটা ফুটপাথ।

    এর পরে সাধারণ মানুষ হিসেবে আমার এক্সপেকটেশন কি হল? আপনারা যে পলিসি বা খসড়ার কথা বলবে তা এক, এই লিমিটেশন মেনে নেবে যে সব কিছুর সমাধান এই পলিসি নয়, দুই, বর্তমান ব্যবস্থায় যে চিন্তাভাবনার লিমিটেশন আছে তা অন্তত ঢেকে দেবেন। (একটা প্রশ্ন একেবারে ডেলিবারেটলি বাদ দিলাম বর্তমান এক্সপার্টদের থেকে গুচর এক্সপার্টরা আলাদা কিসে? এই নিয়ে পরে আলোচনা করব)

    মানে চার লেনের হাইফাই রাস্তা বানানোর আগে বুঝবেন কিসের দরকার, সেইটা বুঝে একটা সলিউশন দেবার চেষ্টা করবেন। মানে সমস্যা সমাধান করার আগে সমস্যাটা বুঝবেন। তো এই অবধি একেবারে একমত, মানে বিরাট বড় হাতের ক।

    (বাকিটা রাতে লিখছি)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন