এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • নতুন সরকারের শিক্ষা স্বাস্থ্য শিল্পনীতি ইত্যাদি-৬

    pi
    নাটক | ১১ আগস্ট ২০১১ | ১৫৮১২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aka | 168.26.215.13 | ২০ আগস্ট ২০১১ ০২:৩৮481455
  • শিবুদা ওটা যাস্ট কথার কথা, উদাহরণ নিয়ে কনসেপ্টে আটকে গেলে হবে না।
  • Sibu | 184.195.43.36 | ২০ আগস্ট ২০১১ ০২:৪৫481456
  • না না, আমি উদাহরনে আটকে যাবার কথা বলি নি। বলতে চেয়েছি, যদিও ভাল কাজ করার জন্য সবকিছু জানার দরকার নেই, তবু ঐ বিষয়ে কি কি কাজ আছে তাই নিয়ে রিজনেবল আইডিয়া থাকা দরকার। ইঞ্জিনীয়ারিং জগতে একটা কথা আছে - ইউ ক্যান্ট পুল এ গ্রেট আইডিয়া যাস্ট আউট অফ ইওর *&$%hole
  • Biplab Pal | 69.250.67.136 | ২০ আগস্ট ২০১১ ০৪:১১481457
  • থ্রেডের শিরোনাম এবং লেখাগুলো পড়ে প্রাণ খুলে হাঁসলাম!

    মমতার সরকারের নীতি? তার কথা এবং মর্জিই নতুন সরকারের নীতি!

    ফরেদাররা তার ঘরে ঢুকে গেছে-শিল্পপতি ব্যাপারটা ভারতীয়দের মজ্জায় নেই। একজন দাদার সাথে দেখা হল বঙ্গ সম্মেলনে-মমতার সাথে সদ্য ফটো তুলেছেন। আগে বিরাট বিজ্ঞানী প্রযুক্তিবিদ ছিলেন আমেরিকাতে-জ্যোতিবসু তাকে জমি দিয়েছিলেন কিছু শিল্প করার জন্যে-উনি মারোয়ারীদের সাথে সেখানে রিয়ালএস্টেট প্রজেক্ট করেছেন-এখন আরো জমি পেয়েছেন। পেয়েছেন আরো মাড়োয়ারী। এমন আরো অনেকের সাথেই দেখা হল-যারা সরকারি জমি পেয়েছেন শিল্পের জন্যে-আসলে গিলেছে মারোয়ারীরা। আজকালের মালিক তোষক দাশগুপ্ত কোন ব্যতিক্রম না-তিন আজকালের নামে জমি পেয়ে, সেটা দিয়েছিলেন তোদিকে! এই ছিল সিপিএমের শিল্প নীতি।

    মমতার তাও নেই! তার হুকুমই পশ্চিম বঙ্গের নীতি! তবে আমি এই ব্যপারে মুখ খুলছি না-ভাবছি সবাই যখন লুঠের জন্য লাইন দিয়েছে-আমিই বা বাকি থাকি কেন! এটলিস্ট আমি কিছু করব! তাই এবার গিয়ে লাইন দেব লুঠেরাদের দলে!
  • aka | 75.76.118.96 | ২০ আগস্ট ২০১১ ০৯:২০481458
  • যাক রাত হল।

    যা বলছিলাম, এই এত কথা না বললেও মোদ্দা আইডিওলজিটা বুঝতে অসুবিধা হয় নি। আপনারা সীমিত ক্ষমতার মধ্যে দাঁড়িয়ে কিছু করে দেখানোর কথা ভেবেছেন, যেখানে আপনাদের মনে হয়েছে বর্তমান ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে সেখানে আপনারা আপনাদের অদম্য উৎসাহ, পাব্লিক রিচ ইত্যাদি কাজে লাগিয়ে কিছু করার কথা ভেবেছেন। ভেবেছেন সমস্যার সমাধানের আগে ভালো করে ভাবা দরকার আদতে সমস্যাটা কি? উপরের রাজারহাটের উদাহরণ পশ্য।

    এইবারে খসড়া ১ এবং ২ থেকে কিছু তুলে ধরি।

    ক) যেমন ই-গভর্ন্যান্স বলেছেন নজরদারি বাড়াতে উদাহরণ হিসেবে দিয়েছেন ঝাড়গ্রামের করণিকের কি কাজের ওপর নজরদারির কথা। বলেছেন ই-গভর্নেন্সের কথা, সমস্ত ফ্ল্যাট ফাইল ধাপে ধাপে ইলেকট্রনিক করে ফেললেই হয়ে যাবে মোক্ষ লাভ। আরও বলেছেন এটা শুনতে খুব বেশি খরচের মনে হয় আসলে নয় সামান্য ""ওপেন সোর্স"" সফটওয়ার এবং ফ্ল্যাট ফাইল দিয়েই আপাতত কাজ চালিয়ে নেওয়া যাবে। এটা হল ওভার সিম্পলিফিকেশন।

    কেন? এক, খরচের একটা সামান্য অংশ হল সফটওয়ার। এটা পরে ব্যাখ্যা করছি।

    দুই, ""ওপেন সোর্স"" মানেই কোন কস্ট নেই এই কথা ভাবার কোন কারণ নেই, আপনাকে ডেভলপ করতে হবে আপনি ঝাড়গ্রামের মানে প্রত্যন্ত গ্রামের কোন দপ্তরের কোন করণিকের কি কি কাজ মনিটর করতে চান। আপনারা যা বললেন তাহল ডট নেটের বদলে বরং পাইথন ব্যবহার করা যাক, বা গুগুল অ্যাপস। কিন্তু যাই করুন না কেন কাস্টোমাইজেশন আপনাকে করতেই হবে, মানে কিছু লোককে দিয়ে মনের মতন করে সাজিয়ে নিতে হবে আপনার "ওপেন সোর্স" সফটওয়ার। আর মনের মতন সাজানোর জন্য আপনাকে অর্থদণ্ড দিতেই হবে।

    তিন, এতে করেই হল না, এরপরেও আপনাকে নজরদারি বাড়াতে হলে জানতে হবে কোনটার পরে কি কাজ। মানে কিসের নজরদারি করবেন? মানে a র পরে b হবে না a র পরে c হবে? যাকে টেকনিকাল পরিভাষায় বলে ওয়ার্কফ্লো। সেই ওয়ার্কফ্লো আপনাকে ইমপ্লিমেন্ট করতে হবে। সেটা করতেও খরচা আছে।

    চার, এইযে নতুন কর্মপদ্ধতি এতে লোককে ট্রেনিং দিতে হবে। তাতেও খরচা আছে।

    পাঁচ, ফ্ল্যাট ফাইল বলিয়া উহাদেরকে অগ্রাহ্য করবেন না। ধরুন EDI (Electronic Data Interchange File) File ও কিন্তু ফ্ল্যাট ফাইল। একটু খুঁজে দেখুন EDI ফাইলের কমপ্লে ক্সিটি, ইমপ্লিমেন্টশন ইস্যু ইত্যাদি। খামোকা এই টইকে ভারাক্রান্ত করলাম না।

    এবারে একটা রিয়েল লাইফ উদাহরণ দিই - গুজরাটে চেকপোস্টে এমনই গভর্নেন্সের ইমপ্লিমেন্টশন হয়েছে করাপশন রুখতে খরচ হয়েছে $14 মিলিয়ন, সময় লেগেছে ৯ মাস। কাজের কাজ কিছুই হয় নি মানে যেমন টাকা ঝাড়াঝাড়ি চলছিল তেমনই চলছে। তার বহুবিধ কারণ আছে তারমধ্যে একটা হল এক্সিংটিং প্রসেসটাই ঝুল ছিল।

    আপনি যদি একটি বাজে প্রসেসে ভালো টেকনলজি লাগান তাহলে যা বাজে রেজাল্টই পাচ্ছিলেন তাই পাবেন শুধু একটু তাড়াতাড়ি। অতএব যদি সত্যিই ইমপ্রুভমেন্ট চান তাহলে প্রসেসটাও দেখতে হবে নইলে পণ্ডশ্রম, খামোকা টাকা খরচ।

    এত কথা বলার উদ্দেশ্য - এক, ই-গভর্নেন্সের ইমি্‌প্‌লমেন্টশন হলেই নজরদারি বাড়বে এমন কথা নেই। দুই, ওপেন সোর্স হলেই খরচা কমে গেল এমন ভাবারও কারণ নেই।

    তাবলে কি খসড়ায় ডিজাইন ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে? না, কস্ট হেডগুলি সম্বন্ধে একটা ধারণা থাক্তে হবে। ইমপ্লিমেন্টশন কমপ্লিকেসি সম্বন্ধে একটা ধারণা থাকতে হবে।
  • aka | 75.76.118.96 | ২০ আগস্ট ২০১১ ০৯:২৪481459
  • তারপর ধরা যাক শিক্ষা ক্ষেত্রের সমস্যার কথা, দেবপ্রসাদ বাবুর আইডিয়া হয়ত যুগান্তকারী কিন্তু উনি যা বলছেন তা বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে একেবারে খোলনলচে বদলে নতুন কনসেপ্টের কথা। যা ওনার বিশ্বাস দুর্দান্ত, কিন্তু আমি ট্যাক্সপেয়ার হিসেবে আমার ছেলের শিক্ষা নিয়ে এই এক্সপেরিমেন্টশনে যেতে চাই না। আমি চাই আমার ছেলের স্কুলে জায়গার জিনিষ জায়গায় থাকুক, যেমন মাথায় ছাদ, ঘরে শিক্ষক ইত্যাদি। কারণ এক্সপেরিমেন্টের গিনিপিগ হতে কেই বা চায়। আর এক্সপেরিমেন্টকে কেনই বা পলিসি হিসেবে নেব। ইত্যাদি।
  • aka | 75.76.118.96 | ২০ আগস্ট ২০১১ ০৯:৪৫481460
  • ই-গভর্নেন্সের ক্ষেত্রেও সমস্যার কথা ভাবা হয় নি। মানে লোকে কেন কাজ করে না? ধরুন লোকের মোটিভেশন প্রবলেম আছে। সেখানে হাজার নজরদারি বসিয়েও আপনি রেজাল্ট পাবেন না। বড়জোড় নজরদারি বাড়িয়ে হায়ার অ্যাণ্ড ফায়ার করতে পারেন তাতেও সমস্যার সমাধান হবে না, যেমন গুজরাটের ক্ষেত্রে হয় নি। নতুন যাকে লংকায় বসালেন সেও অল্পদিনের মধ্যেই রাবণ হয়ে উঠল।

    এই নিয়ে খানিক আলোচনা খসড়া ১ বেরনোর পরে হয়েছিল, খসড়া ২ তে তাই ওপেন সোর্স সম্বন্ধীয় কস্টের কথাটি উল্লেখ করা হয়েছে। এক্সপেকটেশন ছিল একটু খুঁজে দেখা হবে কোথায় খরচা, কেন খরচা, আদৌ কোন লাভ এই মুহূর্তে পাওয়া যাবে না, খানিক বাদে করলেই চলবে ইত্যাদি। তা হয় নি, উল্টে যে বাক্যবন্ধনীগুলো ব্যবহার করা হয়েছে তাতে একটা সেলসের সুর আছে যে ওপেন সোর্স সফটওয়ার এবং ফ্ল্যাট ফাইলেই চলেগা।

    অতএব খসড়াটি যে কারণে তৈরি - রাজারহাটের রাস্তার উদা পশ্য - খসড়াটি সেই বেসিক জায়গাটিই অ্যাড্রেস করতে ব্যর্থ আপাতত। সবাই অন্য কাজে ব্যস্ত, নিজের জীবন আছে, এত কো-অর্ডিনেশন করা কঠিন সব মেনে নিলাম। মনে রাখবেন এই একই কনস্ট্রেন্টস যারা বর্তমানে আমলা, বর্তমান খবরের কাগজ সবার আছে।

    চমস্কি যখন ম্যানুফ্যাকচারিং কনসেন্ট তৈরি করছেন তখন বিভিন্ন খবরের কাগজ ওনাকে বলেছিল জানেনই তো আমাদের কনস্ট্রেইন্ট। উত্তরে চমস্কি বলেছিলেন একবার বুঝি, দুইবার বুঝি, বারবার বুঝি না। খসড়া নিয়েও আমার স্ট্যান্ডটি একইরকম প্রথমবার বা: - উৎসাহীত হয়ে অনেক পার্টিসিপেশন, দ্বিতীয়বার হতাশ তাও অনেক পার্টিসিপেশন, তৃতীয়বার রাগ। কেন? কারণ এই খসড়া শুধু আপনার শুভকামনা নয়, আমার জীবন, ট্যাক্স পেয়ার হিসেবে আমার টাকা ইত্যাদি।

    আমার জীবন নিয়ে পলিসি লিখতে আপনাকে কেউ মাথার দিব্যি দেয় নি। যদি লেখেন তাহলে তার প্রতি যথেষ্ট সম্মান জানিয়ে লিখুন, যদি যথেষ্ট সময় না থাকে তাহলে যেকোন একটি বিষয় নিয়ে লিখুন, কিন্তু তাতে যেন স্টেজে মেরে দিলাম জাতীয় বাংলা ল্যালা (গুচর অজ্জিনাল ল্যালা নয়) ছাপ না থাকে। তাহলেই আমি এবং আমার মতন হাজার হাজার ট্যাক্স পেয়ারদের কাছে আপনাদের জবাব দিতে হবে।

    আপনাদের হৃদয় নিয়ে প্রশ্ন নেই, প্রশ্নগুলো অন্য কোথাও। যা এই কদিন ধরে বলার চেষ্টা করলাম। আশা করি পরবর্তী ভার্সনে উন্নতি হবে। না হলে আবার চেঁচাব, এটাই আমার পলিটিক্স। বন্দেমতরম। :)

    এমনিতেই শিব ঠাকুরের দেশে কি কি জানি বিধানসভায় পাশ উঠে যাচ্ছে, এই অবস্থায় সরকারের ওপর বেশি বিশ্বাস করাও পাপ। তাই সরকার নেবার হলে নেবে এই নীতিতে আমি বিশ্বাসী নই।
  • pi | 72.83.74.17 | ২০ আগস্ট ২০১১ ১০:৩৬481461
  • "এবারে একটা রিয়েল লাইফ উদাহরণ দিই - গুজরাটে চেকপোস্টে এমনই গভর্নেন্সের ইমপ্লিমেন্টশন হয়েছে করাপশন রুখতে খরচ হয়েছে $14 মিলিয়ন, সময় লেগেছে ৯ মাস। কাজের কাজ কিছুই হয় নি মানে যেমন টাকা ঝাড়াঝাড়ি চলছিল তেমনই চলছে। তার বহুবিধ কারণ আছে তারমধ্যে একটা হল এক্সিংটিং প্রসেসটাই ঝুল ছিল।"

    পুরো রিপোর্টটা একটু দেখা যাক :

    http://www.iimahd.ernet.in/~subhash/pdfs/CHRIDraftPaper2003.pdf

    InterstateComputerisedCheckpostsinGujarat
    TencheckpostsoninterstatehighwaysenteringthestateofGujaratinIndiawerecomputerisedwiththeobjectiveoftighteningtheinspectionofincomingtrucksforoverloadingandvalidityofdocument.Theprojectwasimplementedin9monthsatatotalcostof$14million, ofwhichconstructionofroadsleadinguptothecheckpostsaccountedfor70%oftheexpenditure.Theessentialcomponentsofcomputerisationwere:avideocameratocaptureregistrationnumbersofincomingvehicles;electronicweighbridgeforweighingtrucktodetermineoverload;creationofadatabaseoftruckstoretrieveunladenweightofthetruck;andinstallationofawidecircuitvideocamarabasedmonitoringsystem.ThecentralofficeinthecapitalstateofAhmedabadwastoreceiveimagesfromthecheckpoststomonitortheactivitiesxiv.
    Ascomparedtothemanualsystemwhereonly2%oftheincomingtruckswereflaggedofftheroadforoverloading, thecurrentsystemenablesa100%check.Thesystemwasexpectedtoreducecorruptionbyautomatingthefinelevyingprocessonoverloadedtrucks.Therewasasubstantialincreaseinthefinecollectionover3yearsfrom$19millionto$50million.
    Judgedonthebasisoftherevenueincrease, theapplicationwasperceivedtobeverysuccessful.However, afterthetransportcommissioner, whoimplementedtheprojectwastransferredout (oneyear), manycomponentsoftheapplicationhavebeendisabled.Theprivateoperators, whoweremanningthekioskshaveleft, astheircontractwasnotrenewedbecauseofadisputeonthequotation.Arecentevaluationstudyindicatedthatrevenuecollectioncontinuestobeat$50millioninspiteofthesystemnotworking.

    :)
  • dukhe | 122.160.114.85 | ২০ আগস্ট ২০১১ ১০:৫৩481462
  • দেখুন, দুটো এক্সট্রিম । কতটা জেনে/ধারণা নিয়ে খসড়া লিখতে হবে । ০ ? না ১০০ ? কোনটাই নয় । এবার ব্যালেন্স পয়েন্টটায় পৌঁছনো গেছে কিনা, এই নিয়েই তক্কো । তো এগুলো অনেকভাবেই দেখা যায় ।
    ধরুন RTI । চালু করার আগে কস্ট বেনিফিট অ্যানালিসিস হয়েছে কিনা । বা জনলোকপাল । আন্না বা কিরণ বেদী অ্যানালিসিস করেছেন কিনা । বা ইস্কুলে শৌচাগার থাকলে পড়াশোনার ক্ষেত্রে কতটা উন্নতি হয় তার হিসেব । ইত্যাদি ।
    ধরুন ট্রেনের টিকিট কাটা । আমার ধারণা অনলাইন হয়ে সুবিধে হয়েছে । যে কাটে, তার সময় বাঁচে । যে বিক্রি করে (রেল), সেও কাউন্টারে চাপ কমাতে পারে এবং মনে করলে কাউন্টার তুলে দিতেও পারে । তাহলে কি চাকরি কমে গেল ? একদিকে, হ্যাঁ । কিন্তু প্রথমে তো সিস্টেম ডেভেলপমেন্টের কাজ হল । পরে লোকে ইন্টারনেট কিয়স্ক খুলে লোকে টিকিট বিক্রি শুরু করল । কর্মসংস্থানের বিকেন্দ্রীকরণ হল । ভুলভ্রান্তির সম্ভানা কমল । স্বচ্ছতা বাড়ল ।
    বা কর্পোরেশনের ট্যাক্স । অনলাইন জমা দিলাম । লাইন দিতে হল না । "সবার ট্যাক্স রেকর্ড হারিয়ে গেছে, পুরাতন রসিদ লইয়া অমুক তারিখে হাজিরা দিন" চিঠি আসা থেকে আশা করি মুক্তি পেলাম । টাকাপয়সা সরিয়ে ফেলার সুযোগ কমল ।
    আমি চাইব এরকম হোক । অন্যান্য ক্ষেত্রেও । সেইভাবেই চাইব ইস্কুলে ছাদ হোক । শৌচাগার হোক । এবং সেই ছাদ বা শৌচাগারের কাজ কেমন এগোচ্ছে, সেই টাকা অন্য দিকে চলে যাচ্ছে না সেটা ট্‌র্‌যাকেবল হোক । কিন্তু যদি এই প্রত্যেকটার রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট কষে দেখাতে বলেন, পারব না ।
  • Sibu | 184.195.43.36 | ২০ আগস্ট ২০১১ ১১:১১481463
  • সুভাসবাবুর পেপারের ডাটা সোর্স কিন্তু খুব ক্লিয়ার নয়। উনি ওনার লেখা আর একটা পেপারের বরাত দিয়েছেন। সেই পেপারে ওনার কো-অথর হলেন Pannervel, অর্থাৎ যে ব্যুরোক্র্যাট এই সেস্টেমটা ইমপ্লিমেন্ট করার উদ্যোক্তা ছিলেন। সেই পেপারের নীচে ডাটা সোর্স হল ট্রান্সপোর্ট কমিশনার অফ গুজরাট। কোন কমিশনার? Pannervel? সেটা খুব ক্লিয়ার নয়।

    হয়তো আমি কিছু মিস করছি?
  • pi | 72.83.74.17 | ২০ আগস্ট ২০১১ ১১:১৭481465
  • আকাদা তো এই পেপার থেকেই কোট করেছেন, তাই না ? :)

    রিটার্ন অব ইনভেস্টমেন্টের হিসেবই যদি দেখতে চান, তাহলে এমনি সিলেক্টিভলি কোট করে রিটার্নের পার্টটুকুনি উড়িয়ে দিলে হবে ? :)
  • Sibu | 184.195.43.36 | ২০ আগস্ট ২০১১ ১১:২১481466
  • না না, আমি কিছু উড়িয়ে দিচ্ছি না। যাস্ট পেপারের ডাটা সোর্স (ROI সহ) ক্লিয়ার নয় বলছি।
  • pi | 72.83.74.17 | ২০ আগস্ট ২০১১ ১১:২৩481467
  • আমি আকাদাকে বলেছি।
  • Sibu | 184.195.43.36 | ২০ আগস্ট ২০১১ ১১:২৭481468
  • দুখের ১০:৫৩-র পোস্ট। আরে আম্মো তো সেই কথাই বললাম। আমি কি চাই, কি রকম সুবিধা হলে ভাল হয়, সে কথা তো ঠিক আছে। কিন্তু সমাধান দিতে হলে একটা রিজনেবল আইডিয়া চাই কস্ট, ফিজিবিলিটি ইত্যাদি নিয়ে।
  • dukhe | 122.160.114.85 | ২০ আগস্ট ২০১১ ১১:৫৪481469
  • এই 'রিজনেবল' এর মাপকাঠিই তো সবার কাছে আলাদা হয়ে যাচ্ছে শিবুদা ।
    ইস্কুলে শৌচাগার আগে লাগবে নাকি ছাদ নাকি শিক্ষক এটা সার্ভে এবং সেই ডেটা অ্যানালিসিস করে বের করার আগে কি কোন ইস্কুলে ছাদ বানানো হবে না ?
  • Sibu | 184.195.43.36 | ২০ আগস্ট ২০১১ ১১:৫৮481470
  • দুখে, ঠিক। তো আমার কথা হল, লেট গভর্নমেন্ট প্রায়োরিটাইজ। আমার কাছে ডাটা বা রিসোর্স কোনটাই নেই। কিন্তু ট্যাক্সপেয়ার হিসেবে আমার একটা আউটকাম একে্‌স্‌পক্টেশন আছে। আমি ঐ এক্সপেক্টেশনটা বলব। এর চেয়ে বেশী হলে আমি ঐ এক্সপেক্টেশনটাকে পারফরম্যান্স মেট্রিকের টার্মসে বলব। কিন্তু যদি বলি ঠিক এই কর, তখন ডিটেলে না গেলে আমি আমার দায়িত্ব পালন করলাম না।
  • Sibu | 184.195.43.36 | ২০ আগস্ট ২০১১ ১২:০১481471
  • অর্থাৎ, এই শিক্ষার ক্ষেত্রে আমার আউটকাম এখপেক্টেশন হল ছেলেরা শিখবে। এর পর আমি বলতে চাইব কি করে ছে্‌লরা শিখল কিনা মাপা যাবে। কিন্তু ছদ, না পাখা না সিক্ষক কোনটা আগে সে সরকারকেই ঠিক করতে বলব।
  • dukhe | 122.160.114.85 | ২০ আগস্ট ২০১১ ১২:১০481472
  • আমার মনে হওয়া একটু আলাদা । আমি বলব -
    ইস্কুলের ছাদ বানাও, শিক্ষক দাও, শৌচাগার বানাও ।
    এটার কোন অর্ডার নেই । সরকার প্রায়রিটাইজ করবে । আমি বললেও করবে । না বললেও ।
    এবং সরকার এর বাইরের অন্য কোন পয়েন্টেও (যেমন সিলেবাস) জোর দিতে পারে ।
  • Ishan | 117.194.40.80 | ২০ আগস্ট ২০১১ ১২:২১481473
  • কমরেড আকা বেসিক জায়গাটাই মিস করছেন। দোষের কিছু নেই। টেকনোক্র্যাটরা সাধারণভাবে এই ভুলটা করেন। আমি ছোটো করে লিখি।

    খসড়ার পূর্বশর্ত অংশটি একটু মন দিয়ে পড়ুন। এর মূল উদ্দেশ্য হল, আগেই যেমন বলেছি, এক। দক্ষতার একটি মাপকাঠি বানানো। দুই। দক্ষতা বাড়ানো এবং জনমুখী করে তোলা। প্রশাসনের অ্যাকাউন্টেবিলিটি বাড়ানো, ভালো পরিষেবা দেওয়া, টাকার অপচয় রোধ, এগুলো এই দুটো পয়েন্টের বাই প্রোডাক্ট।

    এবার দক্ষতা কেমন করে বাড়ানো যবে? তার মূল সূত্রটা হল কিউ এ বা নজরদারি। এর দুটো ভাগ। এক প্রশাসনিক নজরদারি। দুই, সামাজিক নজরদারি, বা নজরদারির উপর নজরদারি। এই দ্বিতীয় পয়েন্টটি প্রথমটিকে নিশ্চিত করবে। মানে সামাজিক নজরদারিকে ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারলে সেটাই প্রশাসনিক নজরদারির গ্যারান্টি হিসেবে কাজ করবে।

    এবার প্রশাসনিক নজরদারির পদ্ধতিগুলোর অনেক গুলো আউটলাইন আছে। বিশেষ কমিশন, ওঅয়েব ক্যাম, ই-গভর্নেন্স ইত্যাদি। আর সামাজিক নরদারির অনেকগুলি সম্ভাব্য প্রকরণের কথা বলা হয়েছে। যথা: সামাজিক অডিট, অভিযোগ সেল, মোবাইল, ইন্টারনেট, টিভি।

    এবার এতগুলো পয়েন্টের মধ্যে ই-গভর্নেন্স একটি পয়েন্ট মাত্র। তার বেশি কিছু নয়। গভীরে গেলে দেখা যাবে এটি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নরকম হতে পারে। এমনকি কোনো কোনো জায়গায় এর দরকার নাও হতে পারে (বিশ্বাস করুন, এরকম সরকারি দপ্তর আমার জানা আছে, যেখানে লোকের দিনে দুটো ফাইল নাড়ানো ছাড়া কোনো কাজ নেই। সেখানে ই-গভর্নেন্স নামক ওভারহেডটি আদৌ ইমপ্লিমেন্ট করার দরকার আছে কিনা ভাবার বিষয়)।

    এবার কোন জায়গায় ই-গভর্নেন্স কতটা দরকার কিভাবে দরকার, তার সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিতে পারব, এ কথা বলার মতো বুকের পাটা আমার নেই। ওটা হয় পুরো সিস্টেমটা খতিয়ে দেখে তারপরই বল যেতে পারে। যেটা আমি বা অমরা করার মতো অবস্থায় নেই। অথবা পুঁথিপড়া ওস্তাদরা পুঁথি দেখে বলে দিতে পারেন, যে পদ্ধতিতে আমরা বিশ্বাস করিনা।

    সেই কারণেই আমাদের খসড়া হল খসড়া। কি কি ভাবা যেতে পারে, তার পয়েন্টার। ই-গভর্নেন্সের ইমপ্লিমেন্টেশন ডিটেলস নয়। আবার বলছি রাইটার্স বিল্ডিং এ ফাইলগুলি কিভাবে স্তূপ হয়ে পড়ে থাকে, কিভাবে নষ্ট হয়, অ্যাক্সেস ক®¾ট্রাল কিভাবে হয়, কোন ডিপার্টমেন্ট কার সঙ্গে কিভাবে ইনটর‌্যাক্ট করে, বিজনেস প্রসেস কতটা সরল করা যায়, এগুলো খতিয়ে না দেখে ও নিয়ে কিচ্ছু বলা যাবেনা। যিনি পারবেন বলে দাবী করেন, তিনি হয় টিয়াপাখিওয়ালা নয় এক্ষপার্ট। :)

  • Ishan | 117.194.40.80 | ২০ আগস্ট ২০১১ ১৪:৫৭481474
  • হ্যাঁ, সঙ্গে আকার স্পেসিফিক বক্তব্যটার উত্তরও দিয়ে দিই। আকা বলেছেন : "তা বলে খসড়ায় কি ডিসাইন ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে? কস্ট হেডগুলি সম্পর্কে একটা ধারণা থাকতে হবে। ইমপ্লিমেন্টেশন কমপ্লিকেসি সম্পর্কে একটা ধারণা থাকতে হবে।'

    এখানে আকা পরিষ্কার দিবাস্বপ্নে ভুগছেন। কোন বিভাগে ই-গভর্নেন্স দরকার, কোন বিভাগে আদৌ দরকার নেই সেটাই আমরা জানিনা। জানার কোনো চান্সও নেই। এমনকি পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি কিরকম আমরা সেটাও আদৌ জানিনা। পুরো রিকোয়্যারমেন্টটা কি সেটা নিয়েই আমাদের কোনো ধারণা নেই। এখানে দাঁড়িয়ে কস্ট হেডগুলো বার করা অসম্ভব।

    বলতে পারেন, কস্ট হেড নাহয় বাদ গেল, সম্ভাব্য কমপ্লিকেসিটা কেন ধরা হয়নি। ধরা হয়নি, কারণ, সেটাও আমরা জানিনা। শুধু এইটুকু বলতে পারি, যে, বিপুল খরচে ছয় লেনের ইনফরমেশন এক্সপ্রেসওয়ে না বানিয়ে সস্তায় ফুটপাথওয়ালা একটা এক লেনের রাস্তা বানিয়েও হয়তো কাজ চলতে পারে। নজরটা সেদিকেই দেওয়া উচিত। ফোকাসটা সেখানেই হওয়া উচিত। আমরা ঠিক সেটুকুই বলেছি।
  • aka | 75.76.118.96 | ২০ আগস্ট ২০১১ ১৬:৩৭481477
  • হ্যাঁ পাই ঐ রিপোর্টটাই, নজরদারি নজরদারির ওপরে নজরদারি সবকিছু করেও কিছু রোখা যায় না। শুধুই ইমপ্রুভামেন্ট নয় রোখার কথা বলেছি। কেন না, এখানেই একটা জায়গায় ফাণ্ডামেন্টাল ভুল হচ্ছে বলে আমার মনে হয়। নজরদারি বাড়িয়েও কোন কিছু বন্ধ করা যায় না। তাহলে আমেরিকায় সরকারী দপ্তরে কোন ইনএফিশিয়েন্সি থাকত না, করাপশন থাকত না। কিন্তু এই মুহূর্তে ১৪ মিলিয়ন দিয়ে ই-গভর্ননেন্স করবেন নাকি ম্যানুয়াল নজরদারি বাড়িয়ে রাস্তা বানানোর কাজে নামবেন সেটাই প্রশ্ন। একটায় আরওআই পাওয়া যেতেও পারে নাও পারে (উদাহরণ চাইলে নেগেটিভ উদাহরণও দিতে পারি) সেখানে এরকম জায়গায় টাকা ইনভেস্ট হবে নাকি রাস্তা বানানোর কাজে? যা আর কিছু না করুক ইমিডিয়েটলি এমপ্লয়মেন্ট দেবে।

    ঈশানের কাছে বেসিক প্রশ্ন পুঁথি পড়া চলবে? না চলবে না? আমি কনফিউজড।
  • dukhe | 122.160.114.85 | ২০ আগস্ট ২০১১ ১৬:৪৫481478
  • আকা কি বলছেন ইমপ্রুভ করে ১০০ তে পৌঁছনো না গেলে ইমপ্রুভ না করাই ভালো ?
  • aka | 75.76.118.96 | ২০ আগস্ট ২০১১ ১৭:৩৪481479
  • না কিন্তু নজরদারি বাড়ালেই মোক্ষলাভ হবে এটা নয়, এই নিয়ে বেশ কিছু কথাবার্তা আগে হয়েছে, সেখানে এটাই দাবী ছিল যে নজরদারি না বাড়িয়ে পাব্লিক স্পেণ্ডিং করে লাভ নেই। আমি বলছি সম্পূর্ণ নজরদারি বাড়িয়ে তারপরে পাব্লিক স্পেণ্ডিং করবেন এই ধারণা আপনারা যা অপছন্দ করেন অর্থাৎ সম্পূর্ণ পারফেকশনে পৌঁছে তারপরেই এগোব তার সাথে তুল্য মুল্য।

    দুই, যদি দাবী সনদই তবে বাজেটের কথা এত ভাবা কেন? ইত্যাদি ইত্যাদি।
  • Sibu | 68.27.229.121 | ২০ আগস্ট ২০১১ ১৭:৩৫481480
  • দুখে, মোটামুটি এগ্রি করলাম। হ্যাঁ, কিছু কিছু আইটেম মনে হয় বলে বলতেই পারি। কিন্তু সরকার কি করবে সে তার ব্যাপার। আমার কথা হল এক্সপেক্টেশন আউটকাম মীট করল কি না। তো ঐ আউটকাম মাপার জন্যে মেট্রিক ও অ্যাকসেপ্টেবল থ্রেশোল্ড, সেগুলোর ওপরে জোর দিলে গুরুর দিক থেকে ঠিক আছে।
  • aka | 75.76.118.96 | ২০ আগস্ট ২০১১ ১৭:৪৩481481
  • দুখের Date:20 Aug 2011 -- 12:10 PM এই পোস্টটির সাথে আমিও এগ্রি করলাম। তাই তো বলেছিলাম। সমস্ত দাবী দাওয়াকে সুতো বেঁধে পাঠিয়ে দেওয়া হোক। অনেকক্ষণ ধরেই বলছি, অনেকদিন ধরেই বলছি।
  • Ishan | 117.194.40.80 | ২০ আগস্ট ২০১১ ১৯:০২481482
  • আকাকে আরো পরিষ্কার করে বোঝাই। এই ধরুন গুরুচন্ডালি সাইট। এইটা করতে গিয়ে সাধারনভাবে ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে পন্ডিতরা যে সলিউশন বাতলান, তার প্রায় কিছুই অনুসরন করা হয়নি। এর ব্যাক এন্ডে কোনো ডেটাবেস নেই। এখনও।

    কেন নেই? একটা ছোট্টো ডেটাবেস ডিজাইন করা কি খুব হাতিঘোড়া জিনিস? একেবারেই না। তাইলে নেই কেন। কারণ এর রিকোয়্যরমেন্টটাই আলাদা। সাইটে দিনে তিরিশ হাজার হিট আর সেটা সর্ভ করার জন্য সার্ভার মেমারি তিনশো এমবি। তার মধ্যে আপনি অ্যাপ্লিকেশন সার্ভার, ডেটাবেস, মিডলওয়্যার কম্পোনেন্ট, সব ঢোকাবেন ক্যামনে? ফ্ল্যাট ফাইল ছেড়ে একটা খুব লাইটওয়েট কনটেন্ট রিপোসিটারি ধরেছিলাম, কয়েক হাজর টই হয়ে যাবার পর তাতেও নাভিশ্বাস উঠছে।

    অনেকেই আমাকে এই নিয়ে উপদেশ দিয়েছেন। ভালো কথাই বলেছেন। আমি বলেছি যা বলছেন সবই ঠিক। কিন্তু রিকোয়্যারমেন্টটা দেখেছেন কি? যখন হার্ডওয়্যার বাদাম ভাজার মতো সস্তা হবে, তখন সব পরামর্শ গ্রহণ করা যাবে, কিন্তু তার আগে বিজনেস ক্লায়েন্টদের জন্য যা করেছেন, যা পড়েছেন, সব ভুলে আসুন। বেসিক থেকে চিন্তা করুন। নইলে কিস্যু হবেনা।

    পরিস্থিতি বিচার না করে স্রেফ পুঁথি দিয়ে বিচার করাকে আমি বলছি পুঁথি পড়া বিদ্যে। সেই বিদ্যের উপর আমার কোনো অশ্রদ্ধা নেই। কেনইবা থাকবে, আমিও তো তাই করেই খাই। কিন্তু সেটা পরিস্থিতির কারণে এখানে কোনো কাজে লাগেনি।

    কিন্তু তার মানে কি আর পুঁথি পড়া বারন? পুঁথি না পড়েল বেসিক প্রোগ্রামিংটাই বা জানব কিকরে?

    পু: এতেও কিলিয়ার না হলে আকাকে কবিগুরুর তোতাকাহিনী পড়তে অনুরোধ করছি। :)
  • Sibu | 184.195.160.24 | ২০ আগস্ট ২০১১ ১৯:০৯481483
  • বেসিক থেকে চিন্তা করা আর ডিটেল অ্যাভয়েড করা, এ দুটোর কি সম্পক্কো আকা কি বুঝল? :)
  • Ishan | 117.194.40.80 | ২০ আগস্ট ২০১১ ১৯:১১481484
  • আর সমস্ত দাবীকে সুতোয় বেঁধে পাঠিয়ে দেওয়া একটি অ্যাবসার্ড প্রোপোজিশন। প্র্যাকটিকালি। কারণ, "আগরপাড়ার অটো চালকদের দুর্ব্যবহার দূর করা হোক', "বেলঘরিয়ার ফ্লাই ওভার তাড়াতাড়ি শেষ হোক', "সমস্ত হাসপাতাল সুন্দর হোক', "পরিবেশ দূষণ বন্ধ করতে হবে', জেনেরিক-স্পেসিফিক নির্বিশেষে এই জাতীয় সমস্ত দাবীকে একসঙ্গে বেঁধে পাঠিয়ে দেবার কোনো অর্থ হয়না। লোকে গুরুত্বও দেবেনা। প্র্যাকটিকালি করাও যাবেনা।

    আগেই বলেছি, আমদের একটি অ্যাজেন্ডা আছে। তার দুটো পয়েন্ট। এক, এই ব্যবস্থায় কিছু কাজ করা যায়। দুই, সেটা করা যায় এই ব্যবস্থাকে দক্ষতর করে তুলেই।

    এই দুটো পয়েন্ট হল আমাদের প্রাথমিক সুতো। বাকি সুতো গুলোও এই লাইন থেকেই উদ্ভুত। অন্য দাবীদাওয়া গুলো সবই ঠিক আছে, কিন্তু সব সুতো দিয়ে সব কিছু সেলাই করা যায়না। এটা তো বুঝতে হবে।
  • Sibu | 184.195.160.24 | ২০ আগস্ট ২০১১ ১৯:২১481485
  • এবং ডিটেলে না গিয়েই এই ব্যবস্থাকে দক্ষতর করা যায়।
  • Sibu | 184.195.160.24 | ২০ আগস্ট ২০১১ ১৯:২৭481486
  • আর ঐ হার্ডওয়্যার সস্তার ব্যাপারটা বুঝলাম না। এত্ত ক্লাউড সার্ভিস আছে। তার মধ্যে ফ্রী সার্ভিসও আছে।
  • aka | 75.76.118.96 | ২০ আগস্ট ২০১১ ২০:১০481488
  • ঈশানকেও তাই বলছি রিকোয়ার্মেন্টটা বুঝুন -

    লোকের দরকার চাকরি অথচ আপনি সলিউশন ঠুকছেন ই-গভর্নেন্সের।

    প:ব:য়ের আয় থেকে ব্যায় বেশি আপনি বলছেন নজরদারি বাড়িয়ে ব্যায় কমাও। যদি জিজ্ঞেস করি নজরদারির ব্যয় কেমন? বললেন বেশ কম 'ওপেন সোর্স' সফটওয়ার ব্যবহার করলেই হবে। দেখা গেল তাতেও কস্ট কিছু কম নয়, তখন বললেন অত হিসেব করা যায় না সেটা নাকি দিবাস্বপ্ন।

    ছাত্রদের মাথায় ছাদ নেই তাদের বিকল্প শিক্ষা ব্যবস্থার ওপেন বুক এক্সাম দেখাচ্ছেন।

    কমরেড শুধুই ফুকো, দেরিদা, পোকো, পোমো, এমাইটির পেপার না দেখিয়ে রিকোয়ারমেন্টা বুঝুন। যদি তাতে বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে রবী ঠাকুরের তোতা কাহিনীটা একবার পড়ে দেখতে অনুরোধ করব।

    বাইরে থেকে সাধারণ মানুষ হিসেবে এক মেকলের সন্তানরা প্রতিস্থাপিত হচ্ছে অন্য মেকলের সন্তান দিয়ে। শুধু তাই নয় এই মেকলের সন্তানরা নিজেদের অ্যাজেন্ডা দিয়েও বায়াসড। এই ব্যবস্থার বাইরে যদি অন্য কোন সলিউশন থাকে তা নিয়ে আপনারা ভাববেনই না। কারণ তা আপনাদের অ্যাজেন্ডায় নেই। এই অবস্থায় এই খসড়া কিছু লোকের ব্যক্তিগত বায়াসের মধ্যে থেকে বানানো ব্যক্তিগত উইশ লিস্ট ছাড়া আর কিছুই দাঁড়াল না কিন্তু। এটা কিন্তু আমি বলছি না আপনাদের লজিকেরই কনক্লুশন।

    তাতে আপত্তি কি আছে? আছে এইটুকুই যে আপনাদের উইশ লিস্টের সাথে সাধারণ জনগণ হিসেবে আমার ইন্টারেস্ট ক্ল্যাশ করছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন