এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • নতুন সরকারের শিক্ষা স্বাস্থ্য শিল্পনীতি ইত্যাদি-৬

    pi
    নাটক | ১১ আগস্ট ২০১১ | ১৫৮১৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pinaki | 14.99.1.226 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ০০:২৭481389
  • একটা ব্যাপার গোলমাল হয়েছে। আমি খসড়া এক লাইনও লিখি নি। খসড়া বানানোতে আমার কোনো অবদান নেই। বিশেষজ্ঞ (কবে হলাম এবং কিসে হলাম সেইটা না জানলেও হয়েছি জেনে ভাল্লাগলো) হিসেবে কিছু কোলেট টোলেটও করি নি। গোটা খসড়া এপিসোডে আমার অবদান জিরো।

    তবে হ্যাঁ। কিং না হলে কি কিং মেকার হতে নেই? খসড়া প্রণেতাদের নিয়মিত উৎসাহদান (সুযোগ পেলে চা বিড়িও খাওয়াতাম, নেহাৎ পাই নি) ইত্যাদি ডিলিজেন্টলি করেছি। এবং ভুল্লে চলবে না - এই গুরুর পাতায় দাবীসনদের প্রথম প্রস্তাবটিও আমারই দেওয়া। কাজেই আমাকে খসড়া প্রণেতা বললে - হেঁ হেঁ, মানে - খুব আপত্তি কিছু নেই। :-) তবু, ইয়ে সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত হওয়া তো খুব খারাপ। তাই সত্যিটা জানিয়ে রাখলাম।

    কমরেড আকার বাকী কথা নিয়ে তিন দিন পরে লিখবো। আপাতত: আউট অফ স্টেশন আছি।
  • Ishan | 117.194.33.212 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ০০:৩৪481391
  • ডাক্তারি শাস্ত্রটা যখন জন্মেছে তখন ডাক্তার বলে কিছু ছিলনা। ফলে ডাক্তারের কাছে যাবার অপশনও ছিলনা। ল্যালা লোকে এটা সেটা ট্রাই করতে করতেই চিকিৎসাশাস্ত্রের জম্মো দিয়েছে। আকার থিয়োরি মেনে ন্যাচারাল হিলিং এ বিশ্বাস করলে চিকিৎসাশাস্ত্র নামক বস্তুটার অস্তিত্বই থাকতনা। অন্য কোনো শাস্ত্রেরই থাকতনা অ্যাজ সাচ।

    কি ভাগ্যিস আদিম মানুষরা "এক্ষপার্ট না পেলে হাত গুটিয়ে বসে থাকুন' -- আকার এই আপ্তবাক্যে বিশ্বাস করেনি। তাহলে ডাক্তারও থাকতনা, কম্পুও থাকতনা, এই ভাট মারাও হতনা, খসড়া তো দূরস্থান। :)
  • ppn | 112.133.206.22 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ০০:৩৪481390
  • পিনাকী স্যার আফনার নাম খসড়া-২-এর নিচে জুলজুল করে তাকায়ে আসে।

    স্যার পিনাকী মিত্তির। এইডাই তো নাম আফনার?
  • aka | 168.26.215.13 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ০০:৪১481392
  • ঠিক এইটা করতে করতেই মানুষ শিখেছে, FDA অ্যাপ্রুভ না করলে ড্রাগ বাজারে বিকোবে না, ইঞ্জিনিয়ার অ্যাপ্রুভ না করলে ব্রিজের আর্কিটেকচার থেকে ব্রিজ বানানো হবে না। ইনোভেশন কে ইমপ্লিমেন্টেশনের থেকে আলাদা করে নেওয়া হয়েছে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকেই। আপনি যদি মানব সভ্যতার এই দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাকে অস্বীকার করেন তাহলে চাকাও আপনাকে আবার নতুন করে ইনোভেট করেই গাড়ি চড়তে হবে।
  • pinaki | 14.99.1.226 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ০০:৪৫481393
  • সে কি আর জানি না? নিশ্চই কোনো দিন কাউকে ফোনে সুচিন্তিত মতামত দিয়েছিলাম। তবে দাবীসনদের প্রস্তাবটা দেওয়ার তো একটা ভ্যালু আছে না কি? ওটা না দিলে তো খসড়াই হত না। নাহয় তার জন্যেই নামটা থাকল।

    কিন্তু কমরেড কি হাল্কা নজর দিলেন? নাকি নিছক কৌতূহল? নজর দেওয়া একদম ভালো অভ্যেস নয়।
  • ppn | 112.133.206.18 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ০০:৪৭481395
  • না না নজর নয়। জাস্ট কনফিউশন।
  • pinaki | 14.99.1.226 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ০০:৪৭481394
  • কমরেড প্পনকে।
  • pinaki | 14.99.1.226 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ০০:৫৩481396
  • হ্যাঁ। তাইলে ঠিকাছে। আসলে সরকারের লিস্টিতে নাম উঠে গেছে তো, যে কোনো দিন সেলিব্রিটি হয়ে যেতে পারি। এই সময় বেশী নজর লেগে যাওয়া ভালো নয়।
  • ppn | 112.133.206.18 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ০০:৫৪481397
  • তবে একটা সিরিয়াস কোশ্ন সত্যি আছে। খসড়া-২-এর শুরুতেই বলা হয়েছে সময়ের চাপে কিছু জিনিস আরো গুছিয়ে দেওয়া গেল না। মানে, এইরকমই ছিল কিছু একটা (লক্ষ করুন কোটেশন মার্ক দেই নাই)।

    তো, আকার এই কোশ্নটা আমারো পেয়েছিল। ভোটে জিতে আসার পরে নতুন সরকারের এক মাসও হল না। এত ক্ষীসের সময়ের চাপ? এ ক্ষি র‌্যাপিড চেস খেলা নাকি? আর মাস দুয়েক গড়ালে ক্ষী ক্ষতিবৃদ্ধি হত?
  • ppn | 122.252.231.10 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ০০:৫৮481399
  • হ্যা: লুরু চ্যাপ্টার থেকে বিশিষ্ট পকাবুদের মধ্যে থেকে আমার আর ন্যাড়াদার নাম বাদ গেছে সে ক্ষি আর আমাদের চোখ এড়ায় নাই? তো, আমি আর ন্যাড়াদা ঠিক করেছি আমাদের নেটওয়ার্কিং আমরা নিজেরাই কাজে লাগাবো। বাকিদের জন্য থাকবে ঘন শ্যামল বর্ণের একটি কাঁচকলা।

    (কমরেড পিনাকীরে কইলাম)
  • Ishan | 117.194.32.70 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ০৮:২৬481400
  • আকা প্রশ্ন না পড়ে উত্তর দেন। আকা প্রথমে কইলেন এক্ষপার্ট না মিললে ন্যাচারাল হিলিং ই ভালো। আমি বললাম এক্ষপার্টের অভাবে ন্যাচারাল হিলিং এর অপেক্ষায় মানুষ কস্মিনকালেও বসে থাকেনি। তাইলে আজকের এই অবস্থায় পৌঁছনো যেতনা। জবাবে আকা কইলেন, সেই জন্যই FDA ইত্যাদি এসেছে। নইলে চাকা পুনরাবিষ্কার করতে হবে ইত্যাদি।

    তা, কমরেড আকা, কথা হচ্ছিল এক্ষপার্ট না জুটলে (চাকার ক্ষেত্রে ছুতোর কামার ইত্যাদি না জুটলে) কি করিতে হইবে। আপনার মতে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে হবে। তাতেই মোক্ষ। আমার মতে তার চেয়ে চাকা বানানোটা পুনরাবিষ্কার করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

    এই দুটো অবস্থানের মধ্যে কোনটা যুক্তিযুক্ত মনে হয়, আপনিই বলুন।

    বাকি কথা পরে বলছি।
  • Ishan | 117.194.32.70 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ০৮:৩৯481401
  • আকার কাছে আগের কোশ্নোটার জবাব চাইছি। কিন্তু তার সঙ্গে আরও কটি কথা লিখে নিই। যখন আমি মনে করছি এক্ষপার্ট না জুটলে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকার কোনো মানে নেই, সেটা তো ঠিকই আছে, আপাত: দৃষ্টিতে। কিন্তু এইখানে একটা কোশ্নোও আসতে পারে, এক্ষপার্টের অভাব টা কি? সরকারের তো ডিপার্টমেন্টেরও অভাব নাই, এক্ষপার্টেরও অভাব নাই। প্ল্যানিং কমিশন আছে প্ল্যান করার জন্য। গাদা গাদা বিশেষজ্ঞ, গুচ্ছের সায়েন্টিস্ট, ইকনমিস্ট থেকে শুরু করে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে স্ট্যাটিস্টিশিয়ান পর্যন্ত, কোনো কিছুরই অভাব নাই। তাহলে এক্ষপার্টের অভাব বলছি কেন?

    এর উত্তরটাও খুঁজুন কমরেড। আমি নাহয় পরে বিশদে ব্যাখ্যা করব। কিন্তু চাদ্দিকে কিছু উদাহরণ নিন।

    ধরুন, বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য দামোদরের বাঁধ। এক্ষপার্টরা বানিয়েছেন। তাঁদের মধ্যেও মতবিরোধ ছিল, কিন্তু আল্টিমেটলি যাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা এক্ষপার্টই। এই বাঁধগুলি বানানো হয়েছিল বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য, কিন্তু এক্ষপার্টদের তুমুল ইনপুট সত্বেও সেটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বন্যা বানানোর কল। দক্ষিণবঙ্গে এখন যে বন্যা হয়, তার অন্তত ২৫ থেক ৫০ শতাংশ একার কৃতিত্বে ঘটায় দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন।

    নগরায়নের উদাহরণ নিন। কলকাতা বাড়ছে। কোন দিকে বাড়ছে? না পুব দিকে। যেদিকে কলকাতার "স্বাভাবিক' নিকাশী ব্যবস্থা ছিল। সেই নিচু জমি/জলাভূমি বুজিয়ে ফেলে তৈরি হচ্ছে নগর। ফলে বাটির মতো শহর কলকাতা জলবন্দী হচ্ছে। এবং হয়েচি চলেছে। এই পুব দিকে শহর বাড়ানোর সিদ্ধান্তটা কিন্তু এক্ষপার্টরাই নিয়েছেন। সম্ভবত প্রচুর ভাবনা-চিন্তা করেই।

    আপাতত: এই গুলো নিয়ে একটু ভাবুন। বাকি আমি আবার অমার পরের কিস্তিতে লিখব। :)
  • aranya | 144.160.98.31 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ০৮:৫৯481402
  • এক্সপার্টরা অনেকক্ষেত্রেই বায়াসড, নিজেদের ভেস্টেড ইন্টারেস্ট আছে, বা অন্যের ভেস্টেড ইন্টারেস্টের সামনে মাথা নত করতে হয় তাদের। কলকাতা পূব দিকে বাড়াটা, জলাভূমি বুজিয়ে - এটাতো পরিষ্কার জমি মাফিয়াদের চাপে হচ্ছে। দামোদরের বাঁধ অনেস্ট মিসটেক না ইচ্ছাকৃত ঘাপলা - জানিনা।
  • pi | 128.231.22.133 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১০:১১481404
  • আকাদার কিছু মন্তব্যে ঠিক ভালো লাগছে না। এই আলোচনায় আমি আর থাকতে চাই না। এমনিতেও অনেক সময় গেছে। ব্যস্ততা সকলেরই থাকে।

    একটা জিনিস জানানোর ছিল। এখানকার আলোচনা, তর্ক থেকে খসড়ার দ্বিতীয় ভার্শনে কিছু গেছে বা বদল হয়েছে কিনা সেটা খসড়ার প্রথম আর দ্বিতীয় ভার্শন পড়লেই বোঝা যাবে।

  • abastab | 61.95.189.252 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১১:০৬481405
  • একমাত্র অঙ্কেই ব্যাপারটা পরিষ্কার।
  • anipa | 108.194.169.197 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১১:৪৫481406
  • প্লেনামের মিনিটস পড়লাম. এবার 'পারফেক্ট' হবার দিকে এগোয়-
    দুটি মোক্ষোম পয়েন্ট--
    ১) খসড়া তেমন দাড়ায়নি , ২) জনমত কালেকশানের প্রচেষ্টা , যা হলে, আলাদা কিছু হত .
    তর্কের খাতিরে ১ মেনে নিলেও ২) দেখা গেল ঠিক না লোকে এন্টার মেল প্রশ্ন দাবি দাওয়া ছড়িয়ে রেখেছেন .
    আরও দেখা গেল, খসড়া বস্তুটি 'ঘটমান বর্তমানে' বিরাজ করে , অর্থাৎ এর ইনপুট হিসেবে ২) ও .
    মানে, নাথিং হ্যাস বিন লাস্ট ইয়েত , পিকচার স্টিল রিমেনস
    এসবের মধ্যে একটাই আশংকা :
    ১)এর ইমেদিয়েত ইমপ্যাক্ট হিসেবে
    -৩) খসড়া প্রকাশের সাথে সাথেই এর দ্রুত প্রয়োগ , এই এই কিছুদিনের মধ্যেই. যার ফলস্বরূপ - ক্যান্সার , সাপ, টাইপ টু
    এ বড়ই অমূলক. খসড়া খুব অবভিয়াস বাজে হলে, সরকারী বিশেষজ্ঞ রা রিজেক্ট করে দেবেন.
    তাছাড়া জিনিষটা গোদা- পরে বুঝে ভাবা সময়সাপেক্ষ. যদি না ঐ রুপকথা গুলোর মত হয়,
    'এ খসড়া যাহার নিকট যাইবে, তিনি প্রথম পৃষ্ঠা উল্টালেই অহল্যা দশা প্রাপ্ত হইবেন '
    তবু, ঐ 'অবিশ্বাস করিতে অক্ষম' মানুষদের কথা ভেবে একটা এক্‌স্‌ট্‌রা ডি: যোগ করে দিলে হয়. এমনিতেই যখন এত মজুত.
    আমিও তাহলে প্রথম স্টেপ নিতে পারি .
  • anipa | 108.194.169.197 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১১:৫৭481407
  • আচ্ছা টাইপ টু কি ? মিস করে গেছি . আবার পিছিয়ে পড়ব. আকাদা কোথায় টাইপ টু বলার জন্য দু:খ প্রকাশ করলেন.
    এটা কি আমাদের ছোটবেলার 'নাম্বার ওয়ান ' নাম্বার টু' র মত . নাম্বার টু নাম্বার ওয়ানের থেকে অনেক বেশি নোংরা ইঙ্গিত বহন করত
    আর এক ভয়, গুরুর আঁতেল পাবলিক, খিস্তিকেও ক্যাতিগরায়জ করে ফেলেছেন . টু = নন-ভেজ .
    পড়ে আসি
  • Ishan | 117.194.32.70 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১২:৫৫481408
  • হ্যাঁ, এবার তৃতীয় কিস্তি। জলাভূমি বোজানো তো ছোটোখাটো জিনিস। এবার একটু কেউটে ধরা যাক। :)

    ভারতবর্ষের বহু প্রচারিত পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় আসি। সোভিয়েতের প্রত্যক্ষ মদতে সোভিয়েত মডেলের অনুকরণে পোচ্চুর এক্ষপার্টের ইনপুটে কেন্দ্রীয় সরকার উন্নয়নের এই মডেলটি চালু করেন (বৃহৎ নদীববঁধ এই মডেলেরই ফসল)। আশা ছিল এরপর সোভিয়েতের মতই লাপিয়ে লাপিয়ে বৃদ্ধি বিকাশ এসব হবে। এক্ষপার্টরা পোচ্চুর আঁক-টাঁক কষে আমাদের নানা স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। কেমন স্বপ্ন? সেই পুরাতন সোভিয়েত নারীর স্বাস্থ্যবতী নারী ও গুবলু শিশুরা ট্রাক্টরের উপরে চড়ে আপিল খাচ্ছে -- এই ছবি স্মরণ করুন। (সোভিয়েতের লোকে নাকি কস্মিন কালেও ঐ কোয়ালিটির কাগজ চোখে দেখেনি, সে অন্য গপ্পো)।

    তা গুচ্ছের পঞ্চবার্ষিকী এল এবং গেল। একেবারে কিছুই হয়নি বললে মিথ্যা কথা বলা হবে। কিন্তু ট্রাক্টরের উপরে চড়া ঐ সুন্দরী মা? না: সেখান থেকে বহু যোজন দূরে। শিক্ষা-স্বাস্থ্য ইত্যাদি মাপকাঠির কথা সকলেই জানেন, সে আর পুনরাবৃত্ত করলাম না।

    তা, কিওশ্নো হল, পুঁথিপড়া এক্ষপার্ট ও সমাজকল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিবিদরা এতো আঁক কষা পরিকল্পনা নিয়ে মুখ থুবড়ে পড়লেন কেন? কিঁউ? কিঁউ কিঁউ? স্রেফ ধান্দাবাজি বা অবলিগেশনকে দোষ দিলে হবেনা। স্বাধীনতার পরের উন্মাদনা উৎসাহ এগুলো মাথায় রাখবেন। প্লাস ভারতের শ্রেষ্ঠ মাথারা (সম্ভবত সোভিয়েতের শ্রেষ্ঠ মাথারাও) হাতে হাত মিলিয়ে নীতি নির্ধারণ করেছিলেন। তাহলে কেন এই দুর্গতি?
  • PT | 203.110.243.21 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১৩:০৮481410
  • ""ল্যালা লোকেরা এটা সেটা ট্রাই করতে করতে চিকিৎসাস্ত্রের জম্মো দিয়েছে""-বাপরে কি ব্যাপক গবেষণাজাত সিদ্ধান্ত!! এইরূপ ল্যালা লোকেদের সংজ্ঞাটা কেউ জানাবেন?
  • Ishan | 117.194.32.70 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১৩:০৯481411
  • বামপন্থীরা এর একরকম করে উত্তর দিয়েছেন। সেইটা প্রথমে বুঝে নিই ঝট করে।

    নানা বর্ণের ও গন্ধের বামপন্থীতে দুনিয়া ছেয়ে আছে। তবুও ছোট্টো এবং সরল করে বললে উত্তরটা এরকম, যে, এই ব্যবস্থায়, মানে এই পুঁজিপতি-জমিদার শাসিত এই কাঠামোয় "প্রগতিশীল' নীতি নিলেও শেষ্পর্যন্ত ব্যবস্থাই তা ইমপ্লিমেন্ট করতে দেবেনা। আর কিছু নীতি তো একেবারেই নেওয়া সম্ভব না। যেমন টাটা-বিড়লাদের আধিপত্য খর্ব করা যাবেনা। নীতিগতভাবেই। আর ভূমিসংস্কার করার নীতি নিলেও জমিদারদের চাপে তা ইমপ্লিমেন্ট করা যাবেনা। এবং, এই পয়েন্টটা গুরুত্বপূর্ণ, দুর্নীতি ইত্যাদি এই ব্যবস্থারই বাই প্রোডাক্ট। মানে জমিদাররা ভূমি সংস্কার না হতে দেবার জন্য কালেক্টরকে টাকা খাওয়াবে। রাজনীতিবিদরা সেটা দেখেও চোখ বুজে থাকবেন। বা টাটা-বিড়লা পার্টি ফান্ডে চাঁদা দেবে। এবং বিনিময়ে নানা সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হবে। অর্থাৎ উপর থেকে নিচ পর্যন্ত যে দুর্নীতি, সেটা এই ব্যবস্থার বাই প্রোডাক্ট। ব্যবস্থা না বদলে কিসু করা যাবেনা। সে আপনি মাঠে যতই তাগড়া তাগড়া এক্ষপার্ট নামান না কেন।

    এই অবস্থান থেকে নকশালরা "আধা-ঔপনিবেশিক আধা-সামন্ততান্ত্রিক' ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। আর সিপিএম "পুঁজিপতি-জমিদার' শাসিত কাঠামোর মধ্যেও ভোটে অংশগ্রহণ করে স্রেফ চাট্টি রিলিফ দেবার জন্য (এই অবস্থানটা কিছুদিনে আগে স্লাইট বদলেছে, কিন্তু ওটা এখন ধরছিনা)। কিন্তু মোদ্দা বক্তব্যটা একই। যে, বস, এই অবস্থায়, এই হাত-পা-বাঁধা অবস্থায় কিস্যু করা যাবেনা। পুলিশ ঘুষ নেবেই। দুর্নীতি থাকবেই। আমলাতান্ত্রিক গড়িমসি থাকবেই। এমনকি জনবিরোধী নীতি থাকবেই। বিপ্লব না এলে কিছুই করা যাবেনা।
  • Ishan | 117.194.32.70 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১৩:১৩481412
  • পিটি। বার্থ অফ ক্লিনিক (http://en.wikipedia.org/wiki/Michel_Foucault#The_Birth_of_the_Clinic) বইটা ঝট করে পড়ে ফেলুন। তাপ্পরে এ নিয়ে বিশদে আলোচনা করব।

    আপাতত আমাকে লিখতে দিন, কেমন?
  • Ishan | 117.194.32.70 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১৩:২৪481413
  • বামপন্থীদের কথাটা খুব ভুল এমন না। খুব সহজ করে বললে টাটা যদি থাকে, তো সে ভোটে টাকাও দেবে। আর রাজনৈতিক ব্যবস্থাও টাটার পিছনেই দৌড়বে। ফলে একটা ব্যবস্থার মধ্যেই একটা অন্তর্নিহিত বৈষম্য থাকবেই। কেউ জামাই আদর পাবে, কেউ লাথি। কাউকে দেখলে মন্ত্রীরা "অসুন স্যার বসুন স্যার বলবেন', আর কাউকে দেখলে আমলারা "আবার কালকে আসুন' বলে ফুটিয়ে দেবেন।

    কিন্তু প্রশ্ন হল, এটাই কি সব? এক্ষপার্টর সব ঠিক বলেছেন, খালি ব্যবস্থার দোষে সেগুলো নামানো গেলনা, টাটাবাবু কলকাঠি নেড়ে সব জনহিতকর প্রকল্প ভেস্তে দিলেন, এটা কি একটা "যথাযথ' বিশ্লেষণ? সোজা বাংলায় বললে সিস্টেমের যাবতীয় নির্মমতা ও অদক্ষতা, সবই কি বুজ্জোয়া চক্রান্ত?
  • PT | 203.110.243.21 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১৩:৩৭481414
  • সামান্য শিক্ষার কারণে ঈশান ও Michel Foucault এর মধ্যে ফারাক করতে শিখেছি। ""ল্যালা"" শব্দের ফরাসী ইকুইভ্যালেন্টটা যদি জানান বাধিত হই। আপনি প্রাণভরে লিখুন - কম্পুতে অতিকথন ফিল্টার করার জন্য সফটওয়ার লাগানো এখনও শুরু হয়নি।
  • dukhe | 122.160.114.85 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১৩:৪৯481415
  • ঈশান ডিসট্‌র্‌যাক্টেড হবেন না ভরসা আছে ।
    ভালো এগোচ্ছে । চলুক ।
  • Ishan | 117.194.32.70 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১৩:৫৪481416
  • এ মা। এটা তো অবজেক্টিভ সাজেশন। পড়ে আসুন বললে আবার ব্যক্তিগতভাবে নিতে হয় নাকি? :)

  • PT | 203.110.243.21 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১৪:০৯481417
  • না না ব্যক্তিগতভাবে নিইনি। প্রথমত: আপনার লেখা খুব মনযোগ সহকারে পড়তে পড়তে ""ল্যালা"" আর ""চিকিৎসা শাস্ত্র"" মেলাতে অসুবিধে হল। তারপরে সমস্যায় পড়লাম ""চিকিৎসা শাস্ত্র"" আর clinicmedical perception শব্দগুলোর সম্পর্ক নিয়ে। এখন ভাবছি যে 650 BC-তে Babylonian text-এ যারা মৃগিরোগের বর্ণনা লিখেছিল তারা ""ল্যালা"" ছিল কিনা!!

    আপনি লিখুন। আপনাকে থামানো আমার উদ্দেশ্য ছিলনা।
  • Ishan | 117.194.32.70 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১৪:৩১481419
  • যদি ভারতবর্ষের ইতিহাস খুঁটিয়ে দেখেন, মানে জাস্ট রাজা-রাজড়া আর ভাইসরয়দের ইতিহাস নয়, সামাজিক কলকব্জাগুলোর ইতিহাস দেখেন, তাহলে দেখবেন, গোটা ব্যবস্থার এই যে একটা অগোছালো-অদক্ষতা, এর সঙ্গে বুজ্জোয়া-শ্রেণীশাসনের খুব একটা সম্পর্ক নেই। বরং ঔপনিবেশিকতার একটা সম্পর্ক আছে।

    ধরুন, পুলিশের দমনমূলক ব্যবস্থা। কলকাতার পুলিশি ব্যবস্থার গোড়াটা যদি দেখেন, তো দেখবেন, ব্রিটিশ পুলিশ এবং জুডিসিয়ারি আসার আগে দেশে বিচিত্র সব বিচার ব্যবস্থা ছিল। তার অনেকটা (মূলত: হিন্দুদের) ছিল দৈবনির্ভর। যেমন একটি লোক চোর কি চোর না বোঝার উপায় ছিল তাকে জ্বলন্ত কয়লার উপর দিয়ে হাঁটানো। যদি তাতে লোকটি উ-আ করে তো সে ব্যাটা চোর। যদি না করে তো সে সাধু। শাস্তিরও অনুরূপ সব বিচিত্র পদ্ধতি ছিল। সবই নিপীড়নমূলক। নাক কাটা, কান কাটা, মাটিতে পোঁতা জাতীয় যে শাস্তিগুলির বর্ণনা আমরা উপকথায় পড়ি, তার সবকটাই ব্রিটিশ জমানার আগে শাস্তির প্রকরণ হিসেবে বিদ্যমান ছিল।

    ব্রিটিশ পুলিশ বাজারে নামার পর, এই দমমূলক ব্যবস্থাটিকেই গ্রহণ করে। অনেকগুলো প্রচলিত শাস্তি বজায়ও রাখে। পরে নিজেদের দেশ থেকে "উন্নততর' কিছু শাস্তির প্রকরণ নিয়ে আসে। তখন আস্তে আস্তে এই পুরোনো পদ্ধতিগুলি হটে যায়। এবং প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত, কামানের মুখে বেঁধে উড়িয়ে দেওয়া এবং প্রকাশ্যে ফাঁসি, এই গুলি বেশ কিছুদিন প্রধানতম শাস্তির প্রকরণ হিসেবে কাজ করতে থাকে।

    এর পর দমনের আরও "আধুনিক' কিছু প্রকরণকে আনা হয়। এবং লোক ঠ্যাঙানোই হয়ে ওঠে পুলিশের একটা বড়ো কাজ। এই সময় ব্রিটেনে দমনমূলক পুলিশি ব্যবস্থা আস্তে আস্তে কমের দিকে যেতে থাকলেও ভারতে তা কমেনি।

    আরও পরে, গোটা পশ্চিমেই পুলিশি ব্যবস্থা একটা প্যারাডাইম শিফটের মধ্যে দিয়ে যায়। যেখানে পুলিশকে "না ঠ্যাঙানো'র পদ্ধতিতে শিক্ষিত করা হয়। ভারতীয় পুলিশ একেবারেই সেই পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যায়নি।
  • Ishan | 117.194.32.70 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১৪:৪২481421
  • প্রথমে সূত্রটা দিয়ে নিই, নইলে আবার পিটি ক্যাঁক করে ধরবেন। পুলিশি ব্যবস্থার বিবর্তনের চমৎকার বর্ণনা পাবেন সুমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের দা উইকেড সিটি নামক গ্রন্থটিতে।

    এটা সাতকাহন করে বর্ণনা করলাম এই কারণে, যে, পুলিশের আজকের সংগঠনের মধ্যে দুটো উপাদান ঐতিহাসিক ভাবে আছে। ১। জমিদার সুলভ আচরণ (অর্থাৎ পুলিশ হল মাই বাপ) -- এটা সেই প্রাক বৃটিশ আমল থেকে নেওয়া। ২। লোক ঠ্যাঙানো নেচার (অর্থাৎ নেটিভগুলোকে পিটিয়ে সিধে রাখা) -- এটা বৃটিশ আমল থেকে নেওয়া।

    আর পশ্চিমী পুলিশের সঙ্গে এ দেশের পুলিশের একটা মৌলিক পার্থক্য হল "লোক না ঠ্যাঙানো'র সামাজিক ট্রেনিংটার মধ্যে দিয়ে তারা যায়নি।

    এবার এখানে লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, যে, এই তিনখানা পয়েন্টের মধ্যে "বুজ্জোয়াদের চক্রান্ত' কোত্থাও নেই। পুলিশ ডিপার্টমেন্টের একটা নির্দিষ্ট ইতিহাস আছে। পুলিশের আজকের চরিত্র সেখান থেকেই উদ্ভুত।

    হ্যাঁ, এর সঙ্গে শ্রেণীশাসন ইত্যাদি গোলাবেন না। "পুলিশ এই ব্যবস্থায় পুঁজিপতিদের সেবা করে' এই স্টেমেন্ট সত্যি হতেই পারে। কিন্তু তার সঙ্গে পাসপোর্ট চাইতে গেলে ঘুষ চাইবার কোনো সম্পর্ক নেই। বা থাকলেও খুব কম। সম্পর্কটা পুলিশের ইতিহাসের সঙ্গে অনেক বেশি গভীর।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন